Tag: RBI

RBI

  • Indian Economy: ২০২৬ সালে ৬.৬% প্রবৃদ্ধিতে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত, পূর্বাভাস আইএমএফের

    Indian Economy: ২০২৬ সালে ৬.৬% প্রবৃদ্ধিতে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত, পূর্বাভাস আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবোমা। তার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্ববাণিজ্যে। এর ফলে গোটা বিশ্বে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ (IMF)। তবে গোটা বিশ্বে অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও, ভারতের (Indian Economy) অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)–এর সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬.৬ শতাংশে। এর ফলে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির আসন ধরে রাখবে ভারত। আইএমএফ জানিয়েছে, শক্তিশালী দেশীয় চাহিদা, উৎপাদন খাতের পুনরুদ্ধার এবং সেবাখাতের জোরালো সম্প্রসারণ ভারতের এই অগ্রগতির মূল ভিত্তি। তুলনামূলকভাবে, ২০২৬ সালে চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

    ভারতের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল

    আইএমএফ জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের (Indian Economy) অপ্রত্যাশিতভাবে ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক মন্দাভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের প্রভাব আংশিকভাবে সামাল দিতে সাহায্য করেছে। এই প্রেক্ষিতে আইএমএফ তার পূর্ববর্তী ৬.৪ শতাংশ পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৬.৬ শতাংশে উন্নীত করেছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পিয়ের-অলিভিয়ার গৌরিনচাস বলেন, “ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত বেসরকারি খাতের উদ্যোগ, পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য বিনিয়োগ এবং বিদেশে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতার ওপর নির্ভর করছে।” তবে আইএমএফ-এর তরফে সতর্ক করা হয়েছে যে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এখনও স্থিতিশীল নয়। বাণিজ্য নীতি, বিনিয়োগে মন্দা ও কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ভারতের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.২ শতাংশ করা হয়েছে।

    মার্কিন শুল্ক-সংঘাত প্রভাব তেমন ফেলেনি

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তার খুব একটা প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy) পড়বে না বলেই মনে করছে আইএমএফ (IMF)। চলতি অর্থবর্ষে প্রথম কোয়ার্টারে বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। তবে আইএমএফ-এর তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) গ্রোথ বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ হারে। মার্কিন শুল্ক সত্বেও ভারত সরকারের তরফে জিডিপি পূর্বাভাস ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ হবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আইএমএফও এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। এমন পূর্বাভাসের ফলে বোঝা যাচ্ছে, ঘরোয়া বাজারের চাহিদার উপরেই আস্থা রেখে চলেছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

    চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত

    আইএমএফ (IMF) মনে করছে, চলতি বছর চিনের (China) থেকে অনেক বেশি হবে অর্থনীতি বৃদ্ধির হার হবে ভারতের (India)। চলতি বছর চিনের অর্থনীতি বৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি অনেকটা কমে যেতে পারে। আইএমএফ (IMF)-এর তথ্য বলছে, ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে ৩.২ শতাংশ হারে। ২০২৬ সালে তা ৩.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উন্নত অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি থাকবে মাত্র ১.৬ শতাংশের মতো।

    ভারতের চ্যালেঞ্জ

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতের (Indian Economy) জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। ইনফোমেরিকস রেটিংসের অধিকর্তা মনোরঞ্জন শর্মা বলেন, “ভারতকে এখন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো খাতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।” আগামী কয়েক বছরেই বোঝা যাবে ভারত তার দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কতটা টেকসই ও সর্বস্তরে বিস্তৃত করতে পারে। কাঠামোগত সংস্কার, শ্রমবাজারের আধুনিকীকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিই হবে এই লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

    ভারত একটি প্রধান চালিকাশক্তি

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আগেই বলেছেন, এমন সময়ে যখন বিশ্বের বহু বড় অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ছে, ভারত বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ দেশটিকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জর্জিয়েভা আরও বলেন, “ভারত সাহসী সংস্কার ও ধারাবাহিক নীতিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করছে।” আইএমএফের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের দ্রুততম-বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখছে।

    প্রবৃদ্ধি আগামি দিনেও মজবুত থাকবে

    আরবিআই জানিয়েছে, স্থিতিশীল দেশীয় চাহিদা, অনুকূল মৌসুমি বৃষ্টি, শক্তিশালী বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারি ব্যয়ের বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) ৭.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা গত দুই বছরের মধ্যে দ্রুততম। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি প্রবৃদ্ধি পুরো বছর জুড়েই মজবুত থাকবে, যদিও বিশ্বের অস্থিরতা কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।” তবে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আইএমএফ ও আরবিআই উভয়ই মনে করছে যে ভারতের দেশীয় অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। শহর ও গ্রামে চাহিদা বাড়ছে, ভোগব্যয় সম্প্রসারিত হচ্ছে, এবং সরকারের জিএসটি সংস্কার দীর্ঘমেয়াদে বৃদ্ধির ভিতকে আরও শক্ত করছে।

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    UPI: লাগবে না কোনও চার্জ, অদূর ভবিষ্যতে বিনামূল্যই থাকবে ইউপিআই লেনদেন, আশ্বাস রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে ইউপিআই (UPI) লেনদেন বিনামূল্যই থাকবে। লেনদেনে লাগবে না কোনও রকম অতিরিক্ত চার্জ। এমনটাই সুনিশ্চিত করে জানালেন ভারতীয় রির্জাভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। নতুন চার্জের একটা ‘ভুয়ো’ খবর নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়তেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টে মডেলের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো গুজব রটে গিয়েছিল, তাই এবার গভর্নরের সিদ্ধান্তে কাটলো ধোঁয়াশা।

    ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ে প্ল্যাটফর্ম (UPI)

    গত বুধবার আরবিআই-এর (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা একটি সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটেল পেমেন্ট ইন্টারফেস লেনদেন (UPI) ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে থাকবে। কোনও রকম চার্জ স্বরূপ টাকা দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উভয়েই দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সারা ভারত জুড়ে ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে ইউপিআইকে একটি শূন্য ব্যয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাখা হবে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা

    তবে ভারতের ইউপিআই (UPI) লেনদেন এখন বিশ্বের বৃহত্তম রিয়েল-টাইম পেমেন্ট ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বিল পরিশোধ, কেনাকাটায় এখন একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হল এই ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা। তবে ইউপিআই পরিষেবায় একটা বিশেষ খরচ আছে। এখন গ্রাহকদের দিতে না হলেও আগামীদিনে এইম খরচ তো বহন করতেই হবে। তবে গ্রাহক নিজে বহন করবেন নাকি সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে তাও একবার ভালো করে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবে কোনও কিছু কার্যকর হচ্ছে না।

    পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেণ্ট সিস্টেমস অ্যাক্ট অবশ্য নিজের আইনের বলে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রহক ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী যেই হন না কেন অতরিক্ত কর চাপানোর অনুমতি দেয় না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং গ্রামীণ গ্রহকদের বেশি বেশি পরিমাণে ডিজিটাল পরিষেবায় যাতে অংশগ্রহণ বাড়ে সেই দিকেই ইঙ্গিত দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন আরবিআই (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার।

  • Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    Indias Foreign Exchange: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Indias Foreign Exchange) ২০২৫ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ৪.৬৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (USD) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০২.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI)-এর সর্বশেষ তথ্যেই এ খবর মিলেছে। এর ফলে ভান্ডার প্রায় সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তর ৭০৪.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড হয়েছিল।

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ (Indias Foreign Exchange)

    বৈদেশিক মুদ্রা সম্পদ বেড়েছে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এদিকে, সোনার ভান্ডার বেড়েছে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের সঙ্গে দেশের স্পেশাল ড্রইং রাইটস (এসডিআর) ৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে পৌঁছেছে ১৮.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ভারতের আইএমএফ রিজার্ভ পজিশন ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে ৪.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী রিপোর্টিং সপ্তাহে ভারতের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪.০৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯৮.২৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর আগে রিজার্ভ ৩.৫১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৬৯৪.২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।

    বেড়েছে সোনার রিজার্ভও

    সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ যা রিজার্ভের প্রধান অংশ ২.৫৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৭.০১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (Indias Foreign Exchange)। ওই সপ্তাহে সোনার রিজার্ভ ৩.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০.২৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। তবে স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস ৩৪ মিলিয়ন ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৭৪২ বিলিয়ন ডলারে। প্রসঙ্গত, শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উন্নয়নশীল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির অস্থির পরিস্থিতিতে তাদের মুদ্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, কারণ তখন বাজারে ডলার সরবরাহ করা যায়।

    রিজার্ভ বাড়লে সরকারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয় এবং আরবিআই ভারতের বহিঃঅর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারে। এটি সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রার (USD) প্রয়োজন মেটাতে এবং বৈদেশিক ঋণের দায়বদ্ধতা পূরণে সহায়তা করে। শক্তিশালী বৈদেশিক রিজার্ভ ভারতীয় টাকাকে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে (Indias Foreign Exchange)।

  • RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারত (RBI)। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির (Rupee) ব্যবহার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জন্য বিশেষ রুপি ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট (Special Rupee Vostro Accounts সংক্ষেপে  SRVA) খোলার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য রুপিতে অর্থ জমা ও ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারী এবং আমদানিকারীদের ডলার বা ইউরোর মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও মুদ্রার প্রয়োজন হয় না।

    নয়া নিয়ম (RBI)

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ক্যাটাগরি-১-এ অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের জন্য এসআরভিএ খোলার আগে আর আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিতে হবে না। আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হত। এতে সব কাজে দেরি হত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ হবে। বিদেশি ব্যাঙ্কের জন্য এই রুপি অ্যাকাউন্ট দ্রুত খোলার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরবিআইয়ের আশা, বাণিজ্য নিষ্পত্তির গতি বাড়বে, ভারতের বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপিকে একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    আববিআইয়ের সার্কুলার

    এই পদক্ষেপটি সার্কুলার নং আরবিআই/২০২৫-২৬/৭১ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এন সেন্টিল কুমার স্বাক্ষর করেন। এটি বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA), ১৯৯৯-এর ১০(৪) ও ১১(১) ধারা অনুসারে গৃহীত হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার থেকে ভিন্ন, যেখানে প্রতিটি এসআরভিএ খোলার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের পৃথক অনুমোদন প্রয়োজন হত। বর্তমান বিশ্বে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্যমান ৮৬.৭০ রুপিতে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অস্থিরতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক পথজুড়ে নিষেধাজ্ঞার চলমান প্রভাব, এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দেশের অর্থনীতিকে তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প বৈচিত্র্যময় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মলদ্বীপের সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায়, বিশেষত রুপিতে লেনদেনকে (Rupee) সক্ষম করবে।

    ভারতীয় রুপির কাঠামো

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ জুলাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য ভারতীয় রুপির কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পর এসেছে। ওই কাঠামোর অধীনে ভারতীয় রফতানিকারী ও আমদানিকারীদের জন্য বিশেষ ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা তৃতীয় দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার বা ইউরো ব্যবহার না করেই রুপিতে পণ্য বিল, অর্থপ্রদান এবং বাণিজ্যিক লভ্যাংশ পেতে পারেন (RBI)। নয়া ব্যবস্থায় এসআরভিএর জন্য আরবিআইয়ের আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এডি ক্যাটেগরি-১ ব্যাঙ্কগুলি এখন তাদের সম্পর্ক থাকা বিদেশি সমতুল্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরাসরি এসআরভিএ খুলতে পারবে, আরবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সদস্য ও গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত বাধা দূর হলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এখনও বিদ্যমান ফেমা আইন, কেওয়াইসি নির্দেশিকা, অর্থপাচার প্রতিরোধ নীতি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিধি মেনে চলতে হবে।

    সুবিধা পাবেন কারা

    ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এখন তাঁদের ভারতীয় রুপি অ্যাকাউন্ট, বিশেষ নন রেসিডেন্ট রুপি অ্যাকাউন্ট এবং এসআরভিএতে থাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদেশে নন-ডেট (non-debt) উপকরণে, যেমন এফডিআইয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় রফতানিকারীরা এখন বিদেশে বিদেশি মুদ্রায় মনোনীত (Rupee) অ্যাকাউন্ট খুলে রফতানি থেকে প্রাপ্ত আয় নিতে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবেন (RBI)। প্রশ্ন হল, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমত এর কার্যকরী দক্ষতা। অনুমোদনের ধাপ বাতিল হওয়ায় বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের অনবোর্ডিং সময়সীমা কমবে। দ্রুত কার্যকরী প্রক্রিয়াকরণ মানে ব্যবসায়িক চুক্তি প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বিলম্ব ছাড়াই সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি রুপিকে একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নিষ্পত্তি মুদ্রা করার প্রচেষ্টার অংশ। তৃতীয়ত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য (RBI) রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চতুর্থত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য আইএনআরে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়।

    ডলার সংকটে সুফল দেবে

    এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পঞ্চমত, আইএনআরে চালান করার ফলে বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ধাপ বাদ যায়, যা কিছু অংশীদারের জন্য ভারতীয় পণ্য ও সেবাকে তুলনামূলকভাবে সস্তা (Rupee) করে তুলতে পারে। ষষ্ঠত, বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ৮০টির বেশি এসআরভিএ কার্যকর রয়েছে। এটি ডলার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও ভারতের শক্তিশালী বাণিজ্য প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

  • RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    RBI: বিশ্ব অর্থনীতিতে আমেরিকার চেয়ে বেশি অবদান রাখছে ভারত, দাবি আরবিআই গভর্নরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতি খুব ভালোভাবে চলছে। বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি অবদান রাখছে ভারত। এমন মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর (RBI) সঞ্জয় মালহোত্রা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের অর্থনীতিকে (Indian Economy) “মৃত” বলে মন্তব্য করার পর এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার আর্থিক নীতি কমিটির (MPC) বৈঠক হয়। সেখানেই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। ফলে রেপো রেট ৫.৫ শতাংশই থাকছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    আরবিআই (RBI) সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় বলেন, “চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে আইএমএফ ২০২৫ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ বলে অনুমান করছে। আমরা প্রায় ১৮ শতাংশ অবদান রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি — তাদের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ বা তারও কম।” তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো করছি এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির পথে এগিয়ে যাবো।” তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, “ভারতীয় অর্থনীতিতে মার্কিন শুল্কের বড় কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমাদের মনে হয় না।”

    পাশে রয়েছে ভারত সরকার

    ভারত-মার্কিন বানিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “আমি পরোয়া করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করে। ওরা একসাথে নিজেদের মৃত অর্থনীতি নিয়ে এগিয়ে যাক।” ভারতের (Indian Economy) রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত নিয়েই ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনে মন্তব্য শুধুমাত্র ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে উত্তেজনার দিকে ঠেলে দিতে পারে না, বরং ভারতের ওপর ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট শুল্ক বা রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও তৈরি করেছে। আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর পুনম গুপ্ত বলেন, “এই ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে ভারত যদি রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধও করে দেয়, তাহলেও দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছরে যদি তেলের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমাতে পারে যাতে সাধারণ মানুষের ওপর এর প্রভাব না পড়ে।”

  • RBI: ভারতের চতুর্থ প্রান্তিকে বাড়ল জিডিপির হার, জানাল আরবিআই

    RBI: ভারতের চতুর্থ প্রান্তিকে বাড়ল জিডিপির হার, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত নগদের জোগান এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪-২৫) ভারত ১৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা জিডিপির ১.৩ শতাংশ পরিমাণ উদ্বৃত্ত (Current Account Surplus) হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুক্রবার প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) তথ্যে এই কথা জানানো হয়েছে।

    কী বলল আরবিআই

    আরবিআই জানিয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ভারতের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত ছিল ১৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (জিডিপির ১.৩ শতাংশ), যেখানে ২০২৩-২৪ এর একই প্রান্তিকে তা ছিল ৪.৬ বিলিয়ন (০.৫ শতাংশ)। তৃতীয় প্রান্তিকে (২০২৪-২৫) এটি ছিল ঘাটতির পর্যায়ে, ১১.৩ বিলিয়ন ডলার (জিডিপির ১.১ শতাংশ)।” চলতি হিসেব উদ্বৃত্তের এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হল প্রবাসী ভারতীয়দের রেমিটেন্স বৃদ্ধিকে। চতুর্থ প্রান্তিকে পণ্যের বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ৫২ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি । অন্যদিকে, নানা খাতে নিট আয় ৫৩.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৪২.৭ বিলিয়ন। ব্যবসায়িক পরিষেবা এবং কম্পিউটার পরিষেবার মতো খাতে উল্লেখযোগ্য রফতানি বৃদ্ধি হয়েছে। প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো রেমিটেন্স বা পার্সোনাল ট্রান্সফার রিসিপ্টস বেড়ে হয়েছে ৩৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আগের বছর যা ছিল ৩১.৩ বিলিয়ন ডলার।

    উদ্বৃত্তের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি

    আইসিআরএর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, “চতুর্থ প্রান্তিকে উদ্বৃত্তের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে।” এর ফলে কেন্দ্রের রাজকোষে আর্থিক জোগান অনেকটাই বাড়াবে। আর তা হলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেশি করে নগদের জোগান দেবে কেন্দ্র। আরবিআই-এর বিপুল আয়ের কারণেই নগদের জোগান বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। শীর্ষ ব্যাঙ্কটি তাদের সঞ্চিত বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বিপুল রিটার্ন প্রদানকারী ইউএস গভর্নমেন্ট সিকিওরিটিজ রাখায় সেখান থেকে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পেয়েছে। এর পাশাপাশি টাকার দরে ওঠাপড়া ঠেকাতে ডলার বিক্রি করে পাওয়া অর্থও নগদের জোগান বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হয়েছে।

     

     

     

     

     

  • RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    RBI: ফের রেপো রেট কমাল আরবিআই, ঋণের সুদ কমায় সুবিধা মধ্যবিত্তের, কতটা সস্তা ইএমআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সুদ কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। শুক্রবার, ৬ জুন নয়া রেপো রেট (Repo Rate) ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এ দিন তাতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৫০ শতাংশ কমানোর কথা বলেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র। তার জেরে ৬ শতাংশ থেকে ওই সূচক নেমে এসেছে ৫.৫০ শতাংশে। এই নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয়বারের জন্য কমে গেল রেপো রেট। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলে ২৫ করে মোট ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

    আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক (RBI)

    ৪ জুন তিন দিনের বৈঠকে বসে আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি। সেখানেই রেপো রেট কমানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা ঘোষণা করেন গভর্নর। আরবিআই যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ঋণ দিয়ে থাকে, তাকেই বলে রেপো রেট। এই রেট কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। এই হার কমার অর্থ ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কম সুদে টাকা ধার নিতে পারবে। ব্যাঙ্ক যদি কম সুদের হারে টাকা ধার পায়, তাহলে গ্রাহকদের ঋণেও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা থাকে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি চাঙা করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ (Repo Rate) কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয় (RBI)।

    কতটা সুরাহা মিলবে মধ্যবিত্তের?

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমানোয় রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ গ্রহণকারীদের স্বস্তি মিলবে। যেহেতু তাঁদের মাসিক কিস্তির টাকা কমবে, তাই স্বস্তি পাবেন তাঁরা। তাই যেসব গ্রাহক গৃহঋণ বা গাড়ির ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের সুদ বাবদ গুণতে হবে কম টাকা। এক কথায় গাড়ি, বাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণে কমে যাবে সুদের হার। ফলে, কমবে মাসিক কিস্তির অঙ্কের বোঝা। উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক (Repo Rate)। কোনও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কেউ তিরিশ বছরের মেয়াদে ৫০ লাখ গৃহঋণ নিল ৮.৭০ শতাংশ সুদে। বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হয় ৩৯,১৩৬ টাকা। সুদের হার কমে যাওয়ায় এখন তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ৩৭,৩৪৬ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১,৭৯০ টাকা। কেউ যদি ১২ শতাংশ সুদে ৫ বছরের মেয়াদের ৫ লাখ টাকা পার্সোনাল লোন নেয়, বর্তমানে তাঁকে ইএমআই দিতে হবে ১১,১২২ টাকা (RBI)। রেপো রেট কমে যাওয়ায় তাঁকে এখন ইএমআই দিতে হবে ১০,৯৬৩ টাকা। প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে ১৫৯ টাকা (Repo Rate)।

    চলতি বছরেই রেপো রেট কমল ১ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসের পর আর সুদ কমায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০২৫ সালে গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর সেই পদে আসীন হন  সঞ্জয় মালহোত্র। এসেই তিনি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান। পাঁচ বছরে সেই প্রথম রেপো রেট কমায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ওই সময় ৬.৫০ শতাংশ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার নামিয়ে এনেছিল ৬.২৫ শতাংশে। এপ্রিলে সেটা আরও কমে ছ’শতাংশে চলে আসে। এবার কমল আরও ০.৫ শতাংশ। এর জেরে চলতি বছর রেপো রেট কমল ১০০ বেসিস পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। সুদের হারে বড়সড় ছাড় মেলায় ঋণ গ্রহীতাদের মুখে যে হাসি ফুটল, তা বলাই বাহুল্য। এদিন রেপো রেট (Repo Rate) কমানোর ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, “ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমরা সব রকমের চেষ্টা করছি এই সমৃদ্ধিকে আরও বাড়ানোর জন্য।”

    কী বললেন আরবিআইয়ের গভর্নর

    সঞ্জয় বলেন, “খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং এপ্রিল মাসে তা প্রায় ছ’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.১৬ শতাংশে নেমেছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের মাঝারি মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ ছিল। এর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নীচে। ভারতের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপক হয়েছে।” জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “২০২৫-’২৬ সালের জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭ শতাংশ, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে জিডিপি।”

  • RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    RBI: বয়স ১০ হলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চালাতে পারবে ছোটরা, মিলতে পারে এটিএম কার্ডও, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর বয়স হলেই এখন থেকে ছোটরা তাদের নিজেদের সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (Minor Bank Accounts) খুলতে ও নিজেরাই চালাতে পারবে। এমনটাই ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই নতুন নিয়মটি প্রযোজ্য হবে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক এবং কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে প্রাইমারি (আরবান) কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, ব্যাঙ্ক যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ড, চেকবুক ইত্যাদির সুবিধাও দিতে পারবে। তবে এসব দেওয়ার আগে ঝুঁকি-সংক্রান্ত নিয়মাবলি পর্যালোচনা করবে ব্যাঙ্ক। আগে নিশ্চিত হতে হবে, যে এইসব শিশুদের উপযুক্ত কিনা।

    ১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে নয়া নীতি (Minor Bank Accounts)

    অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এবং পরবর্তীকালে ব্যাঙ্ককে কেওয়াইসি নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও জানিয়েছে আরবিআই। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত ব্যাঙ্ককেই আগামী ১ জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর করে নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল সোমবারই এক বিবৃতিতে আরবিআই জানায়, বহু বছর আগে জারি করা পুরনো এক নির্দেশিকাকে পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে। তারপরেই এই নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলার ও পরিচালনার নিয়ম করা হয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, যে কোনও বয়সের অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু তার আইনি অভিভাবকের মাধ্যমে সেভিংস বা টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। ১০ বছর বা তার বেশি বয়স হলেই তারা এখন নিজেরাই এসব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

    অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে

    এই নিয়মের পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলিকে নিজেদের অ্যাকাউন্টগুলিকে শর্ত নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সীমা নির্ধারণ, অন্যান্য শর্তাবলি স্থির করা এবং সেগুলো স্পষ্টভাবে কিশোর গ্রাহকদের জানানো। যখনই কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৮ বছরে পৌঁছে যাবে, তখনই তাকে আবার অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য নতুন নির্দেশনা ও সিগনেচার দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আরবিআই (RBI) আরও জানিয়েছে, শিশুর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট, সেটা অভিভাবক দ্বারা পরিচালিত হোক বা শিশু নিজে পরিচালনা করুক, কোনওভাবেই ওভারড্রাফট সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ অ্যাকাউন্টে সবসময়ই পজিটিভ ব্যালান্স রাখতে হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই।

  • RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রার নেতৃত্বে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মধ্যবিত্তের উপর চাপ কমাতে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় রেপো রেট কমল ২৫ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বা ০.২৫ শতাংশ।

    সাধারণ মানুষের স্বস্তি

    বুধবার এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় মালহোত্রা (RBI Governor, Sanjay Malhotra) জানিয়েছেন, রেপো রেট (RBI Repo Rate Cut) কমিয়ে এখন হল মাত্র ৬ শতাংশ। যা ছিল ৬.২৫ শতাংশ। মানিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট কমানোর পক্ষে ছিল। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সাধারন মানুষের উপর থেকে ইএমআই’য়ের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা। আরবিআই রেপো রেট কমানোয় বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে মাসিক কিস্তি কমতে পারে বলে অনুমান আর্থিক বিশ্লেষকদের। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। প্রসঙ্গত, গত দুই বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তের মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ফের ০.২৫ শতাংশ কমানো হল রেপো রেট।

    অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই লক্ষ্য

    যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত ঋণে সুদের হার কমে। এর জেরে স্বস্তি পাবে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সে কারণে ঋণ গ্রহণকারীর মুখে হাসি ফুটেছে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

LinkedIn
Share