Tag: Ramakrishna Paramahansa

  • Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    Ramakrishna 367: পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য

    (শ্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার- পরমহংস অবস্থা)

    ভক্তিই সার। সকাম ভক্তি আছে, আবার নিষ্কাম ভক্তি, শ্রদ্ধা ভক্তি, অহেতুক ভক্তি এও আছে। কেশব সেন ওরা অহেতুক ভক্তি জানত না। কোনও কামনা নেই। কেবল ঈশ্বরের পাদপদ্মে ভক্তি।

    আবার আছে ঊর্জিতা ভক্তি। ভক্তি যেন উথলে পড়ছে। ভাবে হাসে কাঁদে নাচে গায়। যেমন চৈতন্যদেবের। রাম বললেন লক্ষণকে, ভাই যেখানে দেখবে ঊর্জিতা ভক্তি, সেইখানে জানবে আমি স্বয়ং বর্তমান।

    ঠাকুর কি ইঙ্গিত করিতেছেন? নিজের অবস্থা, ঠাকুর কি চৈতন্যদেবের ন্যায় অবতার জীবকে ভক্তি শিখাইতে অবতীর্ণ হইয়াছেন?

    গিরিশ- আপনার কৃপা হলে এই সব হয়। আমি কি ছিলাম কি হয়েছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- ওগো তোমার সংস্কার ছিল তাই হচ্ছে। সময় না হলে হয়না। যখন রোগ ভালো হয়ে এল তখন কবিরাজ বললে এই পাতাটি মরিচ দিয়ে বেটে খেও। তারপর রোগ ভালো হল। তা রোগ মরিচ দিয়ে ঔষধ খেয়ে ভালো হলো না আপনা আপনি ভালো হলো কে বলবে?

    লক্ষণ লব কুশকে বললেন, তোরা ছেলে মানুষ। তোরা রামচন্দ্রকে জানিস না তাঁর পাদস্পর্শে অহল্যা পাষাণী মানবী হয়ে গেল। লব কুশ বললে, ঠাকুর সব জানি সব শুনেছি। পাষাণী যে মানবী হল সে মুনিবাক্য ছিল। গৌতম মুনি বলেছিলেন যে ত্রেতা যুগের রামচন্দ্র, ওই আশ্রমের কাছ দিয়ে যাবেন তার পাদস্পর্শে তুমি আবার মানবী হবে। তা এখন রামের গুনে না মুনিবাক্যে কে বলবে বল!

    সবই ঈশ্বরের ইচ্ছায় হচ্ছে। এখানে যদি তোমার চৈতন্য হয়, আমাকে জানবে হেতুমাত্র। চাঁদ মামা সকলের মামা। ঈশ্বর ইচ্ছায় সব হচ্ছে।

    গিরিশ- ঈশ্বরের ইচ্ছায় তো। আমিও তো তাই বলছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সরল হলে শীঘ্রই ঈশ্বর লাভ হয়। কয়জনের জ্ঞান হয় না। প্রথম যার বাঁকা মন, সরল নয়। দ্বিতীয়, যার শুচিবাই, তৃতীয় যারা সংশয় আত্মা।

    ঠাকুর নিত্য গোপালের ভাবাবস্থার প্রশংসা করিতেছেন

    এখনো ৩-৪ জন ভক্ত ওই দক্ষিণ পূর্ব লম্বা বারান্দায় ঠাকুরের কাছে দাঁড়াইয়া আছেন ও সমস্ত শুনিতেছেন। পরমহংসের অবস্থা ঠাকুর বর্ণনা করিতেছেন। বলিতেছেন, পরমহংসের সর্বদা এই বোধ ঈশ্বরই সত্য আর সব অনিত্য। হাঁসেরই শক্তি আছে দুধকে জল থেকে তফাৎ করার। দুধে জল যদি মিশিয়ে থাকে, তাদের জিহ্বাতে একরকম টক রস আছে, সেই রসের দ্বারা দুধ আলাদা জল আলাদা হয়ে যায়। পরমহংসের মুখেও সেই টক রস আছে। প্রেম ভক্তি, থাকলেই নিত্য অনিত্য বিবেক হয়। ঈশ্বরের অনুভূতি হয় ঈশ্বর দর্শন হয়।

  • Ramakrishna 366: ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    Ramakrishna 366: ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    জন্মোৎসব রাত্রে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে প্রেমানন্দে

    সন্ধ্যা হইল। ক্রমে ঠাকুরদের আরতি শব্দ শোনা যাইতেছে। আজ ফাল্গুনের শুক্ল অষ্টমী। ৬-৭ দিন পরে পূর্ণিমায় দোল মহোৎসব হইবে।

    সন্ধ্যা হইলেও ঠাকুরবাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণ, উদ্যানভূমি, বৃক্ষ, চন্দ্রালোকে মনোহর রূপ ধারণ করিয়াছে। গঙ্গা এখনে উত্তর বাহিনী। জোৎস্নাময়ী মন্দিরের গা দিয়ে যেন আনন্দে উত্তরমুখ হইতে প্রবাহিত হইতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নিজের ঘরে ছোট খাটটিতে বসিয়া নিঃশব্দে জগৎ মাতার চিন্তা করিতেছেন।

    উৎসবান্তে এখনও দুই একটি ভক্ত রহিয়া আছেন। নরেন্দ্র আগেই চলিয়া গিয়েছেন। আরতি হইয়া গেল ঠাকুর আবিষ্ট হইয়া দক্ষিণ পূর্বের লম্বা বারান্দায় পদচারণ করিতেছেন। মাস্টার সেইখানে দন্ডায়মান আছেন। ও ঠাকুর কে দর্শন করিতেছেন।

    ঠাকুর হঠাৎ মাস্টারকে সম্মোধন করিয়া বলিতেছেন, আহা নরেন্দ্রর কি গান!

    মাস্টার- আজ্ঞা, নিবিড় আঁধারে ওই গানটি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- হ্যা ও গানের খুব গভীর মানে। আমার মনটা এখনও যেন টেনে রেখেছে।

    মাস্টার- আগে হ্যাঁ।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- আঁধারে ধ্যান এইটি তন্ত্রের মত। তখন সূর্যের আলো কোথায়।

    শ্রীযুত গিরিশ ঘোষ আসিয়া দাঁড়াইলেন। ঠাকুর গান গাইতেছেন।

    মা কি আমার কালো রে
    কালো রূপে দিগম্বরী হৃদি পদ্ম করে আলো রে

    ঠাকুর মাতোয়ারা হইয়া দাঁড়াইয়া গিরিশের হাতে হাত দিয়া গান গাহিতেছেন

    গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশি কাঞ্চি কেবা চায়
    কালি কালি বলে আমার অজপা যদি ফুরায়
    ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী, পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়
    সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফিরে কভুসন্ধি নাহি পায়
    দয়া ব্রত দানা আদি আর কিছু না মনে লয়
    মদনেরই যাগযজ্ঞ ব্রহ্মময়ীর রাঙ্গা পায়

  • Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    Ramakrishna 365: যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত, কৃপণের ধন উড়ে যায়, দাতার ধন রক্ষা হয়

    সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তুমি যে দান ধ্যান করো খুব ভালো। যাদের টাকা আছে তাদের দান করা উচিত। কৃপণের ধন উড়ে যায়। দাতার ধন রক্ষা হয়। সৎ কাজে যায়। ও দেশে চাষারা খানা কেটে খেতে জল আনে। কখনও কখনও জলের এত তোড় হয় যে ক্ষেতের আল ভেঙে যায়। আর জল বেরিয়ে যায় ও ফসল নষ্ট হয়। তাই চাষারা আলের মাঝে মাঝে ছেদা করে রাখে। তাকে ঘোগ বলা হয়। জল ঘোগ দিয়ে একটু বেরিয়ে যায়। তখন জলের তোড়ে আর আল ভাঙ্গে না। আর ক্ষেতের উপর পলি পড়ে। আর সেই পলিতে খেত উর্বর হয়। আর খুব ফসল হয়। যে দান ধ্যান করে (Ramakrishna 364) সে অনেক ফল লাভ করে। চতুর বর্গ ফল।

    ভক্তেরা সকলে ঠাকুরের শ্রী মুখ হইতে এই দান ধর্ম কথা এক মনে শুনিতেছেন

    সুরেন্দ্র- আমার ধ্যান ভালো হয় না। মাঝে মাঝে মা মা বলি (Kathamrita)। আর শোবার সময় মা মা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- তাহলেই হবে স্মরণ মনন তো আছে (Ramakrishna 364)।

    মনোযোগ ও কর্মযোগ, পূজা, তীর্থ, জীব সেবা ইত্যাদি গুরুর উপদেশে কর্মকরার নাম কর্মযোগ। জনকাদি যা কর্ম করতেন, তার নামও কর্মযোগ। যোগিরা যা স্মরণ মনন করেন তার নাম মনোযোগ (Ramakrishna 364)।

    আবার ভাবি কালীঘরে গিয়ে, মা মন তো তুমি। তাই শুদ্ধ মন, শুদ্ধ বুদ্ধি, শুদ্ধ আত্মা একই জিনিস।

    সন্ধ্যা আগত প্রায়। ভক্তেরা অনেকেই ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া বাটি প্রত্যাগমন করিতেছেন। ঠাকুর (Ramakrishna 364) পশ্চিমের বারান্দায় গিয়েছেন। ভবনাথ ও মাস্টার সঙ্গে আছেন।

  • Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    Ramakrishna 364: ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে, সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্ত সঙ্গে সুরেন্দ্রর প্রতি উপদেশ- গৃহস্থ ও দানধর্ম-মনোযোগ ও কর্মযোগ

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ আবার ছোট খাটটিতে আসিয়া বসে আছেন। ভক্তেরা এখনও মেঝেতে বসিয়া আছেন। সুরেন্দ্র তাঁহার কাছে বসে আছেন। ঠাকুর তাঁহার দিকে সস্নেহের দৃষ্টিপাত করিতেছেন। কথাচ্ছলে তাঁহাকে নানা উপদেশ দিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সুরেন্দ্রের প্রতি)- মাঝে মাঝে এসো। ন্যাংটা বলত, ঘটি রোজ মাজতে হয়, তা না হলে কলঙ্ক পড়বে। সাধুসঙ্গ সর্বদাই দরকার।

    সন্ন্যাসীর পক্ষে কামিনী কাঞ্চন ত্যাগ। তোমাদের পক্ষে তা নয়। তোমরা মাঝে মাঝে নির্জনে যাবে। আর তাঁকে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে। তোমরা মনে মনে ত্যাগ করবে। বীরভক্ত না হলে দু দিক রাখতে পারেনা। জনক রাজা সাধন ভজনের পর সিদ্ধ হয়ে সংসারে ছিল। সে দুখানা তলোয়ার ঘোরাত জ্ঞান আর কর্ম।

    এই বলিয়া ঠাকুর গান গাহিতেছেন-

    এই সংসার মজার কুটি।
    আমি খাই দাই আর মজা লুটি।।
    জনক রাজা মহাতেযা, তার কিসে ছিল ত্রুটি।
    সে যে এদিক ওদিক দুদিক রেখে খেয়েছিল দুধের বাটি।।

    তোমাদের পক্ষে চৈতন্যদেব যা বলেছিলেন, জীবে দয়া, ভক্তসেবা আর নাম সংকীর্তন। তোমায় বলছি কেন? তোমার হাউসের কাজ আর অনেক কাজ করতে হয়, তাই বলছি। তুমি অফিসে মিথ্যা কথা কও। তবে তোমার জিনিস খাই কেন? তোমার যে দান ধ্যান আছে। তোমার যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি দান করো। বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি।

    কৃপণের জিনিস খাই না। তাদের ধন এই কয় রকমই উড়ে যায়। প্রথম মামলা মোকদ্দমায়, দ্বিতীয় চোর ডাকাতে, তৃতীয় ডাক্তার খরচে, চতুর্থ আবার বদ ছেলেরা- সেইসব টাকা উড়িয়ে দেয়।

  • Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    Ramakrishna 363: নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের শিক্ষা, ‘‘জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও’’

    নরেন্দ্রকে শিক্ষা (জ্ঞান অজ্ঞানের পার হও)

    নরেন্দ্র কাছে বসিয়া আছেন (Ramakrishna)। তার বাড়িতে কষ্ট। সেই জন্য তিনি সর্বদা চিন্তিত হইয়া থাকেন। তাহার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত ছিল। বেদন্তাদি গ্রন্থ পড়িবার খুব ইচ্ছা। এক্ষুনি বয়স ২৩ বছর হইবে। ঠাকুর নরেন্দ্রকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে নরেন্দ্রের প্রতি)- তুই তো ‘খ’ (আকাশবৎ)। তবে যদি এ ট্যাক্সোবাড়ির ভাবনা না থাকত। (সকলের হাস্য)

    কৃষ্ণকিশোর বলত, আমি ‘খ’। একদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখি (Kathamrita) সে চিন্তিত হয়ে বসে আছে। বেশি কথা কচ্ছে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে গো! এমন করে বসে রয়েছ। কেন সে বলল ট্যাক্সওয়ালা এসেছিল। সে বলে গেছে টাকা যদি না দাও, তাহলে ঘটি বাটি সব নিলাম করে নিয়ে যাব। তাই আমার ভাবনা হয়েছে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, সে কী গো! তুমি তো ‘খ’ (আকাশবৎ) যাক শালারা ঘটিবাটি নিয়ে যাক। তোমার কী।

    তাই তোকে বলছি তুই ‘খ’, এত ভাবছিস কেন (Ramakrishna)? কী জানিস শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে (Kathamrita) বলছেন, অষ্ট সিদ্ধির একটি থাকলে কিছু শক্তি হতে পারে। কিন্তু আমায় পাবে না। সিদ্ধাই এর দ্বারা শক্তি বল টাকা এসব হতে পারে কিন্তু ঈশ্বরকে লাভ হয় না।

    আরেকটি কথা জ্ঞান-জ্ঞানের পার হও। অনেকে বলে অমুক বড় জ্ঞানী। বস্তুত তা নয় বশিষ্ট এত বড় জ্ঞানী। পুত্র শোকে অস্থির হয়েছিল। তখন লক্ষণ বললেন, রাম একি আশ্চর্য। তিনিও তো এত শোকার্ত। রাম বললেন, ভাই যার জ্ঞান আছে, তার অজ্ঞান আছে। যার আলোবোধ আছে তার অন্ধকার বোধ আছে। যার ভালো বোধ আছে তার মন্দ বোধও আছে। যার সুখ বোধ আছে তার দুঃখবোধও আছে (Ramakrishna)। ভাই তুমি দুইয়ের পারে যাও। সুখ দুঃখের পারে যাও। তাই তোকে বলছি জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও।

  • Ramakrishna 362: নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন, ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন

    Ramakrishna 362: নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন, ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কী করছিলে? আমি খাই দাই থাকি।

    গিরিশ- আপনার কথা আর কী বলব! আপনি কি সাধু? (Kathamrita)

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই (Ramakrishna)।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- আমি লাল পেড়ে কাপড় পরে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল, আজ বড় যে রং। লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম, কেশবের মন ভোলাতে হবে তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

    এইবার আবার নরেন্দ্রের গান হইবে। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) মাস্টারকে তানপুরাটি পাড়িয়া দিতে বলিলেন। নরেন্দ্র তানপুরাটি অনেকক্ষণ ধরিয়া বাধিতেছেন ঠাকুর ও সকলে অধৈর্য হইয়াছেন।

    বিনোদ বলিতেছেন, বাঁধা আজ হবে গান আর একদিন হবে। (সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ হাসিতেছেন আর বলিতেছেন, এমনি ইচ্ছে হচ্ছে যে তানপুরাটা ভেঙে ফেলি। কী টিং টং আবার তানা নানা নেড়ে নুম হবে।

    ভাবনাথ- যাত্রার গোড়ায় অমনি বিরক্তি হয়।

    নরেন্দ্র- (বাঁধিতে বাধিতে) সে না বুঝলেই হয়।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- ওই আমাদের সব উড়িয়ে দিলে (Ramakrishna)।

    (নরেন্দ্রর গান ও শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশ- অন্তর্মুখ ও বহির্মুখ-স্থির জল ও তরঙ্গ)

    নরেন্দ্র গান গাহিতেছেন। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া শুনিতেছেন। নিত্য গোপাল প্রভৃতি ভক্তেরা মেঝেতে বসিয়া শুনিতেছেন।

    ১. অন্তরে জাগিছো ওমা অন্তর যামিনী
    কোলে করে আছো মোরে দিবস যামিনী

    ২. গাওরে আনন্দময়ীর গান
    ওরে আমার একতন্ত্রী প্রাণের আরাম

    ৩.নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি
    তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহা বাসি

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া নিচে নামিয়ে আসিয়াছেন ও নরেন্দ্রর কাছে বসে আছেন ভাবাবিষ্ট হইয়া কথা কহিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ- গান গাইব থু থু! (নিত্য গোপালের প্রতি) তুই কি বলিস উদ্দীপনের জন্য শুনতে হয়? তারপর কী হল আর কী গেল

    আনন্দ রসে মগ্ন হওয়া নিয়ে কথা (Ramakrishna)।

    গান গাইব আচ্ছা গাইলেও হয়। জল স্থির থাকলেও জল আর হেলে দুললেও জল।

  • Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    Ramakrishna 361: শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়, তারপর সাধন ভজন

    ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে নরেন্দ্রদাদি অনেক ভক্ত বসিয়াছেন। গিরিশও আসিয়া বসিলেন।
    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি)- আমি নরেন্দ্রকে আত্মার স্বরূপ জ্ঞান করি। আর আমি ওর অনুগত।

    গিরিশ- আপনি কারও অনুগত নন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (হাস্য)- ওর মদ্দে ভাব (পুরুষ ভাব) আর আমার মেদি ভাব (প্রকৃতি ভাব)। নরেন্দ্র উঁচু ঘর অখণ্ডের ঘর (Ramakrishna)।

    গিরিশ বাহিরে তামাক খাইতে লাগিলেন।

    নরেন্দ্র (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)- গিরিশ ঘোষের সঙ্গে আলাপ হল। খুব বড়লোক। মাস্টারের প্রতি আপনারই কথা হচ্ছিল।

    শ্রী রামকৃষ্ণ- কী কথা?

    নরেন্দ্র- আপনি লেখাপড়া জানেন না, আমরা সব পণ্ডিত। এইসব কথা হচ্ছিল (হাস্য)।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) নরেন্দ্র (পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্র)

    মণি মল্লিক (ঠাকুরের প্রতি)- আপনি না পড়ে পণ্ডিত।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রদাদির প্রতি)- সত্য বলছি আমি বেদান্ত আদি শাস্ত্র পড়ি নাই বলে একটু দুঃখ হয় না। আমি জানি বেদান্তে সার। ব্রহ্ম সত্য় জগত মিথ্যা। আবার গীতার সার কী। গীতা ১০ বার বললে যা হয় ত্যাগী ত্যাগী।

    শাস্ত্রের সার গুরুমুখে মুখে জেনে নিতে হয়। তারপর সাধন ভজন। একজন চিঠি লিখেছিল চিঠিখানি পড়া হয়নি। হারিয়ে গেল। তখন সকলে মিলে খুঁজতে লাগল। যখন চিঠিখানা পাওয়া গেল পড়ে দেখলে পাঁচ সের সন্দেশ পাঠাবে আর একখানা কাপড় পাঠাবে। তখন চিঠিটা ফেলে দিলে। আর সন্দেশ আর একখানা কাপড় জোগাড় করতে লাগল। তেমনি শাস্ত্রের সার জেনে নিলে আর বই পড়বার কী দরকার। এখন সাধন ভজন।

    এইবার গিরিশ ঘরে আসিয়াছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি) হ্যাঁগা, আমার কথা সব তোমরা কি করছিলে? আমি খাই দাই থাকি। গিরিশ আপনার কথা আর কি বলব। আপনি কি সাধু?

    শ্রীরামকৃষ্ণ- সাধু সাধু নয়, আমার সত্যিই তো সাধু বোধ নাই।

    গিরিশ- ফচকিমিতেও আপনাকে পারলুম না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)- আমি লাল পেড়ে কাপড় পড়ে জয় গোপাল সেনের বাগানে গিয়েছিলাম। কেশব সেন সেখানে ছিল। কেশব লাল পেড়ে কাপড় দেখে বলল আজ বড় যে রং লাল পাড়ের বাহার। আমি বললুম কেশবের মন ভোলাতে হবে (Kathamrita) তাই বাহার দিয়ে এসেছি।

  • Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    Ramakrishna 360: ঠাকুর সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, “হাতটা দেখিয়ে নে”

    ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫
    জন্মোৎসবে ভক্ত সম্ভাষণে

    এইবার ভক্তরা প্রসাদ (Kathamrita) পাইতেছেন! চিঁড়ে মিষ্টান্নাদি অনেকবার না দিয়ে অনেক প্রকার প্রসাদ পাইয়া তৃপ্তি লাভ করিলেন ঠাকুর (Ramakrishna) মাস্টারমশাইকে বলিতেছেন ‘‘মুখুজ্জেদের বল নাই! সুরেন্দ্রকে বল বাউলদের খেতে বলতে।’’

    শ্রীযুক্ত বিপিন সরকার আসিয়াছেন। ভক্তেরা বলিলেন, এর নাম বিপিন সরকার। ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন ও বিনীত ভাবে বলিলেন, এঁকে আসন দাও, আর পান দাও। তাঁহাকে বলিতেছেন আপনার সঙ্গে কথা কইতে পেলাম না অনেক ভিড়।

    কেন্দ্রকে দেখিয়ে ঠাকুর বাবুরামকে বলিলেন, ‘‘এঁকে একখানা আসন দাও।’’ নিত্য গোপাল মাটিতে বসেছিলেন, দেখিয়া ঠাকুর বলিলেন ওঁকেও একখানা আসন দাও।

    সিঁথির মহেন্দ্র কবিরাজ আসিয়াছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) সহাস্যে রাখালকে ইঙ্গিত করিতেছেন, ‘‘হাতটা দেখিয়ে নে।’’

    শ্রীযুক্ত রামলালকে বলিতেছেন, গিরিশ ঘোষের সঙ্গে ভাগ কর, তাহলে থিয়েটার দেখতে পাবি। (হাস্য)

    নরেন্দ্র, হাজরা মহাশয়ের সঙ্গে বাহিরের বারান্দায় অনেকক্ষণ গল্প করিতেছিলেন।
    নরেন্দ্রর পিতৃ বিয়োগের পর বাড়িতে বড়ই কষ্ট হইয়াছে। এইবার নরেন্দ্র ঘরের ভিতর আসিয়া বসিলেন।

    (নরেন্দ্রর প্রতি ঠাকুরের নানা উপদেশ)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (নরেন্দ্রের প্রতি) তুই কি হাজরার কাছে বসে ছিলি? তুই বিদেশিনী, সে বিরহিণী! হাজরারও দেড় হাজার টাকার দরকার। (হাস্য)

    হাজরা বলে, নরেন্দ্র ষোল আনা সত্ত্বগুণ হয়েছে। একটু লালচে রজোগুণ আছে আমার বিশুদ্ধ সত্ত্ব সতের আনা। (সকলের হাস্য)

    আমি যখন বলি তুমি কেবল বিচার করো। তাই শুষ্ক। সে বলে, আমি সৌর সুধা পান করি, তাই শুষ্ক।

    আমি যখন শুদ্ধ ভক্তির কথা বলি, যখন বলি শুদ্ধ ভক্ত টাকা কড়ি ঐশ্বর্য কিছু চায় না। তখন সে বলে, তাঁর কৃপাবন্যা এলে নদী তো উপচে যাবে আবার খাল ডোবাও জলে পূর্ণ হবে (Kathamrita)।

     

     

  • Ramakrishna 359: “গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু! আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ”

    Ramakrishna 359: “গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু! আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ”

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মমহোৎসব ১৮৮৫ খ্রীঃ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২২শে ফেব্রুয়ারি
    নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    নরেন্দ্র যাই গাইলেন, ‘সমাধিমন্দিরে মা কে তুমি গো একা বসি!’ অমনি ঠাকুর বাহ্যশূন্য, সমাধিস্থ। অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গের পর ভক্তেরা ঠাকুরকে (Ramakrishna)  আহারের জন্য আসনে বসাইলেন (Kathamrita)। এখনও ভাবের আবেশ রহিয়াছে। ভাত খাইতেছেন কিন্তু দুই হাতে। ভবনাথকে বলিতেছেন, “তুই দে খাইয়ে।” ভাবের আবেশ রহিয়াছে তাই নিজে খাইতে পারিতেছেন না। ভবনাথ তাঁহাকে খাওয়াইয়া দিতেছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সামান্য আহার করিলেন। আহারান্তে রাম বলিতেছেন, ‘নিত্যগোপাল পাতে খাবে।’

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —পাতে? পাতে কেন?

    রাম—তা আর আপনি বলছেন! আপনার পাতে খাবে না?

    নিত্যগোপালকে ভাবাবিষ্ট দেখিয়া ঠাকুর তাহাকে দু-একগ্রাস খাওয়াইয়া (Kathamrita) দিলেন।

    কোন্নগরের ভক্তগণ নৌকা করিয়া এইবার আসিয়াছেন। তাঁহারা কীর্তন করিতে করিতে ঠাকুরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। কীর্তনান্তে তাঁহারা জলযোগ করিতে বাহিরে গেলেন। নরোত্তম কীর্তনিয়া ঠাকুরের ঘরে বসিয়া আছেন। ঠাকুর (Ramakrishna) নরোত্তম প্রভৃতিকে বলিতেছেন(Kathamrita), “এদের যেন ডোঙ্গা-ঠেলা গান। এমন গান হবে যে সকলে নাচবে!

    “এই সব গান গাইতে হয়:

    নদে টলমল টলমল করে,
    গৌর প্রেমের হিল্লোলে রে।

    (নরোত্তমের প্রতি)—“ওর সঙ্গে এইটা বলতে হয়—

    যাদের হরি বলতে নয়ন ঝরে, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা মার খেয়ে প্রেম যাচে, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা আপনি কেঁদে জগৎ কাঁদায়, তারা, দুভাই এসেছে রে ॥
    যারা আপনি মেতে জগৎ মাতায়, তারা, দুভাই এসেছে রে ৷
    যারা আচণ্ডালে কোল দেয়, তারা দুভাই এসেছে রে ॥

    “আর এটাও গাইতে হয়:

    গৌর নিতাই তোমরা দুভাই, পরম দয়াল হে প্রভু!
    আমি তাই শুনে এসেছি হে নাথ;
    তোমরা নাকি আচণ্ডালে দাও কোল,
    কোল দিয়ে বল হরিবোল।”

  • Ramakrishna 358: “শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধনগিরি ধারণ করেছিলেন, আর নন্দের কাছে দেখাচ্ছেন, পিঁড়ে বয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে!”

    Ramakrishna 358: “শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধনগিরি ধারণ করেছিলেন, আর নন্দের কাছে দেখাচ্ছেন, পিঁড়ে বয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে!”

    দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মমহোৎসব ১৮৮৫ খ্রীঃ

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ২২শে ফেব্রুয়ারি
    নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    গিরিশের বিশ্বাস যে, ঈশ্বর শ্রীরামকৃষ্ণরূপে (Ramakrishna) অবতীর্ণ হইয়াছেন।

    গিরিশ (শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি)—আপনার সব কার্য শ্রীকৃষ্ণের মতো। শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধনগিরি ধারণ করেছিলেন, আর নন্দের কাছে দেখাচ্ছেন, পিঁড়ে বয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে!

    গিরিশ—বুঝেছি (Kathamrita), আপনাকে এখন বুঝেছি।

    জন্মোৎসবে নববস্ত্র পরিধান, ভক্তগণকর্তৃক সেবা ও সমাধি

    ঠাকুর ছোট খাটটিতে বসিয়া আছেন। বেলা ১১টা হইবে। রাম প্রভৃতি ভক্তেরা ঠাকুরকে নববস্ত্র পরাইবেন। ঠাকুর বলিতেছেন—“না, না।” একজন ইংরেজী পড়া লোককে দেখাইয়া বলিতেছেন, “উনি কি বলবেন!” ভক্তেরা অনেক জিদ করাতে ঠাকুর বলিলেন—“তোমরা বলছ পরি (Ramakrishna)।”

    ভক্তেরা ওই ঘরেতেই ঠাকুরের অন্নাদি আহারের আয়োজন করিতেছেন।

    ঠাকুর নরেন্দ্রকে একটু গান গাইতে বলিতেছেন। নরেন্দ্র গাহিতেছেন:

    নিবিড় আঁধারে মা তোর চমকে ও রূপরাশি ৷
    তাই যোগী ধ্যান ধরে হয়ে গিরিগুহাবাসী ॥
    অনন্ত আঁধার কোলে, মহার্নিবাণ হিল্লোলে ৷
    চিরশান্তি পরিমল, অবিরল যায় ভাসি ॥
    মহাকাল রূপ ধরি, আঁধার বসন পরি ৷
    সমাধিমন্দিরে মা কে তুমি গো একা বসি ॥
    অভয়-পদ-কমলে প্রেমের বিজলী জ্বলে ৷
    চিন্ময় মুখমণ্ডলে শোভে অট্ট অট্ট হাসি ॥

    নরেন্দ্র যাই গাইলেন, ‘সমাধিমন্দিরে মা কে তুমি গো একা বসি!’ অমনি ঠাকুর বাহ্যশূন্য, সমাধিস্থ। অনেকক্ষণ পরে সমাধিভঙ্গের পর ভক্তেরা ঠাকুরকে (Ramakrishna)  আহারের জন্য আসনে বসাইলেন (Kathamrita)। এখনও ভাবের আবেশ রহিয়াছে। ভাত খাইতেছেন কিন্তু দুই হাতে। ভবনাথকে বলিতেছেন, “তুই দে খাইয়ে।” ভাবের আবেশ রহিয়াছে তাই নিজে খাইতে পারিতেছেন না। ভবনাথ তাঁহাকে খাওয়াইয়া দিতেছেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) সামান্য আহার করিলেন। আহারান্তে রাম বলিতেছেন, ‘নিত্যগোপাল পাতে খাবে।’

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) —পাতে? পাতে কেন?

    রাম—তা আর আপনি বলছেন! আপনার পাতে খাবে না?

    নিত্যগোপালকে ভাবাবিষ্ট দেখিয়া ঠাকুর তাহাকে দু-একগ্রাস খাওয়াইয়া (Kathamrita) দিলেন।

    কোন্নগরের ভক্তগণ নৌকা করিয়া এইবার আসিয়াছেন। তাঁহারা কীর্তন করিতে করিতে ঠাকুরের ঘরে প্রবেশ করিলেন। কীর্তনান্তে তাঁহারা জলযোগ করিতে বাহিরে গেলেন। নরোত্তম কীর্তনিয়া ঠাকুরের ঘরে বসিয়া আছেন।

LinkedIn
Share