Tag: Russia

Russia

  • Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেদেশে তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া (Russian Labour Ministry) নাকি ভারত থেকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এমনই এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য মস্কো টাইমস-এ। প্রতিবেদনে অনুসারে, উরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান আন্দ্রে বেসেদিন সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন (Indian worker)। তিনি জানান, রাশিয়ায় ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর কোরিয়া থেকেও কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

    অস্বীকার করল রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক

    তবে রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক (Russian Labour Ministry) এই দাবি অস্বীকার করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।  প্রসঙ্গত, জানা গেছে গত এক বছরে ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অনেক ভারতীয় শ্রমিক বর্তমানে কালিনিনগ্রাদ ও মস্কোর বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত আছেন।

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭১,৮১৭টি জায়গা

    চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলক নিয়োগ কর্মসূচিও শুরু করে। এর আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি খুব একটা সফল হয়নি। রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকটের মধ্যে, ২০২৪ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মোট ২,৩৪,৯০০টি পদ নির্ধারণ করেছে রুশ সরকার। এই কোটা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের রাশিয়ার নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা ও কৃষি খাতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মোট কোটার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৭১,৮১৭টি পদ।

    রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (Russian Labour Ministry) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বহু পুরুষ নাগরিক সামরিক দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায়, অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহণ, কৃষি এবং বিভিন্ন পরিষেবা খাতে অভাব দেখা দিয়েছে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের।

  • INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    INS Tamal: কাঁপছে চিন-পাকিস্তান! নতুন যুগে পা, ভারতীয় নৌসেনার হাতে ‘দেবরাজ ইন্দ্রের’ তমাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাপে অনেকখানি শক্তি বাড়ল ভারতের নৌসেনার। মঙ্গলবার, ১ জুলাই নৌসেনায় যোগ হল স্টেলথ প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তমাল (INS Tamal)। রাশিয়ার সংস্থা কালিনিনগ্রাদে ইয়ান্তার শিপইয়ার্ডে ইন্দো-রাশিয়ান যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে যুদ্ধজাহাজটি। সমুদ্রে চিনের কড়া অবস্থানের মোকাবিলায় তমাল ভারতের নৌসেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। আইএনএস তমাল হল তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট। এটাই বিদেশ থেকে কেনা শেষ রণতরী হতে পারে। কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত সাম্প্রতিককালে দেশেই রণতরী এবং সাবমেরিন তৈরির ওপর মন দিয়েছে।

    ইন্দ্রের তলোয়ারই হল তমাল

    স্বর্গের দেবতা ইন্দ্রের তলোয়ারের নাম তমাল। ভারতীয় সেনার নতুন এই রণতরীর নাম ইন্দ্রদেবের সেই অস্ত্রের নামেই। আইএনএস তমাল রণতরীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪১০ ফুট। বিশালাকার রণতরীর ওজন ৩ হাজার ৯০০ টন। সমুদ্রে রণতরীর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ নট বা ৫৬ কিলোমিটার। এটি গ্যাস টার্বাইন দ্বারা চালিত। আইএনএস তমাল নির্মাণে ২৬ শতাংশ দেশীয় উপকরণ ব্যবহার হয়েছে।

    জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”

    ভারতীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই যুদ্ধ জাহাজ নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিম নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল সঞ্জয় জসজিৎ সিং, যিনি নিজে উপস্থিত থেকে কমিশনের নেতৃত্ব দেন। উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল রাজারাম স্বামীনাথন ও রাশিয়ান নৌবাহিনীর সিনিয়র অফিসার ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই লিপিন। আইএনএস তামাল ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জলে নামানো হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম ট্রায়াল হয়। এর পর ধারাবাহিকভাবে ফ্যাক্টরি ট্রায়াল, স্টেট কমিটি ট্রায়াল এবং ডেলিভারি অ্যাকসেপ্ট্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের জুন মাসে সম্পূর্ণ যুদ্ধ প্রস্তুত অবস্থায় কমিশন হয়। জাহাজটি সমুদ্র, আকাশ, জলের নিচে এবং ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম — এই চারটি ক্ষেত্রেই সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতে পারবে। জাহাজটি পরিচালিত হবে প্রায় ২৬ জন অফিসার ও ২৫০ জন নাবিকের দল দিয়ে। এই ,জাহাজের মূলমন্ত্র: “সর্বত্র সর্বদা বিজয়”।

    নৌযুদ্ধের মহড়ায়  উত্তীর্ণ তমাল

    নৌসেনা সূত্রের খবর, শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদারি এড়াতে বিশেষ ধাতুতে তৈরি আইএনএস তমাল। এই ইঞ্জিনও পৃথক প্রযুক্তির। ৩৯০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজে হেলিকপ্টার ওঠানামা এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ খোঁজার জন্য অত্যাধুনিক ‘সোনার’ এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টর্পিডো। ইতিমধ্যেই সফল ভাবে নৌযুদ্ধের মহড়ায় (সি ট্রায়াল) উত্তীর্ণ হয়েছে তমাল। বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্টেল্‌থ রণতরীটি আমেরিকার, ইউএসএস জুমওয়াল্ট ডেস্ট্রয়ার। তার পরেই নাম আসে রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি তলোয়ার গোত্রের ফ্রিগেটের নাম। যার নবতম সংস্করণ আইএনএস তমাল।

    তমাল-এ থাকবে ২৪টি মিসাইল

    আইএনএস তমাল-এর মধ্যে রয়েছে ২৪টি মিসাইল। প্রতিটির রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সমুদ্রে রণতরীর ট্রায়াল করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয় রণতরীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। করা হয়েছে মিসাইল টেস্টও। আইএনএস তমাল থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছোড়া যাবে। এছাড়া স্থিল-১ স্যাম এয়ার ডিফেন্সও ব্যবহার করা যাবে এই রণতরী থেকে। এই রণতরীতে ১০০ এমএম বন্দুক আছে। এতে-৬৩০ সিআইডাব্লুএস, টর্পিডো এবং আরবিইউ-৬০০০ অ্যান্টি সাবমেরিন রকেট আছে। এই রণতরীতে একটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করতে পারবে। আইএনএস তমাল ‘তলোয়ার শ্রেণি’র রণতরী। রাশিয়া থেকে আমদানি করা চতুর্থ রণতরী এটি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাশিয়া থেকে দুটি যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য একটি চুক্তি সই করে। ভারতীয় মুদ্রায় সেই চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ৮০০০ কোটি টাকা। সেই চুক্তিতেই আইএনএস তমাল কেনার কথা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ওই রণতরী ২০২২ সালেই ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে ওই রণতরী নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

    তমাল-এ ভীত চিন-পাকিস্তান

    রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএনএস তমাল নৌবাহিনীর পশ্চিম কমান্ডের অধীনে আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে, একটি কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখানে ভারত ও পাকিস্তানের সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে। এখান থেকে করাচির দূরত্ব খুব কম। একদিকে আরব সাগর, অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং চিনের মতো দুটি প্রতিকূল দেশের সাথে স্থল সীমান্ত ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এই আবহে নৌসেনায় তমালের অন্তর্ভুক্তি ভারতকে বেশ সুবিধা দেবে। আইএনএস তমাল এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রু রাডার এটিকে কোন ভাবেই সনাক্ত করতে না পারে। এই সমস্ত আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে, ভারত তার নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও বাড়ানোর দিকে বিশেষ জোর দিচ্ছে এই যুদ্ধজাহাজটি অত্যাধুনিক ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যার পাল্লা ২৯০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার। থাকবে আধুনিক হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার সাহায্যে এটি সাবমেরিন এবং আকাশপথে হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    Xi Jinping: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ ব্রাজিলের, তাই কি ব্রিকস সম্মেলন এড়াচ্ছেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। আগামী সপ্তাহে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে হবে ব্রিকস সম্মেলন (BRICS Summit)। এই সম্মলেনেই যোগ দিচ্ছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ব্রাজিলে এবার হবে সপ্তদশ ব্রিকস সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলন শুরু হবে ৬ জুলাই। তবে প্রেসিডেন্ট যোগ না দিলেও, চিনের তরফে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং।

    ব্রিকসে থাকছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)

    জানা গিয়েছে, বেজিংয়ের (চিনের রাজধানী) তরফে ব্রাজিল সরকারকে জানানো হয়েছে অন্য কর্মসূচি থাকায় এবার ব্রিকস সম্মলেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না স্বয়ং চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর বদলে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। সেবারও প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে ভারতে এসেছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী। মাস সাতেকের মধ্যেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দু’বার বৈঠক হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্টের। একবার গত নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এবং চলতি বছরের মে মাসে ফের বেজিংয়ে চায়না-সেলাক ফোরামের সময়। সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মলেন চিনা প্রেসিডেন্টের যোগ না দেওয়ার এটাও একটা কারণ। প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারি পর্বে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন শি জিনপিং। এ ছাড়া আরও কোনও ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকেননি তিনি।

    চিনের বক্তব্য

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার (Xi Jinping) দিতে গিয়ে বলেন, “শি জিনপিংয়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। চিন ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলনের সভাপতিত্বকে সমর্থন করে এবং সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও গভীর সহযোগিতা বজায় রাখতে চায়।” তবে চিনা প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে থকছেন না জেনে ক্ষুব্ধ ব্রাজিল প্রশাসনের কর্তারা। সে দেশের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা মে মাসে বেজিং সফর করেছিলেন সদিচ্ছা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে। তিনি আশা করেছিলেন শি-ও পাল্টা সফরে আসবেন।

    মোদিকে ভোজে আমন্ত্রণ জানানোয় গোঁসা চিনের!

    সূত্রের খবর (BRICS Summit), ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পর রাষ্ট্রীয় ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকের ধারণা, এতে চিনা প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব কিছুটা খাটো হতে পারে। সেই কারণেই তিনি নিজে না গিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট যে যোগ দেবেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই। যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার শীর্ষ বিদেশনীতি উপদেষ্টা সেলসো আমোরিম বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে (Xi Jinping) বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। সেই সময় আমোরিম চিনা প্রেসিডেন্টের উপস্থিতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ওয়াং ই-কে মনে করিয়ে দেন যে, চিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও নিজের দেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প সত্ত্বেও ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। আমোরিম বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শি জিনপিংয়ের অংশগ্রহণ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (BRICS Summit) প্যারিস চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।”

    যোগ দিচ্ছেন না পুতিনও!

    কেবল চিনা প্রেসিডেন্ট নন, ব্রিকস সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। এর নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের অবস্থান বরাবরই আগ্রাসী (Xi Jinping) ও দৃঢ়। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইজরায়েল-ইরাকও। বিশ্বজুড়ে এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক আদালত। অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযোগেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব পুতিন (BRICS Summit) সে দেশে পা রাখলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই কারণেই ব্রিকস সম্মেলনে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Xi Jinping)।

    ব্রিকস হল একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা। এটি গঠিত হয়েছে পাঁচটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে। এর সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কলেবরে বেড়েছে (BRICS Summit) ব্রিকস। নয়া সদস্য হয়েছে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Xi Jinping)।

  • Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। সেদেশের প্রশাসনিক মহলেই শুরু হয়েছে এই গোপন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন এই অস্থির সময়ে ইরানের ভিতরে চলছে এই ষড়যন্ত্র, যেখানে সরাসরি লক্ষ্য করা হয়েছে খামেনিকে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইরানের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি খামেনির সময় ফুরিয়ে আসছে। তিনি যদি অফিসে থেকে যান, তবুও আর তাঁর হাতে প্রকৃত ক্ষমতা থাকবে না। কারণ ক্ষমতা তাঁর হাত থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছে।

    চলছে ষড়যন্ত্র (Iran)

    একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর বয়স (৮৫ বছর) এবং শারীরিক অসুস্থতাকেই এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকা ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে, তখন ইরানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের (Iran) সেনাবাহিনীর দক্ষতার অভাব আছে, যা ইজরায়েল ও আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের আধুনিক সামরিক আক্রমণ প্রতিহত করতে যথেষ্ট নয়।

    ইরানের পাশে রাশিয়া

    এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে প্রবেশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের পাশে থাকবে। পুতিন আমেরিকার সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দাও করেছেন। তিনি ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।” এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি (Iran) সম্প্রতি মস্কো সফর করেন এবং সেখানে পুতিনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।

    উত্তরসূরি বেছেছেন খামেইনি (Iran)

    গত বুধবার আয়াতুল্লাহ খামেনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলির দাবি, তিনি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড (Khamenei) অবস্থায় রয়েছেন এবং একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে খামেনি ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি বাছাই শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন তাঁর ৫৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা খামেনি।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) ভয়ঙ্কর হামলা চালাল ইউক্রেন। মৌমাছির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে (Operation Spiderweb) ১১৭টি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার কমপক্ষে ৫টি এয়ারবেসে হামলা চালানো হয়। ৪০টিরও বেশি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই খবর। রাশিয়ার বুকে এটাই সবথেকে বড় ড্রোন হামলা। আজ, সোমবার ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছেন। আর ঠিক তার আগেই রবিবার রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন। অপরদিকে একই দিনে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ হামলায় ১২ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নতুন মোড়

    রাশিয়ার (Russia Ukraine War) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিভ বাহিনী এফপিভি ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুর অঞ্চলে। ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুরে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। কারোর মৃত্যু হয়নি। এই হামলায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, সাইবেরিয়ায় প্রথম হামলা চলে। এরপর একে একে সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ইউক্রেনের ড্রোন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে তাদের দেশের সিকিউরিটি সার্ভিস এই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই স্পেশাল অপারেশনের কোড নাম- ‘পাভুত্যনা’ বা স্পাইডার ওয়েব (Operation Spiderweb)। মাকড়শার জালের মতোই রাশিয়ার ঘাঁটিগুলিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সূত্রের খবর, বিগত এক বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। কার্গো ট্রাকে লুকিয়ে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাকের ডালা খুলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন বেরিয়ে আসে এবং নিশানা করে সেনাঘাঁটিগুলিতে। রাশিয়া যদি প্রত্যাঘাত করে, তা প্রতিহত করার জন্য ইতিমধ্যেই সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    কীভাবে ড্রোন পৌঁছালো রাশিয়ার গভীরে?

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক থেকে দেড় বছর ধরে এই অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রথমে এফপিভি ড্রোনগুলো গোপনে রাশিয়ার অভ্যন্তরে পাচার করা হয়। পরে, কাঠের তৈরি মোবাইল কেবিন আলাদাভাবে পাঠানো হয় রাশিয়ায়। এই কেবিনগুলো ছিল দেখতে সাধারণ মোবাইল হাউজের মতো, কিন্তু ছাদের ভেতরে লুকানো ছিল ড্রোনের আস্তানা। এসব কেবিন লোড করা হয় ট্রাকের ওপর, এবং চালকদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানঘাঁটির আশপাশে পৌঁছে পার্ক করানো হয়। রুশ চালকরা হয়তো জানতেনই না তারা কী বহন করছেন। কারণ ড্রোনগুলো ছিল কেবিনের ছাদে লুকানো, গোপন কন্টেইনারে।

    হামলার নাটকীয় শুরু

    যখন সব ট্রাক নির্দিষ্ট অবস্থানে পার্ক করা হয়, তখন দূর থেকে এসবিইউ অপারেটররা কন্ট্রোল নিয়ে নেন। ট্রাকের ছাদ খুলে যায় রিমোটের মাধ্যমে এবং একের পর এক ড্রোন উড়ে যেতে থাকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে। কিয়েভের নানা ভিডিওয় দেখা যায়, ড্রোন ক্যামেরা থেকে সরাসরি দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার লাইন ধরে রাখা যুদ্ধবিমান — টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3) এবং এ-৫০ (A-50)-এর মতো কৌশলগত বিমান — যেগুলোকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। অপারেশন এখানেই থেমে থাকেনি। ড্রোন ছেড়ে দেওয়ার পর, এই ট্রাকগুলোতেও বিস্ফোরক বসানো ছিল। ফলে যখন রাশিয়ান বাহিনী ট্রাকগুলো পরীক্ষা করতে আসে বা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন ট্রাকগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে, বলে খবর।

    রাশিয়ার ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) দাবি, এই হামলায় রাশিয়ার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের বিমান ধ্বংস হয়েছে। বিশেষ করে টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3)-এর মতো স্ট্র্যাটেজিক বোমার বিমানগুলো এখন আর নির্মিত হয় না, তাই এই ক্ষতি সহজে পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই অপারেশন আধুনিক যুদ্ধনীতিতে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। মাত্র ৫০০ ডলার মূল্যের ড্রোন ব্যবহার করে, গোপন উপায়ে সেগুলো শত্রুর ঘাঁটির ভেতরে পৌঁছে দিয়ে, কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটি দেখিয়ে দেয়, কৌশলী পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কতটা কার্যকর হতে পারে। অপারেশন স্পাইডারওয়েব শুধুই একটি সামরিক সাফল্য নয়, এটি ভবিষ্যতের গোপন যুদ্ধকৌশলের (Operation Spiderweb) একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

    শান্তি-চেষ্টায় জল

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিন বছরব্যাপী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি, ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছিল রুশ-ইউক্রেন প্রতিনিধি দল। সেখানে বন্দি বিনিময়ে রাজি হয় দু’পক্ষ। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এরইমধ্যে আজ, সোমবার ফের ইস্তানবুলে ফের এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। আলোচনায় বসার জন্য সম্প্রতি কিয়েভকে প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। তাতে সাড়া দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি। জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট দিনে ইস্তানবুলে উপস্থিত থাকবেন তাঁর মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। তবে রবিবারের ঘটনাবলির পর বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

  • Pahalgam Attack: “পহেলগাঁও হামলায় দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে”, মোদিকে আশ্বাস পুতিনের

    Pahalgam Attack: “পহেলগাঁও হামলায় দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে”, মোদিকে আশ্বাস পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) দোষীদের বিচারের (Russia) কাঠগড়ায় আনা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাফ জানিয়ে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রেই এ খবর মিলেছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের মৃত্যুতে পুতিন সমবেদনা জানিয়েছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

    কী বললেন জয়সওয়াল? (Pahalgam Attack)

    এক্স হ্যান্ডেলে জয়সওয়াল বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তিনি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে তাঁর পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।” তিনি বলেন, “এই নৃশংস হামলার অপরাধী ও তাদের সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে (Russia)।”

    রাশিয়ার বিজয় দিবস

    জয়সওয়াল জানান, প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে রাশিয়ার বিজয় দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের শুভেচ্ছা জানান এবং বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাশিয়ার বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে পহেলগাঁও হামলার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে তিনি রাশিয়া সফর করবেন না বলে জানানো হয়েছে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও সম্ভবত রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে অংশ নেবেন না। এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সঞ্জয় সেথ। ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে রাশিয়া সফরে আসার কথা স্বীকার করে প্রেসিডেন্ট পুতিন জোর দিয়েছেন যে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বাহ্যিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়নি এবং গতিশীলভাবে বিকশিত হচ্ছে (Pahalgam Attack)।

    রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট এই বছরের শেষের দিকে ভারত সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রধানমন্ত্রী মোদী দুবার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন – একবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং দ্বিতীয়বার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে (Russia)। এর আগে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলাকে পুতিন “নৃশংস অপরাধ” বলে নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়ার সমর্থন জানিয়েছিলেন (Pahalgam Attack)।

  • Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    Igla-S Missile: নিশানায় পাকিস্তান! ভারতের হাতে রাশিয়ার নয়া ইগলা-এস, হাতে করেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের হাতে এসে গেল ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্র (Igla-S Missiles)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জরুরি ভিত্তিতে সেনার জন্য রাশিয়ার নির্মিত এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের অর্ডার দেয়। সেই মতো, বেশ কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা হাতে পেয়ে গেল নতুন এই মিসাইল। যার জন্য মোদি সরকারের খরচ হল ২৬০ কোটি টাকা। রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে আসায় আকাশপথে হামলার বিরুদ্ধে এক লাফে অনেকটা শক্তিশালী হল ভারতের ঢাল।

    যুদ্ধবিমান, ড্রোন লক্ষ্য করে নির্ভুল আঘাত

    রাশিয়ায় তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই বহন করা যায়। এটি নিক্ষেপ করার জন্য কোনও বিশেষ প্ল্যাটফর্মও লাগে না। কোনও ব্যক্তি কাঁধে করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারবেন। নীচ দিয়ে ওড়া যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলিকে নির্ভুল ভাবে আঘাত করার মতো করেই নকশা করা হয়েছে ‘ইগলা-এস’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি (Igla-S missiles)। সম্প্রতি এই অতি স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। এর জন্য জরুরি ক্রয় ক্ষমতার অধীনে রাশিয়ার সঙ্গে ২৬০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে ইগলা-এস বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন সরবরাহ। শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন হুমকির মোকাবিলা করার জন্য এগুলি সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন সেনা সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে।

    কীভাবে কাজ করে

    নতুন এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় সেনা কাঁধে চাপিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে বাঁধলে যদি পাক যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা চপার সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসে তাহলে কাঁধে চাপিয়ে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে মিসাইল ফায়ার করা যায়। বহুদিন ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তে এই মিসাইল সিস্টেমের ব্যাপক কদর রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পোর্টেবল, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। আকাশে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে একবার ‘লক’ করতে পারলে সিস্টেমের ইনফ্রারেড টার্গেটের হিট সিগনেচার লক্ষ্য করে ধেয়ে যায়। ৮ কিলোমিটার দূরের ও প্রায় ৪ কিলোমিটার উপরের উড়ন্ত টার্গেটকেও নিখুঁত নিশানায় আঘাত করে নিকেশ করতে পারে।

    সহজে বহনযোগ্য, দুর্গম এলাকায়ও নিয়ে যাওয়া যায়

    এটি একটি সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (Igla-S missiles) বা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। ‘ইনফ্রারেড হোমিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনও বস্তুর ‘হিট সিগনেচার’ শনাক্ত করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তার পর সেটিতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে পারে। এছাড়া সহজে বহনযোগ্য বলে, দুর্গম এলাকায় যেখানে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই কাজে আসবে। একবার নিক্ষেপ করা হলে, লক্ষ্যবস্তুর ইঞ্জিনের তাপকে অনুসরণ করে সেটিতে আঘাত করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ফলে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ছোটমাপের এবং দ্রুতগতির আকাশযানের বিরুদ্ধেও এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর।

    ইগলা সিরিজের মিসাইল নতুন নয়, আরও আধুনিক

    ১৯৯০-থেকেই দেশে বিদেশে অনেক যুদ্ধে রুশ নির্মিত ইগলা সিরিজের মিসাইল (Igla-S missiles) ব্যবহার হয়। ‘ইগলা-এস’ হল একটি উন্নততর সংস্করণ। উড়ন্ত ড্রোন, চপার বা যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন থেকে বেরোনো তাপমাত্রাকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে বলে ব্যর্থতার হার প্রায় শূন্য শতাংশ। ভারতীয় সেনা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে অর্থাৎ পাক সীমান্তের কাছে এই সিস্টেম মোতায়েন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে যে সমস্ত ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, এক দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে সেগুলিরও কর্মক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

    পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ ইগলা-এস

    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর নতুন ইগলা-এস সিস্টেমগুলিকে এখন দ্রুত পাক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী (India Pakistan Conflict) এবং আইএসআই ক্রমে হামলার জন্য ড্রোনের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইগলা-এসের মতো স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমা সুরক্ষিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি, সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে দেশি প্রযুক্তিতে নির্মিত মার্ক ওয়ান ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন ও ইন্টারডিকশন সিস্টেমও। সম্প্ৰতি জম্মুতে সেনার ১৬ কোর-এর এলাকায় এই ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেই পাক ড্রোন নামিয়েছে সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে এই মিসাইলের কদর ও সক্ষমতা এতটাই যে ভারতীয় বায়ুসেনাও ইনফ্রারেড নির্ভর এই একই মিসাইলের জন্য দরপত্র জারি করেছে। পাশাপাশি, পদাতিক বাহিনী আরও ৪৮টি লঞ্চার ও ৯০টি ইনফ্রারেড নির্ভর মিসাইলের নতুন বরাত দিয়েছে। সেগুলিও দ্রুতই চলে আসবে।

LinkedIn
Share