Tag: ram navami procession

ram navami procession

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘ইটের জবাব দিতে হবে পাথর দিয়ে’’, রামনবমী নিয়ে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে রামনবমী রয়েছে ৬ এপ্রিল রবিবার। মাঝে আর কয়েকটা দিন। এই আবহে রামনবমীকে ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। প্রসঙ্গত, প্রতিবারই রামনবমীকে ঘিরে বিপুল উন্মাদনা দেখা যায় বঙ্গজুড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ইটের জবাবে পাথর

    রবিবার বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখান থেকে রামনবমী (Ram Navami Procession) নিয়ে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ‘‘রামনবমী মিছিল ঘিরে কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করলে, ইটের জবাব পাথর দিয়ে দিতে হবে।’’ কোনওভাবেই রাজ্যে রামনবমী যেন না রখতে পারে প্রশাসন, সেই বিষয়েও কর্মীদের নজর রাখতে বললেন তিনি। এমনকি,পুলিশ যদি বাধা দিতে আসে তার পাল্টা মোকাবিলা করতে হবে বলেও দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্ত।

    ইডেন থেকে ম্যাচ সরেছে অসমে! (Sukanta Majumdar)

    রামনবমীর (Ram Navami Procession) দিনেই আবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে আয়োজন হয়েছিল আইপিএল ম্যাচ। রামনবমীর ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে সিএবিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, রামনবমীর জন্য সেই দিন ইডেনে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব নয়। জানা যাচ্ছে, ওই দিনের ম্যাচ সরেছে অসমে। এনিয়েও অবশ্য তোপ দেগেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি এই ম্যাচ বাতিলকে ‘রাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়েছেন।

    বিজেপি শাসিত রাজ্য পারলে বাংলা কে পারছে না

    রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ উগড়ে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘এরা রামনবমী করতে পারে না, আর রামনবমী হলে বলে যে আইপিএল হবে না। শুনলাম, কলকাতায় বাতিল হয়ে ওই ম্যাচটা গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে তো বিজেপির সরকার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একইদিনে আইপিএল ও রামনবমী করাতে পারলে, বাংলা কেন পারছে না?’’

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী পালন নিয়ে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবার হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রামনবমী (Ram Navami) পালনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম গালি!’’ একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ করেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।’’

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন কিছু যুবক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে বলেন, তাঁকে গালি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে সেই ঘটনার কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই সময় উস্কানি আসে রাজ্যের শাসক দল পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম হল গালি। যোগেশচন্দ্র, হরিণঘাটায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। দোলপূর্ণিমায় সাঁইথিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’’

    প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রামনবমীর (Ram Navami) পালন নিয়ে প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামনবমীর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাইকে আবেদন করব, আপনারা প্রোটোকল মেনে, গত বছরের অনুমতির কাগজ সহ, পুলিশকে দেবেন। নতুন করে কোনও মমতা পুলিশের পাঠানো প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার লোককে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি এমএলএ-রা আপনাদের সম্পূর্ণভাবে আইনি সুরক্ষা দেব। আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছরে যা হয়েছিল, একইভাবে এবারে উৎসব পালন করা হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘ প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।’’

    পুজো আয়োজকদের মধ্যে ঝামেলা কারা করতে পারে? জানতে চাইছে পুলিশ

    এখানেই না থেমে আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইছে। একইসঙ্গে ওই পুজোতে কারা গন্ডোগোল-ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর চাইছে। মানে পুজোর আয়োজকদের মধ্যে যাঁরা ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর চাইছে। একইসঙ্গে পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডদের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইছে।’’ এরপরই পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে যদি পড়েন তাহলে খেসারত আপনাকে দিতে হবে।’’

    রামনবমী আটকাতে পারবেন না মমতা

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। এবার মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না। প্রত্যেকে রাস্তায় থাকব, রামনবমীর মিছিলে সামিল হব। হাওড়ায় শ্যামপুরে ৭ এপ্রিল মিছিল করব, ক্ষমতা থাকে আটকান। যাঁরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁরাই চেয়ারে থাকবে।’’

    রামনবমী ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ

    বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে তোষণের রাজনীতির ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা শুরু করেছে বিজেপি। এপ্রিল মাসে রয়েছে রামনবমী। এমন সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপির দেওয়াল লিখনও দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব ইস্যুতে। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী (Ram Navami) নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।’’

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    NIA: রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ার পর হাওড়ার শিবপুরে তদন্তে এল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ (NIA)। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল আজ বৃহস্পতিবার হাওড়ার শিবপুরে আসে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তারপর আজ এনআইএ-র একটি তিন সদস্যর প্রতিনিধি দল শিবপুর থানায় আসে। এখান থেকেই অফিসাররা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। জানা গেছে, থানা থেকে সেদিনের ঘটনা পরম্পরার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি নির্যাতিত ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। 

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। অঞ্জনী সেনাপুত্র এবং আরও কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের মিছিল প্রতি বছরের মতো এবারেও একই রোড দিয়ে বার করা হয়। অভিযোগ, কাজিপাড়া মোড় থেকে মিছিল যখন হাওড়া ময়দানের দিকে আসছিল, সেই সময় পিএম বস্তির কাছে মিছিলের ওপর হামলা হয়। তা নিয়েই মিছিলকারীদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে এবং গভীর রাত পর্যন্ত সেই খণ্ডযুদ্ধে একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়, একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়, দুপক্ষের বহু মানুষ এমনকী পুলিশ কর্মীরা পর্যন্ত জখম হন।

    অশান্তি চলেছিল আরও কয়েকদিন

    এই ঘটনার পরদিন এবং তারপর তিনদিন ধরে এই অশান্তি বজায় থাকে। দফায় দফায় হামলা এবং পাল্টা হামলা চলতে থাকে ফ্ল্যাটে, বাড়িতে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই গন্ডগোল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নির্ধারিত রুট দিয়ে মিছিল না যাওয়ার কারণে এবং পুলিশি অনুমোদন না থাকার কারণে এই অশান্তি বাধে। অন্যদিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের কাছ থেকে যে অনুমোদন নিয়েছি্লেন, তার প্রমাণ দেখান, এমনকী মিছিলের ওপর সংগঠিত হামলা বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, মিছিলের রুট বদল করা হয়নি, প্রতি বছরের মতো একই সময়ে একই রুটে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু মিছিল একটু এগোতেই মিছিলের উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে শিবপুর থানার পুলিশ। পরে সেই তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় এনআইএকে। এই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার এলাকায় এল এনআইএর (NIA) প্রতিনিধি দল। বাসিন্দাদের আশা, তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    NIA: বিজেপির রামনবমীর মিছিলে হামলা, রিষড়ায় তদন্তে এল এনআইএ-র টিম

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: এনআইএ-র টিম রিষড়ায়। গত ২ এপ্রিল রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে প্রবল গন্ডগোল হয় রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায়। অবশেষে সোমবার রাতে এনআইএ-র চার সদস্যের একটি টিম রিষড়া থানায় এসে ওই মামলার সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাপারে চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, চারজন কেন্দ্রীয় এজেন্সির (NIA) অফিসার রিষড়া থানায় আসেন গতকাল রাতে। তাঁরা নিজেদের এনআইএ-র অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। মূলত রিষড়ার গন্ডগোলের তদন্তে এসেছিলেন। তাঁদেরকে যথাযথ সাহায্য করা হয়েছে।

    কী ঘটেছিল সেদিন?

    হাওড়ার শিবপুরেও এধরনের গন্ডগোল হয়েছিল। তারপর রিষড়া। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া এলাকা। সেদিন ওই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিধায়ক বিমান ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন বিজেপির নেতা। মিছিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই গোলমাল বেধে যায়। ওয়েলিংটন জুটমিলের সামনে চারবাতির মোড়ে জিটি রোডের মিছিল যেতেই মিছিলের ওপর ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। এলাকা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জিটি রোডের ওপর জায়গায় জায়গায় আগুন ধরানো হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে চন্দননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে চলে আসেন চন্দননগরের কমিশনার অমিত পি জাভালগি। কোন্নগর থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত জিটি রোড ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রাত সাড়ে ন’টার পর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে।

    কীভাবে এল এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ? 

    সেদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরের দিন রাতে রিষড়া রেল গেটের কাছে পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। লেভেল ক্রসিং আটকে পুলিশের গাড়ি জ্বালানো হয়। রিষড়া স্টেশনে আটকে যায় একাধিক ট্রেন। স্তব্ধ হয়ে যায় হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন লাইন। আক্রান্ত হন ট্রেনের প্যাসেঞ্জাররাও। সেই পরিস্থিতি গভীর রাতে স্বাভাবিক হয় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে। পরের দিন রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা সরজমিনে ঘুরে দেখেন। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়। বিষয়টি আদালত অবধি গড়ায়। আদালত রিষড়া, শিবপুর, ডালখোলার ঘটনা নিয়ে এনআইএ-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এরপর হাইকোর্টের ওই অর্ডারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু, মামলা, প্রতি মামলার ভিতরে অনেক মাস কেটে গেলেও এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ খারিজ হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share