Tag: Rape

Rape

  • Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক আদিবাসী নাবালিকা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। আপাতত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গত ২৫ অক্টোবর বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামে রাতের বেলায় কবাডি খেলার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে সকলেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনও কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকার সুযোগে পাশের গ্রামের রাজেন মুর্মু নামে এক যুবক বাড়িতে ঢুকে এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরেই এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নেতৃত্বে ঘটনার পরে বসানো হয় সালিশি সভা। সেখানে ৫০ হাজার টাকায় গোটা ঘটনার রফাও করা হয়। এরকম একটি প্রস্তাব শুনে লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নির্যাতিতা। সালিশি সভার পর সেই আদিবাসী নাবালিকা লজ্জায় শুক্রবার দুপুরবেলায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেন মুর্মুও গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সালিশি সভা বসিয়ে টাকা দিয়ে যে বা যারা রফা করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল নেতা ও তার এক সঙ্গী ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানার কেচারকুড় গ্রামের নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Rape)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ব্যাঙ্কে যায়। সেখানে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন ওই যুবতী। সেই সময় কেচারকুড় এলাকার দুই যুবক সাহারুল হালদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদার ওই কলেজ ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সেকেন্দারপুর মোড়ে নিজের একটি ফাঁকা বাড়িতে তোলে। প্রেমিককে একটি ঘরে আটকে রেখে অন্য একটি ঘরের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, তার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে নিয়ে হুমকি দেয়। বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকাও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই কলেজ ছাত্রীকে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে, না হলে নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি আদালতে গোপন জবানবন্দীর জন্য পেশ করে পুলিশ।

    কী বললেন নির্যাতিতা?

    নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরে সমস্ত বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানাই। ঘটনার পর মন্দির বাজার থানায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সারুল হালদার ও ইউনুস হালদারের  বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আদালতে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। কিন্তু, ঘটনার পর তিনদিন হয়ে গেল পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। ওরা তৃণমূল করে বলে কি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আমাদের দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হোক।

    কী বললেন অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার স্ত্রী?

    অবশ্য এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদারের স্ত্রী বলেন, যেহেতু আমার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাই চক্রান্ত করে  স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আইএসএফের কর্মী সমর্থক। এই সব ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় আমার স্বামী জড়িত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণির (Mandarmani) চাঁদপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই যুবতীর পরিচয় পেলেন তদন্তকারীরা। যুবতীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ খুন করা হয়েছে। মন্দারমণি, চাউলখোলা এলাকায় একটি নারী পাচার চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরিব মেয়েদের ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসে বিপথে চালিত করে। এই যুবতীও এই ধরনের চক্রের খপ্পড়ে পড়েছিল বলে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mandarmani)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে শনিবার কিংবা রবিবার সোদপুরে বিউটিশিয়ানের কোর্স শিখতে যেতেন মৃত যুবতী। শনিবার দিদির বাড়ি বারাকপুরে থেকে সোদপুরের উদ্দেশে বের হন এবং বাড়িতে ফোন করে জানান ফিরতে রাত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধে ৬টার সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁর ফোন সুইচ অফ দেখায়। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণি (Mandarmani) কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সমুদ্রের পাশে বোল্ডারের ওপর একটি অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যুবতীর পরিবার তাহেরপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে। এরপর জানা যায়, মৃত যুবতীই তাহেরপুরের বাসিন্দা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    কীভাবে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে সোদপুর হয়ে মন্দারমণি (Mandarmani) পৌঁছলেন, তার ব্যাখা নেই পরিবারের কাছেও। যদিও মৃত যুবতীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত যুবতীর দাদা দিলীপকুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মন্দারমণির চাউলখোলায় একটি বড়সড় চক্র রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গরিব বাড়ির মেয়েদের কাজ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালনা করে। সোদপুর পর্যন্ত এই চক্র কাজ করছে কিনা পুলিশ তদন্ত করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয়তো আমার বোনকে এখানে নিয়ে এসে বাজে কাজ করানোর চেষ্টা করেছিল। রাজি হয়নি বলেই বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    Rape: শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলিপুরদুয়ারে চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত ট্রেন থেকে শিশুকে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনায় তোলপাড় আলিপুরদুয়ার। অভিযুক্ত দুই ট্রেন যাত্রী যুবককে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। গ্রেফতার দুই যুবকের নাম নয়নাল আব্দুল (২৫) ও মইনুল হক (২৬)। তারা অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। ধৃত দুই যুবককে গ্রেফতার করে রবিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে রেল পুলিশ। বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে রেল পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিফং এক্সপ্রেসে শনিবার রাতে  অসমের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে  ফিরছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। মহিলার কোলে আড়াই বছরের একটি শিশু ছিল। জেনারেল বগিতে ওই মহিলা আলিপুরদুয়ারের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু, ফকিরাগ্রাম স্টেশনে ওই বগির বেশিরভাগ যাত্রী নেমে যায় বলে জানা গিয়েছে। এই সুযোগে দুই যুবক মহিলাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। মহিলা রাজি না হলে মহিলার শিশুকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর শ্রীরামপুর স্টেশনের পরে এই ধর্ষণের (Rape) ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যরাতে ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনে এসে দাঁড়ালে মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ জানান। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি থানার পুলিশ আলিপুরদুয়ার জংশন স্টেশনেই ট্রেন থেকে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে। তাদের রবিবার আলিপুরদুয়ার বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক যুই অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্যাতিতা মহিলা লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ্যে আসছেন না।

    রেল আধিকারিকদের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনায় চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিত গৌতম বলেন, ‘আমি নতুন এই ডিভিশনে যোগ দিয়েছি। এইরকম ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এদিকে ট্রেনে ধর্ষণের (Rape) ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও রেলের আরপিএফ আধিকারিকদের ঘটনা নিয়ে তেমন সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। প্রাথমিকভাবে তারা ওই দুই যুবক অসমের ফকিরাগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিল বলে জানালেও অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে তারা কোকরাঝাড় স্টেশন থেকে শিফং এক্সপ্রেসে ওঠে। এই ঘটনায় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন ডিভিশনের আরপিএফের সহকারী ডিভিশনাল কমিশনার দীপক কুমার চৌধুরী বলেন,  ওই মহিলা জিআরপি থানায় অভিযোগ করলে দুই যুবককে গ্রেফতার করে জিআরপি। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    Rape: সপ্তাহভর লড়াই শেষ! স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মৃত্যু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠেছিল এক সপ্তাহ আগে। ঘটনাটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নির্যাতিতা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে লড়াই করার পর অবশেষে বুধবার ওই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নামল বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ওই নির্যাতিতা নবম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৮ জুলাই সে স্কুলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ স্কুলে থাকার পর সে অসুস্থ বোধ করে। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কয়েকজন যুবক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। পরে, তাকে গণধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে উদ্ধার করে নার্সিংহোম এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরও ওই নাবালিকা স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে, থানায় তারা মিসিং ডায়েরি করেন। কিন্তু, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাকে খোঁজার বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি আন্দোলনে নামে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে দুদিন আগে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কালজানি বাজারে রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, স্কুল থেকে বাড়়ি ফেরার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ (Rape) করা হল। গত ৬ দিন ধরে ওই নাবালিকা কোথায় ছিল তা পরিবারের লোকজন জানেন না। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলায় মেয়ের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj:  কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ভয়ে বাসিন্দারা রাত কাটাচ্ছেন ফসলের ক্ষেতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যেতে পারে। সেই আতঙ্কে রাত কাটছে মাঠে, ফসলের ক্ষেতে। এমনই অবস্থা কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। পুলিশ এটা বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।

    পুলিশের ভয়ে বাড়িছাড়া

    নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। ভাঙচুর হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। আর তার জেরে চলে পুলিশি অভিযান। এরই মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর এলাকার যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। গত দশ দিন ধরে এত কাণ্ড কালিয়াগঞ্জে ঘটেছে। এরপরও কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু গ্রামে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছেন না পুলিশের ভয়ে। যে কোনও মুহূর্তে পুলিশ এসে বাড়ির পুরুষ ও মহিলাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে, এমনই আশঙ্কায় রাতের বেলায় মাঠে কিংবা ফসলের ক্ষেতে থাকছেন তাঁরা।

    চাপা আতঙ্ক গোটা গ্রামে 

    রঘুনাথপুর এলাকার গ্রামবাসীদের দাবি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটায় নাবালিকার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, সেখানে তাঁরা ছিলেন না। এমনকী থানা ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও তাঁরা ছিলেন না। তারপরেও পুলিশ রাত হলেই আসছে এবং গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। যার ফলে তাঁরা আতঙ্কিত। বিশেষ করে রাধিকাপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্কের ছাপ গ্রামবাসীদের মুখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় নির্ভয়ে গ্রামে থাকতে বললেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে নাবালিকার মৃত্যুর পর তার গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা। বাড়ির কাছেই সমাধিস্থ করা হয়েছে নাবালিকাকে। পুলিশের সঙ্গে নাবালিকার গ্রামের মানুষদের কথাবার্তাও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও এক চাপা আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর এই সমস্ত  কিছু কাটিয়ে গ্রামবাসীরা চাইছেন আবারও পুরোনো ছন্দে ফিরুক গ্রাম, স্বাভাবিক হোক জনজীবন।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির

    পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অপরদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ফোনে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারেনি। মোয়াজ্জেম হোসেন গুলি করেছে। তাকে আইসিইউতে রেখে জামাই আদর করে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট চলছে। আর নিরীহ গ্রামবাসীরা, যারা কোনওভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করছে। তাতে পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ জমা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই সমাজের পক্ষে মঙ্গল ডেকে আনবে না। পুলিশের উচিত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা। পুলিশ যদি এটা বন্ধ না করে, মানুষের স্বার্থে বড় আন্দোলনে (Kaliaganj) নামার হুঁশিয়ারি দেন বাসুদেববাবু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস শুধু রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Post Poll Violence) ছিল না, সামজিক, আর্থিক ও ধর্মীয় সন্ত্রাসেরও শিকার হতে হয়েছে অসহায় মানুষকে। ৩৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, তাই চরম হিসাব দিতে হয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের। নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি বাংলার নারীসমাজ। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলের। অভিজ্ঞ মানুষের মুখেও বারবার শোনা গিয়েছে একটাই কথা, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বামপন্থী লাল সন্ত্রাসকেও বহুগুণ ছাপিয়ে গেছে এই রাজনৈতিক সবুজ সন্ত্রাস। 

    কেমন ছিল নারী নির্যাতনের ছবি?

    নির্বাচন সময়পর্বে কোচবিহারে রাজবংশী সমাজের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। নিখোঁজ তরুণীর বাবা পুলিশ সুপারের কাছে তা জানান। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন ছিল নিষ্ক্রিয়। বিজেপির অভিযোগ, হুগলির বদনগঞ্জের মাধবী আদককে খুন করা হয়েছে কেবলমাত্র তাঁর ছেলে তাদের দল করে বলে। নন্দীগ্রামে বিবস্ত্র করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন (Post Poll Violence) করা হয়। সেই নির্যাতিতা নারীর সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। কোচবিহারের মাথাভাঙার শিকারপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে দুবার ভাবেনি দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিল। বর্ধমানের আউশগ্রামেও দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি সমর্থক দেবনাথ প্রামাণিকের স্ত্রী আর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ভোটদানের আগের দিন। ফলে তাঁদের পক্ষে আর ভোট দেওয়াই সম্ভব হয়নি।

    শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে এক গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে মায়ের গলায় দা ঠেকিয়ে কোলের সন্তানকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় গুন্ডারাই এই অপকর্ম করেছে বলে সন্তানের মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের পটাশপুরে শাশ্বতী জানাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভাস্বতী বর্মনকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পায়ে গুলি চালায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ধমানের জামালপুরে আশিষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালকে টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের বারাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় এক পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। 

    বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের হ্যাচারি রোড ক্যানালপাড়ের বাজারে শুধুমাত্র বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে মেয়ের সামনে মাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। ২৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় হইচই পড়ে যায়। সভ্য সমাজের আক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ এইভাবে মা ও মেয়ের উপর অত্যাচার দেখবে বলে কোনওদিনই প্রস্তুত ছিল না। ১০ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে ধনিয়াখালির চকহিরণ্যবাটীতে গেলে অর্চনা মাঝি নামে এক সাধারণ মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘরছাড়া ছিলেন ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই। তৃণমূলের লোকেরা রোজ শাসাচ্ছে। অর্চনাদেবীর কাতর আবেদন ছিল, শান্তিতে যাতে থাকতে পারি, সেই ব্যবস্থা করুন। লোকাবাটি গ্রামের গৃহবধূ আসমা তারা জানিয়েছিলেন, ফল প্রকাশের পরের দিন দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে সমাজবিরোধীরা। ৩১ মে ভাটপাড়া পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীরা মা সুজাতা নাথ এবং ছেলে সঞ্জীব নাথকে মারধর করে। সঞ্জীব নিজে বিজেপি করত, এটাই ছিল তার অপরাধ। 

    সক্রিয় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা এবং মহিলা কমিশন

    হিংসার কারণে ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ধর্ষণ, খুন নিয়ে (Post Poll Violence) বিশেষ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রামনগরে সন্ত্রাস চালায় তৃণমূল সন্ত্রাসীরা, এমনটাই অভিযোগ। যার প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরছাড়া এবং প্রায় ২০০ শিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান। আবার বর্ধমানের আউসগ্রামের ৬০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়। তাঁবুতে দিন কাটে তাদের। পরিবারগুলি অনাহারে দিনপাত করে। শিশুরা অভুক্ত, খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, এমনই ছিল করুণ অবস্থা। বারাসতের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৫০ টি পরিবার, কল্যাণীতে ৩৫ টি পরিবার এবং নানুরে ১০০ পরিবার ঘরছাড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। (চলবে)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Necrophilia cases in Pakistan: মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ! পাকিস্তানে কবরে দেওয়া হচ্ছে তালা

    Necrophilia cases in Pakistan: মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ! পাকিস্তানে কবরে দেওয়া হচ্ছে তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের মৃতদেহের প্রতিও বিকৃত যৌনাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানে! শুনতে অবাক এবং ঘৃণা লাগলেও এমন ঘটনাই সেদেশে ঘটছে। সমাজকর্মীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের কবরে তালা লাগিয়ে তাদের শরীর রক্ষা করছে পরিবার। কবর থেকে মৃত যে কোনও বয়সের মেয়ের দেহ খুঁড়ে বের করে যৌন সঙ্গম, ধর্ষণ, অত্যাচার এবং শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) পাকিস্তানের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ঘটনা ঠিক কী ঘটছে?

    পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী সামজিক মাধ্যম ট্যুইটারে মৃত মেয়েদের কবরকে তালাবন্দি করে রাখার ছবি ছড়িয়ে দিয়ে জানান, মৃত মেয়েদের ধর্ষণ Necrophilia cases in Pakisthan আটকাতেই এই তালা। তবে এই ঘটনা আকস্মিক নয়। ২০২২ সালে পাকিস্তানের গুজরাটের চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীর মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে আসে। ২০২১ সালে উপকূলীয় শহর গোলামুল্লাহতে, ২০২০ সালে পাঞ্জাব শহরে, ২০১৯ সালে করাচির ল্যান্ড টাউনে, ২০১৩ সালে গুজরানওয়ালায় একইভাবে মৃত মহিলার দেহ তুলে নিয়ে সঙ্গম করে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০১১ সালে উত্তর জানিমাবাদ থেকে মুহামদ রিজওয়ান নামক এক গোরস্থানের রক্ষীকে গ্রেফতার হয়। এই অভিযুক্ত স্বীকার করে যে প্রায় ৪৮ টি মৃত নারীর দেহ মাটি থেকে তুলে যৌন নির্যাতন (Necrophilia cases in Pakistan) করেছে। পাক প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু কোনও সমাধান না হওয়ায় মৃত মেয়েদের অভিভাবকরা কবরে তালা দিয়ে মৃতের শরীরে যৌনাচার বন্ধের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। 

    সমাজ কর্মীদের প্রতিক্রিয়া

    পাকিস্তানের বিশিষ্ট সমাজকর্মী লেখক হারিস সুলতান ট্যুইটারে মৃত মেয়ের কবরে তালাবন্দি ছবি পোস্ট করে বলেন, পাকিস্তানে মৃত মেয়েদের যাতে ধর্ষণ না করা হয়, সেই জন্যই কবরে তালা। তাঁর লেখা একটি বই ‘দ্যা কারসি অফ গড হোয়াই আই লেফট ইসলাম’ তে তিনি পাকিস্তানের সমাজে বিকৃত যৌন আচরণের (Necrophilia cases in Pakisthan) মধ্যে ধর্মীয় অন্ধত্ব এবং গোঁড়ামি বিশেষ কারণ হিসাবে দেখিয়েছেন। পাকিস্তনের সাজিদ ইউসুফ শাহ নামে আরেক সমাজতাত্ত্বিক গবেষক মনে করেছেন, যৌন ক্ষুধা এবং অবদমিত সমাজ জন্ম নিয়েছে পাকিস্তানে। এই ঘটনাগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন নয়, মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে এনে যৌন সম্পর্ক, নিগ্রহ ও ধর্ষণের ঘটনা (Necrophilia cases in Pakistan) সামজিক সমস্যা। পাকিস্তানে ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইট বিশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে যে, পাকিস্তানে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী জীবনে কোনও না কোনও রকম নির্যাতনের শিকার অবশ্যই হয়েছেন। সমাজতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, আগামী দিনে পাকিস্তান রাষ্ট্র এই বিকৃত যৌন সমস্যা এবং মৃত শরীরে যৌন নিগ্রহের বিষয়ে কী সদর্থক ভাবনাচিন্তা করে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    Malda: কালিয়াগঞ্জের পর এবার কালিয়াচক! নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এখনও এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় চারজন এএসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মঙ্গলবার সকালে মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার  উজিরপুরে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় লোকজন মাঠের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদহ (Malda)  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার পাকাকোট এবং উজিরপুর গ্রামের মাঝখানে মাঠের মধ্যে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিন স্থানীয় লোকজন মাঠে কাজ করতে গিয়ে চাষের জমিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেন। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীকে আমরা কেউ চিনতে পারছি না। সম্ভবত ওই কিশোরীর অন্য কোথাও বাড়ি। দুষ্কৃতীরা এখানে নিয়ে এসে অপকর্ম করে তাকে খুন করে চলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কালিয়াগঞ্জের ঘটনা আমরা খবরের কাগজে পড়ছি। টিভিতে দেখছি। এবার নিজেদের গ্রামে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তা আশা করিনি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। ফলে, আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে ওই নাবালিকা খুনে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের পুলিশ খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। আর পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই খুনের ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    Rape: পানীয় জলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণ, গ্রেফতার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের লাভপুর থানা এলাকায়। ধৃতদের নাম ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায়। তারা লাভপুর থানায় কর্মরত।  বৃহস্পতিবারই তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগে চার বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে লাভপুরে একটি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ছোট্টু দত্ত ও সুমিত মুখোপাধ্যায় নামে  দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। চরম গরমের কারণে ওই বধূ সিভিকদের কাছে গিয়ে পানীয় জল চান। এমনিতেই দুপুরের দিকে মন্দির চত্বর ফাঁকা ছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই সিভিক পানীয় জলের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই জল খেয়ে ওই বধূ অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে সাহায্য করার নাম করে সিভিক ভলান্টিয়াররা  অতিথি শালায় নিয়ে যান। সঙ্গে করে চার বছরের শিশু কন্যাকে তাঁরা নিয়ে যান। এরপর অতিথিশালার ভিতরে পালা করে তারা ওই বধূকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পরে, ওই বধূ বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। পরে, তিনি স্বামীকে সমস্ত বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরই স্ত্রীকে সঙ্গে করেই তাঁর স্বামী ১৯ এপ্রিল বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, নদিয়ার হাঁসখালিতে কিশোরীকে ধর্ষণ (Rape) এবং পরে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বাড়িতে মদ্যপানের আসরে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু হাঁসখালি নয় তেহট্টের বাড়িতে মা বাবার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ১৫ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের (Rape)  অভিযোগ উঠেছিল এক পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। এবার মন্দিরের অতিথিশালা নিয়ে গিয়ে বধূকে পালা করে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে বীরভূম জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনায় যা যা করার দরকার তা করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share