Tag: Recruitment

Recruitment

  • Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    Recruitment Case: দিলেন গোপন জবানবন্দি, এবার রাজসাক্ষী হতে চান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিপদ বাড়াতে চলেছেন তাঁরই জামাই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) তিনি আগেই জবানবন্দি দিয়েছেন। এবার রাজসাক্ষী হচ্ছেন পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় তিনিও ছিলেন। তবে রাজসাক্ষী হলে তিনি আর অভিযুক্ত থাকবেন না।

    অতিরিক্ত চার্জশিট (Recruitment Case)

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। কীভাবে, কোন সংস্থার মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ হয়েছে, ওই চার্জশিটে তা উল্লেখ করা হয়। এই অতিরিক্ত চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয় কল্যাণময়কেও। আমেরিকা প্রবাসী কল্যাণময় বর্তমানে কলকাতায়। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর জামাইকে একাধিকবার জেরা করে জানা গিয়েছে, নানা সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে নগদে টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই ফিরে আসত পার্থর স্ত্রী বাবলির নামে তৈরি বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এ। এভাবেই ওই ট্রাস্ট হয়ে উঠেছিল দুর্নীতির আখড়া। অন্তত নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতেই এমন দাবি করা হয়েছে।

    কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আরও দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে (Recruitment Case) তৈরি ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়েছিল। কল্যাণময় ও তাঁর সংস্থার নামে অভিযোগও দায়ের হয়। সম্প্রতি আইনজীবী মারফত পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন, গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে চান। বিচারক তাঁর ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। এর পরেই তিনি কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতকে দ্রুত কল্যাণময়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

    কিছুদিন আগেই পার্থর জামাই আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে। পরবর্তীতে তা মঞ্জুর হয় ব্যাংকশালে ইডির বিশেষ আদালতে। জানা যায়, নিজের অপরাধ মার্জনা করার আবেদনও জানান কল্যাণময়। এর পরেই ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক জানান, কল্যাণময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন। তাঁর আবেদন অনুযায়ী, আদালত নির্দেশ দেয়, তিনি নগর ও দায়রা আদালতে ২০ নম্বর জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন (Partha Chatterjee)। সেই নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দি দেন কল্যাণময় (Recruitment Case)।

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ২৪ পরগনার জেলা আদালতে বহু পদ শূন্য। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (High Court) মামলা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা (Kolkata) হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কেন জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার শুনানির সময় বিচারপতির মন্তব্য, “এমন চলতে থাকলে, এর পরে কি জেলা বিচারকও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে?”

    জেলা আদালতে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ (High Court)

    জানা গিয়েছে, দুই জেলা মিলিয়েই রয়েছে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ। উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬৭ শূন্যপদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৭ শূন্যপদ। সম্প্রতি, এই দুই জেলা আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। আদালতে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হবে? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করে আদালত কর্মীদের সংগঠন। বুধবার সেই মামলায় অস্থায়ী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    ১০ বছরে আদালতে কর্মী নিয়োগ হয়নি

    বুধবার মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা (Kolkata) আদালতে (High Court) সওয়াল করে বলেন, “সরকারের বিশেষ কিছু দফতর বা বিভাগ রয়েছে, যেখানে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় না। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতের কর্মী নিয়োগও।” এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। আমার প্রশ্ন, ১০ বছর পরেও কেন জেলা আদালতে স্থায়ী নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    West Bengal Health: রোগী পিছু বরাদ্দ মাত্র ১৩ সেকেন্ড! তারপরেও চিকিৎসক নিয়োগ বন্ধ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে রোগী ও পরিজনের লম্বা লাইন! কেউ ভোর রাত, কেউ বা আগের দিন থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করেন। চিকিৎসকের কাছে সমস্যার কথা সম্পূর্ণ জানানোর পর্যাপ্ত সময়টুকুও পান না রোগী। তারপরেও বন্ধ চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া! সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

    কী বলছে সমীক্ষা (West Bengal Health)? 

    সম্প্রতি, এক আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল (West Bengal Health) নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। আর তা থেকে জানা যায়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে একজন রোগীর জন্য চিকিৎসক গড়ে মাত্র ১৩ সেকেন্ড বরাদ্দ করতে পারেন। অর্থাৎ, রোগীর সমস্যা শোনা, রোগ নির্ণয়, তাঁকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া, সবটাই করতে হয় মাত্র ১৩ সেকেন্ডে! সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষত মেডিসিন, কার্ডিওলজি, স্ত্রীরোগ বিভাগে রোগীর চাপ বেশি থাকে। রোগী ও চিকিৎসকের কথা বলার প্রয়োজন বেশি হয়। তাই এই সব বিভাগে চাপ আরও বাড়ে!

    কী বলছে চিকিৎসক মহল (West Bengal Health)?

    রোগীদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না বলেই জানাচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) কর্মরত অধিকাংশ চিকিৎসক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রোগীদের সমস্ত সমস্যা শোনা, তার রোগ নির্ণয় ও তাকে পরামর্শ দেওয়া, এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত করা কঠিন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী একাধিক বিষয় জানতে চান। রোগীর কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেগুলো অত্যন্ত দ্রুত করতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। কারণ, কয়েক হাজার রোগী অপেক্ষা করেন। তাই একজন রোগীকে অতিরিক্ত সময় দিলে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া যাবে না। 
    স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গর্ভবতী মায়েদের স্তন্যপান করানোর বিষয়ে কাউন্সেলিং করানো জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই কেন মা সদ্যোজাতকে প্রথম ছ’মাস শুধুই মাতৃদুগ্ধ পান করাবে, সে বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের সময় পাওয়া যায় না। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি এখন রাজ্যের বছরভর সমস্যা। তবে অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই সমস্যা প্রতি বছর প্রবল বাড়ে। চাপ বাড়ে হাসপাতালের। কয়েক হাজার রোগী আউটডোরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই রোগীর কথা ঠিকমতো শোনার সুযোগ পর্যন্ত থাকে না। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে রোগী ও চিকিৎসক সম্পর্কের উন্নতির প্রয়োজন অনুভব করা হচ্ছে। সে নিয়ে নানান কর্মশালাও হচ্ছে। আর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যোগাযোগে। অর্থাৎ, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে কথোপকথন হতে হবে। কোনও রকম ভ্রান্ত ধারণা যাতে রোগীর তৈরি না হয়, সে জন্য রোগীকে সব কিছু বোঝাতে হবে। চিকিৎসক সহজভাবে রোগীর সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক ভালো হয়। কিন্তু রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) রোগী-চিকিৎসকের কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট তো দূর অস্ত, ন্যূনতম প্রয়োজন ঠিকমতো শোনার সুযোগ হয় না। আর প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ঘাটতি তার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। 
    সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জেলা স্তর থেকে মেডিক্যাল কলেজ, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক অত্যন্ত কম। আর তাই পরিষেবার মান কমছে।

    নিয়োগ (West Bengal Health) বন্ধ কেন? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকার সরকারি হাসপাতালে (West Bengal Health) চিকিৎসক নিয়োগ করেনি। চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে রাজ্যের ৩০টি মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক হাজার নতুন এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসক তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হবে, নতুন চিকিৎসক তৈরি হবে! প্রশ্ন উঠছে, সেই চিকিৎসক তাহলে সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত হচ্ছে না কেন?
    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কিন্তু এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতর এ বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চ স্তরের পরামর্শ মতো কাজ করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। সম্প্রতি হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করেছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইকের নাম। মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইক ২০১৬ সালে মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি চাবাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পদে কাজে যোগ দেন। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের খবর চাউর হতেই মালবাজার সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় শোরগোল পড়ে যায়। এই বাতিলের তালিকায় শিলিগুড়িরও ৩৫০ জন শিক্ষককের নাম রয়েছে। এদের চাকরি পাওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা বিবেচনা করার দাবিতে শিলিগুড়ির সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নেমেছেন।

    কী বলছেন এলাকাবাসী?

    রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এই দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর অনৈতিক কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস নেই সাধারণ মানুষের। মন্ত্রীর মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে জেনে সকলেই খুশি। মালবাজারের বিভিন্ন অংশের মানুষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম চোখে পড়লেও তা বলতে পারি না। কেননা প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের চোখরাঙানি ও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাই মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা জেনেও আমরা চুপ থেকেছি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে শুধু মেয়েরই নয়, তার আরও অনেক আত্মীয়স্বজনকে চাকরি করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তে হওয়ায় এই বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    চাকরি বাতিলের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এখবর আর গোপন নেই। এলাকায় সকলে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবুও এনিয়ে সুষমা চিকবরাইক কিছু বলতে চাননি। তাঁর বাবা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, আমার মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে। তবে মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমার মেয়ে সুষমা যথেষ্ট যোগ্য ও উপযুক্ত। দু’বার ডবলুবিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে। ভাইবাও দিয়েছে। আমার মেয়ে পরীক্ষায় বসেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিল। কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। আবারও পরীক্ষা হলে বসবে এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।

    চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি হতেই  শিলিগুড়িতে কেন আতঙ্ক?

    এদিকে শিলিগুড়িতে ৩৫০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) মামলায় সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। এই তদন্তে আমরা প্রথম থেকে সবরকম সহযোগিতা করে এসেছি। তদন্তের মূল দিক হলো, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি (Scam)  করেছে, সেই মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া। মূল অপরাধীকে খুঁজতে গিয়ে এভাবে আমাদের চাকরি বাতিল করা মেনে নিতে পারছি না। এতে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বো। আমাদের পরিবার রয়েছে। অনেকের লোন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারালে আমরা গভীর সঙ্কটে পড়বো। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ তারা। অভিজিতবাবু আরও বলেন, সচিন তেন্ডুলকার যেমন রোজ নেমে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেরকম সবসময় পরীক্ষা বসেই যে আমরা ভাল রেজাল্ট করে পাশ করবো তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই আবার পরীক্ষায় বসার বিষয়টি কেন আসছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি! এবার বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি! এবার বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকের পর বন সহায়ক, ফের কাঠগড়ায় রাজ্যের ‘নিয়োগ’ প্রক্রিয়া। এবার বন সহায়ক নিয়োগের ‘নম্বর সহ মেধাতালিকার’ রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী,  অশিক্ষক কর্মচারী,  নবম থেকে দশম পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেরবার রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় জুড়ল বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায় বন সহায়ক পদের নিয়োগের নম্বর বিভাজন সহ মেধাতালিকা (Merit List) আগামী ২০ জানুয়ারি হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী নিয়ে মামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২০-র ২২ জুলাই বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের (Contractual Recruitment) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্যের বন দফতর। এই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগে স্বজনপোষণ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। শুধু বন সহায়ক পদেই নয়, অন্যান্য পদে নিয়োগ নিয়েও অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় আদালতের নির্দেশে কয়েক দফায় রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। ২০২২ সালের ২২ জুলাই রাজ্য সরকার রিপোর্ট দিয়ে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১৭০টি শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা জানানো হয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য আবারও আদালতে জানায়, মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৬১। যদিও রাজ্যের রিপোর্টে শূন্যপদের জন্য ১৭০ জনের মেধা তালিকার উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর ফের  অন্য একটি রিপোর্ট রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। আদালত রাজ্যের এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নতুন বেঞ্চে গেল রাজ্যের ডিএ মামলা, শুনানি কবে জানেন?

    বিচারপতির মত

    এই মামলায় বন দফতরের ভুমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের দু’রকম তথ্যেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম রয়েছে। ২ বছর ধরে চলা মামলায় অস্বস্তিতে রাজ্য বন দফতরও। মামলাকারীদের আইনজীবী শমীক চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা প্রমাণ হয়ে গেছে রাজ্যের দেওয়া দুইরকম রিপোর্ট ফারাকে। আমরা নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। তা হাতে পেলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। ’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার বিদেশে নোটিশ পাঠাচ্ছে ইডি! কাকে তলব করা হচ্ছে?

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার বিদেশে নোটিশ পাঠাচ্ছে ইডি! কাকে তলব করা হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে বসবাসকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক আত্মীয়কে তলব করতে চলেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রবাসে থাকা কোনও ব্যক্তিকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা এই প্রথম। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সমান্তরাল তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছে তারা। 

    কাদের তলব

    ইডি সূত্রের খবর,  তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে একাধিকবার ইডি অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য পাওয়ার পরেই ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি নয়া সংস্থার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় একটি সময় ডিরেক্টর পদে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার রাজীব দে। সেই সময় সংস্থায় আরও এক ডিরেক্টর ছিলেন পার্থর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আসীন হন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ঘটনাচক্রে এঁরা কেউই এখন দেশে নেই৷ ফলে বিদেশেই তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে তাঁদের তলব করার কথা ভাবছে ইডি৷

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভাগ্নে’ রাজীব!

    অন্যদিকে, ইডি জানতে পেরেছ, নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভাগ্নে’ পরিচয় দিয়ে শান্তিনিকেতনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘অপা’ নামের বাংলোতেই থাকছিলেন প্রোমোটার রাজীব দে৷ রাজীবের নাকতলার বাড়িতে সম্প্রতি দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি৷ সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার৷ সূত্রের খবর, সম্ভবত ‘অপা’-তেই হত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক বৈঠক৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের মামা বলেই পরিচয় দিতেন রাজীব দে৷ ‘ইম্প্রেসলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা তৈরি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে জানা যায়, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার এই রাজীব দে ৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railways Jobs: রেলে নিচ্ছে প্রায় ৫,৭০০ লোকো পাইলট! আজই আবেদন করুন

    Railways Jobs: রেলে নিচ্ছে প্রায় ৫,৭০০ লোকো পাইলট! আজই আবেদন করুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি লোকো পাইলট হিসেবে ভারতীয় রেলে চাকরি (Railways Jobs) করতে চান? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বিরাট সুযোগ। দ্রুত জেনে নিন কবে ও কীভাবে আবেদন করবেন। 

    সম্প্রতি, লোকো পাইলট নিয়োগ নিয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছে ভারতীয় রেল। আবেদনকারীদের বয়সে ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে ৩ বছর অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যাঁরা আবেদন করতে পারেননি তাঁদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ সুযোগ। আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে ২০ জানুয়ারি এবং জমা করার শেষ তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি।

    কত শূন্যপদ?

    রেলের লোকো পাইলট নিয়োগের (Railways Jobs) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট শূন্যপদ ৫৬৯৬ এবং বেতন শুরু ৬৩ হাজার থেকে। সংশোধিত যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে বলা হয়েছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে হতে হবে। সাধারণ এবং ইডব্লুএস (আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া) শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের জান্মের তারিখ ০২.০৭.১৯৯১ এবং ০১.০৭.২০০৬ এর মধ্যে হতে হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    আবেদনকারীদের যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাস হতে হবে। যে কোনও বিভাগে আইটিআই বা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাস হতে হবে প্রার্থীদের। রেলের তরফ থেকে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য আবেদন মূল্য ৫০০ টাকা। অন্যদিকে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, ইডব্লুএস, এক্স সার্ভিসম্যান, রূপান্তরকামী, মহিলাদের জন্য আবেদন মূল্য ২৫০ টাকা। চাকরির (Railways Jobs) বেতন হবে ১৯৯০০ টাকা থেকে ৬৩২০০ টাকা পর্যন্ত।

    কীভাবে নির্বাচন হবে?

    নির্বাচন প্রক্রিয়া হিসাবে মোট চারটি ধাপ—

    ১.) কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT 1)

    ২.) কম্পিউটার ভিত্তিক যোগ্যতা পরীক্ষা (CBAT)

    ৩.) ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন (DV)

    ৪.) মেডিকেল টেস্ট (ME)

    কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

    আবেদনকারীকে (Railways Jobs) নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট আবেদনে উল্লেখ করতে হবে—

    দশম শ্রেণির মার্ক শীট

    দ্বাদশ শ্রেণির মার্ক শীট

    আইটিআই, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি

    প্রার্থীর ছবি ও স্বাক্ষর

    জাতিগত শংসাপত্র

    প্রার্থীর মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি

    আধার কার্ড

    কীভাবে আবেদন করবেন

    আবেদনকারীদের রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেলবোর্ডে আবেদন (Railways Jobs) করতে হবে। আরআরবি গোরক্ষপুর, আরআরবি পাটনা, আরআরবি সেকান্দ্রাবাদ, আরআরবি চেন্নাইতে আবেদন করা যাবে। indianrailways.gov.in. লিঙ্কে আবেদন করতে হবে। অনলাইন বিজ্ঞপ্তি থেকে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর টাকা জমা করে ফর্ম সাবমিট করে প্রিন্ট নিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বড় খবর! তবে এই খবর সুপবন বয়ে আনবে কেবল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের জীবনে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এমনই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই আইনি জট কাটল প্রায় সাত বছর পরে।

    আদালতের রায়

    আদালতের এই রায়ে আদতে মান্যতা পেল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিই। বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত জানিয়েছে, প্যারাটিচার নিয়োগ, তাঁদের কাজের ধরন, গুরুত্ব সবই অন্যদের থেকে আলাদা। তাই ২০১৭ সাল থেকে স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, মুখ্য সহায়ক এবং সহায়িকাদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ঠেকেছে ৪২ হাজারে। রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৩৩টি পদ। প্রসঙ্গত, এতদিন এই ১ হাজার ৪৩৩টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের জেরে এবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    আরও পড়ুুন: ফের অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’

    পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, “পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রজেক্ট অফিসারের মাধ্যমে। তাই তাঁদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ কম। তাঁদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার কাজও করতে হয় তাঁদের।” এ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেন সৌমিক। আদালত সাফ জানিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা সহ সমগোত্রীয়রা যেহেতু এমন কোনও নথি দিতে পারেননি, তাই তাঁদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারদের জন্য সুখবর। যেসমস্ত চিকিৎসকরা কল্যাণী এইমসে সরকারি চাকরি করতে চান, তাঁরা খুব দ্রুত নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কল্যাণী এইমসে (AIIMS Kalyani) চিকিৎসক শূন্যপদ পূরণে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

    নিয়োগে যোগ্যতা

    এই শূন্য পদে যোগ্যতা (AIIMS Kalyani) হিসাবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোস্ট গ্রেজুয়েশন মেডিক্যাল ডিগ্রি হিসাবে এমডি, এমএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমডি, এমবিবিবিএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্নরাও আবেদন করতে পারবেন।

    কোন কোন বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে

    কল্যাণী এইমস (AIIMS Kalyani) বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গিয়েছে, এইমসের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পদে বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ করা হবে। তবে এই পদগুলি সব নন-অ্যাকাডেমিক পদ। যেসব বিভাগগুলোতে নিয়োগ করা হবে সেগুলো হল— রেডিওলজি, পালমোনারি মেডিসিন, ফিজিওলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিন, ডার্মাটোলজি, ইএনটি, ফরেন্সিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি, জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাইক্রোবায়োলজি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নোকোলজি, অপথ্যালমোলজি, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক্স, প্যাথোলজি, ফার্মাকোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন অ্যান্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক, ট্রমা অ্যান্ড এমারজেন্সি মেডিসিন, অ্যানাস্থেসিয়া এবং অ্যানাটমি। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি হলেও যোগ্যতা অনুসারে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

    বয়সসীমা এবং বেতন

    এই বিজ্ঞপ্তিতে (AIIMS Kalyani) বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। পদপ্রার্থীদের বেতনের ক্রম হবে ১৫৬০০ থেকে ৩৯১০০ প্রতি মাসে। সেই সঙ্গে গ্রেস পে হিসাবে অতিরিক্ত মিলবে আরও ৬৬০০ টাকা। একই ভাবে থাকবে অতিরিক্ত সুবিধা।

    আবেদন ফি এবং নিয়োগ পদ্ধিত

    এইমস কল্যাণীতে (AIIMS Kalyani) এনইএফটি-র মাধ্যমে ফি জমা করতে হবে। আবেদনের মূল্য ১০০০ টাকা। আবেদন করার পর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। আরও বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনে যে প্রার্থীদের আবেদন পত্রে উল্লিখিত বয়স, শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শংসাপত্র, ডকুমেন্ট সেলফ-অ্যাটেস্টেড কপি আনতে হবে সাক্ষাৎকারের দিন।

    কিভাবে আবেদন করবেন

    প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ একটি সিস্টেম জেনারেটেড হবে। এই রেজিস্ট্রেশনকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। নিয়োগ সাক্ষাৎকারের দিন ১৩ অক্টোবর এবং ১৪ অক্টোবর ২০২৩। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে  এবং আবেদনের শেষ তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৩।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share