Tag: Red Fort blast

  • Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    Military Grade Explosives: দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ২ ধরনের ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক! অনুমান তদন্তকারীদের, এগুলি কতটা বিপজ্জনক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় গাড়ি-বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast) কী ধরনের রাসয়নিক বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ফরেনসিক রিপোর্ট না আসায় সঠিকভাবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ‘মিলিটারি-গ্রেড’ (Military Grade Explosives) বা সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। যে বিস্ফোরক সেনা জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হয়, তাই দিল্লি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার?

    একইসঙ্গে তদন্তকারীরা এও জানাচ্ছেন, সম্ভবত ২ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে (Delhi Red Fort Blast)। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে নুমনা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে একটি অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটের মতো কোনও রায়াসনিক হতে পারে। তবে দ্বিতীয় বিস্ফোরকের (Military Grade Explosives) প্রকৃতি সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য মেলেনি। ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে সুস্পষ্ট হবে।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে আই-২০ গাড়ির টায়ার, চেসিস, সিজিসি সিলিন্ডার, বনেটের অংশ এবং বিভিন্ন অবশেষ। ল্যাবরেটরিতে এই নমুনাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট বা সংক্ষেপে পিইটিএন (PETN), সেমটেক্স (SEMTEX) বা আরডিএক্স (RDX)-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।

    পিইটিএন, সেমটেক্স, আরডিএক্স

    পিইটিএন অত্যন্ত শক্তিশালী রাসায়নিক (Military Grade Explosives)। অল্প পরিমাণের সাহায্যেই বড় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, এর বর্ণহীন স্ফটিক আকৃতির জন্য একে সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। পিইটিএন শক বা তাপের অধীনে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে, অতিরিক্ত ধাতব টুকরোর প্রয়োজন হয় না। বিস্ফোরক থেকে প্রাপ্ত বিস্ফোরণ শক্তি একটি যানবাহন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর উচ্চ ক্ষমতা এবং কম সনাক্তযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কারণে, সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রে এটি বহুল ব্যবহৃত।

    সেমটেক্স ও আরডিএক্স-ও সামরিক মানের শক্তিশালী বিস্ফোরক (Military Grade Explosives), যা সন্ত্রাসী হামলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত। এগুলির কোনও ক্ষেত্রেই বিস্ফোরণে পেলেট কিংবা শার্পনেল প্রয়োজন হয় না। তদন্তে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং ডিটোনেটরের সম্ভাব্য ব্যবহারেরও ইঙ্গিত মিলেছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশ্রিত জ্বালানি (ANFO) তেল এবং ডিটোনেটর ব্যবহারের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এটি আইইডি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

    ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক ঠিক কী?

    কী এই ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক (Military Grade Explosives), যা সেনা ব্যবহার করে থাকে? কতটা শক্তিশালী? ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিক সাধারণত, সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়। সেনার মানদণ্ড ও প্রয়োজন অনুযায়ী উৎপাদন হয়। জওয়ানরা তা যুদ্ধ বা প্রতিরক্ষা মিশনে ব্যবহার করেন। এই ধরনের বিস্ফোরক পদার্থের শক্তি অনেক বেশি। কার্যকারিতা রীতিমতো ভয়াবহ। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশেই ‘সামরিক মানের’ বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত সেনাবাহিনী এবং নির্দিষ্ট কিছু সরকারি সংস্থাই এগুলো ব্যবহার করতে পারে।

    এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে এই রাসায়নিক এল জঙ্গিদের হাতে? এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

  • Delhi Blast: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের তীব্র সমালোচনা, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সরব হাসিনা

    Delhi Blast: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি নেটওয়ার্কের তীব্র সমালোচনা, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সরব হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে জঙ্গি হামলায় নিরপরাধ মানুষকে হত্যার তীব্র নিন্দা করলেন আওয়ামি লিগ চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।‌ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতদের স্মরণে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন তিনি। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক বিশ্বে উগ্র-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের কোনও‌‌ জায়গা নেই। এই উগ্রবাদী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলে আঘাত করে।

    পাকিস্তানের সমালোচনা

    নয়াদিল্লির লালকেল্লায় ১০ নভেম্বরের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা করে শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে বলেন, “নয়াদিল্লিতে সংঘটিত এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আধুনিক বিশ্বে চরমপন্থী সন্ত্রাসের কোনও স্থান নেই। এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো একটি ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের ভিতকেই নাড়িয়ে দিতে চায়।” বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত করেছে এবং ভারতকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, “এই জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলো পাকিস্তান থেকে শিকড় গেড়ে সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আক্রমণ চালিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।”

    ভারতের পাশে

    বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমাদের এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামি লিগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসবিরোধী এই ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে।” ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আজকের সভ্য বিশ্বে এমন ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো স্থান নেই এবং এর কোনও ক্ষমাও হতে পারে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “যেখানেই সন্ত্রাসবাদের শিকড় থাকুক না কেন, তা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে। যারা বাংলাদেশে বা অন্য কোথাও এসব জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তারা মানবতার শত্রু—আমরা তাদের কঠোরভাবে নিন্দা জানাই।”

  • Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Delhi Blast) তদন্তে বড় অগ্রগতি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে হুন্ডাই আই ২০ গাড়িটি বিস্ফোরণের উৎস ছিল, সেটি কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা কিনেছিলেন। গাড়িটি একাধিকবার হাত বদল হয়ে উমর মহম্মদের কাছে যায়। এই উমরই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, বলে মনে করছে পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে দিল্লি বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডার প্রথম ছবিও। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। আহত প্রায় ২০ জন। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি-র ডিরেক্টর, এনআইএ-এর ডিজির সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে রয়েছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    প্রকাশ্যে এল উমরের ছবি

    সোমবার রাতে দিল্লিতে (Red Fort blast) যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গাড়ির বর্তমান মালিক উমর মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। তার ছবিই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড়ের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সন্ধেয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে এই উমরের মৃত্যু হয়েছে নাকি সে গা ঢাকা দিয়েছে-সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ফুটেজেই গাড়ির চালকের আসনে থাকা উমরের ছবি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির মধ্যে রাখা ডিটোনেটর থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক উমর, এমনটাই অনুমান। যদিও বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে দেখা যায়, গাড়ির চালকের আসনে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি রয়েছেন। মাঝপথে উমর নেমে গিয়ে অন্য কেউ চালকের আসনে বসেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ফলে দিল্লির বিস্ফোরণে উমরের মৃত্যু হয়েছে একথাও স্পষ্ট করে বলা যায় না। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, দুই সঙ্গীকে নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল উমরের।

    কে এই উমর

    উমর ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্মগ্রহণ করে। সে আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। সে ডঃ আদিল আহমদ রদর ও ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের কাছের সহযোগী ছিল। সোমবার এই দুই ডাক্তারকে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসী চক্রের জন্য গ্রেফতার করা হয়।

    গাড়ির পুলওয়ামা যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই যে আই ২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তার এর নম্বর ছিল এইচআর ২৬ ৭৬২৪। নম্বরপ্লেট দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়ির মালিককে। জানা যায়, গাড়িটি হরিয়ানার। হরিয়ানার গুরুগ্রামে নর্থ আরটিও-তে রেজিস্টার্ড করা ছিল। রেজিস্ট্রেশন ছিল হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের নামে। তাকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও সূত্রের দাবি, সলমন পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়িটি সে বিক্রি দেয়। জানা যায়, গাড়িটি নাদিম নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হয়। এরপর নদিম সেই গাড়িটি বিক্রি করে দেয় ফারিদাবাদের কার ডিলার রয়্যাল কার জোনের কাছে। তারপর পুলওয়ামার বাসিন্দা তারিক কিনে নেয় সেটি। তারপর গাড়িটি আবার হাত বদল হয়ে যায় পুলওয়ামার চিকিৎসক উমরের কাছে যায়। তারিককে পুলওয়ামার সামবুরা থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আরসি ছিল না তারিকের নামে। সূত্রের খবর, তারিক এটা ২০১৫ সালে উমরকে বিক্রি করে দেয়। পুলিশ এখন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছে গাড়িটিকে

    বিস্ফোরণের (Delhi Blast) কয়েক ঘণ্টা পরেই দিল্লি পুলিশ গুরগাঁওয়ের এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যার নামে আগে ওই গাড়িটি রেজিস্টার ছিল। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, বহু আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপরই পুলিশ রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মালিকানা হস্তান্তরের নথি খতিয়ে দেখে। তদন্তে জানা যায়, গাড়িটি একাধিকবার হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত পুলওয়ামার ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়। এছাড়া, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং এলাকায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পার্ক করা ছিল। সূত্রের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়িটি দুপুর ৩টা ১৯ মিনিটে পার্কিং লটে প্রবেশ করছে এবং ৬টা ৪৮ মিনিটে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। “গাড়িটি যখন পার্কিং থেকে বেরোয়, তখন আশপাশে যানজট ছিল,” বলেন এক তদন্তকারী।

    গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ পর্যবেক্ষণ

    গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, লালকেল্লা এলাকা, কাশ্মীরি গেট, এবং সোনেহরি মসজিদ সংলগ্ন জায়গাতেও দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, এক ব্যক্তি গাড়ির চালকের আসনে বসে পার্কিং স্লিপ সংগ্রহ করছেন। তবে দিল্লি পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটিতে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন। যদিও ফুটেজে আপাতত একজনকেই দেখা যাচ্ছে, তবে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন পরে আর কেউ গাড়িতে ওঠেন কি না। বিস্ফোরণের (Red Fort blast) ঘটনার তদন্তে যুক্ত রয়েছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। এক আধিকারিক বলেন, “আমরা আশপাশের রাস্তা ও টোল প্লাজার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, যাতে গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ কি ছিল তা জানা যায়।”

LinkedIn
Share