Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Kalighater Kaku: আজ কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ইডি, রাতেই বুকে ব্যথা নিয়ে আইসিইউতে সুজয়কৃষ্ণ!

    Kalighater Kaku: আজ কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ইডি, রাতেই বুকে ব্যথা নিয়ে আইসিইউতে সুজয়কৃষ্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। সেই মতো সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম থেকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স সমেত পৌঁছান ইডির আধিকারিকরা। তবে গতকাল রাত থেকেই ফের নাকি কালীঘাটের কাকুর নাকি বুকের ব্যথা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছে ইডি আধিকারিকরা তা জানতে পারেন। গতরাতেই সুজয়কৃষ্ণকে ফের আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি অপারেশন করার পরে, অগাস্ট মাস থেকেই এসএসকেএম-এ রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হঠাৎ কণ্ঠস্বর পরীক্ষার আগের দিন রাতে কালীঘাটের কাকুর ফের অসুস্থ হওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে কি নিয়োগ-দূর্নীতির তদন্ত এভাবেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku)? তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হলে আরও কী বড় নেতার নাম সামনে আসতে পারে?

    সহকারী সুপারের সঙ্গে কথা ইডির

    প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে এসএসকেএম-এর সহকারী সুপারের সঙ্গে কথা বলছেন ইডি আধিকারিকরা। সিবিআই বা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া শাসকদলের নেতাদের যেন স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এসএসকেএম। রেশন দুর্নীতিতে এর আগে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএমে। সাধারণ রোগীদের এনিয়ে ক্ষোভও চরমে পৌঁছয়।

    ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত 

    গুরুতর অসুস্থদের জন্য বেড না মিললেও, তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা সহজেই ভর্তি হয়ে যান সেখানে। এর আগে এসএসকেএম হাসপাতাল জানিয়েছিল যে ভয়ঙ্কর রকমের মানসিক চাপে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku)। তাই তিনি গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্ত শেষ করতে হবে ইডিকে, আদালতের এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে। সে কারণেই কাল বিলম্ব করতে চাইছে না ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী, এসএসসি’র তরফ থেকে নোটিশ পেতে চলেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫৪৯ জন কর্মী চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি যে নোটিশ দেবে, তাতে লেখা থাকবে যে এই চাকরি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্যেক চাকরিজীবী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার আগেই এই নোটিশ পাবেন এবং তাঁদেরকে এই নোটিশে সইও করানো হবে। প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণে এক বড় অংশের চাকরিজীবীদের ওপরে খাঁড়া ঝুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক?

    বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বলেন, ‘‘এই মামলার রায় যে দিকেই যাক, তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে (Calcutta High Court) বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ঘোষণা করেছে আগামী ১২ জানুয়ারি।

    বিশেষ বেঞ্চে চলছে শুনানি

    সুপ্রিম নির্দেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি তাই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, তার সব কিছুর শুনানি শেষ করতে হবে। এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি নিয়োগ-দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে ছুটির আর্জি জানিয়েছিলেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তথা সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সী (Aditi Munshi)। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছুটি মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু কেন ছুটি চাইলেন অদিতি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অদিতির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দেয় সিবিআই। সেখানেই থাকেন অদিতিও। বাড়িতে তল্লাশির একদিন আগেই ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। আর তা মঞ্জুর হল তল্লাশির পরের দিন। 

    অসুস্থ অদিতি

    অদিতি (Aditi Munshi) চিঠিতে জানান, তাঁকে যেন শীতকালীন অধিবেশনে যোগদান করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারণ, তিনি অসুস্থ। আর এই অবস্থায় বিধানসভায় গিয়ে অধিবেশনে যোগদান করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা বিশ্রাম নিতে বলেছেন। যদিও কতদিনের জন্য এই বিশ্রাম নিতে হবে, বিধায়ক তাঁর চিঠিতে তা কিছু জানাননি। তাঁর  এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই গলার সমস্যায় ভুগছিলেন অদিতি। বেশ কিছুদিন অনুষ্ঠানও বন্ধ রেখেছিলেন। তবে সম্প্রতি জানা যায়, এখন তিনি সুস্থ। আজ, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর থেকে টানা অনুষ্ঠান করবেন তিনি। অসুস্থতার জন্য যেসব শো বাতিল করেছিলেন, সেখানেও যাবেন। এসবের মধ্যেই হঠাত চিঠি গেল বিধানসভায়, কিছুদিন বিশ্রাম চাইলেন অদিতি।

    আরও পড়ুন: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    কত দিনের ছুটি

    ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার সকালে অদিতির (Aditi Munshi) স্বামী বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। দেবরাজকে নিয়ে যায় তাঁদের দমদমপার্কের অন্য একটি বাড়িতেও। যেখানে সম্ভবত বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতির গানের স্টুডিও রয়েছে। তার পরে শেষ বিকেলে দেবরাজের দু’টি বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায় সিবিআই। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। সাধারণত অধিবেশন চলাকালীন বেশি দিন কোনও কারণে কোনও বিধায়ক উপস্থিত না থাকলে ছুটির জন্য আবেদন করেন বিধায়করা। সেখানে তারিখের উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ কত তারিখ থেকে কত তারিখ অবধি ছুটি তা লিখে দিতে হয়। তবে অদিতির এদিনের আবেদনে সেই তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তাই জল্পনা আরও বেড়েছ। হঠাতই কেন ছুটি নিলেন অদিত আর কতদিন তিনি আড়ালে থাকবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা কোথায়? পর্ষদের কাছে তা জানতে চাইল আদালত (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল যে, ২০১৬ সালে ৪২,০০০ এবং ২০২০ সালে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ ৪ বছরের মাথায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি করেছিল পর্ষদ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানতে চান, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? এর পাশাপাশি প্রাথমিক বোর্ড এর আগে যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল তাদেরকে কী আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও এদিন তুলেছে আদালত। এ সংক্রান্ত হলফনামা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জমা দিতে বলা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করেন, পর্ষদ কোনও প্যানেলই প্রকাশ করেনি, কিন্তু পর্ষদ দাবি করেছে যে তারা নাকি প্যানেল প্রকাশ করেছে। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পর্ষদ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাও রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘‘অনেক বঞ্চিত বেকার যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। একটা দিন যাওয়া মানে তাদের সম্ভাব্য সার্ভিস জীবনের ১ দিন নষ্ট হওয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।’’

    নিয়োগ বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ

    প্রসঙ্গত চাকরি থেকে যাদের বরখাস্ত করা হয়, তাঁরা এদিন ফের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের আইনজীবী আদালতে জানান, মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। আইনজীবীর বক্তব্য, ভুল প্রশ্ন মামলায় শীর্ষ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে ১ নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বর যুক্ত হলে এরা যোগ্য। এমনটাই দাবি করেন আইনজীবী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (recruitment scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তালিকাতেই রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীও (Debraj Chakraborty)। এদিন সকালেই দেবরাজের তেঘরিয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের শিল্পী-বিধায়ক অদিতি মুন্সীর (Aditi Munshi) স্বামী। তল্লাশির মাঝেই বেলা ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবরাজকে। সঙ্গেই ছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দেবরাজের আর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছে সিবিআই।

    দেবরাজের উত্থান

    এক সময় কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্তসহায়ক ছিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। ২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় একটি উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে পূর্ণেন্দুর কাছে দরবার করেছিলেন দেবরাজ। তৃণমূল তাঁকে তখন টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে দেন দেবরাজ। ২০১৫ সালে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেন তিনি। বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই যুবনেতা। ভোটের দিনই দেবরাজকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বন্দি অবস্থায় তাঁকে ভোটে লড়তে হয়েছিল। ভোটে জিতে বিধাননগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এই যুব নেতা। জামিনে মুক্ত হয়ে কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন তিনি। 

    তৃণমূলে দ্বিতীয় ইনিংস

    ২০১৫ সালে ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের তৃণমূলে যোগ দেন দেবরাজ। তৃণমূলে ভবনে এসে তৃণমূলের তৎকালীন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তখন থেকেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দেবরাজ, ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা পাকা করেন।

    অদিতিকে বিয়ে

    কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সীর সঙ্গে দেবরাজের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ততদিনে সঙ্গীতের জগতে অদিতি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তাঁর গলায় কীর্তন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বার বার। স্বামী দেবরাজের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন অদিতিও। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ভোটে জিতেও আসেন অদিতি। জল্পনা ছড়িয়েছিল, অদিতিকে টিকিট দেওয়ার জন্য দেবরাজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে মেয়র পারিষদ হন অদিতির স্বামী দেবরাজ। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    কেন তল্লাশি

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘চেইন’ ধরেই দেবরাজের (Debraj Chakraborty) বাড়িতে তল্লাশি করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’র নামটা। অর্থাৎ কার কাছে শেষ দুর্নীতির টাকাটা পৌঁছেছিল। সেই সূত্রেই চলছে তল্লাশি। গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায়ও দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এদিনই আদালতে তোলা হয় ধৃত তাপস মণ্ডলকে। জেল থেকে কোর্টে যাওয়ার পথেই গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তাপস। নিশানা করেন কালীঘাটের কাকু ও কুন্তল ঘোষকে। এদিন তাপস মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কুন্তল (Kuntal Ghosh) তো ‘কালীঘাটের কাকু’র নামেই টাকা তুলত আমার কাছ থেকে। এখন অন্য কথা বলছে কেন বুঝতে পারছি না।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তাপস। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজও চালাতেন তিনি।

    তাপসের গলায় আফসোসের সুর 

    এদিন কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাপস মণ্ডল অভিযোগ করেন যে তদন্তকে বিপথে চালিত করছে কুন্তল (Kuntal Ghosh)। তাপস মন্ডল বলেন, ‘‘কুন্তলের জন্যই ফেঁসে গেলাম।’’ ঠিক এই কারণে তাপসের গলায় এদিন ছিল আফসোসের সুরও। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত গোপাল দলপতির বিষয়ে তাপস মণ্ডল বলেন,  ‘‘কুন্তল কেন গোপাল দলপতির নাম বলছে জানি না। ও তো আমার থেকে টাকা নিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) দিয়েছে।’’ এদিন তবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তাপস মণ্ডল।

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষকে

    চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলেছে, এই অভিযোগে জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে? ইডি আদালতে দাবি করেছে, ১৩০ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। শুধু তাই নয়, ১২০০ জনের থেকে ২০ হাজার করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে ২৫০টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয, সেই ওএমআর শিটগুলি ছিল গত ১১ ডিসেম্বর নেওয়া টেট পরীক্ষার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

    Recruitment Scam: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংকেতিক শব্দের আড়ালেই চলত পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। সেই কোডের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর নাম। ইডির দাবি, উদ্ধার হওয়া নথি বলছে, এক মন্ত্রী নিজেই পুরসভায় নিয়োগের জন্য একাধিক প্রার্থীর হয়ে সুপারিশ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ মামলায় (Municipality Recruitment Scam) উদ্ধার হওয়া নথির পাতা থেকে তাদের নজরে আসে একাধিক ‘কোড’ (Code)। কোথাও লেখা ‘সিএইচ’ কোথাও ‘ডিআই’। সেই সব সাঙ্কেতিক অক্ষরের রহস্যভেদ করতেই উঠে এল একাধিক নাম।

    সাংকেতিক শব্দের আড়ালে কী

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে সামনে আসে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম। এরপর অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২৮ পাতার একটি ওএমআর শিট উদ্ধার করে ইডি। নথির মধ্যে প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ খুঁজে পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। সেই কোড শব্দ ‘ডিকোড’ করতেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম ইডির হাতে এসেছে বলে  এ ছাড়াও সাংকেতিক শব্দের আড়ালে এক প্রাক্তন মন্ত্রীর নামও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পদস্থ আধিকারিক। বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই মন্ত্রীই আপাতত তদন্তকারীদের নজরে।

    মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ

    ইডি সূত্রের খবর, ‘সিএইচ’, ‘ডিআই’, ‘এসবি’, ‘এমএম’, ‘এ’ ইত্যাদি একাধিক ‘কোড ওয়ার্ড’ লেখা ছিল ওই নথিতে। তার রহস্যভেদে নেমেই ইডির তদন্তকারীরা রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও এক বর্তমান মন্ত্রীর নাম জানতে পারেন। রাজ্যের সেই প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে ইতিমধ্যেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ইডি সূত্রের খবর, ‘কোড’ রহস্য ভেদের পরেই রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়। ইতিমধ্যেই তাঁরা ওই মন্ত্রীর এক ‘ঘনিষ্ঠ’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। বাজেয়াপ্ত ২৮ পাতার নথির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের সংক্রান্ত প্যানেলের প্রার্থীর তথ্যাবলি। উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও রয়েছে ইডির হেফাজতে-থাকা ওই নথিতে। 

    আরও পড়ুন: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন শাহ

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছে। ইডি হানা দেয় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি। সিবিআই তল্লাশি চালায় পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি। সাঙ্কেতিক শব্দ উদ্ধারের পর আরও এক মন্ত্রী ইডির আতশকাচের তলায় চলে এসেছেন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। উদ্ধার-হওয়া নথিতে যে সব পুরসভার নাম পাওয়া গিয়েছে, সেই সব পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। একাধিক পুরসভা থেকে নথিও চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর কোনও মামলাই আর আপাতত শুনবেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের  পুজো অবকাশ শেষে সোমবার এজলাসে আসেন তিনি। পরে জানিয়ে দেন, এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা আপাতত শুনবেন না। তাঁর জন্য নির্দিষ্ট মামলাগুলির তালিকা থেকে এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা সরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিপাকে পড়েন অনেকে

    তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Justice Abhijit Ganguly)। এই মামলাগুলির অনেকগুলিতেই কড়া রায় দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে শিক্ষিকার পদ খোয়াতে হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তাঁর এমন আরও কয়েকটি রায়ের জেরে বিপাকে পড়েন অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে হতাশ তাঁরা। তবে এসএসসির মামলা না শুনলেও, প্রাথমিকের যে ক’টি মামলা চলছিল তাঁর এজলাসে, সেগুলি শুনবেন তিনি। ২৯ নভেম্বর ওই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।

    কী কারণে শুনবেন না মামলা?

    কী কারণে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা আপাতত শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)? তিনি জানান, ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির সব মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই শুনানি হবে এই মামলাগুলির। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক কিংবা নতুন চাকরির সুপারিশ, সব সিদ্ধান্তই নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির গড়ে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যেসব মামলা সুপ্রিম কোর্ট ফেরত পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এসএসসি (Justice Abhijit Ganguly) নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন এখনও রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না? যাঁদের জন্য টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন?” শুক্রবার সিবিআইকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন জামিন পেয়েছেন চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআইকে প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত।

    তদন্তের অনুমতি দেয়নি রাজ্য!

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, নাইসারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ছাড়া পেলেন প্রসন্ন। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই জানিয়েছে, কয়েকজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি এখনও মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২২ সালের অগাস্টে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।

    রং মিস্ত্রি কয়েক কোটি টাকার মালিক!

    এক সময় রংয়ের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন। অথচ সিবিআই যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। পরে জানা যায়, প্রসন্ন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। এদিন প্রসন্নর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই সওয়াল চলাকালীনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। অবশ্য এই প্রথম (Supreme Court) নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিয়োগ কেলেঙ্কারির চাঁইদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল সিবিআইকে।

    আরও পড়ুুন: রাচিনের মুখে জয় শ্রী রাম! নাতির জন্য প্রার্থনা ঠাকুমার

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। এই কারণে বিধাননগরে একটি পরিবহণ সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হত, প্রসন্নর পাঠানো তালিকা দেখে সেই অযোগ্যদেরই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের। প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। ওই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share