Tag: saktigarh

saktigarh

  • Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    Saktigarh: খাওয়ার আগে সাবধান! শক্তিগড়ে তিন কুইন্টাল ছত্রাক ভরা ল্যাংচা পুঁতে দেওয়া হল মাটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ের (Saktigarh) ল্যাংচার খ্যাতি সকলের মুখে মুখে ফেরে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান, দুর্গাপুর কিংবা কলকাতা যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের ল্যাংচা খাননি এমনই মানুষ খুব কমই মিলবে। খাদ্যরসিক বাঙালি ল্যাংচা হাবেই বুঁদ হয়ে যান। এবার থেকে এই মিষ্টির স্বাদ নেওয়ার আগে সাবধান! কারণ, ল্যাংচা হাবে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য সামনে এল তা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।

    ল্যাংচার গায়ে ছত্রাক! (Saktigarh)

    জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা শক্তিগড়ে (Saktigarh) ল্যাংচা হাবে অভিযান চালান। মূলত গ্রামে হানা দিতেই দেখা যায়, ল্যাংচার গায়ে সাদা ছত্রাক। এরকমই প্রায় তিন কুইন্টাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন। জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী ছিলেন এদিনের অভিযানে। তিনি বলেন, “আমরা গ্রামে গোডাউনেও যাই। পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। আমি নিজে ছিলাম। চক্ষু চড়ক গাছ। কুইন্টাল কুইন্টাল ল্যাংচা গত এক মাস ধরে ভেজে রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই মানুষ আসবে, কিনে খাবে জানে। তারা তো আর অভিযোগ জানাতে যাবে না। ছত্রাক পড়ে গিয়েছে ল্যাংচায়। সেগুলি খেলে অবধারিত মানুষ অসুস্থ হবেন। ল্যাংচা ভাঙছি, ভিতরে ছত্রাক। প্রতিটা এরকম। তিন কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করতে হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উপায়ে সেগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি কয়েকজনের নামে। ফুড সেফ্টি অ্যাক্ট মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ক্ষুব্ধ ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা

    ল্যাংচা (Langcha Hub) ব্যবসায়ীরা বলেন, “এভাবে গ্রামে অভিযান বেআইনি। রোজ তো ল্যাংচা তৈরি করে বিক্রি করা যায় না। আগের দিন ভেজে রাখতে হয়। পরদিন রসে দিয়ে বিক্রি করি। এই যে বাড়ি বাড়ি গেলেন, তার তো কোনও সার্চ ওয়ারেন্টও ছিল না, পারমিশনও দেখাননি। এটা বাজে ব্যাপার হল। ল্যাংচা সমিতিতে জানানো হবে। আমরা অভিযোগ জানাব।” আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “ল্যাংচা (Langcha Hub) রেখে বিক্রির প্রশ্নই নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saktigarh: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’

    Saktigarh: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’। সরকারি অর্ডার নেই এবং সেই সঙ্গে প্রতিকূল বাজার। ফলে গোডাউনে মজুত রয়েছে উৎপাদিত পণ্য। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তিনদিন জুট পার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল মিল কর্তৃপক্ষ। কর্মহীনতার আশঙ্কায় ভুগছেন জুট পার্কে শ্রমিকরা। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে (Saktigarh)।

    জুট পার্ক কী বলেছে (Saktigarh)?

    ৩০ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় (Saktigarh) জুট পার্ক। জুট পার্কের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারি অর্ডার তেমন ভাবে নেই। প্রতিকূল বাজারের কারণে উৎপাদিত মাল বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে গোডাউনে প্রচুর পরিমাণ মাল মজুত রয়েছে। কোম্পানির আর্থিক সংকট ও প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট না থাকার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না, সেই জন্য বাধ্য হয়ে ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত বন্ধের দিনগুলিতে শ্রমিকদের কোনও মজুরি বা ভাতা প্রদান করা হবে না।

    শ্রমিকদের বক্তব্য

    মিলের (Saktigarh) এক শ্রমিক সেখ রফিক বলেন, “বিভিন্ন রাইস মিলগুলিও একই কারণেই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন কাজ হচ্ছে বাকি দিন বন্ধ রাখছে। বন্ধের দিনগুলি শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে না ফলে এই শক্তিগড় জুট পার্কেও কেউ এরকম করা হলে আগামী দিনে আমরাও কর্মহীন হবো।” আরেক শ্রমিক বুধ শেঠ বলেন, “শক্তিগড় জুট পার্ক যাতে আগের মতই চালু করা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি আমরা”।

    বিজেপির বক্তব্য?

    স্থানীয় (Saktigarh) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “রাজ্য সরকার বাণিজ্য সম্মেলনের নামে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচা করে বিদেশে ঘুরছেন আমলা এবং মন্ত্রীরা। একই ভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল। তারই একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ শক্তিগড় জুট পার্ক বন্ধের দৃষ্টান্ত।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “জুটের ক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের, শুধু বড়ো বড়ো কথা বলছেন। কারখানাগুলি আজ ধুকছে, ফলে শ্রমিকরা চিন্তা করছেন আগামী দিনে তাঁদের কী হবে। বাণিজ্য সম্মেলন করে কী লাভ হয়েছে বাংলার মানুষ জানেন। বিজেপির জানা উচিত মালিক যে নোটিশ দিয়েছে এর কারণের পিছনে রয়েছে কেন্দ্র সরকার। মূল কারণ যে হারে উৎপাদন হয় সেই হারে বিক্রি নেই। মাল কেনা থেকে বিক্রি সবটাই দেখে কেন্দ্র সরকার। আর সেই কারণেই কারখানা (Saktigarh) বন্ধ হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার কাঁকসার বামুনারায়  রাজু ঝা খুনের ঘটনায়  ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিল সিট (SIT) -এর সদস্যরা। রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে যান দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালান সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। এবার সিসি টিভি খতিয়ে দেখতে অভিজিতের বাড়িতে পৌঁছাল সিট (SIT)।

    সিসি টিভি খতিয়ে দেখে কী পেল সিট (SIT)?

    নারায়ণ খারকার দোকানের পর এবার ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিট (SIT) । তার বাড়ির সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তবে, সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টার  ভিডিও ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। নেই ২৪ ঘণ্টার আগের কোনও ভিডিও ফুটেজ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, কী কোনও বিশেষ প্রমাণ লোপাট করতেই মুছে ফেলা হয়েছে সেই সমস্ত ফুটেজ? মূলত তারসঙ্গে কার ওঠাবসা ছিল, তার বাড়িতে কারা কারা আসত তা খতিয়ে দেখতেই সিটের আধিকারিকরা সিসি টিভি খতিয়ে দেখেন। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শুটারদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল অভিজিত্। কয়েকমাস ধরেই শুটাররা টার্গেট করছিল রাজুকে। অবশেষে ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল রংয়ের গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়। পুলিশ তাকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁকসা থানার বামুনাড়া এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতো সে। সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় এটিই প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। রাজু ঝাকে খুন করার পিছনে ধৃতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। এতদিন ধরে তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করতে সমর্থ হল। ধৃত ওই যুবক শিল্পাঞ্চলের দাপুটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পয়লা এপ্রিল, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে রাজু ঝা-কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফও ছিলেন। এই লতিফের দুধসাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন নুরুল হোসেন নামে একজন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার সময় রহস্যজনকভাবে লতিফও গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝা-কে গুলি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, খুন হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হল। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। সে পানাগড় এলাকায় থাকত, চাকরি করত প্রাইভেট কোম্পানিতে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    Attack: কয়লাকাণ্ডে সিবিআই হাজিরার আগেই খুন রাজু ঝা! তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাতেই কি হত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়লাকাণ্ডে সিবিআইকে বড় কারও নাম বলে দেবেন বলেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে খুন করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সিবিআই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তাঁকে খুন করতে ফিল্মি কায়দায় হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছে। তিনি একসময় শিল্পাঞ্চলে কয়লাপাচারের কিংপিন ছিলেন। বেআইনি কোন রুট ধরে এই পাচার হত তা তার মুখস্থ ছিল। কোন পুলিশ অফিসার, প্রশাসনিক কর্তা এবং রাজনৈতিক নেতার কাছে কত নজরানা যেত তা তাঁর নখদর্পণে ছিল। কয়েকদিন আগেই তাঁর ওপর হামলার (Attack) ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান। তবে, এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকার ঠিক আগেই তাঁকে খুন করা হল। স্বাভাবিকভাবে কয়লাপাচারকাণ্ডে তিনি অনেকের জড়িত থাকার নাম বলে দিতে পারতেন। আর তাই পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহল মনে করছে।

    শুটআউটের আগে লতিফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন?

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফের ভালো সম্পর্ক ছিল। বহু বছর ধরেই তাঁরা বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। লতিফের বাড়ি ইলামবাজার। তাঁর সঙ্গে এনামূল হকের ভাল সম্পর্ক ছিল। অন্ধকার জগতে সকলেই লতিফকে এনামূলের ভাই হিসেবেই জানত। জানা গিয়েছে, এই লতিফের দুধ সাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। আর নুরুল হোসেন নামে একজন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার (Attack) সময় রহস্যজনকভাবে লতিফ নিজের গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের গাড়ি থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। শক্তিগড় স্টেশনের কাছ থেকে গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার আগেই লতিফ কেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কে এই রাজু ঝা?

    রাজু ঝা-র আদি বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। এলাকার তার আসল নাম রাজেশ ঝা। তিনি দুর্গাপুরে রাজু ঝা নামেই পরিচিত। রাজুর উত্থান রানিগঞ্জ থেকে। রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি সনাতন বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে, সরজু উপাধ্যায় নামে এক কয়লা কারবারের দলে সে নাম লেখায়। পরবর্তী সময়ে কয়লার ট্রাকের খালাসি হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তাঁর কাজ ছিল। সরজুকে খুন করা হয়। নয়ের দশকে কয়লা মাফিয়া হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাম জমানা থেকে কয়লা-মাফিয়া হিসেবে দাপিয়ে রাজত্ব করেছেন তিনি। ২০১১ সালের আগে, খনি অঞ্চলে প্রায় দেড় দশক ধরে অবৈধ কয়লার কারবারে রাজুর নাম ছিল প্রথম সারিতে। অণ্ডাল থেকে ডানকুনির আগে পর্যন্ত তাঁর অবৈধ কয়লার কারবার চলত। তবে ২০১১ সালে সরকার বদলের পাশাপাশি তাঁর সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।

    বীরভূমের বিভিন্ন থানাতে বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। কয়লা কারবারের রাজত্ব হাতছাড়া হতে তিনি ধীরে ধীরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রয়েছে তাঁর একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, পার্কিং প্লাজ়া, শাড়ির দোকান। দুর্গাপুরের বিধাননগরে তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ বিলাসবহুল একটি বাড়িও করেন। এরপর রাজু ঝা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের একটি সভায় বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বেশ কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন এলাকায় ফিরে দাদাগিরি ট্যাক্স জারি করেছিল। তাতে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চটে গিয়েছিলেন। অন্ডালের এক মাফিয়ার রাজত্বে তিনি থাবা বসাচ্ছিলেন। ফলে, তাঁর সঙ্গে একটা শত্রুতা তৈরি হয়েছিল। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থা কয়লাপাচার কাণ্ডে ডেকে পাঠানোর আগেই তাঁর এই খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share