Tag: Ram Navami

Ram Navami

  • Ram Navami 2024: সফলভাবে সম্পন্ন ট্রায়াল, রাম নবমীর দ্বিপ্রহরে রামলালার সূর্যাভিষেক

    Ram Navami 2024: সফলভাবে সম্পন্ন ট্রায়াল, রাম নবমীর দ্বিপ্রহরে রামলালার সূর্যাভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন দুপুর বেলায় সূর্য রশ্মির তিলকে সেজে উঠবেন রামলালা। ১৭ এপ্রিল ঠিক দুপুর ১২:১৬ থেকে ১২:২১ পর্যন্ত সূর্য রশ্মি তিলক এঁকে দেবে রামলালার কপালে। ঠিক তারই আগে গত ১২ এপ্রিল দারুণ ভাবে সফল হল রামলালার কপালে সূর্য তিলকের ট্রায়াল রান। সম্ভব করলেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে সূর্য তিলকের ট্রায়াল রানের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সূর্য তিলকের এই ছবি শেয়ার করেছেন।

    কী বলছেন রাম মন্দির নির্মাণ সমিতির চেয়ারম্যান

    রামলালার সূর্য তিলক-এর প্রসঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণ (Ram Navami 2024) সমিতির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা অভ্যাস করেছি ভগবান রামের কপালে দুপুর ১২টা ১৬ থেকে ৫ মিনিটের জন্য কিভাবে সূর্যরশ্মির তিলক এঁকে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছি। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা এবং বিজ্ঞানীরা একসঙ্গে কাজ করছেন সূর্য তিলক অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।’’ রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সূত্রে খবর, সূর্য তিলক এর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল মন্দির নির্মাণের কাল থেকেই।

    অযোধ্যায় একশোর বেশি স্থানে সম্প্রচারিত হবে অনুষ্ঠান 

    প্রতিবছর রাম নবমী (Ram Navami 2024) একই তারিখে পড়ে না। তাই আলাদা আলাদা সময়ে সূর্যের অবস্থান খানিকটা বদলে যায়। প্রতিবছর যে বিজ্ঞানীদের সূর্য তিলক অনুষ্ঠান করতে আলাদাভাবে ভাবতে হবে এ কথা বলাই যায়। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যেই বিশেষ ‘অপটো মেকানিক্যাল সিস্টেম’ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে সামিল হয়েছেন আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরাও। সূর্য তিলক অনুষ্ঠানে অযোধ্যায় ১০০-এরও বেশি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনে বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূর্য তিলক অনুষ্ঠানকে (Ram Navami 2024) সফল করতে বিজ্ঞানীরা সৌর্য এবং চন্দ্র ক্যালেন্ডার অধ্যয়ন করেছেন এবং সেই মোতাবেক গণনাও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল’, তোপ মোদির

    Narendra Modi: ‘রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল’, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল।” মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে জনসভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “রাম নবমী গুরুত্বপূর্ণ, নববর্ষও গুরুত্বপূর্ণ, আর নবরাত্রিও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রথম রাম নবমী, যেখানে অযোধ্যায় রামলালা বিরাজমান। আমি জানি, তৃণমূল প্রত্যেকবারের মতো এখানে রাম নবমী আটকানোর জন্য সব ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু জয় সত্যেরই হয়েছে। এই কারণে আদালতের থেকে অনুমতি মিলেছে। কাল রাম নবমীর শোভাযাত্রা বের হবে।”

    সন্ত্রাসবাদীদের দমন চলছে (Narendra Modi)

    এদিন মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের দমন চলছে, চলবে। দেশবাসীর সাহস মোদির গ্যারান্টি। আরও একবার মোদি সরকার। পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিন। বিজেপিকে জয়ী করুন। হেলিকপ্টার থেকে নামার সময়ে দেখছি, চর্তুদিকে মানুষ। মা-বোনেদের আশীর্বাদ বলছে, বাংলায় জিত বিকাশেরই হবে। চার জুন চারশো পার। দেশের লক্ষ্য গ্যারান্টি মোদির, আরও একবার মোদি সরকার। পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিন। বিজেপিকে জয়ী করুন। ২ দিন আগেই পয়লা বৈশাখের দিন আমাদের সংকল্পপত্র দেশের সামনে রেখেছে। সেখানে মোদি আগামী ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়েছে। গরিবদের জন্য ৩ কোটি নতুন বাড়ি বানানো হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি। বিনামূ্ল্যে বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল, বিদ্যুতের বিল জিরো হয়ে যাবে, বিনা পয়সায় রেশন, এই সব মোদির গ্যারান্টি।”

    আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের প্রচার বন্ধ করার দাবিতে কমিশনের কাছে আর্জি সুকান্তর

    মোদির প্রকল্পে বাংলার সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “বাংলার গরিব, দলিত, আদিবাসী মহিলাদের কল্যাণ করবে বিজেপি। মোদির গ্যারান্টির কারণে তৃণমূলের লোক পাগল হয়ে যাচ্ছে। মোদির প্রকল্প বাংলার সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল বাধা দিচ্ছিল। কেন্দ্রের টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যেত। এবার মানুষের কাছে প্রকল্প পৌঁছানোর গ্যারান্টি মোদির। গরিব যখন এগিয়ে যাবে, তখন তো তৃণমূলের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। এই কারণে তৃণমূলের লোক এখন মিথ্যাচার করছে। মোদির গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণ করার গ্যারান্টি। বিজেপি আদিবাসী, দলিতদের সম্মানের জন্য লড়ছে। জনজাতি গৌরব দিবস পালন করে। আদিবাসী বাচ্চাদের জন্য ৮ লক্ষ একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় খুলেছে। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

    Ram Navami 2024: রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যের সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। উদ্যোক্তারা পরে শোভাযাত্রা বের করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রা করার অনুমতি পেলেন উদ্যোক্তারা। আদালতের নির্দেশে দুদিন শোভাযাত্রা হবে হাওড়ায়।

    কী নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট? (Ram Navami 2024)

    রামনবমীর (Ram Navami 2024) মিছিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জিটি রোড দিয়ে শোভাযাত্রার অনুমতি দিয়েছে সোমবার। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অঞ্জনিপুত্র সেনার পক্ষ থেকে কোর্টে আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেন বিচারপতি। ১৭ এপ্রিল রামনবমী দিন ও ২১ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তীর দিন শোভাযাত্রা বের করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরই রাম নবমীর শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু করে দিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শিবপুর কাজীপাড়া থেকে ২০০ ভক্ত জিটি রোড দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রা করতে পারবেন। আগামী ১৭ এপ্রিল শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় শোভাযাত্রা যাতে জিটি রোড দিয়ে যায় সে ব্যাপারে কোর্টের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “তোলাবাজ ভাইপোকে উত্তরসূরি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র এজেন্ডা মমতার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    উদ্যোক্তাদের কী বক্তব্য?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়া জেলার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট ১০০ লোক নিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami 2024) অনুমতি দিয়েছে। তবে, বেশি লোক হলে পুলিশের সাহায্যে বাকিদের ফরশোর রোড দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তা প্রশাসনকে জানানোও হয়েছে।” অঞ্জনিপুত্র সেনার তরফে সুরেন্দ্র বর্মা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টে আমাদের মামলার শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছে ১৭ তারিখ ও ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করতে পারবে। আমরা ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করব। প্রশাসন আদালতে বলে, একদিনে তারা দু’টো শোভাযাত্রা মেনটেন করতে পারবে না। আদালতই বলেছে তাহলে দু’দিন করে দিন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে রবিবার চেয়ে নিই। অবনী মল থেকে হাওড়া ময়দান অবধি আমাদের শোভাযাত্রা যাবে। ২০০ জন অঞ্জনিপুত্র সেনার সদস্য এই শোভাযাত্রা করবেন। বাইরের লোক থাকবেন না। এ নিয়ে আমরা জিটি রোড দিয়ে যেতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারে বিসর্জনে রাম গান বাজানোয় দুষ্কৃতীদের হামলা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবারে বিসর্জনে রাম গান বাজানোয় দুষ্কৃতীদের হামলা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) রক্ষাকালী পুজোর বিসর্জনের সময় রাম নামের গান বাজানোয় হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে রাম নবমীর আগে এই ধরনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    বিজেপির অভিযোগ (Diamond Harbour)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ডায়মন্ড হারবারের সরিষার (Diamond Harbour) কলাগাছিয়া এলাকায় গ্রামের বাসিন্দাদের তরফে রক্ষাকালী পুজোর আয়োজন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর সেই কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের (Kali Idol Immersion ) সময় দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করে। কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবক গেরুয়া জামা পরেছিলেন। বাজানো হচ্ছিল শ্রীরামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গান (Ram Song)। সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এরপর পুড়িয়ে দেওয়া হয় গেরুয়া গেঞ্জি। নিরঞ্জনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষকে বেধড়ক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করে পাল্টা ১১ জন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!

    এই ঘটনায় নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্য বিজেপি (BJP) পোস করে বলা হয়েছে, “পুলিশ ঘটনাস্থলে (Diamond Harbour) এলেও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে পুলিশ বিজেপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এগুলি পরিকল্পিত হামলার ছক। ভোটের কথা মাথায় রেখেই এগুলি করা হয়েছে।” উল্লেখ্য গতবারও রামনবমীর (ram navami) আগে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের না ধরে বেছে বেছে বিজেপি সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। নির্বাচনে যাতে ভাইপো (abhisekh banerjee) জেতেন তার জন্যই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১৭ এপ্রিল রামনবমী। সেদিনও রাজ্যে অশান্তির ছবি ধরা পড়বে বলে মনে করছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (amit malviya)। সেই সময় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (election commission) কাছে বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chaitra Navratri: শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতর তাৎপর্য

    Chaitra Navratri: শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতর তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরে চারবার নবরাত্রি আসে। এর মধ্যে দু’টি গুপ্ত। সে দু’টি পুজোর অধিকার কেবল সাধু-সন্ন্যাসীদের। বাকি দু’টি নবরাত্রি প্রকট। পুজো করতে পারেন গৃহীরাও। এই দুই নবরাত্রি হল শারদীয়া নবরাত্রি ও চৈত্র নবরাত্রি (Chaitra Navratri)। শারদীয়া নবরাত্রিতে হয় দুর্গাপুজো। এর আর এক নাম অকাল বোধন। আর চৈত্র নবরাত্রিতে হয় বাসন্তী পুজো। বাসন্তীপুজোর নিয়মকানুন সব দুর্গাপুজোর মতো হলেও, এই পুজোয় দেবীর বোধন হয় না। শারদীয়া নবরাত্রির গুরুত্ব চৈত্র নবরাত্রির চেয়ে বেশি। ওই সময় দেবীর পুজো করেছিলেন স্বয়ং রামচন্দ্র। রাবণ বধের উদ্দেশ্যে বিষ্ণুর এই অবতার দেবীর ঘুম ভাঙিয়ে ঘটা করে পুজো করেছিলেন মহাশক্তির। আর বসন্তকালে রাম বধের উদ্দেশ্যে দুর্গাপুজো করেছিলেন রাবণ।

    নবরাত্রি উৎসবে কাদের পুজো হয় জানেন? (Chaitra Navratri)

    এসব পুরাণগাথা বাদ দিয়ে ফিরে আসা যাক কাজের কথায়। নবরাত্রি ন’টি দিনের দুর্গাপুজো। পুজো শুরু (Chaitra Navratri) হয় প্রতিপদে, চলে নবমী পর্যন্ত। এই ন’দিনে দেবীর ন’টি ভিন্ন ভিন্ন রূপের পুজো হয়। মহাদেবীর এই ন’টি রূপ হল শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী। চৈত্রের এই নবরাত্রির নবম দিনে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ভগবান রাম। সেই থেকে এই দিনটি রামনবমী হিসেবে খ্যাত। চৈত্র নবরাত্রির অষ্টমী তিথিটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন পুজো হয় দেবী অন্নপূর্ণার।

    এবার কী কী যোগ রয়েছে জানেন?

    আজ, মঙ্গলবারই শুরু হয়েছে চলতি বছরের নবরাত্রি উৎসব (Chaitra Navratri)। হিন্দুদের বিশ্বাস, আজকের এই দিনেই শুরু হয়েছিল সৃষ্টি। পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল বলেন, “এবার চৈত্র নবরাত্রিতে তিরিশ বছর পর তৈরি হতে চলেছে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ, অমৃতসিদ্ধি যোগ ও বৈধৃতি যোগ।” দেশজুড়ে এদিন থেকেই শুরু হয়েছে নবরাত্রি উৎসব। হিন্দু-বিশ্বাস অনুযায়ী, চৈত্র শুক্লপক্ষের এই ন’টি রাত মনকে শুদ্ধ করার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মন শুদ্ধ না হলে জ্ঞানলাভ হয় না। আর জ্ঞানলাভ না হলে ইষ্টদেব অধরা থাকেন।

    গীতায় স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “ন হি জ্ঞানেন সদৃশ পবিত্রমিহ বিদ্যতে।” জ্ঞানের সদৃশ পবিত্র বস্তু আর ইহ জগতে নেই। নবরাত্রিতে পুজিতা হন দেবী মহাসরস্বতীও। জ্ঞানের এই দেবীর পুজোর জন্য বিশেষ তিনটি তিথিও রয়েছে। এই তিন তিথি হল অষ্টমী, নবমী ও দশমী।

    নবরাত্রিতে মহাসরস্বতীর পাশাপাশি পুজো হয় মহালক্ষ্মীরও। পুজো হয় চামুণ্ডারও। যিনি আদতে মহাকালীরই একটি রূপ। আসলে আদ্যাশক্তি মহামায়ার অনন্ত রূপের মধ্যে নবরাত্রি উৎসবে পুজো হয় মূলত তিন রূপের। দেবীর এই তিন রূপ হল মহালক্ষ্মী, মহাসরস্বতী এবং মহাকালী। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, চৈত্র নবরাত্রিতে (Chaitra Navratri) নিয়মনিষ্ঠা মেনে যাঁরা দেবীর ন’টি রূপের পুজো করেন, তাঁরা যা চান, দেবী তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন।

    শারদীয়া নবরাত্রিই হোক কিংবা চৈত্র নবরাত্রি এই দুই পর্বেই আদ্যাশক্তির বিভিন্ন রূপের পুজো হয়। প্রতিপদে মহাশক্তি পুজিত হন শৈলপুত্রী রূপে। দেবী ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের মূর্ত প্রতীক। দ্বিতীয়ায় দেবী পুজো পান ব্রহ্মচারিণী রূপে। পরমানন্দময় দেবী ভক্তদের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন। তিনি মোক্ষদাত্রীও। তৃতীয়ায় আদ্যাশক্তিকে পুজো করা হয় চন্দ্রঘণ্টা রূপে। অপার সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী ভক্তদের শান্তি-সমৃদ্ধি দেন। দেবী মহাশক্তির অধিকারী। তিনি বীরত্বের প্রতীক (Chaitra Navratri)। চতুর্থীতে পুজো হয় দেবী কুষ্মাণ্ডার। তিনি নিখিল এই বিশ্বের স্রষ্টা। পৃথ্বীকে শস্যশ্যামলা করে তুলেছিলেন তিনিই। নবরাত্রির পঞ্চম দিনে পুজো হয় স্কন্দমাতার। ভগবান কার্তিকের আর এক নাম স্কন্দ। তিনি কার্তিকের মা। বীরবিক্রমের কারণে এই কার্তিককেই দেব সেনাপতি পদে বরণ করে নিয়েছিলেন দেবতারা।

    ষষ্ঠীতে পুজো হয় দেবী কাত্যায়নীর। দেবী অসীম সাহসের অধিকারী। সপ্তমীতে পুজো হয় কালরাত্রির। তিনি নির্ভীক। দেবী কালরাত্রি দেবী দুর্গার সব চেয়ে উগ্র রূপ। অষ্টমীতে পুজো হয় মহাগৌরীর। এদিনই হয় অন্নপূর্ণা পুজোও। নবমীতে পুজো হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রীর। এদিনই পুজো হয় ভগবান রামেরও। দশমীতে হয় নবরাত্রি ব্রতের পারণ।

    এদিকে, নবরাত্রি উৎসব উপলক্ষে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। জম্মুতে বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরে ভক্তের ঢল। দিল্লিতে ঝান্ডাবালান মন্দিরে হয়েছে বিশেষ আরতি। রাজস্থানের জয়পুরের বৈষ্ণোমাতার মন্দিরেও নবরাত্রি উপলক্ষে হয়েছে বিশেষ পুজো। বারাণসীর অন্নপূর্ণা মন্দিরেও ব্যাপক ভিড়। অযোধ্যার বড়ি দেবকালী মাতার মন্দিরেও হয়েছে বিশেষ পুজো। প্রয়াগরাজের এলোপি মন্দিরেও হয়েছে বিশেষ পুজোপাঠ। প্রয়াগরাজের গঙ্গা-যমুনার সঙ্গমস্থলে পুণ্য কামনায় ডুব দিয়েছেন বহু ভক্ত (Chaitra Navratri)।

  • Ram Temple: রামনবমীতে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা, সামাল দিতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাম মন্দির ট্রাস্ট্রের

    Ram Temple: রামনবমীতে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা, সামাল দিতে গুচ্ছ সিদ্ধান্ত রাম মন্দির ট্রাস্ট্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ এপ্রিল রাম নবমী। তার আগে রয়েছে বাঙালির নববর্ষ। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শন করতে ভিড় করবেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। রাম নবমীর ভিড় সামাল দিতে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। শুক্রবার অযোধ্যার মণিরাম ছাবনিতে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাস্টের কর্তারা।

    প্রসার ভারতীতে অনুষ্ঠান সম্প্রচার (Ram Temple)

    রাম মন্দিরের অসমাপ্ত নির্মাণ কার্য নিয়েও হয়েছে আলোচনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি এবং অন্য সদস্যরা। বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রসার ভারতীর অনুষ্ঠান দেখানো হবে ১০০ এলইডি স্ক্রিনে। অযোধ্যা শহরজুড়েই বসানো হবে এই স্ক্রিনগুলি। রামনবমীর অনুষ্ঠানও প্রদর্শিত হবে ওই স্ক্রিনগুলিতে। মন্দিরের প্রথম তলে রাম দরবার নির্মাণের বিষয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে দেব-দর্শনের জন্য সাতটি লাইন করা হবে। এই লাইনগুলি দিয়েই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন।

    বাড়ছে দেব-দর্শনের সময়!

    দেব-দর্শনের সময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে (Ram Temple)। ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, “বর্তমানে মন্দির খোলা থাকে ১৪ ঘণ্টা। রাম নবমী উপলক্ষে সেটা বাড়িয়ে ২০ ঘণ্টা করা যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা চলছে। রামনবমীর দিন দর্শনার্থীরা প্রসাদ পাবেন। রামনবমীর অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে প্রসার ভারতীতে। অযোধ্যা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে ১০০টি এলইডি স্ক্রিন। রাম নবমীর অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হবে ওই স্ক্রিনগুলিতে।” রামনবমীর অনুষ্ঠান নিজের নিজের এলাকায় পালন করার পরামর্শও দেন চম্পত। তিনি বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় জমায়েত হবে কয়েক লাখ মানুষের। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে দেব-দর্শন করতে পারেন, তাই আমরা সাতটি লাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে চারটি লাইন রয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে যোগ হবে অতিরিক্ত তিনটি লাইন।”

    আরও পড়ুুন: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রখর গ্রীষ্মের জেরে ভক্তরা যাতে কষ্ট ভোগ না করেন, সেজন্য শেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মন্দির কমিটির তরফে। শেড নির্মাণ করা হবে বিড়লা ধর্মশালা থেকে রাম মন্দির মার্গ পর্যন্ত। এই শেডের নীচেই লাইন দিয়ে দাঁড়াবেন দর্শনার্থীরা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Ram Navami: জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ, আদালতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর শান্তিপূর্ণ রাম নবমীর মিছিলে হামলা চালিয়ে ছিল বহিরাগতরা। বিশেষ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। পর পরই দুবারই ওই সম্প্রদায়ের লোকজন রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিলে হামলা চালিয়ে অশান্ত করে তুলেছিল হাওড়া শহর। আর এসবের জন্য রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার হাওড়া শহরের জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল না হাওড়া সিটি পুলিশ। পুলিশ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা। অনুমতি না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল গত দুবছর? (Ram Navami)

    ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ এবং গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। শিবপুরের পিএম বস্তি এবং চওড়া বস্তি এলাকায় শোভাযাত্রা এগোনোর সময় পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি জি টি রোডের দু পাশে একাধিক দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট চালানোর ঘটনা ঘটে। একাধিক বাইক এবং গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। গতবার সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজ্য পুলিশের তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশে এনআইএ হাতে যায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বেশি পুলিশ মোতায়েন করে অশান্তি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে অন্য পদ্ধতি নিয়েছে হাওড়া পুলিশ।

    শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনে আপত্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ১৭ এপ্রিল রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। প্রতিবছরের মতো এবারেও শিবপুর কাজীপাড়ার কাছে নরসিংহ মন্দির থেকে জি টি রোড হয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, অঞ্জনি পুত্রসেনা এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠন। এ ব্যাপারে গত দুমাস ধরে তারা হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আগের রুটের তাদের লিখিত কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার রুট পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। শোভাযাত্রা জিটি রোড দিয়ে না গিয়ে ফরশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন দুশো জন অংশগ্রহণকারী ও চল্লিশ জন ভলান্টিয়ার ছাড়া কেউ থাকতে পারবে না শোভাযাত্রায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশের এই প্রস্তাব মানতে নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

    আরও পড়ুন: “হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল ধৃতরা”, আদালতে আর কী কী জানালো এনআইএ?

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

     বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়ার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, প্রতি বছর যে রুট দিয়ে যাওয়ার কথা, সেই রুট দিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami) অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তা দেওয়া হয়নি। আসলে মাত্র দুশো মিটার রাস্তায় ঝামেলা হয়। অথচ সেখানে শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ পুলিশ। উল্টে তাদের শোভাযাত্রায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেই পুলিশ ও সরকার এই নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁদের ফরশোর রোড দিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে যেতে বলছে। কিন্তু ওই রোড পুরোপুরি ফাঁকা। তাই তারা ওই রোড দিয়ে যাবেন না। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। আদালতের ওপর আমাদের আস্থা আছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রশাসন এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। যে কেউ হাইকোর্টে যেতে পারেন। তবে গত দুবছর গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে তার আশা বিচারপতিরাও গোটা ঘটনা বিবেচনা করে দেখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    Ram Navami: রামনবমীতে কী হবে? কী বলছেন অযোধ্যার রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রামনবমী (Ram Navami)। কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে অযোধ্যায়, রামলালাকে দর্শন করতে। রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানান, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় ভক্ত সমাগম হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। তিনি বলেন, “২৫ থেকে ৩০ লাখ ভক্ত আসবেন বলে আশা করছি। তাই ভাবছি কীভাবে পাঁচ বছরের রামলালাকে বেশিক্ষণ জাগিয়ে রাখা যায়। ভক্তরা তাঁদের এলাকায়ও রামনবমী উৎসব করতে পারেন।”

    কী বলছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ? (Ram Navami)

    দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রখর গ্রীষ্মে তপ্ত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা নগরীও। তাই ভক্তদের নিয়ে চিন্তিত রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “গরমই আমাদের সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বিশেষ করে তাঁরা যাতে খাদ্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান, তা আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। জলের সমস্যা হবে না। কিন্তু খাবারের ব্যবস্থা করা একটা চ্যালেঞ্জ। অযোধ্যায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত পদদলিত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। আশা করি, ভবিষ্যতেও ঘটবে (Ram Navami) না।” তিনি বলেন, “আমি দর্শকদের অনুরোধ করব, নিজের নিরাপত্তার কারণে রাম মন্দির পরিদর্শন করার সময় দলবদ্ধভাবে থাকুন। আগত ভক্তদের আমি সঙ্গে ছাতু আনার অনুরোধ করছি। ছাতু খেলে তাঁরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতিবাজরা এখন কারাগারের পিছনে”, মিরাটের জনসভায় বললেন মোদি

    রামনবমীর তাৎপর্য 

    চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিই হল রামনবমী। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিনই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার রাম। তাই এদিন রামের বিগ্রহ দর্শন করলে পুণ্য লাভ হয় বলে লোকবিশ্বাস। সেই কারণেই এদিন অযোধ্যায় ভিড় করবেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। এই ভক্তদের সামাল দেওয়াটাই মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ দিন কয়েক আগে প্রচণ্ড গরমে রামলালা দর্শনে এসে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন কয়েকজন ভক্ত। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষের চিন্তা আরও বেড়েছে। আরও একটি কারণে মন্দির কমিটির কপালে চিন্তার ভাঁজ। সেটি হল, এই বিপুল সংখ্যক ভক্তকে রামনবমীর দিনই বিগ্রহ দর্শন করতে দিতে হলে, মন্দিরের দ্বার খোলা রাখতে হবে ২৪ ঘণ্টাই। যেটা দেবতার পক্ষেও কষ্টকর বলে মনে করে মন্দির কমিটি। তাই কীভাবে আগত ভক্তরা এদিন রামলালার দর্শন করবেন, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে মন্দির কমিটি (Ram Navami)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    Ram Navami: ঠেলার নাম বাবাজি! ভোটের মুখে রামনবমীতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার রামনবমীতে (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা হল পশ্চিমবঙ্গে। শনিবারই নবান্ন এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের রামনবমী অনুষ্ঠিত হবে ১৭ এপ্রিল। ওই দিন জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে। অর্থাৎ স্কুল, কলেজ অফিস কাছারি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যেভাবে রামের নামে মেতেছে সারা দেশ, তাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ছুটি দিল মমতা সরকার।

    রামনবমীকে কেন্দ্র করে বাংলায় জনজোয়ার

    রামনবমীকে (Ram Navami) কেন্দ্র করে বাংলাতে জনজোয়ার বিগত বছরগুলোতেই দেখা গিয়েছিল। দলে দলে ভক্তরা রাস্তায় নেমে রামের নামে মেতে ওঠে। যুব সমাজ মাথায় গেরুয়া ফেট্টি পরে রাম গানে নাচতে থাকে। ২০১৮ সালে পাল্টা রাম নবমীর ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা একেবারেই ফ্লপ হয়ে যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। দেশজুড়ে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। উদ্বোধনের দিন দেশের অনেক রাজ্যেই ছুটির ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট সরকার। বিজেপি সমেত একাধিক সংগঠন সেসময় পশ্চিমবঙ্গেও ছুটির আবেদন করে। কিন্তু তা মানেনি তৃণমূল সরকার। পাল্টা তৃণমূলের তরফে ভেসে আসে নানা মন্তব্য। অবশেষে রামনবমীতে ছুটি দিতে বাধ্য হল তৃণমূল সরকার।

    কী বলছে বিজেপি? 

    এনিয়ে কটাক্ষ ভেসে এসেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টে। রামনবমীর (Ram Navami) ছুটি ঘোষণা নিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’’ শুভেন্দু লেখেন, ‘‘চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করল। আমি জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করল। জয় শ্রীরাম।’’ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share