Tag: rover

rover

  • Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৪ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফ থেকে এই দিনটিকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব। চন্দ্রযান বহনকারী হেভিয়েস্ট স্পেস ক্র্যাফ্ট লঞ্চ হবে সেইদিন। এটিই ভারতের প্রথম হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। এটি তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। জানা গিয়েছে, যে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে, ইতিমধ্যে সেটি অ্যাসেম্বল করা হয়ে গিয়েছে।

    ভারতের ইতিহাসে পূর্বের কিছু চন্দ্র অভিযান

    ২০০৮ সালে ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু হয় চন্দ্রযান-১ এর মাধ্যমে। সেই বছর চাঁদের কক্ষপথে এটিকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। এর পর ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের পর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরে গিয়ে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। ফলে এটি অসফল থেকে যায়। আর এই অসফল প্রজেক্টকে সফল করার লক্ষ্যেই এখন পাখির চোখ চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    এবারের চন্দ্রযানে (Chandrayaan-3) কী কী নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে?

    চাঁদের মাটিতে দক্ষিণ প্রান্তে সফলভাবে ল্যান্ড করানোর উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ তে (Chandrayaan-3) থাকবে একটি ল্যান্ডার ও রোভার এবং একটি প্রোপালশান মডিউল। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩-এর সঙ্গে ইতিমধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে। এই চন্দ্রযানটির মোট ওজন চার হাজার কিলোগ্রামের কাছাকাছি। এর মধ্যে বিশেষভাবে প্রোপালশান মডিউলটিকে গবেষণার শীর্ষে রাখা হয়েছিল। কারণ চাঁদের কক্ষপথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ল্যান্ডার ও রোভারটিকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য একমাত্র এই প্রোপালশান মডিউলের। এটির ওজন ২ হাজার ১৪৮ কিলোগ্রাম। রোভারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে নামানোর কাজ করবে ল্যান্ডারটি। একটি ফর্মারের ভিতরে যুক্ত রয়েছে এই রোভারটি, যার ওজন ১ হাজার ৭৫২ কিলোগ্রাম।

    পূর্বের চন্দ্রযান ২ এর রোভারের সাথে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর রোভারের কী পার্থক্য রয়েছে?

    চন্দ্রযান-২ এর রোভারের সাথে বিশেষ কিছু পার্থক্য না থাকলেও এর কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনও রকম যান্ত্রিক গোলযোগ এবং সমস্যার যাতে সম্মুখীন না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগের থেকে রোভারটির কিছু যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রোপালশান মডিউলটির ৭৫৮ ওয়াট, ল্যান্ডার মডিউলটির ৭৩৮ ওয়াট এবং রোভারটির ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এবার (Chandrayaan-3)।

    কী উদ্দেশ্য এই চন্দ্রযান-৩ এর (Chandrayaan-3)?

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফ থেকে জানা গেছে, চাঁদের মাটিতে বিনা সমস্যায় নির্বিঘ্নে এই চন্দ্রযানটিকে অবতরণ করিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। যেটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের অজানা তথ্যকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে এই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    সমগ্র প্রকল্পটিতে কত খরচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত?

    ইসরোর তরফ থেকে ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী এই সমগ্র প্রকল্পটির (Chandrayaan-3) জন্য যে অর্থায়নের অনুরোধ করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা বা ৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব বহন বাবদ ধার্য করা হয়েছিল। ইসরোর সভাপতি কে সিভান জানিয়েছিলেন, এই সমগ্র অভিযানে খরচ হবে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা, যা মার্কিন ৮৬ মিলিয়ন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘‘যেন কোনও শিশু চাঁদমামার পিঠে খেলা করছে’’! চক্রাকারে ঘুরছে প্রজ্ঞান, দেখছে বিক্রম

    Chandrayaan 3: ‘‘যেন কোনও শিশু চাঁদমামার পিঠে খেলা করছে’’! চক্রাকারে ঘুরছে প্রজ্ঞান, দেখছে বিক্রম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বুধবারই চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। তার পেটের ভেতর থেকে গুটিগুটি পায়ে বেরিয়ে এসেছে রোভার প্রজ্ঞান। ইতিমধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের (Chandrayaan 3) একাধিক ছবি ইসরোর সদর দফতরে পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। এর মধ্যে রয়েছে তার নিজের ক্যামেরায় তোলা বন্ধু বিক্রমের ছবি। যা ৩০ অগাস্ট নিজেদের এক হ্যান্ডেল থেকে পোস্টও করেছে ইসরো (Chandrayaan 3)। তবে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞানের চন্দ্র ভ্রমণের (Chandrayaan 3) একটি ভিডিও ইসরো প্রকাশ করেছে। এমন ভিডিও আগে অবশ্য দেখা যায়নি। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চক্রাকারে ঘুরছে প্রজ্ঞান এবং অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে তার অনুসন্ধান ও গবেষণা।

    ইসরোর ট্যুইট

    বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ইসরো একটি ভিডিও টুইট করে। তাতেই চন্দ্রপৃষ্ঠে (Chandrayaan 3) প্রজ্ঞানকে চক্রাকারে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। প্রথমে দেখা যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরে সামনে এগোচ্ছে প্রজ্ঞান। তারপর আবার দাঁড়িয়ে থেকে ঘুরছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিরাপদ পথ খুঁজতেই এভাবে চক্রাকারে ঘোরে প্রজ্ঞান।  ইসরো (Chandrayaan 3) তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখছে, ‘‘মনে হচ্ছে কোনও শিশু যেন চাঁদমামার পিঠে খেলা করছে আর দূরে দাঁড়িয়ে তার মা সেই খেলা দেখছে।’’

    চাঁদে (Chandrayaan 3) গবেষণা চলছে প্রজ্ঞানের  

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই চাঁদের মাটিতে অষ্টম দিন পূর্ণ করল ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো আর ৬ দিন থাকবে। তারপরে প্রজ্ঞানের কী হবে তা ভবিষ্যতই বলবে। এই সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করে ঘুরছে প্রজ্ঞান। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর প্রথম কোনও দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Chandrayaan 3) অবতরণ করেছে ভারত। এতদিন পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুতে কোনও দেশই অবতরণ করতে পারেনি। তাই মাত্র ১৪ দিনে যতটা সময় পাওয়া যাচ্ছে প্রজ্ঞান তত বেশি অনুসন্ধান এবং গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যে শিবশক্তি পয়েন্ট থেকে ১৫ ফুট দূরে এগিয়ে গিয়েছে প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। আর তার গতিবিধি সম্পর্কে প্রতিমুহূর্তে ইসরোর সদর দফতরকে জানান দিচ্ছে বিক্রম। ইসরো সূত্রে আরও খবর, দক্ষিণ মেরুর পথে চলতে চলতে আচমকাযই কখনও কখনও চন্দ্রপৃষ্ঠে (Chandrayaan 3) বিপদের মুখে পড়ছে প্রজ্ঞান। বিক্রম সঙ্গে সঙ্গে তাকে সতর্ক করছে এবং নিজেই প্রজ্ঞান ঘুরে সঠিক রাস্তা বেছে নিচ্ছে। আর এই গোটাটাই ক্যামেরাবন্দি হচ্ছে চাঁদে। ইতিমধ্যে গবেষণায় মিলেছে অনেক কিছু তথ্য। আপাতত অক্সিজেন আবিষ্কার করে হাইড্রোজেনের রয়েছে কিনা তারই খোঁজ চালাচ্ছে রোভার। দক্ষিণ মেরুতে মিলেছে সালফারের উপস্থিতিও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিলল সালফার! রয়েছে অক্সিজেনও, জলের খোঁজে প্রজ্ঞান

    Chandrayaan-3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিলল সালফার! রয়েছে অক্সিজেনও, জলের খোঁজে প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফার, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ধাতু ও মৌল খুঁজে পেল চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan-3) রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। সেইসঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও একাধিক যৌগের হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ট্যুইটার হ্যান্ডলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)।

    কী কী খনিজের খোঁজ মিলল

    ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের (Chandrayaan-3) দক্ষিণ মেরুর কাছে রয়েছে সালফার। নিশ্চিত করেছে রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। তারা আরও জানিয়েছে, সালফারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্বও মিলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে। হাইড্রোজনের যদি সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে জলের উপস্থিতির বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ৩-র রোভার প্রজ্ঞানে ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ (সংক্ষেপে LIBS) আছে। যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী যৌগ আছে, সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ‘লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’।

    আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    চাঁদ নিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ

    গত ২৪ অগাস্ট ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। তার পর থেকে ছ’চাকা বিশিষ্ট এই যান চাঁদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতি প্রজ্ঞানের। তাতেই বাজিমাত করে চলেছে সে। প্রজ্ঞানে রয়েছে ‘লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ প্রযুক্তি। এটি হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। যা লেজার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে ইলেক্ট্রো-অপটিকস সিস্টেমের গবেষণাগারে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে ছ’দিন কাটিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের (Chandrayaan-3) দক্ষিণ মেরুর কাছে যে অংশে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে, আগে অন্য কোনও দেশ সেখানে মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। ফলে ওই এলাকাটি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা। প্রজ্ঞান যে তথ্য পাঠাচ্ছে, তা চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বলে জানিয়েছে ইসরো (ISRO)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share