Tag: RBI

RBI

  • GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাড়ল ভারতের (India) গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট, সংক্ষেপে জিডিপি (GDP)। গত বছর এই সময়সীমার মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (National Statistical Office) থেকে যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। বুধবার ওই ডেটা প্রকাশ করা হয়।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি পৌঁছেছে ১৩.৫ শতাংশে।

    রেটিং এজেন্সি আইসিরএ-র মতে, জিডিপি ১৩ শতাংশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে বলেছিল, জিডিপি দাঁড়াতে পারে ১৫.৭ শতাংশে গিয়ে। এই মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেট দাঁড়াতে পারে ১৬.২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব মন্দার ভয় এবং সুদ বাবদ খরচ বৃদ্ধির জেরেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক বেঞ্চমার্ক পলিশি রেট বাড়িয়ে করেছে ১৪০ পয়েন্ট। মে মাস থেকে তিন কিস্তিতে ওই বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংক এও জানিয়েছিল, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেবল জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগও। প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি আর্থিক বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০.১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের হার বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    Term Deposit Interest Hike: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। দেশে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমতাবস্থায় রেপো রেট বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না দেশের শীর্ষ ব্যাংকের সামনে। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই রেপো রেট বাড়িছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই রেপো রেট বাড়ায় নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক (Bank)।  

    আমরা জানি, ভারতের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভরসা করেন ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) ওপর। এর প্রধান কারণ হল, এতে বাজারের হাল যাই হোক না কেন, সুদ মেলে ডিপোজিটের সময় ব্যাংক যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই হারে। তাছাড়া টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলাও সোজা। গত দু তিন বছরে একাধিকবার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই সময় সীমার মধ্যেই ছিল করোনা অতিমারি পরিস্থিতি। তার পরেও ফিক্সড কিংবা টার্ম ডিপোজিটে অগ্রহ বাড়েনি আমজনতার।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আমজনতাকে ব্যাংকমুখী করতে নয়া সুদের হার ঘোষণা করেছে দেশের একাধিক বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক কোটাক মাহিন্দ্রা এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়েস ব্যাংক ১০ অগাস্ট থেকে টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংকে ৭ থেকে ১৪ দিনের জন্য ২ কোটি টাকার কম জমা রাখলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ হারে। তিন বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ। প্রবীণ নাগরিকেরা পাবেন অতিরিক্ত .৫ শতাংশ।

    এর চেয়েও বেশি সুদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইয়েস ব্যাংক। ৭ থেকে ১৪ দিনের মেয়াদি আমানতে তারা দিচ্ছে ৩.২৫ শতাংশ সুদ। তিন বছরের ঊর্ধ্বে এবং ১০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৬.৭৫ শতাংশ হারে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    টার্ম ডিপোজিটে সুদের হার বাড়িয়েছে আর একটি বেসরকারি ব্যাংক আইসিআইসিআই ব্যাংক। এই সুদ মিলবে দু কোটি কিংবা তার বেশি টাকা জমা রাখা হলে। সেক্ষেত্রে সুদ মিলবে ৩.২৫ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। সুদের হার বাড়িয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংকও। দু কোটি টাকার কম জমা রাখা হলে সুদ মিলবে ২.৫০ শতাংশ থেকে ৫.৭৫ শতাংশ হারে। জমা টাকার পরিমাণ দু কোটি টাকার বেশি হলে সুদ মিলবে ৫.৯০ শতাংশ হারে।

     

  • FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    FD New Rule: এফডি করার কথা ভাবছেন? আগে জেনে নিন রিজার্ভ ব্যাংকের নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা শেয়ার বাজারের ওঠা-নামায় অভ্যস্ত নই। তাই টাকা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটেই ভরসা রাখি। লাভের অঙ্ক কম ঠিকই, তেমন ঝুঁকিও নেই। 

    আরও পড়ুন: বাড়ল সুদের হার, কোন কোন ব্যাংক দিচ্ছে জানেন?

    যদি ফিক্সড ডিপোজিট করতে চান বা ইতিমধ্যেই করে থাকেন, তাহলে এই খবরটা জানতেই হবে আপনাকে। ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) সংক্রান্ত নিয়মে বদল এনেছে আরবিআই (RBI)। নতুন নিয়ম অবশ্যই জেনে রাখতে হবে আপনাকে। রিজার্ভ ব্যাংকের রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর একাধিক সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এফডি-তে সুদের হার বাড়িয়েছে। তাই অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকছেন। তাই এফডি করার আগে জেনে নিন আরবিআই-র নয়া নিয়ম। 

    আরও পড়ুন: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    কী বদল হল নিয়মে? 

    মেয়াদপূর্তির পরে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে না নিলে কম সুদ পাবেন। সেক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট যে হারে সুদ দেয় ব্যাংক, সেটাই হবে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ। বর্তমানে ব্যাংকগুলি সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছরের দীর্ঘ মেয়াদের এফডিতে ৫%-র বেশি সুদ দেয়। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাংশ।

    ফিক্সড ডিপোজিট ম্যাচিওয়র হওয়ার পর অনেকেই ব্যাংকে যেতে দেরি করেন। তখন ফিক্সড ডিপোজিটের হারেই সুদ পেতেন। এবার তা হবে না। আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, এফডি ম্যাচিওরিটির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের মধ্যে যেটা কম হবে সেই হারে পাবেন গ্রাহকরা। এই নতুন নিয়মগুলি সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ক্ষুদ্র আর্থিকব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, স্থানীয় আঞ্চলিক ব্যাংকগুলির আমানতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। 

    ধরুন আপনি ৫ বছরের একটি এফডি করিয়েছেন। যা ম্যাচিওর হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই টাকা তুলছেন না। এফডির সুদ সেই ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের থেকে কম হয়, তাহলে আপনি এফডির সুদ পেতে থাকবেন। এফডি-র সুদ সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের চেয়ে বেশি হলে মেয়াদপূর্তির পরে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ মিলবে। অর্থাৎ, যেটা কম, সেই হারে সুদ মিলবে।

    আগে এফডি ম্যাচিওর হওয়ার পর টাকা না তুললে ব্যাংক এফডি-র সময়সীমা বাড়িয়ে দিত। সেই অনুযায়ী সুদও মিলত। কিন্তু এখন তা হবে না। মেয়াদপূর্তির পর টাকা তোলা না হলে এফডির সুদ পাওয়া যাবে না। মেয়াদপূর্তির সঙ্গে সঙ্গে তাই টাকা তুলে নেওয়া বা নতুন করে এফডি করা দরকার। 

     

  • RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকেটে টান পড়লেই আমরা অনেকেই ঋণ নেওয়ার পথে ঝুঁকি। আজকাল বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এবার সেই ঋণ অ্যাপগুলি সম্পর্কে সতর্ক করল দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা (Guideline) জারি করেছে আরবিআই। সেখানে ডিজিটাল ঋণের (Digital Lender) বিষয়ে স্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।    

    আরবিআই – এর নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ডিজিটাল ঋণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সুদের হার অত্যাধিক। তথ্যের গোপনীয়তার নিয়ম  লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ঋণের টাকা আদায়ের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রতারণার মতো ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত থাকে এই অ্যাপগুলির নাম। বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট পৌঁছানোয় সহজেই ঋণ অ্যাপগুলি মানুষের ফোনে জায়গা করে নিচ্ছে। এই থার্ড পার্টি ঋণ অ্যাপগুলি কোনও তথ্য যাচাই না করেই ঋণ দেয়। তৎক্ষণাৎ ঋণ দিতে গিয়ে বহু নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

    আরও পড়ুন: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ডিজিটাল ঋণদাতাদের মূলত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের সদস্যদের ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই সংস্থাগুলিকে সাধারণত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। ঋণ প্রদানের জন্য আরবিআই তাদের অনুমোদন দিয়ে থাকে। আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলিই মূলত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। এই ধরনের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলি যাতে বন্ধ করা যায়, সেজন্য WGDL কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।    

    ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ‘Working group on Digital Lending Including Lending Through Online Platforms and Mobile Apps’ (WGDL) তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি WGDL রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে ডিজিটাল ঋণ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    আরবিআই গাইডলাইনে জানিয়েছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি ঋণগ্রহিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যোগ থাকতে হবে। এর মাঝে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকবে না। এর মধ্যে কোনওরকম ফি ঋণগ্রহিতাকে বহন করতে হবে না। সেটি আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ঋণপ্রদানকারী সংস্থা বহন করবে। বর্তমানে ঋণগ্রহিতার সম্মতি ছাড়া ক্রেডিট লাইন বাড়ানো নিষিদ্ধ। ঋণগ্রহিতার কোনও অভিযোগ যদি ৩০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত সংস্থা সমাধান না করে, তা হলে Reserve Bank – Integrated Ombudsman Scheme (RB-IOS)-এর অধীনে অভিযোগ জানাতে পারবেন ঋণ গ্রহীতা।   

  • Bank Holidays: আগামী মাসে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দেখে নিন ছুটির তালিকা

    Bank Holidays: আগামী মাসে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দেখে নিন ছুটির তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসটি বেশ ভালো কাটবে ব্যাঙ্ক কর্মীদের। কারণ পুরো মাসটাই প্রায় ছুটির (Bank Holidays) মেজাজে কাটাবেন তাঁরা। অগাস্ট মাসের অর্ধেকের বেশি সময় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। তাই বিপদে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। যদিও এই ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ মানুষই নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। তবুও কিছু কিছু কাজ এখনও ব্যাঙ্কে গিয়েই করতে হয় আমাদের। এছাড়া অনেকেই আছেন যারা এখনও অনলাইন ব্যাঙ্কিং-এ খুব একটা সরগর নন। তাই আগামী মাসে বেশ মুশকিলে পড়তে চলেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: স্টক মার্কেটে ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগ করলে ফলবে সোনা, জানুন কীভাবে
     
    তাই ব্যাঙ্কে কোনও কাজ থাকলে, তা পারলে এখনই সেরে ফেলুন। কিংবা কবে কবে ছুটি আছে, সেই দিনগুলি এড়িয়ে ব্যাঙ্কে যান। 

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) জারি করা ছুটির তালিকা অনুযায়ী, অগাস্ট মাসে ১৮ দিন ব্যাঙ্কে ছুটি থাকবে। এর মধ্যে উৎসবের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি দুইই রয়েছে। 

    জেনে নিন অগাস্টের কোন কোন দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে: 

    অগাস্ট মাসে একাধিক উৎসব রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু জাতীয় ছুটি এবং কিছু রাজ্যের ছুটি। অগাস্ট মাসে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, মহররম, স্বাধীনতা দিবস, রাখী বন্ধন এবং গণেশ চতুর্থীর মতো উৎসব আছে। আর তাতেই সামনের মাসে এত লম্বা ছুটির তালিকা। এছাড়াও রয়েছে পারসি নববর্ষ এবং দ্বিতীয়-চতুর্থ শনিবার। তাছাড়াও চারটে রবিবারের ছুটি।

    আরও পড়ুন: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ১ অগাস্ট, ২০২২ (সোমবার) – সিকিম এবং শ্রীনগরের দ্রুকপা সে-জি উপলক্ষে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে, ৮ অগাস্ট, সোমবার, মহরম (আশুরা) উপলক্ষে জম্মু ও শ্রীনগরে ব্যাঙ্কের ছুটি থাকবে। ৯ অগাস্ট, মঙ্গলবার মহররম (আশুরা) উপলক্ষে ত্রিপুরা, গুজরাট, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, হায়দ্রাবাদ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বাংলা, লখনউ, নয়াদিল্লি, বিহার, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ডে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। 

    ১১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার, রাখী বন্ধন উপলক্ষে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। ১২ অগাস্ট, শুক্রবার রাখী বন্ধনের ছুটি থাকবে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে। 

    ১৩ অগাস্ট, শনিবার, মণিপুরে দেশপ্রেমিক দিবসের কারণে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে। অগাস্ট ১৫, সোমবার, দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কই বন্ধ থাকবে। ১৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার, পারসি নববর্ষ উপলক্ষে মহারাষ্ট্রে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।

    ১৮ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। ১৯ অগাস্ট, শুক্রবার জন্মাষ্টমী (শ্রাবণ ভাদ-8) / কৃষ্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, তামিলনাড়ু, সিকিম, রাজস্থান, জম্মু, বিহার, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড, মেঘালয়, হিমাচল প্রদেশ এবং শ্রীনগরে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলে। 

    ২০ অগাস্ট, সোমবার, হায়দ্রাবাদে শ্রী কৃষ্ণ অষ্টমীর কারণে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। ২৯ অগাস্ট, সোমবার, শ্রীমন্ত শঙ্করদেব তিথি উপলক্ষে আসামের ব্যাঙ্কগুলিতে কোনও পরিষেবা পাওয়া যাবে না। ৩১ অগাস্ট, বুধবার, সম্বতসরি (চতুর্থী পক্ষ) / গণেশ চতুর্থী / বর্ষসিদ্ধি বিনায়ক ব্রত / বিনায়ক চতুর্থী উপলক্ষে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ওড়িষা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং গোয়ায় ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।   

  • RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    RBI: “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! সম্মতি আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ান কারেন্সি রুবেলকে এদেশের মুদ্রা রুপিতে রূপান্তরিত করে চলবে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা চলছিল। এবার তাতে সম্মতি দিল আরবিআই (RBI)। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত। শুধু রাশিয়া নয় রুপির সঙ্গে যে কোনও দেশই এই বিনিময় করতে পারবে। এর ফলে ইরান-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের লেনদেন সহজ হবে।

    রাশিয়া ইউক্রেনে (Russia Ukraine) সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রুবেলের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে পশ্চিমী দেশগুলি। এমতাবস্থায় ভারত স্থানীয় মুদ্রা (রুপি বা রুবেল) ব্যবহার করে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করার জন্য ভাবনা চিন্তা করে ভারত। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০.৮ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মোট বাণিজ্যের থেকে ১.৫ শতাংশ কম। রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমের দেশগুলি। যা ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সরবরাহকে ব্যহত করে ও ফলে দাম বৃদ্ধি পায় নানা আমদানি করা পণ্যের। যা ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের পরিস্থিতিকে ঘোরালো করে তুলেছে। তাই নয়া এই নীতি গ্রহণ করা হল, বলে মনে করছে অর্থনৈতিক মহল। 

    ভারতীয় টাকা বা রুপির (Rupee) পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের (US Dollar) সাপেক্ষে সর্বকালের সর্বনিম্নস্তরে পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় টাকা (Indian Rupee)। দেখা যায়, ৭৯.৫৫-র স্তরে চলে গিয়েছে রুপি (Rupee)। ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভে পতন, ফরেন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরস বা এফআইআই (FII)-এর বহির্গমন এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভারতীয় টাকা বেশ চাপের মধ্যেই রয়েছে। তাই আরবিআইয়ের এই প্রয়াস বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

  • RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    RBI: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় (India) অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতির (Inflamation) চাপ ও ভূ-রাজনৈতিক (Geo Political) ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলিকে নিরন্তর পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাহলেই মসৃণ হবে ভারতীয় অর্থনীতির পথ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ফাইনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং (Non Banking) ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোর যথেষ্ট পরিমাণ ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে,  মার্কিন অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে মুদ্রাস্ফীতির ফাঁস আটকেছে গোটা বিশ্বের গলায়। রাশিয়া (Russia) ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ-উত্তর কালে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে দু ভাগে। একপক্ষ দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পক্ষে। অন্যপক্ষ রয়েছে মস্কোর পাশে। এসবেরই প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যার আঁচ লেগেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। তা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economics)। দক্ষ হাতে পরিচালনা ও লাগাতার নজরদারি চালানোর জেরেই এটা ঘটছে।

    আরও পড়ুন : ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    বছর দুয়েক ধরে করোনা (Corona) অতিমারি পরিস্থিতি সামলেছে গোটা বিশ্ব। অতিমারির মারণ ভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই বেঁধেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যার জেরে বিশ্বজুড়েই মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগাম ছাড়া। এর আঁচ লেগেছে ভারতেও। এসবই কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতি। শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের মতো হাঁড়ির হাল নয় তার। নির্দিষ্ট কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রস পারফর্মিং এসেস্টসের অনুপাত গত ছ বছরে কমেছে ৫.৯ শতাংশ। এটা অর্থনীতির উন্নতির দিকটিই সূচিত করে।

    আরও পড়ুন : ট্যাক্স-সেভিং স্থায়ী আমানতে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংক?

  • RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    RBI on Crypto Currency: ক্রিপ্টোকারেন্সি কতটা বিপজ্জনক? আমজনতাকে সতর্ক করল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) বর্তমানে চলছে ক্রিপ্টোকারেন্সির (Crypto Currency) রমরমা কারবার। তবে বেসরকারি এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি যে অর্থনীতির বিপদ ডেকে আনতে পারে তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন শক্তিকান্তের হুঁশিয়ারি, এই সব ডিজিটাল মুদ্রা লগ্নিকারীদের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভারতে অর্থনৈতিক এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আরবিআইয়ের যাবতীয় চেষ্টায়ও ঢালতে পারে জল।

    আরও পড়ুন : তিন মন্ত্রে বাজিমাত, ৭.৫% অর্থনৈতিক বৃদ্ধির আশায় ভারত

    চলতি বছর বাজেটে রিজার্ভ ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা আনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা ঠেকাতে বাজারে চালু বিটকয়েন, এথেরিয়ামের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোগুলিকে ডিজিটাল সম্পদের তকমা দিয়ে লেনদেন করও চাপানো হয়েছে। তার পরেও চলছে রমরমা কারবার। এমতাবস্থায় সেগুলি সম্পর্কে রিজার্ভ ব্যাংকের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    তবে আরবিআইয়ের ডিজিটাল মুদ্রা কবে আসবে, সে ব্যাপারে এদিন কিছু বলেননি শক্তিকান্ত। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। খুব সতর্ক হয়ে এবং সাবধানে পরীক্ষা চালাচ্ছি আর এগোচ্ছি। কারণ এতে একাধিক ঝুঁকি আছে। সব চেয়ে বড় ঝুঁকি সাইবার নিরাপত্তা রক্ষা ও মুদ্রা জাল হওয়ার।

    আরও পড়ুন : ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির যে আদতে কোনও মূল্য নেই, এদিন তা জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর। বলেন, এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির বিন্দুমাত্রও মূল্য নেই। তাই এতে লগ্নি করলে যে কোনও মুহূর্তে ডুবতে হতে পারে। তিনি বলেন, লগ্নিকারীদের সাবধান করে দেওয়া আমার কর্তব্য। তাই কেউ নিজের দায়িত্বে ওই মুদ্রা কিনলে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই যেন এগোন।

    বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপদ সম্পর্কে এর আগেও একাধিকবার লগ্নিকারীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন শক্তিকান্ত। মাস কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি সবই এক। তা সে যে নামেই ডাকা হোক না কেন। ফাটকাবাজির মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও বিনিয়োগ তাই নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।

     

  • RBI on Card Payment: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    RBI on Card Payment: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে কেনাকাটা বা লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন প্রায় সবাই ডেবিট কার্ড (Debit Card) বা ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) ব্যবহার করেন। নগদ টাকার বিনিময়ে বিকিকিনির বদলে অনলাইন পেমন্ট (Online Payment) করতেই স্বচ্ছন্দ এই প্রজন্ম। তবে অনলাইন পেমেন্ট করতে গিয়ে সমস্যাতেও পড়তে হয়। কার্ডের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে। এবার কার্ডের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম (New Rule) চালু করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই (RBI)। 

    আগামী ১ জুলাই থেকে সমস্ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) লেনদেনের টোকেনাইজেশন লাগু করছে। টোকেনাইজড কার্ড (Tokenized Card) লেনদেন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করছে আরবিআই কর্তৃপক্ষ। তার মূল কারণ হল, লেনদেন প্রসেসিংয়ের সময় প্রকৃত কার্ডের ডিটেইলস মার্চেন্টের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না।

    আগামী ১ জুলাই থেকে গ্রাহকদের কার্ডের বিবরণ সংরক্ষণে মানা হবে বিধিনিষেধ। মার্চেন্ট, পেমেন্ট অ্যাগ্রিগেটর, পেমেন্ট গেটওয়ে এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাঙ্কগুলি আর গ্রাহকদের কার্ডের বিবরণ সেভ করতে পারবে না। ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে, যারা এই ধরনের ডেটা সেভ করেছে, তাদের সেগুলি উড়িয়ে দিতে হবে। বদলে চালু হবে টোকেনাইজেশন।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে বড় জয় ভারতের, হল চুক্তিও

    টোকেনাইজেশন (Tokenization) হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কার্ডের বিবরণ একটি অনন্য কোড (UAC) বা টোকেনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়। এর ফলে কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ না করেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়।

    টোকেনাইজড কার্ড তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছে কারণ লেনদেন প্রসেসিংয়ের সময় প্রকৃত কার্ডের বিশদ বিবরণ মার্চেন্টের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না। লেনদেন ট্র্যাকিং এবং রিকনসিলিয়েশনের উদ্দেশ্যে কার্ড নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা এবং কার্ড প্রদানকারীর নাম সংরক্ষণ করা যেতে পারে। একটি টোকেনের জন্যও গ্রাহকের সম্মতি এবং OTP-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন করতে হয়। ক্রেডিট, ডেবিট কার্ড টোকেনাইজেশনের সময়সীমা ৩০ জুন, ২০২২ করা হয়েছে।

  • RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৭.২ শতাংশ পর্যন্ত। এই আশার আলো দেখিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (reserve bank of india) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।

    সম্প্রতি হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (monetary policy committee) বৈঠক। ওই বৈঠকেই একথা জানান শক্তিকান্ত। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে যথাক্রমে ১৬.২%, ৬.২%, ৪.১% এবং ৪.০%।

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine War) পরিস্থিতিতে তিনি এই বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৭.২ শতাংশ। যদিও তাঁর আগের পূর্বাভাস ছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শক্তিকান্ত বলেন, চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে ও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি গড় মূল্য ১০৫ মার্কিন ডলার হবে ধরে নিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬.৭ শতাংশে।

    এক ভিডিও বার্তায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিদ্যুতের দাম, পশুখাদ্য এবং অপরিশোধিত তেলের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার জেরে প্রতিদিনই আমাদের নয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    প্রসঙ্গত, আরও একবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপো রেট বাড়িয়ে ৪.৯০ শতাংশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রশ্ন হল, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে কী প্রভাব পড়বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ওপর? শক্তিকান্ত জানান, এর জেরে দেশের জিডিপি বাড়তে পারে প্রায় ৭.২ শতাংশ। এর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হল, রেপো রেট বাড়ালেও, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে কোনও কাটছাঁট করছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ যে জায়গায় ছিল, সেখানেই রইল।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেপো রেট বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ কমে। আর রেপো রেট কমলে হয় উল্টোটা। গতবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করার পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশের একাধিক সংস্থা। যার জেরে জিডিপি বৃদ্ধিতে কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলো ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি করে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির যা হাল, তাতে ঋণদানের ওপর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও।

     

LinkedIn
Share