Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    Kalighater Kaku: আগামী মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এবার ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) সংস্থার দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

    নোটিস পাঠানো হয়েছে

    গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। ওই দিন বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পরে তাঁকে। এ সংক্রান্ত নোটিস ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কাছে পাঠানো হয়েছে।  কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল তাপস মণ্ডলের মুখে। তার আগে গোপাল দলপতির কথায় ইঙ্গিত মিলেছিল কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে। এরপর নিয়োগকাণ্ডে একাধিক ধৃতের মুখ থেকে সুজয়কৃষ্ণের নাম উঠে আসে।

    আরও পড়ুন: ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন কলকাতা হাইকোর্টের! কেন জানেন?

    নিয়োগকাণ্ডে এই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এর আগে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই সুজয়কে এর আগে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানান, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে তদন্তে এখনই কোন হস্তক্ষেপ আদালত করবে না। তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে, এটাও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতিকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।’’ প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৩ তারিখ ইডির পেশ করা অয়ন শীল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকেও এদিন মান্যতা দেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। সেই সূত্রে ধরা পড়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এবং সেখানেই একাধিক প্রমাণ মেলে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। সামনে আসে পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ। সে সময়ে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে। তিনিও একই রায় বহাল রাখেন। অর্থাৎ হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ৫০০০ চাকরি বিক্রি হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়নশীল ৬০টি পুরসভায় ৫০০০ চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করেছেন, এমনই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। হালিশহর, বীরনগর, বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ডহারবার, নিউ বারাকপুর সর্বত্র ছড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির জাল, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে অয়নশীলের কুড়িটিরও বেশি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বিঘা বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প সমেত প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে অয়নের নামে। তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি এবং হার্ডডিস্ক। মিলেছে ওএমআর শিটও। প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    Kalighater Kaku: শনির সকালে ‘কালীঘাটের কাকু’-র বাড়ি-অফিসে ইডির অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র (Kalighater Kaku) বাড়িতে গেল ইডির একটি বড় দল। শনিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই সিবিআইয়ের তলব পেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সকাল সকাল ‘কাকু-র’ বাড়ি

    এদিন সকাল ৬টা নাগাদ সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। উল্লেখ্য, এই সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লিপস অ্যান্ড বাউন্ড সংস্থার দেখভাল করেন। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে তলবও করেছে। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানন, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    এখনও চলছে তল্লাশি

    আজকে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি ছাড়াও তাঁর বাড়ির পাশে ফকির পাড়াতেই একটি অফিসে হানা দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, যে অফিসে হানা দেওয়া হয়েছে সেটি একটি কনসাল্টেন্সি সংস্থার। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই সংস্থার যোগ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। সুজয়কৃষ্ণের প্রতিবেশীদের দাবি, এদিন সকালে কয়েকজন এসে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়েন। কিছু সময় পর বেরিয়ে আসনে কালীঘাটের কাকু। এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম। এর আগে তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পর্ণশ্রীর একটি ফ্ল্যাট ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ

    সম্প্রতি সিবিআই এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের ফ্ল্যাটে। সে সময় ‘কাকু’র (Kalighater Kaku) বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। পাওয়া যায় একটি অ্যাডমিট কার্ড। ‘কাকু’ দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।  শনিবার আরও এক দফা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    Abhishek Banerjee: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও কুন্তল ঘোষ। আগামিকাল জরুরি শুনানির আর্জি জানালেন অভিষেক। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। কিন্তু, দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত।

    অভিষেকের আর্জি

    নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডি এবং সিবিআই জেরা করতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন অভিষেক। নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষও বিচারপতি সিন্‌হার একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, তিনি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন। কিন্তু এখনই দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করা যাচ্ছে না। তবে শুক্রবার শুনানি হতে পারে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে রায়

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নাম বলতে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। সেই মামলা হাইকোর্টে গড়ালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বেঞ্চ বদল হলেও রায় বহাল থাকে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাংলা সরকার অসহিষ্ণু’’! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপর নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) তদন্তে সহযোগিতা করতে সমস্যা কোথায়? তাঁর বক্তব্য ছিল, যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে তদন্তকারী সংস্থা। এতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। অভিষেকের আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তদন্তের সময় একাধিক ব্যক্তির নাম আসতেই পারে। এতে একজনের নাম এলে তিনি সহযোগিতা কেন করবেন না? একটু বেশি আশঙ্কায় ভুগছেন?’ এবার অমৃতা সিনহারও রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন অভিষেক। এখন ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দেবে তার দিকে তাকিয়ে অভিষেক।

    তদন্তে ভয় পাচ্ছেন অভিষেক? প্রশ্ন বিরোধীদের

    এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে অভিষেক জানান, তিনি তদন্তে ভয় পান না। সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি আমাকে যেদিনই ডাকবে, আমি সেদিনই হাজিরা দেব। যদি আমায় সমন পাঠানো হয় তাহলে দরকারে আমি জনসংযোগ যাত্রা একদিন থামিয়ে আমি তদন্তে সাহায্য করে আসব।’’ এই প্রেক্ষিতে, তৃণমূলের সেকন্ড-ইন-কমান্ডকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের মতে, যদি তিনি ভয়ই না পেয়ে থাকেন, তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে বার বার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন কেন? এই নিয়ে অভিষেকের সাফাই, আদালতে যাওয়াটা যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের অধিকার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতার আবেদনে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কমের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন আর এক চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। এদিন, চাকরি চলে যাওয়ায় আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ববিতাকে।

    খুশি অনামিকা

    চাকরি পাওয়ায় খুশি অনামিকা। তিনি জানান, চাকরি পাওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। বলেন, ‘‘আমি কখনও আশাহত হইনি। আমি জানতাম, চাকরিটা আমি পাবই। চাকরির মেধাতালিকায় আমার নাম এবং ববিতার নাম পর পর ছিল। আমি ২১ নম্বরে ছিলাম। ববিতা ছিল ২০-তে। অঙ্কিতা আসার পর আমাদের র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের পর তা মেধাতালিকা অনুযায়ী পায় ববিতা। কিন্তু আমি পরে দেখি, ববিতার নম্বর আসলে আমার চেয়ে কম। ও ২ নম্বর কম পেয়েছিল। তাই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। তার পর আমি আদালতে যাই।’’ 

    তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকার চাকরি

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি সব তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারী অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য। আদালতের মন্তব্য, অনামিকাকে আর বেশিদিন ভোগানো উচিত নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ববিতার কান্না 

    এই নির্দেশ শোনার পর কাঁদতে কাঁদতে ববিতা বলেন, ‘‘আমি ভুলটা জানতাম না। আমার চাকরি চলে যাচ্ছে। কিন্তু টাকাটা ফেরত দেওয়ার জন্য একটু সময় দেওয়া হোক। এখন আমি ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারব। আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনেছি। বাকি টাকা ফেরত দিতে আমার একটু সময় লাগবে। তিন মাস সময় দেওয়া হোক।’’ ববিতাকে ধমক দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি আদালতকে যে ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে পরিচালনা করেছেন, চাইলে আমি কড়া পদক্ষেপ করতে পারতাম। এই ক’দিনে আপনি যা বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে না। এটুকু সান্ত্বনা নিয়ে হাইকোর্ট থেকে যান। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। যা হয়েছে তা আপনার ভুলের জন্য।’’

    আরও পড়ুন: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে এত দিনে চাকরির জন্য যে বেতন পেয়েছেন ববিতা, সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের (Recruitment Scam) সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মতে, সংখ্যাটা ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একটা টাইপে ভুল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে দুটি ভুলের কথা বলা হয়েছিল সেটি সংশোধন করা হবে। প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে ওটা হবে ১৩.৭৯৬। এবং দ্বিতীয় ভুলটি হল চাকরি বাতিলের সংখ্যা হবে ৩১,৭৯০, যা ভুল করে ৩৬,০০০ করা হয়েছিল।

    কেন এই মামলা?

    প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেট পরীক্ষার ঘোষণা করেছিল তা সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ঠিক এক বছর পরে ২০১৬ সালে এবং ওই বছরেই প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২,০০০ শিক্ষকের পদ তবুও অজানা কারণে পূরণ করেনি তারা। সেই প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দায়ের হয় মামলা। আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে পর্ষদের অফিসে। অভিযোগ, কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি (Recruitment Scam) দিয়েছে পর্ষদ। পরবর্তীকালে ডিএলএড বাধ্যতামূলক হলেও ২০১৪ টেটে তা বাধ্যতামূলক ছিলনা। ২০১৪ এর টেটে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘আগামী চারমাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে, যতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে ততদিন পার্শ্ব শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন বাতিল এই প্যানেলের শিক্ষকরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    Dilip Ghosh: ‘‘দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই’’, দলিল-বিতর্কে জানালেন প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এদিন বলেন, ‘‘বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, আর্থিক লেনদেনও কখনও হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছিল প্রসন্ন রায়ের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার হয়েছে। এই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দিলীপ ঘোষ প্রতিবারই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন। সোমবার প্রসন্ন রায়ের বিবৃতির পরে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ ব্যুমেরাং হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কে এই প্রসন্ন?

    রঙের মিস্ত্রি থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় বলেই পরিচিত তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, মাত্র পাঁচ বছরেই এক হাজার চৌঁত্রিশ কাঠা জমির মালিক হন তিনি। ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেন তাঁর বিভিন্ন ব্যবসায়। শুরু করেন হোটেল ব্যবসাও। কোথা থেকে তাঁর কাছে এত টাকা এল তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই দুর্নীতি ধরা পড়ে। প্রথমে নবম দশমের দুর্নীতি পরে গ্রুপ ডি দুর্নীতিতে নাম জড়ায় প্রসন্নর।

    কী বললেন প্রসন্ন রায়?

    ধৃত প্রসন্ন রায়কে এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রসন্ন দলিল প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওটি আসল দলিল নয়, দলিলের প্রতিলিপি বা সার্টিফায়েড কপি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নেই, কোনও আর্থিক লেনদেনও কখনো হয়নি।’’ তবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ফ্ল্যাটের দলিল তাঁর কাছে এল কীভাবে? প্রসন্নর উত্তর, ‘‘দিলীপবাবু তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দলিলের কপি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছিলেন। আমি ওই দলিল পেয়েছি সেই সংস্থার কাছ থেকে।’’ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে প্রসন্ন ২৫৮ দিন জেল খেটেছেন। এরপর গ্রুপ ডি মামলায় সিবিআই তাঁকে ৪ দিনের হেফাজতে নিয়েছিল, এদিন আলিপুরের সিবিআই বিশেষ আদালত প্রসন্নকে ২৫ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    ঝাড়গ্রামে দলীয় কর্মসূচিতে এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি, ব্যাঙ্কের কাছে আসল দলিল আছে। যে ভদ্রলোক ওই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন মিটারে তাঁর নাম পরিবর্তন করতে হতো, তাই আমি তার একটা ফটোকপি প্রসন্ন রায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম, শুধু এটুকুই। আমি ওকে চিনি না জানি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পর পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি

    Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পর পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shil) সংস্থা এবিএস ইনফোজনের নামে ইসিআইআর দায়ের করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল। অয়নকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ষাটটির বেশি পুরসভায় প্রায় ৬ হাজার জনের বেআইনি নিয়োগের মধ্যে ৮০-৯০%-ই হয়েছে রেকমেন্ডেশন লিস্ট অনুসারে। বাকি ১০ পার্সেন্ট অয়ন শীল নিজের কোটায় নিয়োগ করেছিলেন।

    পুর কর্মীরাই অয়নের এজেন্ট

    ইডি সূত্রের খবর, পুরসভায় নিয়োগের (Recruitment Scam) জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা প্রভাবশালী ও নেতাদের কাছে পাঠাতেন অয়ন। পুরসভা কর্মীরাই এজেন্ট হয়ে অয়ন শীলকে লিস্ট পাঠাত বলে অভিযোগ। ইডি-র দাবি, বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে পুরসভার পিওন, ক্লার্ক, ইঞ্জিনিয়ার, মজদুর সহ বিভিন্ন পোস্টের চাকরি। অযোগ্যপ্রার্থীরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের সাংকেতিক কোড রহস্যের সন্ধানও পায় ইডি। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধারের কথা জানায় ইডি। অয়নের অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যায় ইডির তরফে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় নিষিদ্ধ! বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    পুর-দুর্নীতিতে অয়ন-যোগ

    একদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি অন্যদিকে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, দুদিক থেকে বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা এসেছে অয়ন শীলের কাছে। অয়নের ছেলে অভিষেক শীল, স্ত্রী কাকলি শীল, ছেলের বান্ধবী, অয়নের মা, বাবা এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন ইডির নজরে। এঁদের নামে বহু সম্পত্তি ও ব্যাঙ্কের লেনদেন রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের কাছ থেকে যে সমস্ত ওএমআর শিটের প্রতিলিপি মিলেছে, সেগুলি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত পরীক্ষার। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। ইডির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ একাধিক পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন অয়ন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম, চিনুন তাঁকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় উঠে এল আরও এক তৃণমূল নেতার নাম। ওই কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডলের মুখেই শোনা গেল সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাপসের দাবি, সন্তু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের শাগরেদ। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন এজেন্টের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রোমোটার অয়ন শীল।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়াল সন্তুর নামও…

    এই প্রোমোটার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। শান্তনু এবং তাপস দুজনেই ছিলেন তৃণমূলের নেতা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) ধরা পড়ার পর কলঙ্ক মুছতে রাতারাতি তাঁদের বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। যদিও নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকা সত্ত্বেও বহিষ্কার করা হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন জেরায় স্বীকার করেছেন, তিনি যে ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিলেন, তার মধ্যে ১৮ কোটি টাকা নিজে রেখেছিলেন। বাকি ২৬ কোটি টাকা দিয়েছেন সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে। সন্তুকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা তৃণমূল নেতা সন্তুর মহেশতলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    এদিন আলিপুর আদালতে ঢোকার সময় তাপসের মুখে শোনা গেল তৃণমূল নেতা সন্তুরই নাম। সন্তু যে তাঁদের অচেনা নন, তা স্পষ্ট কুন্তলের কথায়ও। তিনি জানিয়েছেন, সন্তুকে তিনি চেনেন। এই তাপসের মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই যে কালীঘাটের কাকু, পরে তা প্রকাশ্যে আসে। সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন (Recruitment Scam) তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে চাকরি করেন। এই অভিষেক তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এদিকে তাপসের দাবি, কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক। তিনি বলেন, “চার্লস শোভরাজকে চেনেন? বিশ্বের এক নম্বর প্রতারক। কুন্তল ঘোষ দু নম্বর প্রতারক।” আগামী ২৬ মে পর্যন্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নিলাদ্রী দাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share