Tag: russia ukraine war

russia ukraine war

  • PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদিকে (PM Modi) নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও রাশিয়া থেকে এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। এক বিশেষ বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী একাধিক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক অটুট। এমনকী এই সম্পর্ক আরও নতুনভাবে মজবুত হয়েছে। গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে।’’ এর পাশাপাশি ওই শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ রয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যৌথ প্রকল্পেরও। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আগামী দিনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই শুভেচ্ছা বার্তায়। প্রসঙ্গত চলতি বছরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন বসে দিল্লিতে। এই শীর্ষ সম্মেলনেরও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে এবং এর জন্য ভারতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাৎ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি তাঁর রাশিয়া সফরে দেখা করেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পুতিন এবং তাঁর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মোদিকে রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন পুতিন। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। বুধবারই এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাফল্য কামনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ভারত

    রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। দুই দেশকেই আলোচনা করে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পুতিন জয়শঙ্করের সফরের সময় বলেন, ‘‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine war: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের! পাল্টা কী নির্দেশ দিলেন পুতিন?

    Russia Ukraine war: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের! পাল্টা কী নির্দেশ দিলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার তেলের পাইপ লাইনগুলির উপর হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন (Russia Ukraine war)। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার সূত্রে খবর, পশ্চিম সাইবেরিয়ান থেকে ইউরোপ পর্যন্ত পাইপলাইনে শনিবারও একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শোনা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার উপর ড্রোন হামলার পরিমাণ ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছে ইউক্রেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। কিন্তু রবিবারই পুতিন রাশিয়ান সেনাকে অতি দ্রুত মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    ড্রোন হামলা….

    মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত টিভার অঞ্চলের তেলের পাইপ লাইনে এদিন দুটো ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম তেলের পাইপলাইন বলেই জানা গেছে। সে দেশের সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, টিভার অঞ্চলের একটি গ্রামে এদিন ভেঙে পড়ে ইউক্রেনের ড্রোন। গ্রামটি ইউক্রেনের সীমানা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, তারা গত ২৪ ঘন্টায় ১২টি ইউক্রেনের ড্রোনকে ধ্বংস করেছে।

    আরও পড়ুন: ইমরানের খেলা শেষ, তোপ দাগলেন নওয়াজ কন্যা মারিয়াম

    সেনাকে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে দ্রুত প্রবেশের নির্দেশ দিলেন পুতিন

    অন্যদিকে, রবিবার প্রেসিডেন্ট পুতিন নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের (Russia Ukraine war) সেই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে প্রবেশ করতে হবে, যা মস্কোর দখলে রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার উপরে ড্রোন হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়াতেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, খাবার, বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী, সামরিক ও বেসামরিক যানবাহন অতি দ্রুত মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। আবারও কি তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পুরোদমে শুরু হতে চলেছে? উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। অন্যদিকে শনিবার ইউক্রেনও ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত আছে। প্রসঙ্গত, ১৫ মাস ধরে এই যুদ্ধ চলছে। খেরসন, জাপোরিঝিয়া, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক হল ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল যা বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই দেশেরই কোনও না কোনও সময়ে নানা সংকট ঘনিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল ঘটে গেল সেতু ধ্বংসের মতো ঘটনাও (Russia-Crimea Bridge Blast)। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু ছিল এটি। আর সেই সেতুতেই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটার ফলে সেতুর একাধিক অংশ ধসে পড়ে। যার ফলে ফের একবার রাশিয়াকে বিপদের মুখে পড়তে হল। রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা কের্চ সেতু (Kerch Bridge)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল কের্চ সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাশিয়ার যুদ্ধে এই আঘাতের ফলে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

    গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই রাশিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে (Russia-Crimea Bridge Blast) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সন্দেহের তির ইউক্রেনের দিকেই রয়েছে বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা নাগাদ রাশিয়ান ডুবুরিদের কের্চ ব্রিজ পরিদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এই সেতু ফের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তরফে।

    অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের (Russia-Crimea Bridge Blast) পিছনে ইউক্রেন রয়েছে বলে দাবি করলে, পুতিন তথা রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনের উপর তার আক্রমণ বাড়ানোর ও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মনে করা হয়েছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা (Russia-Ukraine War)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অঙ্গীভূতও করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    তবে জানেন কি, একসময় ক্রিমিয়া (Crimea) রাশিয়ার (Russia) দখলে ছিল। যদিও এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল। কিন্তু প্রায় ৬০ বছর আগে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। ১৯৫৪ সালে ইউএসএসআর সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেন-রাশিয়া ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতে একজোট হয়েছিলেন ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার শত্রুদের থেকে ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপকে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মনে করা হয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যই ক্লিমেন্টের এই পদক্ষেপ। কিন্তু পরে ফের রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নিলে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত।

  • Russia Ukraine War: ‘জোর করে পাঠানো হয় যুদ্ধে’! সাহায্যের আর্জি রুশ সেনার জালে পড়া ৭ ভারতীয়র

    Russia Ukraine War: ‘জোর করে পাঠানো হয় যুদ্ধে’! সাহায্যের আর্জি রুশ সেনার জালে পড়া ৭ ভারতীয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জালে (Russia Ukraine War) জোরপূর্বক ভারতীয় যুবকদের আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের বাসিন্দা একদল যুবক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদেরকে যেন অতি দ্রুত এই ফাঁদ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অভিযোগ প্রতারণার মাধ্যমে সবাইকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয় এবং ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে (Russia Ukraine War) পাঠানো হয়। ১০৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে সাতজন যুবককে দেখা যাচ্ছে তাঁরা একটি ঘরে আটকে রয়েছেন। ঘরটি অত্যন্ত নোংরা এবং সংকীর্ণ। যুবকরা নিজেদের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ওই ভিডিওতে প্রকাশ করেছেন।

    বেলারুশে নিয়ে গিয়ে জোর করে চুক্তিপত্রে সই করানো হয়

    ওই যুবকদের মধ্যে রয়েছেন গগনদীপ সিং যিনি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাশিয়াতে গিয়েছিলেন নতুন বছরের উদযাপন করতে। তাঁদের সঙ্গে ছিল ৯০ দিনের ভিসা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকদের বেলারুশে নিয়ে যাওয়া হয়। গগনদীপ জানিয়েছেন, তাঁদেরকে বেলারুশে (Russia Ukraine War) নিয়ে যায় এক এজেন্ট। আরও জানা গিয়েছে, বেলারুশে যেতে তাঁদের আলাদা ভিসা লাগবে এটা যুবকরা জানতেন না। যখন তাঁরা সেখানে পৌঁছান তখন তাঁদের কাছে ভিসা ছিল না। এরপরেই সেখানকার স্থানীয় পুলিশ যুবকদের দলটিকে গ্রেফতার করে এবং রাশিয়ার সরকারের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীকালে যুবকদের জোর করে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়।

    উদ্বিগ্ন পরিবার, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গগনদীপ সিং-এর পরিবার ইতিমধ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁর ভাই অমৃত সিং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভীষণ চাপে রয়েছেন। কারণ তাঁদেরকে একধরনের চুক্তিপত্রে সই করানো হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল, হয় তাঁদেরকে ১০ বছরের জন্য জেলে যেতে হবে অথবা রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকদেরকে ১৫ দিনের মিলিটারি ট্রেনিং-ও (Russia Ukraine War) দেওয়া হয় এবং তারপরেই তাঁদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, সাত জন যুবকের ওই ভিডিও নতুন কিছু নয়। এর আগে আরও প্রায় ২৪ জন ভারতীয় যুবক এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। শুধু পাঞ্জাব বলে নয় একই অভিযোগ সামনে এসেছিল কেরল থেকেও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত সরকার যথেষ্ট সক্রিয় হয়েছে রাশিয়ান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং ওই ব্যক্তিদেরকে ফেরত আনার বিষয়ে। গত সপ্তাহতেই কুড়ি জনেরও বেশি ভারতীয়কে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের টাকার চাকরি দেওয়ার অছিলায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War)। যুযুধান এই দুই দেশের সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    ভারতীয়দের অনুরোধ করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়তে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই যেসব ভারতীয় রুশ বাহিনীতে সহায়কের কাজ করছিলেন, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বন্ধু দেশ ভারতের দাবি মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Russia Ukraine War) এও জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    রুশ বাহিনীতে নিয়োগ 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দু বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই কারণে রাশিয়ার তরফে বাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে বিদেশি নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ২০০ নেপালিকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, যেসব নেপালি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০ জন। নিখোঁজ শতাধিক। এসব খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে ভারত।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া সেনার নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, রুশ সেনার সঙ্গে থাকা ভারতীয়রা মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে। এ সংক্রান্ত কিছু ভুল রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, প্রতিটি বিষয় মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের নজরে আনা হয়েছে। রাশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের নজরে আসা বিষয়গুলি নিয়েও দিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের কথায়, ফল স্বরূপ বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে নয়াদিল্লি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সকল ভারতীয়কে সতর্ক হতে ও এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না।’ ভারতীয়দের এই মর্মেই সতর্ক করে দিল নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভারত সরকার জানতে পেরেছে, মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয়দের লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের কাজে (Russia Ukraine War)। সেই কারণেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের।

    বিবৃতি জারি বিদেশ মন্ত্রকের

    শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কিছু ভারতীয় রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন। তাঁদের যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কোয় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সকল ভারতীয় নাগরিককে বলছি, তাঁরা যেন দ্বন্দ্ব (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ) থেকে দূরে থাকেন।” সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন ভারতীয়রা।

    সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে বহু ভারতীয়

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের সিকিউরিটি হেল্পার হিসেবে নিযুক্ত হতে চুক্তিতে সই করছেন বহু ভারতীয়। পরে তাঁদের জোর করা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সৈন্যদের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। মারিউপোল, খারকিভ এবং রোস্তভ অন ডভ সীমান্তে এ ছবি দেখা যাচ্ছে আকছার। রাশিয়ার (Russia Ukraine War) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কয়েকজন ভারতীয় নিহতও হয়েছেন বলে খবর। রাশিয়ান সেনা দলে যেসব ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দিতেও রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ২০০ নেপালিকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করেছে রুশ সরকার। গত ডিসেম্বরে নেপালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন নেপালি। তার পর নেপাল সরকারও রুশ সেনায় নেপালিদের নিয়োগ না করতে অনুরোধ করেছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও রাশিয়াকে করেছে নেপাল সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল যে যুদ্ধ, তা চলছে এখনও (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল রাশিয়ার (Russian plane crash) এক সামরিক বিমান। বুধবার, ইউক্রেনের ৬৫ জন যুদ্ধ বন্দিকে নিয়ে রাশিয়ায় ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমান৷ রাশিয়ার বেলগোরদে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৭৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে৷ রুশ সরকার জানিয়েছে,স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ ওই যুদ্ধ বিমানটি ভেঙে পড়ে৷ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইএল ৭৬ যুদ্ধ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়৷ বিমানে থাকা প্রত্যেক যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।

    দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে রহস্য

    ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার (Russian plane crash)৷ সেই কারণেই ৬৫ জন বন্দিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৬৫ জন সেনা ছাড়াও ওই বিমানে আরও ৯ জন বিমানকর্মী ছিলেন৷ ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। বিমানটিতে যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে রাশিয়া দাবি করলেও, ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই যুদ্ধবিমানে করে মিসাইল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ বিমানে কোনও যুদ্ধবন্দি ছিল না৷ সেই কারণেই ইউক্রেন সেনা ওই রুশ যুদ্ধবিমানটিকে ধ্বংস করে দেয়৷ রাশিয়ার সংসদের স্পিকার ভ্যাচেল্যাভ ভোলোদিন অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন তাদের নিজেদের সেনাদেরই হত্যা করেছে৷ রাশিয়ার একটি তদন্তকারী দল এবং একটি জরুরী পরিষেবা দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে পিঙ্ক সিটি ঘুরে দেখবেন ম্যাক্রোঁ, বৃহস্পতিবার ভারত আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    ভাইরাল ভিডিও

    সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার (Russian plane crash) বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি বেলগোরোদের ইয়াবলোনোভো গ্রামের কাছে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই এলাকা পুরো বরফের চাদরে ঢাকা। আকাশে দেখা যায়, একটি বিমান ক্রমশ নীচে নেমে আসছে। তারপর, প্রচন্ড বিস্ফোরণের সঙ্গে দিগন্তে দেখা যায় একটি আগুনের গোলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত রইল ভারত, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত রইল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) বর্ষপূর্তি। রাশিয়ার (Russia) আক্রমণের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে (UN) পাশ হল প্রস্তাব। এই ভোটে অংশ নেয়নি ভারত (India)। অংশ নেয়নি চিন সহ ৩২টি দেশও। রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৪১টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ৭ সদস্য দেশ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ…

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার ছিল তার বর্ষপূর্তি। এর ঠিক একদিন আগে ভোটাভুটি হয় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদে এই ইস্যুতে ভোটাভুটি হয়েছে। প্রতিবারই ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। এবারও অন্যথা হয়নি তার।

    রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। দু দেশের সংঘাতের কারণে অগুণতি জীবন হারিয়েছে। মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সাধারণ মানুষের ওপর হামলা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, ভারত রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতিগুলিকে সমর্থন করে। আমাদের দেশেও আমরা আলোচনা ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতে কোনও সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আমাদের মনে হয় এই প্রস্তাবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুরক্ষিত করার যে পন্থার কথা বলা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর সেই কারণেই আমরা ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখছি।

    আরও পড়ুুন: অক্টোবরকে ‘হিন্দু হেরিটেজ’ মাস ঘোষণার দাবি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্টেট সেনেটরের

    এদিন ভোটাভুটির সময় নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেন রুচিরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। গত বছর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে পুতিনকে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। মোদির সেই সুরের প্রতিধ্বনিই এদিন শোনা গিয়েছে রুচিরার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ভারত সব সময়ই রাষ্ট্রসংঘের নীতিগুলিকে সমর্থন করে এসেছে। এই নীতিগুলি আমরা মেনে চলি। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাসও করি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    Nuclear Disarmament: বড় সংঘাতের সঙ্কেত! আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাতিল রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘটনাচক্রে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন সফরের পর দিনই এমন ঘোষণা করলেন পুতিন। মঙ্গলবার পুতিন বলেন, “আমি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি, কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসছে।” আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’-ই ছিল শেষ চুক্তি। অন্যদিকে পুতিনের ঘোষণাকে “দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

    কেন এই পদক্ষেপ পুতিনের?

    সোমবারই ইউক্রেনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ ইউক্রেনকে নতুন করে সামরিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন বাইডেন৷ তার পরেই মস্কোর এই পদক্ষেপ নতুন করে আশঙ্কার সৃষ্টি করছে। পুতিনের এই বড় সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ গুলিকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট৷ তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা ও তার ন্যাটো সহযোগীরা ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয়ের লক্ষ্যে কাজ কারছে, তাই এই সিদ্ধান্ত৷ প্রতিপক্ষ দেশগুলি রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার দখলের চক্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ ভ্লাদিমির পুতিনের৷ পুতিনের মতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হার চায় আমেরিকা। একই সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের তথ্যও চায় তারা। এটা চলতে দেওয়া যায় না। ফলে মঙ্গলবার ‘স্টেট অফ দ্য নেশন’-এ ইউক্রেন যুদ্ধের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে বিশেষ ভাষণ দেন পুতিন। সেখানেই আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার বিষয়টি ঘোষণা করেন ও সাফ জানিয়ে দেন, একে অপরের নজরদারিতে থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া করবে না রাশিয়া।

    আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্য

    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলল আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে পুতিনের এই ঘোষণা সত্ত্বেও আলোচনার দরজা বন্ধ করছে না তাঁর দেশ। এ প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেন বলেন, “আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যে পর্যায়েই থাকুক না কেন, কৌশলগত অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আমরা রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনও সময় আলোচনায় বসতে রাজি।”

    পুতিনের এই ঘোষণার পরে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইউক্রেন জয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাশিয়া। মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতেও দু’বার ভাববে না তারা। অন্যদিকে পুতিনের এই সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দিল বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

LinkedIn
Share