Tag: Ration Scam Case

Ration Scam Case

  • ED: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    ED: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেক পরে ফের ইডির (ED) তলব অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ২০১৯ সালে ইডি তাঁকে জেরা করেছিল বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায়। আর এবার অভিনেত্রীকে তলব করা হয়েছে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে। যে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেলে বন্দি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সেই কাণ্ডেই এবার তলব করা হয়েছে ঋতুপর্ণাকে।

    ঋতুপর্ণাকে তলব ইডির (ED)

    ৫ জুন ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, তার ঠিক আগের দিনই ফল ঘোষণা হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের। বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী। বুধবারই ই-মেলে তলব করা হয়েছে তাঁকে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর নগদ প্রায় এক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। কেন লেনদেন করা হয়েছে ওই পরিমাণ নগদ অর্থ, পাঠানোই বা হয়েছে কোথায়, তা জানতেই অভিনেত্রীকে তলব বলে ইডিরই সূত্রের খবর।

    রোজভ্যালিকাণ্ডে তলব

    এক সময় টলিউডের বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছিল বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালি। তার কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি। সেই সূত্রেই রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল অভিনেত্রীর। তার জেরেই ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তাঁকে ও প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা।

    রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। এই তালিকায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যও। রেশন ডিলার বাকিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বাকিবুরই মূল অভিযুক্ত বলে খবর।

    আর পড়ুন: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কয়েকজনকে জেরা করার সময় একাধিকবার শোনা গিয়েছে ঋতুপর্ণার নাম। কেবল তাই নয়, রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর নগদ প্রায় এক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই ফের একবার ইডির মুখোমুখি হতে হবে টলিউডের এই অভিনেত্রীকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিনেত্রীকে কোন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে, তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ইডির আধিকারিকরা। এখন দেখার, মার্কিন মুলুক থেকে এসে অভিনেত্রী ইডির (ED) মুখোমুখি হন কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্যে রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam case) এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। দুটি মামলায় ত্রুটি আছে। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত চলছে বলে ওই রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য। 

    ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল 

    অন্যদিকে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী ১৭ জুন আদালতে (Calcutta High Court) জবাব দেবে ইডি। ২৪ জুন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। গাইঘাটা থানার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সব রেশন দুর্নীতির মামলা ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam case)  তদন্তভার নিজেদের হাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের কোন কোন থানায়, মোট কয়টি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার একটি তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির সেই দাবির ভিত্তিতেই সোমবার রাজ্যের আইনজীবী আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন।

    অভিযোগ পেয়েও চোখ কান বুজে বসেছিল পুলিশ

    এদিকে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam case) তদন্তে নেমে ইডির হাতে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির টাকা পাঠানো হয়েছে বিদেশে। এদিকে দুর্নীতির তদন্ত যথাযথ হয়নি। উল্টে মূল এফআইআর রাজ্য পুলিশ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

    আরও পড়ুন: মুখের মিলেই মিশরে ব্যাপক জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক অভিজিৎ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam case) গত বছর ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাঁকে। ইডির দাবি, খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রেশন বণ্টনে দুর্নীতির কথা জানতেন জ্য়োতিপ্রিয়। এফআইআর দায়ের থেকে সিআইডি তদন্ত, চালকল-গমকল মালিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, সবই তাঁর নজরে ছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ration Scam: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    Ration Scam: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ দাসের পর এবার রামস্বরূপ শর্মা। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ‘ফাঁসাচ্ছেন’ (Ration Scam) তাঁরই ঘনিষ্ট বৃত্তের লোকজন। দিন কয়েক আগে জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস দাবি করেন, মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর মা ও স্ত্রীকে কোম্পানির ডিরেক্টর করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এবার মুখ খুললেন পরিচারক রামস্বরূপও।

    ‘বালুদার কাছে কাজ করতাম’

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় রামস্বরূপ জানিয়েছেন, বিহার থেকে ভাগ্যান্বেষণে ১৯৯৩ সালে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কলেজ স্ট্রিটে সেলুন খুলেছিলেন। এখানেই বাড়ি ছিল জ্যোতিপ্রিয়রও। রামস্বরূপ বলেন, “আমি ’৯৩ সালে কলকাতায় এসেছি। সেলুন আছে। কলেজ স্ট্রিটের ওখানে ফুটপাতের ওপর সেলুন ছিল। এখনও আছে। এখানেই একটি বাড়িতে থাকতেন দাদা। দাদার বাজার এটা সেটা করে দিতাম। ২০ বছর কাজ করার পর দাদা আমাকে একটা চাকরি দিয়েছে। ১০ বছর হয়ে গিয়েছে চাকরির।” রামস্বরূপ (Ration Scam) বলেন, “আমি সাহেবের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন হিসেবে নিই। ৫ লক্ষ টাকা শোধও করেছি। আরও ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন সাহেব।” তিনি বলেন, “আমি বালুদার কাছে কাজ করতাম। ওঁর কাছ থেকেই নিয়েছি।”

    ‘কোম্পানির ব্যাপারে কিছুই জানি না’

    ইডি জেনেছে, এই রামস্বরূপ একটি সংস্থার ডিরেক্টর। কীভাবে ডিরেক্টর হলেন? ইডি-র দাবি, রামস্বরূপ জেরায় বলেন, “কোম্পানির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। খবরে শুনেছি। আমি এসব কিছুতেই নেই। ওসব নামও আমি জানি না। বালুদার নাম করে কিছু লোক আমার কাছে সই করিয়েছিল। আমি সই করে দিয়েছি। এ ছাড়া আমি আর কিছু জানি না। আমি অতশত বুঝি না। আমি হিন্দিতে লেখাপড়া জানি। বিহারে ক্লাস সিক্স-সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলাম। আমি ইংরেজি কিছু জানি না। বলল, দাদা পাঠিয়েছে, সই করে দাও। আমি জানি না, কিছু বুঝিও না। এর পিছনে কিছু বলার নেই।”

    আরও পড়ুুন: “যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই”, যুদ্ধের মাসপূর্তিতে সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    তিনি বলেন, “আমার তো ধোয়া, মোছা, পরিষ্কার করার কাজ (জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে)। করতেই হয়। কৃষি দফতরেও কাজ করি। চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি।” ইডির (Ration Scam) দাবি, চালকলের মালিকের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে টাকা না নিয়ে সম্পত্তি নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সেই সম্পত্তি আবার নিজের নামে রাখেননি। পরিচারকের নামে দানপত্র লিখিয়ে নেন ওই চালকল মালিকের কাছ থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Ration Scam Case: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র কনভয়ে থাকত ব্যবসায়ী বাকিবুরের গাড়ি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Ration Scam Case: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র কনভয়ে থাকত ব্যবসায়ী বাকিবুরের গাড়ি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় (Ration Scam Case) জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয়ের মধ্যেই থাকত পেশায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের গাড়ি।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    মঙ্গলবার ইডির আধিকারিকরা জেরা করেছিল জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অমিত দে-কে। তার পরেই বের হয় ঝুলি থেকে বেড়াল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, খাদ্য দফতরে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে প্রায়ই বৈঠক করতেন বাকিবুর। মন্ত্রিমশাইয়ের নির্দেশেই রেশন ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বাকিবুর। অমিতের মোবাইল থেকেও কথা হত বাকিবুরের সঙ্গে। এদিকে, আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পিছল মামলার শুনানি। তাই কমান্ড হাসপাতালে মন্ত্রিমশাইয়ের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কেবল বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়ই এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তা নয়। তৎকালীন খাদ্য দফতরে কর্মরত একাধিক সরকারি আধিকারিক এবং আমলাও কাঠগড়ায় (Ration Scam Case)।

    কেলেঙ্কারির সুতোয় টান

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। তাঁকে জেরা করতেই উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয়র নাম। গত বৃহস্পতিবার টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে। করা হয় জিজ্ঞাসাবাদও। শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। পরে তোলা হয় আদালতে। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। রায় শুনে আদালতেই জ্ঞান হারান জ্যোতিপ্রিয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোমবার রাত ১০টা নাগাদ মন্ত্রীকে হেফাজতে নেয় ইডি। পরের দিন জেরা করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    এদিনই জেরা করা হয় মন্ত্রীর দুই প্রাক্তন আপ্ত সহায়ককে। এঁদেরই একজন হলেন অমিত। তিনিই জানান, বাকিবুরের সঙ্গে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার কথা। এর আগেও মন্ত্রীর সঙ্গে বাকিবুরের ঘনিষ্ঠতার কথা জেনেছে ইডি। তারা জেনেছে, তিনটি শেল কোম্পানির মাধ্যমে নয়ছয় করা হয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির টাকা। এই কোম্পানিগুলিতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরা (Ration Scam Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ration Scam Case: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের হানা ইডির, কার বাড়িতে জানেন?

    Ration Scam Case: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের হানা ইডির, কার বাড়িতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় (Ration Scam Case) এবার আরও একজনের বাড়িতে তল্লাশি ইডির। বৃহস্পতিবার শান্তনু ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শান্তনু পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এর আগেও একবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেদিন বাড়িতে ছিলেন না শান্তনু। যদিও তাঁর ফ্ল্যাট সিল করে দিয়ে গিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। ঘটনাটি জানিয়েছিলেন স্থানীয় থানায়।

    নেতাজি নগরের ফ্ল্যাটে হানা

    এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফের শান্তনুর নেতাজি নগর এলাকার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি (Ration Scam Case)। শুরু হয়েছে তল্লাশি। তদন্তকারীদের অনুমান, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে যোগ থাকতে পারে শান্তনুর। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে মিলতে পারে কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত নথি। নেতাজি নগরের একটি আবাসনের আটতলার ফ্ল্যাটে থাকেন শান্তনু। তাঁর নাম উঠে আসে সিপি জেনা নামে এক ব্যক্তিকে একটি সংস্থার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়। ইডি যেদিন প্রথম জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে তল্লাশি চালায়, সেদিন তারা হানা দিয়েছিল জেনার বাড়িতেও। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তখনই প্রসঙ্গক্রমে আসে শান্তনুর নাম। শান্তনু ওই সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। ইডি কর্তাদের ধারণা, শান্তনুর ফ্ল্যাটে মিলতে পারে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির মূল্যবান তথ্য।

    জ্যোতিপ্রিয়-কাণ্ড

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় পেশায় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। বাকিবুরকে জেরা করে জানা যায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। গত বৃহস্পতিবার টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রীকে। ওই দিনই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলে ইডি। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। রায় শুনেই এজলাসে জ্ঞান হারান মন্ত্রিমশাই। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা কমান্ড হাসপাতালে সম্ভব, বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    সোমবার রাতে তাঁকে ছেড়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই ইডির আধিকারিকরা তাঁকে নিয়ে যান সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে। পরের দিন সকালে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। জেরা করা হয় মন্ত্রীর দুই প্রাক্তন আপ্ত সহায়ককেও। তাঁদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর (Ration Scam Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১ কেজি আটায় ‘ভ্যানিশ’ ৪০০ গ্রাম! রেশন দুর্নীতি কীভাবে চলত, জানতে পেরে তাজ্জব ইডি

    Ration Scam: ১ কেজি আটায় ‘ভ্যানিশ’ ৪০০ গ্রাম! রেশন দুর্নীতি কীভাবে চলত, জানতে পেরে তাজ্জব ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে প্রায় ৮ জায়গায় তল্লাশি চালাল ইডি। সম্প্রতি বাংলার রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমান নামে জনৈক ডিলারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই বাকিবুরের বিপুল সম্পত্তির উৎস নিয়ে সন্দেহ জাগে তদন্তকারীদের মনে। কীভাবে চলত এই দুর্নীতি তার খোঁজেই শুরু হয় তল্লাশি। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বললেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। বরং অনেক আগে হওয়ার দরকার ছিল’। 

    কীভাবে দুর্নীতি

    ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরের রাইস মিল থেকে খোলা বাজারে বিক্রি হত আটা। গত তিন বছরে ৩ হাজার ৮২১ কেজি আটা বাজেয়াপ্ত করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই অনুসারে এফআইআর হয়েছিল তিনটি। এফসিআই- এর পাঠানো গমের ২০-৩০ শতাংশ হিসেবে গরমিল থাকত। গম থেকে আটা তৈরি পরে বেশ কিছু অংশ খোলা বাজারে বিক্রি হত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রতি ১ কেজি আটার দাম নিয়ে তাতে অন্তত ২০০ গ্রাম আটা কম দেওয়া হত, কখনও কখনও সেই ওজন ৪০০ গ্রামও হয়ে যেত৷ অর্থাৎ, ১ কেজি গমের বিনিময়ে কখনও কখনও ৬০০ গ্রাম আটাও পেতেন সরকারি সরবরাহকারীরা৷ কিন্তু, অভিযোগ, এই গরমিলের কথা দু’পক্ষই জানত৷

    আরও পড়ুন: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়াকে তলব এথিক্স কমিটির, কবে হাজিরা?

    কী বললেন সুকান্ত

    রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের প্রসঙ্গ তুলে সুকান্ত বলেন, ‘বাকিবুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর একার হতে পারে না। এসব কোন তৃণমূল নেতারই হবে। আর কোন তৃণমূল নেতা তা তো সকলেরই জানা। জনগণের এতো টাকা লুট করেছেন, এবার ওনাকে জবাব দিতেই হবে। জেলেও যেতে হতে পারে’।

    বৃহস্পতিবার সকালে ইডি আধিকারিকেরা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়ি সহ তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্থাৎ পিএ এবং তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন৷ মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) মেয়ের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘ওনার মেয়ে টিউশনি করেন। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে। আমি এতো ভালো শিক্ষক হয়েও এতো ভালো পড়াতে পাড়ব না কোনদিন। এইসব মানুষদের ছেড়ে রাখা উচিৎ হয়। এদের জেলে পুড়ে দেওয়া উচিৎ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share