Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে থেকেও কার্যত জামাই আদর পাচ্ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিবও। তাই তাঁকে খাতির করা হচ্ছিল জেলেও। গারদে যেখানে অন্য বন্দিরা মেঝেয় ঘুমোন, সেখানে পার্থর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিছানার। তার ওপর পাতা হয়েছিল নরম গদি। সেলের ভিতরে গা এলিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইজি চেয়ারেরও। সেলে থেকে মোবাইল ফোনের সুবিধাও ভোগ করেছেন এই ‘হেভিওয়েট’ বন্দি। সে খবর কানে যায় ইডির কর্তাদের।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আচমকাই প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুঁ মারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। তখনই দেখেন, জেলের সেলে পার্থ রয়েছেন রাজার হালে। সেলের মধ্যেই পাচ্ছেন ভিভিআইপির মর্যাদা। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল পার্থর সেল থেকে খাট-বিছানা, ইজি চেয়ার সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি পার্থর সেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাস-ব্যসনের যাবতীয় উপকরণ। যার জেরে আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই পার্থকে রাত কাটাতে হবে সেলের মেঝেতেই।

    আরও পড়ুুন: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বার কয়েক সিবিআই-ইডি হেফাজত ঘুরে বর্তমানে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলে আসার পর থেকে আদৌ ভাল নেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তিনি শিকার হচ্ছেন সহবন্দিদের কটূক্তির, কখনওবা হচ্ছেন নিগৃহীত। গত সপ্তাহেই পার্থর পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোর তাঁকে টিটকিরি দিয়ে মোটা টুকি বলেছিল। জঙ্গি মুশা পার্থকে নিশানা করে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। যা এড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

    এদিকে, শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা তাঁর ইচ্ছায় সম্মতিও জানিয়েছেন বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক সময় ব্যায়াম বিশারদ তুষার শীলের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতেন পার্থ। জেলেও সেই সুযোগ তিনি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ ব্যায়াম করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। মঞ্জুর হয়েছে তাঁর সেই আবেদনই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত”, মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

    কী ঘটেছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে (SSC Scam) ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কিন্তু এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আদালত তাঁদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। আজ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার শুনানি ছিল। সেসময়েই নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে এমন মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নবম-দশমের অযোগ্যদের চাকরি বরখাস্তের (SSC Scam) প্রসঙ্গ এনে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক চলাকালীন এদের বরখাস্ত করলে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপরই তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মাধ্যমিক চলাকালীন অযোগ্যদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না। এতে পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” ফলে বরখাস্ত হওয়া অযোগ্যের সংখ্যা ১১০০-র কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এতে স্কুলে সমস্যা হতে পারে।

    উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার মুখে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার জেরে অনেক স্কুলে একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যায়। সেই সব স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর দায়িত্ব ভাগ করে করতে হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির মন্তব্য যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই চাকরি বরখাস্তের পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত (SSC Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের (College) অস্তিত্ব শুধু খাতায়-কলমে। নেই কোনও ভবন, নেই কোনও অফিস, নেই ক্লাসরুমও। কার্যত বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই! অথচ, ওই কলেজ থেকেই ফি বছর ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি (Degree) পেয়েছেন। সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁরা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাও হয়ে গিয়েছেন। এই রকম এক আধটা কলেজ নয়, ইডি-র (ED) আধিকারিকরা প্রায় ২ হাজার ডিএলএড (D L ED) এবং বিএড (B ED) কলেজের সন্ধান পেয়েছেন।

    ডিগ্রির কারবার…

    তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার প্রামাণ্য নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ভুয়ো কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন। ওই কলেজগুলিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কলেজ চালু করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই কলেজগুলির এনওসি পাওয়ার সময় যাঁরা পর্ষদ আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন রাজ্যে বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনই এই পথে কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেককে।

    আরও পড়ুুন: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়াও হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংই নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বালাই ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রার্থী পিছু ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। তাঁদের বলে দেওয়া হত, ক্লাস করতে হবে না। ছ’ মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হত। পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো উত্তরপত্র জমা পড়ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কোর্সের সময়সীমা শেষ হলে পড়ুয়াদের এসএমএস পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে বলা হত। সেখান থেকে হাতে হাতে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হত। কিছু কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে ‘পরীক্ষার হল’ বলে দেখাত। তারপর আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত। এই বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড কলেজগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এরকম কোনও কলেজ অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তাদের। তাদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো সহ নানা বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই এনওসি মেলে। এক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    ইডি-র (ED) আধিকারিকরা আরও জেনেছেন যে, নতুন কলেজের অনুমোদনের জন্য আবেদনের কপি তত্‍কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ত। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এনওসি দিয়ে দিতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    Haimanti Ganguly: সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেল গোপালের অ্যাকাউন্টে, দুটিতেই নমিনি হৈমন্তী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই-ইডি নজরে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন। তদন্তকারীদের দাবি, একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে লেনদেনে। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টের নমিনিতে থাকা নাম নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া, গোপাল-হৈমন্তীর একাধিক শেল বা ভুয়ো সংস্থারও হদিশ মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা?

    তদন্তকারীদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। গোপালের কাজকর্ম সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, গোপাল-হৈমন্তীদের শেল কোম্পানি গুলির মাধ্যমেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া কালো টাকা সাদা করা হত। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে গোপালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে একটা মোটা অংশের টাকা আবার তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    নমিনি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    আরমানের অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly) নামের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গিয়েছে ‘আরমান ট্রেডিং’ নামক একটি সংস্থার অ্যাকাউন্টে। তার পর ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পৌঁছেছে আরমানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। ঘটনাচক্রে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের সেই অ্যাকাউন্টের নমিনি আবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়! সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, গোপালেরই আর এক নাম আরমান। দুই নামে তাঁর দু’টি প্যান কার্ডের হদিসও মিলেছে।

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমান নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন গোপাল দলপতি। আর সেখানে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নমিনি করেছিলেন গোপাল দলপতি ওরফে আরমান। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ওই অ্যাকাউন্টের নমিনি ছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় বলে তদন্তকারী সংস্থার দাবি। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    সন্দেহজনক লেনদেন

    আবার সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। নারিমন পয়েন্টে অফিস রয়েছে হৈমন্তী অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশনের। জানা গিয়েছে, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর মুম্বইয়ের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ টাকা গিয়েছিল এক সময়। আরেকবার হৈমন্তীর কাছে গিয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। গোপাল দলপতির নামে আরও ৫টি শেল কোম্পানির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্ত্রী তথা হৈমন্তীকে যতই ‘ইনোসেন্ট’ বলে দাবি করুক না কেন গোপাল দলপতি, তদন্তকারীরা আসল সত্য উদঘাটন করেই ছাড়বেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    Haimanti Ganguly: গোপালের সান্নিধ্যে আসতেই রকেটের গতিতে উত্থান হৈমন্তীর! সবই নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখন একটা নাম নিয়েই তোলপাড় রাজ্য। তা হল— হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন হৈমন্তীর নাম। তারপর থেকেই প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে হৈমন্তীর বিষয়ে। 

    কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, পেশায় মডেল-অভিনেত্রী হৈমন্তী (Haimanti Ganguly) হলেন এই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী। হৈমন্তীর মা-ও একই কথা জানান যে, গোপালের সঙ্গে তাঁর বড় মেয়ে অর্থাৎ হৈমন্তীর বিয়ে হয়েছিল। যদিও, তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোপাল ও হৈমন্তী একত্রবাস করতেন। অর্থাৎ, লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে, হৈমন্তীর সঙ্গে টলিউড যোগসূত্র রয়েছে৷ মডেলিংয়ের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু হৈমন্তী গুটিকয়েক সিনেমাতেও কাজ করেছেন৷

    এত সম্পত্তির উৎস কী?

    প্রশ্ন হচ্ছে, এই ছুটকো-ছাটকা কাজ দিয়ে কী করে একজনের এত সম্পত্তি হল? স্বাভাবিকভাবেই মনে ঘুরে-ফিরে আসছে এই দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া গ্ল্যামার দুনিয়ার প্রথম নারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসার পর থেকেই ভাগ্য ‘খুলে’ গিয়েছিল অর্পিতার। এখানেও তাহলে কেউ রয়েছেন হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) উত্থানের নেপথ্যে?

    সূত্রের খবর, মোট তিনটি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হৈমন্তী(Haimanti Ganguly)। অভিনয় করেন ‘অচেনা উত্তম’, ‘জাল’ এবং ‘আনটোল্ড লাভ’ নামে তিনটি চলচ্চিত্রতে। এর মধ্যে জাল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাকি দুটি বি-গ্রেড ছবি। জানা গিয়েছে, এক সিরাজ নামে কাঠ মিস্ত্রির কথায় ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে নার্সের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ‌্যায়। ওই কাঠের মিস্ত্রির কথায় হৈমন্তীকে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন টলিউডের এক নামী পরিচালক। কিন্তু, কাজের দ্বিতীয় দিনেই প্রযোজকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে বাদ দিয়ে দেন পরিচালক। 

    আবার অন‌্য একটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন হাওড়ার এক লোহালক্কড়ের ব‌্যবসায়ীর হাত ধরে। দু’জনই হাওড়ার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে একে অন্যের পরিচিত। সেই সূত্র ধরে ওই ছবির পরিচালকের কাছে হৈমন্তীকে (Haimanti Ganguly) নিয়ে আসেন ব‌্যবসায়ী। পরিচালক ওই ব‌্যবসায়ীর অনুরোধে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দেন। কিন্তু, এই তিনটে ছবি ও সামান্য মডেল হয়ে, কোথা থেকে পেতেন এত টাকা, সেখানেই দানা বাঁধছে প্রশ্ন। 

    উল্কাবেগে উত্থান

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সালে গোপালের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সময় হৈমন্তী উঠতি মডেল হওয়ায় সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না। এদিকে, তাপস মণ্ডল থেকে শুরু করে কুন্তল ঘোষের মতো একাধিক প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল গোপালের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গোপালের সঙ্গে পরিচয়ের পর রকেটের গতিতে উত্থান হয় হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly)। শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে টলিউডে জায়গা করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হতে শুরু করেন এই মডেল-অভিনেত্রী। হৈমন্তী রীতিমতো নিজের বিনোদন সংস্থা খুলে বসেছিলেন। বেহালায় সেই অফিস রয়েছে। কর্ণধার হিসেবে রয়েছে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম, যিনি কিনা গোপাল দলপতি নামেও পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: বেহালায় হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সামনে উদ্ধার ‘রোল নম্বর’ লেখা কাগজ! শিক্ষক নিয়োগের কি?

    এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, সিনেমাতে প্রযোজক হিসেবে নাকি টাকাও ঢালতে চেয়েছিলেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। তদন্তকারীদের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় সিনেমা প্রযোজনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। গোয়েন্দাদের মতে, এসএসসি দুর্নীতির বিপুল টাকা ওই বিনোদন সংস্থার মাধ‌্যমে যেমন পাচার হয়েছে, তেমনই ওই সংস্থাটির মাধ‌্যমে হৈমন্তী কিছু গানের ভিডিও বা ছবিও তৈরি করার চেষ্টা করেন। আবার সংস্থাটি কোনও সিনেমার প্রযোজনা করেছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। 

    মিলল শেয়ারের কাগজ

    বেহালা, টালিগঞ্জে ফ্ল্যাটের সন্ধান ইতিমধ্যেই মিলেছে। এছাড়া, বেহালা ও বিবাদি বাগে দুটি অফিসের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। মুম্বইতেও একটি সংস্থা রয়েছে, যার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন হৈমন্তী (Haimanti Ganguly)। নরিম্যান পয়েন্টে তার একটা দফতর রয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে গোপাল যতই জড়িয়ে যেতে থাকেন, ততই জড়াতে থাকেন হৈমন্তী। স্বামীর কাজকর্মের সম্পর্কে নাকি তিনি ভালই ওয়াকিবহাল ছিলেন। 

    আরও পড়ুন: কত টাকা রয়েছে হৈমন্তীর কাছে? ইডি-র দাবি শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    শুধু তাই নয়। গতকাল, হৈমন্তীর (Haimanti Ganguly) বেহালার ফ্ল্যাটের বাইরে আস্তাকুঁড় থেকে কিছু কাগজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটি কাগজ ছিল শেয়ার কেনার আবেদনপত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৩ সালে একটি আর্থিক সংস্থার ২ লক্ষ শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করেছিলেন হৈমন্তী। যার দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। আবেদনপত্রে পেশা হিসাবে ‘ব্যবসা’র কথা লিখেছিলেন তিনি।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় করা? হৈমন্তীর এই বিপুল অর্থের উৎস সন্ধানে নেমেছেন তদন্তকারীরা।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের (CBI ED) দুই শীর্ষ কর্তা। শুক্রবার শহরে এসেছেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র এবং সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা একই সঙ্গে শহরে হাজির হওয়ায় ছড়িয়েছে নানা জল্পনা।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। ওই দুর্নীতির নাটের গুরুকে খুঁজতে তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে জানা গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষকে। সম্প্রতি উঠে এসেছে রহস্যময়ী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বারংবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি এবং সিবিআই (CBI ED)। কখনও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কখনও আবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিশানা হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির পর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে বাগদার রঞ্জনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তখনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কী হবে? কিছুই হবে না। কিছুদিন আগেই আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করে, নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু বলেন, বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে, সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে কাজ করবে। তার পরেই বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দেন, তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকলে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। শূন্যপদ থেকে যাবে।

    আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (CBI ED) বলেন, রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ সবের জেরেই কলকাতায় এসেছেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ আধিকারিক। সূত্রের খবর, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্জয় ও অজয়। ধৃতদের জেরায় কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়েও কথা বলতে পারেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Recruitment Scam: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    Recruitment Scam: টলিউডের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) নতুন ‘গ্ল্যামার-গার্ল’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনের বিভিন্ন টুকরো। 

    বৃহস্পতিবার কুন্তল দাবি করেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী হলেন হৈমন্তী। পেশায় মডেল। হুগলির যুব তৃণমূল নেতার দাবি, সব টাকা নাকি আছে হৈমন্তীর কাছে। শুক্রবার জানা যায়, হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ায়। বাকসাড়া রোডের সেই বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য। জানা গিয়েছে, এখান থেকে মডেল-অভিনেত্রী হিসেবে হৈমন্তীর উত্থান প্রায় উল্কার গতিতে। তাই সকাল থেকে সকলের নজরে তাঁর এই বাড়িই। সকলেরই মনে কৌতূহল, কী করতেন হৈমন্তী? 

    জানা গিয়েছে, মডেলিংয়ে হাতেখড়ি হওয়ার পর হৈমন্তী অভিনেত্রী হিসেবে টলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় ছিলেন। বছর আটেক আগে গোপাল দলপতির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। তারপর ঘনিষ্ঠতা, সেখান থেকে প্রেম, বিয়ে। হৈমন্তীর বাপের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, গোপাল দলপতির সঙ্গে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হৈমন্তী। কিন্তু পরে ডিভোর্স হয়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছে তাঁর পরিবার।  তবে সিবিআই সূত্রে খবর, গোপালের সঙ্গে লিভ-ইন করতেন হৈমন্তী। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    হৈমন্তীর টলিপাড়ায় যোগ

    যতদূর জানা যাচ্ছে, পেশায় হৈমন্তী একজন মডেল। মডেলিং সহ দু’একটি অনামি সিনেমাতেও অভিনয় করেন হৈমন্তী। হৈমন্তীর টলিউড যোগ নিয়েও তথ্য মিলেছে। মডেলিং ছাড়াও বেশ কিছু ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোপাল ওরফে আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ‘জাল’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, দোলন রায় দের সঙ্গে ও অভিনয় জীবনে কাজ করেন হৈমন্তী। এই সিনেমায় সমীর কুমার পণ্ডিত নামের এক ব্যক্তি বিনিয়োগ করেছিলেন। হাওড়ার লোহার ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি আবার হৈমন্তীরই পরিচিত বলে জানা যাচ্ছে।

    এছাড়া, শোনা যায়, বাংলা ছবি ‘অচেনা উত্তম’-এ অভিনয় করেছিলেন হৈমন্তী। নার্সের চরিত্রের জন্য তাঁকে ভাবা হয়েছিল এই সিনেমায়। কিন্তু পরে এই সিনেমা নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। বাড়ির পাশের ডাস্টবিন থেকে নাকি একটি চিত্রনাট্যও (Script) পাওয়া গিয়েছে, যেখানে হৈমন্তীর চরিত্র সম্পর্কে লেখা। হৈমন্তী অভিনীত আরও একটি ছবি ‘আনটোল্ড লাভ’, একটি ছোট চরিত্রে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায় সেখানে।

    হৈমন্তীর টাকার উৎস কী?

    এদিকে, হৈমন্তী সম্প্রতি বেহালায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। মুম্বইয়ে কাজ খুঁজছিলেন। তবে সামান্য কাজ করে কীভাবে বেহালার মতো জায়গায় ফ্ল্যাট কিনলেন তিনি, টাকার উৎস কী, সেসব প্রশ্ন উঠছেই। কুন্তলের দাবি অনুযায়ী, গোপাল দলপতির কাছে নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা গিয়েছে। সেই টাকা মুম্বাইয়ে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কোম্পানির অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।

    এখন হৈমন্তী কোথায়, কেউ জানেন না। তাঁর খোঁজ চলছে। তাঁকে পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট কাটবে বলে আশা করছেন তদন্তকারীরা। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আবারও সামনে এল গ্ল্যামার-যোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘অপা’ পর্ব দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার সামনে এল অভিযুক্ত গোপাল দলপতির ‘মডেল’ স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। গতকালই, বোমা ফাটিয়েছেন এই মামলায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখেই উঠে এসেছিল ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তীর নাম। কুন্তলের দাবি, গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী এই হৈমন্তীর কাছেই নাকি রয়েছে যাবতীয় টাকা৷

    তদন্তকারীদের রেডারে ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন যে, হৈমন্তীর কথাতেই নাকি নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন গোপাল দলপতি। হয়েছিলেন আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তীর সঙ্গে পার্টনারশিপে কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি। কলকাতার ডালহৌসিতে থাকা সেই কোম্পানির নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে ডিরেক্টর পদে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, ন’বছর পর আচমকাই একদিন বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিটি। মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে থেকেও গুটিয়ে নেওয়া হয় দফতর৷ 

    সিবিআই সূত্রের খবর, গোপাল দলপতির ‘ঘনিষ্ঠ’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তী পেশায় মডেল। গোপাল ২০১৮ সালে গ্রেফতারের পর থেকে আলাদা থাকেন। আগে টালিগঞ্জ এলাকায় থাকতেন। গোপালের আগে বিয়ে হয়। সেই স্ত্রীকে ছেড়ে হৈমন্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গোপাল দলপতি। যদিও কুন্তলের দাবি, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তী।

    সিবিআই স্ক্যানারে গোপালের সম্পত্তি

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গোপাল দলপতির সম্পত্তি এ বার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। সিবিআই সূত্রের খবর, গোপালের প্রায় ২৪টি জমির প্লট রয়েছে। প্লটগুলি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ এ রাজ্যর বিভিন্ন জায়গায়। বেশিরভাগ জমি গোপালের স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের কোম্পানির নামে। মুম্বইতে হৈমন্তীর কোম্পানিতে গোপাল বিপুল পরিমান টাকা ট্রান্সফার করেছিল। এমনকী গোপালের বিপুল পরিমান জমিও হৈমন্তীর কোম্পানির নামে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এজেন্ট মারফত কোটি কোটি টাকা কুন্তলের থেকে গোপাল দলপতি মুম্বইতে নিজের স্ত্রীর কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শুধুই দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর সঙ্গেই নয়, আরও পাঁচটি সংস্থা রয়েছে গোপালের৷ এখন প্রশ্ন, এত জমি কেনার টাকা কোথা থেকে পেলেন গোপাল? নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকাতেই কি এই বিপুল সম্পত্তি গোপালের? পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গোপালের ‘গ্ল্যামারাস স্ত্রী’ হৈমন্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    বিয়ে প্রসঙ্গে কী জানাল হৈমন্তীর পরিবার? 

    হাওড়ার বাকসাড়া রোডে হৈমন্তীর বাপের বাড়ি। এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর পরিবার। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মেয়ে বহু বছর আগে গোপালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। গোপালকে আমাদের পরিবার পছন্দ করে না তাই কোনও যোগাযোগ রাখি না। তবে, হৈমন্তীর মা অস্বীকার করলেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়িতে হৈমন্তী আসেন। বিলাসবহুল গাড়িতে আসেন। অনেকবার দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও নাকি এসেছেন।

    গোপাল দলপতির মা

    ‘নিখোঁজ’ গোপাল দলপতি

    বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে। এদিকে, গোপাল দলপতির আদিবাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ২ নম্বর ব্লকের খিরিসবাড়ি গ্রামে। সেখানে একাই থাকেন তাঁর মা লক্ষ্মী দলপতি৷ ছেলের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর গোপাল দলপতির মা জানান, এক ব্যক্তি চিঠি নিয়ে এসেছিল তাঁদের বাড়িতে। কিন্তু সেই চিঠিতে কী রয়েছে, তা তিনি জানেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share