Tag: Russia

Russia

  • Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    Donald Trump: ‘জি৭’-কে টেক্কা দিতে ‘সি৫’! ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে থাকছে কোন কোন দেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নয়া প্ল্যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)! কোর ফাইভ বা সি৫ নামে বৈশ্বিক শক্তিগুলির একটি নয়া এলিট গোষ্ঠী গঠনের কথা ভাবছেন ট্রাম্প (Core 5 Superbloc Idea)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই কোর ফাইভে জায়গা হয়েছে ভারতেরও। প্রস্তাবিত এই ব্লকে থাকবে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং জাপান। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, এটি মূলত ইউরোপ-প্রাধান্যযুক্ত জি৭ এবং গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডভিত্তিক অন্য জোটগুলিকে পাশ কাটাবে।

    কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ (Donald Trump)

    যদিও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি, তবে খবরটি চাউর হয়ে গিয়েছে। যে পাঁচটি দেশ নিয়ে কোর ফাইভ গড়ার ‘স্বপ্ন’ দেখছেন ট্রাম্প, সেই দেশগুলির তরফেও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা মেলেনি। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই সূত্রেই ছড়িয়েছে এই খবর। শোনা যাচ্ছে, ভারত, রাশিয়া, চিন এবং জাপানকে নিয়ে কোর ফাইভ গড়তে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবিত কোর ফাইভে জায়গা হয়নি পাকিস্তানের। তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের সব চেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক গোষ্ঠী জি৭ এর গুরুত্ব লঘু করতেই এই কোর ফাইভ গঠনের ভাবনা মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Core 5 Superbloc Idea)।

    দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন

    ওয়াশিংটন যখন ইতিমধ্যেই আলোচনা করছে যে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন কতটা বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে পারে, ঠিক সেই সময়ই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ধারণাটি জানিয়ে দেয়, জি৭ ও জি২০–এর মতো যে প্ল্যাটফর্মগুলি রয়েছে, সেগুলি বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের জন্য যথেষ্ট নয়। এটি মনে হয় বৃহৎ জনসংখ্যা ও সামরিক-অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যে চুক্তি-ভিত্তিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয় (Donald Trump)। মার্কিন মিত্ররা একে এমন একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে যা শক্তিমান নেতাদের মান্যতা দেয়।  কারণ এতে রাশিয়াকে ইউরোপেরও ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পশ্চিমী ঐক্য ও ন্যাটোর সংহতি দুর্বল হতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ট্রাম্প মনে করেন, পাঁচ শক্তিধর এই দেশকে যদি এক ছাতার তলায় নিয়ে চলে আসা যায়, তাহলে সেখান থেকে বিশ্বের অনেকটা সুবিধা হবে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে জি৭ শীর্ষ সম্মলনে যোগ দিয়ে এমনই একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া, চিন এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। তবে এই সুপার ক্লাবে ভারতকে রাখতে চান তিনি।

    সাবধানে পদক্ষেপ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প খুবই সাবধানে এই পদক্ষেপটি করতে চাইছেন। তিনি মনে করেন, যদি এই দেশগুলি (Core 5 Superbloc Idea) এক ছাতার তলায় চলে আসে, তাহলে সেখানে তিনি তাঁদের নেতা হয়ে সকলকে পরিচালনা করতে পারবেন। তবে বিশ্বের আরও চারটি শক্তিধর দেশ ট্রাম্পের প্রস্তাব যে সহজে মেনে নেবে না, তাও ভালো করেই জানেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি ভারতের ওপর চড়া শুল্ক হার চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। তার জেরে ভারতের সঙ্গে যাতে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ না হয়, তা মাথায় রেখেই ‘ট্রাম্প কার্ড’টি খেলতে চলেছেন ট্রাম্প। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। তাই তাকে না চটিয়েই কাজ হাসিল করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই কারণেই ট্রাম্পের ‘প্রস্তাবিত’ সুপার ক্লাবে ভারতের জায়গা হলেও, ঠাঁই হয়নি পাকিস্তানের।

    ভারত-মার্কিন সম্পর্ক

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর বেজায় রুষ্ট ট্রাম্প। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। কার্যত, এর পরেই তলানিতে ঠেকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। অথচ আমেরিকাবাসীর একটা বিরাট অংশই চাইছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর যে চড়া হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে, অবিলম্বে তা কমানো হোক (Donald Trump)। এ ব্যাপারে তাঁরা ট্রাম্পের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাই নিজের দেশেই বেশ বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই গাড্ডা থেকে উঠে আসতে মরিয়া ট্রাম্প। সেই কারণেই ভারতের মন রাখতে নয়াদিল্লিকে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুপার ক্লাবে।

    হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি (Core 5 Superbloc Idea) হানা কেলি জানান, এই পরিকল্পনার কোনও ব্যক্তিগত কিংবা লুকোনো কোনও ভার্সন নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোর ফাইভ তৈরির বিষয়টি হতে পারে একেবারেই ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভাবনা (Donald Trump)।

  • Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের সুস্বাদু ব্ল্যাক টি (Assam Tea), কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রূপোর ঘোড়ার মূর্তি, নকশাদার টি-সেট এবং ভগবদ্‌ গীতার রুশ ভাষার সংস্করণ – এইসব উপহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুতিনকে উপহার (Assam Tea)

    শ্রীমদ্‌ ভগবদ্‌ গীতা হল এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য, চিরন্তন আত্মা এবং আত্মিক মুক্তি সম্পর্কে উপদেশ দেন। এর চিরন্তন জ্ঞান নৈতিক জীবনযাপন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরের শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন অনুবাদের মাধ্যমে এটি আজ বিশ্বের আধুনিক পাঠকদের কাছেও সহজলভ্য হয়েছে (PM Modi)। উর্বর ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে উৎপাদিত অসম ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি স্বাদ, উজ্জ্বল রঙ এবং ‘অসমিকা’ জাতের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত, এটি ভূমি, জলবায়ু ও কারুশিল্পের দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

    সমৃদ্ধ শিল্পকলা

    জটিল নকশা ও খোদাই করে নির্মিত মুর্শিদাবাদের সুসজ্জিত রুপোর চা-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ শিল্পকলা এবং ভারত ও রাশিয়ার চা সংস্কৃতির গভীর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আধিকারিকরা জানান, ভালোবাসা ও স্নেহের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া এই সেট ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ও চায়ের চিরন্তন অনুষঙ্গকে উদযাপন করে। সূক্ষ্ম শিল্পকৌশলে সজ্জিত মহারাষ্ট্রের হাতে তৈরি রৌপ্য ঘোড়াটি ভারতের ধাতু কারুশিল্পের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে। হাতে তৈরি ঘোড়ার ঠাঁট-ঠমকপূর্ণ, সামনের দিকে এগিয়ে চলার ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং নিরন্তর অগ্রগতির রূপক। আগ্রায় হাতে তৈরি মার্বেল পাথরের দাবা সেট সূক্ষ্ম কারুশিল্প ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের সমন্বয়, যা ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট’ (ODOP) উদ্যোগের অধীনে এ অঞ্চলের পাথরের শিল্পঐতিহ্যকে তুলে ধরে (Assam Tea)।

    কাশ্মীরি জাফরান, স্থানীয়ভাবে ‘কোং’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত, কাশ্মীরের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। রঙ, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এটি বিখ্যাত (PM Modi)। গভীর সাংস্কৃতিক ও রন্ধনপ্রণালীগত গুরুত্বও বহন করে কাশ্মীরি জাফরান।

  • Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Putin Visit in India: করমর্দন, আলিঙ্গন, বন্ধুত্বের বার্তা! প্রোটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদির আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেননি। তাই ৪ বছরের ব্যবধানে ফের ভারত সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ ও আগামিকাল (৪-৫ ডিসেম্বর) ভারতে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের মাটিতে পা রাখলেন পুতিন ৷ ‘বন্ধু’কে স্বাগত জানাতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি হাজির হন দিল্লির পালাম সেনাঘাঁটিতে ৷ দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন তিনি ৷ ইতিমধ্য়ে রুশ প্রতিনিধি দল ভারতে এসে পৌঁছেছে ৷ ২৩ তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতেই দিল্লি এলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ৷

    মোদি-পুতিন সাক্ষাৎ

    রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ‘অতিথি দেব ভবঃ’ ভারতভূমের অতিপ্রাচীন সংস্কৃতি। অতিথিকে ভারতে দেবতার আসনে রাখা হয়। ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথা রয়েছে। পুতিনকেও আপ্যায়নের ত্রুটি রাখছে না ভারত। পুতিনকে নিজে এয়ারপোর্টে রিসিভ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতে এসেছিলেন পুতিন। ঠিক সন্ধে সাড়ে ৬টায় ভারতের মাটিতে ল্যান্ড করে পুতিনের বিশেষ বিমান। পুতিন বিমান থেকে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানালেন মোদি। করমর্দন করলেন দুই নেতা। এরপর একই গাড়িতে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান দুই রাষ্টপ্রধান। সাধারণ প্রোটোকল অনুযায়ী কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা ভারত সফরে এলে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির থাকেন বিদেশমন্ত্রী বা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে দিল্লি বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন মোদী। ২০১৮-য় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও মোদী নিজেই বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন। এবার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতেও বিমানবন্দরে গেলেন মোদি।

    মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা

    সম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গ্রাফ তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের নয়াদিল্লি সফর বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এই সফরেই আরও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়া থেকে কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে চলেছে। এরই সঙ্গে আরও আধুনিক এস-৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও আসবে ভবিষ্যতে। সেই চুক্তি নিয়ে আজ নৈশভোজের পর নরেন্দ্র মোদি ও পুতিনের ব্যক্তিগত আলোচনা হবে। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিষয়ও উঠে আসবে। ভারত বরাবরই যুদ্ধের বিরোধিতা করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। এবারও নয়াদিল্লি সেদিকেই জোর দেবে বলেই ধারণা।

    পুতিনের সফরসূচি

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত সফরসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ সাড়ে ১১ টার সময় তাঁর রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে ৷ এরপর নয়াদিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউজে ২৩তম ভারত-রাশিয়া সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে ৷ দুপুর ১.৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করবেন ৷ বিকেল ৩.৪০ মিনিটে একটি বাণিজ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পুতিন ৷ সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে যোগ দেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ৷ রাত ৯টা নাগাদ ফের রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি ৷

    নিরাপত্তায় মোড়া দিল্লি

    প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই সফর ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়া দিল্লিকে। ইতিমধ্যে পুতিনের সুরক্ষায় রাশিয়ার থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৫০ জনের একটি দল। মোতায়েন থাকছেন ভারতের এনএসজি কম্যান্ডোরাও। মস্কো থেকে উড়ে এসেছে পুতিনের প্রেসিডেন্সিয়াল বাহন অরাস সেনাট। ৬০০ হর্স পাওয়ারের এই গাড়ি আসলে চার চাকার উপর চলমান একটা দুর্গ। মাত্র ২ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা গতি তুলতে পারে এই গাড়ি। শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য এই গাড়িতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাইরে রয়েছে ব্যালিস্টিক আর্মার। রয়েছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। বোমা ও গ্রেনেড হামলায় এই গাড়ির কোনও ক্ষতি হয় না। ৪টে চাকা ফুটো হয়ে গেলেও দৌড়াতে থাকে এই গাড়ি।

    ভারত-রাশিয়া সামরিক চুক্তি

    পুতিনের সফরে ভারত যে চুক্তিতে দ্রুত স্বাক্ষর করার জন্য উন্মুখ, সেটি হল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাইটার জেট সুখোই-৫৭ ক্রয়। ভারতের জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসছেন পুতিন। কারণ, নিছক একটি দেশ অন্য দেশকে সামরিক উপকরণ বিক্রয় করে মুনাফা করবে—বিষয়টি এমন নয়। রাশিয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সুখোই বিক্রির পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনের চুক্তিতেও সবুজ সংকেত দেবে। এজন্য বাছাই করা হবে ভারতের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে। হিন্দুস্তান এরোনটিক্স, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং ভারত ডায়নামিক্স। অর্থাৎ ওই দু‌ই সামরিক উপকরণের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা দ্রুত ডেলিভারির জন্য মস্কোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে না। এই দুই চুক্তির অন্যতম শর্ত হল একটি বড় অংশের সংযুক্তিকরণ হবে ভারতেই। যা ভারত সরকারের যে কোনও সামরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সমঝোতায় অন্যতম লক্ষ্য।

  • India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    India Russia Relation: ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন পুতিন, পঞ্চস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার দু’দিনের ঐতিহাসিক ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (India Russia Relation)। রুশ প্রেসিডেন্টের আসার প্রতীক্ষার (Vladimir Putin) প্রহর গুণছেন ভারতবাসী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টারে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির রাস্তা-অলি-গলি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে দিয়ে রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ আর মজবুত হবে।

    ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন (India Russia Relation)

    পুতিন এদিনই ভারতে তাঁর দুদিনের সফর শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নয়াদিল্লি আগমনের অল্প সময় পরেই ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলন এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়াদিল্লির ওপর শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা, এবং বাণিজ্য ও জ্বালানি অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হবে। ইউক্রেন আক্রমণের পর এটি হবে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তার পরেই শুরু হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। উচ্চ পর্যায়ের এই সফরকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের সফর যাতে নিরাপদ ও বিঘ্নহীন হয় সেজন্য কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ও লজিস্টিক ব্যবস্থা। শীর্ষ সম্মেলনের আগে পাঁচ-স্তরীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    এই ব্যবস্থায় রয়েছে অভিজাত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) কমান্ডো, সম্ভাব্য যাতায়াতপথে নিযুক্ত স্নাইপার, ড্রোন নজরদারি, অননুমোদিত সংকেত বন্ধে জ্যামার এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এআই-নিয়ন্ত্রিত মনিটরিং সিস্টেম (Vladimir Putin)। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির মুখ চিনতে পারা ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে (India Russia Relation)।নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার ৪০ জনেরও বেশি সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, যাতে রাষ্ট্রপতির কনভয়ের প্রতিটি মুহূর্ত রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য যে কোনও হুমকি নিষ্ক্রিয় করা যায়। বহুস্তরীয় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি কৌশলগতভাবে ভাগ করা হয়েছে এভাবে, বাইরের স্তরগুলি এনএসজি দলের এবং দিল্লি পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে, আর ভেতরের স্তরগুলি পরিচালনা করবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস।

    রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির

    রুশ প্রেসিডেন্ট যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনও বৈঠক করবেন, এসপিজির কমান্ডোরা মূল নিরাপত্তা বলয়ে যুক্ত হবেন। পুতিন যে হোটেলে থাকবেন এবং যেসব জায়গায় যেতে পারেন, সম্ভাব্য সেই সব জায়গাগুলিও সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা ও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। নিরাপত্তায় কোনও ধরনের ত্রুটি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রাণপাত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় গাড়ির আগমন, শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ আর্মার্ড অরাস সেনাট লিমুজিন, যেটি বিশেষভাবে এই সফরের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে (India Russia Relation)।

    রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজ

    এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন পুতিন। শুক্রবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। পরে তিনি যাবেন রাজঘাটে, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে। এদিনই হায়দরাবাদ হাউসে হবে মোদি-পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। পরে ভারত মণ্ডপমে একটি অনুষ্ঠান এবং পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আতিথ্যে ডিনারে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin)। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে তাঁর অরাস সেনাট লিমুজিন গাড়িটিও। মস্কো থেকে বিশেষ বিমানে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে এই লাক্সারি এই গাড়িটিকে। ২০১৮ সালে বাজারে আসার পর থেকেই এই গাড়িটি হয়েছে পুতিনের সরকারি গাড়ি। গাড়ি নয়, বরং সাঁজোয়া বলা যেতে পারে। অনেকেই বলেন এটি হল ভ্রাম্যমাণ একটি দুর্গ। মাস কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চিনে গিয়েছিলেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে, তখন পুতিনের সঙ্গে এই গাড়িতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে (India Russia Relation)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চক্ষুশূল হয়েছে ভারত। শুল্ক চাপ বজায় রাখার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তিও করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এই আবহেই ভারতে আসছেন পুতিন। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পোক্ত সম্পর্ক। মিস্টার পুতিনের এই (Vladimir Putin) সফর তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের অটোনমি কোনও একটা দেশের কাছে বন্ধক রাখতে পারি না। বরং সব দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বাধীন সম্পর্ক থাকা উচিত। আশা করি, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও জোরালো হবে (India Russia Relation)।”

  • Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    Putin visit India: দিল্লি-মস্কো সামরিক চুক্তিতে সবুজসঙ্কেত রাশিয়ার, ৩০ ঘণ্টার ভারত সফরে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin visit India)। বৃহস্পতিবার দু’দিনের সফরে দিল্লি আসবেন পুতিন। র আগে মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়ে রাখল রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা। দু’দেশের মধ্যে লজিস্টিক সাহায্যের আদানপ্রদানের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তির নাম ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস। দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার দিক থেকে এই চুক্তিটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন এমন এক সময়ে দিল্লিতে আসছেন, যখন আমেরিকার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ফলে এই সফরে দিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরও বৃদ্ধি করতে চাইছেন পুতিন। এ ক্ষেত্রে রুশ তেলের পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত বিষয়ও।

    পুতিনের সফরসূচি

    প্রেসিডেন্ট পুতিন ৪ ডিসেম্বর সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে পৌঁছবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সন্ধে ৭টায় ৭ লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর সম্মানে ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করবেন। পরের দিন, ৫ ডিসেম্বর, সকাল ৯ টায়, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে পুতিনকে (Putin visit India) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। তিন বাহিনীর একটি গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। তারপর, সকাল ১০ টার মধ্যে, পুতিন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাজঘাটে পৌঁছবেন। সকাল ১১ টায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিন হায়দ্রাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, মহাকাশ এবং কৌশলগত সহযোগিতা সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচনার পর উভয় নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও জারি করবেন। বিকেল ৪টায়, দুই নেতা ভারত-রাশিয়া ব্যবসায়িক ফোরামেও ভাষণ দেবেন। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পর্যায়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৫ ডিসেম্বর সন্ধে ৭টায় রাষ্ট্রপতি পুতিনের সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করবেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রায় ৩০ ঘণ্টার ভারত সফর শেষে সন্ধেয় ভারত থেকে রাশিয়া ফিরবেন।

    আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বাণিজ্য চুক্তি, একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। তার আগে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’, সংক্ষেপে আরইএলওএস চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহেই এই চুক্তিটিতে অনুমোদনের জন্য রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাঠান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন। মঙ্গলবার তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নিম্নকক্ষ। স্টেট ডুমার স্পিরাক ভ্যাচেস্লভ ভলোদিন বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এবং সার্বিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্কের কদর করি। এই চুক্তির অনুমোদন পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

    আরইএলওএস চুক্তি কী

    আরইএলওএস চুক্তিতে রুশ সামরিক সরঞ্জাম, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান রাশিয়া থেকে ভারতে সরবরাহের পদ্ধতিগত বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। একই রকম ভাবে ভারতের থেকেও সামরিক সহযোগিতার পদ্ধতিগত দিকও উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। এটি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি। দু’দেশের বাহিনীর যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সামরিক আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে চুক্তিতে। পুতিনের ভারত সফরকালে দু’দেশের মধ্যে অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে। অসামরিক পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সাহায্যের পথ আরও দৃঢ় করতে একটি সমঝোতা স্মারক (মউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে। পুতিনের সফরের আগে এমন একটি সমঝোতা স্মারকে অনুমোদন দিয়েছে রুশ মন্ত্রিসভা। রাশিয়ার তরফে এই সমঝোতায় সই করবে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটম। তারা আগে থেকেই তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু পরমাণু রিঅ্যাক্টর তৈরি করছে।

    দিল্লি-মস্কো সম্পর্ক অটুট

    ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর। এই সফরের দিকে নজর রাখছে ওয়াশিংটনও। রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতীয় পণ্যে দুই দফায় ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে মস্কো। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, ‘ভারতের উপরে যে চাপ রয়েছে আমরা জানি।’ ট্রাম্পের হুমকি এবং পশ্চিমের বেশ কিছু দেশের আপত্তির পরেও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। রুশ তেল আমদানি সামান্য কিছুটা কমলেও, তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। এখনও ভারতে জ্বালানি তেলের সিংহ ভাগই আসে রাশিয়া থেকেই। ট্রাম্পের হুমকির যাতে কোনও প্রভাব দিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপরে না পড়ে, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের ভারত সফরে তা নিশ্চিত করতে চাইবেন পুতিন।

  • IAF Tejas Crash: হৃদয়-বিদারক পোস্ট মার্কিন পাইলটের, দুবাইয়ে ভেঙে পড়া তেজসের উইং কমান্ডারকে শ্রদ্ধা রাশিয়ার

    IAF Tejas Crash: হৃদয়-বিদারক পোস্ট মার্কিন পাইলটের, দুবাইয়ে ভেঙে পড়া তেজসের উইং কমান্ডারকে শ্রদ্ধা রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবাইয়ের এয়ার শো-তে ভেঙে পড়েছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান তেজস (IAF Tejas Crash)। মৃত্যু হয়েছে পাইলট উইং কমান্ডার নমাংশ স্যালের। কিন্তু তার পরেও সে দিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়নি। এয়ার শো যেমন চলার তেমনই চলেছে। দর্শকদের উৎসাহেও ভাটা পড়েনি। দেখে অবাক মার্কিন বায়ুসেনাদল। প্রতিবাদে তারা সে দিনের চূড়ান্ত পারফরম্যান্স বাতিল করে দেয়। ভারতীয় পাইলটের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন মার্কিন বায়ুসেনার পাইলট মেজর টেলর হিয়েস্টার।

    বন্ধুর জন্য শ্রদ্ধা মার্কিন পাইলটের

    মেজর হিয়েস্টার জানিয়েছেন, এয়ার শো-র উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্তে তিনি হতবাক। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ঘটনার এক থেকে দু’ঘণ্টা পরে আমি অনুষ্ঠানস্থলে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, হয়তো জায়গাটা খালি থাকবে। কিন্তু তা ছিল না!’’ এর পরে তিনি লেখেন, ‘‘দুবাই এয়ার শো-র শেষ দিনে যুদ্ধবিমান প্রদর্শনীর সময় দুর্ঘটনায় ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার নমাংশ স্যালের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের দল সেই সময় নিজস্ব প্রদর্শনীর জন্য তৈরি হচ্ছিল। উদ্যোক্তারা নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতীয় পাইলট, তাঁর সহকর্মী এবং পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের দল শেষ পারফরম্যান্স বাতিল করে দেয়।’’ মার্কিন পাইলটের অভিযোগ, এয়ার শো-র সঞ্চালক এমন একটা ঘটনার পরেও উৎসাহী ছিলেন। দর্শকদের মধ্যেও উত্তেজনায় খামতি ছিল না কোথাও। এমনকি, সমান উৎসাহে আয়োজক ও প্রদর্শনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সবসময় বলা হয়, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’। তা কখনও থেমে থাকবে না। তা ঠিকও। কিন্তু একটা কথা মনে রাখা দরকার, আপনি চলে যাওয়ার পরেও কেউ না কেউ একই কথা বলবেন।’’

    বিশেষ শ্রদ্ধা রাশিয়ারও

    ভারতীয় বায়ুসেনার বীর পাইলটের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করল রাশিয়ান নাইটস অ্যারোবেটিক টিম। দুবাইয়ে মর্মান্তিক ঘটনা প্রসঙ্গে রাশিয়ান নাইটসের একজন সদস্য বলেন, দুর্ঘটনার পরের মুহূর্তগুলি ‘বর্ণনা করা অসম্ভব।’ উইং কমান্ডার নমাংশ স্যালকে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন আকাশে যুদ্ধবিমান নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী করে রুশ নাইটস অ্যারোবেটিক টিম। ভারতীয় বায়ুসেনাও এক্স হ্যান্ডলে নমাংশকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, নমাংশ ছিলেন একজন দক্ষ এবং সম্পূর্ণ পেশাদার পাইলট। তিনি তাঁর কাজ খুব নিষ্ঠা সহকারে পালন করে এসেছেন। সাহসের সঙ্গে তিনি দেশের সেবা করেছেন। ভালো ব্যবহার এবং ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি সবার কাছ থেকে বিপুল সম্মান অর্জন করেছেন।

    তেজস দুর্ঘটনার সঠিক কারণের খোঁজে

    গত ১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দুবাইয়ে আয়োজিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক এয়ার শো। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০টির বেশি বায়ুসেনার বিমান অংশগ্রহণ করে। এই তালিকায় ছিল হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের তৈরি তেজস যুদ্ধবিমানও। উইং কমান্ডারের শেষ বিদায়ের সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কর্তা, তাঁর বন্ধু-সহকর্মীরা ও ভারতীয় দূতাবাসের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রবিবার দুবাই থেকে উড়িয়ে প্রথমে তাঁর দেহাবশেষ আনা হয় তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে সেখানে তাঁর উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন দক্ষিণ এয়ার কমান্ডের আধিকারিকেরা। তার পর দেহাবশেষ হিমাচল প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

  • Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    Pakistan Espionage in Russia: এস-৪০০-এর প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! রাশিয়ায় ধরা পড়ল আইএসআই গুপ্তচর চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি গুপ্তচর চক্র ভেঙে দিল রাশিয়া। এই নেটওয়ার্কটি রাশিয়া থেকে উন্নতমানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও সামরিক হেলিকপ্টার প্রযুক্তি পাচারের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পাকিস্তানের এই ষড়যন্ত্র আঁচ করেই প্রত্যাঘাত করে। রাশিয়ায় আইএসআই-এর এ ধরনের অভিযান এটাই প্রথম। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ফের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই ইসলামাবাদের এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরি করতে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা কাজে লাগান বলে প্রাথমিক তদন্তে খবর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে সক্ষম হয় ক্রেমলিন।

    সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ নাগরিক গ্রেফতার

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক গুপ্তচরবাহিনী ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মস্কোর পুলিশ। অভিযুক্ত রুশ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পূর্ব ইউরোপের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের শহর হল সেন্ট পিটার্সবার্গ। সেখানে বসে ক্রেমলিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ইসলামাবাদে পাচারের চেষ্টার চক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। একটি কাউন্টার-এস্পিওনাজ (গুপ্তচরবিরোধী) অভিযানে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর থেকে ওই রুশ নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বেশ কিছু সংবেদনশীল নথি মেলে। অনুমান, তিনি ওই নথি পাচারের চেষ্টা করছিলেন। নথিগুলিতে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও ছিল বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন আইএসআই-এর ওই চক্রের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও তথ্য পাচারের রুট খতিয়ে দেখছে।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে সম্পর্ক

    এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কটি ‘অপারেশন সিঁদুরের’ কয়েক মাস পরেই তৈরি হয়। সূত্রের দাবি, ওই অভিযানে ব্যবহৃত উন্নত রুশ প্রযুক্তি, বিশেষ করে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। ভারত নাকি রাশিয়া থেকে আরও পাঁচটি এস-৪০০ সিস্টেম কেনার পরিকল্পনা করছে। তার আগে ওই সিস্টেমের খুঁটিনাটি জানতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। তাই এই চক্রান্ত বলে অনুমান। এর প্রভাব রুশ-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন

    এ ঘটনার মধ্যেই রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে রুশ দূতাবাস পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ‘ফ্রন্টিয়ার পোস্ট’-এর একটি নিবন্ধের তীব্র সমালোচনা করে, যেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে মস্কো। চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে রুশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। তিনি মস্কো পৌঁছোনোর কয়েক দিন আগে আইএসআইয়ের চর গ্রেফতার হওয়ায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি আরও বাড়ল। রাশিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তানের কিছু প্রতিনিধি গোপন সামরিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা নকশা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। এই প্রযুক্তি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেয়—এ কারণে রাশিয়া এই ধরনের তথ্য কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করে। প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির বিষয়টি প্রেসিডেন্ট পুতিনের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    পাকিস্তানের পদক্ষেপ, ক্ষুব্ধ রাশিয়া

    পাকিস্তান এখনও এই অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইসলামাবাদের তরফে সাধারণত এমন অভিযোগ অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যায়, এবং অনেক সময় “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত” বলে দাবি করা হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি প্রকাশ্যে না বলেও অভ্যন্তরীণভাবে এমন অভিযোগ তোলে, তাহলে তা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে। বিশ্ব রাজনীতিতে এখন রাশিয়া চায় নিজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সামরিক অবস্থানকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া যেভাবে নিজেদের প্রতিরক্ষা উন্নয়নে ব্যস্ত, সেই সময় পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত “স্পর্শকাতর” বলে মনে করছে রুশ প্রশাসন।

    কেন রুশ প্রযুক্তি জানতে আগ্রহী ইসলামাবাদ

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তের থেকে সামরিক হেলিকপ্টার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এগুলি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে পাঠানোর কথা ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ‘এমআই-৮’ শ্রেণির দু’টি সামরিক পরিবহণ হেলিকপ্টার এবং ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। মস্কোর ওই সামরিক কপ্টার ব্যবহার করে না এ দেশের ফৌজ। তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে ‘এস-৪০০’। গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা চার দিনের সংঘাতে ‘পুরু বর্মে’ ভারতের আকাশকে ঢেকে দিয়েছিল ‘এস-৪০০’। শুধু তা-ই নয়, ইসলামাবাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক লড়াকু জেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে এই হাতিয়ার। এ দেশের গোয়েন্দাদের অনুমান, তার পরই সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রযুক্তি বুঝে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আইএসআই। সেন্ট পিটার্সবার্গে ধৃত ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাঁদের কতটা সাহায্য করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

     

     

     

     

  • Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    Delhi Blast: বিশ্বকে চমকাতে ভারতের বুকে বিস্ফোরণ! নেপথ্যে কি সেই আমেরিকার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই ভারত (Delhi Blast) সফরে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Delhi Red Fort Explosion)। নতুন বছরের প্রথম দিকেই নয়াদিল্লি আসার কথা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুরও। ভারতের এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রনেতার সফরের ঠিক আগে আগেই খোদ দিল্লির বুকে জঙ্গিদের এই বিস্ফোরণ ঠিক কীসের ইঙ্গিত, উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির হাতে একে একে ধরা পড়ছে মডিউলের মাস্টারমাইন্ডরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় জঙ্গিরা।

    উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Delhi Red Fort Explosion)

    সোমবার সকালেই দিল্লির উপকণ্ঠে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল হরিয়ানার ফরিদাবাদে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এর ঠিক পরেই সোমবারই সন্ধ্যায় জঙ্গিদের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দিল্লি। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র স্পষ্ট। সূত্রের দাবি, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ায় ভবিষ্যতের সিরিয়াল বিস্ফোরণ করার ছক ফাঁস হয়ে যায়। সেই কারণেই জঙ্গিরা তড়িঘড়ি করে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি হরিয়ানার। সেটি তৈরি হয়েছিল ২০১৩ সালে। কেনা হয়েছিল জনৈক মহম্মদ সলমনের নামে।

    সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না!

    ফি বারই জঙ্গি হামলার পরে বামেরা একটি তত্ত্ব বাজারে ছড়িয়ে দেন, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না এবং দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের টাকার জন্য সন্ত্রাসের কাজে লাগানো হয়, এই জাতীয় নানা তত্ত্ব। কিন্তু গত কয়েকদিনে তদন্তকারীরা ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, দুই কাশ্মীরি চিকিৎসক ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ আদিল রাথেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ফরিদাবাদের বাসিন্দা শাকিলের সহযোগী মহিলা চিকিৎসক-শিক্ষক তথা জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’-এর ভারতীয় শাখার প্রধান শাহিন শাহিদকে। উঠে আসে আরও এক চিকিৎসক মহম্মদ উমরের নাম। সে ছিল পলাতক। সে-ই হল এই আত্মঘাতী জঙ্গি উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই উমর ভয় পেয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় লালকেল্লার কাছে (Delhi Red Fort Explosion)। এ থেকে স্পষ্ট যে, এরা তিনজনেই উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় চিকিৎসক। এই বিস্ফোরণের পেছনেই বা কারা? এই জঙ্গিরা তো হাতের পুতুল। জেনে নেওয়া যাক, তাদের Delhi Blast) টিকিটা কোথায় বাঁধা।

    পুতিন-নেতানিয়াহু

    বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারতে সফরে আসার কথা পুতিনের। আসার কথা নেতানিয়াহুরও। ইজরায়েলকে দুর্বল করতে ‘ইসলামিক ন্যাটো’ গঠনের ডাক দিয়েছে পাকিস্তান। সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করে ইসলামাবাদ ওই কৌশল বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর থেকে রাওয়ালপিন্ডির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিফ মুনির বারবার ভারতকে পরমাণু আক্রমণের হুমকি দিয়ে আসছেন। এই জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইজরায়েল ও ভারত নিজেদের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে তৎপর বলে মনে করা হচ্ছে। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর, চলতি বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইজরায়েল থেকে নয়াদিল্লিতে আসার কথা ইহুদি নেতানিয়াহুর। এই সফরে সন্ত্রাস দমনে ভারতের সঙ্গে তাঁর একাধিক অত্যাধুনিক সামরিক সমঝোতার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ

    এদিকে, ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনও ভারত সফরের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ক্রেমলিন সূত্রে খবর, এই সফরটি (Delhi Blast) সম্ভবত এই ডিসেম্বরেই হতে চলেছে। এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ করে তুলতে যথেষ্ট উদ্যোগী পুতিনও। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তখনই পুতিনের ভারত সফর নিয়ে আলোচনা হয়। ডিসেম্বরের ৫ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে তিনি নয়াদিল্লি আসবেন বলে অনুমান। ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাংহাই সামিটেও মুখোমুখি হয়েছিলেন পুতিন। সেখানে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয় (Delhi Red Fort Explosion)। উল্লেখ্য যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    পড়শি দেশে পুতুল সরকার

    পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ, ভারতের এই দুই পড়শি দেশেই পুতুল সরকার বসিয়েছে আমেরিকা। বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস কিংবা পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সুতো রয়েছে আমেরিকার হাতে। ভারতেও পুতুল সরকার বানাতে চায় আমেরিকা। এশিয়া মহাদেশ কিংবা তামাম বিশ্বে ভারত বিশ্বশক্তি হয়ে উঠুক, এটা কখনওই চায়নি আমেরিকা। সেই কারণেই গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে কোমর কষে নেমে পড়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যদিও, তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভারতের শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই কোনওভাবেই আমেরিকা কব্জা করতে পারছে না এশিয়ার এই শক্তিধর দেশটিকে। তার ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলতি বছর (Delhi Blast) অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ হীরে, সোনা ও তেল আমদানি করেছে ভারত। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসেই রাশিয়ার হীরে রফতানি বেড়ে হয়েছে ৩১.৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। নানা সময় ভারত প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ট্রাম্প প্রশাসনকে এই বার্তা দিয়েছে যে, আমেরিকার কথায় ভারতের বৈদেশিক নীতি ঠিক হবে না (Delhi Red Fort Explosion)। নয়াদিল্লি তার বিদেশ নীতি ঠিক করবে ভারতবাসীর ভালো-মন্দের কথা ভেবেই। এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্ন, রাশিয়া এবং ইজরায়েলের রাষ্ট্রনেতাদের সফরের আগে আমেরিকার মদতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের দিয়ে এই সিরিয়াল বিস্ফোরণের ছক কষা হয়নি তো?

    সন্ত্রাসের ইন্সট্রুমেন্ট

    নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সব সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাকিস্তান হচ্ছে সন্ত্রাসের একটা ইন্সট্রুমেন্ট। আর তাকে পরিচালনা করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। ভারতের (Delhi Blast) অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণে যে গাড়িটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটির মালিক দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক ওমর মহম্মদ। অর্থাৎ গাড়িটি হাতবদল হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দুই চিকিৎসক-জঙ্গিকে। তাতেই ঘাবড়ে গিয়েই উমর তড়িঘড়ি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Delhi Red Fort Explosion)।

    আমেরিকা এবং আমেরিকা

    সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী, এটি ছিল সিরিয়াল বিস্ফোরণ হওয়ার কথা। কিন্তু ষড়যন্ত্রের অন্যতম দুই চাঁই ধরা পড়ে যেতেই তাড়াতাড়ি ঘটিয়ে দেওয়া হয় বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে যে পাকভূম ব্যবহার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পাকিস্তান সন্ত্রাসের একটা টুল মাত্র। এই টুল ব্যবহার করে কে? উত্তরটিও সকলেরই জানা! আমেরিকা। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেছে আমেরিকা। ইসলামাবাদের সেনাপ্রধান আসিফ মুনির আমেরিকায় গিয়ে ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। পাকিস্তানের এই সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভোজ সেরেছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট! আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। এঁদের একটা বড় অংশেরই দাবি, এর আগে কোনও দেশের সেনা প্রধানের সম্মানে ভোজের আয়োজন করেননি আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্ট, যা করে দেখিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ট্রাম্পই আবার ভারতের (Delhi Blast) প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করছিলেন। বন্ধুর বুকে ছুরি মারতেই কি আস্তিনে লুকানো বাঘনখ বের করছে আমেরিকা? চিনের পাশাপাশি ভারতও যাতে এশিয়ার অন্যতম শক্তিধর দেশ হয়ে আমেরিকার মাথাব্যথার কারণ হতে না পারে, তাই কি নয়াদিল্লিকে এভাবে অস্থির করে তুলতে চাইছে সিআইএ? কোটি টাকার এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাফেরা করছে ভারতের রাজনীতির আকাশে (Delhi Red Fort Explosion)।

  • India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    India: ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত’, দাবি রুশ রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও ভারত (India) এখনও রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের হিসেবে ভারত প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ১৭ লাখ ব্যারেল রুশ তেল কিনছে। এ মাসেও গড়ে এই পরিমাণ তেল কেনা চলছে।”

    রাশিয়ান ফিডস্টক (India)

    আলিপভ বলেন, “অক্টোবরের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যায়, ভারত এখনও বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান ফিডস্টক কিনছে। সাম্প্রতিক সময়ের মতোই প্রায় প্রতিদিন ১৭.৫ লাখ ব্যারেল।” তিনি বলেন, “এই সংখ্যাটি আগেও ওঠানামা করেছে, এখনও করছে। কখনও কিছু মাসে বেশি, কখনও কম। তবে গড় প্রায় একই রয়েছে।” ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার পর পরই এমন মন্তব্য করেন আলিপভ (India)।

    নতুন করে নিষেধাজ্ঞা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রসনেফত এবং লুকোইলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এরাই একসঙ্গে রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেলের প্রায় ৫৭ শতাংশ উৎপাদন করে। নয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ২১ নভেম্বর থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ান ক্রুড এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের জ্বালানি নীতি জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ফের বলেন, “ভারতের তেল ক্রয়–নীতি বৈশ্বিক বাজারের পরিস্থিতি এবং দামের ওঠানামার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই শক্তি–সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় দায়বদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই দিব্যি রাশিয়া (Russian Oil Imports) থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জেরে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতকে। তা সত্ত্বেও দেশবাসীর স্বার্থে রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে নয়াদিল্লি (India)।

LinkedIn
Share