Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক পাঁচদিনে পেশ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC Scam) মামলায় গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, হার্ড ডিস্ক এবং তার মধ্যে থাকা ওএমআর-সহ সমস্ত নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারির মধ্য়ে ওই সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। যদি পরবর্তী শুনানির দিন কোনও কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হয়, তাহলে মামলা চলাকালীন তা পেশ করতে হবে।

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানিতে বিচারপতি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পেশ করা সম্ভব না হলেও তার মধ্যে থাকা নথির কপি পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে। এদিন সিবিআই-এর পাশাপাশি এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে থাকা এই সংক্রান্ত সমস্ত নথিও পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে রয়েছে। আদালতে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন, উত্তরপত্র আদালতের সামনে আসুক। একাদশ-দ্বাদশে চাকরিপ্রাপকদের দু’জন ওএমআর শিট দেখতে চেয়েছেন। তাঁরা নিজেরা ওই উত্তরপত্র পরীক্ষা করে দেখতে চান। তবে বাকি চাকরিপ্রাপকেরা উত্তরপত্র আদালতে জমা দেওয়ার বিপক্ষে। তাঁরা জানিয়েছেন, ডিজিটাল এই নথির সত্যতা নিয়েই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আদালতে খারিজ আবেদন, সরকারি বাংলো খালি করলেন বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    সিবিআই-এর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এই মামলার তদন্তে আমরা যে যে নথি এবং তথ্য উদ্ধার করেছি তার সবগুলিই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC Scam) দিয়েছি। তারা সেগুলি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক সওয়াল করেন, “এসএসসি র ওপর আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? এসএসসি বারবার তার অবস্থান বদল করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তারা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন এই এজলাসেও এসএসসি সর্বশেষ যে হলফনামা দাখিল করেছে সেখানেও তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।” এরপরই আদালত সিবিআইকে নথি পেশ করার নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘রাষ্ট্র বিরোধীরা রামের বিরুদ্ধে মিছিল করবে’’, মমতার সংহতি কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘রাষ্ট্র বিরোধীরা রামের বিরুদ্ধে মিছিল করবে’’, মমতার সংহতি কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালেই ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে ফের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মেদিনীপুরের সাংসদ জানান, রাষ্ট্র বিরোধীদের নিয়ে রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে সংহতি মিছিল করছে তৃণমূল। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের কথাও। প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই ‘মিডলম্যান’ নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন তিনি। এবং বৃহস্পতিবারে তাঁর (প্রসন্ন রায়ের) একাধিক আস্তানায় তল্লাশি চালায় ইডি।

    রাষ্ট্র বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূলের মিছিল

    তৃণমূলের সংহতি মিছিল নিয়ে দিলীপের (Dilip Ghosh) মন্তব্য, ‘‘আগে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে সংহতি করুক। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্টভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন, বাস, রেল, জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।’’ প্রসঙ্গত, মমতার সংহতি মিছিল থেকে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এই অভিযোগ আগেই তুলছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দিলীপ ঘোষের কথাতেও দেখা গেল বিরোধী দলেনেতারই সুর।

    প্রসঙ্গ নিয়োগ দুর্নীতি ও প্রসন্ন রায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশি অভিযান নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘আগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার (Recruitment Scam) হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালান বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা, প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম ‘মিডলম্যান’। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি করে দেওয়া হতো তাঁর অফিসের মাধ্যমে। সেই টাকা তারপর পৌঁছে যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীকেও

    তদন্তের শেষে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে যায় ইডি। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে। গতকাল রাতে সস্ত্রীক প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। তদন্তে (Recruitment Scam) নেমে ইডি আধিকারিকরা প্রসন্ন রায়ের অফিসের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    সাত সকালেই হাজির হয় ইডি 

    জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহারও ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এর আগে প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানায় সিবিআই তল্লাশি চালালেও এই প্রথম অভিযানে নামে ইডি। গতকাল সকালেই ইডি আধিকারিকরা নিউটাউনে অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের অফিসে প্রথমে পৌঁছান। তবে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চাবি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিত ঝা-এর বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ময়দানে ইডি, ধৃত প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি

    SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ময়দানে ইডি, ধৃত প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে ফের শহরে অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid)। বৃহস্পতিবার সাতসকালে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে, রেশন দুর্নীতি নয়, এদিন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Recruitment Scam) তদন্তে ইডি-র এই বিরাট অভিযান। বিভিন্ন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছে ইডি।

    ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ‘অ্যাকশন’

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ভোর ৬টা নাগাদ সিজিও থেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা (ED Raid)। সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় ‘অ্যাকশন’। একদিকে যেমন প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাট, অফিসে হানা দিয়েছে ইডি, ঠিক তেমনই তার ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী টিম। এদিন মোট ৭টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

    নিউটাউনের একাধিক জায়গায় হানা

    সাড়ে ছ’টা নাগাদ নিউটাউনের দুটি ভিলায় হানা দেন গোয়েন্দারা। এই ভিলা দুটি প্রসন্ন রায়ের বলেই সূত্রের খবর। নিউটাউনের সিজি ব্লকে একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় অন্য টিম। জানা যাচ্ছে, এই আবাসনেই ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসন্নর। এছাড়া, আরও একটি দল এ-এইট ব্লকে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, প্রদীপ সিং নামে এক ব্যক্তির এ-ফাইভ ফ্ল্যাটেও চলছে তল্লাশি। এই প্রদীপ হলেন প্রসন্নর সহযোগী। তিনিও নিয়োগ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। 

    চাকরি বিক্রির মিডলম্যান প্রসন্ন!

    শুধু নিউটাউন নয়, নয়াবাদেরও একটি আবাসনেও হানা দিয়েছে ইডি (ED Raid)। জানা যাচ্ছে, আবাসনের তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকেন পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিন ঝা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই রোহিত প্রসন্ন রায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডি সূত্রের দাবি, চাকরি বিক্রির (SSC Recruitment Scam) মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন পরিবহণ ব্যবসায়ী প্রসন্ন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নিয়োগ মামলার তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে গঠিত হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেই বেঞ্চেই চলছে নিয়োগ মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সামনে এল। এবার ভুতুড়ে চাকরি ধরা পড়ল। যে চাকরি গুলি সম্পর্কে এসএসসি নিজেই জানে না। অথচ বহাল তবিয়তে মাস পোহালে বেতনও তুলছেন ওই ভুতুড়ে শিক্ষকরাও। জানা গিয়েছে ৫৮ জন শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে খোদ এসএসসির কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, ওই ৫৮ জন শিক্ষকের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। ওই শিক্ষকদের পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের প্যানেলও তাঁদের নাম ছিল না। ফলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি পেলেন তা নাকি এসএসসি জানেনা।

    কীভাবে পাওয়া গেল ৫৮ জনের সন্ধান?

    স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। শাসকদলে বেশ কিছু রাঘববোয়াল থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক এই মামলায় বর্তমানে গারদের অন্দরে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশ মতো তদন্তে উঠে আসা তথ্য এসএসসিকে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ওই তথ্য যাচাই করে বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান কোর্টকে জানায় এসএসসি। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এসএসসি ৫৮ জন শিক্ষকের নাম আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দেয়। সেখানেই এসএসসি জানায়, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা কী ভাবে চাকরি (Recruitment Scam)  পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । পরীক্ষা না দিয়েও অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার উঠল নতুন অভিযোগ। ৫৮ জনের ভুতুড়ে চাকরি। কী ভাবে তাঁরা চাকরির সুপারিশপত্র পেলেন তা খুঁজছে খোদ এসএসসিও। আগামী সপ্তাহে আবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সএসসির চারটি মামলায় একসঙ্গে চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) চারটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই চারটি মামলাতেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে।

    চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ

    সিবিআই সূত্রের খবর, চূড়ান্ত চার্জশিটে একাধিক এজেন্টদের নাম থাকছে। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও যে ৬ জনের নাম রয়েছে, সেগুলি নতুন নাম। এক এজেন্টেরও নাম রয়েছে এই মামলায়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে সাক্ষী ছিলেন, এমন তিন জনকেও নতুন চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রুপ সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। 

    চার্জশিটে কী কী

    আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের মামলায়ও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আরও একটি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা উঠে এসেছে। চার্জশিটে তার উল্লেখ থাকতে চলেছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই সোমবার চার্জশিট জমা করছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে একসঙ্গে চারটি মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিচ্ছে তারা। তবে প্রাথমিকের মামলায় এখনই চার্জশিট দিচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের চার্জশিট পেশ করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে আরও ২ নামের খোঁজ! ফের ইডির জেরার মুখে মেয়ে প্রিয়দর্শিনী?

    গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত করছে সিবিআই, সেই সমস্ত তদন্ত পরের দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই মামলাগুলির শুনানিতে ক্রমাগত দেরি হচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মামলাকারীরা। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো জানুয়ারির ৮ তারিখ চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment scam) তদন্তে ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।  দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত চার্জশিটে আরও নতুন কী কী তথ্য রয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    Kalighater Kaku: খুলবে রহস্যের জাল! ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর কেন ইডি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে চার মাসের অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) ভয়েস স্যাম্পল হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা? তদন্তেই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই কণ্ঠস্বর নমুনা?

    অগাস্ট থেকে এসএসকেএমেই ঠিকানা ‘কাকু’র

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেটা গত বছরের অগাস্ট মাস। সেই মাসেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তার পর ২২ অগাস্ট থেকে ‘কালীঘাটের কাকু’-র ঠিকানা হয়ে যায় এসএসকেএম হাসপাতাল। কখনও তাঁর ঠাঁই হয় হাসপাতালের আইসিসিইউ বেডে তো কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে। সেই থেকে প্রায় সাড়ে চার মাস ওই বিভাগের একটি শয্যা দখল করে রয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)। 

    ‘কাকু’-র কণ্ঠ পেতে মরিয়া ছিল ইডি

    সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানতেন, তদন্তের স্বার্থে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, গ্রেফতারের পর দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইডি-কে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এতদিন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা এতদিন সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি৷ কারণ, শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। বার বার এসএসকেএমে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইডিকে। এমনকী, ডিসেম্বরের শুরুতে জোকা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স গিয়েও ফিরে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    ‘কাকু’কে আড়াল করছে এসএসকেএম!

    এই প্রেক্ষিতে, ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, ‘কাকু’-কে আড়াল করছে এসএসকেএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে বার বার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করছিল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ৷ ইচ্ছে করেই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এর পরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইএসআই হাসপাতালে ‘কাকু’কে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হোক। ২ জানুয়ারি কণ্ঠস্বরের নমুনার উপর ফের জোর দেয় আদালত। ফলস্বরূপ, বুধবার মধ্যরাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে হয় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ। যা তদন্তের (Recruitment Scam) গতিপ্রকৃতি স্থির করতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট ভীষণই বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। তাঁরা জানান, ডিএনএ স্যাম্পেলিং, রেটিনাল ম্যাপিং কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যানালিসিস-এর মতোই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে ১০০ শতাংশ বিজ্ঞানসম্মত এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট।  সূত্রের খবর, এবার সুজয়কৃষ্ণর এই কণ্ঠস্বরের নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যার ফলাফলের উপর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের (Recruitment Scam) ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে ওয়াকিবহল মহলের মত৷ তদন্তকারীদের ধারণা, সেখান থেকেই অনেক রহস্যের উন্মোচন হবে (Kalighater Kaku)। 

    কথোপকথন পরীক্ষা করা হবে…

    ইডি সূত্রর দাবি, নিয়োগ মামলার তদন্তে (Recruitment Scam) এই পরীক্ষা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে বিশ্বাস। গোয়েন্দাদের মতে, এই নমুনা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, তদন্ত করতে গিয়ে যেদিন সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি, সেদিনই বিষ্ণুপুর থানায় কর্মরত ‘কাকু’-র ঘনিষ্ঠ রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেও পৌঁছেছিল তদন্তকারী দল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তার মধ্য়ে ছিল একটি কথোপকথন। ইডির দাবি, অডিও ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলো। ইডি-র দাবি, বক্তা আর কেউ নন, ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই জন্যই এই কণ্ঠস্বর পাওয়া এত জরুরি ছিল ইডি-র কাছে, চ্যালেঞ্জও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    Kalighater Kaku: মধ্যরাতে মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’, কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা, টানাপোড়েন পেরিয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস পর অবশেষে নিয়োগকাণ্ডের (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া চরম নাটকের যবনিকা পড়ল বৃহস্পতিবার ভোররাতে।

    মুখে মাস্ক, গায়ে চাদর চাপিয়ে বের হন ‘কাকু’

    বুধবার রাত ৯.৫০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করা হয় ‘কালীঘাটের কাকু’কে। এসএসকেএমের হৃদরোগ বিভাগের কেবিন থেকে খয়েরি রঙের চাদর মুড়ি দিয়ে বের হয়েছিলেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। মুখে ছিল মাস্ক। হুইলচেয়ারে করে তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। আদালতের নির্দেশ মতো, তাঁকে সোজা আনা হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল জোকা ইএসআই হাসপাতালে তৈরি ছিল৷ মেডিক্যাল পরীক্ষার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ 

    ভয়েস দিতে রাজি হচ্ছিলেন না ‘কাকু’

    সূত্রের খবর, তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এদিনও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-কে (Enforcement Directorate)। প্রথম দিকে প্রায় একঘণ্টা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাত পৌনে একটা নাগাদ চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো বাক্যগুলি বলতে রাজি হন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku)৷ দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে চলে তাঁর ‘ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট’ এর প্রক্রিয়া। জানা গিয়েছে, ‘কাকু’র মুখ দিয়ে তিনটি বাক্য বার বার বলানো হয়। সেগুলি হল— ‘আপনার নাম কী?’, ‘আপনার স্ত্রীর নাম কী?’ এবং ‘আমার সাহেবকে কেউ ছুঁতে পারবে না’৷

    এসএসকেএমে ফিরলেন ভোর রাতে…

    শেষে রাত্রি ২টো বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে ‘কাকু’কে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ফের রওনা দেয় এসএসকেএমের উদ্দেশে। সেখানেও ফিরেও একপ্রস্থ নাটক হয়। গেট বন্ধ থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ‘কাকুকে’। অবশেষে ভোর ৩টে ২০ নাগাদ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের ৪২ হাজার প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিকের ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে টেট সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হয় এই মামলার শুনানি।

    প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ 

    তখনই এমন নির্দেশ দেন তিনি। যদি আগেই প্যানেল প্রকাশ হয়ে থাকে, তাহলে সেই প্যানেলের হার্ড ও সফ্ট কপি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের ওই টেটে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো চাকরিপ্রার্থী। দু’ বছর পরে শুরু হয় নিয়োগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে নিয়োগ (Calcutta High Court) করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৯৪৯জনকে। নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩২ হাজারই ‘প্রশিক্ষিত’ নন। ঠিকঠাক ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়েই অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীদের।

    চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের

    ওই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী ও পরীক্ষকের বয়ান রেকর্ড করেন। মামলাকারীদের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে মেনে নিয়ে ১২ মে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির উল্লেখ করে রায় দেন তিনি। চাকরি খোয়া যায় ৩২ হাজার শিক্ষকের। পরের চার মাস ওই শিক্ষকরা প্যারাটিটারের মতো বেতন পাবেন বলেও জানিয়ে দেন। তিন মাসের মধ্যে পর্ষদকে নতুন করে সম্পন্ন করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ওই ৩২ হাজার শিক্ষকও।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, নবীন-প্রবীণ কারা, ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, কেবল প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশও অতীতে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরিও গিয়েছিল তাঁর রায়ে। চাকরির সময় বেতন বাবদ তিনি যে অর্থ নিয়েছিলেন, তাও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় প্রথমে চাকরি দেওয়া হয় ববিতা সরকারকে। পরে অবশ্য তাঁরও চাকরি যায় (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share