Tag: russia ukraine war

russia ukraine war

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর দিকে ভারত যেভাবে তাঁর দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছে, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাসিনার গলায়।

    ৫ অগাস্ট, সোমবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোদির প্রশংসা করেন হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়েছিলেন মোদি। এদিন তার প্রশংসা করার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ভারতের অবদানের কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে টিকা পাঠিয়েছিল ভারত।

    ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাসিনা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁদের দেশের পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃতই আপনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তোলেন হাসিনা। তাঁর দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারত যে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারতকে যেদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ই ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে। তার পর আরও অনেকবার।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এদিন তাও জানান হাসিনা। বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় রয়েছি, ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের বলেছি, আপনারাও দেশের নাগরিক। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নিই। তবে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতেও ঘটে। প্রসঙ্গত, চারদিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে মোদি-হাসিনার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত (India)। এই মুহূর্তে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এহেন আবহে ভারতের এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতেই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর ভোটাভুটিতে এতদিন অংশ নেয়নি নয়াদিল্লি। এবার নিল। এবং ভোট দিল রাশিয়ার বিপক্ষেই। আমেরিকা সহ পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। তবে নয়াদিল্লি এর থেকে ছিল যোজন দূরে। ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ‘বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এতদিন। নয়াদিল্লি এও জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে যা করণীয়, তাই করবে সাউথব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচ। এই পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্য ১০। এই সদস্য দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এই মুহূর্তে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে যার মেয়াদ।

    ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতার আবহে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ২৪ অগাস্ট বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর ভ্যাসিলা এ নেবেনজিয়া (Vassily A. Nebenzia) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিডিও টেলিকনফারেন্সে এই বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে অনুরোধ করেন। এই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। বিপক্ষে একটি। অর্থাৎ রাশিয়া ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia: গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে রহস্যময় মৃত্যু পুতিন ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডারের মেয়ে দারিয়া দুগিনের

    Russia: গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে রহস্যময় মৃত্যু পুতিন ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডারের মেয়ে দারিয়া দুগিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়াতে রহস্যজনক মৃত্যু পুতিন (Vladimid Putin) ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডার দুগিনের (Alexander Dugin) মেয়ে দারিয়া দুগিনের (Darya Dugin)। সূত্রের খবর, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। শনিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, দারিয়া নন, এই হামলার আসল লক্ষ্য ছিলেন তাঁর বাবা আলেকজান্ডার দুগিন। তবে কে তিনি? রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে কী তাঁর সম্পর্ক? এই নিয়েই কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডারকে ‘Putin’s Brain’ বলে ডাকা হয়। অর্থাৎ তাঁকে পুতিনের মস্তিষ্ক তকমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ এনাকেই বলা হয়। রাশিয়ার সাফল্যের ক্ষেত্রে আলেকজান্ডারের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে, আর তার প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেনের এমন সাজানো-গোছানো পরিকল্পনা, এমনটাই দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমগুলি।

    সূত্রের খবর, ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন দারিয়া। মস্কো শহর থেকে কিছুটা দূরে হঠাৎ ওই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দারিয়ার গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাড়ির কাচ। আর পাশে দেখা গিয়েছে ডুগিনকে। মেয়ের জ্বলন্ত গাড়ির দিকে আতঙ্কগ্রস্ত চোখে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। ৬০ বছর বয়সী আলেকজান্ডার দুগিনের মেয়ে একজন জনপ্রিয় লেখিকা।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার পুতিনের এই ঘনিষ্ঠের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ৭ বছর আগে ২০১৫-য় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। ওই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। তখনও এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আলেকজান্ডার। তাই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।  

  • Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থামেনি। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে পড়শি ওই দুই দেশের লড়াই। যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। ভারত (India) সহ পাঁচ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের (Ambassador) বরখাস্ত করলেন তিনি। কী কারণে তাঁদের হঠাৎ করে বরখাস্ত করা হল, তা জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই ‘চাকরি’ গিয়েছে তাঁদের।

    ন্যাটোর (NATO) সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। তা নিয়েই রাশিয়া ইউক্রেন বিবাদের সূত্রপাত। যার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকেই আবেদন নিবেদন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার পরেও চলছে লড়াই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও নিরস্ত করা যায়নি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনকে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    এহেন পরিস্থিতিতেই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও বরখাস্ত করা হয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে। বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও পদে বহাল করা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও বার্তা নেই ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা নির্দেশিকায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে দুই দেশকেই। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও, রাশিয়ার সঙ্গে এখনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জারি রেখে চলেছে রাশিয়া।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে জার্মানিও। জ্বালানির জন্য এই দেশটি বরাবর রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের মতো যুদ্ধের আবহে তারাও সম্পর্ক রেখে চলেছে পুতিনের দেশের সঙ্গে। এ সবকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছে কিয়েভ। সেই কারণেই ভারত সহ পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

  • Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    Russia: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো বছরে এই প্রথম! বিদেশি ঋণ (Foreign Debt) শোধে ব্যর্থ রাশিয়া (Russia)। ২৭ মে-র পর দেশটিকে আরও বাড়তি প্রায় এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সীমা পেরিয়ে গেলেও ঋণ শোধ করতে পারেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশটিতে এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, বলশেভিক বিপ্লবের সময়।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে রাশিয়া। তার পর থেকে চার মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও, এখনও থামেনি যুদ্ধ। পুতিনের দেশকে সবক শেখাতে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ। তার পরেও দমানো যায়নি অদম্য রাশিয়াকে। যুদ্ধ চলছেই।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    এর আগে অন্তর্দেশীয় ঋণ পরিশোধে সর্বশেষ রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে পরে রুবেলের সংকট দেখা দেওয়ায় এমনটা হয়েছিল। তবে সেই সময় অভ্যন্তরীণ ঋণ শোধে অপারগ হলেও, বিদেশি ঋণ শোধ করেছে মস্কো। আর এখন বৈদেশিক ঋণ শোধ করতেই ব্যর্থ হয়েছে দেশটি।

    সূত্রের খবর, অনেক আগেই মস্কোর এই ঋণ শোধের কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। ধার শোধের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২৭ মে। সেবারও ঋণ শোধে অপারগ হওয়ায় সময়সীমা ফের বাড়িয়ে করা হয় ২৬ জুন। এদিনও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারেনি পুতিনের দেশ। জানা গিয়েছে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    কী কারণে বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া? রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট। যার জেরে লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক ঋণ শোধে ফের একবার ব্যর্থ হল মস্কো। প্রসঙ্গত, এর আগে বলশেভিক বিপ্লবের সময় ঋণ শোধ করতে অস্বীকার করেছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিন। একটি রাশিয়ান কোম্পানির বর্ষীয়ান কর্নধার হাসান মালিক বলেন, এটা খুবই, খুবই বিরল একটি ঘটনা। এখানে সরকার ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়েছে বিদেশ শক্তির প্রভাবে। ইতিহাসে এই ঘটনা একটি যুগসন্ধিক্ষণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

     

  • Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    Putin-Modi Phone Call: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পেরিয়ে গিয়েছে চার মাস। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যহত। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ। ভারত কেন এখনও রাশিয়ার প্রতি নরম, সে নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপের দেশগুলি। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের  (Vladimir Putin) সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা সমাধান করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মোদি। গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রসঙ্গও এদিন আলোচনায় তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও পুতিনের ডিসেম্বরের ভারত সফরের সময় বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কার্যকর করার বিষয়েও শুক্রবার কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: শতবর্ষে এই প্রথম, বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যর্থ রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার সময়ে ভারতীয়দের ওপর কোনও হামলা হবে না বলেও ভারতকে আশ্বস্থ করেছিল রাশিয়া। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে পুতিনের সঙ্গে মোদির ফোনালাপের বিষয়টি জানানো হয়।  

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের

    এর আগেও ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে পুতিনকে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। যদিও সেই আলোচনার পরেও ইউক্রেন-সঙ্কট সমাধানের কোনও সূত্র মেলেনি। আন্তর্জাতিক শক্তি ও খাদ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক বাজার নিয়েও এদিন দুই দেশের প্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতেও ভাব বিনিময় হয়েছে দুপক্ষের মধ্যে।  

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের ওপর রাশিয়ার এই আচমকা আঘাতে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়ে বিশ্বের বহু শক্তিশালী দেশ। রাশিয়ার থেকে তেল কেনাও বন্ধ করে তারা। তবে ভারত তেল কেনা বন্ধ করেনি। কম টাকায় ভারতকে তেল সরবরাহ করতে থাকে রাশিয়া। মোদি জানান, দেশের স্বার্থই সবার আগে বিবেচ্য। ভারতের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিতও হয়। ভারত যেমন সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি, তেমনি প্রত্যক্ষভাবে ইউক্রেনের পাশেও দাঁড়ায়নি। সবসময়ই ভারত ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলেছে।    

     

  • Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তিন দিনে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। এই সফরের শেষ দিনে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনা হয়েছে আরও একাধিক বিষয়ে।

    দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হলেও, বকলমে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে নিষেধ করেছেন একাধিকবার। তাতে কান না দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলেছে সাউথ ব্লক। এমন আবহে মোদির ইউরোপ সফর গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

    তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফান্সে পা রাখেন মোদি। বুধবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসে প্যালেসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছেন বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আদতে কোনও পক্ষেরই জয় হবে না বলেও মাক্রঁরকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদি। যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের জেরে আসলে গরিব দেশগুলির ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির ফ্রান্স ছাড়ার পরেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়ার্ত্রার তরফে। তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিনয় বলেন, দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও মাক্রঁ জোর দিয়েছেন বলেও জানান বিদেশ সচিব।     

     

     

  • Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি ছিলই। এবার সেই মতো দুই ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া। এর ফলে, বড় সমস্যায় এই ইউরোপের এই দুই দেশ।

    ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করে ফেলার চেষ্টা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর জারি হয় একাধিক নিষেধাজ্ঞা। সুইফ্ট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে সাসপেন্ড করা হয় রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে। ফলে, আর্থিক লেনদেন জোর ধাক্কা খায় মস্কো। সেই সময় রাশিয়া জানিয়ে দেয়, তাদের থেকে পণ্য় কিনতে গেলে, অর্থ জোগাতে হবে রুবলে। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আয়ের অন্যতম মূল উৎস হল জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী দেশ হল রাশিয়া। ফি বছর ইউরোপ যত পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, তাঁর সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকেই। বিভিন্ন পাইপলাইনের মাধ্য়মে সেই গ্যাস সরবরাহ করে থাকে মস্কো। বলা ভাল, ইউরোপের একাধিক দেশ মূলত রাশিয়ার যোগান দেওয়া গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। মোট ২৩টি ইউরোপীয় দেশে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে রাশিয়া। 

    এবার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার ফলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থাগ্রহণ করে ইউরোপ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। কোনও কোনও দেশ তো ইউক্রেনকে অর্থ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অস্ত্র সররবাহ শুরু করে। রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল, ইউক্রেনের পাশে যারা দাঁড়াবে, তাদের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু, তাতে কেউ কর্ণপাত না করায়, এবার পাল্টা ব্যবস্থা নেয় মস্কো। 

    গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, তাদের থেকে গ্যাস সহ যে কোনও পণ্য কিনতে গেলে এখন থেকে রুবলে পেমেন্ট করতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া সেই শর্তে মানতে রাজি হয়নি। এরপরই, এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। এতে বিপাকে পড়েছে এই দুই পোল্য়ান্ড ও বুলগেরিয়া। 

    রাশিয়ার এই গ্যাস বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে “ব্ল্যাকমেল” বলে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা জানিয়েছে, জ্বালানির বিষয়টি সামনে এনে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই ঘোষণাকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে কটাক্ষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঐকবদ্ধভাবে এর জবাব দেওয়া হবে। 

    কিন্তু, তাতে দমে না গিয়ে মস্কো আরও হুঁশিয়ারি দেয়, রুবলে দাম না মেটালে অন্য দেশের পরিণতিও হবে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার মতো।  রাশিয়ার হুমকি, প্রয়োজনে গোটা ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি। জরুরি বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি। ইতিমধ্য়েই, ইউরোপের অপর ৪টি দেশ ইতিমধ্য়েই রুশ দাবি অনুযায়ী, রুবলে দাম মিটেয়েছে। রুবলে দাম মেটানোর জন্য গ্যাজপ্রমব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হয়েছে ইউরোপের অন্তত ১০টি দেশ।

  • Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia war) ফি-দিনই প্রাণ খোয়াচ্ছেন দুই দেশের মানুষ। ভিটে-মাটি ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী কোনও দেশের শরনার্থী শিবিরে। সর্বনাশের এই দিকের উল্টো ছবিও আছে। সেখানে শুধুই লাভের কড়ি ঘরে তুলছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মাস দুয়েকের যুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মুদ্রা লাভ করেছে ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সংস্থা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। মাসদুয়েক পেরিয়ে গেলেও, যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণ নেই। প্রত্যাশিতভাবেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দুই দেশেই মূল্যবৃদ্ধি লাগাম ছাড়া। তবে যুদ্ধের এই আবহে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, তখন রাশিয়ায় হু-হু করে পড়ছে অশোধিত তেলের (crude oil) দর। তার জেরেই লাভবান হচ্ছে মুকেশের (Mukesh ambani) কোম্পানি। মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের লাভের সিংহভাগ আসে অশোধিত তেল শোধন করে বিক্রি করে। অঙ্কের হিসেবে প্রায় ৬২ শতাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেল বেচেই কোটি ডলার রোজগার করছে মুকেশের সংস্থা। 

    ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) ন্যাটোর (NATO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কার্যত বয়কট করে রাশিয়াকে। স্বাভাবিকভাবেই তেলের খদ্দের জোটেনি। অর্থনীতির নিয়মেই তলানিতে তেলের দাম। এমতাবস্থায় ব্যারেল ব্যারেল তেল কিনেছে বিভিন্ন রিফাইনারি কোম্পানিগুলি। এর মধ্যে রয়েছে মুকেশের সংস্থাও। গত ত্রৈমাসিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মাস দুয়েকের এই যুদ্ধের আবহে কয়েক মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে আম্বানি গোষ্ঠী।

    মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের যমজ রিফাইনারি (Oil refinery) কারখানা রয়েছে এদেশেই। ওই দুই কারখানা থেকে প্রতিদিন ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল শোধন হয়। তেলের গুণমান ভাল হওয়ায় বিক্রিবাটাও বেশ ভাল। প্রত্যাশিতভাবেই লাভের কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি উঠেছে আম্বানির ঘরে।

    খর বৈশাখেই আম্বানির পৌষমাস!

     

LinkedIn
Share