Tag: ranaghat

ranaghat

  • BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    BSF: ভারতের জমি দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, ইউনূস সরকারের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় এখন ইউনূস সরকার। যতদিন যাচ্ছে ইউনূস প্রশাসনের কদর্য রূপ বিশ্ববাসীর কাছে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ (BSF)। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

    ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক? (BSF)

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত (India-Bangladesh Border) ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা বা কোদালিয়া নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বিএসএফ (BSF) এবং বিজিবি— উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে। ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দাবি করেছে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু, সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা! বিএসএফের রণমূর্তির দেখে পগার পার বাংলাদেশিরা

    নদীতে না নামার হঁশিয়ারি

    নদীতে কেউ নামবেন না, কারণ কোদালিয়া নদীটি পুরোপুরি বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশের বিজিবি-র পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী ভারতের সীমান্তের মধ্যে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিএসএফ (BSF) রেঞ্জের অধীনঘাট রংঘাট, কৃষ্ণ প্রতাপপুর সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। সেই সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের মাঝে একটি কোদালিয়া নদী রয়েছে। এই নদীটি উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে,  দীর্ঘদিন ধরেই সেটা ভারত সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ সেনা মাইক প্রচার করছে সেই নদী নাকি তাদের দখলে। সেই কারণে কোনও ভারতীয় যাতে সেই নদীতে না নামেন, কিংবা না ব্যবহার করেন। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয়দের দাবি, ওই নদী দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সীমান্তর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই নদী বিভিন্ন স্নানের কাজে অথবা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তরফে কিছু সিমেন্টের পিলার ছিল সীমানা নির্ধারিত করার জন্য, সেই পিলারগুলিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুলে দিয়েছে। ভারতীয়রা মনে করছেন, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সঙ্গে একটি ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভারতের যে অংশ সে অংশ যাতে বাংলাদেশ সরকার কখনও দখল করতে না পারে। সেই কারণেই পাকাপোক্তভাবে সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে।

    বিএসএফ কী বলল?

    বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের রাংঘাট গ্রামের অন্তর্গত, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে। নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি, জানাল বিসিএফ

    ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুযায়ী, প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীন— এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফ (BSF) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজিবি সদস্যরা নদীর ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টা  টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। ৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ। পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    Durga Puja 2024: ৫০০ বছরের প্রাচীন রানাঘাটের ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজোয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট শুধু নয়, নদিয়ার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে চৈতন্যচরণ ঘোষ হুগলি জেলার আকনা থেকে আসেন ব্রহ্মডাঙ্গায়, যা পরে রানাঘাট নামে পরিচিত হয়। এখানে তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) সূচনা করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই মকারন্ধ ঘোষের বংশধররা দুর্গাপুজো করে আসছেন। বর্তমানে ২৯ তম বংশপরম্পরায় এই পুজো হচ্ছে। এই বংশের ২৯ তম পুরুষ রণজিৎ ঘোষ বলেন, দুর্গাপুজো প্রথম শুরুর যে মাটি দিয়ে পাটা তৈরি হয়েছিল, সেই মাটি দিয়ে আজও পাটা তৈরি হয়ে আসছে। তুলে রাখা হয় কিছু মাটি। সেই মাটি দিয়েই পাটা তৈরি হয় বছরের পর বছর। এই ভাবে হয়ে আসছে দেবীমূর্তি।

    ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ (Durga Puja 2024)

    ৫০৪ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। এ বছর পড়ল ৫০৫ তম বছরে। একটা সময় ৫১টি পাঁঠা ও মোষ বলি হত। ১৯৩৪ সালে পাঁঠাবলি বন্ধ হয়ে যায় স্বপ্নাদেশে এবং ঘোষ বংশের রামগোপাল ঘোষ মারা যান, ক্ষয়ক্ষতিও হয়। তার পর থেকে আর বলি হয়নি। পঞ্চমীতে বোধন শুরু হয়, ষষ্ঠীতে নয়। তার পর অধিবাসের সময় রক্ষা প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালান এই বংশের পুরুষ, যে প্রদীপ নেভে না। বিসর্জন হয়ে গেলে পাঠ ভেঙে সেই রক্ষা প্রদীপের থেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই প্রদীপের আলোতে ১০৮বার দুর্গা নাম লেখা হয় কলাপাতার ওপর। তার পর চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়, নয়তো তুলসী তলায় দেওয়া হয়। এরপর মুড়ি-মুড়কি, পকান্ন দেওয়া হয় (Ranaghat)।

    দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ

    নবমীর দিন (Durga Puja 2024) থোর ও মোচার ভোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাদা খেলা হয়। রান্না করা ভোগ অষ্টমী দিন দেওয়া হয়। আর অন্য দিনগুলিতে মশলা, চাল ইত্যাদি কাঁচা ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে বরণ করা হয়। ওই দিন টাটকা ফুলে পুজো হয় না, বাসি ফুলে পুজো হয়। এই প্রাচীন পুজো দেখতে  দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন, পাশাপাশি এখানে পুজো ও অঞ্জলি দেন অনেকে। রানাঘাটের ঘোষবাড়ির পুজো আজও তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে (Ranaghat)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানালেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) ডাকঘর মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এতদিন বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও বর্তমানে সমাজের সকল অংশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। আরজি করকাণ্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের দুই-একজন ভালো মানুষ, যারা মুখ খুলেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একটি অংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দলীয় কর্মীদের হাতে বিরোধীদের পতাকা ধরিয়ে আক্রমণ করানো হয়েছে। আর এ সমস্ত নাটক বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।’’

    ‘‘মমতার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল…’’

    এর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আগামীদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওনার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল বাংলাদেশ। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন, এবার হয়তো সেই শখ পূরণ হতে চলেছে। তবে এ বাংলায় নয়, বর্তমানে অরাজকতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গিয়ে জামাত, মৌলবীদের সঙ্গে মিলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি। তবে, আমরাও কথা দিচ্ছি ভারতবর্ষ তথা বাংলা থেকে বিতাড়িত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য না হয় স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে গান করব এক্কেবারে মানাইছে না রে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    Ranaghat: ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! নামকরণের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে রোমহর্ষক কাহিনি

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর লাইন দিয়ে ট্রেনে যেতে যেতে সকলেরই নজরে পড়ে রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন। এই স্টেশনের বুক চিড়ে প্রথম ট্রেন গেদে হয়ে কুষ্টিয়া (বাংলাদেশ) চলে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই শহর। নদিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ রানাঘাট। বহু মনীষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই রানাঘাটে। স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন রানাঘাটেরই বীর সন্তানেরা। রানাঘাট রত্নগর্ভা এক বনেদি শহর। লিককের পথ ধরে তাই অনায়াসেই বলা যায়, “যার আছে পুঁজিপাট, সে থাকে রানাঘাট”। পুঁজি মানে অর্থের পুঁজি শুধু নয়, শিক্ষা সংস্কৃতি, কৃষ্টি, আভিজাত্য, ইত্যাদি সব কিছুতে পুঁজিপতি মানুষ আছেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে।

    ব্রহ্মডাঙা থেকে রানাঘাট! (Ranaghat)

    রানাঘাট শহরের নাম নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তবে, কোনটা প্রামাণ্য, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রে পাওয়া গিয়েছে, এক সময় রানাঘাটের নাম ছিল ব্রহ্মডাঙা। মুঘল সম্রাট আকবরের রাজস্ব সচিব রানা টোডরমল তৎকালীন ব্রহ্মডাঙায় জমি জরিপের কাজে এসেছিলেন বলে ব্রহ্মডাঙার নাম রানাঘাট হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসবিদ প্রিঙ্গিলের দাবি, অষ্টাদশ শতাব্দীতে রণ বা রানা নামে এক দুধর্ষ ডাকাত এই এলাকাকে তাঁর ঘাঁটিতে পরিণত করেন। সেই ডাকাত রানার নামেই রানাঘাট। এই তথ্যটিকে বেশির ভাগ মানুষ সঠিক বলে মনে করেন। আবার নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর দ্বিতীয় রানির বাড়ি রানাঘাট সংলগ্ন নোকাড়ি গ্রামে ছিল। তাই রানির ঘাট থেকেও রানাঘাট হতে পারে।

    রানাঘাটে রবীন্দ্রনাথ

    জানা গিয়েছে, কবি নবীনচন্দ্র সেন রানাঘাটের (Ranaghat) মহকুমা শাসক থাকাকালীন ১৮৯৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং তাঁর বাংলোয় এসেছিলেন। সেই স্মৃতি আঁকড়ে ফি-বছর ওই তারিখে এখনও কবিমিলন  উৎসব হয় রানাঘাটের মহকুমা শাসকের বাংলোয়। রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত-শিক্ষাগুরু বিষ্ণুচরণ চক্রবর্তী রানাঘাটের কায়েতপাড়ায় জন্মেছিলেন। রাজা রামমোহন রায় তাঁকে ব্রাহ্মসমাজের গায়ক হিসেবেও নিয়েছিলেন। বিদ্যাসাগরের পৃষ্ঠপোষকতায় পন্ডিত কালীময় ঘটকের ‘চরিতাষ্টক’ বই এক সময় স্কুলের পাঠ্যপুস্তক হয়েছিল। কালীময়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল এখানকার ‘গুরুমশাই’ পাঠশালায়। নদিয়া বিষয়ক প্রামাণ্য একটি বই ‘নদিয়া কাহিনী’। এই আকর গ্রন্থটির লেখক কুমুদনাথ মল্লিক রানাঘাটের সুসন্তান। এখনকার কবি জয় গোস্বামীর নিজের শহর রানাঘাট। সব মিলিয়ে গুণী মানুষের ভিড় ও বনেদিয়ানায় সমৃদ্ধ এ শহর।

    রানাঘাটে রামকৃষ্ণ!

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব একবার রানাঘাটের (Ranaghat) চূর্ণী তীরবর্তী কলাইঘাটায় এসেছিলেন। রানি রাসমণির জামাতা মথুরচন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে তিনি আদিবাসী অধ্যূষিত কলাইঘাটা বটতলায় যান। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরা ঠাকুরকে দেখতে সেখানে সমবেত হন। তিনি শিশুদের হতদরিদ্র রূপ দেখে ব্যথিত হন। ঠাকুর মথুরচন্দ্রকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এদের অন্ন এবং পোশাকের ব্যবস্থা না হচ্ছে, বটগাছের নীচে তিনি বসে থাকবেন। মথুরবাবু ঠাকুরের কথামতো অসহায় শিশুদের জন্য অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করেন। ঠাকুর তাতে খুশি হয়ে মথুরবাবুর সঙ্গে কলকাতায় ফিরে আসেন। রামকৃষ্ণ ভক্তরা এই তীর্থস্থানে একটি রামকৃষ্ণ স্মৃতিভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষের বিরোধিতায় সেটা সফল হয়নি। বর্তমানে কলাইঘাটার প্রায় বিপরীত দিকে অবকাশ পার্কের কাছে রামকৃষ্ণ ভক্তবৃন্দের অনুরোধে রানাঘাট পুরসভার উদ্যোগে ভবন তৈরি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, রামকৃষষ্ণালয়।

     রানাঘাট পুরসভার অতীত-বর্তমান

    ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ সেপ্টেম্বর রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার প্রতিষ্ঠা হয়। শুরুতে ১৪ জন কমিশনার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই মনোনীত। পদাধিকার বলে ৫ জন পুরসভার কার্যনির্বাহক সমিতির সদস্য হন। পুরসভার গৃহীত উপবিধি অনুমোদন করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এখন পুরসভার কাউন্সিলররা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। রানাঘাট মহকুমার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা রানাঘাটের থেকেও পুরানো। জেলার প্রথম পুরসভা শান্তিপুর ১৮৫৩ সালে তৈরি হয়। এর ১১ বছর পর রানাঘাট পুরসভার প্রতিষ্ঠা।

    রানাঘাটের রসগোল্লা

    রসগোল্লার উদ্ভাবক কে? বিরোধ শুধু বাংলা-ওড়িশায় নয়, বিরোধ বাংলার মধ্যেও। বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসকেই রসগোল্লার উদ্ভাবক বলে ধরা হয়। ১৮৬৮ সালে নবীনচন্দ্র রসগোল্লা তৈরি করেন। কিন্তু অনেকের মতে, রসগোল্লার আসল উদ্ভাবকের নাম হারাধন মণ্ডল। হারাধন মণ্ডল শান্তিপুরের ফুলিয়ার মানুষ। রানাঘাটের পালচৌধুরীদের হালুইকর ছিলেন। তিনিই রসের মধ্যে ছানার ডেলা ফেলে একটি অভিনব মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেন। পালচৌধুরীরা তার নাম দেয় রসগোল্লা। রসগোল্লা ছাড়া, রানাঘাটে অনেক কাল ধরে চলে আসা মিষ্টান্ন দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে পান্তুয়া, গজা, অমৃতি প্রভৃতি।

     রানাঘাটের সংস্কৃতি

    রানাঘাট শহরে এক সময় প্রতিটি বাড়িতে সন্ধ্যাপ্রদীপ প্রজ্বলনের মতো সঙ্গীতের রেওয়াজ হত। মার্গ সঙ্গীতের পীঠস্থান ছিল রানাঘাট। মূলত, পালচৌধুরী পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং পালচৌধুরীদের সভাগায়ক নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে দেশ-বিদেশের উচ্চাঙ্গ শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হত। শ্রীজান বাঈ, দিলজান, ইমন বাঈ, লালাকুন্দ, আহম্মদ খাঁ সাহেবের মতো উত্তর ভারতের সেরা গায়কেরা এই আসরে নিয়মিত আসতেন। এই ভাবেই নগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর দুই প্রখ্যাত শিষ্য নগেন্দ্রনাথ দত্ত ও নির্মলকুমার চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানাঘাট ঘরানার জন্ম দেন। নিধুবাবু প্রবর্তিত বাংলা টপ্পা ধারার সঙ্গে লখনউ ঘরানার মিলনে এক বিশেষ টপ্পা ধারার সৃষ্টি হয়। এই ঘরানার পরবর্তী বিখ্যাত শিল্পী ছিলেন শিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং ডাঃ অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়। নগেন্দ্রনাথ দত্তের শিষ্য ছিলেন ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়।

     রানা ডাকাতের কালীমন্দির

    রানাঘাটের দ্রষ্টব্য স্থানগুলি হল-পালচৌধুরীদের পূর্বতন ভদ্রাসনের প্রাচীরের মধ্যে একই ভিতের উপর প্রতিষ্টিত জোড়া শিবমন্দির। মন্দিরে টেরাকোটার কাজ আছে। চূর্ণী নদীর তীরে বড়বাজারে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের মন্দির। জমিদার রতন পালচৌধুরীর বিধবা পত্নী উজ্জ্বলমণি দাসীর প্রচেষ্টায় ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত নিস্তারিণী মন্দির, রানা ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির রয়েছে। সেখানে পুরানো ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়। এছাড়া রানাঘাট শহরের স্কুলমোড়ে প্রতিষ্ঠিত চিন্ময়ী ও মৃন্ময়ী মন্দির, ব্রজবল্লভ মন্দির জহুরা কালীবাড়ি এবং রাধাবল্লভ মন্দির রয়েছে।

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন রানাঘাটে!

    এশিয়ার প্রথম রবীন্দ্র ভবন তৈরি হয়েছিল এই শহরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম-সহ বিশিষ্ট মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে এই শহর। সঙ্গীত, নাটকের পাশাপাশি খেলাধুলাও সুনাম কুড়িয়েছে রানাঘাট। এই শহরের প্রথিতযশা মানুষদের মধ্যে রয়েছেন রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পণ্ডিত কালীময় ঘটক, নদিয়া (Nadia) কাহিনীর রচিয়তা রায়বাহাদুর কুমুদনাথ মল্লিক,কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সন্তোষকুমার বোস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ উপাচার্য ভবতোষ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। 

    রানাঘাটে সংবাদপত্র

    ব্রিটিশদের সময় রানাঘাটে সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে শুরু করে। কবি গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘বার্তাবহ’। রানাঘাট রেল স্টেশন কাছে গিরিজানাথের পত্রিকা অফিসে বসত সাহিত্য-আড্ডা। নানা সময়ে এই শহর থেকে পল্লিচিত্র, অশনি, ছাত্রবাণী, ফ্ল্যাশ, খেলাধূলা, শ্রমিক ও সমাজ, টর্চ, সীমান্তবাণী, বাংলা বাজার, ঝড়, ফ্লিক, চ্যালেঞ্জ, সবুজসোনা, চুর্ণী, নদিয়া গৌরব, রাতু-সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশ পেয়েছিল।

    স্বাধীনতা সংগ্রামে রানাঘাট

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসেও জড়িয়ে রয়েছে রানাঘাটের নাম। নীলবিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাটের মানুষ। অসহযোগ আন্দোলনে শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কেশবচন্দ্র মিত্র, নেপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, রেণুমাধব দাস, শিশিরকুমার বসু, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনে সহায়রাম দাস, ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীমকুমার মজুমদার, বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়, নৃসিংহ চৌধুরী, কুমারেশ বিশ্বাস, মহ হবিবুল্লহ, মহম্মদ কালু শেখ, শ্রীধর মুখোপাধ্যায়,পটল মুস্তাফি-সহ অনেকেই রয়েছেন সেই তালিকায়।” সব মিলিয়ে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে রানাঘাটের। আর সেই ঐতিহ্যকে সমানে আগলে চলেন রানাঘাটবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Ranaghat: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রানাঘাটে জোড়া খুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাটে প্রকাশ্যে সোনার দোকানে ডাকাতির পর এবার (Ranaghat) ভরসন্ধ্যায় জোড়া খুন (Murder)। এই ঘটনায় রানাঘাটের আনুলিয়া মনসাতলা এলাকা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রূপক দাস (৩৮) এবং সুমন চক্রবর্তী (৪০)। সুমনবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর গাড়ির চালক ছিলেন রূপক। দুজনের বাড়ি রানাঘাট পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনবাবুর কাছে বৃহস্পতিবার ফোন এসেছিল। সেই ফোন পেয়েই রূপকবাবুকে নিয়ে বাইকে করে ওই ব্যবসায়ী বেরিয়েছিলেন। তবে, তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা বাড়িতে বলে যাননি। আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ পরিবারের লোকজন খবর পান, নির্মীয়মাণ বাড়িতে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, চক্রান্ত করে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর গাড়ির চালককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে দিল নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত রানাঘাট। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে রানাঘাট থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় কী বললেন?

    নিহত ব্যবসায়ীর আত্মীয় মেঘনাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুমন পেশায় ব্যবসায়ী ছিল। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে আমার জানা নেই। পরিবারের কাছে এই ধরনের আশঙ্কার কথাও ও বলেছে বলে আমার জানা নেই। এদিন সন্ধ্যায় আমরা খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। যেটুকু জেনেছি, কোনও ফোন পেয়ে সুমন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সঙ্গে গাড়ির চালক ছিল। দুজনকে এভাবে কুপিয়ে খুন (Murder) করা হবে তা ভাবতে পারছি না। পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ফলে, এই ঘটনার পর আমরাও আতঙ্কিত। আমাদের দাবি অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: কাটমানি নিয়ে কি দ্বন্দ্ব! রানাঘাটে দলীয় কর্মীদের মারে রক্ত ঝরল তৃণমূল নেতার

    Ranaghat: কাটমানি নিয়ে কি দ্বন্দ্ব! রানাঘাটে দলীয় কর্মীদের মারে রক্ত ঝরল তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নদিয়ার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। এবার রানাঘাটের (Ranaghat) আনুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতিসহ তিন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই নেকা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কাটমানি নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই কি হামলা? দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে আনুলিয়া (Ranaghat) এলাকায় গেঞ্জি মিলের কাছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের নন্দীঘাট বুথের সভাপতি আবীর আলি মণ্ডলকে রাস্তা আটকে মারধর করে কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী। অভিযোগ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করার পাশাপাশি তাঁকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন আরও দুই তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় আক্রান্ত তিনজনকেই রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় রানাঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে ২জনকে আটক করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। কী কারণে তারা এই হামলা চালালো তা জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (Trinamool Conflict) বুথ সভাপতি আবির আলি মণ্ডল বলেন, আমি রাতে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ রানাঘাট (Ranaghat) গেঞ্জি ফ্যাক্টরির কাছে আমাকে দেখে ওই এলাকারই দুজন আটকায়। তাঁরাও তৃণমূল করে। সঙ্গে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসে। কোনও কারণ ছাড়়াই হামলা চালাই। তারা ঘটনাস্থলে এলেই আমাকে ছয়-সাত জন মিলে বেধড়ক মারতে থাকে। বন্দুকের বাদ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় আমার। যেহেতু আমি এলাকায় সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করি সেই কারণে ওই দুষ্কৃতীরা আমাকে হামলা চালিয়েছে বলে আমার অনুমান। তবে, ওদের মধ্যে কেউই তৃণমূলের কোনও পদে নেই। অন্যদিকে, এই ঘটনায় আবারও অস্বস্তিতে রানাঘাটের তৃণমূল। প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হওয়ায় কুলুপ পেতেছে রানাঘাটের প্রথম সারির তৃণমূল (Trinamool Conflict) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    Ranaghat: “তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী”, বিস্ফোরক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচন ছিল। মঙ্গলবার রাত থেকেই তৃণমূলের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার ভোটের দিনও তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্ত্রাস চালায়। বিজেপির বুথ অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন ভোট পর্ব চলাকালীন একাধিক বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস। বাহিনীকে তুলোধনা করেন তিনি।

    তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Ranaghat)

    এদিন সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর এসেছে। একটি বুথে (Ranaghat) ঢুকতে গিয়ে বাধা পান বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ান ওই কেন্দ্রে (By-Election) নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয়। তিনি বলেন, বুথ থেকে বেরিয়ে বিজেপি বলেন, “প্রার্থী হিসেবে আমি সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। আমাকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদ জানালে উনি উচ্চতর আধিকারিককে ফোন করি। তার পর আর বাধা দেননি। আসলে প্রশাসন, তৃণমূল, অপরাধীরা সকলে মিলে একজোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও সক্রিয় নয়, আবার কোথাও অতি সক্রিয়। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্বাধীনতা নেই। তারা বাংলার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত। সব কিছু দেখে মনে হচ্ছে, তৃণমূলের দালালি করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    তৃণমূল প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “বেশিরভাগ জায়গাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের প্রভাবিতও করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যেখানে তারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছে, সেখানেই বিজেপির আপত্তি। কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি নিরপেক্ষ কাজ করে, তবে কি সেটা দালালি?” প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-Election) ছিল। রানাঘাট ছাড়াও ভোট হয়েছে কলকাতার মানিকতলা, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং উত্তর ২৪ পরগনা বাগদায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাটে বিজেপির বুথ অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Ranaghat: রানাঘাটে বিজেপির বুথ অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তজনা ছড়াল। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপির নির্বাচনী বুথ অফিস ভেঙে ভোটার স্লিপ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার বুথ অফিসে বসে থাকা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)

    বুধবার রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভার জগপুরে নির্বিঘ্নে ভোট (By-Election) চলছিল। বুথ অফিস থেকে সাধারণ মানুষকে ভোটার স্লিপ দিচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। হঠাৎই বাইকে করে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে বিজেপির বুথ অফিসে চড়াও হয়। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় বুথ অফিস। প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, এদিন সকাল থেকেই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। আচমকা বাইকে করে ২০ জন তৃণমূল কর্মী এসে বিজেপির বুথ অফিসে চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। ভোটার স্লিপ কেড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। বুথ অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরে, বিজেপি কর্মীরা বুথ অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। গোটা এলাকা তৃণমূলের ছেলেরা দখল করে নেয়। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।

    আরও পড়ুন: উপ-নির্বাচনেও চলল গুলি, বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, “পুলিশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এবং রাজ্য সরকার একত্রিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে সহায়তা করছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, রানাঘাট দক্ষিণে (By-Election) বিজেপির জয় অনিবার্য, তাই এরকম অপরাধমূলক ঘটনা ঘটাচ্ছে।” যদিও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য”, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ

    Ranaghat: “জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য”, মনোনয়ন জমা দিয়ে বললেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ই জুলাই রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস। দলীয় নেতা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি।

    জয়ের ব্যবধান বাড়ানো লক্ষ্য (Ranaghat)

     এদিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট (Ranaghat) দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক অসীম বিশ্বাস সহ একাধিক বিজেপি কর্মী -সমর্থকেরা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ কুমার বিশ্বাস বলেন, রানাঘাটের এই কেন্দ্র বিজেপির উর্বর ক্ষেত্র। এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে চায়, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আগামী ১০ই জুলাই উপ-নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। লোকসভায় এই কেন্দ্রে ৩৭ হাজার ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছিল। এবার সেটা ৫০ হাজার হবে। ফলে, জয়ের ব্যবধান বাড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুটমণি অধিকারীকেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। কিন্তু, লোকসভার মতো দলের মধ্যে মতানৈক্য, ঠান্ডা লড়াই মুকুটের জয়ের ক্ষেত্রে এবারও বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে রানাঘাট-২ ব্লকের আটটি ও রানাঘাট-১ ব্লকের ছটি পঞ্চায়েত। এছাড়াও রয়েছে কুপার্স নোটিফায়েড এলাকা। এই কেন্দ্র আবার উদ্বাস্তু ও মতুয়া বলয় বলেও পরিচিত। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, উদ্বাস্তু ও মতুয়ারা সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) দিকে ঝুঁকেছিল। আবার ২০২১- এর বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটেই জয়ী হয়েছিলেন রানাঘাট লোকসভায় এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। বিধানসভা তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ১৬,৫১৫। উপ-নির্বাচনে উদ্বাস্ত ও মতুয়া ভোট ধরে রাখার অঙ্কই কষছে বিজেপি। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মতুয়া ও উদ্বাস্তু মানুষ লোকসভায় আমাদের উপরে আস্থা রেখেছেন। এ বারও রাখবেন। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট হলে জয়ের ব্যবধান অনেকটাই বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি পুনরায় পরাজিত হলেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকালে প্রথম থেকেই বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। পরে, কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জগন্নাথ ফের তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়ে যায়। কয়েক রাউন্ডের পর থেকে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি এগিয়েছিলেন।

    আবির খেলায় মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্র নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলছিল। একদা বিজেপির বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল তাঁকে রানাঘাট কেন্দ্রে জগন্নাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। মতুয়া সমাজের আধিপত্য রয়েছে মুকুটমণির ওপর। সেই কারণেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল, গত বছরের তুলনায় এ বছর রানাঘাট কেন্দ্রে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। এই আসন নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা ছিল। তবে, ভোটের কয়েকদিন আগে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়ে জগন্নাথ সরকারকে জয়ের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু, সব জল্পনা উড়িয়ে আবারও গেরুয়া আবিরে মেতে উঠল রানাঘাট লোকসভা এলাকা। এদিন জয়ের পর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মিছিল করেন। কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতড়ণ করা হয়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে জয়ী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথিতেও ফুটল পদ্ম, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের

    সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলেন জয়

     এ বিষয়ে রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি করেছে, সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ রায় দিয়েছেন। তাই, আমি মানুষকে এই জয়ের কারণ হিসেবে করজোড়ে প্রণাম জানাই। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন আমি গোটা লোকসভা কেন্দ্রে করেছি, আগামী পাঁচ বছরও মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share