Tag: Ram Mandir

Ram Mandir

  • Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    Ram Mandir: রামলালার নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য নগর পরিক্রমায় বেরনোর কথা ছিল ‘রামলালা’র। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই পরিকল্পনা বাতিল করল মন্দির প্রশাসন। আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৭ জানুয়ারি ‘রামলালা’র বিগ্রহ নিয়ে অযোধ্যা ভ্রমণে বেরনো হবে। এর ফলে মন্দিরে বিগ্রহ প্রবেশের আগেই ভক্তেরা বিগ্রহকে চাক্ষুষ করার সুযোগ পেতেন। ৮ দিন আগেই পরিকল্পনা বাতিল করল তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রামলালার (Ram Mandir) নগর ভ্রমণের বিষয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভক্তদের ভিড় থেকে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা

    ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তদের ভিড় থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমে। প্রসঙ্গত, রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরা নিয়ে উন্মাদনা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় অযোধ্যায় বিগত দুই মাস ধরেই উৎসবের মেজাজ রয়েছে। এমন সময়, রামলালাকে নগর পরিভ্রমণে বের করলে বিপুল ভক্ত সমাগম হতে পারে। সেখানে বিশৃঙ্খলাও হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত বদল। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগেই কাশীর আচার্য এবং জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন ট্রাস্টের সদস্যেরা। সেখানেই জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রামলালার বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে বের করে আনা হলে ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে বেগ পেতে হতে পারে।

    কী বলছেন অযোধ্যার জেলাশাসক?

    অযোধ্যার জেলাশাসক এবিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রামলালার দর্শন পেতে কেবলমাত্র স্থানীয়রাই নয়, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসবেন রাম ভক্তরা (Ram Mandir)। ফলে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, যে কোনও মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ১৭ জানুয়ারি রামলালার অযোধ্যা সিটি ট্যুরের অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    Ram Mandir: বাবরি মসজিদের আইনজীবী ইকবালও বাড়িতে বসে বললেন, “রাম আমাদের সকলের’’

    রামনগরী অযোধ্যা-সাত

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসবের মেজাজে দেখছিলাম অযোধ্যাকে (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে দোকানের দরজা, সর্বত্র লেখা জয় শ্রীরাম। তরুণ প্রজন্ম স্মার্ট ফোনের গেম ভুলে মেতেছে রামের নামে। সকাল সন্ধ্যা কপালে তিলক এঁকে ঘুরছে তারা। কর্মযজ্ঞের অযোধ্যাকে পর্যবেক্ষণ করতে ভাড়া করলাম টোটো। গেলাম স্টেশন এবং এয়ারপোর্টে। সেখানেও তুঙ্গে ব্যস্ততা। রাম রাজ্যে রাম ফিরবেন। ব্যস্ততা তো স্বাভাবিক। নতুনভাবে সেজে উঠছে অযোধ্যা। মন্দির উদ্বোধন হলে ৩ লাখ ভক্তের পা পড়বে প্রতিদিন। বেশিরভাগ ভিড়ই সামাল দিতে হবে স্টেশন এবং বিমানবন্দরকে। তাই সাজো সাজো রব। স্টেশন দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম। দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন আস্ত একটা বিশ্বমানের বিমানবন্দর। আধিকারিকরা বললেন, প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ গড়ে যাতায়াত করতে পারবেন অযোধ্যা স্টেশনের মাধ্যমে। বিমানবন্দরে গিয়ে দেখলাম সেখানেও একই চিত্র। আমরা যখন গিয়েছিলান তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেননি। হোটেলে ফেরার পথে টোটো চালক বললেন, সামনেই বাবরি মসজিদের আইনজীবী থাকেন, যাবেন সেখানে? আমরা উত্তর দিলাম, অবশ্যই। রাস্তার ধারে টোটো দাঁড়াল। আঙুল দিয়ে টোটো চালক দেখিয়ে দিলেন ইকবাল আনসারির বাড়ি।

    ইকবাল আনসারির বাড়িতে

    রামপথের (Ram Mandir) ঠিক বাঁদিকে যেখানে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে, সেখানেই পড়ছে ইকবাল আনসারির বাড়ি। বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি মেরামতির দোকান। জানা গেল এগুলি তাঁরই (ইকবাল আনসারির)। বাড়ির অদূরে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জায়গা। আমরা পৌঁছাতেই দেখলাম ইকবাল আনসারির বসার চেম্বারে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ভিড়। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মিডিয়ার গাড়ি। উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ইকবাল। বয়স প্রায় ষাট ছুঁইছুঁই। শরীরে মেদ নেই বললেই চলে। মাঝারি উচ্চতার ইকবাল আনসারি স্বাগত জানালেন আমাদের। আলাপচারিতায় জানলেন, আমরা কোথা থেকে এসেছি। প্রসঙ্গত, ইকবাল আনসারির বাবা ছিলেন হাসিম আনসারি। যিনি বাবরি মসজিদের আইনজীবী ছিলেন প্রথম থেকেই। মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার সময়ই মৃত্যু হয় হাসিম আনসারির। তার পর থেকেই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ইকবাল। সাক্ষাৎকার শুরুর প্রথমেই জিজ্ঞেস করলাম ‘‘শরীর কেমন রয়েছে?’’ স্মিত হেসে উত্তর দিলেন, কোনও অসুবিধা নেই। এবার আসল প্রসঙ্গে ঢুকলাম। রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হচ্ছে কেমন লাগছে? ইকবাল আনসারি জবাব দিলেন, ‘‘রামের মন্দির তৈরি হওয়াতে অযোধ্যার মুসলিম সমাজের মতো আমিও খুশি। রাম আমাদের সকলের।”

    সকল ধর্মের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন রামচন্দ্র

    এরপরেই তিনি নিজের মোবাইল বের করে দেখাতে থাকলেন, হিন্দুধর্মের বিভিন্ন উৎসবে তাঁর সামিল হওয়ার চিত্র। তাঁর সাক্ষাৎকারের সময় প্রশ্ন করেছিলাম, উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রণ পেলে যাবেন? জানালেন, নিশ্চিত যাব। (প্রসঙ্গত জানুয়ারির প্রথমেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা-কর্মীরা ইকবাল আনসারির বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছেন আমন্ত্রণপত্র)। অযোধ্যার হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির কথাও শোনা গেল ষাট ছুঁইছুঁই ইকবালের মুখে। পরবর্তীকালে সংবাদমাধ্যমের সুবাদে জেনেছি, অযোধ্যার বিমান বন্দরের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে ফুলও ছোড়েন তিনি। এবার রাম মন্দিরের উদ্বোধনে সামিল হবেন ইকবাল। রামের ঘরে ফেরা সত্যই তাৎপর্যপূর্ণ। জাতি-ধর্ম-বর্ণের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    Ram Mandir: শীতের রাত ১০টা, অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই!

    রামনগরী অযোধ্যা-ছয়

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: প্রভু রামের মন্দিরে ফেরা ২২ জানুয়ারি। তার আগেই অযোধ্যার উৎসবের ঢেউ গিয়ে পড়ছে আসমুদ্র হিমাচলে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী হোক, অথবা গুজরাট থেকে গুয়াহাটি। সর্বত্রই রামভক্তরা এখন থেকেই আনন্দে মেতেছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে সোনার জুতো নিয়ে রামনগরীতে (Ram Mandir) পৌঁছাচ্ছেন, তো কোথা থেকে আসছে রামের রথ। তবে ভগবান রামের সব থেকে বড় শিষ্য রাম জন্মভূমির অদূরে তাঁর নিজের মন্দিরেই দীর্ঘকাল বিরাজমান রয়েছেন। অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরও ভক্তদের অন্যতম তীর্থস্থল হিসেবে পরিচিত। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে যখন মন্দির চত্বরে পৌঁছালাম, ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁয়েছে। শীতের রাতেও মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা নেই। ভক্তদের বিশ্বাস, প্রভু রামচন্দ্রের জন্মস্থানেই থাকেন বজরঙ্গবলী। হনুমানগড়ি মন্দির যেতে রামপথের ওপর দিয়ে সোজা হাঁটতে হবে ঠিক রাম মন্দিরের দিকে। তারপরেই ডানদিকে ভেঙে যাচ্ছে রামপথ। সেখানেই রয়েছে হনুমানগড়ি মন্দির। রাম মন্দিরের মতোই এখানেও ২৪ ঘণ্টাই পুলিশি ব্যারিকেড রয়েছে।

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী (Ram Mandir)

    টিলার ওপর বিরাজ করছেন বালক বজরঙ্গবলী। হনুমানের দর্শন পেতে তাই ভাঙতে হবে ৭৬টি সিঁড়ি। হলুদ ধুতি পরা তরুণ পুরোহিতরা ভক্তদের পুজো পৌঁছে দিচ্ছেন হনুমানের চরণতলে। কপালে তিলকও এঁকে দিচ্ছেন তাঁরা। হনুমানের দর্শন পেতে সে কী হুড়োহুড়ি! বোঝাই গেল রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে হনুমানগড়িতে যদি এত ভিড় হয়, তাহলে ২২ জানুয়ারির পর ঠিক কী হতে চলেছে। ভগবান রামের পাশাপাশি অযোধ্য়ার উদ্দেশে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের গন্তব্য যে হনুমানগড়ি হবে, একথা বলাই যায়। বিরাট মন্দিরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চারপাশে অনেক ছোট-বড় ব্যবসায়ী দোকান তৈরি করেছেন, বেশ কিছু নতুন দোকানও তৈরি হচ্ছে দেখা গেল। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বাঁধছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের। মন্দিরের ডানদিক বরাবর সোজা গেলে পড়বে দশরথ ভবন। এই রাস্তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন অনেকে। গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠেছে অযোধ্যার (Ram Mandir) কোনায় কোনায়, পথে পথে, সরযূর জলে।

    হনুমানগড়ির পৌরাণিক কথা (Ram Mandir)

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যায় রামের দর্শনের (Ram Mandir) আগে তাঁর প্রিয় ভক্ত বজরঙ্গবলীর দর্শন ও আজ্ঞা নেওয়া জরুরি। হনুমানগড়ি মন্দির অযোধ্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এই মন্দিরে ৬ ইঞ্চির বালক বজরঙ্গবলীর প্রতিমা রয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তাঁর মা অঞ্জনীও আছেন এই মন্দিরে। মন্দির পরিসরে অঞ্জনীর কোলে দেখা যায় হনুমানকে। মন্দিরের চারপাশের দেওয়ালে হনুমান চালিশার পংক্তি লেখা রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, হনুমানগড়িতে রাজা হিসেবে বজরঙ্গবলীর রাজতিলক করেন রাম। একটি গুহায় বসবাস করে বজরংবলী রামজন্মভূমি ও অযোধ্যাকে রক্ষা করেন। বজরঙ্গবলীর সেবা ও ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে রাম বলেন, যাঁরা অযোধ্যায় আমার দর্শনের জন্য আসবেন, তাঁদের সবার আগে হনুমানের দর্শন, পুজো ও অনুমতি নিতে হবে। হনুমানের অনুমতি না-নিয়ে ও পুজো না-করে রামের দর্শন ও পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ডে বলা হয়েছে, বজরংবলী রামের সবচেয়ে প্রিয় ভক্ত। তাই রামের দর্শন ও আশীর্বাদ লাভের জন্য বজরংবলীর দর্শন ও আশীর্বাদ নিতে হয়। এ কারণে হনুমানগড়িতে বজরঙ্গবলীর পুজোর পর রামের দর্শনের পরম্পরা প্রচলিত। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বপ্রথম হনুমানগড়িতেই পুজো দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    Ram Mandir: ৮ হাজার কিমি হেঁটে রামের জন্য সোনার পাদুকা আনছেন হায়দরাবাদের চার্লা শ্রীনিবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হায়দরাবাদ থেকে চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী (৬৪) আট হাজার কিলোমিটার তীর্থযাত্রা করে অযোধ্যা পৌঁছাতে চলেছেন দিন কয়েকের মধ্যেই। ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রামের পাদুকা নিয়ে তিনি পৌঁছাবেন রামনগরীতে (Ram Mandir)। ওই পাদুকা দুটি রুপোর তৈরি এবং সোনা দিয়ে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। এক একটির ওজন ১২ কেজি। এর আগে, রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) আড়াই কোজি ওজনের পাঁচটি রুপোর ইট প্রদান করেছিলেন শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই অবশ্য অযোধ্যা পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর (শাস্ত্রী)।

    রামের বনবাসে যাওয়ার পথেই হাঁটছেন শাস্ত্রী

    জানা গিয়েছে, অযোধ্যা-রামেশ্বরমের পথেই হাঁটছেন শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। প্রসঙ্গত এটাই হল রামচন্দ্রের বনবাসের পথ। তবে তিনি (শাস্ত্রী) দক্ষিণ থেকে উত্তরে আসছেন, এটাই পার্থক্য। গত বছরের ২০ জুলাই এই তীর্থযাত্রা শুরু করেন শাস্ত্রী। তীর্থপথের মাঝখানে প্রসিদ্ধ স্থান, যেখানে রামচন্দ্র শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের, সেখানেও গিয়েছেন তিনি। ওড়িশা রাজ্যের পুরী, মহারাষ্ট্রের ত্রিম্বক, গুজরাটের দ্বারকা এই সমস্ত তীর্থভূমি ঘুরে তিনি অযোধ্যার খুব কাছেই চলে এসেছেন। প্রতিদিন ৩৮ কিলোমিটার করে পথ হাঁটছেন।

    কী বলছেন চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী?

    শাস্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে রামের পাদুকা (Ram Mandir) ছাড়াও পঞ্চধাতুর রামের মূর্তি। নিজের মাথায় তিনি তা বয়ে চলেছেন। পঞ্চধাতুর মূর্তি তিনি প্রদান করতে চান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। প্রসঙ্গত, তাঁর এই যাত্রার বিষয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘‘আমার বাবাও অযোধ্যাতে করসেবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভগবান হনুমানের ভক্ত ছিলেন। তাঁরও স্বপ্ন ছিল অযোধ্যার ভূমিতে রাম মন্দির দেখে যাওয়া। কিন্তু তিনি বর্তমানে বেঁচে নেই। তাই আমি স্থির করলাম তাঁর স্বপ্নকে পূরণ করার।’’ বর্তমানে তিনি চিত্রকোটে রয়েছেন, যেখান থেকে অযোধ্যা দূরত্ব ২৭২ কিলোমিটার। শাস্ত্রীর সঙ্গে আরও পাঁচজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে তীর্থযাত্রা করছেন। তবে প্রথমে তাঁর সঙ্গে যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ২০ জন। তাঁরা ফিরে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে অযোধ্যাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান শাস্ত্রী এবং সেখানে একটি বাড়িও নির্মাণ করতে চাইছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    Ram Mandir: যোগী রাজ্যের জেলগুলিতেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলগুলিতেও সরাসরিভাবে সম্প্রচার করা হবে। শনিবারই এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন যোগী সরকারের কারামন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি। সে রাজ্যের বন্দীরাও সরাসরি দেখতে পাবেন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মুহূর্ত। উত্তরপ্রদেশের কারামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে। তারাও দেশের নাগরিক। তাই তাদের এই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করি। সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জেলগুলিতে রাম মন্দির (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যারা বন্দী হয়ে রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই পেশাদার অপরাধী নয়। যখন কোনও ঘটনা ঘটে তখনই তারা অপরাধী হয়ে যায়। তাই পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় এদের এক ঘরে করে রাখার কোনও মানে হয় না। সে কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’’

    বুথে বুথে সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাম জন্মভূমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রতিটা বুথস্তরে সরাসরি ভাবে সম্প্রচারিত করবে করা হবে। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ৫০০ মিটার হেঁটে রাম লালাকে (Ram Mandir) কোলে করে তা গর্ভগৃহে স্থাপন করবেন নরেন্দ্র মোদি। মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে বিজেপি।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার উদ্বোধন করলেন ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’ গান

    Ram Mandir: আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার উদ্বোধন করলেন ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’ গান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে সাজো সাজো রব গোটা অযোধ্যাজুড়ে। প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে ভারতের আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক জগতে নতুন অধ্যায় সূচনা হতে চলেছে। ঠিক এই আবহে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য ইন্দ্রেশ কুমারের নতুন গানের উদ্বোধন করলেন। নাম ‘জয় সিয়ারাম শবরী এপিসোড’। গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মন্দাকিনী বোরা।

    রাম মন্দিরের উদ্বোধনে প্রস্তুতি তুঙ্গে

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনকে ঘিরে প্রস্তুতিও তুঙ্গে চলছে। ইতিমধ্যে নিমন্ত্রিতদের কাছে পত্র পাঠানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে জোর কদমে। নিমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই, অক্ষয় কুমার সহ  অন্যান্যরা। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারব আমি, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ শুধুমাত্র ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি মাইলস্টোন নয় বরং তা ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতারও একটা মেলবন্ধন।’’ আমন্ত্রিতদের তালিকায় বলিউডের একাধিক শিল্পী রয়েছেন। এর পাশাপাশি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তও আমন্ত্রিত রয়েছেন। বলিউডের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, অনুপম খের, অক্ষয় কুমার। এর পাশাপাশি পরিচালক রাজকুমার হিরানী, সঞ্জয় লীলা বানসালি, রোহিত শেঠি সমেত অন্যান্যরা।

    কী বলছেন রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ দাস এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের দিন এখানে আসবেন অক্ষয় কুমার, অমিতাভ বচ্চন সমেত অন্যান্যরা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন তাঁরা সকলেই আমন্ত্রিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিও আসছেন। প্রত্যেক শিল্পীকেই অযোধ্যা স্বাগত জানাচ্ছে।’’ রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২২ জানুয়ারির মূল অনুষ্ঠানে মন্দিরের গর্ভগৃহে যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান করবেন বারানসির পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    Ram Mandir: “গোয়া নয়, মানুষজন ঘুরতে আসছেন অযোধ্যায়”, উচ্ছ্বসিত রামনগরীর হোটেল ব্যবসায়ী

    রামনগরী অযোধ্যা-চার

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: বড়দিনের দুপুর নাগাদ পা পড়ল অযোধ্যায় (Ram Mandir)। তবে কলকাতার মতো বড়দিন ঘিরে কোনও অনুষ্ঠানই নজরে পড়ল না। রাস্তার দোকানগুলিতে নেই সান্তার টুপিও। বদলে হনুমানের গদা, জয় শ্রীরাম লেখা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। রাম মন্দির থেকে সরযূ নদী পর্যন্ত রাস্তার নাম রামপথ। আগে সংকীর্ণ রাস্তা থাকলেও বর্তমানে তা বেশ চওড়া করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রামপথের পাশেই নজরে পড়ল বিরাট পার্ক। শিশুদের খেলাধূলা ও বড়দের শরীরচর্চার জন্য নির্মিত ওই পার্কের গেট থেকে দেওয়াল, ভিতরে বসার জায়গাতেও রয়েছে সনাতন সংস্কৃতির ছোঁয়া। পার্কের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে মন্দিরের মতো একটি নির্মাণ। সেখানেই বসানো হয়েছে ধ্যানরত এক মুনির মূর্তি। পার্কের পিছনেই ছিল আমাদের হোটেল ‘প্রেমসি গেস্ট হাউস’। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল গেস্ট হাউসের দ্বিতীয় তলে। রাম মন্দির থেকে দূরত্ব ১ কিমির মধ্যেই। হোটেল মালিক ধর্মেন্দ্র মিশ্র। পেশায় দিল্লিতে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বলে জানা গেল। ৩৬ বছর বয়সী ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, অযোধ্যায় ভিড় আগের থেকে অনেক বেড়েছে। রাম ভক্তদের পা পড়ছে তাঁর হোটেলেও।

    রমরমিয়ে চলছে হোটেল ব্যবসা (Ram Mandir)

    প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে হোটেল ব্যবসায়ীদের যে বিপুল লক্ষ্মীলাভ হতে চলেছে, তা বোঝাই যায়। ইতিমধ্য়ে অযোধ্যার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের পর গড়ে ৩ লাখ মানুষের পা পড়তে চলেছে অযোধ্যায় (Ram Mandir)। হোটেল ব্যবসা যে রমরমিয়ে চলবে, তা বোঝা যায় ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের দেখেই। যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছেড়ে এসে হোটেল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। ধর্মেন্দ্র মিশ্রর সঙ্গে কথোপথনের সময় জানা গেল, রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় তাঁর গেস্ট হাউসে এসে থাকবেন দূরদর্শনের মহাভারত সিরিয়ালের যুধিষ্ঠির গজেন্দ্র চৌহান। অযোধ্যার বিপুল উন্নয়নের জন্য মোদি-যোগীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল ধর্মেন্দ্র মিশ্রর গলায়।

    কী বলছেন ধর্মেন্দ্র মিশ্র? (Ram Mandir)

    তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসছে। ভগবান রামচন্দ্র আমাদের আদর্শ। তাঁর মন্দিরে ফেরার দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। এতে আমি একদিকে খুশি এবং তার সঙ্গে গর্বিত। মোদিজি ও যোগীজির নেতৃত্বে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে অযোধ্যা। অযোধ্যা বর্তমানে আগের থেকে অনেক বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে। আগে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাও ছিল না। এখন উন্নত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থার কারণে যানজট হয় না। রাস্তাও চওড়া হয়েছে।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রর আরও সংযোজন, ‘‘আগে মানুষজন ছুটি কাটাতে গোয়া যেত। সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাত। এখন মানুষজন অযোধ্যায় আসছেন। সন্তানরা সংস্কার পাচ্ছেন অযোধ্যায় এসে।’’ তাঁর কাছ থেকেই জানা গেল ২২ জানুয়ারি কতটা আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের। ধর্মেন্দ্র মিশ্র জানালেন, আমাদের ‘‘আমাদের মতো হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে ইতিমধ্যে অযোধ্যার প্রশাসন একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে ১৮ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলের ঘর দিতে হবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অথবা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের চিঠি সঙ্গে থাকলে তবেই মিলবে হোটেলের ঘর।’’ ধর্মেন্দ্র মিশ্রদের মতো আরও হাজারো হোটেল ব্যবসায়ী লক্ষ্মীলাভের আশায়  মন্দির উদ্বোধনের জন্য দিন গুনছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    South 24 Parganas: রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেয়ে উচ্ছ্বসিত গঙ্গাসাগরের সাধু-সন্ন্যাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি-এই চার যুগের মধ্যে দ্বাপর যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান কুরুক্ষেত্র। একই ভাবে কলি যুগের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর। এই গঙ্গাসাগরেই গঙ্গা এবং বঙ্গোপসাগরের মিলন সঙ্গমস্থল পুণ্য তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের পরই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সন্ন্যাসীরা এসে ভিড় জমাবেন। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হবে এই তীর্থধামে। এবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    কী বলেন গঙ্গাসাগরের সন্ন্যাসীরা (South 24 Parganas)?

    রাম মন্দিরের নিমন্ত্রণ পেয়ে গঙ্গাসাগরের (South 24 Parganas) সন্ন্যাসী কৃষ্ণানন্দ গিরি বলেন, “রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুশির খবর। হিন্দু সমাজের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দির দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল। অনেক সাধু, সন্ন্যাসী আগেও মন্দিরের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। একটা সময় ‘কর সেবকরা’ মন্দির নির্মাণের জন্য ইট নিয়ে গিয়েছিলেন। শিলাপুজো করে অনেক আগেই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনা করা হয়েছিল। সময় বদলে যাবে, মানুষ বদলে গেলেও অযোধ্যা শ্রীরামের অযোধ্যা হিসাবেই থাকবে। ঈশ্বরের বিগ্রহ নির্মাণের খবরে আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, এটা খুব আনন্দের কথা। তবে সামনেই মেলা, ফলে মেলার ব্যস্ততা রয়েছে। আমাদের নিমন্ত্রণপত্র এবং প্রসাদী চাল দিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন রাম মন্দিরের

    ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীদের হাতে এসে পৌঁছাল মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র। আমন্ত্রণপত্র পেয়ে খুশি গঙ্গাসাগর মেলায় আসা সাধু-সন্ন্যাসীরা। গঙ্গাসাগরকে নিয়ে যেমন রয়েছে হিন্দুদের একাধিক পৌরাণিক কাহিনী, ঠিক তেমনি অন্যতম পীঠস্থান অযোধ্যার শ্রীরামকে ঘিরে রয়েছে ঐতিহাসিক নানান কাহিনী। হিন্দু ধর্ম চেতনায় একে অপরের সাথে যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। সমানেই গঙ্গাসাগর (South 24 Parganas) মেলা। কিন্তু তাঁরা সেই অযোধ্যায় গিয়ে পৌঁছাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে অনেকটাই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে এমন আমন্ত্রণপত্র তাঁদের  কাছে অনেকটাই গর্বের বলে জানাচ্ছেন সাধু-সন্ন্যাসীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম জন্মভূমি চত্বরে কুবের টিলার ওপর গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দিরও, ব্যস্ততা তুঙ্গে

    Ram Mandir: রাম জন্মভূমি চত্বরে কুবের টিলার ওপর গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দিরও, ব্যস্ততা তুঙ্গে

    রামনগরী অযোধ্যা-তিন

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই সবার সামনে। পথ দেখিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিকদের নিয়ে যেতে থাকলেন রাম জন্মভূমি চত্বরে। ঠিক যেন ছোটখাট মিছিল মনে হচ্ছিল। পিছনে পুলিশের গাড়ি। বুম, ক্যামেরা হাতে সবাই হাঁটছে। দুপুর বেলায় মাথার ওপরে তখন সূর্য। গিয়ে দেখা গেল, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে পূর্ব-পশ্চিমে। মন্দিরের দক্ষিণ দিকেই তৈরি হচ্ছে আরও সাত মন্দির। রামের জীবনে অবদান রয়েছে, এমন চরিত্রদের মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজও চলছে গড়গড়িয়ে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে বাল্মিকী, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অগস্ত্য, নিষাদ রাজ গুহ, শবরী মাতা, অহল্যার। রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জটায়ু। রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যেতে চাইলে জটায়ু বাধা দেন। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে তাঁর। তাঁর মন্দিরও ভক্তরা পাবেন রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে। রাম জন্মভূমি চত্বরের দক্ষিণ দিকেই রয়েছে প্রাকৃতিক একটি টিলা। যার নামকরণ হয়েছে কুবের টিলা। সেখানেই গড়ে উঠছে জটায়ুর মন্দির। ভক্তরা এবার রাম জন্মভূমিতে গিয়ে পুজো দিতে পারবেন জটায়ুর।

    আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের মেলবন্ধন

    এক কথায়, গোটা রামায়ণ যেন মূর্ত হয়ে উঠবে রাম মন্দির চত্বরে। জটায়ুর মন্দির এতদিন পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেই দেখা যেত। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, যে স্থানে জটায়ুর সঙ্গে রাবণের যুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্থানকে ঘিরেই গড়ে ওঠে জটায়ুর মন্দির (Ram Mandir)। তবে এনিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেন, জটায়ু পতিত হয়েছিলেন কেরলে, কেউ বা বলেন অন্ধ্রপ্রদেশে, কেউ আবার বলেন মহারাষ্ট্রে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাবণ জটায়ুর পক্ষচ্ছেদ ঘটালে তিনি বর্তমান ভারতের কেরল রাজ্যের জটায়ুমঙ্গলম নামক স্থানে একটি পাথরের ওপর এসে পতিত হলে স্থানটির এরূপ নাম হয়৷ যদিও স্থানীয় উচ্চারণে এটি “চডয়মঙ্গলম” নামে পরিচিত৷ এই গ্রামের যে স্থানে শিলার ওপর জটায়ু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন, সেই স্থান এক তীর্থস্থলের মতোই। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের পরে জটায়ু এবার স্থান পেতে চলেছেন উত্তর ভারতে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে। অযোধ্যার রাম মন্দির যেন আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করছে।

    জটায়ুর আখ্যান

    রামায়ণ অনুসারে জটায়ু ছিল একটি দৈবপক্ষী এবং সূর্যদেবের অশ্বচালক অরুণের কনিষ্ঠ পুত্র। তাঁর জ্যেষ্ঠভ্রাতা সম্পাতি ছিলেন একজন অর্ধদেহী দেবতা এবং রামের পিতা দশরথের পরমমিত্র। রাবণের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে জটায়ু মূর্চ্ছিত হয়ে মাটি পড়ে থাকা অবস্থায় রামের সাক্ষাৎ পান। সমস্ত ঘটনা শুনে রাম তাঁকে তাঁর মোক্ষ লাভের কথা বলেন। জটায়ু সীতার বিরহে বিব্রত রামকে সান্ত্বনা দিয়ে আশ্বস্ত করেন যে সীতার কোনও ক্ষতি হবে না এবং শীঘ্রই তাঁরা তাঁকে খুঁজে পাবেন। তাঁর মুখে সীতার কুশল সংবাদ ও আশ্বস্তবাণী শুনে রাম জটায়ুকে আলিঙ্গন করেন। জটায়ু মারা যান। জটায়ুর মৃত্যতে সীতার বিরহের থেকেও রাম অধিক মর্মাহত হন। রাম (Ram Mandir) জটায়ুকে নিজের পিতার সমান ও পিতৃতুল্য মনে করে তাঁর অন্ত্যেষ্টি ও প্রয়োজনীয় শ্রাদ্ধশান্তি নিষ্ঠাসহ সম্পন্ন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বিলি হবে ৫ লাখ প্রসাদের প্যাকেট, অর্ডার পেল কোন সংস্থা?

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের উদ্বোধন, বিলি হবে ৫ লাখ প্রসাদের প্যাকেট, অর্ডার পেল কোন সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরেই খুলে যাবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দ্বার। ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন থেকেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে গোটা অযোধ্যা নগরী। বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে জয় শ্রীরাম পতাকা। নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধনের পরে প্রসাদও বিতরণ করা হবে ভক্তদের মধ্যে। যার জন্য পাঁচ লাখ প্যাকেটের অর্ডার দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে।

    কোন সংস্থা পেল প্রসাদের অর্ডার?

    জানা গিয়েছে, রাম বিলাস অ্যান্ড সন্স নামের এক সংস্থাকে ওই প্রসাদের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ram Mandir) তরফে এক শীর্ষ পদাধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারির আগেই সমস্ত প্রসাদের প্যাকেট মন্দির (Ram Mandir) প্রাঙ্গণে চলে আসবে। জানা যাচ্ছে ওই বিপুল পরিমাণ প্যাকেট অর্ডার করতে চরম ব্যস্ততা চলছে রামবিলাস অ্যান্ড সন্সে। দিনরাত কাজ করছেন কর্মীরা। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত কর্মীও তাদেরকে নিয়োগ করতে হয়েছে, শুধুমাত্র রাম মন্দিরের উদ্বোধনের অর্ডারের কথা মাথায় রেখে।

    প্রসাদে কী থাকবে? 

    জানা গিয়েছে, ভক্তদের যে প্রসাদ দেওয়া হবে তা হল আসলে এলাচের বীজ। রাম বিলাস অ্যান্ড সন্স-এর অন্যতম কর্ণধার চন্দ্রগুপ্ত মতে, ‘‘এলাচের বীজে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অনেক খনিজ রয়েছে। এটি পেটের সমস্যায় খুবই উপকারী, যা ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তৈরি করা হচ্ছে মোট ৫ লক্ষ প্রসাদের প্যাকেট। সংস্থার ২২ জন কর্মী নিরন্তর সেই কাজ করে চলেছেন।’’

    ছত্তিসগড় থেকে এল চাল

    অন্যদিকে, রাম মন্দিরের জন্য ১০০ টন চালও ইতিমধ্যে ছত্তিসগড় থেকে চলে এসেছে বলে খবর রয়েছে। সূত্রের খবর, অযোধ্যার রামসেবকপুরম এলাকায় রামমন্দির ট্রাস্টের তৈরি কেন্দ্রীয় স্টোরে এই চাল রাখা হয়েছে। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্দেশে আসা খাদ্য সামগ্রী এখানে মজুত করা হচ্ছে। এই চাল অযোধ্যায় আগত ভক্তদের খাবারের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে খবর। অন্যদিকে, রাম মন্দির চত্বরের সবুজায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মধ্য় প্রদেশের ভোপালের একটি নার্সারিকে। প্রাঙ্গণের ভিতরে ৩৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share