Tag: Rath

Rath

  • Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মন্দিরে বিধর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও জগন্নাথ দর্শন না করেই পুরী থেকে ফিরতে হয়েছিল শুকনো মুখে (Muslim Devotee)। তবে পুরীর রথযাত্রার (Rath yatra 2025) সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের এক মুসলমান ভক্তের কাহিনি। আজ আমরা জানব সেই চমকপ্রদ কাহিনি।

    ভক্ত সালবেগা (Rath yatra 2025)

    ওড়িশার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। চন্দ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় রথে চড়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রা। আটদিন মাসির বাড়িতে কাটিয়ে ত্রিদেব ফিরে যান শ্রীমন্দিরের রত্নবেদিতে। এই রথযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত সালবেগার ভক্তিগাথা। তিনি ছিলেন ওড়িশার ভক্ত-কবি। মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন জগন্নাথদেবের উপাসনায়।

    জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়

    এক মুঘল সুবেদার ও হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার পুত্র সালবেগা। এক মারাত্মক আঘাত পেয়েও দৈবীবলে বেঁচে যাওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন জগন্নাথ দেবের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি স্বপ্নে দেখেন, জগন্নাথ স্বয়ং তাঁর চিকিৎসা করছেন। আর তিনি প্রতিদিনই সুস্থ হচ্ছেন একটু একটু করে। সুস্থ হয়ে উঠে সালবেগা তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়। রচনা করেন চিরস্মরণীয় একাধিক ভজন ও ভক্তিগীতি। এর মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হল ‘আহে নীলা শৈল’ (Rath yatra 2025)।

    কিংবদন্তী অনুসারে, একবার রথযাত্রার সময় মাঝ পথে আচমকাই থেমে যায় জগন্নাথের রথ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সালবেগা। তারপর ফের রথ চলতে শুরু করে। পরে ওই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। সালবেগার প্রতি জগন্নাথদেবের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আজও ওই মন্দিরের সামনে কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যায় জগন্নাথদেবের রথ। সালবেগার ভক্তিভাবনায় পরিপূর্ণ ভজন ও গান আজও মুখে মুখে ফেরে ওড়িশাবাসীর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেই গানের মাধ্যমে (Muslim Devotee) ভক্ত সালবেগার ভক্তিরস পৌঁছে যায় স্বয়ং জগন্নাথ দেবের কানে।

    তিনি যে ভক্তের ভগবান (Rath yatra 2025)!

  • Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    Rath Yatra: ভোগের পদ আড়াইশো! ইসকনে মাসির বাড়িতে পরম আদরে প্রভু জগন্নাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার মায়াপু্রের ইসকন মন্দিরে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে রয়েছেন জগন্নাথ দেব। উল্টোরথের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ফিরবেন রাজাপুরের মন্দিরে। আপাতত শতাধিক পদে মহা আনন্দে খাওয়া-দাওয়ায় দিন কাটছে ভগবান জগন্নাথ দেব সহ ভ্রাতা বলরাম ও ভগিনী সুভদ্রার।

    পদ সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে

    নামেই ছাপ্পান্ন ভোগ। কিন্তু সংখ্যায় পদ ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াইশো। মাসির বাড়িতে এমনই বিপুল আয়োজন। কী নেই মেনুতে? ফলমূল, শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাউমিন, পিঠেপুলি, লুচি, পায়েস এবং বিভিন্ন রকমারী মিষ্টি। দেশি-বিদেশি মেনুতে জনা পঞ্চাশেক রাঁধুনি ও তাদের সহযোগীরা দিনভর দুবেলা জগৎপতি জগন্নাথের আতিথেয়তায় ব্যস্ত। আর ঠিক এভাবেই উল্টো রথ বুধবার পর্যন্ত মহা আনন্দে রকমারী পদ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করে পুনরায় নিজের স্থায়ী নিবাসে ফিরে যাবেন প্রভু। প্রতিদিন জগন্নাথ দেবকে ভোগ নিবেদনের পর প্রসাদ পাচ্ছেন কয়েক হাজার ভক্ত। মায়াপুর ইসকন মন্দির পরিচালিত এই রথযাত্রা উৎসব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মেলবন্ধনে এক  মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

    কী বলছেন ইসকনের আধিকারিক?

    এ বিষয়ে ইসকন মায়াপুর মন্দিরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন ভগবান জগন্নাথ দেব সহ বলদেব ও সুভদ্রা দেবী রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির থেকে সুসজ্জিত তিনটি রথে (Rath Yatra) চেপে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার পর  ইসকন মন্দির সংলগ্ন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী অস্থায়ী মাসীর বাড়ি গুন্ডিচায় এসে পৌঁছেছেন। এই সাতদিন আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করি তাঁদের বিভিন্ন রকমারী পদ দিয়ে ভোগ নিবেদন করার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জগতের নাথ যে কদিন মাসির বাড়িতে থাকবেন, ততদিন তাঁর পছন্দের সব ধরনের খাবার তৈরি করে তাঁকে সন্তুষ্টি করার চেষ্টা করেন ভক্তরা। বছরে একটি বার ভ্রাতা ও ভগিনীকে নিয়ে মাসির বাড়ি আসেন জগতের নাথ জগন্নাথ। তাঁর যত্নআত্তিতে যাতে কোনও রকম খামতি না থাকে, তার জন্য সর্বদা খেয়াল রেখে চলেছেন ইসকনের ভক্তরা।’’ ভগবান জগন্নাথ দেব বুধবার উল্টো রথের (Rath Yatra) দিন দুপুরের পর নিজগৃহ রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে যাবেন। ততদিন ইসকনে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে তৈরি সুসজ্জিত গুন্ডিচায় বিভিন্ন ধর্মীয় সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসির বাড়ি থেকে উল্টোরথের (Rath) দিন ফেরেন প্রভু জগন্নাথ। সেই আনন্দে মেতেছেন দেশ-বিদেশের ভক্তরা। উল্টোরথ ঘিরে ত্রিপুরায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রথে আগুন লাগায় প্রাণ হারালেন ৭ জন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    উল্টোরথ (Rath) উপলক্ষে এদিন বিকাল থেকেই ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কুমারঘাটে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। জানা গিয়েছে, ফি বছর এই রথের মেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে আচমকা রথে ধরে যায় ভয়াবহ আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া গোটা রাজ্যে।

    কীভাবে আগুন লাগে?

    রথে (Rath) আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরায় উনাকোটি জেলায়। খবর যায় দমকলেও। সূত্রের খবর, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ১৩৩ কিলো-ভোল্টের হাই-টেনশন লাইনের সংস্পর্শে এসে যায় রথটি। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। আগুনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সমবেত জনতার মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কুমারঘাটে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে ওই ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এল রথটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রথযাত্রার জন্য আগে থেকেই যেখানে বিদ্যুতের তার উঁচু করে দেওয়া হয় এবং রথের উচ্চতাও স্থির করে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারত

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি এদিন ঘোষণা করেন, নিহতদের সন্তানদের ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ষাট শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে যাঁদের শরীর তাঁরা পাবেন আড়াই লাখ টাকা। অন্যদিকে ৪০-৬০ শতাংশ শরীর পুড়েছে যাঁদের, তাঁরা পাবেন ৭৪ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, উনাকোটির জেলা শাসকের নেতৃত্বে চলবে এই তদন্ত।

    নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “কুমারঘাটে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় উল্টো রথ টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজন  প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অনেকে আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই। এই কঠিন সময়ে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share