Tag: recruitment case

recruitment case

  • Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম কৌশিক মাজি। তিনি ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ সেন নামে একজনকে। তাঁকে জেরা করে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় কৌশিককে।   

    বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    গত মাসে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিকও। তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কৌশিকের বাড়ি হাওড়ার দাশনগরে। এর আগে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। এবার করা হল গ্রেফতার।

    ‘অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন’

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Case) উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই অন্যতম অংশীদার কৌশিক। সোমবার দুপুরে এই সংস্থার কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পার্থই কেলেঙ্কারির মূল চাবিকাঠি। এদিন আলিপুর আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পার্থ সরাসরি যুক্ত। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। সেই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    আরও পড়ুুন: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৭ সালে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি হয়েছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিতে। পার্থই সেই তালিকা তৈরি করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে একটি ডিজিটাল তালিকা তৈরি হয়েছিল। পরে সেই তালিকা মেইল করে পাঠানো হয় পর্ষদ অফিসে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকার মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী পরে চাকরিও পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০০৭ সাল থেকে ওএমআর শিট তৈরির ওই সংস্থায় চাকরি করছেন পার্থ। তাঁর মেয়ে ও জামাই দুজনেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আরও কয়েকজন ছোট বড় দরের নেতা। এবার গ্রেফতার হলেন পার্থ, কৌশিক। এঁদের পর কাদের হাতে পড়বে হাতকড়া, সেটাই প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    Recruitment Case: মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আড়াই কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচয় বলতে তিনি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে। মানিক নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সৌভিকও তৃণমূল নেতা, তবে বড় দরের নয়, ছোট দরের। এহেন তৃণমূল নেতা মানিক পুত্র শৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অন্তত কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে ইডি।

    শৌভিক সরাসরি সুবিধাভোগী!

    তদন্তকারীরা তাঁকে সরাসরি সুবিধাভোগী বলেও উল্লেখ করেছেন। বুধবার শুনানি ছিল শৌভিকের জামিনের আবেদনের। শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। তখনই মানিক-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, শৌভিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে নিয়োগ দুর্নীতির ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই টাকা নয়ছয় করেছেন শৌভিক। অভিযোগ, স্কুলের মাধ্যমেও তছরুপ করেছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Case) টাকা।

    স্কুল ও ক্লাবের মাধ্যমে টাকা সাইফন!

    আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই তদন্তের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে ঢের বেশি। এই পরিস্থিতিতে মঞ্জুর হওয়া উচিত নয় সৌভিকের জামিন। সুপ্রিম কোর্টের এক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ইডির আইনজীবী বলেন, “যে ব্যক্তি বেআইনিভাবে টাকা নেয় এবং যে ব্যক্তি সেই টাকা ভোগ করে, উভয়েই সমান দোষী।” ইডির আইনজীবীর সওয়াল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেমন তাঁর স্ত্রীর নামে স্কুল খুলে টাকা সাইফন করেছিলেন, সেভাবেই মানিক-পুত্র সৌভিক স্কুল ও ক্লাবের মাধ্যমে টাকা সাইফন করেছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    এই প্রথম নয়, ইডি আগেও একাধিকবার জানিয়েছিল, দু’টি নামী ক্লাবের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছিলেন শৌভিক। এদিন ফের সেই একই দাবি করল তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিককে। শতরূপা জামিন পেয়েছেন আগেই। তাঁকে জামিন দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, শতরূপা যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা নিয়েছিলেন সে প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    Recruitment Scam: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে নিয়োগ (Recruitment Scam) হওয়া ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৬ এবং ২০২০ সালের টেটের মেধা তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অতা সিনহা। ওই মেধা তালিকা ৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।  

    আদালতের নির্দেশ

    মঙ্গলবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। আদালতের নির্দেশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোর্টে জানায় যে, ৯৬ জনকে নথি যাচাইয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৪ জন টেট পাশের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডকে (ডব্লিউবিবিপিই) ভবিষ্যতে নিয়োগের পদ্ধতিতে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি এমন প্রার্থীদের একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সিনহা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেন, ‘এই প্রার্থীরা বেকার। তাঁরা মনে করেন যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ না পেয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারিত করা হয়েছে। তাই আপনাদের অবশ্যই তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা উচিত।’

    রাজপথে বিক্ষোভ

    এদিনই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা আজ কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন। তাঁদের অভিযোগ, ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ না নিয়ে নতুন টেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগে তাঁদের নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিতে প্রার্থীরা এপিসি ভবনের দিকে গেলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।

    আরও পড়ুন: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    অভিষেকের নথি প্রসঙ্গ

    এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে নজর ছিল অভিষেকের নথি জমার দিকেও। ইডি-র কাছে নথি জমা দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ ছিল, যে ভাবে হোক এই দিনের মধ্যেই নিজের এবং দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বেসরকারি সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির কাছে জমা দিতে হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, নথির কোনও প্রতিলিপি (হার্ড কপি) তাঁরা পাননি। তবে ই-মেল মারফত নথি (সফ্‌ট কপি) পাঠানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। উল্টো দিকে, অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, এ দিন সন্ধ্যাতেই রিপোর্ট জমা পড়েছে ইডি-র কাছে। এ দিন ইডি এবং সিবিআই, দুই তদন্তকারী সংস্থাই মুখবন্ধ খামে  তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামী গিয়ে নথি জমা দিয়েছিলেন ইডিকে। আর পরের দিন সকালে ইডির দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০-১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এদিন ১১টা বাজার মিনিট কয়েক আগেই ইডির দফতরে চলে আসেন রুজিরা।

    ইডির দফতরে রুজিরা

    এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল যান চলাচল। ১১টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়ি করে চলে আসেন অভিষেক-পত্নী। গাড়ি থেকে নেমে কোনও দিকে না তাকিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ইডির দফতরে।

    অভিষেক-জায়া ইডির মুখোমুখি হয়েছেন আগেও

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-জায়া (Rujira Banerjee)। মাস চারেক আগেই কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান ও এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছিল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। ২০২২ সালের জুন মাসেও শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হামাসের ধাঁচে হামলা ভারতে’’! যুদ্ধের আবহে হাওয়া গরমের চেষ্টা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    তবে এবার যে রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করা হয়েছে, তা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সিইও অভিষেক। সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থারই অধিকর্তা ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। এই চারজনকেই তলব করেছিল ইডি। যদিও রুজিরা বাদে বাকি তিনজনই এড়িয়েছেন হাজিরা। মঙ্গলবার মধ্য রাতের কিছু আগে গিয়ে ইডিকে নথি দিয়ে আসেন অভিষেক।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় রুজিরার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন ইডির তিন আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রুজিরাকে। এঁদের মধ্যে  রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Recruitment Case) পরিমাণ বোঝাতে আগেই তুলনা টানা হয়েছিল ট্যুইন টাওয়ারের সঙ্গে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) উপমা দিতে গিয়ে সিবিআই তুলল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গও।

    উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ারের মতো। এর একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, তাহলে অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।” এই সময়ই ওঠে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।”

    ‘দুর্নীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত’ 

    গত সপ্তাহেই টেট সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি (Recruitment Case) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই সিবিআইয়ের আইনজীবী দুর্নীতর সঙ্গে তুলনা টানেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্কের ওই যমজ টাওয়ার। শুনানির দিন বিচারপতি বলেছিলেন, “দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় গোটা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, কীভাবে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি করা হয়েছিল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছিলেন’ অনেকেই। পাহাড় প্রমাণ এই (Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে এবং বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশচুম্বি এই দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ খুলে দেওয়াও তাঁদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নথি আদালতে জমা দিতে হবে ইডি ও সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নথি জমা দিতে হবে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ইডির কাছে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার পাঁচটি বিষয় জানতে চায় হাইকোর্ট। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয় – ব্যয়ের হিসাব ও সংস্থা তৈরি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এদিন আদালতে বিচারপতি সিনহা ইডির আইনজীবীকে বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন তাদের সম্পত্তির হিসাব জানেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও ও ডিরেক্টরদের কার কত সম্পত্তি তার তালিকা আদালতকে জানাতে হবে। সেজন্য ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। ” এদিন বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে যে সকল টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে ইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে। জানাতে হবে ওই সব অভিনেতার নাম এবং তাঁদের সম্পত্তির বিবরণও।

    আর কী বলল আদালত

    ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার ডিরেক্টরের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেকের পরিবারের বেশ কয়েক জন। এই সংস্থাতেই আগে ডিরেক্টর ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা আরও জানান, সংস্থার সব সদস্যের সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে। সংস্থার সংগঠনের স্মারকলিপি জমা করতে হবে ইডিকে। সংস্থার নথিভুক্তকরণের (রেজিস্ট্রেশন) তারিখ জানাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। এর পরেই ইডির আতশকাচে আসে তাঁর সংস্থা লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস। সেই সংস্থার দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তল্লাশির পর সংস্থার বেশ কিছু নথি তাঁদের হাতে এসেছে।

    আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে ফের নাড়াচাড়া! ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতায় তলব সিবিআইয়ের

    অভিষেকের দাবি

    বুধবার দীর্ঘ জেরার পর অভিষেকের কাছে ইডি তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবারের জেরার পর অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি এখনো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে রয়েছেন। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতির ১০ পয়সা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি বলে দাবি অভিষেকের। কিন্তু আদালত সেই সংস্থার নথি তলব করার পর এখন কী করবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের! পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) রাজ্যের আর্জি খারিজ দেশের শীর্ষ আদালতে। যার অর্থ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল থাকছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারির সূত্র খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। ঘুষের টাকা কার কার মধ্যে হাতবদল হয়ে কোথায় পৌঁছেছে, সেই সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) সংক্রান্ত যে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল, তদন্ত করে হাইকোর্টে তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা করেছেন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টিতে শীর্ষ আদালত সন্তুষ্ট। এর পরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদলত।

    ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ঘুষের টাকা হাতবদল হয়ে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন এ সংক্রান্ত প্রমাণও। যদিও তদন্তের স্বার্থে সেই নথি এখনই আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে দায়ের করা হবে চার্জশিট।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) ১৯ মার্চ ইডি গ্রেফতার করে অয়ন শীলকে। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি তুলেছিলেন ২০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের একশোজনেরও বেশি আধিকারিক, ১৪টি টিম একই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, চুঁচুড়া ও দমদম সহ বিভিন্ন পুরসভায় (Recruitment Case) হামলা চালায় তারা। সেই সময়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: “৭ দিন মানে ৭ দিন”! ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডি-কে ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এআর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে ছেলে অনিমেশ তিওয়ারিকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় ৭ দিনের চূড়ান্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাক সিআইডি নাহলে তদন্ত স্থানান্তর করা হবে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।” তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “আপনাদের উপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?” বুধবারই মামলায় সিআইডির তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে আদালত। হস্পতিবার অবশ্য ডিআইজি হাইকোর্টে আসেননি। এই মামলার জন্য গঠিত সাত সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর চার জন উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, “আদালত আশা করে এই ধরনের একটা মামলার সময় তদন্তকারী দলের দায়িত্বশীল কোনও আধিকারিক আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তদন্তকারী দলে কারা কারা আছেন? ডিআইজি-সিআইডিকে তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলাম। সেই নামগুলো কোথায়?” 

    আরও পড়ুন: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    সাত দিন সময়

    বিচারপতি এদিন আরও বলেন, “এখানে শুধুমাত্র অনিমেষ তিওয়ারির ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্যের যদি কোনও কিছু লুকনোর না থাকে সেক্ষেত্রে তা করা উচিত। আর যদি রাজ্য কিছু চাপা দিতে চায় সেক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। এসএসসি খোঁজ করার চেষ্টা করছে যে কাদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হল। এটা তো সিআইডি-র খোঁজার কথা।” বিচারপতি আরও বলেন, “এটা একটা সুপরিকল্পিত চক্র। তা কেবলমাত্র একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন হয়ে গিয়েছে। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিছু লোক এখনও শিক্ষক হিসেবে কাজ করছে, বেতন পাচ্ছে। অথচ তাদের কোনও রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ১৫ দিন সময় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাতদিন মানে সাতদিন। ব্যক্তি নয়, একটা দল হিসেবে কাজ করুন।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রিপোর্টে অসন্তুষ্ট! ‘ভুয়ো’ শিক্ষক মামলায় রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার স্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় বুধবার রাজ্যের ডিআইজি সিআইডিকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআইজি সিআইডিকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তলব করা হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদেরও। এর পরই মামলাটির তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন শুনানির সময়,  বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “আমি আমার বিশ্বাস ভরসা সিআইডির উপর হারাচ্ছি।” ভুয়ো নিয়োগপত্র বানিয়ে নিজের স্কুলেই ছেলেকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধানশিক্ষক বাবার বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। তদন্তে আরও উঠে আসে যে, সাত জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: চিনকে টক্কর! উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আরও সাতটি টানেল তৈরি করছে ভারত

    তলব তদন্তকারী আধিকারিকদের

    বুধবার বিচারপতি বসু (Justice Biswajit Basu) এজলাসে এই মামলার শুনানিতে বলেন, ‘রাজ্যের এজেন্সিকে ভরসা করেছিলাম। আমার মোহভঙ্গ হচ্ছে। তাহলে এবার কেন সিবিআই নয়? বৃহস্পতিবার এজলাসে এসে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিতে হবে ডিআইজি সিআইডিকে।’ শুধু তিনি একা নন, তদন্তকারী দলের বাকি সদস্যদেরও আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এদিন আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সিআইডির তরফে। সেই রিপোর্টে খুশি নন বিচারপতি। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন তদন্তকারী অফিসারদের কেউ আদালতে উপস্থিত নেই। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, অফিসাররা তদন্তের কাজে গিয়েছেন। যা শুনে রেগে যান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে গেছেন? কাল আদালতে এসে তাঁরা সবাই আজ কোথায় গেছেন তা জানাতে হবে।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    Calcutta High Court: জরুরি তলব! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি (West Bengal Board Of Primary Education) গৌতম পালের বেতন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের নির্দেশ পালন করা হয়নি তাই হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতির তলব পেয়ে তড়িঘড়ি কলকাতা হাইকোর্টে এসে হাজির হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, ‘‘আমি আপনার বেতন বন্ধ করে দিচ্ছি। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দেবেন।’’ শুনে গৌতম দৃশ্যতই ভেঙে পড়ে বলেন, ‘‘দয়া করে এটা করবেন না। বাড়িতে ৮০ বছরের মা, আয়ের অন্য উৎস নেই।’’

    কেন এই তলব

    টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি গকীঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ পর্ষদ পালন করেনি বলে অভিযোগ এসেছিল বিচারপতির কাছে। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীনই পর্ষদ সভাপতিকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর ৩টের মধ্যে এসে দেখা করতে বলেন তাঁর এজলাসে। তলব পেয়ে দ্রুত আদালতে হাজির হন পর্ষদ সভাপতি গৌতমও। দিন কয়েক আগেই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে আদালতে (Calcutta High Court) চ্যালেঞ্জ করেছিলেন গৌতম। ওই মামলা প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখলে আবার এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নিয়ে কিছু না বললেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন আমনা পারভীন। তাঁর অভিযোগ, তিনি ২০১৪ সালে টেটে অংশ গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি জানতে পারেন যে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা যায় যে তিনি পাস করেছেন। ফলে তিনি ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। চলতি বছরের ৭ ই জুন তার ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১৪ ই জুলাই শুনানির সময় মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান পর্ষদের আইনজীবী। এদিন আদালতে এসে এক সপ্তাহের মধ্যে রায় কার্যকরের আশ্বাস দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share