Tag: Ram Temple

Ram Temple

  • Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    Ayodhya Ram Mandir: ৯৪৪ কেজি রুপো দান! ৫ বছরে সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিল অযোধ্যার রাম মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী-রাম মাহাত্ম্যে ভক্তদের প্রাণকেন্দ্র এখন অযোধ্যা (Ayodhya Ram Mandir)। প্রতিদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামছে। বিশেষ বিশেষ দিনে তো জনসমুদ্র। দেশের কোষাগারকেও ভরিয়ে তুলছে রাম মন্দির। ধর্মীয় পর্যটনের উত্থানের জেরে বিগত ৫ বছরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট সরকারকে ৩৯৬ কোটি টাকা কর দিয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান চম্পত রাই সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন। এই অর্থ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এই ৪০০ কোটি টাকা করের মধ্যে ২৭০ কোটি টাকা জিএসটি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৩০ কোটি টাকা অন্যান্য কর (Ram Mandir Tax) হিসাবে দেওয়া হয়েছে। রামমন্দির ট্রাস্টের দাবি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল দ্বারা অডিট করা হিসাবই প্রকাশ করা হয়েছে।

    ভক্তদের ভিড় রাম মন্দিরে

    ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই রাম মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে। বড় বড় উৎসবে নামে অগুনতি পুণ্যার্থীর ঢল। গত বছর অযোধ্যা ১৬ কোটি দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন, যা রেকর্ড। যার মধ্যে ৫ কোটি রাম মন্দির পরিদর্শন করেছেন। রাম মন্দিরের ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই বলেন, “অযোধ্যায় ভক্ত ও পর্যটকদের সংখ্যা ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এটিকে একটি প্রধান ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকুম্ভের সময় ১.২৬ কোটি ভক্ত অযোধ্যায় এসেছিলেন।” তবে রাম মন্দির তৈরি হওয়ার আগেও কিন্তু বহু মানুষ গিয়েছিলেন রামলালার দর্শন করতে।

    রাম মন্দিরে নিয়মিত আয় ও কর প্রদান

    ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ayodhya Ram Mandir) গত পাঁচ বছরে রাম মন্দিরের নির্মাণের জন্য ২,১৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থ সরকারকে ট্যাক্স (Ram Mandir Tax) হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। এই অর্থ প্রধানত জনগণের দান, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য দাতাদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। মন্দিরের নির্মাণ শুরুর আগে ভারত সরকার মাত্র এক টাকা দান করেছিল। চম্পত রাই আরও জানান, গত পাঁচ বছরে ট্রাস্ট মোট ৩,৫০০ কোটি টাকা দান সংগ্রহ করেছে, যার ৬০ শতাংশই ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। গত পাঁচ বছরে, ট্রাস্ট সরকারী বিভাগগুলোকে ৩৯৬ কোটি টাকা ট্যাক্স প্রদান করেছে। এর মধ্যে ২৭২ কোটি টাকা জিএসটি হিসেবে, এবং ১৩০ কোটি টাকা বিভিন্ন ট্যাক্স ক্যাটেগরিতে প্রদান করা হয়েছে।

    আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা

    চম্পৎ রাই জানান, ট্রাস্ট রাজকীয় নির্মাণ সংস্থা (উত্তরপ্রদেশ রাজকীয় নির্মাণ নিগম)-কে  রাম কথা মিউজিয়ামের চারপাশে তিনটি গেট নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ট্রাস্ট সরকারী অ্যাকাউন্টে ৩৯ কোটি টাকা জমা করেছে, আর রয়্যালটি হিসেবে ১৪.৯০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ৭.৪০ কোটি টাকা শ্রম তহবিল হিসেবে বরাদ্দ করেছে। এছাড়া, ৪ কোটি টাকা বিমা পলিসির জন্য রাখা হয়েছে এবং রাম জন্মভূমি মানচিত্র অনুমোদন করার জন্য আয়োধ্যা বিকাশ প্রাধিকারণের জন্য ৫ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, ভক্তরা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টে ৯৪৪ কিলোগ্রাম রুপো দান করেছেন (যার ৯২ শতাংশ বিশুদ্ধ)। ভারত সরকারের মিন্টিং কর্পোরেশন প্রাপ্ত রুপো দিয়ে বিশাল রুপোর ইট তৈরি করেছে, যেগুলো ব্যাঙ্ক লকারে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে, চম্পত রায় এ তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি আরও জানান যে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। চম্পত রাই জানান, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট স্বচ্ছভাবে এই কর পরিশোধ করেছে। এই টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। তাঁদের আর্থিক লেনদেন ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) নিয়মিত পরীক্ষা করেও দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্ক অযোধ্যা

    ২০১৯ সালে যুগান্তকারী নির্দেশের পর ২০০০ সালে অযোধ্যায় রামলালার মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সেই কাজ করেছিলেন। এরপরই রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। এক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পুরোভাগে। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রখ্যাত সব সাধু, সন্ন্যাসী, দেশ বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট্যজন। হিন্দুদের বিশ্বাস, অযোধ্য়ায় মন্দিরের জায়গাতেই রামলালার জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে অযোধ্যা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ল্য়ান্ড-মার্কে পরিণত হয়েছে। রাম মন্দিরের দৌলতে ভরে উঠছে কোষাগার। এই মন্দির থেকে রাজস্ব এবং কর হিসেবে জমা পড়ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

  • Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    Ayodhya: মহাকুম্ভ শেষ, নেই বাড়তি চাপ, অযোধ্যার রামলালা দর্শনে চালু আগের সময়সূচিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ সম্পন্ন হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। মহা শিবরাত্রির দিন ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভ। চলেছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ে বিপুল সংখ্যক ভক্তের পা পড়ে রামনগরীতে। মহাকুম্ভে স্নান সেরে অযোধ্যায় রামলালার দর্শন করবেন- এই উদ্দেশে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শেষ হতেই ভিড় কমেছে অযোধ্যাতেও। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ যখন চলছিল, তখন অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকেই রাম মন্দির দর্শনের জন্য সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের মতোই করা হয়েছে সময়সূচী।

    রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং প্রশাসনের বৈঠক

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এবং অযোধ্যার (Ayodhya) প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনগুলিতে ব্যাপক ভক্তদের ভিড় হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Temple)। চাপ কমাতে দর্শনের সময়সূচিতে বদল করে রাম মন্দির ট্রাস্ট। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকত মন্দির। এরপর গতকাল সোমবার চালু করা হল আগের নিয়ম।

    ভোর ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে

    নতুন সময়সূচী অনুসারে, ব্রহ্ম মুহূর্তে ভোর ৪টায় মঙ্গল আরতির পর, স্নানের জন্য ৪:১৫ থেকে ৬টা পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এর পরে, সকাল ৬টায় শৃঙ্গার আরতি অনুষ্ঠিত হবে। তারপর সকাল ৬:৩০ থেকে দর্শন শুরু হবে চলবে সকাল ১১:৫০ পর্যন্ত। এরপর, ভোগের জন্য দুপুর পর্যন্ত দ্বার বন্ধ থাকবে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১২:৩০ পর্যন্ত আবার দর্শন শুরু হবে।

    দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কখন করা যাবে দর্শন (Ayodhya)

    রামলালার দুপুরের বিশ্রামের জন্য দুপুর ১২:৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকবে। দুপুর ১টা থেকে আবার দর্শন শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬:৫০ পর্যন্ত চলবে। এরপর সন্ধ্যা ৬:৫০ থেকে ৭টা পর্যন্ত বালভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৭টায় আরতির পর ফের দ্বার দর্শনের জন্য দরজা খোলা হবে। দরজা খোলা থাকবে রাত ৯:৪৫ পর্যন্ত। এরপর রাত ৯:৪৫ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাত্রিভোগের জন্য দরজা বন্ধ থাকবে এবং রাত ১০টায় শয়ন আরতি অনুষ্ঠিত হবে। আরতিতে অংশগ্রহণকারী দর্শনার্থীরা রাত ৯:৩০ থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন। রাত ১০টা ১৫ নাগাদ আরতি-পুজোর পর রামলালা শয়নে যাবেন। সকাল পর্যন্ত মন্দির (Ayodhya) বন্ধ থাকবে।

  • Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেদিন অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেদিনই সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশে।” কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, সংক্ষেপে আরএসএসের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এই দিনটি দেশের উচিত ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা। কারণ এই দেশ বহু শতাব্দী ধরে ‘পরচক্র’ (বহিঃ শত্রুর আক্রমণ)-এর মুখোমুখি হয়েছে।

    কী বললেন ভাগবত? (Mohan Bhagwat)

    গত বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন ছিল দ্বাদশী তিথি। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর সেই তিথি ছিল ১১ জানুয়ারি। সেদিনই পালিত হয় রামলালার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, “রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি। এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল ভারতের ‘স্ব’ কে জাগ্রত করতে, যাতে দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে।”

    জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার

    সোমবার ইন্দোরে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইকে “জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার” প্রদান করেন ভাগবত। তার পরেই দেন বক্তৃতা। সেখানেই তিনি বলেন, “গত বছর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় দেশে কোনও মতবিরোধ ছিল না।” পুরস্কার নেওয়ার পর রাই ঘোষণা করেন, তিনি তাঁর এই সম্মাননাটি রাম মন্দির আন্দোলনের সমস্ত পরিচিত ও অজ্ঞাত মানুষকে উৎসর্গ করছেন, যাঁরা উত্তরপ্রদেশের এই শহরে মহৎ রাম মন্দির নির্মাণে সহায়তা করেছেন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে রাই বলেন, “এই মন্দির জাতীয় গর্বের প্রতীক। তিনি এর নির্মাণে একটি মাধ্যম ছিলেন মাত্র (Mohan Bhagwat)।”

    আরও পড়ুন: নুরুল সেজেছিল নারায়ণ! অটো চালিয়ে বিলাসবহুল জীবন যাপনই ধরিয়ে দিল বাংলাদেশিকে

    প্রতি বছর ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ দেয় শ্রী অহল্যোৎসব সমিতি। বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই সংস্থার সভাপতি লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ভাষণ দিতে গিয়ে মহাজন বলেন, “ইন্দোর শহরে দেবী অহল্যাবাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি বৃহৎ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ তাঁর জীবন ও চরিত্রের সঙ্গে (RSS) পরিচিত হতে পারেন (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    Ayodhya Ram Temple: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি, অয্যোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রামলালার মূর্তির। সামনেই তার বর্ষপূর্তি। সেই দিনটা ধুমধাম করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ। সেজে উঠবে গোটা রামনগরী। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরে রামলালার মূর্তি অভিষেকের প্রথম বছর ভারতীয় সময় অনুসারে গণনা করে পালিত হবে।

    কীভাবে উদযাপন

    ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি, অযোধ্যা একটি ঐতিহাসিক এবং মহিমান্বিত উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে শ্রী রাম জান্মভূমি মন্দিরে শ্রী রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা (সংকৃতিতে consecration) এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করবেন। চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল রামলালার মূর্তিতে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে, পৌষ শুক্লা দ্বাদশী তিথি পড়েছে ১১ জানুয়ারি। এই দিনটিকেই ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসাবে পালন করা হবে। সেই উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি পূর্ণ থাকবে নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক উক্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায়।

    কী কী আয়োজন 

    মন্দির চত্বরের যজ্ঞ মন্ডপে হবে বিশাল মহাযজ্ঞ। যজ্ঞ চলাকালীন শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যদানী শাখার ৪০টি অধ্যায় থেকে ১৯৭৫টি মন্ত্র পাঠ হবে। পুজিত হবেন অগ্নিদেব। জপ করা হবে ১১টি বৈদিক মন্ত্র। সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে হোমের এই কাজ। যজ্ঞ চলাকালীন সময় এই সব মন্ত্রের সঙ্গেই জপ করা হবে শ্রী রাম মন্ত্রও। ৬ লক্ষ মন্ত্র জপ করা হবে। এছাড়াও রাম রক্ষা স্তোত্র, হনুমান চালিসা, পুরুষ সুক্ত, শ্রী সুক্ত, আদিত্য হৃদ্য স্তোত্র, অথর্বশীর্ষ সহ ইত্যাদি পাঠ করা হবে। এই প্রাচীন সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান কেবল পরিবেশকে পবিত্র করবে না, বরং দিনের অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য আধ্যাত্মিক মনোভাব সৃষ্টি করবে।

    রাগ-সঙ্গীতের আসর

    মন্দিরের দক্ষিণ দিকে প্রার্থনা কক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে রাগ সেবা। বসবে রাগ সঙ্গীতের আসর। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মন্দিরের কলিতে রামলালার সামনে অভিনন্দন গীতি পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয় তলে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী সংগীত মানস আবৃত্তির আয়োজন করা হবে। শ্রী রামচারিতমানসের সঙ্গীততালপূর্বক পাঠও সংগীতের সাথে শোনা যাবে, যা ভক্তদের শ্রী রামের জীবন এবং মহিমার এক নতুন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দেবে।

    আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক শক্তিই ধর্ম এবং সামাজিক উন্নতির ভিত্তি, দাবি বিশ্ব হিন্দু অর্থনৈতিক মঞ্চের

    অঙ্গদ টিলার বিশেষ অনুষ্ঠান

    অঙ্গদ টিলার ময়দানে দুপুর ২টো থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রামকথা এবং বিকাল সাড়ে ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে মানস বক্তৃতা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকছে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ১১ জানুয়ারী সকাল থেকে শুরু হবে ভগবান রামের প্রসাদ বিতরণ। অঙ্গদ টিলার সকল অনুষ্ঠানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বাধা থাকবে না। ভক্তরা কোনও বাধা ছাড়াই প্রসাদ খেতে পারবেন, অঙ্গদ টিলার অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন।

    রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে নতুন মন্দির 

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ঘটা করে অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করা হয়। তারপরই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের ফটক। উপছে পড়ে ভিড়। রামলালার মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবার রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে ৬টি মন্দির নির্মাণের ছবি প্রকাশ করেছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। মূল মন্দির চত্বরে এই ৬টি মন্দির হল, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, দুর্গা মন্দির, অন্নপূর্ণা মন্দির ও হনুমান মন্দির। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ই জানিয়েছিল যে, অযোধ্যায় আরও ১৩টি মন্দির নির্মাণ করা হবে। যে ১৩টি নতুন মন্দিরের মধ্যে ৬টি রামমন্দির প্রাঙ্গণের ভিতরে এবং ৭টি মন্দির চত্বরের বাইরে তৈরি করা হবে। রামমন্দিরের কাজ শেষ হওয়ার পর মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরে এই ৬টি মন্দিরের নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, শবরী দেবী এবং জটায়ুর মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    Ayodhya: রাম মন্দিরে হামলার হুমকি খালিস্তানপন্থী নেতা পান্নুনের, অযোধ্যায় জারি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত পান্নুনের (Pannun) হুমকির পরেই গোটা অযোধ্যায় (Ayodhya) ব্যাপক সর্তকতা জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কানাডার খালিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের নেতা পান্নুন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হুমকি দেন যে, আগামী ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে রাম মন্দিরে হামলা চালানো হবে। এরপরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। অযোধ্যা রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অযোধ্যা (Ayodhya) আগেই দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আধা সামরিক বাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত যে কোনও হামলার মোকাবিলা করার জন্য।’’

    ভিডিও বার্তা আসল নাকি নকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    তিনি (প্রবীণ কুমার) আরও বলেন, ‘‘পুলিশ তবুও পান্নুনের (Pannun) ওই হুমকি বার্তা আসল কী নকল তা খতিয়ে দেখছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এটিএস তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। যাদের খালিস্তানি যোগ ধরা পড়ে। এরা প্রত্যেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক চারদিন আগে অযোধ্যায় রেকি করতে এসেছিলে। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ।

    পান্নুনের ভিডিও বার্তা (Ayodhya)

    তবে শুধু রাম মন্দির (Ayodhya) নয়, দেশের একাধিক মন্দির উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ভিডিও বার্তায়। জানা গিয়েছে, কানাডার ব্রাম্পটনে এই ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। পান্নুনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘অযোধ্যার মাটি কাঁপিয়ে দেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি, কানাডায় একাধিক মন্দিরে খালিস্তানিরা হামলা করছে বলে অভিযোগ। সেখানকার বসবাসকারী হিন্দুদের পান্নুন এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এইসব ঘটনার মধ্যে যেন তাঁরা না জড়ান। একই সঙ্গে, কানাডায় বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    Ram Temple: কর্মীর সঙ্কট, অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুন মাসে। তবে জুনে কাজ শেষ হচ্ছে না। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “বর্তমানে আমাদের শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই মন্দির নির্মাণের কাজ পুরোপুরি শেষ হতে সময় লাগবে।”

    কর্মী-সঙ্কট (Ram Temple)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরটি নির্মাণে প্রায় ২০০ জন কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। কমিটি মন্দিরের প্রথম তলায় কিছু পাথর পরিবর্তনের পরিকল্পনাও করছে। তিনি বলেন, “প্রথম তলার কিছু পাথর দুর্বল ও পাতলা বলে মনে হচ্ছে। নতুন পাথর দিয়ে সেগুলি প্রতিস্থাপন করলে মন্দিরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় ৮.৫ লাখ ঘনফুট লাল বাঁশি পাহাড়পুর পাথর মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।”

    কাজ বাকি

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি (Ram Temple) এক বৈঠকে কমিটি অডিটোরিয়াম, সীমানা প্রাচীর তৈরি এবং প্রদক্ষিণ পথ-সহ অন্যান্য স্ট্রাকচার নির্মাণের কাজ কতদূর এগোল, তাও পর্যালোচনা করেছে। সূত্রের খবর, এখনও বাকি রয়েছে রাম দরবারের কাজ। সম্পূর্ণ হয়নি আশপাশের ছ’টি মন্দিরের মূর্তি তৈরির কাজও। মূর্তিগুলি আসবে জয়পুর থেকে। ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি অযোধ্যায় পৌঁছানোর কথা। রামলালার যে দুটি মূর্তি ট্রাস্ট গ্রহণ করেছে, সেগুলিও প্রতিষ্ঠিত হবে। মিশ্র বলেন, “শিল্পী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে সমস্ত মূর্তি বছর শেষের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবেও”, রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাফ জানাল ভারত

    তিনি জানান, মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে কবে বিগ্রহগুলি স্থাপন করা হবে, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। ব্যাপক ভিড়ের কারণে যে মন্দিরে সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশদ্বার বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। দৈনিক দর্শনার্থীর আগমন (Ayodhya) সংখ্যা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও চলছে আলোচনা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের রং গেরুয়া থেকে হলুদ 

    Ayodhya Ram Mandir: নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের পোশাকের রং গেরুয়া থেকে হলুদ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) পুরোহিতদের জন্য একগুচ্ছ নতুন নিয়ম আনল মন্দির কর্তৃপক্ষ। এত দিন মন্দিরের পুরোহিতেরা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। এ বার তাঁদের পরতে হবে হলুদ রঙের পোশাক। তবে কেবল রঙেই নয়, বদল আসছে পোশাকের ধরনেও। বুধবার পোশাকবিধি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এখন থেকে রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আর গর্ভগৃহে স্মার্টফোন নিয়ে যেতে পারবেন না।

    কেন নয়া পোশাক বিধি (Ayodhya Ram Mandir) 

    রাম মন্দির সূত্রে খবর, পুরোহিতদের মধ্যে যাতে অভিন্নতা বজায় থাকে এবং মন্দির (Ayodhya Ram Mandir) চত্বরে উপস্থিত অন্যান্যদের থেকে তাদের আলাদাভাবে চেনা যায়, তার জন্যই এই নয়া সিদ্ধান্ত। রাম মন্দিরের সহকারী পুরোহিত, সন্তোষ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, প্রধান পুরোহিত, চার সহকারী পুরোহিত এবং ২০ জন শিক্ষানবিশ পুরোহিত-সহ রাম মন্দিরের সকল পুরোহিতদেরই এখন থেকে মাথার বাঁধতে হবে হলুদ রঙের সাফা, পরতে হবে হলুদ রঙের চৌবন্দি এবং ধুতি। এর আগে, মন্দিরের অধিকাংশ পুরোহিতই গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। সন্তোষ কুমার তিওয়ারি বলেন, “কয়েকজন পুরোহিত এর আগেও হলুদ পোশাক পরে আসতেন, তবে এটা বাধ্যতামূলক ছিল না।” তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম অনুসারে পুরোহিতদের এমন পোশাক পরা উচিত, যা, প্রথমে মাথা গলাতে হয় এবং তারপর হাত গলাতে হয়। এই রীতি মেনেই নতুন পোশাক বিধি জারি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা, আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত বিরাট-রোহিতদের

    মন্দিরের ভিতরে ফোন নিষিদ্ধ (Ayodhya Ram Mandir) 

    এতদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) কেবল মাত্র পুরোহিতরাই স্মার্ট ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু এবার তাঁরাও সেটা করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে ৫ ঘণ্টার শিফটে কাজ করবেন সেখানকার কর্মীরা। এমনই জানানো হয়েছে নয়া নির্দেশিকায়। মন্দির কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে ঢুকতে পারবেন না কোনও পুরোহিত। সম্প্রতি মন্দিরের ভিতরের কিছু ছবি সমাজমাধ্যমে ‘ফাঁস’ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই ফোন নিয়ে কড়াকড়ির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুরোহিতদের কাজ শুরু হবে ভোর সাড়ে ৩টেয়। শেষ হবে রাত ১১টায়। পুরোহিতদের এক একটি দলকে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা মন্দিরের কাজে নিযুক্ত থাকতে হবে, বলে জানিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: ২০২৫ সালের মার্চে রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হবে, জানাল ট্রাস্ট

    Ram Temple: ২০২৫ সালের মার্চে রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হবে, জানাল ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। যখন প্রথম এবং দ্বিতীয় দলের কাজ সম্পূর্ণ হবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এবং ডিসেম্বরেই দুই তল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণ কমিটি। সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। তাঁর মতে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসে মন্দির সম্পূর্ণভাবে নির্মিত হয়ে যাবে।

    ১ কোটি ৭৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির দর্শন করেছেন

    জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজস্থান থেকে আনা মাকরানা মার্বেল পাথর। উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। সাংবাদিকদের সামনে নৃপেন্দ্র মিশ্র যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, গড়ে প্রতি দিন ১ লাখ করে ভক্তের পা পড়েছে অযোধ্যায়। এটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই। এর পাশাপাশি ভক্তদের জন্য ডিজিটাল গ্যালারি শুরু করার কথাও তিনি জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে তা শুরু হতে পারে। যেখানে রামকথা সিনেমা দেখানো হবে।

    মন্দিরের বিদ্যুতের লাইনগুলি বেয়ে জল ভিতরে চলে আসছে

    অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ত্রুটি নেই বলে দাবি করেছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। প্রসঙ্গত, বর্ষার শুরুতেই রামলালার গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে সোমবার জানান রাম মন্দিরের (Ram Temple) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার, অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র মঙ্গলবার বলেন, ‘‘রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে মানের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি। কিন্তু মন্দিরের বিদ্যুতের লাইনগুলি বেয়ে জল ভিতরে চলে আসছে। আর সেটাই চুঁইয়ে পড়ছে।’’  প্রধান পুরোহিত সোমবার বলেছিলেন, ‘‘প্রথম বৃষ্টিতেই রামলালার মূর্তি স্থাপন করা গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে। বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং কী ঘাটতি রয়েছে তা খুঁজে বার করে মেরামত উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    NCERT: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘৃণা এবং হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এসব বিষয়ে আলোকপাত করাও উচিত নয়।” কথাগুলি বললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান। প্রসঙ্গত, এনসিআরটির নয়া পাঠ্যপুস্তকে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বাবরি মসজিদ নামটির উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ। বইটিতে বাবরি মসজিদকে তিন গম্বুজওয়ালা কাঠামো বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। এহেন আবহে মুখ খুললেন এনসিইআরটির (NCERT) প্রধান দীনেশ প্রসাদ সাকলানি।

    শিক্ষায় সংস্কার (NCERT)

    তিনি বলেন, “আমরা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে শিক্ষা দেব যাতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে? সমাজে ঘৃণার সৃষ্টি করে বা ঘৃণার শিকার হয়? এটাই কি শিক্ষার উদ্দেশ্য?” তিনি বলেন, “আমাদের কি এই রকম ছোট বাচ্চাদের দাঙ্গা সম্পর্কে শেখানো উচিত…তারা যখন বড় হবে, তখন এটি সম্পর্কে এমনই জানতে পারবে। তাহলে স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে জানার দরকার কেন?” এনসিআরটির সিলেবাস অনুসরণ করা হয় ৩০ হাজার স্কুলে।

    এনসিইআরটি

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের অনুমোদিত এই সব স্কুলে ওই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের যে অভিযোগ বিরোধীরা করছেন, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন সাকলানি। তিনি বলেন, “শিশুরা বড় হওয়ার পর জানতে পারবে কী ঘটেছে, কেনই বা ঘটেছে। এই রদবদল নিয়ে সরব হওয়া একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যদি রাম মন্দির, বাবরি মসজিদ বা রাম জন্মভূমির পক্ষে রায় দিয়ে থাকে, তা কি আমাদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়? তাতে সমস্যা কী?”

    আরও পড়ুন: এবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও চালু হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দর্শন

    সাকলানি বলেন, “স্কুলের পাঠ্যবইয়ে দাঙ্গা নিয়ে কী শিক্ষা দেওয়া উচিত? আমরা পজিটিভ নাগরিক সৃষ্টি করতে চাইছি। হিংসা ও হতাশ ব্যক্তিত্ব তৈরি নয়। এর পরেই তিনি বলেন, আমাদের কী এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে করে সমাজে ঘৃণা ছড়ায় কিংবা আমাদের শিশুরা ঘৃণার শিকার হয় এটাই কি শিক্ষার লক্ষ্য (NCERT)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Mandir: উদ্বোধনের ৫ মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত, রাম মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না মোবাইল নিয়ে

    Ayodhya Ram Mandir: উদ্বোধনের ৫ মাসের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত, রাম মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না মোবাইল নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। তারপর থেকেই সেখানে ভক্তদের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে। তীর্থযাত্রীদের জন্য এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে জারি করা হল নিয়মবিধিও। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ও অযোধ্যা প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাম মন্দিরে মোবাইল নিয়ে কোনওভাবেই প্রবেশ করা যাবে না। অর্থাৎ উদ্বোধনের ৫ মাসের মাথায় রাম মন্দির চত্বরে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হল মোবাইল ফোনের ব্যবহার।

    কী জানাল তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট?

    প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভক্তদের সুবিধা ও মন্দিরের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের (Ayodhya Ram Mandir) সদস্য অনিল মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রত্যেকজনকেই এমন নিয়ম মেনে চলতে হবে। জানা গিয়েছে, মন্দির চত্বরে যে ক্লোক রুম রয়েছে সেখানেই মূল্যবান জিনিসপত্রের সঙ্গে মোবাইল ফোন জমা রেখে ঢুকতে হবে ভক্তদের। রামলালা দর্শনের পরে তাঁরা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে নিজেদের মোবাইল ফোন নিয়ে নিতে পারবেন।

    মন্দির সম্পূর্ণ হলে একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন ২৫ হাজার ভক্ত

    অন্যদিকে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) বাকি অংশের নির্মাণ কাজ এখনও চলছে। মন্দির চত্বর জুড়ে প্রায় ১৪ ফুটের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। আগেই জানানো হয়েছিল, রাম মন্দির চত্বরে আরও ছোট ছয়টি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এগুলিতে শিব থেকে হনুমানজি প্রতিষ্ঠিত হবেন। জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণভাবে রাম মন্দির নির্মাণ হয়ে গেলে একসঙ্গে প্রবেশ করতে পারবেন প্রায় ২৫ হাজার ভক্ত। রাম মন্দির তিন তলা বিশিষ্ট হতে চলেছে একথা আগেই জানিয়েছিলেন রাম মন্দিরের তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ ও ৪৪টি দরজা থাকবে। এর পাশাপাশি থাকবে পাঁচটি মন্ডপ। এগুলি হল, নৃত্য মন্ডপ, সভা মন্ডপ, রঙ্গ মন্ডপ, প্রার্থনা মন্ডপ ও কীর্তন মন্ডপ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share