Tag: recruitment case

recruitment case

  • Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের সমন। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি কীর্তন শিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়িকা অদিতি মুন্সীর স্বামী। দেবরাজের পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক নেতা কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও। হাজিরা দিয়েছেন তিনিও। দুই তৃণমূল নেতাকেই এদিন কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই দফতরে দেবরাজ-বাপ্পাদিত্য

    নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে (Recruitment Case) তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁর স্ত্রী বিধায়িকা-কীর্তনশিল্পী অদিতির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় টেটের কয়েকটি মার্কশিট ও বদলির আবেদনপত্র। বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও মিলেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের ঠিকানায় চালানো তল্লাশিতে যেসব নথি উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলি বিশ্লেষণ করার পরেই তলব করা হয়েছে তৃণমূলের এই দুই নেতাকে। এই নথি ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁদের। দেবরাজ বলেন, “বুধবার নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। তবে আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।”

    নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন এই তৃণমূল নেতারা!

    সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের। রিপোর্টে এঁদের নিয়োগ কেলেঙ্কারির এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজেন্ট হিসেবে নাম রয়েছে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর ও সৌরভ ঘোষের। তৃণমূলে দেবরাজের উত্থান রকেটের গতিতে। এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। পূর্ণেন্দুর সুপারিশে বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। পরে মেয়র পারিষদের সদস্য করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    বাপ্পাদিত্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থ যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেখানেই কাজ করতেন বাপ্পাদিত্যও। পার্থর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে পার্থর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও ছিল (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ‘‘‘আন্দোলনকারীদের দিকে ছুরির ধার অনেক বেশি’’, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘‘আন্দোলনকারীদের দিকে ছুরির ধার অনেক বেশি’’, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন তার ধার অনেক বেশি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন হাইকোর্ট জানায়,  ছুরির দু’দিক দিয়ে কাটা যায়। সেই ছুরির এক প্রান্তে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা, আর অন্য প্রান্তে রয়েছেন চাকরিপ্রাপকেরা। আন্দোলনকারীরা যে প্রান্তে রয়েছেন, সে দিকের ধার অনেক বেশি। আন্দোলনকারীরা চাকরিপ্রাপকদের থেকেও বেশি গরিব বলে এদিন পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে উচ্চ আদালত। পাশাপাশি বিপক্ষের আইনজীবীকে আন্দোলনকারীদের কথা ভাবারও কথা বলে হাইকোর্ট।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে শুনানি হচ্ছে হাইকোর্টে

    প্রসঙ্গত, আগেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি ছ’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই সংক্রান্ত মামলাগুলির জন্য গঠন করা বিশেষ বেঞ্চও (Calcutta High Court)। ওই বিশেষ বেঞ্চেই চলছে শুনানি। বুধবারই বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চে গ্রুপ ডি-র নিয়োগ মামলার শুনানি চলছিল।

    হাইকোর্টে সওয়াল জবাব

    সেই মামলায় চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী (Calcutta High Court) অনিন্দ্য মিত্র এদিন বলেন, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সব চেয়ে নীচের স্তরে রয়েছেন গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রাপকেরা। তাঁরা অর্থনৈতিক ভাবে সব চেয়ে দুর্বল। উপরতলার আধিকারিকদের দুর্নীতির দায় তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’’ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন , ‘‘আন্দোলনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন, তার ধার অনেক বেশি। বিচারপতি বসাকের যুক্তি, গ্রুপ ডি-র কর্মীরা তো তবু চাকরি করছেন। বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবা দরকার।’’ প্রসঙ্গত, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও দীর্ঘদিন রাস্তায় বসে থেকে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে ফের সওয়াল শোনা গেল রাজ্যের উচ্চ আদালতে।

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সএসসির চারটি মামলায় একসঙ্গে চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) চারটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই চারটি মামলাতেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে।

    চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ

    সিবিআই সূত্রের খবর, চূড়ান্ত চার্জশিটে একাধিক এজেন্টদের নাম থাকছে। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও যে ৬ জনের নাম রয়েছে, সেগুলি নতুন নাম। এক এজেন্টেরও নাম রয়েছে এই মামলায়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে সাক্ষী ছিলেন, এমন তিন জনকেও নতুন চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রুপ সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। 

    চার্জশিটে কী কী

    আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের মামলায়ও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আরও একটি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা উঠে এসেছে। চার্জশিটে তার উল্লেখ থাকতে চলেছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই সোমবার চার্জশিট জমা করছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে একসঙ্গে চারটি মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিচ্ছে তারা। তবে প্রাথমিকের মামলায় এখনই চার্জশিট দিচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের চার্জশিট পেশ করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে আরও ২ নামের খোঁজ! ফের ইডির জেরার মুখে মেয়ে প্রিয়দর্শিনী?

    গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত করছে সিবিআই, সেই সমস্ত তদন্ত পরের দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই মামলাগুলির শুনানিতে ক্রমাগত দেরি হচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মামলাকারীরা। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো জানুয়ারির ৮ তারিখ চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment scam) তদন্তে ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।  দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত চার্জশিটে আরও নতুন কী কী তথ্য রয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    Calcutta High Court: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়, আদালতে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নয়া মোড়। ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ বলে যা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি স্ট্যাম্প। এর আড়ালেই হত অবৈধ নিয়োগ। মঙ্গলবার এই মামলায় মুখবন্ধ খামে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মর্মে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই এবং ইডি। তার পরেই খুলেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একের পর এক পরত।

    কী জানাল সিবিআই?

    আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কোনও অনুমোদন ছিল না। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে অনলাইন পোর্টাল করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী সংস্থায় কোনও কর্মীই নেই। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার যাবতীয় নথি নষ্ট করা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওএমআর শিট দেখার পর নম্বর দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকেই। এই কোম্পানির দুই কর্মী কৌশিক মাজি ও পার্থ সেনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

    ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন’

    আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া সিবিআই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল যাতে আসল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা না যায়। অয়ন শীল ওএমআর কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাঁকে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি করে নিয়োগ করেছে অয়ন।’ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম হিসেবে নথিভুক্ত ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। তার পরেই বেশ কিছু বিষয় এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হয়। এই কোম্পানিকে সামনে রেখেই চলছিল দুর্নীতি। বোর্ডের কর্মীরাও যুক্ত ছিল এই দুর্নীতির সঙ্গে। কার ওএমআর শিট, সেটা যাতে কেউ বলতে না পারে, সেভাবেই করা হয়েছিল দুর্নীতির পরিকল্পনা।’

    আরও পড়ুুন: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    সিবিআইয়ের পাশাপাশি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত-রিপোর্ট জমা দিল ইডিও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সাড়ে ৭ কোটির ৮টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুধবার ইডির যুগ্ম অধিকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করবে ইডি, যাঁরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা টেস্ট করতে পারবেন।” এর পরেই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসককেও বুধবার আদালতে (Calcutta High Court) উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • ED Raid Kolkata: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    ED Raid Kolkata: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক জায়গায় হানা দিল ইডি। বড়বাজার, মানিকতলা, নিউ আলিপুর সহ প্রায় ৯টি জায়গায় তদন্ত চালায় ইডির আধিকারিকরা। অভিযানে ইডির (ED Raid Kolkata) সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন। ইডির আধিকারিকরা এই তল্লাশি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তেই অভিযান।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    বৃহস্পতিবার সকালে ডালহৌসি অঞ্চলের একটি অফিসে, বড়বাজারের একটি অফিসে এবং সল্টলেকের বেঙ্গল কেমিক্যালসে দেখা যায় ইডি (ED Raid Kolkata) আধিকারিকদের। ইডির তরফে এই তল্লাশির কারণ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানা না-গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে শিক্ষক দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রেই এই অভিযান। বড়বাজারে যে জায়গায় ইডি আধিকারিকেরা হানা দিয়েছেন, সেটি এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের অফিস বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, হিসাবে গরমিল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের সূত্রেই সেখানে হানা দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাল, আটার পর সরকারি চাল! ২৫ টাকা কেজি দরে বাজারে আসছে ‘ভারত রাইস’

    কেন তল্লাশি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৎপর পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টেরও বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন রয়েছে। তাই বছর শেষেও তৎপর ইডির আধিকারিকরা। এদিন সকালে বড়বাজারে ক্যানিং স্ট্রিট এলাকায় রাজেশ যোশী নামে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের অফিসে তল্লাশির জন্য পৌঁছে যান। সূত্রের খবর, ওই অফিসের মালিকের সঙ্গেও কথা বলবেন ইডির (ED Raid Kolkata) গোয়েন্দা দল। আপাতত গোটা অফিসটি ঘিরে ফেলেছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।  অন্যদিকে বেঙ্গল কেমিক্যালস বাসস্টপের কাছে মণিকলা আবাসনের ১৬ ও ১৮ তলায় দু’জন ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও তল্লাশির জন্য পৌঁছে গিয়েছে এজেন্সি। সেখানেও নানা কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, শহরের এই জায়গাগুলিতে গিয়ে সেখান থেকে কোনও নথি উদ্ধার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই দলে কয়েকজন মহিলা অফিসারও রয়েছেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন সেই নাকের বদলে নরুন পাওয়ার গল্প! চেয়েছিলেন চাকরি। চাকরি (Recruitment Case) তো হলই না, তার বদলে জুটল জেল হেফাজত। ধৃত চারজনকে রাত কাটাতে হচ্ছে জেলেই। ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। শুক্রবার চাকরির দাবিতে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। পরে তাঁরা ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায়। পথ আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় চাকরিপ্রার্থী-পুলিশ বচসা, ধস্তাধস্তি। তার জেরে গ্রেফতার করা হয় ৫৯ চাকরিপ্রার্থীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, সরকারি কর্মীকে নিগ্রহ, অবৈধ জমায়েত ও জোর করে আটকে রাখার মামলা রুজু করে পুলিশ।  

    জেল হেফাজতে ৪ 

    শনিবার আদালতে তোলা হলে ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। বাকি ৪ জনের হয়েছে জেল হেফাজত। যদিও ‘বড় পরিকল্পনার চেষ্টা রয়েছে, জানতে হবে’ বলে দাবি করে পুলিশ। এই (Recruitment Case) দাবিতে আদালতে ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের সেই দাবি নস্যাৎ করে ধৃত চারজনকে দেওয়া হয়েছে জেল হেফাজত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে তাঁদের। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ছিল সেই আন্দোলনের ৫৫৫তম দিন। এদিনই হাজরায় জমায়েত করেন তাঁরা।

    পুলিশের ‘আবদার’

    শুনানির সময় আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, “ধর্নার ব্যানার সামনে রেখে বিক্ষোভকারীরা অপরাধমূলক কাজ করেছেন। পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছেন। ওই ঘটনায় ৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।” এর পরেই ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারকের প্রশ্ন, “পুলিশ হেফাজত চাইছেন কেন?” তদন্তকারী অফিসারের সওয়াল, “বড় পরিকল্পনার চেষ্টা করছে। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা রয়েছে। বারবার এরকম হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে।”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতোয় টনক নড়েছে, তাই কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা টেটে?

    এই সময় ধৃতদের আইনজীবী বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। আসলে চাকরি পেতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। এসব করে ভয় দেখাতে চাইছে, যাতে চাকরি জীবনে দাগ লাগানো যায়। এসএসসিতে দেখেছেন, মন্ত্রী থেকে অনেকেই জেলে রয়েছেন। আর যাতে কাউকে জেলে যেতে না হয়, তাই ভয় দেখানো হচ্ছে।” দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃত চারজনকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিদের দেওয়া হয় জামিন (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে (Teacher Recruitment Case) চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

    ২০১৪ সালের পর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হয় দু বার। একবার ২০১৬ সালে। আর দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল বিচারপতি সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সময় পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগের রীতি মেনে ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

    বিচারপতি সিনহার মন্তব্য

    যদিও আদলত চেয়েছিল দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ারই সম্পূর্ণ প্যানেল দেখাতে। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আমি প্রাথমিকের প্যানেল (Teacher Recruitment Case) দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের।” তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, “নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কি পর্ষদ কাউকে আড়াল করতে চাইছে? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?” বিচারপতি সিনহার সেই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুুন: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এই মামলায়ই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যে দুটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন বঞ্চিতেরা? তাঁদের (Teacher Recruitment Case) কাছে প্রতিটি দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Case) সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতির দাবি, এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে পূর্ণ রাজনীতিক, আধা রাজনীতিক, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সবাই সব জানতেন। পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “সিবিআই রিপোর্টে এমন কিছু আছে যা এই মুহূর্তে সবার সামনে আনা সম্ভব নয়! সবটাই নাকের নীচে হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই রাজ্যে কোনও ‘ ফুল বা বোকা ‘ আছে! রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতেন না, এমনটা হতে পারে না! এটা যেন আরেকটা সারদা মামলা না হয়।” এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এও বলেন যে, ইডির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ

    বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি জানান, দ্বিতীয় চার্জশিট তৈরি করা হবে শীঘ্রই। তখনই বিচারপতি ইডির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। জানান, ইডির সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখেনি সিবিআই। তাই চার্জশিটে প্রাথমিক মামলার (Primary Recruitment Case) সব অভিযুক্তের নাম নেই। অবিলম্বে ইডির সঙ্গে সিবিআইকে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “অনেক অভিযুক্তর নাম চার্জশিটে নেই, ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আরো অনেক তথ্য পাবেন। বিশাল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্রুত চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুন।” আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এদিনই অন্য একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ সেই জন্যই গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। এমনটাই দাবি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তদন্ত বিলম্বিত করতে এই কাজ করা হচ্ছে।

    কেন কণ্ঠস্বরের নমুনা চায় ইডি

    আদালতের নির্দেশে ইডির আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান। গত ৩০ মে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। তার আগে সুজয় ঘনিষ্ঠ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই যুবকের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন সুজয়। ওই যুবকের ফোন থেকে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। 

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সুজয়ের উপর মানসিক চাপ রয়েছে। গলার স্বরের নমুনা দিতে গেলে সেই চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই নমুনা সংগ্রহে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক চাপের সমস্যা মেটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও পরামর্শ করা হতে পারে। হাসপাতালের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইডি। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ না করার জন্য যে যুক্তিগুলি দিচ্ছেন, তা ভিত্তিহীন। যে মেডিক্যাল বোর্ড ‘কালীঘাটের কাকু’কে দেখছে, তার নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদালতে ইডি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, স্বরের নমুনা নিতে বাধা দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আসলে ইডির কাজে এবং বিচারপ্রক্রিয়াতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

    আরও পড়ুন: বোলিংয়ে বিশেষ নজর! আইপিএল নিলামে নাইটদের ভাবনায় কারা?

    ইডির দাবি

    এরপরই ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ইডি সূত্রে খবর, সেই নির্দেশ হাতে পেয়েই সোমবার ছুটির দিনেও কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ, জোকা ইএসআই হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি সপ্তাহেই নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইডির দফতরে অভিষেক, তাঁর জমা দেওয়া নথি থেকেই প্রশ্ন তৈরি তদন্তকারীদের

    Abhishek Banerjee: ইডির দফতরে অভিষেক, তাঁর জমা দেওয়া নথি থেকেই প্রশ্ন তৈরি তদন্তকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে পৌঁছলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল ১১টা ৫ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকে তৃণমূল সাংসদের কনভয়। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর জমা দেওয়া নথি সংক্রান্ত প্রশ্নের বেশ কিছু না-পাওয়া উত্তর পেতেই অভিষেককে জেরা করা হবে বৃহস্পতিবার।

    কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে

    উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে কেন্দ্রীয় সংস্থা একাধিক বার তলব করে অভিষেককে। এর আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ৬ মাসে ৬ বার তলব করা হয়। যার মধ্যে একাধিকবার তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে দেন অভিষেক। তাঁর সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউনডসের আয়-ব্যায়ের হিসেবও জমা দেন। তিনি যে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন ইডির দফতরে তা নিয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে ভর্তুকিযুক্ত আটা, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে মোদি সরকার, কোথায় কিনবেন?

    বৃহস্পতিবার অভিষেকের পোশাকে খানিক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অভিষেককে কালো শার্ট বা টিশার্টে দেখা যেত। কিন্তু খানিক ছক ভেঙে এদিন সাদা শার্টেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিছকই কি রঙ বদল না তিনি অন্য কিছু বোঝাতে চাইছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ও ভিতরে দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকা ও বেরনোও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বাইরের সমস্ত গাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    রেকর্ড করা হবে জেরা পর্ব 

    অভিষেকের জেরা পর্বে ‘ইন্টারোগেশন রুম’ বা জেরা-কক্ষে থাকার কথা তদন্তকারী অফিসারদের। এঁদের মধ্যে থাকতে পারেন ইডি অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্রও। তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক যা যা বলবেন, জেরা-কক্ষে থাকা ক্যামেরায় তার সবটাই রেকর্ড হবে। প্রসঙ্গত, ঠিক দু’মাস আগেই ইডির তলব পেয়ে সিজিও দফতরে এসেছিলেন অভিষেক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সে দিন টানা ৯ ঘণ্টা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share