Tag: Roundup Week

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    Hindus Under Attack: ভারত ও বিদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর নিদারুণ আক্রমণ, এক সপ্তাহের খতিয়ান দেখলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণ (Hindus Under Attack) চলছে। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরগতিতে সংঘটিত একটি গণহত্যার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে (Roundup Week)। হিন্দুবিদ্বেষী সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, জমি দখল, উৎসব-অনুষ্ঠানে হস্তক্ষেপ, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – হিন্দুরা তাঁদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের পাশাপাশি অভূতপূর্ব হিন্দুবিদ্বেষের মুখোমুখি হচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এই সাতদিনে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের ওপর সংঘটিত অপরাধগুলির দিকে আমরা একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

    ভারত (Hindus Under Attack)

    উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বারগুম কাচারি বাড়ি এলাকায় অগ্রদূত ক্লাব আয়োজিত বাসন্তী পুজোর প্যান্ডেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যায় প্রতিমাগুলি। ‘প্রার্থনা সভা’ বা ‘স্বাস্থ্য উদ্ধার সভা’র অছিলায় স্থানীয় হিন্দুদের জবরদস্তিমূলক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এক পাদ্রি-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকান্ডা থানার বাহাতরাই অঞ্চলের ঘটনা। দাগী আসামি ওয়াজিদ শাহেনশা রামনবমী উদযাপনে বিঘ্ন ঘটাতে বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। গালিগালাজও করে। আহমেদাবাদের দানিলিমদার ঘটনা। পুনের কোঠরুডে একটি ইউনিসেক্স সেলুনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওয় সত্য সনাতন ধর্ম নামক সংগঠনের সদস্যদের জাভেদ ও আরমান নামে দুই মুসলমানকে এক হিন্দু মেয়েকে কালমা পড়তে বাধ্য করা হতে দেখা গিয়েছে।

    হিংসাত্মক বিক্ষোভ

    ওয়াকফ আইন ২০২৫ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ইসলামিস্টদের দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মালদার নিমতিতা স্টেশন ছিল এই অশান্তির ভরকেন্দ্র। এখানে ইসলামিস্টরা “আল্লাহু আকবর” ধ্বনি দিয়ে রেল ট্র্যাক দখল করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দয়ে বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের উননাওয়ে ওয়াকফ বিল নিয়ে তর্কে জড়িয়ে এক ক্যাব ড্রাইভার ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারকে আক্রমণ করে। অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্নেলের নাম সূর্য প্রতাপ সিং। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আম আদমি পার্টির বিধায়ক মেহরাজ মালিকের হিন্দুদের লক্ষ্য করে আপত্তিজনক মন্তব্য করার পর হাতাহাতি হয়। বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদে সভা স্থগিত করতে বাধ্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলায় ইসলামিস্টরা একটি শ্মশানের জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযোগ, শ্মশানে প্রিয়জনের দেহ সৎকার করতে যাওয়া হিন্দুদের ওপর হামলা চালায় ইসলামিস্টরা (Hindus Under Attack)।

    নাবালিকাকে ধর্ষণ

    পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মন্তাজ হোসেন নামে এক যুবক হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কলকাতার নিউ টাউন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারাণসীতে এক ছাত্রীকে টানা ছ’দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়। ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ইসলামিস্ট। বিহারের সারণের রেওয়েলগঞ্জ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ গির্জা ভেঙে ফেলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খ্রিস্টান মিশনারিরা লোভ দেখিয়ে তাঁদের জোরপূর্বক খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছিল (Roundup Week)।

    ইউটিউবারকে হুমকি

    হিমাচলের উনা জেলার ইউটিউবার রোহিত কাটওয়ালকে খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলি হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আজমগড়ের আহিরৌলা থানা এলাকার আরুশা গ্রামে একটি বাড়ির ভিতরে বড় ধরনের খ্রিস্টান ধর্মান্তরের পর্দা ফাঁস করেছে। গুজরাটের আহমেদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুসলিম জনতা রাস্তায় নমাজ আদায় করে। তারা ‘মসজিদ কেড়ে নেওয়া হবে’ এই স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটছে। জাফরাবাদ এলাকায় দুজন হিন্দু নিহত হন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুসলিম জনতা সামশেরগঞ্জেই এক হিন্দু দম্পতির দোকানে হামলা চালায় (Hindus Under Attack)।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানের হিন্দু নাবালিকাদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কেবল সিন্ধ প্রদেশেই প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই ধরনের যৌন দাসত্বের শিকার হয়। হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত হামলাও হয়। সিন্ধের উমরকোট জেলার ২০ বছরের যুবক সুরজ কুমার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার পর হঠাৎই মুহাম্মদ আলি নামে একজন নতুন ইসলামিক পরিচয় নিয়ে আবির্ভূত হন। সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, নিখোঁজ থাকাকালে গুলজার খলিলে তিনি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন (Roundup Week)।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিরবচ্ছিন্ন হামলা হয়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক ও পদ্ধতিগত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকবে না। মন্দির অপবিত্রকরণ, জমি দখল, মিথ্যা মামলার পর জনতার দ্বারা হামলা, ধর্ষণ, জবরদস্তি ধর্মান্তরকরণ এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। টাঙ্গাইল জেলায় উন্মত্ত মুসলিম জনতা জনৈক অখিল চন্দ্র মন্ডলের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে তাঁকে পিটিয়ে (Hindus Under Attack) হত্যা করার চেষ্টা করে।

    কানাডা

    কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় নাগরিক ধর্মেশ কাথিরিয়াকে খুন করেন এক শ্বেতাঙ্গ। আক্রমণকারী ধর্মেশের স্ত্রীকেও ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী গিলস মার্টেল আগে ধর্মেশ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে (Roundup Week) জাতিগত বিদ্বেষমূলক ও ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন (Hindus Under Attack)।

LinkedIn
Share