Tag: Recruitment scam

Recruitment scam

  • Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    Recruitment Scam: চাকরি না দিয়েও মোটা টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল! তৃণমূল নেতাকে কাঠগড়ায় তুললেন তাপস মণ্ডল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের ৩২৫ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে হুগলির তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষ নিয়েছিলেন এক লক্ষ করে টাকা। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন আরও ৫ লক্ষ টাকা। ২ হাজার ৬০০ সংগঠক শিক্ষক পদের জন্য নিয়েছিলেন ৫০ হাজার করে টাকা। আপার প্রাইমারির শিক্ষক পদের জন্য একশো জনের কাছ থেকে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি লেনদেনের রশিদ দিয়েছিলেন কুন্তল। প্রতিটি রশিদে সইও রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ ১৯ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কুন্তলের বিরুদ্ধে এহেন বোমাটি (Recruitment Scam) যিনি ফাটালেন তিনি তাপস মণ্ডল। যিনি শুধু বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি নন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত।

    তাপসের আরও দাবি…

    তাপসের দাবি, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন, তার যাবতীয় নথি আমার কাছে রয়েছে। তাপস বলেন, চাকরির পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে কুন্তল প্রথমে এক লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। পরে আবার ধাপে ধাপে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পরে তিনি একটি ছোট ডায়েরিতে লিখে সই করে দিতেন। তিনি বলেন, বিষয়টি ইডিকে জানিয়েছি। ওই ডায়েরিটিও ইডির তদন্তকারীদের হেফাজতে রয়েছে। বুধবার কুন্তলের সঙ্গে তাপসকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (Recruitment Scam) করা হয়। পরে ফের বৃহস্পতিবার তলব করা হয় তাপসকে। তবে ওই দিন হাজির হননি তিনি। শুক্রবার ফের আসেন সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা মানিকের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে তাপসকে অভিযুক্ত করেছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিন কলেজ সংগঠনের আরও এক নেতার নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কুন্তলের মাধ্যমে ওই শিক্ষক নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল বলে তাপস সিবিআইকে জানিয়েছেন। তাপস বলেন, আমার পরিবারের কেউ (কুন্তলের সূত্রে) চাকরি পাননি। তবে দূর সম্পর্কের কয়েকজন আত্মীয় কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছেন বলে শুনেছি। তাপস বলেন, আমি এসবে জড়াতে চাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলত। যখন জানতে পারলাম একজন ব্যাপারটা দেখছে, তখন তার কাছে সবাইকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরে শুনলাম টাকা চাইছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recuitment Scam: সুপ্রিমকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Recuitment Scam: সুপ্রিমকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recuitment Scam) মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। দুর্নীতি মামলাটি গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট। ফেরত পাঠানো হল হাইকোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানাল, যা বলার হাইকোর্টে বলুন, এখানে কেন?

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির (Recuitment Scam) অভিযোগ ওঠে। টাকার নিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিমকোর্টে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “৮ বছর পর জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই এই মামলা খারিজে দেশের শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করুক চায় রাজ্য।”

    কী বলে সুপ্রিম কোর্ট?

    কিন্তু রাজ্যের আবেদন উড়িয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Recuitment Scam)। রাজ্যকে পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বলেন, “যা বলার হাইকোর্টে বলুন।” বিচারপতি এস এস কৌল ও এ এস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় (Recuitment Scam) অভিযোগ করা হয়, ২০১৪-র টেট দুর্নীতি মামলায় কমপক্ষে ৪২,৮৯৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ।   

    অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহু নিয়োগ করা হয়েছে। তার ফলে বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এই কারণেই জনস্বার্থ মামলা করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (Recuitment Scam) মামলা করে রাজ্য। ২০১৪ সালের ঘটনায় ২০২২-এ জনস্বার্থ মামলার কোনও গুরুত্ব নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে রাজ্য। তবে দেরিতে করা এই মামলা খারিজ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। পুনরায় হাইকোর্টে মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে যে চাপ বেড়েছে রাজ্যের, তা বলাই বাহুল্য।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Fake Caste Certificate: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টে স্বীকার মহকুমা শাসকদের

    Fake Caste Certificate: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়েও হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ! হাইকোর্টে স্বীকার মহকুমা শাসকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে সামনে এল আরও এক অভিযোগ। এর আগেও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ভুয়ো’ জাতিগত শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার হাইকোর্টে উঠল সেই মামলা। হাইকোর্টে সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিলেন বেশ কয়েকজন মহকুমা শাসক। স্বত্বর ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

    কী অভিযোগ? 

    ভুয়ো শংসাপত্র (Fake Caste Certificate) দেখিয়ে চাকরি হয়েছে এমন অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হেমাবতী মাণ্ডি-সহ ৩ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক প্রার্থীকে বেদিয়া উপজাতি দেখিয়ে তফশিলি জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বীরভূম সদরের মহকুমাশাসক আদালতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে জানান, বেদিয়া উপজাতির ওই প্রার্থী তফশিলি জনজাতির মধ্যেই পড়েন। কিন্তু মুসলমানরা যে তফশিলি জনজাতিভুক্ত নন। বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। 

    ৫৫ জন ভুয়ো শংসাপত্রধারী (Fake Caste Certificate) প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে আদালতের সামনে তুলে ধরেন মামলাকারীরা। ইতিমধ্যেই তালিকার ৩৩ জনের রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। এরই মধ্যে এদিন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক জানান, মণ্ডল পদবি তফশিলি জনজাতিভুক্ত নয়। তিনি আরও জানান, জাতি শংসাপত্রটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেটি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি ভুল স্বীকার করে নেন মালদহের মহকুমাশাসকও। অনেক মহকুমাশাসক এও দাবি করেছেন যে, আবেদনকারীরাই ভুল তথ্য দিয়ে শংসাপত্র নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবু নাইডুর রোড শোতে ড্রেনে পড়ে মৃত্যু ৮ জনের   

    সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্মশিক্ষা বিষয়ে মোট ১৯৭৭ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জনের নাম ভুয়ো শংসাপত্রের (Fake Caste Certificate) তালিকায় উঠে এসেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মহকুমাশাসকদের রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাতে হবে। এরপরই আদালতে ভুল স্বীকার করে নেন মহকুমাশাসকরা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! ১৬৯৮ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি যাওয়ার পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে এবার নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে ১৬৯৮ জন গ্রুপ-ডি কর্মীর নিয়োগ দুর্নীতির আভাস দিয়েছিল সিবিআই। এঁরা রাজ্যের বিভিন্ন হাই ও জুনিয়ার হাইস্কুলে কর্মরত। রাজ্য শিক্ষা দফতর এবার এই কর্মীদের বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরকে জানিয়ে দিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের একদিনও স্কুলে ঢুকতে দেব না৷ এই দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি৷ 

    শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা

    শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে। সেই নোটিসের সঙ্গে আদালতের রায়টিও যুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত ১৬৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলেই অভিযোগ। নির্দেশিকাটির সঙ্গে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের কাছে। তাঁদের চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: একজনের নিয়োগপত্রে অন্যজনের চাকরি! মুর্শিদাবাদের স্কুলে ভুয়ো শিক্ষক

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমিক মজুমদার বলেন, ‘কিছু প্রার্থী যেমন উৎকোচ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তেমনই কিছু প্রার্থী পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি পেয়েছেন৷ তাঁদের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার প্রমাণও আছে৷ সকল প্রার্থীর চাকরি বাতিল করা হলে, তা চূড়ান্ত অমানবিক হবে৷ পর্ষদ কি প্রতিদিন নতুন করে তাঁদের অবস্থান জানাবে? প্রতিদিন নতুন নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হবে? একজনের পাপের ভার যেন সকলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া না হয়৷ এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকেও হস্তক্ষেপ করতে হবে৷’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব! পার্শ্বশিক্ষক মামলায় রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ফের জটিলতা। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার ফলে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ফের বাধা পড়তে পারে বলে মনে করছেন পরীক্ষার্থী সহ শিক্ষা মহল। কারণ পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। ফলে নতুন মামলার জন্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের দেরি হতে পারে , এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    কী এই নতুন মামলা?

    গত ২১ নভেম্বর, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাথমিকের কয়েক জন পার্শ্বশিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, ওই নির্দেশের ফলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে এবং প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের সুযোগ কমবে। কেন উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকদের প্রাথমিকে সুযোগ দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন কিছু পরীক্ষার্থী। এই নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। পার্শ্বশিক্ষকরা ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হলেই হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকের বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে এবং কী পদ্ধতিতে এগিয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে।

    আরও পড়ুন:কেন্দ্রের বরাদ্দের বছর পার, এখনও শেষ হল না রাজ্যের করোনা প্রস্তুতি

    পর্ষদের তরফে কী বলা হল?

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস রিপোর্ট হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তলব করার পর পর্ষদ থেকে জানানো হয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত নিয়োগ নিয়ে তারা চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আর পর্ষদের এমন সিদ্ধান্তের ফলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের বিলম্ব হতে পারে বলে মনে করছেন টেট পরীক্ষার্থীরা।

    প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ নিয়ে নানা দুর্নীতি সামনে আসায় গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে টেট পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সেই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চলছে। এই আবহেই এ বছর টেট পরীক্ষা হল। গত ১১ ডিসেম্বর অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কোনদিকে মোড় নেয়, তারই অপেক্ষায় পরীক্ষার্থী।

  • Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    Recruitment Scam: উত্তরপত্র ফাঁকা, তবু প্রাপ্ত নম্বর ৫৩! এসএসসি-এর বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নিজেদের সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই ৯৫২ জনের বিবরণ দিয়েছে এসএসসি। সেই তালিকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ। স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায় কোনও উত্তর না লিখেই পাশ করেছেন অনেকে। এমনকি বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন তাঁরা। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে-স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে যে উত্তরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে,তাতেই উঠে এসেছে এই চিত্র।

    ফের শিরোনামে পরেশ অধিকারী

    নবম-দশমের বিকৃত ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই আবারও শিরোনামে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি করা স্কুল ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে আবারও এক ভুয়ো শিক্ষকের সন্ধান মিলল। বৃহস্পতিবার,এসএসসি ওয়েবসাইটে তালিকা আসতেই শুক্রবার থেকে স্কুলে যাচ্ছেন না ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক কনিকা বর্মন। অভিযোগ, ওএমআর শিট কারচুপি করে নাম্বার বাড়িয়ে ইংরেজি শিক্ষক হয়েছিলেন কনিকা। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া সহ অন্যান্যরা। প্রসঙ্গত, এই মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পদে নিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: “বড়দিনের উৎসবে মাস্ক পরুন, দূরত্ববিধি মেনে চলুন”, সংসদ থেকে বিশেষ বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ভাইরাল ওএমআর শিট

    ইতিমধ্যেই একের পর এক OMR শিট ভাইরাল হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ একটিও গোল ভরাট করেননি আবার কেউ ৫৫টি প্রশ্নেরই উত্তর করেছেন। যদিও প্রায় সব উত্তরই ভুল। তবে সবার প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। কোন জাদুবলে এই ভাবে নম্বর বেড়েছে তা নিয়ে জোর জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কালনা মহারাজা বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষকের ওএমআর শিট একেবারে ফাঁকা। বৃহস্পতিবার তিনি আর স্কুলে আসেননি। ওএমআর-এ দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বর সহ যাবতীয় বিষয়ের সার্কেল ভরাট করা হলেও একটিও প্রশ্নের উত্তরের সার্কেল ভরাট করা হয়নি। ফাঁকা খাতা জমা দিয়ে, শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই অভিযোগে তুলে সরব হয়েছেন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরা। আর, সেই অভিযোগ যে সত্য,তা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Group-D Recruitment Scam: গ্রুপ ডি নিয়োগেও মোটা টাকার লেনদেন! আজ থেকেই ইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির একটি মামলায় (Group-D Recruitment Scam) ফের ইডি-তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লক্ষ্মী টুঙ্গা নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় আজ ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সন্দেহ, সাদা ওএমআর শিটে মোটা টাকার বিনিময়ে বিকৃতি ঘটিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর তা তদন্ত করতেই এবারে এই মামলাতেও ইডিকে যুক্ত করলেন বিচারপতি।

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তদন্তের নির্দেশ

    উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে বিকৃতি হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) (Group-D Recruitment Scam)। এই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১০০টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এসএসসিকে এই ১০০ ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীকে আদালতের নির্দেশ, ২,৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। সিবিআই এই বিকৃত ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করেছে।

    আরও পড়ুন: বছরটা বাংলাতেই কাটছে অনুব্রতের! পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত দিল্লি যাত্রায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    আর এর পরেই গ্রুপ ডি-র প্রায় ১০০টি খাতা খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, অধিকাংশ খাতাই সাদা। কয়েকটি খাতায় পরীক্ষার্থীরা ১ – ৪ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এসএসসি-র সার্ভারে সেই নম্বরই দেখাচ্ছে ৪৩। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন, “এসএসসি-তে সেই সময় কে ছিলেন চেয়ারম্যান?” উত্তরে আইনজীবী জানান, সুবীরেশ ভট্টাচার্য ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, “সিবিআইকে কি সুবীরেশ সব বলেছেন? যাঁর নির্দেশে করেছেন, তাঁর নাম কি বলেছেন? অধিকাংশ ওএমআর শিট ফাঁকা। বিশ্বাস করি না, টাকা ছাড়া এই ম্যানুপুলেশন সম্ভব। ইডিকে সব মামলায় যুক্ত করব। কোনও ব্যক্তি যেন পালিয়ে না যায়।”

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত শুরু হওয়ার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতেই গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এবার আরও একটি মামলায় তদন্তভার যাচ্ছে ইডি-র হাতে। গ্রুপ ডি নিয়োগেও (Group-D Recruitment Scam) টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, টাকা কার কাছে যেত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এবারে তদন্ত করবে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    Recruitment Scam: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের, জানুন কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে নয়া প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী দু মাসের মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নতুন প্যানেল প্রকাশের নির্দেশও দিল আদালত।

    ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতি…

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ২০৩ জন প্রার্থী। আদালতে তাঁরা জানান, নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অসংরক্ষিত প্রার্থীর নাম ঢোকানো হয়েছে সংরক্ষিত প্রার্থীর তালিকায়। তাছাড়া বেশ কয়েকটি প্রশ্নে ভুলও ছিল। সেগুলির সমাধান না করেই নিয়োগ করা হয়েছে। প্রার্থীদের আরও অভিযোগ, অনেকেই একই নম্বর পেয়েছেন। তারপরে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অনেককে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ তুলে প্যানেল বাতিলের আর্জি জানান প্রার্থীরা। যদিও প্রার্থীদের অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্য সরকার।  

    আরও পড়ুন: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে ১,৫০০ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষে হয় মৌখিক পরীক্ষা। সব শেষে হয় প্যানেল প্রকাশ। প্যানেল প্রকাশিত হতেই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ (Recruitment Scam)। মামলা করেন বাসুদেব গোস্বামী সহ কয়েকজন প্রার্থী। প্রথমে মামলাটি ওঠে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। পরে যায় উচ্চ আদালতে। এদিন প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি এবং টেটে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে চলে এল দমকল দফতরে ফায়ার অপারেটর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেশ চাপে রাজ্য। এমতাবস্থায় দলের মুখ বাঁচাতে তৃণমূল নেত্রী কী করেন, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) মামলা যেন শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। আর একের পর এক মামলার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে। ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির (SLST) ২১ জনের বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজ সেই ২১ জনকে জেরা করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বয়স কম দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ২১ জনের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদে অনুমতি হাইকোর্টের

    ২০১৬ সালে নবম এবং দশম শ্রেণিতে বয়স কমিয়ে এবং অ্যাকাডেমিক নম্বর বেশি দেখিয়ে অনেককে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ১৯২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেন। চাকরিতে নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৪০ বছর। কিন্তু সেই বয়স পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী (SSC Scam)। মামলাকারীদের দাবি, “এসএসসি-র দেওয়া মেধাতালিকা তথ্যেই স্পষ্ট, বয়স পেরোনোর পরেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এতে সিবিআই তদন্তের দরকার।”

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে এই ২১ জনের তালিকা এসে পৌঁছেছে। ফলে সেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রকৃত বয়স ৪০-এর উপরে। কিন্তু চাকরির জন্য বয়স কম করে দেখিয়েছে তারা। এরপরেই এতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে অন্তত ১৬৩ জনকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে মেনে নিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ (SSC Scam)।

    আর এরপরেই এই মামলায় (SSC Scam) বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আপাতত অভিযুক্ত ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। আজ শুনানি পর্বে বিচারপতি বসু বলেন, “দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে, প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

    হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হল, নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বয়স, নম্বর ইত্যাদি খতিয়ে দেখে আদালতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। ফলে এই নিয়োগ মামলায় আবার কী তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার। 

  • Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। “পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?” নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর  দাবি, অবিলম্বে অযোগ্যদের নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে তলব করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

    যে সব চাকরিপ্রার্থীদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সব প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়েই কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর সেই মামলা চলাকালীন এবার সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর নাম উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)।

    আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাঁরা কত নম্বর পেয়েছেন, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠকও করতে হবে কমিশনকে। উপস্থিত থাকতে হবে ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবীকে। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    শিক্ষামন্ত্রীকে তলব করার হুঁশিয়ারি বিচারপতির

    গতকাল ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তখনই তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”

    আবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?”  এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।

    তবে এতদিন শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উঠে আসেনি। কিন্তু গতকাল বিচারপতির (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্যের পর একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাইকোর্টে?

LinkedIn
Share