Tag: Row

  • H 1B Visa Fee Row: ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক-গবেষকদের দেশে ফেরাতে নয়া প্রকল্প কেন্দ্রের

    H 1B Visa Fee Row: ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক-গবেষকদের দেশে ফেরাতে নয়া প্রকল্প কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী (H 1B Visa Fee Row) কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষিতে নয়া প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত সরকার। এর লক্ষ্য হল বিদেশে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত তারকা অধ্যাপক ও গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনা (Modi Govt)। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধু শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীদের ভারতে ফেরানোই নয়, বরং তাদের দেশের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে বসানো হবে। এতে এক দিকে যেমন দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা যাবে, তেমনি ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রকেও আরও শক্তিশালী করা যাবে।

    এইচ-১বি ভিসা (H 1B Visa Fee Row)

    সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চশিক্ষা নীতি এবং এইচ-১বি ভিসার উচ্চ ফি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শাটডাউনের ফলে ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারী। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন শিক্ষা বিভাগ, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে কর্মীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানান, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হল ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতকে শক্তিশালী করা। এজন্য নির্বাচিত গবেষকদের ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান- যেমন আইআইটি, বিভিন্ন গবেষণাগার, এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোয় পদ দেওয়া হবে।

    অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্র

    সূত্রের খবর, এই প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, টেকনোলজি এবং গণিত ক্ষেত্রের ১২ থেকে ১৪টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রে চালু করা হবে। গবেষকদের সেট-আপ অনুদান দেওয়া হতে পারে, যা তাঁদের ভারতে নিজস্ব ল্যাব ও গবেষণা টিম তৈরিতে সাহায্য করবে। জানা গিয়েছে, আইআইটিগুলিও এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন পরিচালক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

    কী বলছেন শিক্ষাবিদরা

    ট্রাম্প প্রশাসনের বড় ধরনের (H 1B Visa Fee Row) পরিবর্তনগুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর কঠোর শর্ত আরোপ করেছে।  এর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এমআইটি স্লোন স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক বৈষ্ণবের মতে, “আর্থিকভাবে আমরা হয়তো কখনও বৈশ্বিক বেতনের সমান হতে পারব না। কিন্তু এখানে একটি আবেগগত টান রয়েছে। এই বার্তা প্রতিভা আকর্ষণ করবে। সঠিক মানুষ নির্বাচন করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। তদারকি করা হবে, তবে সেখানে গুরুত্ব থাকবে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর, লেনদেনভিত্তিক বিনিময়ের ওপর নয় (Modi Govt)।”

    ভারতীয় অধ্যাপকের বার্ষিক আয়

    উদাহরণস্বরূপ, একজন ভারতীয় অধ্যাপকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩৮,০০০ মার্কিন ডলার, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তা ১,৩০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে এবং চিনে প্রায় ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার। জানা গিয়েছে, সরকার এমন একটি প্রকল্প তৈরি করছে যা প্রক্রিয়াগত দেরি, অর্থায়নের অনিশ্চয়তা এবং সীমিত প্রাতিষ্ঠানিক সহায়-সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে। একই সঙ্গে বৌদ্ধিক সম্পদ অধিকার, গবেষণার স্বাধীনতা এবং স্থায়ী পদ বা চাকরির কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে, যাতে এই প্রকল্পটি আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠে।

    বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সহযোগিতা

    বর্তমানে ইউরোপ, চিন এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলি বিপুল পরিমাণে অর্থায়নযুক্ত উদ্যোগ এবং নয়া গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশি গবেষকদের নিয়োগ করছে। ভারত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে নিতে যেতে চায় এবং দেশ থেকে বৈজ্ঞানিক প্রতিভার ভিন দেশে চলে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে চায় (H 1B Visa Fee Row)। যদিও ভারত ইতিমধ্যেই ভিজিটিং অ্যাডভান্সড জয়েন্ট রিসার্চ ফ্যাকাল্টি প্রোগ্রামের মতো কিছু উদ্যোগ চালু করেছে, যা বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি সহযোগিতার সুযোগ দেয়। কিন্তু এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। ২০১৭–১৮ সালে সূচনার পর থেকে এই প্রোগ্রাম ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে প্রায় ১০০টি সহযোগিতামূলক গবেষণা প্রকল্প শেষ করেছে (Modi Govt)।

    ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার নাগরিকত্ব এবং অভিবাসন সংস্থা ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস সম্প্রতি একটি এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পরে আমেরিকার বাইরে রয়েছেন এমন কারও জন্য এইচ-১বি ভিসা চাইলে ওই ১ লাখ ডলার দিতে হবে। ওই নির্ধারিত সময়ের পরে যে এইচ-১বি ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে কোনও বিদেশি কনস্যুলার বিজ্ঞপ্তি, প্রবেশের পর বিজ্ঞপ্তি এবং প্রাক-উড়ান তথ্য যাচাইয়ের অনুরোধ করা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও নয়া কড়াকড়ি কার্যকর হবে (H 1B Visa Fee Row)। নয়া নিয়ম অনুসারে, বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলিকে ১ লাখ ডলার দিতে হচ্ছে ট্রাম্প সরকারকে। এইচ-১বি ভিসা নিয়ে প্রতি বছর ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান (Modi Govt)। এই মুহূর্তে ভারতীয়রাই এই ভিসার সব চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। শুধু গত বছরেই ভারত থেকে ভিসার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে ৭১ শতাংশ (H 1B Visa Fee Row)।

  • Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফ সিরাপ (Cough Syrup Row) খেয়ে ১০ শিশুর মৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) গ্রেফতার ডাক্তার। যে সব শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ওই চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ খেয়েছিল। বিষাক্ত ওই ওষুধের নাম তিনিই লিখেছিলেন প্রেসক্রিপশনে।

    গ্রেফতার চিকিৎসক (Cough Syrup Row)

    মধ্যপ্রদেশের ওই চিকিৎসক প্রবীণ সোনির বিরুদ্ধে আগেই দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এফআইআরে নাম রয়েছে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষেরও। এই সংস্থাই বিতর্কিত কোল্ডরিফ নামক কাশির সিরাপের প্রস্তুতকারক। একের পর এক শিশুমৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার পরাসিয়া কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অঙ্কিত সহলাম চিকিৎসক সোনি এবং কফ সিরাপ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

    কোল্ডরিফ সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিক

    এদিকে, বিতর্কিত কোল্ডরিফ সিরাপটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল গবেষণাগারে। শুক্রবার মিলেছে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট। দেখা গিয়েছে, ওই সিরাপে রয়েছে ৪৮.৬ শতাংশ ডাই-ইথাইল গ্লাইকল। এটি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি বিকল করে দিতে পারে। ঘটতে পারে মৃত্যুও। মধ্যপ্রদেশের ১০ শিশুর ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবারই মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোল্ডরিফ। তবে এই বিতর্ক কেবল একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তার আগে পদক্ষেপ করেছে রাজস্থান সরকারও। কেসন ফার্মা নামের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সরবরাহ করা কাশির সিরাপ-সহ ১৯টি ওষুধ বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে, সে রাজ্যের সরকার। রাজস্থানে নিম্নমানের সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই সিরাপ। অনেকেই এখনও অসুস্থ। ড্রাগ কন্ট্রোলার রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান সরকার। কোল্ডরিফ নিষিদ্ধ করেছে কেরল সরকারও। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, যে ব্যাচের সিরাপ খেয়ে অন্য দুই রাজ্যে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা কেরলে এখনও বিক্রি করা হয়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিরাপ (Cough Syrup Row) নিষিদ্ধ করা হল।

    অন্যদিকে, এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব ভিডিও কনফারেন্স করেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য সচিব এবং ড্রাগ কন্ট্রোলারের সঙ্গে। এই বৈঠকে তিনি কফ সিরাপের যথাযথ ব্যবহারের (Madhya Pradesh) ওপর জোর দেন। কফ সিরাপের মান যাতে ঠিক থাকে, নিশ্চিত করতে (Cough Syrup Row) বলেন তা-ও।

  • Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” সোমবার নিউ ইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর কথাগুলি বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। অস্থির অংশীদারিত্বকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ওই বৈঠকে বসেছিলেন রুবিও এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Rubio Jaishankar Meet)। এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa Row) জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের ফি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও রুবিও-র এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Rubio Jaishankar Meet)

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। কারণ এই গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া হারে মার্কিন শুল্ক আরোপিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে দুই নেতাই আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বার্তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিল।

    ভারত মার্কিন সম্পর্ক

    এদিন বৈঠক শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রুবিও বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” তিনি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে নয়াদিল্লির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, “কোয়াডের মাধ্যমেও একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” ফের একবার ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার কথার উল্লেখ করে বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় (Rubio Jaishankar Meet) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি আনতে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ বজায় রাখব।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা ঘোষণা

    শুক্রবার ভিসা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তামাম বিশ্বে, বিশেষত ভারতে। কারণ এইচ-১বি ভিসার সব চেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ ভারত। গত বছর যেখানে মোট অনুমোদনের ৭১ শতাংশ ভারত পেয়েছিল, সেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও নীচে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া  এই ফি ভারতীয় আইটি পরিষেবা (H 1B Visa Row) দানকারীদের ব্যয় অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ তারা এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (Rubio Jaishankar Meet)।

    শুল্ক বিবাদ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে। শুধু তাই নয়, সেই তেল বিক্রিও করছে ভারত। স্রেফ এই কারণ দর্শিয়েই চুপ করে যাননি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারিও দেন  যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে মাশুল গুণতে হবে নয়াদিল্লিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক আরোপের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার ওপর প্রভাব পড়ে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে উভয় পক্ষই ফের আলোচনায় বসেছিল। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একে ইতিবাচক আলোচনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি একটি চুক্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে (H 1B Visa Row)।

    কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত

    নানান বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। জুলাই মাসে রুবিও এবং জয়শঙ্কর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াডের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, যা শুল্কবিরোধ বাড়ার পর প্রথম, তার উদ্দেশ্যই ছিল এই বার্তা দেওয়া যে দুই দেশের সহযোগিতা এখনও অটুট রয়েছে (Rubio Jaishankar Meet)।

    প্রসঙ্গত, শুল্কবিতর্কে থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই। দিন কয়েক আগেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি এসেছিল আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। সোমবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমেরিকার গিয়েছেন (H 1B Visa Row)। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই পথ আরও মসৃণ করতেই ফের ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা (Rubio Jaishankar Meet)।

LinkedIn
Share