Tag: Red Fort

Red Fort

  • Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    Natwarlal: তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন! জানেন কে সেই গুণধর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা শব্দটির সঙ্গে প্রায় সবাই পরিচিত। এই শব্দটি মোটেও সুখকর নয়। প্রতারণার চক্করে পড়ে অনেক মানুষের জীবন পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করে প্রতারকরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। আবার এমন মানুষও আছেন, যাঁরা প্রতারণা করে গোটা বিশ্বের ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ধরেছেন। আজ প্রতিবেদনে এমনই এক প্রতারকের সম্বন্ধে আলোচনা করব, যিনি ভারতের সর্বকালের সেরা ছদ্মবেশীদের মধ্যে একজন, তাঁকে সবাই মিস্টার নটবরলাল নামেই চেনে। যার আসল নাম মিথিলেশ কুমার শ্রীবাস্তব। মিথিলেশ শ্রীবাস্তব প্রতারণার দিক থেকে এতটাই দক্ষ এবং পারদর্শী ছিলেন যে তাঁকে ভারতের সর্বসেরা প্রতারকের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। শুনলে অবাক হতে হয় যে তিনি তাজমহল থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ভবন, এমনকি লালকেল্লা ও সংসদ ভবন পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিলেন বিদেশিদের কাছে।

    কী পরিচয় মিথিলেশের? কীভাবে প্রতারণার হাতেখড়ি তাঁর?

    ১৯১২ সালে ভারতের বিহারের একটি জায়গা জিরাদাতে জন্ম এই মিথিলেশের। পড়াশোনাতে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রথমে তিনি স্নাতক পাশ করার পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন, আর এই পড়াশুনা করার সময় থেকে তাঁর প্রতারণা করার ভাবনা মাথায় আসে। সর্বপ্রথম তিনি তাঁর গ্রামের এক লোকের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন। সেই ব্যক্তি শহরের কোনও ব্যাংকে টাকা জমা করতে শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব দেন। ঠিক সেই সময় সেই ব্যক্তির ব্যাংক থেকে প্রায় এক হাজার টাকা তাঁর স্বাক্ষর নকল করে তুলে নেন এই শ্রীবাস্তব, সেই সময় ১০০০ টাকার বর্তমান মূল্য ছিল প্রচুর।

    তাজমহল থেকে লালকেল্লা, তিনি সব বেচে দিয়েছিলেন

    স্বাক্ষর নকল করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ছদ্মবেশ ধারণে পারদর্শী ছিলেন মিথিলেশ। তাঁর জন্ম থেকে প্রায় ৫০ টিরও বেশি ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণা করেছিলেন নটবরলাল। এই প্রতারণা করার খিদে তাঁর মধ্যে আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করে। তাই তিনি বড় কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টাটা থেকে আম্বানি, বিড়লা সবার সই জাল করতে পারদর্শী ছিলেন। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গা যেমন তাজমহল, লালকেল্লা, সংসদ ভবন  বিদেশিদের কাছে বহু মূল্যে বিক্রয় করে দিয়েছিলেন তিনি।

    গ্রেফতার হয়েছেন বহুবার, ছিল অসংখ্য মামলা

    এত প্রতারণা করার পর তিনি পুলিশের হাত থেকে কখনই ছাড় পাননি, প্রায় ১০০ টিরও বেশি মামলা ছিল তাঁর নামে। নয় বার আটক হয়েছিলেন নটবরলাল, কিন্তু প্রত্যেক বারেই তিনি পালিয়ে এসেছিলেন, কেউ ধরতেও পারেনি। একবার ১৯৯৬ সালে শরীর অসুস্থ বলে কানপুর জেল থেকে দিল্লি AIIMS এর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।

    প্রতারক হয়েও তিনি জনপ্রিয় 

    বিভিন্ন প্রতারণামূলক ও অপরাধমূলক কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গ্রামের মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সময় প্রচুর টাকা তিনি তার গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। তাঁকে নিয়ে ভারতে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৭৯ সালে মিস্টার নটবরলাল ও ২০১৪ সালে রাজা নটবরলাল খুব জনপ্রিয়। এছাড়াও তাঁর জীবন নিয়ে ডকুমেন্টারিও তৈরি হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ শে জুলাই মারা যান নটবরলাল, এই ক্ষেত্রেও তিনি ধাঁধায় ফেলে দেন মানুষকে। কারণ এখনও পর্যন্ত তাঁর আসল মৃত্যুর তারিখ কেউ জানতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হারতে শেখেনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “হারতে শেখেনি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নয়া ভারত”, স্বাধীনতা দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যখন কোনও কাজে মনস্থির করি, তখন সেই কাজটা আমরা করেই ছাড়ি।” মঙ্গলবার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবার ১০তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন মোদি।

    ডেস্টিনেশন ২০৪৭

    এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “আমরা যখন কোনও কাজে মনস্থির করি, তখন সেই কাজটা আমরা করেই ছাড়ি। এ ব্যাপারে আমাদের ধারাবাহিক রেকর্ড রয়েছে। এই হচ্ছে নতুন ভারত। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ইয়ে ভারত না রুখতা হ্যায়, না ঠকতা হ্যায়, না হাঁফতা হ্যায়, আউর না হি হারতা হ্যায় (আজকের ভারত থামে না, ক্লান্ত হয় না, হাঁপিয়ে ওঠে না অথবা হেরে যায় না)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের লক্ষ্য হল ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। স্বাধীনতার শতবর্ষেই এটা হবে। আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে আমরা অবশ্যই ঐক্যের মন্ত্রের দিকে এগোব।”

    ‘এই সরকার স্বলক্ষ্যে অটল’

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমরা যখন নতুন পার্লামেন্ট ভবন গড়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমাদের সরকার সেই ভবন তৈরি করেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে নয়া পার্লামেন্ট ভবনই ছিল গোটা দেশের আলোচনার বিষয়বস্তু। কিন্তু এই মোদি, আমরা নয়া পার্লামেন্ট ভবন গড়ে তোলার কাজ শেষ করেছি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। এই সরকার স্বলক্ষ্যে অটল। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে।” প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে নয়া পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে সংসদের দুই সভা লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করে সরকার। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: আগামী বছরও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন মোদি, প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে

    আমেদাবাদের সবরমতি আশ্রমে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১ সালের ১২ মার্চ তিনি ওই ঘোষণা করেছিলেন। চলতি বছরকে ‘অমৃত কাল’ হিসেবে পালনের কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে দিল্লির ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত দখল করছে পঞ্চম স্থান। যে জায়গাটা এতদিন দখল করেছিল ইংল্যান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আগামী বছরও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন মোদি, প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে

    PM Modi: আগামী বছরও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন মোদি, প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরও ফের লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে  দেওয়া ভাষণে এমনই প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কণ্ঠে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে যে ফের বিজেপিই ক্ষমতায় আসতে চলেছে, বারে বারে তা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফের একবার শোনা গেল সেই সুর-ঝঙ্কার।

    ‘জনগণের জন্যই স্বপ্ন দেখি’

    তিনি বলেন, “আপনাদের দেশের উপলব্ধি, দেশের সংকল্প, গৌরবের কথা আপনাদের সামনে প্রস্তুত করব। আমি জনগণের জন্যই বেঁচে রয়েছি, জনগণের জন্যই স্বপ্ন দেখি, জনগণের জন্যই পরিশ্রম করি। দেশবাসী আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি দেশের কাজ করি, তা নয়, দেশকে আমি পরিবার ভাবি, তা-ই করি। দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণের জন্য সেবক, দারোয়ান হয়েই থাকতে চাই।” দুর্নীতি, পরিবারবাদ এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি যে দেশের শত্রু, এদিনের বক্তৃতায় তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “দুর্নীতি, পরিবারবাদ ও তুষ্টিকরণের রাজনীতি আমাদের দেশের শত্রু। এই তিন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ভারতকে বিশ্বপিতা করার সংকল্প পূরণ করতে হবে, চোখে চোখ রেখে তিন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দুর্নীতি দেশের ক্ষতি করেছে। পরিবারবাদ জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তুষ্টিকরণ আমাদের দেশের বদনাম করেছে।”

    কংগ্রেসকে খোঁচা

    কংগ্রেসের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর খোঁচা, “ওদের লক্ষ্য হল দলের জন্য, দলের দ্বারা আর দলের জন্য কাজ করা।” ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে, এদিন তাও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৫জি-র লক্ষ্য পূরণে সমর্থ হয়েছে। এবার ৬জি পালন করতে চলেছে। ভারতে নতুন সংসদ করার কথা দিয়েছিলাম। সময়ের আগেই নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। এই ভারত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। সংকল্প পূরণের পথে এগিয়ে চলে। এই ভারত থামে না, ক্লান্ত হয় না, পরাজিত হয় না।”

    আরও পড়ুুন: রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়ার নাম, জানুন তাঁদের ইতিহাস

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারত পুরনো ভাবনা ছেড়ে লক্ষ্য স্থির করে লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে চলেছে।” তিনি বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আপনাদের সাহায্য, আশীর্বাদ নিতে এসেছি। গত কয়েক বছরে দেশকে যা বুঝেছি, তার থেকে বলছি, আজ স্বাধীনতার অমৃতকালে আমাদের শপথ নিতে হবে, ১০০ বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা বিশ্বভারতের জাতীয় পতাকা হবে। আমাদের দেশ বিশ্বভারত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: “শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে”, মণিপুর প্রসঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে”, মণিপুর প্রসঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মুখে উঠে এল মণিপুর প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশের উত্তরপূর্ব, বিশেষ করে মণিপুরে বিগত কয়েক দিন ধরে হিংসা হয়েছে। সেখানে মা-বোনদের সম্মানহানি হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে সেখানে শান্তি ফিরেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তি বজায় রাখার জন্য এবং সেখানকার সমস্যা মেটাতে এক সঙ্গে কাজ করবে। দেশবাসী মণিপুরের পাশে রয়েছে। শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।”

    শান্তিতেই সমাধানের পথ 

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ ওঁদের পাশে রয়েছে এবং থাকবে। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা ওখানে (মণিপুরে) শান্তিপূর্ণ সমাধানের রাস্তা বের করব। আপনাদের আবেদন মণিপুরে শান্তি বজায় রাখুন। শান্তিতেই সমাধানের পথ বের হবে।” মণিপুরের (PM Modi) ঘটনা যে লজ্জাজনক, বাদল অধিবেশনেও লোকসভায় সেকথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “এই ঘটনায় গোটা দেশের মাথা নত হচ্ছে। মণিপুরে মা-বোনদের অসম্মান যারা করেছে, তারা রেহাই পাবে না। মহিলাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আমি দেশের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব, তাঁরা যেন রাজ্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখেন।”

    ‘মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবেই’

    প্রধানমন্ত্রী এও বলেছিলেন, “অপরাধীকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই যা কিছু সম্ভব, তা করেছে। আমি মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আগামী সময় মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবেই। আমি মহিলা ও মণিপুরের কন্যা-সহ রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বলতে চাই যে দেশ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।” 

    আরও পড়ুুন: রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বার্তায় মাতঙ্গিনী হাজরা ও কনকলতা বড়ুয়ার নাম, জানুন তাঁদের ইতিহাস

    প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকিদের সংঘর্ষের জেরে অশান্তির আগুন লাগে চিত্রাঙ্গদার দেশ মণিপুরে। তফশিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার (PM Modi) দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন মেইতেইরা। তার জেরেই ৩ মে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে বহু বাড়ি। মৃত্যুও হয়েছে শতাধিক মানুষের। জখমও হয়েছেন বহু মানুষ। ভাঙচুর, লুটপাটের মতো ঘটনাও ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেই ধীরে ধীরে আয়ত্ত্বে আসে পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    Modi: দেশকে লুট করলে খেসারত দিতে হবে! দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সোমবার সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে লালকেল্লায় ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। ভাষণের শেষলগ্নে দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দেশের প্রভূত ক্ষতি করছে দুর্নীতিও। দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর কথায়, “অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাংকের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুট করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশে গরিবরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না, আর এক শ্রেণির মানুষের চুরি করা টাকা রাখার জায়গা কুলোচ্ছে না। মোদি বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি ভাল নয়। ভারতের মতো গণতন্ত্রে যেখানে মানুষ প্রত্যেক মুহূর্তে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছে, যেখানে একদল মানুষের থাকারই জায়গা নেই, সেখানে আর একটি দল চুরি করা মাল রাখার জায়গা পাচ্ছে না।’’ মোদি অবশ্য তাঁর বক্তৃতায় কোনও বিশেষ রাজ্য, বা নেতা বা মন্ত্রীর নাম করেননি।

    আরও পড়ুন: ‘আগামী ২৫ বছরে উন্নত দেশের রূপ নেবে ভারত’! জানেন লাল কেল্লায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের পূর্ণশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। গত আট বছরে আমরা সে কাজে সফলও হয়েছি।’’ মোদির কথায়, ‘‘‘ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’-এর সাহায্যে আধার-মোবাইল এবং অন্য আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করে লক্ষ কোটি টাকা ভুল হাতে যাওয়া থেকে বাঁচানো গিয়েছে। এমনকি, সেই টাকা দেশের ভাল কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    মোদি বলেছেন, ‘‘যারা আগের সরকারে ব্যাঙ্ক লুট করে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করে টাকা ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার। যাঁরা দেশের টাকা চুরি করেছেন, তাঁদের টাকা ফেরাতে বাধ্য করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত কড়া অবস্থান নিচ্ছে। দেখে ভাল লাগছে, এখন দেশে দুর্নীতি-বিরোধী একটা মনোভাবও তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু তাঁর অনুযোগ, অনেকে দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কেউ কেউ দুর্নীতিবাজদের ‘সমর্থন’ও করছেন। যা কোনও দেশে শোভা পায় না।

  • 75th Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে এবার লালকেল্লায় কোন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা? জানুন  

    75th Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে এবার লালকেল্লায় কোন বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা? জানুন  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর (75th Independence) পূর্তি  উৎসব। পালিত হবে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে দিল্লির লালকেল্লা (Red Fort)। স্বাধীনতা দিবসেব ঢের আগেই আক্ষরিক অর্থেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে লালকেল্লা। স্বাধীনতা দিবসে এই লালকেল্লা থেকেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এবারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতের সংখ্যা হাজার সাতেক। তাঁদের নিরাপত্তার গড়ে তোলা হয়েছে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। বসানো হয়েছে হাজার হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী,  অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত বিশেষ বাহিনীও। অনুষ্ঠান স্থলের প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে বসানো হয়েছে ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম। স্বাধীনতা দিবসে অন্তত ১০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ কর্মী ঘিরে থাকবে লালকেল্লা চত্বর। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না হওয়া পর্যন্ত লালকেল্লার আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকাকে ঘোষণা করা হয়েছে নো কাইট ফ্লাইং জোন। ৪০০ কাইট ক্যাচার ও ফ্লায়ারও মোতায়েন করা হয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার তরফে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও ইনস্টল করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা-৭৫ এর সংকল্প হোক আত্মনির্ভর ভারত

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে থাকবেন একজন করে আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিক। দিল্লির স্পেশাল পুলিশ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানান, ইতিমধ্যেই দিল্লি জুড়ে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। লাঞ্চ বক্স, জলের বোতল, রিমোট চালিত গাড়ির চাবি নিয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করা যাবে না। তিনি জানান, অনুষ্ঠান শেষ না পর্যন্ত কেউ ঘুড়ি, বেলুন কিংবা চিনে লণ্ঠন ওড়ালে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিক জানান, বিভিন্ন জায়গায় কাইট ক্যাচার বসানো হয়েছে। এই কাইট ক্যাচারগুলি কোনও ঘুড়ি, বেলুন কিংবা চিনা লণ্ঠন অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছানোর আগেই ধরে ফেলবে। জানা গিয়েছে, লালকেল্লার অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সেজন্য বসানো হচ্ছে রাডারও। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পুলিশি পেট্রোলিং বাড়ানো হয়েছে। এলাকার হোটেল, গেস্টহাউস, পার্কিংলট এবং রেস্তঁরাগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করা চলছে। এলাকার ভাড়াটে এবং বাইরে থেকে আসা লোকজন সম্পর্কেও নেওয়া হচ্ছে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর।

    আরও পড়ুন : মমতার স্বাধীনতা প্রোফাইলে নেহরু বাদ, এলেন সর্দার প্যাটেল, অরবিন্দ

     

LinkedIn
Share