Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যা মামলায় উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ (Recruitment Scam)। গত বছর মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক চাকরিপ্রার্থী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁর নাম আব্দুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ ছিল, টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেই মামলায় সোমবার কড়া মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আব্দুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার যোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি।

    কী ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। সেই ন’পাতার সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই- এর নাম উল্লেখ থাকলে তাঁকে দোষী হিসেবে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী ছাত্র লিখে গিয়েছেন, এই দিবাকরই তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। দিবাকরকে ইতিমধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি মান্থা কী বললেন?

    এদিন আদালতে শুনানি চলার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, “লালগোলায় চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের আত্মহত্যা নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু আত্মহত্যা নয়, আদালত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও চিন্তিত। বৃহত্তর চক্রান্ত খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে।” সূত্রের খবর, তিনি আরও বলেছেন, “এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চায় আদালত। এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে কোনও খামতি পাওয়া যায়নি।”

    এদিন আব্দুরের আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, মৃত তরুণের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অবধি লালগোলা থানার পুলিশ যথাযথভাবেই তদন্ত করেছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, সেই কারণে ধৃত দিবাকরকে জেলে গিয়ে জেরা করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তিনি বলেন, “সিবিআই কেন জেলে গিয়ে দিবাকরকে জেরা করছে না? বৃহত্তর চক্রান্তের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ফলে এখন এটাই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই (Recruitment Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: জেলের মধ্যেই কুন্তল-তাপসকে শাসানি পার্থর! আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    Partha Chatterjee: জেলের মধ্যেই কুন্তল-তাপসকে শাসানি পার্থর! আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও বিপাকে পড়লেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ! ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এখন তাঁর ঠিকা প্রেসিডেন্সি জেল। এরপর থেকে কয়েকমাস কেটে গেলেও প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন তিনি। সেখানেই রয়েছেন ওই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং তাপস মণ্ডল। তাঁদেরও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    এরপর থেকে তাঁদেরও ঠিকানা ওই জেল। সেখানেই কুন্তল দাবি করেন জেলের মধ্যেই তাঁকে শাসিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee)। এমনকী তাপস মণ্ডলকেও শাসিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। এই অবস্থায় পার্থর আইনি জটিলতা আরও বাড়তে পারে!

    কী ঘটেছে?   

    গত কয়েকদিন আগেই প্রেসিডেন্সি জেলে কুন্তলকে জেরা করতে জেলে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে পেয়েছে ইডি। আর সেই সমস্ত বিষয়ে কুন্তলকে জেরা করতেই জেলে যান গোয়েন্দারা। আর সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নামে এই অভিযোগ করেছেন কুন্তল। ইডি আধিকারিকদের তিনি জানান, নাম কেন নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে শাসাচ্ছেন পার্থ।এমনকী কুন্তলের কাছ থেকে পাওয়া টাকা নিয়েও নাকি বারবার প্রশ্ন করছেন পার্থ।

    আরও পড়ুন: নিশীথের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি-পাথর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওপর হামলায় উত্তপ্ত কোচবিহার 

    জানা গিয়েছে তাপস মণ্ডলও পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছেন। কুন্তলের বয়ানও রেকর্ড করেছেন ইডি। আগামিদিনে এই বয়ান আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। বিশেষ করে জেলের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কীভাবে প্রভাব খাটাচ্ছে তা নিয়েও অভিযোগ করা হতে পারে। বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের শুনানিতে এই তথ্যকে ইডি হাতিয়ার করতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীমহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haimanti Ganguly: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    Haimanti Ganguly: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন মোড়। এবার এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার ফ্ল্যাটের পাশে আবর্জনার স্তূপে মিলল রোল নম্বর লেখা কাগজ। কীসের নম্বর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    ঠিক কী রয়েছে ওই কাগজে?

    জানা যাচ্ছে, বেহালার রাজা রামমোহন রায় রোডে হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ের পাশে রাখা আবর্জনার স্তূপে ছিল বেশ কয়েকটি কাগজ। সেগুলো খুলতেই দেখা যায় তাতে সিরিয়াল নম্বর লেখা। যে সংখ্যাগুলি লেখা রয়েছে, সেগুলি প্রত্যেকটাই ৯ সংখ্যার। সাধারণত ৯ ডিজিটের রোল নম্বর হয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজে ৯টি নম্বরই লেখা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    এর থেকেই রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে— এগুলি কি রোল নম্বরই? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই নম্বরের কোনও সম্পর্ক আছে কি? ওই কাগজগুলি শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর কি? এও প্রশ্ন উঠছে যে, বন্ধ ফ্ল্যাটের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি? গোটাটাই ধোঁয়াশায় ভরা।

    আর কী কী পাওয়া গিয়েছে?

    এছাড়া ওই ফ্ল্যাটের বাইরে জঞ্জালের স্তূপে মিলেছে বেশ কিছু ফাইল। তাতে হৈমন্তী ও বিভিন্ন সংস্থার নাম লেখা। উদ্ধার হয়েছে— ২০১৩ সালের একটি ‘শেয়ার অ্যাপ্লিকেশন’ ফর্ম। তাতে হৈমন্তীর বাবা সাধনগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম লেখা। উদ্ধার হয়েছে কিছু শেয়ারের কাগজ যেখানে সই রয়েছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই কাগজে ঠিকানা হিসাবে উল্লেখ রয়েছে, কাঠুরিয়াপাড়া উত্তর বাকসাড়া। অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈত্রিক ঠিকানা। এই সিনেমার স্ক্রিপ্টও পড়ে সেখানে। যে ছবিতে হৈমন্তীর চরিত্রের নাম পারমিতা। আবর্জনার স্তূপে পড়ে ছিল বিয়ের কার্ডও। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    যত কাণ্ড বেহালায়…!

    ফের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বেহালা যোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় ভদ্রের ফ্ল্যাটও এই বেহালাতেই। এবার গোপাল দলপতি এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর ফ্ল্যাটও সেই বেহালায়। বেহালা চৌরাস্তার কাছে রামমোহন রায় রোডের ওপরেই রয়েছে গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী তথা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট। ২০১৫ সালে গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন। মাঝে মধ্যে সেখানে আসতেনও তাঁরা। তার বাইরেই মিলল রহস্যে মোড়া কাগজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haimanti Ganguly: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    Haimanti Ganguly: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম আসার পর থেকে এই রহস্যময়ী নারীর সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। 

    বৃহস্পতিবারই, যুব তৃণমূল নেতা দাবি করেছিলেন, হৈমন্তী হলেন গোপাল দলপতির স্ত্রী। তাঁর কাছে নাকি সব টাকা গচ্ছিত রয়েছে। শুক্রবার থেকেই হৈমন্তীর বিভিন্ন বিষয়-আশয় সম্পর্কে খোঁজ মিলতে থাকে। জানা যায়, পেশায় মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তীর বাপের বাড়ি হাওড়ার বাকসারা রোডে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    এছাড়া, তদন্তে খোঁজ মিলেছে হৈমন্তীর একাধিক ফ্ল্যাট ও অফিসের ঠিকানাও। জানা গিয়েছে, বেহালা ও টালিগঞ্জে ফ্ল্যাট রয়েছে হৈমন্তীর। এছাড়া, বিবাদি বাগ অঞ্চলে একটি অফিস রয়েছে। একটি অফিস রয়েছে বেহালাতেও। এছাড়া, মুম্বইতেও সম্ভবত একটি অফিস রয়েছে হৈমন্তীর। 

    কী দাবি করল ইডি?

    এরই মধ্যে, এদিন বিস্ফোরক দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে চাঞ্চল্যকর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক হাজার কোটি টাকা ‘রহস্যময়ী’র হেফাজতে গচ্ছিত রয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, মডেল–অভিনেত্রী হিসেবে রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবশালী অংশের ভাল যোগাযোগ রয়েছে হৈমন্তীর। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    হৈমন্তী বা গোপাল দলপতি এখন কোথায়?

    এদিকে গোপাল দলপতি বা হৈমন্তী—কারও হদিশ এখনও পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। গতকালও হাওড়ার বাড়িতে দেখা মিলেছিল হৈমন্তীর বাবা-মা-বোনের। অথচ, তারপর থেকে বেপাত্তা হৈমন্তীর পরিবারও। উত্তর বাকসারা রোডের বাড়িতে দেখা যায়নি পরিবারের সদস্যদের। বাড়ির দরজা বন্ধ। একইভাবে বেপাত্তা স্বামী গোপাল দলপতিও।

    এদিকে, সূত্রের খবর, গোপালের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সিবিআই। যদিও, একটি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোপাল দলপতি দাবি করেন, তিনি বেপাত্তা হননি। একটি মামলার কাজে সিবিআইকে বলেই দিল্লি এসেছেন। তিন-চারদিনের মধ্যে ফিরবেন বলেও নিশ্চিত করেন গোপাল দলপতি।

  • SSC Scam: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    SSC Scam: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূল নেতার ঘুষ নেওয়ার কথা বললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। বহু ছাত্রছাত্রীর থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনই দাবি করলেন তাপস। বুধবার নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান তিনি। রাতে সেখান থেকে বেরোনোর সময় তাপস দাবি করেন, তৃণমূল নেতা যে ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলেছিলেন, তার কিছু তথ্যপ্রমাণ তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

    তাপস-কুন্তল মুখোমুখি জেরা

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার তাপস এবং ওই তৃণমূল নেতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাইরে বেরিয়ে তাপস এই মন্তব্য করেন। তিনি জানান, শাসকদলের ওই যুব নেতার কথা আগেই সিবিআইকে বলেছিলেন তিনি। ওই নেতাকে যাতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তার আর্জিও জানিয়েছিলেন। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ হুগলির একটি কলেজের কর্ণধার। চাকরি দেওয়ার নামে ১০০ কোটি তোলার অভিযোগ করেন তাপস মণ্ডল। তার মধ্যে হুগলির যুব নেতা ৩২৫ জনের কাছ থেকে ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তাপসের।

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের ১০টি সংগঠনকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত তাপস মণ্ডল। জেলবন্দি আরেক অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ তাপস। তিনিই এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের জেরায় কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। তাতে যুবনেতার কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। এও জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের কাছে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল। তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুন্তল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কবে, তা জানতে চেয়েই দেওয়া হয়েছে নোটিশ। ৩ এপ্রিলের মধ্যেই জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।

    কী বললেন বিচারপতি? (Recruitment Scam) 

    বিচারপতি বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের ও জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে।” আর্থিক দুর্নীতির গুরুত্ব কেবলমাত্র শাস্তির মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “মানুষের আস্থা ও সমাজের ওপর প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সৎ (Recruitment Scam) সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি করা থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাবে না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।”

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। এঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের। আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেটা যেহেতু পাওয়া সম্ভব হয়নি, তাই এগোচ্ছে না তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বাগচি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে যখন তদন্ত চলছিল, তখন এত অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। এতদিনে তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।” আদালতের বক্তব্য, আসামিকে গ্রেফতার করে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দিষ্ট দিন আছে। ট্রায়াল চলাকালীন আসামিকে জেলে থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি খুনের আসামি নন যে, তাঁকে হেফাজতে রেখে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে। বিচারপতি বাগচির পর্যবেক্ষণ, “তদন্তকারী সংস্থা এক (Recruitment Scam) বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। যদিও তদন্তে গতি আনতে ব্যর্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট যেন মৌচাকের মতো বহুমুখী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) এই মন্তব্য করেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং তাঁর নির্দেশনামা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) সিবিআই রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো। অনেকটা মৌচাকের মতো বহুমুখী। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিচারপতি বলেন, “যে পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। টাকা এক হাত থেকে আরেক হাতে বিভিন্ন স্তরে গিয়েছে। এই অপরাধ এক হাত থেকে আরেক হাতে, এক দফতর থেকে আরেক দফতরে মসৃণভাবে প্রবেশ করেছে। শুধু রাজ্য না রাজ্যের বাইরেও টাকা গেছে। অপরাধের তীব্রতা শকিং।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি চাকরি এখানে গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে।” যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে না, বলেও জানান বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha)।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    তদন্ত দ্রুত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করা উচিত বলেই মনে করে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেলের রিপোর্ট শীঘ্রই সংগ্রহ করতে হবে। নির্দেশনামা অনুযায়ী, ইডির রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, পিএমএলএ (টাকা তছরুপ)-এর মামলায় ইডিকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা সিএফএসএল থেকে দ্রুত আনার জন্য ইডিকে পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, অপরাধ কী ভাবে এগিয়েছে, বিশেষত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা, তার ডিরেক্টর এবং কর্মীরা কী ভাবে এত টাকা সঞ্চয় করেছেন, যা ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরবর্তী শুনানির দিন, আগামী ২৪ এপ্রিল ইডি-সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ প্রমাণিত হলে,  দু’টি বিকল্পের কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগও।

    দুটি পথের কথা বলল হাইকোর্ট 

    বুধবার, এসএসসি-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন? ৫-১০ হাজার ব্যক্তির ভবিষ্যতের থেকে দেশের ভবিষ্যৎ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবটা অবৈধ হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে।’ দু’টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রথমত, দুর্নীতি (Recruitment Scam Case) প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ। অথবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ।

    আরও পড়ুন: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন আদালতে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পরেই বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘যদি কমিশনকে বিশ্বাস না করা যায়, তা হলে তো গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত। আপনারা বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক এবং তাঁদের পরিবারের ১০ হাজার লোকের কথা বলছেন। কিন্তু যে ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের কথাও তো ভাবতে হবে।’’

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত বিজেপির

    হাইকোর্টের মতামতকে স্বাগত জানিয়েই বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই প্যানেলের মধ্যে সামান্য কিছু হলেও কিছু পরীক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। কিন্তু পুরো প্যানেল যদি বাতিল হয়ে যায়, যদিও এছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বোঝা যাচ্ছে, তাহলে তাঁরাও তো প্রতারিত হবেন। সুতরাং কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে, আদালতকেও বিষয়টা দেখতে হবে। যাতে নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে পুরো প্যানেলটাকে চেক করানো যায়।’

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
  • Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে গিয়েই এই দাবি করে সিবিআই। এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্যান্ডোরার বাক্স

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সিবিআই এবং ইডি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকার উৎস নিয়ে কিছু জানা গেল কি না। আইনজীবী বলেন, “কখনওই শেষ না হওয়ার মতো উৎস। আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটা দুর্নীতি উঠে আসছে। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই কণ্ঠ স্বরের নমুনার রিপোর্ট সম্পর্কেও বুধবার জানতে চায় আদালত। সিবিআই জানায়, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাঁদের হাতে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২ মাস হয়ে গেছে। ওটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্তে কি সহযোগিতা হবে? প্রশ্ন করেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

     এসএসসিতে দুর্নীতি

    এদিকে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ 

    SSC: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-নিয়োগ (SSC) দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে বিশেষ বেঞ্চে। হাইকোর্ট এই মামলার দ্রুত অগ্রগতি চায়। বারবার তদন্তের কাজ তাড়াতাড়ি করার কথাও বলেছে আদালত। এসএসসি কেন এখনও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে এতটা উদাসীন তা -ও জানতে চায় আদালত (Calcutta High Court)। এবার হাইকোর্টের কটাক্ষ, কোনও বিষয়ে প্রশ্ন করলেই চুপ থাকে কমিশন। যদিও এসএসসি-র তরফে বলা হয়, তারা সর্বদাই আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করে।

    এসএসসি-র বক্তব্য

    সোমবার শুনানিপর্বে এসএসসি (SSC) জানায়, ‘সিবিআইয়ের হলফনামা থেকে আমরা ডেটা স্ক্যানটেক নামক সংস্থার কথা জানতে পেরেছি। তবে আমরা ওএমআর স্ক্যান করার বরাত নাইসা নামক সংস্থাকে দিয়েছিলাম। এটা হতে পারে যে নাইসার তরফে ডেটা স্ক্যানটেকের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে থাকতে পারে। আমাদের সঙ্গে শুধুমাত্র নাইসার চুক্তি হয়েছিল।’ এরপরই আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চায়, এসএসসি-র কাছে এখনও ওএমআর আছে কি না। বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করে, ‘আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর নেই। সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?’জবাবে এসএসসি জানায়, ‘যেহেতু আমরা একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে এই নথি আদালতের মাধ্যমে পেয়েছি, তাই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। আদালত যদি কোনও নির্দেশ দেয়, আমরা সেই নির্দেশের পালন করব।’ 

    আরও পড়ুন: এক রাতে তাপমাত্রা বাড়ল ৬ ডিগ্রি! মেঘলা আকাশ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    ক্ষুব্ধ আদালত

    এদিন শুনানিতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বসাক বলেন, সবসময় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের কি প্রয়োজন? যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার থাকে, সেটা এসএসসি করতেই পারে। তাতে করে মামলার দ্রুত শুনানি হবে। এরপর বিচারপতি কটাক্ষ করে জানান, যখনই এসএসসিকে কোনও ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্ন করা হয়, তখনই তারা চুপ করে থাকে। আর অন্য কোনও অজুহাত দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share