Tag: Ram Temple

Ram Temple

  • Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় ফিরছেন রাম, পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য জায়গাগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পুরুষোত্তম। তিনি (Ram Temple) অবতার। দুষ্ট দমন করে শিষ্ট পালন করতেই তিনি ধারণ করেছিলেন পার্থিব দেহ। যে শরীর ধারণ করলে কষ্ট পায় জীব, সেই পঞ্চভৌতিক শরীর ধারণ করে দুঃখ-কষ্ট-বিরহ-দহনজ্বালা তিনি সয়েছেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো।

    ভগবান রাম

    ভারতভূমে প্রতিষ্ঠা করেছেন রামরাজ্য। তাই তিনি হয়েছেন মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই চরিত্রের পায়েই প্রণতি স্বীকার করেন আসমুদ্রহিমাচলবাসী। আবার নিছকই মহাকাব্যীয় কল্প-চরিত্র বলে গল্পকথা রটিয়ে দেয় অর্বাচিনের দল। এহেন মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জন্য তৈরি হয়েছে আস্ত একটি মন্দির। বানর সেনার সেতু বন্ধনের মতো যে মন্দির তৈরিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন তামাম ভারতবাসী। যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি, সোমবার প্রতিষ্ঠিত হবে তাঁর বালকরূপের প্রতিমূর্তি। রচনা হবে নয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসের সাক্ষী থাকবেন দেশ-বিদেশের হাজার আটেক মানুষ। তাঁরা সবাই (Ram Temple) যে ভক্ত, তা নন। তবে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম।

    পুরুষোত্তমের পদধূলি ধন্য ‘মহাভারত’

    এহেন অবতার পুরুষোত্তমের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে ‘মহাভারত’। অযোধ্যায় তিনি প্রকাশিত হন সেই কোন ইতিহাসের কালে। তারপর তাঁর দৃপ্ত পদচারণা অখণ্ড ভারতে। যে ভারতভূম ছিল তাঁর এক সময়ের লীলাভূমি, সেখানেই তিনি ছিলেন নিজ ভূমে পরদেশির মতো। তারপর সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আক্ষরিক অর্থেই এবার রাজপ্রাসাদে ঠাঁই পেতে চলেছেন ভগবান রাম।

    অযোধ্যা

    তাঁর শৈশবের লীলাভূমি অযোধ্যা (Ram Temple) এখন ফৈজাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই অযোধ্যায়ই কেটেছিল তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোর। পরে বিয়ে হয় তাঁর। সীতাকে বিয়ে করতে তিনি গিয়েছিলেন নেপালের জনকপুরে। পরে পিতা দশরথের প্রতিজ্ঞা পালনে তিনি হন বনবাসী। তাঁর সঙ্গ নেন স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণ। এর পর লঙ্কার রাবণ কর্তৃক অপহৃত হন সীতা।

    অশোকবন

    একদা রাজনন্দিনীর ঠাঁই হয় রাবণের অশোক বনে। বানর সেনার সহায়তায় সেখানে গিয়ে সীতাকে উদ্ধার করেন রাম। এজন্য তুমুল যুদ্ধ হয় লঙ্কায়। যে যুদ্ধে হত হন রাবণ। আসুরিক শক্তি অবনত হয় পুরুষোত্তম রামের পায়ে। সীতা এলিয়ার গ্রামের এই অশোক বনে রয়েছে সীতা আম্মার মন্দির।

    চিত্রকূট-পঞ্চবটী

    রামের (Ram Temple) পদধূলিতে ধন্য হয়েছে মধ্যপ্রদেশও। এখানে চিত্রকূট পাহাড়ের কাছে নদী তীরে লক্ষ্মণ তৈরি করেছিলেন কুটির। এখানেই রামের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ভাই ভরতের। এখান থেকেই রামের পাদুকা নিয়ে ভারত ফিরে যান অযোধ্যায়। নাসিকের পঞ্চবটী বনে রাম-সীতার বসবাসের জন্য কুটির তৈরি করেছিলেন লক্ষ্মণ। এখান থেকেই অপহৃত হন সীতা। অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীও ধন্য হয়েছে রামের পদধূলিতে। এখানেই সীতা চুরির ঘটনার কথা রাম জানতে পারেন ভক্ত জটায়ূর কাছে। এখানেই ডানা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন জটায়ূ। এখানেই শাপোদ্ধার হয় শবরীর, রামের অপেক্ষায় এক যুগ ধরে পাথর হয়ে পড়েছিলেন যিনি।

    আরও পড়ুুন: গোধরা গণহত্যায় হত ৫৮ করসেবকের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ অযোধ্যায়

    রামেশ্বরম

    তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম এবং ধনুষ্কোটিও রয়েছে রামের লীলাভূমির তালিকায়। ভক্ত হনুমান যখন সীতাকে অশোক বনে খুঁজে পেলেন, তখন রাম এই জায়গাটিতে একটি ধনুক পুঁতে রাখেন। সীতা উদ্ধারে লঙ্কায় যেতে বানর সেনার সাহায্যে এখানেই হয়েছিল সেতুবন্ধন। রাবণকে পরাস্ত করে দিভিরুমপোলা এলাকা থেকেই সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যার দিকে রওনা দেন রাম। শ্রীঙ্গভেরপুরে গঙ্গা পার হন রাম-লক্ষ্মণ-সীতা। গঙ্গা পেরিয়ে রাম-লক্ষ্মণ-সীতা পৌঁছান প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানেই ভরদ্বাজ ঋষির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রামের। পরে ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রাম চলে যান চিত্রকূট পর্বতের দিকে। রামটেক এখানে ঋষি অগস্ত্যর কাছে ব্রহ্মাস্ত্রের বিষয়ে জানেন রাম।

    দণ্ডকারণ্য

    সেখান থেকে তাঁরা চলে যান ছত্তিশগড়ের দণ্ডকারণ্যে। আশীর্বাদ নেন অত্রি ঋষির। তাঁর স্ত্রী অনসূয়া সীতার হাতে তুলে দেন তাঁর হারানো গয়নার কয়েকটি। দণ্ডকারণ্যের পর তাঁরা যান কর্নাটকের কিষ্কিন্ধ্যায়। এখানেই রাম-লক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বালি ও সুগ্রীবের। কিষ্কিন্ধ্যার হৃত সাম্রাজ্য ফেরত পেতে সুগ্রীবকে সাহায্যও করেছিলেন রাম। লঙ্কায় যাওয়ার যে সেতু তৈরি করা হয়েছিল, সেই সেতু রাম সেতু নামে পরিচিত। ভান্ডারদারা, তুলজাপুর, সুরিবানা, কোপ্পালের ধুলোয়ও রয়েছে মর্যাদা পুরুষোত্তমের পদচিহ্ন। তিরুচিরাপল্লি, রামপদ এবং রামনাথপূরম ধন্য হয়েছে তাঁর পদধূলিতে।  সুভেলায় সেনাদের একত্রিত করেছিলেন রাম।

    আলাইমান্নার

    শ্রীলঙ্কায় রয়েছে আলাইমান্নার সমুদ্র সৈকত। এখানেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল রাম-রাবণের। ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে এই জায়গায়ই দশানন বধ করেন রাম। দুষ্ট দমন শেষে শিষ্ট পালন করতে পুরুষোত্তম অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন রামরাজ্য। সোমবার তাঁর শৈশব-বাল্য-কৈশোরের সেই লীলাভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত (Ram Temple) হবেন রামলালা। আবারও প্রতিষ্ঠা হবে রামরাজ্য। যে রাজ্যে সুখে কাল কাটাবেন ভারতবাসী। মন দেবেন রাম-নাম জপে। অস্ফুটে বলবেন, ‘মন জপ নাম…’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, ২২ তারিখ ছুটি দিল রিলায়েন্সও

    Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা, ২২ তারিখ ছুটি দিল রিলায়েন্সও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple)। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে গোটা দেশে। সেজন্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। এবার মন্দির উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণা করল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। রিলায়েন্সের সমস্ত বিভাগের কর্মীরাই এদিন ছুটি পাবেন। তাঁরা যাতে মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতে পারেন, তাই এই ছুটি।

    ছুটি ঘোষণা কোন কোন রাজ্যে?

    রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবে আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন পুরোহিতের একটি দল। প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। এদিন উত্তরপ্রদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মদের দোকান খোলায় জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্কুলেও। রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে ড্রাই ডে। ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে গোয়ার সমস্ত সরকারি স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে। ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ছত্তিশগড়েও। ছুটি দেওয়া হয়েছে হরিয়ানায়ও। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মদ বিক্রির ওপর। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বন্ধ থাকছে মহারাষ্ট্রের স্কুল-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে পশ্চিমবঙ্গে ওই দিন স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি খোলা থাকবে আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই।

    প্রস্তুতি-পর্ব দেখতে গেলেন যোগী    

    এদিকে, মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি-পর্ব চলছে জোরকদমে। মন্দিরে দেব বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠানটি হবে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। ইতিমধ্যেই সারা হয়েছে প্রস্তুতি। শুক্রবার প্রস্তুতি-পর্ব খতিয়ে দেখতে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানান, মহতি অনুষ্ঠানের সব কিছুই চলছে মসৃণ গতিতে।

    মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের সাত হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে ভিভিআইপি রয়েছেন তিন হাজার। তাঁদের থাকার জন্য বুক করা হয়েছে হোটেল। ব্যবস্থা করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দরও। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভ্যাগতদের দেওয়া হবে রাম (Ram Temple) জন্মভূমির মাটি। প্রসাদের পাশাপাশি দেওয়া হবে রাম মন্দিরের রেপ্লিকা।

    আরও পড়ুুন: “মুখ্যমন্ত্রীজি, এমনটা হয়েই থাকে”, সিদ্দারামাইয়াকে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: সাইবার নিরাপত্তাতেও জোর অযোধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঠাল বিশেষজ্ঞ দল

    Ram Mandir: সাইবার নিরাপত্তাতেও জোর অযোধ্যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পাঠাল বিশেষজ্ঞ দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধন হতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। আর আগে, অযোধ্যায় (Ram Mandir) একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলকে পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই দল সেখানে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে বলে জানা গিয়েছে। তার কারণ রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট শুরু হয়েছে। যে কোনও ধরনের সাইবার হুমকির মোকাবিলা করার কাজে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে এই দল। শুধুমাত্র পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা ড্রোনের মাধ্যমে নয়, তার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তার দিকটিও অযোধ্যায় গুরুত্ব সহকারে দেখছে সরকার। এতেই বোঝা যাচ্ছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি কত বড় মেগা ইভেন্ট হতে চলেছে।

    কারা কারা থাকছেন এই বিশেষজ্ঞ দলে

    জানা গিয়েছে, এই দলে রয়েছেন ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের অফিসাররা, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অফিসাররা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা এবং ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সাইবার বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন এই টিমে। সাইবার ক্রাইমের প্রতিটি পদক্ষেপেই কড়া নজরদারি রাখার জন্য তৈরি হয়েছে এই টিম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারই বলেছেন যে, সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিকে।

    বুধবার রামলালার মূর্তি এল মন্দির প্রাজ্ঞণে

    ২২ জানুয়ারির আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে অযোধ্যায়। বুধবারই ফুল দিয়ে সাজানো একটি ট্রাকে করে রামলালার মূর্তিকে (Ram Mandir) নিয়ে আসা হয়। রামলালার মূর্তি যে পথ দিয়ে আসে তার দু’ধারে রাস্তার জনগণ জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলতে থাকেন। মূর্তিটি ৫১ ইঞ্চি লম্বা বলে জানা গিয়েছে এবং তা তৈরি করেছেন মাইসুরুর শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। এই মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে ২২ জানুয়ারি। মূর্তিটি তৈরি করতে কর্নাটকের কৃষ্ণ শিলা ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তি যথেষ্ট আকর্ষণীয়। পাঁচ বছরের বালক রাম পদ্ম ফুলের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর এক হাতে একটি তীর এবং অপর হাতে একটি ধনুক রয়েছে।

    আমন্ত্রিত অতিথি ৭ হাজার

    প্রসঙ্গত প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ সম্পন্ন হবে। সেখানে দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ২১ জানুয়ারি অযোধ্যাতে (Ram Mandir) পা রাখবেন। ৭ হাজার খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব আমন্ত্রিত রয়েছেন রাম নগরীতে। যার মধ্যে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলি, বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানী সহ অন্যান্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী।” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথি। এই দিনই বাংলায় সম্প্রীতি মিছিলের আয়োজন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই কর্মসূচিকেই নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা

    তিনি বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ওঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বলে উনি কার্যত রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। উনি উসকানি দিচ্ছেন। চাইছেন, গোটা রাজ্যে ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিলের নামে যাতে সেদিন রাম নবমীর মতো গোটা রাজ্যে কোথাও কোথাও অশান্তি ও মানুষের জীবন থেকে শুরু করে ধন-সম্পত্তির ক্ষতি হোক। পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে এটা খুবই উদ্বেগের। তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও শাসকদলের মুখিয়া। তিনি এই ধরনের আগুন লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই উসকানি ছাড়া উনি ওঁর হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কিছুতেই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, এটা উনি ভালো করে জানেন।”

    ‘ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মুসলিমরা। তাই মুসলিমদরদি ভাবমূর্তি দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মনরেগা আর আবাস যোজনার টাকার দাবিতে রেড রোডে যে ধর্না দিয়েছিলেন, সেখান থেকে রাম নবমীর উসকানিদাতার নাম যদি কিছু থাকে, তাহলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উসকানিতেই রিষড়া, ডালখোলা ও শিবপুরের পিএম বস্তিতে দাঙ্গা হয়েছিল।” শুভেন্দু বলেন, “ওঁর কণ্ঠস্বর হায়দরাবাদের পাকিস্তানপ্রেমী নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি মহামান্য রাজ্যপালকে বলব, উনি অবিলম্বে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রকে জানান। রাম নবমী থেকে শুরু করে সিএএ-কে এনআরসির তকমা দিয়ে যেসব জায়গায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছিল, নূপুর শর্মা ইস্যুতেও যা হয়েছিল, সেই সব জায়গা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। ওই সব জায়গায় আধাসেনা মোতায়েন করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    Ram Mandir: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথ দেখার পাশাপাশি হবে কলা বেচাও! ব্যতিক্রম নয় অযোধ্যাও। ২২ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের এই শহরে হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হবে এদিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত হাজার জনকে। মন্দির উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে দেশে এক লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)-র সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল।

    অর্থনীতিতে প্রভাব

    সোমবার তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যে কেবল ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে, কেবল তা নয়, অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়বে। মানুষের ভগবৎ বিশ্বাসের কারণে দিন দিন কত নতুন নতুন ব্যবসা হচ্ছে দেশে। যার প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে।” তিনি জানান, দেশের ৩০টি শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এ খবর পাওয়া গিয়েছে। খাণ্ডেলওয়াল জানান, রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে সমাজের সর্বস্তরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তাই অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস মানুষ কিনবেন। আমজনতার এই চাহিদা পূরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।

    মন্দিরের মডেলের চাহিদা তুঙ্গে

    সিএআইটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাম মন্দিরের মডেলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশে মন্দিরের মডেল বিক্রি হবে পাঁচ কোটি। চাহিদা পূরণ করতে দিনরাত এক করে দেশের বহু শহরে কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা।” রাজধানীর দু’শোর বেশি বড় এবং ছোট বাজারে শ্রী রামের (Ram Mandir) ছবি আঁকা পতাকা বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই বিক্রি আরও বাড়বে। তিনি জানান, বাজারে শ্রী রাম পতাকা, ব্যানার, টুপি, টি-শার্ট এবং রাম মন্দির আঁকা কুর্তার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। অংশ নেবেন বৃন্দাবন ও জয়পুরের শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের আবেদন জানালেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, রাম মন্দির উদ্বোধন এবং গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হবে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। যদিও মূল ওই অনুষ্ঠানের আচার শুরু হয়ে গিয়েছে আজ, মঙ্গলবার থেকেই। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরের দিন থেকেই দেব দর্শন করতে পারবেন আমজনতা। মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা, ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০-৫৫ হাজার দেবভক্ত আসবেন রামরাজ্য অযোধ্যায়, চাক্ষুষ করবেন শিশু রামের অনিন্দ্যসুন্দর বিগ্রহ (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia Attack: “গেরুয়া রং দেখলেই রেগে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী”, পুরুলিয়াকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া সত্যেন্দ্রর

    Purulia Attack: “গেরুয়া রং দেখলেই রেগে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী”, পুরুলিয়াকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া সত্যেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখনই গেরুয়া রং দেখেন, তখনই রেগে যান।” পুরুলিয়াকাণ্ডে (Purulia Attack) প্রতিক্রিয়া অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের। এদিন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলার সরকারকে আক্রমণ শানান সত্যেন্দ্র।

    আক্রান্ত সাধু

    গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে পুরুলিয়ায় আক্রান্ত হন তিন সাধু। নাবালিকা অপহরণকারী বলে গুজব ছড়িয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাংলায় সাধু নিগ্রহের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় বিজেপি। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুসলমানদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল বলে কেউ তাঁকে নাম দিয়েছিল মুমতাজ খান। দেশের মধ্যে পশ্চিমবাংলায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত হন হিন্দুরা। রাম নবমী ও অন্যান্য ধর্মীয় মিছিলে হামলা হয়েছে।” তিনি বলেন, “যখনই মা দুর্গার পুজোর আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং মানুষ পুজো করতে যায়, তারপর সেই প্যান্ডেলগুলি নষ্ট করে ফেলা হয়।”

    কী বললেন সত্যেন্দ্র?

    রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বলেন (Purulia Attack), “মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের হামলায় প্ররোচনা দেন। তিনি গেরুয়া রং দেখে রেগে যান এবং এই কারণেই তিনি এই আক্রমণগুলি ঘটান…এই ঘটনাগুলি অত্যন্ত নিন্দনীয়।” পুরুলিয়ার এই ঘটনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের পালঘরের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছে বিজেপি। ২০২০ সালে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় দুই সন্ন্যাসীর। গণপ্রহারে জখম হয়েছিলেন তিনজন। সেক্ষেত্রেও সাধুদের বিরুদ্ধে শিশু চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিল। গড়চিঞ্চল গ্রামের ওই ঘটনায় মারের চোটে মৃত্যু হয় দুই সাধুর। জখম হলেও, পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন একজন।

    আরও পড়ুুন: পুরুলিয়ায় সাধুদের গণপিটুনির ঘটনায় মমতা সরকারকে তুলোধনা বঙ্গ বিজেপির

    পুরুলিয়ায় (Purulia Attack) সাধু নিগ্রহের কড়া সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। বাংলা সফরে এসে শনিবার তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষের ভালোর জন্য যে টাকা আসে, তা আত্মসাত করা হয়। এখানকার নেতা ও সরকার কাটমানির নামে বিখ্যাত। গরিব মানুষের উপকারের জন্য যে টাকা কেন্দ্র থেকে আসে, সেখান থেকেও কমিশন খাওয়ার চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি চরম সীমায়। যদি দুর্নীতি আটকানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে ইডি টিমের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মারধর করা হয়। দুর্নীতিগ্রস্তদের (Purulia Attack) শেল্টার দেওয়ার কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Ram Mandir Inauguration: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মরিশাস সরকারের

    Ram Mandir Inauguration: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মরিশাস সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন, মরিশাসের (Mauritius Government) হিন্দুদের জন্য বিশেষ ঘোষণা করল সেখানকার সরকার। সদ্য মরিসাস সরকার জানিয়েছে, সে দেশের সমস্ত হিন্দু নাগরিকরা আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালার (Ram Mandir Inauguration) প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ২ ঘণ্টার জন্য বিশেষ ছুটি পাবেন। কেবলমাত্র ভার্চুয়ালি অযোধ্যার উৎসবের সাক্ষী থাকাই নয়, স্থানীয় রাম মন্দিরে হওয়া অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারবেন মরিশাসের হিন্দুরা।

    ঐতিহাসিক-পবিত্র দিন

    মরিশাসের (Mauritius Government) প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগন্নাথ শুক্রবার এই মর্মে একটি ক্যাবিনেট বৈঠক করেন। এরপরই সরকারের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি জারি করা হয়। উল্লেখ করা হয়, আগামী ২২ জানুয়ারি হিন্দু নাগরিকদের জন্য দুপুর ২টো থেকে দু’ঘণ্টার জন্য বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘২২ জানুয়ারি ২০২৪ এ দুপুর দুটো থেকে দুই ঘণ্টার জন্য হিন্দু পাবলিক অফিসারদের প্রার্থনার জন্য বিশেষ ছুটি দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। ভারতে অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন.. যা শ্রী রামচন্দ্রের ঘরে ফেরাকে চিহ্নিত করে, তার প্রেক্ষিতে যাতে ওই কর্মীরা সেবা কাজ করতে পারেন, সেই জন্যই এই ছাড়।’ ২২ জানুয়ারি দিনটিকে ঐতিহাসিক এবং পবিত্র বলে উল্লেখ করেছেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘ভারতের অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ ভগবান রামের ঘরওয়াপসি।’ মরিশাস সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে, হিন্দু মন্দির এম্পাওয়ারমেন্ট কাউন্সিল। কাউন্সিলের তরফে তেজাল শাহ বলেছন, ‘এটা আমাদের ভাগ্য ও আশীর্বাদ যে, আমরা আমাদের স্বপ্নের মন্দিরের বাস্তবায়িত হওয়াটা দেখতে পাচ্ছি, কয়েক শতকের অপেক্ষার পর। ’

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা, রাম মন্দিরের দ্বারোদঘাটনে আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপতি

    প্রস্তুত অযোধ্যা

    রামলালার (Ram Mandir Inauguration) প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহের জন্য প্রস্তুত ভারত। সে ক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি, সোমবার কি দেশজুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে? এই নিয়ে জল্পনা চলছেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক রামভক্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে ২২ জানুয়ারি দিনটি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করার আর্জি রেখেছেন। উত্তর প্রদেশেই সরকারি ছুটি ঘোষণা করার সবচেয়ে বেশি আর্জি রয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে যোগী সরকারকে ট্যাগ করে ছুটির দাবি জানিয়েছেন একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন, সনাতনী সংস্কৃতির মানুষজনও। ছুটি ঘোষণার আর্জি রাখা হয়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সরকারের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: “একটা আধ্যাত্মিক স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে”, বললেন আডবাণী

    Ram Temple: “একটা আধ্যাত্মিক স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে”, বললেন আডবাণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা আধ্যাত্মিক স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।” অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের প্রাক্কালে কথাগুলি বললেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ওই দিনই গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার মূর্তির। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আডবাণীকে।

    কী বললেন আডবাণী

    অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এমতাবস্থায় লেখা হচ্ছে ভজন-গান-কবিতা। প্রকাশিত হচ্ছে নানা আর্টিকেলও। হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত রাষ্ট্রধর্ম নামে একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে আডবাণীর একটি আর্টিকেল। নাম, রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণ- একটি আধ্যাত্মিক স্বপ্নপূরণ। আডবাণীর এই বিবৃতিই প্রকাশিত হবে অন্য একটি ম্যাগাজিনে। সেটি প্রকাশিত হবে জানুয়ারির ১৬ তারিখে। এই ইস্যুটি বিলি করা হবে আমন্ত্রিতদের মধ্যে। এই আর্টিকেলে আডবাণী নিজেকে ‘সারথী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনিই বিতর্কিত রথযাত্রায় বেরিয়েছিলেন।

    ভগবান রামের আশীর্বাদ

    গুজরাটের সোমনাথে ফিরে এসেছিলেন ১৯৯০ সালে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি আশা করছিলেন রাম মন্দির সমস্ত ভারতীয়কে উদ্বুদ্ধ করবে। সবাই ভগবান রামের আশীর্বাদ পাবেন। তিনি বলেন, “আমরা বুঝিনি যে ভগবান রামের ওপর বিশ্বাস যা নিয়ে আমরা রথযাত্রা করেছিলাম, ক্রমে তা দেশে একটা আন্দোলনে পরিণত হবে।” ওই নিবন্ধে আদবানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কারণ দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে তাঁর জন্যই।

    প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ভগবান রামের একনিষ্ঠ ভক্ত বলে উল্লেখ করেছেন। যিনি তাঁর (রামের) মন্দির পুনর্নির্মাণ করেছেন। রথযাত্রায় আডবাণীর সঙ্গী ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও। ওই নিবন্ধে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রথযাত্রাকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সব চেয়ে ‘ডিসাইসিভ ও ট্রান্সফর্মেটিভ’ ঘটনা বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনা (রথযাত্রা) আমাকে ভারত ও স্বয়ং আমাকে পুনরাবিষ্কার করার সুযোগ দিয়েছিল।” 

    আরও পড়ুুন: চলুন ঘুরে আসি ভারতের ‘আধ্যাত্মিক রাজধানী’ বারাণসী

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর প্রথম দিকে রাম জন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে যিনি সামনের সারিতে ছিলেন, ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনিও। বিশ্বহিন্দু পরিষদের প্রেসিডেন্ট অলোক কুমার বলেন, “আডবাণীজি বলেছেন, তিনি আসবেন। প্রয়োজনে আমরা তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করব।” প্রসঙ্গত, বছর ছিয়ানব্বইয়ের আডবাণী বিজেপির (Ram Temple) অন্যতম ফাউন্ডার মেম্বার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও। বুধবার এ খবর জানান বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। এদিনই অলোক কুমারের সঙ্গে আডবাণীর বাসভবনে গিয়েছিলেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রবীণ বিজেপি নেতাকে।

    উপস্থিত থাকবেন আডবাণী

    অলোক কুমার জানান, যেহেতু প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আদবানি উপস্থিত থাকবেন, তাই তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে। ২২ তারিখে রাম মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার বিগ্রহের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। গর্ভগৃহে মূর্তিটি বসাবেন তিনিই। তার পরেই হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানটি ২২ তারিখে হলেও, তার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠান চলবে চার দিন ধরে 

    মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অক্ষত পুজোর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানের দিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে দুপুরের শুভক্ষণে। তার পরেই শুরু হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষ্ঠান। যদিও এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজো-পাঠ। এদিন রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজটি করবেন বারাণসীর পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত  অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোৎসব।

    আরও পড়ুুন: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজারই ভিআইপি। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সাধু-সন্তরাও। আমন্ত্রিতদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বুক করা হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার হোটেলগুলি। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরেরও। যেহেতু ২২ তারিখে প্রধান অনুষ্ঠান, তাই দেবভক্তরা বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ২৩ তারিখ থেকে। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে (Ram Temple) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সিপিএম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple Inauguration: তিন দশক ধরে মৌন! রামমন্দির উদ্বোধন হলেই কথা বলবেন সরস্বতী দেবী

    Ram Temple Inauguration: তিন দশক ধরে মৌন! রামমন্দির উদ্বোধন হলেই কথা বলবেন সরস্বতী দেবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দশক ধরে কথা বলেননি। প্রতিজ্ঞা ছিল স্বপ্ন সত্যি হলে তবেই মুখ খুলবেন। অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে ৮৫ বছরের সরস্বতী দেবীর। অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের (Ram Temple Inauguration)। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেদিন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংস হয়েছিল, সেদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য মৌনব্রত শুরু করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মধ্য পঞ্চাশের সরস্বতী দেবী। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হলে সেই ব্রত ভাঙবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে তাঁর। 

    অযোধ্যার ‘মৌনি মাতা’

    সোমবার রাতেই ধানবাদের বাসিন্দা সরস্বতী রওনা দিয়েছেন রামমন্দিরের উদ্দেশ। ২২ তারিখ ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন বলে। সরস্বতীর এক আত্মীয়ের কথায়, “মহন্ত নিত্যগোপাল দাসের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে উনি প্রায়ই অযোধ্যায় (Ayodhya) যেতেন। ৩০ বছর আগে জানিয়েছিলেন নিজের চোখে রামমন্দির দেখে তবেই মৌন ভাঙবেন। ২২ তারিখ তিনি মুখ খুলবেন।” অযোধ্যায় ‘মৌনি মাতা’ নামে পরিচিত সরস্বতী দেবী সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনে জটিল বাক্য লিখে বোঝাতেন। যদিও তিনি ‘মৌন ব্রত’ থেকে বিরতি নিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুরে এক ঘণ্টা করে কথা বলতেন। কিন্তু যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তারপর থেকে তিনি সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গিয়েছেন। অপেক্ষায় থেকেছেন মন্দির উদ্বোধনের।

    আরও পড়ুন: কোচবিহারে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, উদ্যোগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক

    রাম-নামেই সমর্পিত জীবন

    সরস্বতী দেবীর কনিষ্ঠ সন্তান ৫৫ বছর বয়সী হরে রাম আগরওয়াল জানান মন্দিরটি উদ্বোধনের দিন ঘোষণার পর থেকেই তাঁর  মা উচ্ছ্বসিত। সোমবার রাতে ধানবাদ রেল স্টেশন থেকে গঙ্গা-সুতলেজ এক্সপ্রেসে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। বাঘমারা ব্লকের ভৌরা এলাকার বাসিন্দা হরে রাম আরও জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর তাঁর মা নীরবতা ভাঙবেন। রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরস্বতী দেবীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসের শিষ্যরা। ১৯৮৬ সালে স্বামী দেবকীনন্দন আগরওয়ালের মৃত্যুর পর ভগবান রামের কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন সরস্বতী দেবী। তারপর থেকে অধিকাংশ সময় তীর্থ করেই জীবন অতিবাহিত করেছেন সরস্বতী দেবী৷ ২০০১ সালে নিজের সন্তানদের জন্য মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে সাত মাস তপস্যা করেছিলেন সরস্বতী দেবী৷ কথিত আছে, বনবাসের সময় চিত্রকূটে একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়েছিলেন রামচন্দ্র৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share