Tag: Rashtriya Swayamsevak Sangh

Rashtriya Swayamsevak Sangh

  • RSS: চলতি বছর বিজয়া দশমীতে শতবর্ষে পা দেবে আরএসএস, তুঙ্গে প্রস্তুতি

    RSS: চলতি বছর বিজয়া দশমীতে শতবর্ষে পা দেবে আরএসএস, তুঙ্গে প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর শতবর্ষে (Centenary Year) পদার্পণ করবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। এ বছর তাদের সংগঠনের নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করতে প্রস্তুত তারা। বিজয়া দশমীর দিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আরএসএস। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডঃ কেশব বালিরাম হেডগেওয়ার। আরএসএসের প্রথম শাখা খোলা হয়েছিল নাগপুরে, একদল যুবককে সঙ্গে নিয়ে।

    আরএসএসের প্রভাব (RSS)

    গত ৯৯ বছরে দেশজুড়ে আরএসএস তাদের প্রভাব ব্যাপকভাবে বিস্তার করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আরএসএস কর্তাদের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে গিয়েছে আরএসএস। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশের ৪৫ হাজার ৪১১টি জায়গায় পরিচালিত হচ্ছে ৭২ হাজার ৩৫৪টি শাখা। গত এক বছরে ৩ হাজার ৬২৬টি নতুন জায়গায় ৬ হাজার ৬৪৫টি নতুন শাখা যোগ হয়েছে। শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তৈরি হয়েছে এই শাখাগুলি। আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতি সপ্তাহে এক ঘণ্টার জন্য কোনও একটি জায়গায় একত্রিত হন। একে বলে সাপ্তাহিক শাখা। বর্তমানে এমন শাখার সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৬৯টি। ২০২৪ সালে সাপ্তাহিক শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ১৪৭টি। 

    ‘সংঘ মণ্ডলী’

    এখনও দেশের এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আরএসএস (RSS) মনে করে আরও সক্রিয়ভাবে পৌঁছানো প্রয়োজন। যেসব জায়গায় প্রতিদিনের শাখা এখনও চালু হয়নি, সেখানে মাসিক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এভাবেই প্রতিদিনের শাখা চালুর জন্য মাটি প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে, এমন মাসিক সভা হয় ১১ হাজার ৩৮২টি জায়গায়। ২০২৪ সালে এমন ৭৫০টি নতুন জায়গা যোগ হয়েছে যেখানে এই মাসিক সভা হয়। আরএসএসের পরিভাষায় এই মাসিক সভার দলগুলোকে বলা হয় ‘সংঘ মণ্ডলী’ (Centenary Year)। ২০২৪ সালে আরএসএস সরাসরি ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫টি জায়গায় তার কাজকর্ম বিস্তার করেছে। এর সঙ্গে আরএসএস-প্রাণিত প্রায় ৩৬টি সংস্থার কার্যক্রম যোগ করলে দেখা যাবে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের বিপুল প্রচার দিন দিন অতুলনীয় হয়ে উঠছে।

    দেশবাসীর পাশে আরএসএস

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বারংবার ভারতবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে আরএসএস। বছরভর সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ দেওয়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে তারকেশ্বরী নদীর বন্যার সময় ত্রাণ শিবির খুলে ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে আরএসএসের তরফে। ওড়িশার ভয়াবহ বন্যার সময় ৪ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাবার ও পানীয় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরলের ওয়েনাড়ে বিধ্বংসী ভূমিধসের পর দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আরএসএসের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক। তাঁদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়া হয় আরএসএসের তরফে। গুজরাটের ভাদোদারা, জামনগর এবং দ্বারকা অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময়ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা (Centenary Year)। এর পাশাপাশি সংঘ স্বয়ংসেবকরা বিভিন্ন দুর্যোগে প্রাণ হারানো ৬০০-এরও বেশি মানুষের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (RSS) পালন করেছেন। মৃতদের প্রত্যেকের ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

    শতবর্ষ পূর্তি

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি হবে চলতি বছরের বিজয়া দশমীর দিন। তখনই শুরু হবে শতবর্ষপূর্তি উৎসব। এ বছরের প্রথম দশ মাস ধরে শতবর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নেবেন আরএসএসের স্বেচ্ছাসেবকরা। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরএসএস দুটি প্রধান ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে। প্রথমত, সাংগঠনিক দিক। আরএসএস আরও বেশি করে পূর্ণ সময়ের কর্মী সংগ্রহের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এর লক্ষ্য হল দেশের প্রতিটি গ্রাম, শহর ও নগরে আরএসএসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। আরএসএসের কাছে কোনও কিছু উদযাপন মানে চকচকে ইভেন্ট বা জাঁকজমকপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করা নয়। আরএসএস উদযাপন করে তার সংগঠন সম্প্রসারণের জন্য বড় লক্ষ্য গ্রহণ করে এবং বর্তমানে যে নেটওয়ার্ক রয়েছে, তাকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে। এর আগের কিছু সরসংঘচালকের শতবার্ষিকীও ঠিক এভাবেই উদযাপন করেছিল তারা। ২০২৫ সালে আরএসএসের আর একটি লক্ষ্য হল যুবসমাজকে (RSS) বেশি করে কাছে টানা। যাতে তারা কেবল তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গেই যুক্ত হয় না, তারা যাতে সমাজের সেবাও করতে পারে, তার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    সামাজিক রূপান্তর

    দ্বিতীয় যে ক্ষেত্রটিতে আরএসএস নতুন করে জোর দিচ্ছে, তা হল সামাজিক রূপান্তর। এই কাজের আদর্শ কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল ২০২৪ সালে। নাম দেওয়া হয়েছিল “পঞ্চ পরিবর্তন” উদ্যোগ – পাঁচটি রূপান্তরকারী ধারণার একটি সেট। আরএসএস কর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধারণাগুলি নিয়ে যোগাযোগ করবেন। এগুলি বাস্তবায়নের জন্যও কাজ করবেন তাঁরা। এই পাঁচটি ধারণার মূল ফোকাসের ক্ষেত্রগুলি হল- ব্যক্তিগত উন্নয়ন: “স্বরাজ” (স্বনির্ভরতা এবং আত্মসচেতনতা)-কে কেন্দ্র করে জীবনধারার প্রচার। সামাজিক সম্প্রীতি: সমাজে ঐক্যের সম্পর্ক গড়ে তোলা। পারিবারিক মূল্যবোধ: শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন ও ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেওয়া। পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণের প্রচার। এবং নাগরিক দায়িত্ব: নাগরিক দায়িত্ববোধ ও সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রচার (RSS)।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদরা যখন আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক এবং এর নির্বাচনী প্রভাব বিশ্লেষণ করতে ব্যস্ত থাকেন, তখন আরএসএস তার সাংগঠনিক সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করে। আরএসএস নির্বাচনী রাজনীতির বিষয়ে খুব কমই চিন্তা করে। ২০২৫ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে, যেমনটা রয়েছে গত ৯৯ বছর ধরে (Centenary Year)। এটাই আরএসএসের প্রকৃত শক্তি (RSS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

     

  • RSS: সরকারি কর্মীদের আরএসএস করতে রইল না বাধা, কংগ্রেস-আমলের আদেশনামা বাতিল কেন্দ্রের

    RSS: সরকারি কর্মীদের আরএসএস করতে রইল না বাধা, কংগ্রেস-আমলের আদেশনামা বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীরা আরএসএস (RSS) করতে পারবেন না, এই বিষয়ে ৫৮ বছর আগে ১৯৬৬ সালে আদেশনামা জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। অবশেষে সেই নির্দেশকে তুলে দিল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এর আগে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গত ২০১৮ সালেই আবেদন করেছিল যে সরকার যেন বিষয়টি ফের বিবেচনা করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলা হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেন আগের সরকারি নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ সরকারি চাকরিরতরাও চান যাতে তাঁরাও দেশ গঠনের কাজে অংশ নিতে পারেন।

    কী বলছেন আরএসএস-এর (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর

    আরএসএস-এর সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আগের সরকার সঙ্ঘের মতো একটি গঠনমূলক সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে নিষেধ করেছিল সরকারি কর্মীদের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) গত ৯৯ বছর ধরে জাতির পুনর্গঠনে এবং সমাজের সেবায় নিযুক্ত রয়েছে।’’ সুনীল আম্বেকর আরও উল্লেখ করেন, ‘‘জাতীয় সুরক্ষা, ঐক্যের ক্ষেত্রে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য করার জন্য বারবার প্রশংসিত হয়েছে আরএসএস।’’

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ৫৮ বছর আগে করা ‘অসাংবিধানিক’ একটা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে তুলে নিল মোদি সরকার।

    ১৯৬৬ সালে কংগ্রেসের সরকারের আদেশনামা

    প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এমনকি সেই সময় আরএসএসের সঙ্গে মিটিং করা ও এমন ধরনের মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যে কোনও ধরনের আরএসএস-এর (RSS) সংষ্পর্শে না যাওয়ার ক্ষেত্রে আদেশ জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। পরে জনতা সরকারের আমলে এই নিষিদ্ধকরণ সাময়িকভাবে তোলা হয়েছিল। ফের ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশ পুনরায় লাগু করে। ২০০০ সালে গুজরাটের বিজেপি সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলেছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যসভায় শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহত। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে প্রথমে মজার ছলে কথোপকথন শুরু হয়। কিন্তু খাড়গে তাঁর বক্তব্য আরএসএস (RSS) কেন্দ্রিক করতেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। নিটের বিষয়ে আলোচনা ইস্যুতে আরএসএসকে অহেতুক জড়িয়ে তির্যক মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি জগদীপ ধনখড়।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, নিটের ৭০ টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাত বছরে লিক হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সবকিছু জেনেও চুপ থেকেছে মোদি সরকার। এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লোকেরা (RSS) দেশের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্থায় ঢুকে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ এনসিইআরটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আরএসএস-এর লোকেরা বসে আছেন।

    জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা জবাব (RSS)

    পাল্টা জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) প্রশ্ন করেন, আরএসএস করা কি অপরাধ? আরএসএস করলে কি কোনও ব্যক্তির কোনও সংস্থার প্রবেশাধিকার নষ্ট হয়ে যায়। আরএসএসের (RSS) প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আরএসএস রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য দায়বদ্ধ। রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বয়ংসেবকদের অবদান অনস্বীকার্য।” সোমবার কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ভাষণের প্রস্তাবের আড়ালে সরকার তাদের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে গরীব, দলিত ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষের কথা বলছে, সেই সময় মোদি শুধু মন কি বাত করে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের সময় বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখার জন্য অভিযুক্ত করে খাড়গে বলেন, “এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করেননি।” কংগ্রেস পার্টির ম্যানিফেস্টোকে যেভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অবাঞ্ছিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    Bhajanlal Sharma: বসেছিলেন বৈঠকের শেষ সারিতে! তার পরেই ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই বিজেপি ঘোষণা করেছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভজনলাল শর্মার (Bhajanlal Sharma) নাম। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন ভজনলাল। যদি বাকি দুটি রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা যায় ছত্তিসগড় অথবা মধ্যপ্রদেশ, সেখানে দেখা যাবে মোহন যাদব অথবা বিষ্ণু দেও সাই-দুজনেই প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। মোহন যাদব মধ্যপ্রদেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং বিষ্ণু দেও সাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু সেদিক থেকে ভজনলাল শর্মা একেবারেই আনকোরা।

    কোনও আভাস পায়নি কেউ-ই

    ভজনলালকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করে বিজেপি সব বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞকে পাঁচ গোল দিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পরে যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে ভজনলাল শর্মাকে (Bhajanlal Sharma) দেখা যাচ্ছে একেবারে শেষের সারিতে তিনি বসে রয়েছেন। এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। খবরে প্রকাশ, মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম নির্বাচনের বৈঠকেও একেবারে শেষের সারিতে বসেছিলেন ভজনলাল। সেই সময় তিনি কোনও আভাসই পাননি যে, কিছুক্ষণের মধ্য়েই তাঁর জীবন আমূল পাল্টাতে চলেছে…!

    পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না বিজেপি

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে এটাই বিজেপি। বিজেপি একটি সাংগঠনিক দল। শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। কখনই পরিবারবাদে বিশ্বাস রাখে না। রাজস্থান সহ তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এখানে যে কোন কর্মীও সর্বোচ্চ পদপ্রাপ্তির কথা ভাবতে পারেন। তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও পরিবার থেকে আসতে হয় না। ব্যক্তি প্রাধান্য এখানে দেখা যায় না। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সূচনা অবশ্য ছাত্র রাজনীতি থেকে করেছিলেন ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভজনলালের সাংগঠনিক যাত্রা।

    ভজনলাল শর্মা ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে

    তাঁকে মনোনীত করার জন্য ভজনলাল শর্মা ইতিমধ্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। ভজনলাল শর্মা (Bhajanlal Sharma) জিতেছেন সানগানের আসনটি থেকে। কিন্তু তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা নন, ভরতপুরের বাসিন্দা। সানগানের আসনটি বিজেপির একটি শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির শক্তিশালী ভোট ব্যাঙ্ক সেখানে রয়েছে। কখনই সেখানে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট নামে না গেরুয়া শিবিরের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনই বিপুল অনলাইন প্রণামী পড়ল রাম মন্দিরে, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ram Mandir) হয়েছে ২২ জানুয়ারি সোমবার। ঠিক তার একদিন পরেই অনলাইনে প্রণামী পড়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এমনই তথ্য পাওয়া গেল রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে। ট্রাস্টের সদস্য অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, প্রণামীর জন্য দশটি কাউন্টার খোলা হয়েছিল বালক রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে। অনেক ভক্ত সারা দেশ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের প্রণামী পাঠিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন মঙ্গলবার অর্থাৎ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক একদিন পরেই। একই সংখ্যক ভক্তদের দেখা গিয়েছে বুধবারও। অনিল মিশ্রের কথায়, ‘‘তিন কোটি সতেরো লাখ টাকা প্রণামী অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রণামী এসেছে শুধু মঙ্গলবারই।

    প্রতি সোমবার গোনা হবে মন্দিরে প্রাপ্ত প্রণামী বাবদ টাকা

    রাম মন্দিরে (Ram Mandir)  যে সমস্ত ভক্তরা গিয়ে প্রণামী দিয়েছেন সেই তার মূল্য নির্ধারণ হবে আগামী সোমবার। তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রতি সোমবারই প্রণামী বাবদ যত টাকা পড়বে তা গোনা হবে। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে রাম মন্দির ট্রাস্টের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্বয়ংসেবকরা মন্দির চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ভূমিকা পালন করবেন। রাম ভক্তদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় মন্দির দর্শনে তাও দেখবেন স্বয়ংসেবকরা।

    বালক রামের দর্শনের নতুন সময়

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এবার সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বালক রামের দর্শন করা যাবে। অর্থাৎ কেবল ভোগদান ও সন্ধ্যা আরতির সময় মন্দিরের মূল দরজা সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। ভিড়ের চাপ সামলাতে এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ২ দিন সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত বিগ্রহ দর্শন করতে পারছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু, ভিড়ের চাপ সামাল দিতে এবার এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: ভারতে যাঁরা বাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু, ফের বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতে যাঁরা বাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু, ফের বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেও একাধিকবার বলেছিলেন কথাটা। ফের বললেন। ভারতে (India) যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু (Hindu)। এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। মঙ্গলবার তিনি আবারও মনে করিয়ে দেন ভারতীয়দের প্রত্যেকের ডিএনএ এক। তবে সেজন্য যে ধর্মপথ বদলানোর প্রয়োজন নেই, তাও জানিয়ে দেন তিনি।  

    ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলার অম্বিকাপুরে সংঘের সদর দফতরে স্বয়ংসেবকদের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি বারংবার ভারতে যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য বিরাজমান, তার উল্লেখ করেন। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য যে ভারতের বহু পুরানো বৈশিষ্ট্য, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। সরসংঘচালক বলেন, গোটা বিশ্বে হিন্দুত্বই একমাত্র ধারণা, যা সবাইকে আপন করে নেওয়ায় বিশ্বাস করে।

    আমরা ১৯২৫ সাল থেকে…

    এদিনের সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, আমরা ১৯২৫ সাল (আরএসএসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই বছর) থেকে বলে আসছি যে ভারতে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু। যাঁরা ভারতকে তাঁদের মাতৃভূমি বলেন মনে করেন এবং যাঁরা বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতির সঙ্গে বসবাস করেন এবং এই পথেই চলেন, তাঁদের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, আদর্শ যাই হোক না কেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু।

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, তামাম বিশ্বে হিন্দুত্বই একমাত্র ধারণা, যা বিশ্বাস করেন বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যে। কারণ এই দেশ হাজার হাজার বছর ধরে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে ধারণ করে আসছে। তিনি বলেন, এটাই সত্য এবং আপনাকে এটা দৃঢ়ভাবে বলতে হবে। এর ভিত্তিতেই আমরা ক্রমেই আরও ঐক্যবদ্ধ হব। ভাগবত বলেন, সংঘের কাজই হল প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে গড়ে তোলা, এবং জাতীয় চরিত্র গড়ে তোলা, এবং মানুষের মধ্যে ঐক্য আনয়ন করা।

    আরও পড়ুন: https://www.madhyom.com/india/rss-doesn-t-believe-in-minority-majority-binary-says-sunil-ambekar-4817

    এদিন আরএসএস প্রধান ফের বলেন, বৈচিত্র সত্ত্বেও আমরা সবাই এক। আমাদের পূর্বপুরুষ এক। প্রত্যেক ভারতীয় যারা ৪০ হাজার বছর ধরে অখণ্ড ভারতের অংশ, তাঁদের প্রত্যেকের ডিএনএ এক। সরসংঘ চালক বলেন, প্রত্যেকের বিশ্বাস এবং ধর্মীয় আচরণকে শ্রদ্ধা করুন। প্রত্যেককে গ্রহণ করুন এবং নিজের পথে চলুন। আপনার ইচ্ছা পূরণ করুন। কিন্তু এত স্বার্থপর হবেন না যে অন্যের ভালর ব্যাপারে যত্নবান হবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে ভারত (India)। নয়াদিল্লির সেই অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। এই দুই দেশের যুদ্ধ যে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে, তাও জানিয়ে দেন আরএসএস প্রধান।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    নাগপুরে আরএসএসের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন সংঘ প্রধান। সেখানেই উঠে আসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ এবং তাতে ভারতের অবস্থান। এই যুদ্ধে পশ্চিমের দেশগুলি অস্ত্র সাহায্য করছে বলেও সাফ জানান তিনি। ওই দেশগুলি ভারত এবং পাকিস্তানকে সমরাস্ত্র পরীক্ষার ভরকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ ভাগবতের।

    এর পরেই তিনি বলেন, ভারতকে সত্য বলতে হবে। অবলম্বন করতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ পন্থাও। আরএসএস প্রধান বলেন, সৌভাগ্যবশতঃ ভারত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারসাম্যের নীতি নিয়েছে। এদেশ আক্রমণকে সমর্থন করেনি। আবার রাশিয়ার বিরোধিতাও করেনি। সাউথ ব্লক যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করেনি, তবে তাদের অন্যান্য সহায়তা দিয়ে আসছে।

    ভাগবত বলেন, ভারত ক্রমাগত রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে বলছে। তিনি বলেন, যারা আলোচনার বিরোধিতা করছে, তাদের কোনও ভাল উদ্দেশ্য নেই। এই প্রসঙ্গেই ভাগবত পশ্চিমের দেশগুলিকে একহাত নেন। তাঁর মতে, অতীতেও দেখা গিয়েছে যে ভারত ও পাকিস্তানকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিত এবং নিজেদের তৈরি সমরাস্ত্র পরীক্ষা করত পাশ্চাত্য দেশগুলি। এখানেও সেরকম কিছু চলছে। 

    ভাগবত বলেন, ভারতের আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। একমাত্র তাহলেই সংকট রোখার অবস্থানে থাকবে দেশ। তিনি বলেন, ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী হলে যুদ্ধ বন্ধ করে দিত। কিন্তু তা পারে না। দেশের শক্তি এখনও বাড়ছে। তবে সম্পূর্ণ হয়নি।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির ঝটিকা ইউরোপ সফর কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    সংঘচালক বলেন, শক্তি থাকা সত্ত্বেও চিন কেন তাদের থামাচ্ছে না? কারণ এই যুদ্ধে তারাও কিছুর গন্ধ পাচ্ছে। এই যুদ্ধ আমাদের মতো দেশগুলির জন্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়েছে। বিশ্বের এই সব সংকট মোকাবিলার জন্যই ভারতকে শক্তিশালী হতে হবে বলেও মনে করেন সংঘচালক। বলেন, আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। যদি ভারতের পূর্ণ শক্তি থাকত, তাহলে এমন ঘটনা বিশ্বে ঘটত না। প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণ করে রাশিয়া। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধের আঁচে গোটা বিশ্বেই জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। যার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।

     

  • Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    Mohan Bhagwat: হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) ও মুসলমানদের (Musalman) উচিত তাঁদের মধ্যে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা। দিন কয়েক আগে নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) দীক্ষান্ত ভাষণে একথা বলেছিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। হিন্দু-মুসলিম (Hindu-Muslim) সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য আরএসএসের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ডিএনএ একই। নাগপুরে সম্প্রতি তিনি যা বলেছেন, তাও তাঁর পূর্ববর্তী বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আরএসএস (RSS) ভারতের সমস্ত ধর্ম ও তার অনুসারীদের একটি জাতি হিসেবে বিবেচনা করে। আরএসএস মনে করে তারা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    ১৯৭১ সালে ডক্টর সইফুদ্দিন জিলানিকে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএসের দ্বিতীয় সংঘচালক এমএস গোলওয়ালকার বলেছিলেন, ভারতীয়করণ মানে সমস্ত মানুষকে হিন্দু ধর্মে রূপান্তরিত করা নয়। বরং আমরা সবাই উপলব্ধি করি যে আমরা এই মাটির সন্তান এবং আমাদের এই মাটির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। আমরা সবাই একই সমাজের এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা অভিন্ন। এটা বোঝাই প্রকৃত অর্থে ভারতীয়করণ।

    তিনি বলেছিলেন, ভারতীয়করণের অর্থ এই নয় যে একজনকে তাঁর ধর্মীয় ব্যবস্থা ছেড়ে দিতে বলা। আমরা এটা বলিনি, বলছিও না। বরং আমরা বিশ্বাস করি যে সমগ্র মানব সমাজের জন্য একটি ধর্মীয় ব্যবস্থা যথাযথ নয়। সংঘচালকের এই বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকরের বক্তব্যেও। ‘দ্য আরএসএস রোডম্যাপস টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ভারতে মুসলিম ও খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরাও হিন্দু জীবনধারা অনুসরণ করেছিলেন। আমাদের দেশে কয়েক হাজার বছর ধরে উপাসনার বিভিন্ন ধারা গড়ে উঠেছে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    তিনি বলেন, ভারতীয় হয়ে জন্ম নেওয়া মানে ভারতীয় সংস্কৃতির বংশধর হওয়া। তাঁর মতে, মাতৃভূমি কোন আঞ্চলিক মানচিত্র নয়, এটি একটি মহান আধ্যাত্মিক সত্তা। হিন্দু রাষ্ট্র মানেই যে মুসলিম বিরোধী, তা নয় বলেই জানান আম্বেকর। তিনি বলেন, হিন্দু রাষ্ট্র মুসলিম-বিরোধী নয়। হিন্দুত্বকে একটি সংকীর্ণ ধারণা হিসাবে উপস্থাপন করা একেবারেই ভুল।

    প্রায় একই ধরনের বক্তব্য উঠে এসেছে আরএসএস মতাদর্শ অনুসারী মনমোহন বৈদ্যের গলায়ও। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা বিশ্বাস করি যে সমস্ত ধর্ম একই গন্তব্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই সব ধর্মই সমান। ভারতে ৯৯ শতাংশ মুসলমান এবং খ্রিস্টান ধর্মান্তরিত হয়েছেন। এঁদের উৎপত্তি ভারতে। আরএসএস সব ভারতীয়কেই হিন্দু বলে মনে করে। এঁরা এই জাতিকে তাঁদের মাতৃভূমি বলে মনে করেন এবং এর জন্য মরতেও প্রস্তুত। তাঁরা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে উপাসনা করছেন, তা বড় কথা নয়, সংঘের চোখে তাঁরা সবাই হিন্দু।

    বস্তুত, আরএসএসের চোখে হিন্দু (Hindu) ও ভারতীয় (Indian) শব্দ দুটি সমার্থক। আসলে আরএসএসের লক্ষ্য হল ভারতকে (India) একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুরই বারবার ধরা পড়েছে সংঘ প্রধানদের গলায়।

     

     

LinkedIn
Share