Tag: rashtrapati bhavan

rashtrapati bhavan

  • Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    Rashtrapati Bhavan: ইতিহাসে প্রথম, রাষ্ট্রপতি ভবনেই বিয়ে জওয়ান পুনমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) ইতিহাসে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিয়ে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যতিক্রমীভাবে সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট পুনম গুপ্তার বিয়ের অনুমতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর, এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি নিয়েছেন, তার কারণ হল পুনম গুপ্তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রিপোর্ট বলছে, তাঁর কাজে এতটাই খুশি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি, যে তিনি নিজেই এই অনুমতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ভবনের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে সিআরপিএফের মহিলা বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন তিনি কুচকাওয়াজে।

    কার সঙ্গে হচ্ছে বিয়ে (Rashtrapati Bhavan)?

    জানা গিয়েছে, পুনম গুপ্তার এই বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে যার সঙ্গে তিনিও সিআরপিএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট। তাঁর নাম অবনীশ কুমার। বর্তমানে তিনি জম্মু এবং কাশ্মীরে কর্মরত। রাষ্ট্রপতি ভবনের মাদার টেরেজা কমপ্লেক্স গ্রাউন্ড কমপ্লেক্সে এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে নিকট আত্মীয় এবং বর-কনে পক্ষের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও হাজির থাকবেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে বিয়ের আসর বলেই আমন্ত্রিতদের তালিকায় বেশ কাটছাঁট করা হয়েছে। অতিথি তালিকায় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের যে নাম রয়েছে, তাঁদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতার প্রক্রিয়া এখন চলছে। জানা গিয়েছে পুনম গুপ্তা রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati Bhavan) পর্যন্ত আসার যাত্রা অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক।

    মেধাবী ছাত্রী পুনম

    মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তাঁর পরিচয় রয়েছে। আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা হলেন পুনম গুপ্তা। গণিতে স্নাতকের পরে তিনি মাস্টার ডিগ্রি করেন ইংরেজি সাহিত্যে। পরবর্তীকালে বিএড-ও করেন গোয়ালিয়র থেকে এবং ইউপিএসসির, সিএপিএফ পরীক্ষায় ২০১৮ সালে ৮১তম স্থান অর্জন করেন। সমাজ মাধ্যমে পুনম গুপ্তা অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁকে প্রায়ই সক্রিয় দেখা যায়। সিআরপিএফ অফিসারদের জীবন (Rashtrapati Bhavan) নিয়ে তিনি নানা কথা বলেন। এছাড়া নারী সশক্তিকরণের উপরেও তিনি নিজের মত রাখেন। আর কিছুদিন পরেই তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে দেখবেন নববধূর সাজে।

  • Rashtrapati Bhavan: রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হল ও অশোক হলের নাম বদল, কী হল নয়া পরিচয়?

    Rashtrapati Bhavan: রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হল ও অশোক হলের নাম বদল, কী হল নয়া পরিচয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) দুটি গুরুত্বপূর্ণ হলের নাম বদলে দেওয়া হল। দরবার হলের নতুন নাম হল গণতন্ত্র মণ্ডপ। অশোক মণ্ডপ নাম রাখা হয়েছে অশোক হলের।  ‘হল’ শব্দটির সঙ্গ ব্রিটিশ রাজের সম্পৃক্তি আছে তাই এর পরিবর্তে মণ্ডপ অনেক বেশি ভারতীয়ত্ব বহন করে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ওই দুই ঐতিহ্যশালী কক্ষের নতুন নামকরণ করেছেন।

    কেন নয়া নামকরণ

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রপতি ভবন, ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এবং বাসভবন। এটি জাতীয় প্রতীক এবং জনগণের একটি অমূল্য ঐতিহ্য। রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক নিবিড় করে তোলার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের পরিবেশে যাতে ভারতীয় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং আদর্শের প্রতিফলন দেখা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রচেষ্টা।’’ এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঔপনিবেশিক শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে বলে দাবি বিবৃতিতে। 

    দরবার হলের পরিচয়

    রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি ভবনের পরিবেশ ভারতীয় সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও রীতিনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা চলছিল। দরবার বলতে ভারতের এক সময়ের শাসক ও ইংরেজদের সমবেত হওয়ার জায়গাকেই বোঝানো হতো, যার প্রয়োজনীয়তা নেই গণতান্ত্রিক ভারতে। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতের সমাজ ব্যবস্থার মূলে নিহিত ছিল গণতন্ত্র। সেই কারণেই দরবার হলের (Durbar Hall and Ashok Hall) নাম বদলে করা হয়েছে গণতন্ত্র মণ্ডপ।’

    অশোক হলের নতুন নাম

    একেবারে গোড়ার দিকে অশোক হল বলরুম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অশোক বলতে বোঝায় এমন ব্যক্তিকে যিনি যন্ত্রণা ও শোকমুক্ত। অন্যদিকে, সম্রাট অশোকের নামও, যা ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বোঝায়। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতীক এই অশোকস্তম্ভ। এর গভীর তাৎপর্য রয়েছে ভারতের ধর্মীয় ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতিতে। অশোক হলের নাম পরিবর্তন করে অশোক মণ্ডপ করায় অশোক শব্দটির মূল্যবোধ বজায় থাকল। এছাড়াও ঔপনিবেশিক শাসনের চিহ্নও মুছে গেল।’

    আরও পড়ুন: আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের পদক জয়ের সেরা বাজি কারা?

    কী হয় এই দুই হলে

    রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) ঐতিহ্য মেনে দরবার হলে সমস্ত জাতীয় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়। অন্য দিকে অশোক হলটি (Durbar Hall and Ashok Hall) মূলত একটি বলরুম। পূর্বতন ইউপিএ জমানা পর্যন্ত সেখানে প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হত। প্রসঙ্গত, আগেই ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অমৃত মহোৎসবে’র সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের মোঘল উদ্যানের নাম বদলে রাখা হয় অমৃত উদ্যান।  আরও আগে ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি ভবন লাগোয়া রাজপথের নাম বদলে রাখা হয়েছে কর্তব্যপথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • President Murmu: অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টনে মাতলেন রাষ্ট্রপতি! ভাইরাল তাঁর নয়া অবতারের ভিডিও

    President Murmu: অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টনে মাতলেন রাষ্ট্রপতি! ভাইরাল তাঁর নয়া অবতারের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এক অন্য অবতারে ধরা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার কামিজ পরে, কোমরে ওড়না বেঁধে নেমে পড়লেন ব্যাডমিন্টন কোর্টে। তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। গোটা দেশের অভিভাবকও তিনি। তবে ব্যাডমিন্টন হাতেও যে এভাবে চমক দেখাবেন কে জানত? বুধবার অলিম্পিক পদকজয়ী সাইনা নেহওয়ালের (Saina Nehwal) সঙ্গে ব্যাডমিন্টন কোর্টে মুখোমুখি হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও 

    বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। সেখানে দেখা যায়, হাতে ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট এবং পায়ে সাদা স্পোর্টস শ্যু পড়ে একেবারে ম্যাচের মুডে রাষ্ট্রপতি। অধিকাংশ সময়ই সম্বলপুরী শাড়িতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Murmu)। কিন্তু, বুধবার সন্ধ্যায় একেবারে অন্য মুডে ছিলেন তিনি। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাডমিন্টন কোর্টে একেবারে দক্ষ খেলোয়াড়ের মেজাজে নেমে পড়লেন দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ২০১২ অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী সাইনার বিরুদ্ধে ৬৬ বছর বয়সি দ্রৌপদী জিতে নেন একটি পয়েন্টও। সেই দেখে হাততালিতে ফেটে পড়ে ব্যাডমিন্টন কোর্টের দর্শকাসন।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by President of India (@presidentofindia)

    এই ভিডিও পোস্ট করে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়, খেলাধুলার প্রতি খুব স্বাভাবিক ঝোঁক রয়েছে রাষ্ট্রপতির (President Murmu)। তিনি মনে করেন নিয়মিত খেলাধূলা করলে শরীর ও মন তাজা থাকে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্পোর্টসে মহিলাদের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যানে তিনি খুশি। আর সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে পেরেও তিনি খুব খুশি। 

    আরও পড়ুন: ‘কোনও প্রশ্নপত্র হারায়নি, ফাঁসও হয়নি’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন সাইনা

    সাইনা নেহওয়াল, শুধু একজন তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নন বরং পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্তও। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন সাইনা। জানা গিয়েছে, ‘হার স্টোরি-মাই স্টোরি’ নামের ওই অনুষ্ঠানে পদ্ম সম্মান পাওয়া মহিলাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেখানে সাইনা (Saina Nehwal) তাঁর জীবনের কাহিনি নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা শব্দটির সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত। এই শব্দটি মোটেও সুখকর নয়। প্রতারণার চক্করে পড়ে অনেক মানুষের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে প্রতারকরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। আবার এমন মানুষও আছেন, যাঁরা প্রতারণা করে গোটা বিশ্বের ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ধরেছেন। আজ প্রতিবেদনে এমনই এক প্রতারকের সম্বন্ধে আলোচনা করব, যিনি ভারতের সর্বকালের সেরা ছদ্মবেশীদের মধ্যে একজন, তাঁকে সবাই মিস্টার নটবরলাল নামেই চেনে। যার আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। মিথিলেশ শ্রীবাস্তব প্রতারণার দিক থেকে এতটাই দক্ষ এবং পারদর্শী ছিলেন যে তাঁকে ভারতের সর্বসেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শুনলে অবাক হতে হয় যে তিনি তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন, এমনকি লালকেল্লা ও সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বিদেশিদের কাছে।

    কী পরিচয় মিথিলেশের? কীভাবে প্রতারণার হাতেখড়ি তাঁর?

    ১৯১২ সালে ভারতের বিহারের একটি জায়গা জিরাদাতে জন্ম এই মিথিলেশের। পড়াশোনাতে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি স্নাতক পাশ করার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, আর এই পড়াশুনা করার সময় থেকে তাঁর প্রতারণা করার ভাবনা মাথায় আসে। সর্বপ্রথম তিনি তাঁর গ্রামের এক লোকের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। সেই ব্যক্তি শহরের কোনও ব্যাংকে টাকা জমা করতে শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব দেন। ঠিক সেই সময় সেই ব্যক্তির ব্যাংক থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তাঁর স্বাক্ষর নকল করে তুলে নেন এই শ্রীবাস্তব, সেই সময় ১০০০ টাকার বর্তমান মূল্য ছিল প্রচুর।

    তাজমহল থেকে লালকেল্লা, তিনি সব বেচে দিয়েছিলেন

    স্বাক্ষর নকল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণে পারদর্শী ছিলেন মিথিলেশ। তাঁর জন্ম থেকে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা করেছিলেন নটবরলাল। এই প্রতারণা করার খিদে তাঁর মধ্যে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। তাই তিনি বড় কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টাটা থেকে আম্বানি, বিড়লা সবার সই জাল করতে পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা যেমন তাজমহল, লালকেল্লা, সংসদ ভবন  বিদেশিদের কাছে বহু মূল্যে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন তিনি।

    গ্রেফতার হয়েছেন বহুবার, ছিল অসংখ্য মামলা

    এত প্রতারণা করার পর তিনি পুলিশের হাত থেকে কখনই ছাড় পাননি, প্রায় ১০০ টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে। নয় বার আটক হয়েছিলেন নটবরলাল, কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি পালিয়ে এসেছিলেন, কেউ ধরতেও পারেনি। একবার ১৯৯৬ সালে শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি AIIMS এর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।

    প্রতারক হয়েও তিনি জনপ্রিয় 

    বিভিন্ন প্রতারণামূলক ও অপরাধমূলক কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গ্রামের মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রচুর টাকা তিনি তার গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। তাঁকে নিয়ে ভারতে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে মিস্টার নটবরলাল ও ২০১৪ সালে রাজা নটবরলাল খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও তাঁর জীবন নিয়ে ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ শে জুলাই মারা যান নটবরলাল, এই ক্ষেত্রেও তিনি ধাঁধায় ফেলে দেন মানুষকে। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁর আসল মৃত্যুর তারিখ কেউ জানতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    Draupadi Murmu: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদী, যোজন পিছিয়ে যশবন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনের দৌড়ে এগিয়ে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) দ্রৌপদী(Draupadi Murmu)। সোমবার হয়েছে ভোট। মূল লড়াই হয়েছে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha)। ভোটের পরেই স্পষ্ট রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে দ্রৌপদীই, যশবন্ত নয়।

    ইতিমধ্যেই ব্যালট বাক্স চলে গিয়েছে দিল্লিতে। ভোট গণনা হবে ২১ জুলাই। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ২৫ তারিখে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ অবসর নেবেন ২৪ তারিখে। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদের ৭৭১ জন সদস্য ভোট দিতে পারেন। আর বিধানসভার ৪০২৫ জন ভোট দিতে পারেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন ৯৯ শতাংশ ভোটার।

    আরও পড়ুন : দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন উদ্ধব, তোপ যশবন্তের

    রাষ্ট্রপতি পদে কাকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরেছিল আগেই। সেই ফাটল চওড়া হল নির্বাচনের দিন। ক্রশ ভোটিং ঠেকাতে পারলেন না বিরোধী শিবির। এনসিপি ও কংগ্রেসের দুজন করে বিধায়ক বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও গুজরাটের দুই এনসিপি বিধায়ক ও হরিয়ানা এবং ওড়িশার দুই কংগ্রেস বিধায়ক ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। গুজরাটের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কান্ধাল জাদেজাও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সেকথা ঘোষণাও করলেন তিনি। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তির পরে পরেই দলের তরফে শোকজ করা হয় জাদেজাকে। দ্রৌপদীকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে সাফাই দিতে গিয়ে জাজেদা বলেন, আমাকে গুজরাটে থাকতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। তাই ভোটিংয়ের সময় স্বার্থপর হতে পারিনি।

    আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    রাঁচিতে ঝাড়খণ্ডের একমাত্র এনসিপি বিধায়ক কমলেশ সিং বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনিও ঘোষণা করেন যশবন্ত নন, তিনি ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় ন’ হাজারের মতো আদিবাসী ভোটার রয়েছেন। ওড়িশার কংগ্রেস বিধায়ক মহম্মদ মোকিমও ভোট দিয়েছেন দ্রৌপদীকে। তাঁর দাবি, দ্রৌপদী ওড়িশার ভূমিপুত্র। আমি একজন ওড়িয়া। তাই বিবেকের কথা শুনে দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছি। অন্তরাত্মার কথা শুনতে বিধায়কদের বাধা দেওয়া যাবে না। বিবেকের কথা শুনে ক্রশ ভোটিং করেছেন হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক কুলদীপ বিষ্ণোই। বিরোধী প্রার্থী যশোবন্তকে ভোট না দিয়ে, তিনি ভোট দিয়েছেন এনডিএর দ্রৌপদীকে। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার কথা শুনে ভোট দিয়েছি আমিও।

    একাধিক বিধায়কের এই ‘অন্তরাত্মা’র ডাকেই রাইসিনা হিলসের দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

     

     

LinkedIn
Share