Tag: Relation

  • Piyush Goyal: আগামী ৫ বছরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে হবে দ্বিগুণ! কী বলছেন পীযূষ গোয়েল?

    Piyush Goyal: আগামী ৫ বছরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে হবে দ্বিগুণ! কী বলছেন পীযূষ গোয়েল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India US Relation) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে ও আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদি (Piyush Goyal)

    সম্প্রতি দু’দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় ভারত ও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পারস্পরিক সুবিধাজনক, বহু-ক্ষেত্রভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্ব নিয়েও আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, “আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, আমরা বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    তিনি বলেন, “এই চুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।” চুক্তিতে পণ্য, পরিষেবা এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত অধ্যায় থাকবে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ওই দেশের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এখনও এ ব্যাপারে কোনও কিছু নিশ্চিত করেননি। ওঁরা নিশ্চিত করার পর আমরা আলোচনা করব এবং তারপরই আমরা পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে পারব।” তিনি জানান, একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে দুটি বাণিজ্যিক অংশীদার তাদের মধ্যে বাণিজ্য হওয়া সর্বাধিক সংখ্যক পণ্যের ওপর শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে বা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এছাড়াও, তারা পরিষেবার বাণিজ্য প্রচার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দুই দেশ একটি ক্ষুদ্র বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিল। তবে জো বাইডেন প্রশাসন এ ধরনের চুক্তির পক্ষে না থাকায় এটি স্থগিত করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই বছরে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ৮৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর আমদানি ছিল ৪০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই সেবার ভারতের অনুকূলে ৪৩.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন (India US Relation) ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে (Piyush Goyal)।

  • India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    India Canada Relation: কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ, পত্রপাট খারিজ করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে (India Canada Relation)। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে (Election Meddling)। তার পর এমনতর অভিযোগ করায় কানাডাকে মোক্ষম জবাব দিল ভারত।

    কানাডার দাবি (India Canada Relation)

    কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশন একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের নিরিখে চিনের পরেই সব চেয়ে সক্রিয় দেশ হল ভারত। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল নয়াদিল্লি।

    পাল্টা দাবি ভারতের

    ভারতের পাল্টা দাবি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে কানাডা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি রিপোর্টে দেখেছি যেখানে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লাগাতার হস্তক্ষেপ করছে। অবৈধ অভিবাসন এবং সংগঠিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করছে।’ ওই রিপোর্টে ‘ভারতের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করছি। আশা করছি, অবৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দেওয়া বন্ধ হবে।’

    প্রসঙ্গত, কানাডিয়ান কমিশন ১২৩-পৃষ্ঠার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে চিনের পর ভারত কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক জড়িত দেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারত কানাডায় নির্বাচনী বিদেশি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মতো, ভারতও বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। কানাডা এবং ভারত কয়েক দশক ধরে একসঙ্গে কাজ করেছে, তবে এই সম্পর্কের কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো দীর্ঘদিনের এবং এগুলো ভারতের বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে (India Canada Relation)।”

    গত মে মাসে প্রাথমিক রিপোর্টে চিনকে নিশানা করেছিল কানাডা। জানিয়েছিল, কানাডার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করছে চিন। কিন্তু চূড়ান্ত রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, কানাডার নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে দ্বিতীয় সক্রিয় দেশ ভারত। কানাডার বিদেশি হস্তক্ষেপ কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিশনার মারি জোস হগ। তদন্তে তিনি লিখেছেন, ‘চিনের মতো ভারত কূটনৈতিক অফিসার ও প্রক্সি এজেন্টদের (Election Meddling) মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করেছে।’ ওই রিপোর্টে রাশিয়া, পাকিস্তান এবং ইরানকেও কানাডায় বিদেশি হস্তক্ষেপের তালিকায় রাখা হয়েছে (India Canada Relation)

  • India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    India China Relation: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলছে, চালু হচ্ছে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relation) বরফ। সীমান্ত সংঘাত-পর্ব এখন অতীত। উন্নতি হয়েছে ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ায়। তাই পাঁচ বছর পর ফের কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra) নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। হিন্দুদের কাছে কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা অতি পবিত্র একটি তীর্থযাত্রা। এই তীর্থযাত্রা নিয়ে আগে থেকে যে চুক্তি রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, সেই অনুযায়ীই সব কিছু হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কেবল এই তীর্থযাত্রা নয়, ভারত ও চিনের মধ্যে ফের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করা নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

     

    বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক (India China Relation)

     

    সম্প্রতি ভারত ও চিনের মধ্যে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। দুদিনের ওই বৈঠকে যোগ দিতে বেজিং গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। ওই বৈঠকেই দুই দেশ একাধিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে খবর। গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক হয়। তারই রেশ ধরে আলোচনা হয় বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেই বৈঠকেই কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা নতুন করে শুরু করতে সম্মত হয়েছে পড়শি দুই দেশ।

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা

     

    কৈলাশ-মানস সরোবর হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় সম্প্রদায়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান (India China Relation)। হিন্দুদের বিশ্বাস, কৈলাশ পর্বত ভগবান শিবের বাসস্থান। আর মানস সরোবর সৃষ্টি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। বৌদ্ধদের কাছেও মানস সরোবর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থান। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কৈলাশ-মানস সরোবর যাত্রা। সেই যাত্রাই ফের চালু করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

    তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনা অতিমারি পর্বে এবং পরবর্তী কালে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল (Kailash Mansarovar Yatra)। নতুন করে তা চালু করতে ফের উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশই (India China Relation)।

LinkedIn
Share