Tag: Ram Navami

Ram Navami

  • Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। ঘটনার পর পরই হাওড়া সিটি পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছিল। এবার সিটি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার বুঝে নিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত? কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা? অন্য রুটে কেন ঢুকেছিল শোভাযাত্রা? কোন কোন পুলিশের ওপর কী কী দায়িত্ব ছিল? এই বিষয়গুলি মূলত সিআইডি খতিয়ে দেখবে।

    সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন? Ram Navami

    সিআইডি-র তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন আইজি সিআইডি (ওয়ান) বিশাল গর্গ ও ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) সুখেন্দু হীরা। শনিবার তাঁরা এলাকা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। স্টিল ছবির পাশাপাশি চলছে ভিডিওগ্রাফি। ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোট নিচ্ছেন সমস্ত কিছুর। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। হাওড়ায় বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তরফ থেকে একটি বিশেষ দলও শিবপুর এলাকায় আসার কথা। তারাও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট যাবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি দফতরের হাতে।

    গন্ডগোলের পর কেমন আছে শিবপুর? Ram Navami

    শনিবারও শিবপুরের একাধিক এলাকা থমথমে। পুলিশি টহলদারি এবং ধড়পাকড়ের মাঝেই সাধারণ জীবনে ফেরার চেষ্টায় স্থানীয় কাজিপাড়া। সেখানে বেশ কিছু দোকানপাটও খোলা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা কয়েকটি জায়গায় কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, এখনও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।  

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার? Ram Navami

    এদিন এলাকা ঘুরে দেখেন হাওড়া সদরের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় ৩৮ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় টহল চলছে মানুষের মধ্যে যাতে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তার চেষ্টা চলছে। সমস্ত মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।”

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Ram Navami

    এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল কীভাবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। তাঁর সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। সম্ভবত উনি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছি সুফল হবে। যারা ঝামেলা করেছে গ্রেপ্তার হবে।”

     

    শিবপুরের অশান্তিকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা যখন তুঙ্গে, তখন বিশেষ সেল খুলেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথা হয়। রাজ্যপাল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজভবন রিয়েল টাইম মনিটরিংয়ের জন্য স্পেশাল সেল খুলেছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপই করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলা সম্পর্কে খোঁজ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ফোন করে খোঁজ নেন তিনি। হাওড়ার পুরো ঘটনা এবং প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে শাহকে অবহিত করেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ওঁকে জানিয়েছি। উনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। ওঁকে আমি এই বিষয়ে একটি চিঠিও পাঠাচ্ছি। যাতে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ হয় এবং তদন্ত হয়। যাঁরা উপযুক্ত দোষী, তাঁরা যেন শাস্তি পায়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তা আমি জানিয়েছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা ঘিরে অশান্তি…

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া শহরের একাংশ। শিবপুরের কাজিপাড়া এলাকায় পাল্টা হামলায় পোড়ে দোকানপাট। রাতে হয় পাল্টা ইটবৃষ্টি। ইটবৃষ্টি হয় শুক্রবার দুপুরেও। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সেখানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি প্রশাসন। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র‌্যাফ। খোলা হয়েছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। শুক্রবারও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তির ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: তিলজলা থানায় প্রহৃত এনসিপিসিআর কর্তা, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিজেপি

    এদিকে, হাওড়াকাণ্ডে (Ram Navami) এনআইএ তদন্ত ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি নিয়ে তিনি আবেদন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টেও। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, হাওড়া ও ডালখোলায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসা ও হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি আজ কলকাতার মাননীয় হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আমি এনআইএ তদন্তের জন্য প্রার্থনা করেছি। এবং এই ধরনের এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নিরীহ জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। মাননীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিআইএল নথিভুক্ত করার জন্য মঞ্জুর করেছেন এবং সোমবার তালিকার শীর্ষে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে কনভয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল যাচ্ছিলেন।  রাস্তাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম বলেছিলেন স্থানীয় দুই যুবক। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে তেড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের দিকে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ভাটপাড়ায়। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতেই এই দুটি ঘটনার সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। জয় শ্রীরাম ধ্বনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেন না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও হয়েছে অনেক । দলের সুপ্রিমো রাম নাম পছন্দ করেন না তো কী হয়েছে,   বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে চিত্কার করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুললেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন। সঙ্গে তিনি বিজেপি কর্মীদের ডেকে ডেকে কপালে গেরুয়া সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন। নিজেও গেরুয়া সিঁদুরে নিজের সিঁথি রাঙিয়ে তোলেন। অনেক বিজেপি কর্মী তাঁরসঙ্গে সেলফিও তোলেন। এক কথায়  রাম নবমী (Ram Navami) নিয়ে একেবারে অন্য দৃশ্য ধরা পড়ল বোলপুরে। যা দেখে সাধারণ মানুষও হতবাক। যদিও, দুপক্ষের যুক্তি রাজনীতির বাইরে গিয়ে উৎসবে মেতেছে সকলে।

    রাম নবমীর শোভাযাত্রায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Ram Navami

    গত কয়েক বছর ধরে রাম নবমী (Ram Navami)  উদযাপনকে হাতিয়ার করে শক্তিপরীক্ষা করে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতাদের উদ্যোগে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়েছে। পালটা শোভাযাত্রা বের করেছে তৃণমূল নেতারাও। তবে, অধিকাংশ জায়গায় পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু, বোলপুরে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রায় একসঙ্গে পা মেলালেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারা। গেরুয়া সিঁদুর খেলাতেও মাতলেন সকলে। বোলপুর রেল ময়দান থেকে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছিলেন। একই শোভাযাত্রায় ছিলেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ সহ তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা, ওমর শেখ, তৃণমূল বোলপুর শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউড়ি সহ অন্যান্য নেতারা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ” রামকে নিয়ে কোন সংকীর্ণতা চলে না। তাই সকলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সকলে অংশ নিয়েছেন। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

    বিজেপির সঙ্গে রাম নবমী পালন নিয়ে কী বললেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন? Ram Navami

    বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতো বিরোধ চলছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক ইডি-র সামনে বোলপুর  পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর নামে বিপুল পরিমাণ জমি কেনার কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। তারজন্যই কী ঘটা করে তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের এই রাম নাম প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “রাম সবার দেবতা। রাম নবমী (Ram Navami)  সবার উৎসব। এটা ছিল একটা সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটা কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে আমরা দেখিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ায়। শোভাযাত্রায় ছোড়া হল বোমা, পেট্রল বোমা। রাস্তার ধারের দোকান ভাঙচুর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল ফুটপাতের কয়েকটি দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ছিল রামনবমী। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে শোভাযাত্রায় আয়োজন করেছিল অঞ্জনীপুত্র সেনা। শোভাযাত্রা যখন কাজিপাড়া এলাকায় আসে তখন আচমকাই হামলা চালানো হয়। শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা, পেট্রল বোমা। বিয়ারের বোতল, কাচের বোতলও ছোড়া হয়। জখম হন প্রায় ১৫ জন।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি…

    ঘটনার জেরে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা তল্লাট। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অঞ্জনীপুত্র সেনারা। অভিযোগ, তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। আয়োজকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় যারা হামলা চালাল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

    অঞ্জনীপুত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুরেন্দ্র বাবা বলেন, প্রশাসনের সুবিধার্থে এদিন অঞ্জনীপুত্র সেনা, বিশ্বহিন্দু পরিষদ সহ ৪২টি সংগঠন এক সঙ্গে এই শোভাযাত্রা (Ram Navami) বের করে। পুলিশ প্রশাসনকে এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের সুরক্ষার জন্য আগাম জানানো হয়েছিল। যদিও গত বছরের মতো এবারও সন্ধ্যা বাজার এলাকায় মিছিল প্রবেশের পরেই হামলা হয়। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে কীসের সমস্যা আক্রমণকারীদের?

    আরও পড়ুুন: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    প্রসঙ্গত, গত বছরও এই সন্ধ্যাবাজার এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট ও কাচের বোতল ছোড়া হয়েছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিতায় এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন হাওড়া ময়দান ও শিবপুর সংলগ্ন এলাকায়ও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে। বিরাট পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ঘটনার জেরে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ। রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। সবার নিজের নিজের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু মিছিলের নামে একটাও মুসলিম এলাকায় হামলা হলে ছেড়ে কথা বলব না। এদিকে, এদিন হাওড়ার রামরাজাতলা এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনিই (মুখ্যমন্ত্রী) অশান্তির কারণ। এদিন গুজরাটের ভাদোদরার ফতেপুরার একটি শোভাযাত্রায়ও পাথর ছোড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: কেন রাম নবমী পালন করা হয় জানেন?

    Ram Navami: কেন রাম নবমী পালন করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চৈত্র নবমী রাম নবমী (Ram Navami) নামেও পরিচিত। সনাতন ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনটি ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার ভগবান শ্রী রামের জন্মদিন হিসেবেও পালিত হয়। পুরুষোত্তম প্রভু শ্রী রাম অযোধ্যায় রঘুকুলের রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার ঘরে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। এই পবিত্র দিন চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবম দিনে পড়ে। চৈত্র মাসে বাসন্তী পুজো হয়। বাসন্তী পুজোর নবমীতে উদযাপিত হয় রাম নবমী। সনাতন বিশ্বাস অনুসারে, রাম নবমীর দিন শ্রী রামের জন্ম হয়েছিল। রাম নবমী (Ram Navami) শ্রী রামের জন্মবার্ষিকী। তাই, এর বিশেষ ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। ওই দিন ভক্তরা শ্রীরামের পুজো দেন। আজ, বৃহস্পতিবার সেই শুভদিন। সারা দেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি পালন করবেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “ভগবান শ্রী রাম হলেন ভারতীয় সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক। তিনি আদর্শ রাজা, পুত্র, ভাই, স্বামী এবং বন্ধু। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, আমরা ভারতে তাঁকে একজন মানুষ আকাঙ্ক্ষা করতে পারে, এমন সব উৎকৃষ্ট গুণাবলীর প্রতিমূর্তি হিসেবে শ্রদ্ধা করে এসেছি। ভগবান শ্রী রাম সহস্র বছর ধরে ভারতীয় মূল্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। এই কারণেই মহাত্মা গান্ধী সুশাসন এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের ধারণা বর্ণনা করতে রাম রাজ্যকে রূপক ব্যবহার করেছিলেন।”

    রাম নবমী নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী ? Ram Navami

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার রাম নবমী (Ram Navami)  উপলক্ষে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে ভগবান রামের জীবন প্রতিটি যুগে মানবতার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রাম নবমীর (Ram Navami) শুভ উপলক্ষে সমস্ত দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।” তিনি আরও বলেন, ত্যাগ, তপস্যা, সংযম ও সংকল্পের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পুরুষোত্তম ভগবান রামচন্দ্রের জীবন প্রতিটি যুগে মানবতার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যে ২১০০ শোভাযাত্রা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের, অংশ নেবে বিজেপিও

    Ram Navami: রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যে ২১০০ শোভাযাত্রা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের, অংশ নেবে বিজেপিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ মার্চ রামনবমী (Ram Navami)। প্রতি বছরই রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তবে এবার দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। তাই ঘটা করেই রামনবমী পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অবশ্য রামনবমী পালন করা হবে না। তবে দলীয় কর্মীরা অংশ নেবেন রামনবমীর বিভিন্ন শোভাযাত্রায়। বিজেপির তরফে যে আলাদা করে কোনও শোভাযাত্রা কিংবা অনুষ্ঠান করা হবে না এবং দলীয় কর্মীরা যে অন্য সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, এক সপ্তাহ আগেই তা ঘোষণা করেছিল পদ্মশিবির।

    দক্ষিণবঙ্গে রামনবমী (Ram Navami)…

    জানা গিয়েছে, রামনবমী উপলক্ষে বাংলাজুড়ে প্রায় ২১০০ শোভাযাত্রার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মিডিয়া ইনচার্জ সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, ৩০ মার্চ রামনবমী উপলক্ষে দক্ষিণবঙ্গে ১৬০০-র বেশি শোভাযাত্রা হবে। ওই দিন থেকে হনুমান জয়ন্তী পর্যন্ত রাম মহোৎসবের কার্যক্রম চলবে। পরের বছর অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালা আসবেন। সাধারণ মানুষের আবেগ আছে। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৬০ বছর। রাম ও রাম রাজত্বের স্বপ্নের কথা বলা হবে বাংলার ঘরে ঘরে। পাশাপাশি থাকছে ক্যুইজ, যেমন খুশি সাজো কর্মসূচি। তিনি বলেন, প্রথাগতভাবে কোথাও কোথাও অস্ত্রমিছিলও (Ram Navami) হবে। ভোট রাজনীতির সঙ্গে যে এই অনুষ্ঠানের কোনও সম্পর্ক নেই, সে কথাও জানান সৌরিশ।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও হবে রামনবমীর শোভাযাত্রা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গের সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, উত্তরবঙ্গে রামনবমীতে ১১০টি শোভাযাত্রা হবে। শিলিগুড়িতে শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন ৪ লক্ষ মানুষ। ঈশ্বরপুর ও নকশালবাড়িতেও হবে বড় শোভাযাত্রা। তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় রামমন্দিরের ট্যাবলো, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, গো-মাতার ট্যাবলো থাকবে। তিনি জানান, উত্তরবঙ্গে অস্ত্র মিছিল হবে না। নিষেধ করা হয়েছে। দন্ড নিয়ে মিছিল হবে।

    আরও পড়ুুন: মোদি নন, আজ শাহি দরবারে বাংলার বিজেপি সাংসদরা, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হবে কথা?

    মাসখানেকের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যজুড়ে হবে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা। কারণ ২০১৮ সালের রামনবমীর শোভাযাত্রা হয়েছিল ঘটা করে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির আসন ২ থেকে বেড়ে হয়েছিল ১৮।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    Ram Navami: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবারও মহা সমারোহে রামনবমী (Ram Navami) উদযাপন করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। এজন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার শোভাযাত্রার পরিকল্পনা করেছে পদ্ম শিবির। চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৩০ মার্চ। ওই দিন জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বাংলা কাঁপিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রামনবমীতে রাজ্যে কীভাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে, তার জন্য অপেক্ষা করুন দুটি সপ্তাহ। রাজ্যে কয়েক হাজার মিছিলে ৪০-৫০ লক্ষ মানুষ গেরুয়া ঝান্ডা নিয়ে অংশ নেবেন। আলিপুরদুয়ার থেকে কাঁথি, কাকদ্বীপ থেকে পুরুলিয়া সর্বত্র জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠবে।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা…

    রাজ্যে রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা সেই অর্থে হত না। ২০১৮ সালে প্রথম রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করে বিজেপি। ওই বছর জেলায় জেলায় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। তার ফল ফলেছিল উনিশের লোকসভা নির্বাচনে। এ রাজ্যে এক লপ্তে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮। তার পর থেকে প্রতি বছর দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করে বিজেপি। এ বছরও হবে রামনবমীর শোভাযাত্রা। সনাতন পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, চৈত্র মাসকে হিন্দু নববর্ষের সূচনা বলে মনে করা হয়। এ মাসের শুক্লপক্ষে ন দিন ধরে মাতৃদেবীর পুজো করা হয়। নবম দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার হিসেবে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই কারণেই চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পালিত হয় রামনবমী।

    আরও পড়ুুন: ভারতের উত্থান অনেকের কাছে বিপদ! মোদি সরকারের দিশাকে সিলমোহর সঙ্ঘের

    এ বছর রামনবমী (Ram Navami) পালিত হবে ৩০ মার্চ। তার পরে পরেই রয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই হবে লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তার আগে রামনবমীর শোভাযাত্রা করে শক্তি যাচাই করে নিতে চাইছে বিজেপি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে যেমন পুরষোত্তম রামকে শ্রদ্ধা জানানো হবে, তেমনি এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা যাবে সনাতনীদের। যার সুফল ফলতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী লোকসভা নির্বাচনে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    Jahangirpuri: হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত PFI,  দাবি অভিযুক্তের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী সংঘর্ষের (Jahangirpuri violence) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল চক্রী মহম্মদ আনসার (Mohammad Ansar) সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের দাবি, ওই ঘটনায় মদত দিয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই (PFI)। 

    ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আনসার অত্যন্ত চতুর এবং সে নিজের সুবিধা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যদের ব্যবহার করে। আটক হওয়া ব্যক্তির আরও দাবি, PFI ও তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আসনারের। ওই ব্যক্তি আরও জানান, PFI-এর নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় আসনার। তাদের সঙ্গে ছবি তোলে, অর্থের বিনিময়ে সংগঠনের হয়ে প্রচার করে।

    গত ১৭ তারিখ, আনসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল চক্রী হল এই আনসার। বর্তমানে আনসার ও আরও ২ জন — গুলাম রসুল ওরফে গুল্লি এবং সলিম শেখ ওরফে সলিম চিখনার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে আনসারের নামে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা ও জুয়াচক্র চালানোর অভিযোগ অতীতে আসনারকে একাধিকবার প্রতিরোধমূলক হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। 

    অতীতে, একের পর এক বিবাদে জড়িয়েছে এই সংগঠনটি। PFI কর্মীদের বিরুদ্ধে খুন থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগসাজেশের অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে।  ২০১২ সালে, কেরল সরকার হাইকোর্টে বলেছিল যে PFI নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (SIMI) এর একটি নতুন রূপ ছাড়া কিছুই নয়। এমনকী, PFI কর্মীদের আল-কায়দা (Al Qaeda) এবং তালিবানের (Taliban) মতো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগও উঠেছে।

    ২ বছর আগে, সিএএ-এনআরসি (CAA-NRC)-র বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheenbagh) দীর্ঘদিন ধরে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ হোক বা হনুমান জয়ন্তী (hanuman jayanti) উপলক্ষে জাহাঙ্গীরপুরীতে (jahangirpuri) সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, প্রত্যেকটি ঘটনার নেপথ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) সর্বদা শিরোনামে চলে আসে। এর আগে কর্নাটকে (karnataka) হিজাব বিতর্কের (hijab row) সময়ে বিজেপি (BJP) এবং বেশ কিছু সংগঠন PFI-এর বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের (muslim students) উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। 

    PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইতিমধ্য়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের হাতে বেশ কিছু নথি এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে যে PFI বেশ কয়েকটি শহরে রামনবমী (Ram Navami) মিছিলের সময় পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home ministry) বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের একটি ডসিয়ার তৈরি করেছে এবং PFI-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। PFI-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কেন্দ্রকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। 

     

     

  • JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    JNU clash: ‘যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই সংঘর্ষ’, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের দাবি উড়িয়ে জানাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) দিন জেএনইউয়ে (JNU) দুই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বাম ছাত্র সংগঠনের আনা আমিষ খাবারে বাধা দেওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আমিষ নয়, যজ্ঞে বাধা দেওয়াতেই ঘটনার সূত্রপাত।

    বাম ছাত্র সংগঠের অভিযোগ ছিল, ক্যাম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের আমিষ খাওয়ার উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) ছাত্র সংগঠন শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। তার জেরেই বাকি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। 

    সেই ঘটনার প্রায় ২৪-ঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই কাবেরী ছাত্রাবাসের ভিতর যজ্ঞের আয়োজন করেছিল এবিভিপি। তাতে বাধাদেয় বামপন্থীরা। আর তার জেরেই নাকি ছড়ায় অশান্তি! যদিও কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ বামপন্থীরা (NSUI)।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার রবিকেশ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খাদ্যাভাস নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে যাঁর ইচ্ছা হবে, তিনিই আমিষ খাবার খেতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রামনবমীর ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, “১০ এপ্রিলে জেএনইউ ক্য়াম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রামনবমী উপলক্ষ্যে ক্য়াম্পাসের ভিতরেই কাবেরী ছাত্রাবাসে একটি যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। কিছু পড়ুয়া তাতে বাধা দেয়। তবে ওয়ার্ডেন এবং ডিনের সহযোগিতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায় এবং যজ্ঞ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়। কিন্তু, পড়ুয়াদের একাংশ এতে খুশি ছিল না। রাতের খাবার খাওয়ার সময় হলে তারাই ঝামেলা শুরু করে।”

    একইসঙ্গে, রবিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের খাদ্যাভ্য়াস এবং খাদ্যতালিকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানও স্পষ্ট করেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, “ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য ছাত্রদের নিজস্ব কমিটি রয়েছে। এরসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও সম্পর্ক নেই। খাদ্যতালিকা নিয়েও কর্তৃপক্ষের কিছু বলার নেই।”

    কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যারা রবিবারের সংঘর্ষের জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, এই ধরনের ঘটনার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার পর গভীর রাতে কাবেরী হস্টেলে যান উপাচার্য শান্তিশ্রী ধুলিপুডি পণ্ডিত-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকরা।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীতে আমিষ খাওয়া নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন। জেএনইউ বাম ছাত্র ইউনিয়নের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, ঘটনায় হস্টেলের মেস সেক্রটারিকেও মারধর করা হয়। 

    প্রসঙ্গত, মেস কমিটি পড়ুয়াদের ভোটেই নির্বাচিত হয়। তারা বিভিন্ন খাদ্যাভ্য়াসের আবাসিকদের জন্য মিলিয়ে মিশেয়ে বিভিন্ন পদের আয়েজন করে। রবিবার মাংস এবং পনীর দুই-ই ছিল খাদ্য তালিকায়। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ ছিল, এবিভিপি সদস্যরা তাঁদের আমিষ খেতে বাধা দেন।

    এবিভিপির তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয়, বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁদের উপর প্রথমে আক্রমণ চালায়। যজ্ঞে বাধা দেয়।  এই ঘটনায় রবি রাজ নামে তাঁদের এক সদস্য আহত হয়েছে। তাদের এই দাবিতেই মান্যতা দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

LinkedIn
Share