Tag: RSS Chief

RSS Chief

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’, অযোধ্যায় পৌঁছে জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই অযোধ্যা পৌঁছন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। রামনগরীতে (Ram Mandir) পা রেখেই মোহন ভাগবত জানান, অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ভারতবর্ষের ‘পুনর্নির্মাণ’ অভিযানের সূচনা হতে চলেছে। এর পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘দ্বন্দ্ব এবং তিক্ততা’-র অবসান হওয়া উচিত।

    গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ

    প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায়ের ভিত্তিতে নির্মাণ হয়েছে রাম মন্দির। আজ সোমবার সেই মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে সমাজমাধ্যমের পাতায় মোহন ভাগবত লেখেন, ‘‘গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ। যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত। সমাজের আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এ বার দেখা উচিত, যাতে ওই বিতর্ক নির্মূল হয়।’’

    রাম মন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’

    প্রসঙ্গত, ৫০০ বছরের লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির (Ram Mandir)। মন্দিরের নির্মাণকে ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’ বলে উল্লেখ করেন মোহন ভাগবত। তিনি লিখেছেন, ‘‘রাম জন্মভূমিতে রামলালার প্রবেশ এবং তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা আদতে ভারতবর্ষের পুনর্নির্মাণ অভিযানের সূচনা, বৈরিতা ছাড়া সকলকে গ্রহণ, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তির পথ দেখানোর সূচনা।’’ মোহন ভাগবতের কথায় উঠে এসেছে বিদেশি আক্রমণকারীদের প্রসঙ্গও। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশি আক্রমণকারীরা ভারতে মন্দির ধ্বংস করেছে। এক বার নয়, বার বার। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সমাজকে মনোবলহীন করে তোলা, যাতে ওরা দীর্ঘ সময় বাধাহীন ভাবে ভারতে রাজত্ব করতে পারে।’’

    ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি

    প্রসঙ্গত, ১৫২৮ সালে রাম মন্দির (Ram Mandir) ধ্বংস করে সেই স্থানে বাবরি মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। একথাও উল্লেখ পেয়েছে মোহন ভাগবতের লেখায়। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণকারীদের কৌশল খাটেনি বলেই মনে করেন মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, ‘‘ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি। প্রতিহত করার লড়াই এখানে ক্রমাগত চলেছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এই কারণেই বার বার জন্মভূমি (রাম)-র দখল নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে। তার জন্য অনেক যুদ্ধ, লড়াই, আত্মত্যাগও হয়েছে। রাম জন্মভূমি ইস্যু ভারতবাসীর মর্মে প্রবেশ করেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    Mohan Bhagwat: “জাতিপ্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি”, দাবি আরএসএস প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাস্ত্রে উঁচুনিচু জাত বলে কিছু হয় না। ঈশ্বরের সামনে সব মানুষই সমান। এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “জাতিভেদ প্রথা আসলে পুরোহিতদের তৈরি।”

    কী বললেন মোহন ভগবত? 

    এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শাস্ত্র নিয়ে যারা ব্যবসা করেন, তাদের একহাত নেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের কাছে সকলেই সমান। সেখানে জাতি কিংবা শ্রেণির ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ নেই। শাস্ত্রের নামে অনেক পণ্ডিত যা বলেন, তা আসলে মিথ্যা। জাতির মধ্যে উঁচু নিচু ভেদাভেদ করার কথা শাস্ত্রে বলা হয়নি, তা আসলে পুরোহিত শ্রেণির তৈরি করা।”

    আরও পড়ুন: নারীর যৌনসুখ কমাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদন! ঘৃণ্য প্রথার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার দিন

    সন্ত শিরোমণি রোহিদাস-এর ৬৪৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মুম্বইয়ের রবীন্দ্র নাট্য মন্দিরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat)। সেখানেই তাঁর গলায় শোনা যায় এই উদারনীতির কথা। এর আগে সাধারণত আরএসএসের নেতাদের মুখে কট্টরনীতির কথাই শোনা গিয়েছে বার বার। কিন্তু এবারের আরএসএস প্রধানেফ মুখে শোনা গেল অন্যরকম সুর। জাতপাতের ভেদাভেদকে সরিয়ে রেখে মানবতার কথা বললেন সংঘ প্রধান। তুলসীদাস, কবীর, সুরদাসের মতো ধর্মপ্রচারকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই মনিষীদের মতোই সাধারণ মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিলেন সন্ত শিরোমণি রোহিদাস। শুনিয়েছিলেন সত্য, সংবেদন, পবিত্রতা এবং নিরন্তর কঠোর পরিশ্রমের মন্ত্র। শাস্ত্রের বিচারে ব্রাহ্মণদের হারানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না, কিন্তু সাধারণ মানুষকে ঈশ্বরের অভিমুখী করে তুলতে পেরেছিলেন তিনি।”

    এরপরেই পুরোহিতদের (Mohan Bhagwat) একাংশকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আমরা যে যাই কাজ করি না কেন, সবকিছুই সমাজের উপকার করে। আর সেই বিচারে কোনও কাজের ছোট বড় হয় না। তাহলে মানুষের মধ্যেই বা বৈষম্য থাকবে কেন?

    যদিও শাস্ত্রব্যবসায়ীদের বিঁধলেও হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তাঁর মত, “কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের ধর্ম ত্যাগ করা উচিত নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     
  • Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। থাকবেন আগামী সোমবার পর্যন্ত। ছ’দিনের সফরের বেশিটা জুড়েই থাকবে সাংগঠনিক বৈঠক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করবেন ভাগবত। সবটাই একান্তে। রুদ্ধদ্বার। শেষ দিন শহিদ মিনারে প্রকাশ্য কর্মসূচি। এমনই হয়ে থাকে আরএসএস তথা ভাগবতের যে কোনও রাজ্য সফরের কর্মসূচিতে। অতীতে বাংলা তথা কলকাতাতেও হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সঙ্ঘের তরফে ভাগবতের সফরসূচি ঘোষণা করা হয়।

    নেতাজি জয়ন্তী পালন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মূল বক্তা ছিলেন সঙ্ঘের সাংগঠনিক পূর্ব ক্ষেত্রের (পূর্ব ভারত) সঙ্ঘচালক (সভাপতি) অজয়কুমার নন্দী। ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়, কলকাতার প্রচার প্রমুখ শুভ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।  রাজ্যের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব বলেন, ‘‘সঙ্ঘ তো বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই প্রায় শতবর্ষ বয়স হতে চলা সঙ্ঘ এখনও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং জীবন্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শ অটুট রেখে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহিরাঙ্গে বদল আনতে হয়।’’ আগামী বৃহস্পতিবার শহরের কোনও হোটেলে বিশিষ্টদের নিয়ে একান্তে কথা বলবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।  তবে সেখানে কে কে আসবেন তা এখনও প্রকাশ করেনি সঙ্ঘ। তবে অনুমান করা হচ্ছে কলকাতার বাসিন্দা তিন বিখ্যাত ধ্রুপদী শিল্পী অজয় চক্রবর্তী, রাশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার আমন্ত্রণ পেতে পারেন। কারণ, গত কয়েক বছরে ‘সম্পর্ক তৈরি করতে’ এঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    এ বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে কলকাতায় থাকছেন ভাগবত। সেই কারণে ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে সঙ্ঘ ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠান করবে। থাকবেন ভাগবত। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অজয়কুমার বলেন, ‘‘নেতাজি জয়ন্তী পালন সঙ্ঘের কাছে নতুন কিছু নয়। স্বয়ংসেবকদের দৈনিক প্রাতঃস্মরণ মন্ত্রেই নেতাজি রয়েছেন। সঙ্ঘস্থান মানে শাখায় জন্মদিন অনুষ্ঠানও হয়।’’ ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবতের থাকা প্রসঙ্গে অজয়কুমার জানান, ‘‘এটা ঘটনাচক্র। এক বছর আগে থেকেই সরসঙ্ঘচালক কবে, কোন রাজ্যে যাবেন সেটা ঠিক হয়ে থাকে। এটাই আমাদের ধারা। এমন একটা দিনে তাঁকে কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে দেখেই ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mohan Bhagwat: প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত, দাবি ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত, দাবি ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতিটি গ্রামে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের একটি করে শাখা থাকা উচিত। প্রত্যন্ত গ্রামও যেন সংগঠনের আওতায় থাকে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে একথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান (RSS) মোহন ভাগবত। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে, বলেও জানান তিনি।

    কী বললেন সঙ্ঘ প্রধান

    অসম ইউনিটের কর্মী শিবিরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে রবিবার সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বলেন,  “সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে, জাতি-ধর্মের পার্থক্য না করে সকল মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটিই হিন্দুত্বের মূল মন্ত্র। সমগ্র সমাজের জন্য কাজ করতে গেলে সঙ্ঘ সেবকদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই দেশের প্রতিটি গ্রামে সংগঠনের একটি শাখা থাকা উচিত, বলে জানান মোহন ভাগবত।”

    আরও পড়ুন: বর্ণ ও জাতিভেদ প্রথা লুপ্ত হোক, চান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    আরএসএস-এর অসম ইউনিটের তিনদিনের রুদ্ধদ্বার শিবিরের শেষে ভাগবত বলেন, “ভারতের গর্ব এবং ঐতিহ্যের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে সঙ্ঘ সেবকদের কাজ করতে হবে। দেশের আদর্শ হল বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। তাই এই ঐক্যের কথা মাথায় রেখে দেশের সকল নাগরিকদের জন্য জাতির কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের জাতির জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ১৯২৫ সালে মানব সম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের মতামতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু মনের নয়।” প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালেই আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মোহন ভাগবত আগেও বলেছিলেন, ভারতীয়রা এক। এখানে যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা সবাই হিন্দু বলে জানান তিনি। যাঁরা ভারতকে তাদের ‘মাতৃভূমি’ বলে মনে করে এবং বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের সংস্কৃতি নিয়ে বাঁচতে চায় এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং আদর্শ যাই হোক না কেন, এই পথে এগোনোর চেষ্টা করেন, তারা সকলেই হিন্দু, বলে ঘোষণা করেছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    মোহন ভাগবতের কথায়, আরএসএস তার শতবর্ষ উদযাপন করতে চলেছে। প্রতি বছর তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে এই সংগঠন। নতুন নতুন সেবকরা দেশ গঠনের কাজে ব্রতী হয়। একটা দুর্বল সমাজ কখনও রাজনৈতিক স্বাধীনতার ফল ভোগ করতে পারে না। তাই সমাজকে শক্ত করতে হবে, বলে জানান ভাগবত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার এত হিড়িক কীসের? সমালোচনা মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী (gyanvapi) কাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মসজিদে মসজিদে হিন্দু দেবদেবীর খোঁজ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর প্রশ্ন, প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ করার এত হিড়িক কীসের? আরএসএস কর্মীদের এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত বলেন, বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। হিন্দু ও মুসলমানদের উচিত ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং ঘটনাগুলিকে হিংসা ছাড়াই মেনে নেওয়া।

    আরও পড়ুন :জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্কের (Ram Mandir-Babri Masjid dispute) অবসান হয়েছে। এখন আদালতে চলছে জ্ঞানবাপী-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিতর্ক (Gyanvapi-Kashi Viswanath temple dispute)। তার পর একের পর এক মসজিদ (masjid) নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। সংঘ প্রধান যে এই বিতর্ক ভালোভাবে নিচ্ছেন না, তাঁর এদিনের বক্তব্যই তাঁর প্রমাণ।  

    জ্ঞানবাপী বিতর্ক থেকে আরএসএস-কে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন ভাগবত। জানান, অযোধ্যা ছাড়া আর কোনও আন্দোলনে জড়িত নন তাঁরা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্য মত পোষণ করেন, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।

    জ্ঞানভাপি মসজিদ-কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বিরোধের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন ভাগবত। পরামর্শ দেন, হিন্দু ও মুসলিম পক্ষগুলিকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে যাতে বিষয়টির সৌহার্দ্যপূর্ণ মীমাংসা করা যায়। আদালত রায় দেওয়ার পরে এই ইস্যুতে কোনও আন্দোলন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 

    ধর্মীয় স্থানগুলি নিয়ে নিত্যবিরোধ উত্থাপনের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন ভাগবত। কুতুব মিনার (Kutub Minar) থেকে আজমেড় দরগাহ (Ajmer Dargah), তাজমহল (Taj Mahal) সহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে হিন্দু মূর্তিগুলির প্রমাণ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে ভাগবতের প্রশ্ন, কেন প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের সন্ধান করা হবে?

    আরএসএস প্রধান বলেন, কিছু জায়গার প্রতি আমাদের বিশেষ ভক্তি ছিল। আমরা সেগুলি সম্পর্কে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন একটি নতুন বিষয় নিয়ে সামনে আসা উচিত নয়। কেন আমরা বিরোধ বাড়াব? ভাগবত বলেন, জ্ঞানবাপীর প্রতি আমাদের ভক্তি আছে। তা নিয়ে কিছু করাও ঠিক আছে। কিন্তু প্রতিটি মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ কেন? তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আদালতের রায়কে আমাদের সম্মান জানানো। 

    আরও পড়ুন : ধ্বংস হয়ে যাওয়া ধর্মীয় স্থানগুলিতে মিলতে পারে শিবলিঙ্গ, দাবি গোয়ার মন্ত্রীর

    প্রত্যেক ভারতবাসীর উৎস যে একই তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিলেন। হিন্দুরা একটি অখণ্ড ভারতের দ্বিখণ্ডন মেনে নিয়েছে। একটি মুসলিম দেশ পাকিস্তানের পথ প্রশস্ত করেছে। সংঘ প্রধান বলেন, বিপুল সংখ্যক মুসলিম আছেন যাঁরা ভারতে থেকে গিয়েছেন এবং পাকিস্তানে যেতে পছন্দ করেননি, তাঁরা সকলেই ভারতীয়।

    ভাগবত বলেন, আমাদের কোনও প্রকার উপাসনার বিরুদ্ধে কোনও বিরোধিতা নেই। আমরা সকল প্রকার উপাসনাকে গ্রহণ করি এবং পবিত্র বলে মনে করি। তারা হয়তো উপাসনার একটি ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। ভাগবতের মতে, তাঁরা আমাদের মুনি, ঋষি, ক্ষত্রিয়দের বংশধর। আমরা একই পূর্ব পুরুষের বংশধর।

LinkedIn
Share