Tag: Ram

Ram

  • Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    Ram Temple: ২৫ কেজি সোনা-রুপোর গয়না, এক মাসে বালক রামের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধন হয়েছে মাস খানেক আগে। প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয়েছে বালক রামের। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ram Temple) মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পরের দিন থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে সর্ব সাধারণের জন্য। তার পর থেকেই ভক্তদের দানে উপচে পড়ছে মন্দিরের দান বাক্স।

    বালক রামের আয়

    জানা গিয়েছে, গত এক মাসে ভক্তরা দেবতাকে দিয়েছেন ২৫ কেজি সোনা ও রুপোর গয়না। নগদ প্রায় ২৫ কোটি টাকাও জমা হয়েছে দান বাক্সে। শনিবার মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে এ কথা। রাম মন্দির ট্রাস্টের অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্তা বলেন, “চেক, ড্রাফ্ট এবং নগদ মিলিয়ে মন্দিরের দানবাক্সে জমা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। তবে অনলাইনে মন্দিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা হয়েছে, তা জানা যায়নি।” তিনি জানান, জানুয়ারির ২৩ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত ৬০ লাখ ভক্ত দেব দর্শন করেছেন।

    কী বলছে মন্দির কমিটি?

    তিনি বলেন, “রামের (Ram Temple) ভক্তদের মধ্যে যাঁরা সোনা-রুপো দিচ্ছেন রামলালাকে, সেগুলি কখনওই রাম জন্মভূমি মন্দিরে ব্যবহার করা হয়নি। ভক্তরা বিগ্রহকে যেসব গয়না দিচ্ছেন, পুজোর বাসনকোসন এবং সোনা রুপোর তৈরি পুজোপকরণ দিচ্ছেন, সেগুলিই গ্রহণ করা হচ্ছে।” রাম নবমীর সময় ভক্তদের দান সামগ্রীর পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা মন্দির কমিটির। এই সময় অযোধ্যায় প্রায় ৫০ লাখ ভক্তের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মন্দিরের দানের টাকা গুণতে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে চারটি অটোমেটিক হাইটেক কাউন্টিং মেশিন বসানো হয়েছে রাম জন্মভূমি এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    প্রকাশ জানান, রাম মন্দির চত্বরে গণনা কক্ষ তৈরি করা হবে। মন্দির চত্বরে অতিরিক্ত দানবাক্সও রাখা হচ্ছে। থাকবে কম্পিউটারাইজড কাউন্টার। মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল মিশ্র জানান, রামলালাকে যেসব মূল্যবান উপহার দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টাঁকশালকে। ইতিমধ্যেই যে সব চেক, ড্রাফ্ট ও নগদ জমা পড়েছে, তা প্রতিদিন দুটি শিফ্টে গণনা করছে স্টেট ব্যাঙ্ক (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় জমি কেনার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী ভারতীয়দের, কেন জানেন?

    Ram Temple: অযোধ্যায় জমি কেনার আগ্রহ বাড়ছে প্রবাসী ভারতীয়দের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Temple)। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। দেব-দর্শনে ফি-দিন আসছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। স্বাভাবিকভাবেই খুলে গিয়েছে বিশাল বাজার। লোভনীয় এই বাজার ধরতেই মরিয়া বিশ্বের বিক্রেতারা। ক্রেতাদেরও গন্তব্য হয়ে উঠছে অযোধ্যা ধাম।

    ডেস্টিনেশন রামক্ষেত্র

    প্রবাসী ভারতীয়দের কাছেও এই মুহূর্তে প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠছে রামক্ষেত্র। ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ডে বসবাসকারী এমনই তিন প্রবাসী ৫ একর জমি কিনতে চেয়ে আবেদন করেছেন অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে। অযোধ্যায় জমি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরাও। ব্যবসায়ীদের এই আগ্রহের (Ram Temple) কারণ অযোধ্যাকে গ্লোবাল ডেস্টিনেশন বানানোর পরিকল্পনা। অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সম্পাদক সত্যেন্দ্র সিং বলেন, “তাইল্যান্ডের তিনজন আমার কাছে এসেছিলেন অন্তত পাঁচ একর জমি নেবেন বলে। হাউসিং ও ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে তাঁদের সেই আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”

    নব অযোধ্যা

    অযোধ্যায় (Ram Temple) জমির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আড়েবহরে বাড়ছে শহরও। যেহেতু মূল শহরে চাহিদা অনুযায়ী জমি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই যাঁরা জমি খুঁজচ্ছেন, তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নব অযোধ্যায়। এখানে জমি রয়েছে ১৪০৭ একর। আবাস বিকাশ পরিষদ উন্নয়ন করছে এই জমির। আবাস বিকাশ পরিষদের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পিকে সিং বলেন, “জমি বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম ও গাইডলাইন রয়েছে, সেগুলি যাতে ঠিকঠাক মেনে চলা হয়, তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আবেদনপত্রগুলি বিবেচনার ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা চলছে।”

    আরও পড়ুুন: বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রুখতে লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের হাতিয়ার এআই প্রযুক্তি

    আবাস বিকাশ পরিষদের সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “প্রাইভেট সেক্টর ও রিয়েল এস্টেট সেক্টর সক্রিয় রয়েছে। সরকারি প্রকল্পে যাঁরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সিংহভাগই বিদেশি। বিদেশিদের জমি পেতে গেলে দূতাবাসের মাধ্যমে উপযুক্ত ক্লিয়ারেন্স জোগাড় করতে হবে (Ram Temple:)।” জমি দেওয়ার ব্যাপারেও যথেষ্ঠ সতর্ক সরকারি আধিকারিকরা। যাঁরা আনঅথরাইজড কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জমি দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক অথরিটি। অযোধ্যা শহরটি গ্লোবাল ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক হাবে পরিণত হয়েছে। তাই এই শহরে যে কেবল তীর্থযাত্রীদের ভিড় বাড়ছে তা নয়, ভিড় বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতের সংবিধান রামরাজ্য থেকে অনুপ্রাণিত”, মন কি বাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ভারতের সংবিধান রামরাজ্য থেকে অনুপ্রাণিত”, মন কি বাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের সংবিধান রামরাজ্য থেকে অনুপ্রাণিত।” রবিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ছিল ‘মন কি বাতে’র ১০৯তম পর্ব। প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাতে’ উঠে এল অযোধ্যার রাম মন্দির, প্রজাতন্ত্র দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি, আসন্ন বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা এবং অবশ্যই লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ।

    লিভিং ডকুমেন্ট

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের সংবিধান অনেক চিন্তাভাবনা করে তৈরি করা হয়েছে। একে বলা হয় লিভিং ডকুমেন্ট। ভারতের সংবিধান রামরাজ্য থেকে অনুপ্রাণিত। সংবিধানের মূল অনুলিপির তৃতীয় অধ্যায়ে, ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি বর্ণনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “ভগবান রামের শাসনও সংবিধান প্রণেতাদের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।” এর পরেই তাঁর ‘মন কি বাতে’ উঠে আসে অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভগবান রাম সকল জাতির মানুষকে একত্রিত করেছেন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে এক অভিন্ন মালা গেঁথেছে। এদিন (২২ জানুয়ারি, মন্দির উদ্বোধনের দিন) বহু মানুষ রাম ভজনায় মেতে উঠেছিলেন। শ্রীরামের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল দিনটি। ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোটা দেশে রাম জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করে অকাল দীপাবলির উদযাপন হয়েছে। এদিন জাতি এক সম্মিলিত শক্তি প্রত্যক্ষ করেছে। উন্নত ভারতের অঙ্গীকারের ভিত্তিও গঠন করেছে।”

    নারী শক্তি প্রদর্শন

    নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নারী শক্তি প্রদর্শন সব চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। যখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও দিল্লি পুলিশের মহিলা দলের সদস্যরা কর্তব্য পথে কসরত দেখাচ্ছিলেন, তখন প্রত্যেকে গর্ব অনুভব করেছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেড় হাজারের মতো মেয়ে অংশ নিয়েছিল। অনেক মহিলা শিল্পীও ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র যেমন, শঙ্খ, নাদেস্বরম ও নাগাড়া বাজিয়েছেন।” তিনি বলেন, “এ বছর ভারতের সংবিধানের পঁচাত্তর বছর পূর্ণ হল। সুপ্রিম কোর্টেরও তাই।”

    আরও পড়ুুন: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেকের অনুভূতি এক। রাম সবার কথা। রাম সকলের হৃদয়ে। এই সময় দেশের প্রচুর মানুষ নিজেদের উৎসর্গ করেছেন রামের চরণে।” প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাতে’ উঠে এসেছে আর্য়ুবেদ চিকিৎসা পদ্ধতির কথা। হাজারেরও বেশি মানুষ মরণোত্তর অঙ্গদান করেছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: ভিড়ের নিরিখে ভ্যাটিকান সিটি এবং মক্কাকেও ছাপিয়ে যাবে অযোধ্যা!

    Ram Temple: ভিড়ের নিরিখে ভ্যাটিকান সিটি এবং মক্কাকেও ছাপিয়ে যাবে অযোধ্যা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরকে (Ram Temple) ঘিরে পর্যটকের আনোগোনা বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে। এমনিতেই ফি-বছর বহু পর্যটনপ্রেমী আসেন যোগী রাজ্যে। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে বালক রামের বিগ্রহের। তাই অযোধ্যায় নিত্যদিন বাড়ছে পর্যটকের ভিড়।

    বাড়তি আয় ৪ লাখ কোটি টাকা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এর জেরে চলতি বছর ৪ লাখ কোটি টাকা বাড়তি আয় হতে পারে বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্যের। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ২৫ হাজার কোটি টাকা আয় করবে রাজস্ব বাবদ। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অযোধ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ (রাজস্ব বাড়ার) হয়ে দাঁড়াবে। দেশ তো বটেই, বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও পর্যটক এবং ভক্তরা এ রাজ্যে আসবেন। এটা (এসবিআইয়ের রিপোর্ট) জানাচ্ছে, চলতি বছর উত্তরপ্রদেশ বাড়তি আয় করবে ৪ লাখ কোটি টাকা।

    কী বলছে জেফেরিজ?

    অযোধ্যার ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ফরেন স্টক মার্কেট রিসার্চ ফার্ম জেফরিজ। তাদের দাবি, ভক্তের (Ram Temple) ভিড়ের নিরিখে অযোধ্যা ছাপিয়ে যাবে ভ্যাটিকান সিটি (খ্রিস্টানদের পোপ এখানে বাস করেন। তাই পবিত্র।) এবং মক্কাকে (ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অতি পবিত্র স্থান)। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, আশা করা যাচ্ছে, অযোধ্যায় বছরে প্রায় ৫ কোটি পুণ্যার্থী আসবেন। এটি যে কেবল উত্তরপ্রদেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, গোটা দেশেরও, তাও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। সরযূ নদীর তীরের এই মন্দির শহর ক্রমেই গুরুত্ব পাচ্ছে পর্যটনপ্রেমীদের কাছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন

    নব প্রতিষ্ঠিত এই রাম মন্দিরে আসতে দর্শনার্থীরা যাতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হন, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে আস্ত একটি বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা ধাম রেল স্টেশনকেও। বন্দোবস্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধার। বাড়ানো হয়েছে সড়ক সংযোগ। প্রচুর হোটেলও গড়ে উঠেছে।

    অন্য একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় বালক রামকে দর্শন করতে প্রতিদিন আসবেন প্রায় এক লাখ পুণ্যার্থী। অন্ধ্রপ্রদেশের বালাজি মন্দির দর্শনে প্রতি বছর আসেন ২.৫ কোটি ভক্ত। এ বাবদ রাজ্যের রোজগার হয় ১২০০ কোটি টাকা। বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শনে ফি বছর যান ৮০ লাখ মানুষ। রাজ্যের আয় হয় ৫০০ কোটি টাকা। তাজমহল দর্শনে আসেন ৭০ লাখ পর্যটক। সরকারের আয় হয় ১০০ কোটি টাকা। আগরা দুর্গ দেখতে আসেন ৩০ লাখ মানুষ। রাজ কোষাগারে জমা পড়ে ২৭.৫ কোটি টাকা (Ram Temple)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    Ram Mandir: বিগ্রহের নাম ‘বালক রাম’, কী খাবেন, পরবেনই বা কী রামলালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামলালা নয়, এখন থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) অধিষ্টিত প্রভু রামের শিশুসুলভ অবতারের নাম রাখা হল ‘বালক রাম’। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় মানবশিশুর মতোই করতে হয় নামকরণ। 

    বালক রাম

    অযোধ্যাধিপতিরও নামকরণ হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত অরুণ দীক্ষিত। তিনি জানান, বিগ্রহের নাম রাখা হয়েছে ‘বালক রাম’। রামলালার বয়স যেহেতু পাঁচ, তাই সেটি দেখতে পাঁচ বছরের বালকের মতো। সেই কারণেই এমন নাম। প্রস্তর এই মূর্তির আগেও পুজো হত রামলালার। সেই মূর্তিটি রাখা হয়েছে নবপ্রতিষ্ঠিত মূর্তির সামনে। মন্দির পরিচালন কমিটিই জানিয়েছে, প্রতিদিন ছ’বার করে আরতি হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন যে আচারে পুজো হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার থেকে তা হচ্ছে না।

    আস্থম সেবা

    রামলালার পুরোহিতদের প্রশিক্ষক আচার্য মিথিলেশনন্দিনী শারণ বলেন, “এখন থেকে দিনের আট ঘণ্টা ধরে চলবে আস্থম সেবা। আরতি (Ram Mandir) হবে ছ’বার। রামলালা বিরাজমানের ক্ষেত্রে দু’বার আরতি হত। তবে এবার থেকে হবে ছ’বার। এই আরতিগুলির নাম হল মঙ্গল, শৃঙ্গার, ভোগ, উথাপন, সন্ধ্যা এবং শয়ন। রামলালাকে জাগাতে হবে মঙ্গল আরতি। পুজোর পর হবে শৃঙ্গার আরতি। পুরি-সবজি-ক্ষীর নিবেদনের পর হবে ভোগ আরতি। রামলালার চোখ থেকে বাজে জিনিস দূর করতে হবে উথাপন আরতি। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যায়। রাতের খাওয়া শেষে হবে শয়ন আরতি। পুরি-সবজির পাশাপাশি রামলালাকে নিবেদন করা হবে রাবড়ি, ক্ষীর, দুধ, ফল এবং পেড়া। দুপুরে রামলালার মেনু এই।

    আরও পড়ুুন: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    রামলালা রাজপুত্র। তাই পোশাক পরিকল্পনাও করা হয়েছে তার মতো করে। সোমবার তিনি পরবেন সাদা রঙের পোশাক। মঙ্গলবার লাল। বুধবার তাঁর শ্রীঅঙ্গে উঠবে সবুজ পোশাক। বৃহস্পতিবার হলুদ পোশাক। ঘিয়ে রংয়ের পোশাক পরবেন শুক্রবার। শনিবার তিনি সাজবেন নীল পোশাকে। রবিবার ভগবান সজ্জিত হবেন গোলাপি রংয়ের পোশাকে। বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনে রামলালা সাজবেন হলুদ পোশাকে। দীর্ঘ গবেষণা ও শাস্ত্র অধ্যয়ন করে গয়না তৈরি করা হয়েছে রামলালার। এজন্য শিল্পীকে পড়তে হয়েছে অধ্যাত্ম রামায়ন, বাল্মীকি রামায়ন, রামচরিত মানস এবং অলাবন্দার স্ত্রোস্ত্রম (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    Ram Mandir: পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী রামলালার শরীরের পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তর কুঁদে তৈরি হবে তাঁর মূর্তি। তাই শালগ্রাম শিলা যে পাথরের হয়, অযোধ্যায় ভগবান রামের মূর্তি গড়তে সেই পাথর পাঠানো হয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপাল থেকে। তবে মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে দেখা গেল, বারে বারে ফেটে যাচ্ছে সেই শিলা (Ram Mandir)। অগত্যা দেশীয় শিলা কুঁদেই তৈরি হল রামলালার মূর্তি।

    ‘রাম-শিলা’

    সোমবার মহা সমারোহে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হল সেই প্রস্তরমূর্তির। প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে যে মূর্তি শোভা পাচ্ছে, সেই ৫১ ইঞ্চির মূর্তি তৈরি হয়েছে বিশেষ ধরনের কালো গ্রানাইট পাথর থেকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ এই পাথর আনিয়েছিলেন কর্নাটক থেকে। যে শিলা থেকে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে ভগবান রামের বালক মূর্তি, সেই পাথর ২৫০ কোটি বছরের পুরানো। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনসস্টিটিউট অফ রক মেকানিক্সের ডিরেক্টর এইচএস ভেঙ্কটেশই জানাচ্ছেন শিলার বয়স। মূর্তি (Ram Mandir) খোদাইয়ের আগে এই প্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষা করা হয়েছিল শিলার বয়স। তখনই জানা যায় প্রস্তরখণ্ডটির প্রাচীনত্ব সম্পর্কে। ভেঙ্কটেশ বলেন, “এই পাথর দারুন টেকসই। জলবায়ুর পরিবর্তন সহনশীল। সাধারণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলেই হাজার বছর টিকে থাকবে।”

    রাম মন্দির

    যে মন্দিরে ২২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন ভাগবান রাম, সেই মন্দিরটিও তৈরি হয়েছে সব চেয়ে দামি পাথরে। আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের আয়ু বাড়াতে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বলেন, “মন্দিরের আয়ু যাতে হাজার বছর হয়, সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে।” বিগ্রহের পাথর আনা হয়েছে মাইসুরু জেলার জয়াপুরা হোবলি জেলা থেকে। ভারতের এই অঞ্চলেই মেলে সব চেয়ে উচ্চ মানের গ্রানাইট পাথর। পাথরটি প্রাক ক্যাম্ব্রিয়ান যুগের। চারশো কোটি বছর আগে সূচনা হয়েছিল যে যুগের।

    আরও পড়ুুন: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    ধরা হয় পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। প্রস্তর বিশেষজ্ঞদের মতে, যে শিলায় রামলালার মূর্তি খোদাই হয়েছে, সেটি পৃথিবীর অর্ধেক বয়সের ইতিহাসের সাক্ষী। পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ঘটে প্রায় ১.৪ কোটি বছর আগে। আর আজ যে মানুষ আমরা দেখছি, সেই হোমো সাপিয়েন্সের আবির্ভাব মাত্র তিন লক্ষ বছর আগে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে (Ram Mandir) প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল ৪০০ কোটি বছর আগে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    PM Modi: “আমাদের প্রভু রাম এলেন”, প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান শেষে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনগরী অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে (PM Modi) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠান শেষে মন্দির থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রভু রাম এলেন।” পরে এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে বক্তৃতা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মোহন ভাগবত।

    ‘ভগবান এলেন’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি গর্ভগৃহে ছিলাম। এই ঐশ্বরিক মুহূর্ত দেখে আবেগে আমার গলা ধরে আসছিল। এতদিনের অপেক্ষার পর ভগবান রাম আমাদের কাছে এলেন। মনে রাখবেন, আমাদের প্রভু রাম তাঁবুতে থাকবেন না। এতদিনে সেই অপেক্ষার অবসান হল। শুধু এ দেশের মানুষরা নন, গোটা পৃথিবীর রামভক্তরা আজ অনুষ্ঠানটি দেখছেন।” তিনি বলেন, “আমাদের নিশ্চিত কোনও একটা ত্রুটি ছিল। যাঁর জন্য প্রভু শ্রীরামকে অপেক্ষা করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের সেই অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছে। ২২ জানুয়ারি নতুন সূর্যের কিরণ এসেছে। হাজার হাজার বছর পরেও আজকের দিনের কথা আলোচিত হবে। আমি বিচার ব্যবস্থার কাছেও কৃতজ্ঞ। তাঁরা আইনের মান রেখেছেন।”

    তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন রামলালা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনে উৎসব পালিত হচ্ছে দেশের প্রতিটি গ্রামে। গোটা দেশে আজ প্রদীপ জ্বালানো হবে সন্ধ্যার পর। দিনটি পালিত হবে। আমাদের মন এখনও এতে আটকে রয়েছে। অনেক কথাই বলার আছে, কিন্তু আমার গলা অবরুদ্ধ হয়ে আসছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামলালা আর তাঁবুতে নয়, থাকবেন মন্দিরে (PM Modi)। অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু কণ্ঠ অবরুদ্ধ। ২২ জানুয়ারি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়, নতুন কালের শুরু। আমাদের তপস্যায় কিছু খামতি ছিল। আজ তা পূরণ হল। এজন্য প্রভু রামচন্দ্রের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি। গর্ভগৃহে ঐশ্বরিক চেতনার সাক্ষী হতে পেরেছি।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    তিনি বলেন, “রাম মন্দিরই ভারতের উন্নয়নের সাক্ষী হবে। লক্ষ্য যদি সত্য হয়, তা পূরণ হবেই। এই মন্দিরই তার প্রমাণ। কয়েক শতাব্দী প্রতীক্ষার পর আজ আমরা এখানে পৌঁছেছি। আমরা সবাই এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আমরা আর থামব না, এবার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেই থামব।” নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেউ কেউ বলেছিলেন রাম মন্দির হলে আগুন জ্বলবে। তাই আজকের দিন শুধু বিজয়ের নয়, বিনয়ের দিন। ভারতের শান্তি, ধৈর্য, সমন্বয়ের প্রতীক। রাম মন্দির নতুন শক্তির পরিচয়। সবাইকে বলব, আসুন, বিবেচনা করুন, রাম আগুন নয়, রাম শক্তি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    Ram Mandir: রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ১১ দিনের ব্রত ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-শুভক্ষণে অযোধ্যার মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। এই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী রইল তামাম ভারত। পূর্ব নির্ধারিত সময়েই মন্দির প্রাঙ্গনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অংশ নিলেন রামলালার বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। রামলালার মূর্তিতে সোনার কাঠি দিয়ে কাজল পরিয়ে চক্ষুদান করলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিগ্রহকে দর্শন করান দর্পন। রামলালাকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে ১১ দিনের ব্রত ভাঙেন প্রধানমন্ত্রী।

    যজমান প্রধানমন্ত্রী

    প্রধান যজমান মোদি পরেছিলেন ঘিয়ে রংয়ের গরদের পাঞ্জাবী। ওপরে সাদা গলাবন্ধ। সঙ্গে সাদা ধুতি ও সোনালি পাড়ের সাদা উত্তরীয়। হাতে ছিল লাল বাঁধনি ওড়নি, রামলালার জন্য রুপোর ছাতা। প্রাণপ্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর চোখের কোণে চিকচিক করতে দেখা গিয়েছে আনন্দাশ্রু। পুজো শেষে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতেও দেখা যায় তাঁকে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়েছে মৃগশিরা নক্ষত্রে। অনুষ্ঠান শেষে আবেগঘন কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, রামলালাকে (Ram Mandir) আর তাঁবুর নীচে দিন কাটাতে হবে না।

    শেষ হল সংযমব্রত

    যেহেতু প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যজমান, তাই গত এগারো দিন ধরে সংযমব্রত পালন করছিলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে সেকথা জানিয়েওছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ জানুয়ারি তিনি লিখেছিলেন, “অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আর মাত্র এগারো দিন বাকি। আমি সৌভাগ্যবান যে আমিও এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পারছি। ভগবান আমায় প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতের সমস্ত মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন। এ কথা মাথায় রেখে আমি আজ থেকে এগারো দিনের একটি বিশেষ আচার শুরু করছি। আমি সমস্ত মানুষের কাছে আশীর্বাদ চাইছি। এই মুহূ্র্তে আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।”

    পরে এক ভিডিও-অডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, “এর জন্য (মূর্তি প্রতিষ্ঠা) বিশদ নিয়ম রয়েছে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার বেশ কয়েকদিন আগে থেকে সেগুলি অনুসরণ করতে হয়। আমি আজ থেকে প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ram Mandir) দিন পর্যন্ত শাস্ত্র নির্দেশিত সমস্ত নিয়ম ও তপস্যা কঠোরভাবে পালন করব।”

    আরও পড়ুুন: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    Ram Mandir: প্রতীক্ষার অবসান, রামলালা প্রতিষ্ঠিত হলেন জন্মভূমিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। রামলালার মূর্তিতে হল প্রাণপ্রতিষ্ঠা। জন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হলেন রামলালা। বালক রামের এই মূর্তিটি বসানো হয়েছিল শুক্রবার। সোমবার শুভক্ষণে মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন প্রধান পুরোহিত। তার আগে পুজোর ডালা নিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেন পুষ্পাঞ্জলিও। বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ফের এক প্রস্ত হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয় মন্দিরের ওপর। ব্যাগগ্রাউন্ডে বাজছিল রাম গান। মন্দিরের অদূরে শিল্পীরা উদাত্ত কণ্ঠে গাইছিলেন রামগীতি। লোকমুখে ফিরছিল রামচরিত মানসের কলি। 

    প্রাণপ্রতিষ্ঠা

    প্রধানমন্ত্রী গর্ভগৃহে প্রবেশের পরেই খোলা হয় বিগ্রহের আবরণ। তার পরে হয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা। রামলালাকে যে রুপোর মুকুট পরানো হবে, মন্দিরে সেটি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। মন্দিরে (Ram Mandir) প্রবেশের সময় প্রধানমন্ত্রীকে তিলক পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তার পরেই শুরু করেন পুজো। তাঁকে পুজোয় সাহায্য করেন প্রধান পুরোহিত। পুজো শুরুর আগে সংকল্প করানো হয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে। পুজো শেষে তাঁর মাথায় ছিটানো হয় শান্তিজল।

    প্রধানমন্ত্রীর পুজো

    হাতে পদ্মফুল নিয়ে মন্ত্রপাঠ করে সেটি বিগ্রহের পায়ে অর্পণ করেন প্রধান যজমান প্রধানমন্ত্রী। প্রাণপ্রতিষ্ঠার যে পর্বে মন্দিরের গর্ভগৃহে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। পুজোয় অংশ নেন তাঁরাও। বিগ্রহের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী। করেন আরতিও। আরতির পবিত্র তাপও নিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। পরে হাতজোড় করে করেন প্রার্থনা।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধন স্মরণে শান্তিপুরের গির্জায়-মসজিদে জ্বলবে প্রদীপ

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে গত এগারো দিন ধরে কঠিন সংযমব্রত পালন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর পুজো শেষে ব্রত ভঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে এক চামচ তরল খাইয়ে দেন ট্রাস্টের গোবিন্দদাস গিরি মহারাজ। এর পর সভাস্থলের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    Ram Mandir: রামময় অযোধ্যা, মহোৎসবের অনুষ্ঠানে এলেন যজমান নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু থেকে তিনি উড়ে এলেন অযোধ্যা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি এলেন রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। গত এগারো দিন ধরে কঠোর সংযমব্রত পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রামলালার (Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে তিনিই মুখ্য যজমানের ভূমিকায়। সেই তিনিই এসে পৌঁছলেন অযোধ্যায় রাম মন্দিরে। প্রধানমন্ত্রী ঢুকতেই উদ্বেলিত জনতার জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে কেঁপে উঠল অযোধ্যার আকাশ। শোনা গেল, মোদি, মোদি স্লোগানও। পুলিশ ব্যান্ডেও বাজানো হতে থাকে ভক্তিগীতি। বেলা বারোটা বাজার কিছু আগে হেলিকপ্টার থেকে মন্দিরের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করা হতে থাকে। 

    অযোধ্যায় চাঁদের হাট

    এদিন সকাল থেকেই অযোধ্যা কার্যত রামময়। চারদিকে লাউড স্পিকারে বাজছে রামগান। ভক্তদের মুখেও শোনা যাচ্ছে রামায়ন গান, রামচরিত মানসের ছন্দ। এহেন আবহে সাত সকালে অযোধ্যায় চলে এসেছেন অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর ছেলে অভিষেক। কাকভোরে মন্দির প্রাঙ্গনে চলে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার কিছু পরে আসেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ এসে পৌঁছান অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ। তার আগে চলে এসেছেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, মাধুরী দীক্ষিত, ভিকি কৌশল, ক্যাটরিনা কাইফ, আয়ুষ্মান খুরানা, চিরঞ্জীবী, রামচরণ, বিবেক ওবেরয়, মধুর ভাণ্ডারকর, রজনীকান্ত এবং সোনু নিগম প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি। ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অনুরাধা পাড়োয়াল। রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেলার দিকে পৌঁছন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানি। পৌঁছন ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়ালও।

    আরও পড়ুুন: “এই অনুষ্ঠান দেশের উন্নয়নকে নিয়ে যাবে নয়া উচ্চতায়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে অনুষ্ঠান এড়ালেন যাঁরা 

    অযোধ্যার আকাশ রয়েছে ঝলমলে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকলেও, বেলার দিকে তা কেটে যায়। অযোধ্যায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েও উপস্থিত হননি কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অধীর চৌধুরী, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি (Ram Mandir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share