Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে গিয়েই এই দাবি করে সিবিআই। এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্যান্ডোরার বাক্স

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সিবিআই এবং ইডি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকার উৎস নিয়ে কিছু জানা গেল কি না। আইনজীবী বলেন, “কখনওই শেষ না হওয়ার মতো উৎস। আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটা দুর্নীতি উঠে আসছে। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই কণ্ঠ স্বরের নমুনার রিপোর্ট সম্পর্কেও বুধবার জানতে চায় আদালত। সিবিআই জানায়, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাঁদের হাতে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২ মাস হয়ে গেছে। ওটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্তে কি সহযোগিতা হবে? প্রশ্ন করেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

     এসএসসিতে দুর্নীতি

    এদিকে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ 

    SSC: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি-নিয়োগ (SSC) দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছে বিশেষ বেঞ্চে। হাইকোর্ট এই মামলার দ্রুত অগ্রগতি চায়। বারবার তদন্তের কাজ তাড়াতাড়ি করার কথাও বলেছে আদালত। এসএসসি কেন এখনও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে এতটা উদাসীন তা -ও জানতে চায় আদালত (Calcutta High Court)। এবার হাইকোর্টের কটাক্ষ, কোনও বিষয়ে প্রশ্ন করলেই চুপ থাকে কমিশন। যদিও এসএসসি-র তরফে বলা হয়, তারা সর্বদাই আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করে।

    এসএসসি-র বক্তব্য

    সোমবার শুনানিপর্বে এসএসসি (SSC) জানায়, ‘সিবিআইয়ের হলফনামা থেকে আমরা ডেটা স্ক্যানটেক নামক সংস্থার কথা জানতে পেরেছি। তবে আমরা ওএমআর স্ক্যান করার বরাত নাইসা নামক সংস্থাকে দিয়েছিলাম। এটা হতে পারে যে নাইসার তরফে ডেটা স্ক্যানটেকের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে থাকতে পারে। আমাদের সঙ্গে শুধুমাত্র নাইসার চুক্তি হয়েছিল।’ এরপরই আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চায়, এসএসসি-র কাছে এখনও ওএমআর আছে কি না। বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করে, ‘আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর নেই। সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?’জবাবে এসএসসি জানায়, ‘যেহেতু আমরা একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে এই নথি আদালতের মাধ্যমে পেয়েছি, তাই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। আদালত যদি কোনও নির্দেশ দেয়, আমরা সেই নির্দেশের পালন করব।’ 

    আরও পড়ুন: এক রাতে তাপমাত্রা বাড়ল ৬ ডিগ্রি! মেঘলা আকাশ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    ক্ষুব্ধ আদালত

    এদিন শুনানিতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি বসাক বলেন, সবসময় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের কি প্রয়োজন? যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার থাকে, সেটা এসএসসি করতেই পারে। তাতে করে মামলার দ্রুত শুনানি হবে। এরপর বিচারপতি কটাক্ষ করে জানান, যখনই এসএসসিকে কোনও ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্ন করা হয়, তখনই তারা চুপ করে থাকে। আর অন্য কোনও অজুহাত দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্রুত বিচার শুরু করার কথা বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের দ্রুত সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিচারব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়বে, সোমবার এমনই মত প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নিয়োগ মামলার শুনানিতে সিবিআইকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সোমবার। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এদিন তাঁদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করা হয়নি। ওই সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইয়ের কাছ থেকে চেয়েছে আদালত। হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি বাগচী মন্তব্য করেছেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না। 

    আরও পড়ুুন: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির

    সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    সিবিআই নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) চার্জশিট পেশ করেছে। তবে আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এতেই বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না? সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়ালই শুরু করা যাচ্ছে না?’’ বিচারপতির প্রশ্নের মুখে সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে জানান, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকে ইডি হানা (ED Raids) চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজারহাটের কাশীনাথপুরের চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ জায়গায় তল্লাশি চলছে)। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

    রাজারহাটে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    জানা গিয়েছে, রাজারহাটে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raids), সেই চন্দন চট্টোপাধ্যায় জমি বাড়ির দালালি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন মহিলা জওয়ানদেরও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে চন্দন চট্টোপাধ্যায় কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে জেনেই এই তল্লাশি চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    নাগেরবাজারে চলছে তল্লাশি

    এর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চলছে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড সিটি নর্থের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে কমল আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি (ED Raids) চালানো হচ্ছে, তিনি অনেক দিন আগেই কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে হানা ইডির 

    নিউটাউনের পাথরঘাটা এলাকায় আবদুল আমিন নামের এক পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও এদিন সকালে হানা দিয়েছেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। সূত্রের খবর, এই শিক্ষক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডির (ED Raids) পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের সক্রিয় হল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিবিআই দফতরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয় পিট (Malay Pith)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও একাধিক বার বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়কে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। 

    কেন জিজ্ঞাসাবাদ মলয়কে

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টার নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় মিডলম্যানের কাজ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার মলয়কে তলব করা হয়েছিল। মলয় একাধিক বিএড কলেজের সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সব তথ্য সামনে রেখেই বুধবার মলয়কে জেরা করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা তাঁকে নিজাম প্যালেসের ১৩ তলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

    আরও পড়ুন: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে যোগ

    অতীতে গরুপাচার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ব্যবসায়ী মলয় পিটের। তখন সিবিআইয়ের (CBI) জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন। বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে মলয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। শোনা যায়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) যে গাড়িতে চেপে ঘুরতেন, সেটিও এই ব্যবসায়ীর নামেই ছিল। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বড় ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ নামডাক আছে মলয়ের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে প্রচুর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাতেও প্রতিপত্তি বেড়েছে মলয়ের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সম্মতির অভাবে আটকে চার্জ গঠন, নিয়োগ মামলায় অভিযোগ সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: রাজ্যের সম্মতির অভাবে আটকে চার্জ গঠন, নিয়োগ মামলায় অভিযোগ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় ফের একবার রাজ্যের দিকেই আঙুল তুলল সিবিআই। এখনও একাধিক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমোদন না থাকায় চার্জ ফ্রেম করা যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর কথা শুনে এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জ গঠনের অনুমতি দিতে রাজ্য সরকারকে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সিবিআইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার আদালতের পর্যবেক্ষণ হয় অনুমতি দিতে হবে অথবা খারিজ করতে হবে। অনন্তকাল এ নিয়ে সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সিবিআই চার্জশিট দিলেও রাজ্য সরকার দুর্নীতি (Recruitment Scam) দমন আইনের ধারার ব্যাপারে অনুমতি না দেওয়ায় নিম্ন আদালতে চার্জ গঠন করা যাচ্ছে না বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্যের তরফে যুক্তি ছিল, আদালতের নির্দেশে তদন্ত হওয়ায় রাজ্যের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। অভিযোগ, সে কথা রাজ্যের তরফে কোর্টে (Calcutta High Court) লিখিত ভাবে কখনও বলা হয়নি।

    আরও পড়ুন: পোর্টাল তৈরির পথে কমিশন, ভোটে অবৈধ লেনদেনে নজর রাখবে ইডি-আয়কর?

    রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ

    এসএসসি মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি চার্জশিট দাখিল হয়েছে? এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এই প্রশ্ন করেন সিবিআই-কে। এখানেই  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, চার্জশিট হয়েছে। কিন্তু সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে। ২০২২ সালে রাজ্যের কাছে সেই চার্জ ফ্রেম করার অনুমতি চাওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত তারা কোনও উত্তর পাননি বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই কথা শুনে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে এ ব্যাপারে নিজের অবস্থান জানাতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি রাজ্যের থেকেও জানতে চান, কত সময় লাগে এই কাজ করতে। তখন রাজ্য জানায়, কিছুটা সময় লাগে। কারণ সমস্ত নথি যাচাই করে দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এরপর সরাসরি রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, ‘সময় লাগে সেটা বুঝলাম, কিন্তু কত সময় ? দুই বছর?’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    Recruitment Scam: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার ৷ সোমবার গোথা হাইস্কুল মামলায় তদন্তকারী সিটের সদস্যরা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দেন। কিন্তু সকল ডিআই-দের রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এরপরই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের উদাসীনতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হতে তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    শিক্ষকের নিয়োগে (Recruitment Scam) বেনিয়মের অভিযোগ যাচাই করতে তদন্ত করছে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, “সিআইডি কী তদন্ত করছে? তিনজনের সিট গঠিত হয়েছে। সুতি সহ আরও যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেই তদন্ত কতদূর এগিয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান সিরাজউদ্দিন শেখ কি গ্রেফতার হয়েছেন?” উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রুদ্র নন্দী জানান, “সিটের সদস্যদের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করছে। গোথা হাই স্কুলে বাবা ও ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। আব্দুল রাকিবকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলেই এই স্কুলের শিক্ষক ও ক্লার্ক হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়াও জাসমিনা খাতুন নামে আর একজন গ্রেফতার হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি, আজ তিন রাজ্যের ১৫ আসনে রাজ্যসভা নির্বাচন

    ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির

    বিচারপতি বসু বলেন, “সমস্ত জেলার ডিআইদের রিপোর্ট কোথায়? আদালত জানতে চায় তারা কী তথ্য দিচ্ছে?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট তৈরি হলেও এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আরও সময় দেওয়া হোক। রাজ্যের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “কী অদ্ভুত! আমি কীভাবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে আমার প্রশ্নগুলো করব? আজ সেই রিপোর্ট নিয়ে এলে মামলাটা এগিয়ে যেত। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম এত উদাসীন! হচ্ছেটা কী?” এরপর রাজ্যকে সতর্ক করে রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন ডিআই-দের রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার বিদেশে নোটিশ পাঠাচ্ছে ইডি! কাকে তলব করা হচ্ছে?

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার বিদেশে নোটিশ পাঠাচ্ছে ইডি! কাকে তলব করা হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে বসবাসকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক আত্মীয়কে তলব করতে চলেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রবাসে থাকা কোনও ব্যক্তিকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা এই প্রথম। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের সমান্তরাল তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছে তারা। 

    কাদের তলব

    ইডি সূত্রের খবর,  তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে একাধিকবার ইডি অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য পাওয়ার পরেই ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি নয়া সংস্থার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় একটি সময় ডিরেক্টর পদে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার রাজীব দে। সেই সময় সংস্থায় আরও এক ডিরেক্টর ছিলেন পার্থর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে আসীন হন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ঘটনাচক্রে এঁরা কেউই এখন দেশে নেই৷ ফলে বিদেশেই তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে তাঁদের তলব করার কথা ভাবছে ইডি৷

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে দিল্লিতে শুরু বিজেপির নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠক

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভাগ্নে’ রাজীব!

    অন্যদিকে, ইডি জানতে পেরেছ, নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ভাগ্নে’ পরিচয় দিয়ে শান্তিনিকেতনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘অপা’ নামের বাংলোতেই থাকছিলেন প্রোমোটার রাজীব দে৷ রাজীবের নাকতলার বাড়িতে সম্প্রতি দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি৷ সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার৷ সূত্রের খবর, সম্ভবত ‘অপা’-তেই হত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের একাধিক বৈঠক৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজের মামা বলেই পরিচয় দিতেন রাজীব দে৷ ‘ইম্প্রেসলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থা তৈরি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে জানা যায়, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার এই রাজীব দে ৷ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    Recruitment Scam: বিজনেস পার্টনার পার্থর স্ত্রী-জামাই! কে এই রাজীব দে, যার বাড়িতে হানা ইডি-র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে থেকে কলকাতার ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে (Recruitment Scam) ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি। যাঁর বাড়ি ও অফিসে ইডির তল্লাশি চলছে তাঁর নাম রাজীব দে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই রাজীব পেশায় প্রোমোটার। জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজীবের সম্পর্ক এলাকার অনেকেই জানেন। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে রাজীবের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। যে বাড়ি থেকে পার্থ গ্রেফতার হয়েছিলেন দেড় বছর আগে, তার খুব কাছেই অবস্থিত রাজীবের বাড়ি। আর সেই বাড়ির কাছেই ফের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি গোলপার্কের একটি গয়নার দোকানের অফিসে এবং বাঁশদ্রোণীতে রাজীবের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হচ্ছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীবের সংস্থার দফতরেও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    কে এই রাজীব?

    তদন্তে ইতিমধ্যে উঠে এসেছে ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থার নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই সংস্থায় এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার রাজীব দে। সংস্থার (Recruitment Scam) ডিরেক্টর হিসেবে নাম ছিল পার্থর স্ত্রী বাবলিদেবীরও। ২০২০ সালে বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে পার্থর জামাই কল্যাণময় এবং তাঁর মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী ‘ইম্প্রলাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর হন।

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা প্রোমোটিং ব্যবসায় লগ্নি?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam) সংস্থা সূত্রে খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর পার্থ সরকার এবং বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা করে রাজীব সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে ইডি। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, রাজীব কি পার্থর স্ত্রী এবং জামাইকে সামনে রেখে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় লগ্নি করেছেন? এই উত্তরের সন্ধান পেতেই শুক্রবার সকাল-সকাল সক্রিয় হয়ে উঠেছেন গোয়েন্দারা। নাকতলায় রাজীবের পাঁচতলা বাড়িতে চলছে ইডি হানা। ইডি আধিকারিকরা যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    ED Raid in Kolkata: নিয়োগ-তদন্তে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার ৬ জায়গায় চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের ‘অ্যাকশনে’ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার গোয়েন্দারা হানা দিয়েছেন এই মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রোমোটারের বাড়িতে। এছাড়া, তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোনি, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি মিলিয়ে মোট ৬ জায়গায় চলছে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata)। শুক্রবার সাত-সকালে কলকাতার একধিক জায়গায় একযোগে অভিযানে দিয়েছে ইডি-র টিম। 

    কী জানা যাচ্ছে?

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) তদন্তে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক জায়গায় এই অভিযান সংগঠিত হচ্ছে। শুক্রবার ভোরে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোয় ইডি অফিসারদের গাড়ি। বিভিন্ন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় চলে যায় এক-একটি টিম। মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি চালানো (ED Raid in Kolkata) হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একটি টিম এসেছে নাকতলায়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির ঠিক উল্টোদিকেই পাঁচতলা বাড়ি রাজীব দে-র। সেখানে তল্লাশি অভিযান ইডি-র। এর পাশাপাশি, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে রাজীব দে-র শ্রীরাম কনস্ট্রাকশনের অফিসেও তল্লাশিতে নামেন ইডি আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোণীর একটি বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, ওই বাড়িটিও রাজীবের মালিকানাধীন।

    কেন হানা এই প্রোমোটারের বাড়িতে?

    জানা যাচ্ছে, রাজীব বরাবরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডি সূত্রে দাবি, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার। তাঁর নামে একাধিক বেনামি সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ইডি সূত্রে। এর আগেও ৩-৪ বার রাজীব দে-কে নোটিস পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পার্থ ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে জেরা  (Recruitment Scam) করে ইডি। তখনই রাজীব দে-র নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই, এই সকল জায়গায় অভিযানে (ED Raid in Kolkata) যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। 

    রেশনকাণ্ডেও অ্যাকশনে ইডি

    এর আগে, মঙ্গলবার সকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে শহরের ৬ জায়গায় হানা দেয় ইডি। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকরা পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি ও সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছিলেন। রাতভর জেরা করার পর সল্টলেকের আইবি ব্লকের বাড়ি থেকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং রেশন মামলাতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর ঘনিষ্ঠ বলে খবর ইডি সূত্রে। ওই মামলায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share