Tag: saktipur

saktipur

  • Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” বক্তব্য রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই ভিডিও রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল বিধায়কের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। এবার “হিন্দু বিদ্বেষমূলক” মন্তব্য করার অভিযোগে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছিলেন হুমায়ুন?

    পয়লা মে সন্ধ্যায় শক্তিপুরের তৃণমূলের নির্বাচী সভায় হুমায়ুন কবীরকে বলতে শোনা যায়, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি’।

    বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল

    গত ১ মে সন্ধ্যার ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুক্রবার ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখেছে’।

    হুমায়ুনের ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    হুমায়ুন কবীরের ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “শক্তিপুরে বুথ ওয়ার্কার সম্মেলনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আমি যদি বিজেপিকে ভাগীরথী নদীতে না ফেলতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি তোমাদের শক্তিপুর এলাকায় থাকতে দেব না (এই এলাকার বেশিরভাগ হিন্দুরাই উদ্বাস্তু। ধর্মীয় উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা হলেন সংখ্যালঘিষ্ঠ। মাত্র ২৮%। আর তাঁদের এসব কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ভাবুন যদি গোটা বাংলায় তাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কী হবে। পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি এখন আরও নীচে নেমে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের থেকেও খারাপ দশা বাংলার হিন্দুদের। এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস কি উনি দেখাবেন? যে সকল বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়ান, তাঁরা কি এবার একটাও শব্দ বলবেন?”

    </


    >

    হুমায়ুনের নামে শক্তিপুর থানায় অভিযোগ বিজেপির

    বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করেছেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুল বিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “গত ১ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। তিনি ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    Yogi Adityanath: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভার শক্তিপুরে রামভক্তদের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল। বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি দোকান লুট করেছিল। বোমাবাজি করেছিল এলাকায়। এলাকায় দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এবার সেই শক্তিপুরের প্রতাপ সিংহের মাঠে জনসভায় বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

    দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা (Yogi Adityanath)

    মঙ্গলবার জনসভা থেকে যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, সাত বছর আগে উত্তরপ্রদেশের হাল বাংলার মতোই ছিল। আমি আসার পর সব ঠিক করে দিয়েছি। আর সেখানে রাম নবমীতে কোনও দাঙ্গা হয় না। কার্ফু লাগাতে হয় না। এখানে এসে শুনলাম রাম নবমীর দিন হামলা হয়েছিল।  আমার উত্তরপ্রদেশ হলে দাঙ্গাকারীদের উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, আগামী সাত প্রজন্ম দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না। উত্তরপ্রদেশে আমি আসার আগে মাফিয়া রাজ চলত। আজ সেগুলি অতীত, আমি আজ এখানে এসেছি এটাই বলতে বাংলার এই দাঙ্গা, যে বাংলা রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা, যে বাংলায় সম্প্রীতির বাংলা সেই বাংলায় কেন আজ এত দাঙ্গা, অবিলম্বে এই দাঙ্গা বন্ধ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: সোমবার রাজ্যের উষ্ণতম ছিল কলাইকুন্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    সোনার বাংলা হবে

    যোগী (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলার সন্তান স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেছিলেন, গর্ব করে বলো আমি হিন্দু। আর আজ সেই বাংলাকে  হিন্দু বিহীন করার চক্রান্ত চলছে। এই বাংলায় আজ কংগ্রেস, তৃণমূল নাটক শুরু করেছে। আর বাংলার বাইরে গিয়ে তারা এক হচ্ছে। এদেরকে চিনে রাখুন নাহলে সমূহ বিপদ। যদি উত্তরপ্রদেশের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতে পারে, কেন এই বাংলায় মানুষের মধ্যে এত বিরোধ। বাংলাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লুণ্ঠনকারীদের হাত থেকে আপনারা সবাই বাঁচান এবং মানুষ আজ যেভাবে উত্তরপ্রদেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে, আমি কথা দিচ্ছি এই বাংলায় কোনও দাঙ্গা হবে না বাংলা আবার তার পুরনো সংস্কৃতি ফিরে পাবে। সোনার বাংলা হবে।

    কেন্দ্রের সব সুবিধা পায় উত্তরপ্রদেশ, বাংলা কেন বঞ্চিত?

    তিনি (Yogi Adityanath) আরও বলেন, এই বাংলা সংস্কৃতি এবং সভ্যতার এক নতুন দিশা দেখিয়েছিল। ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক নতুন আলো দেখাচ্ছিল। আজ সেই বাংলার কেন দিশাহীন  অবস্থা? যে বাংলায় মা দুর্গার পুজো হয়, সেই বাংলায় কী করে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে, সে প্রশ্ন আমি আজ বহরমপুর থেকে বাংলার সরকারের কাছে রাখছি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই দুজনেই এক থালায় খাওয়া লোক। এই দুই দল বাংলাকে লুটার জন্য, আর ভারতকে বদনামের জন্য এক। কেন্দ্রের সমস্ত পরিষেবা ইউপি সরকার পাচ্ছে বাংলায় তা পাঠানো সত্ত্বেও কেন বাংলার মানুষ আজ বঞ্চিত হচ্ছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: এগরায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আটক ৪ রামভক্ত, প্রতিবাদে সরব অগ্নিমিত্রা

    Ram Navami 2024: এগরায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, আটক ৪ রামভক্ত, প্রতিবাদে সরব অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের মতো পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রায় হামলা চালানোর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুষ্কৃতী হামলার জেরে ৪ জন রামভক্ত জখম হন। এরপরই এলাকায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ram Navami 2024)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এগরায় রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রার আয়োজন করে উদ্যোক্তারা। শোভাযাত্রায় ব্যাপক জমায়েত হয়েছিল। শোভাযাত্রা যখন এগরার কলেজ মোড় দিয়ে যাচ্ছিল, তখন মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আর শোভাযাত্রার মধ্যে পাথর ছোড়ার কারণে চারজন রাম ভক্ত জখম হন। এরপরই দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধার উপক্রম হয়। এদিকে শোভাযাত্রায় হামলার খবর পেয়ে দ্রুত স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে, উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। এরই সঙ্গে কাঁদানের গ্যাসে শেল ফাটানো হয় সেখানে। এদিকে হিংসার অভিযোগে শোভাযাত্রায় সামিল চারজন রামভক্তকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় এগরা থানায়।

    হামলাকারীদের আটক না করে রামভক্তদের আটক!

    এগরা বিধানসভা মেদিনীপুর লোকসভার অধীনে। এই ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপির মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল থানায় যান। এগরা থানার পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, ‘পুলিশ দুষ্কৃতীদের আটক না করে রামভক্তদের আটক করেছে।’ এরপর ধৃতদের ছাড়ার দাবিতে এগরার ত্রিকোণ পার্কে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অবরোধ চলে। বেলদা-কাঁথি রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: খাসতালুকে অধীরকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, মেজাজ হারিয়ে বিজেপির ওপর হামলা

    Ram Navami 2024: খাসতালুকে অধীরকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, মেজাজ হারিয়ে বিজেপির ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েকদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী মেজাজ হারিয়েছিলেন। এবার শক্তিপুরে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রায় গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে আক্রান্তদের হাসপাতালে দেখতে এসে ফের মেজাজ হারালেন তিনি। শুধু মেজাজ হারানো নয়, বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলেন। যা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ram Navami 2024)

    রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শক্তিপুর। হামলায় বেশ কয়েকজন জখম হন। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মালদা থেকে নির্বাচনী প্রচার সেরে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী জখমদের দেখতে সোজা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেই সময় সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। হিন্দুদের ওপর এভাবে হামলা হচ্ছে কেন, তা অধীর চৌধুরীর কাছে জানতে চান বিজেপির জেলা সভাপতি। অধীর কথা না বলে মেজাজ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অধীরের সঙ্গে থাকা অন্যান্য কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপি জেলা সভাপতির ওপর চড়াও হন। তাঁর মুখে কিল, ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতির মুখে চোট লাগে।

    আরও পড়ুন: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, অধীর চৌধুরী মাদ্রাসায় গিয়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার কারণে আজকে এই  রাম নবমীর (Ram Navami 2024) অশান্তি। মুর্শিদাবাদে প্রতি বছর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যের মধ্যে উৎসব হয়েছে। কোনও ধর্মের বিদ্বেষ ছিল না। হিন্দুরা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অধীরবাবুর কাছে জানতে গিয়েছিলাম। তখনই আমার ওপর হামলা চালানো হয়। উনি এখন বাজারের দু হাজার টাকার নোট, অচল। ওনার দাদাগিরি মানুষ মেনে নেবে না। এইসব দাদাগিরির প্রতিফলন পড়বে ভোটের ইভিএমে।

     কংগ্রেস প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    অধীর চৌধুরী বলেন, আক্রান্তদের সঙ্গে আমি দেখা করতে এসেছি, আমাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। আমি সমস্ত বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। শক্তিপুর থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার জন্য বলেছি। আর কাউকে কোনও মারধর করা হয়নি। আমাকে রাস্তা দিয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিল, তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    Ram Navami 2024: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর (Ram Navami 2024) মিছিলে দুষ্কৃতীদের পাথর ছোড়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার একাধিক এলাকা। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা বেপরোয়াভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী রাম নমবীর মিছিল দেখতে বাড়ির গৃহবধূর এলে তাঁদেরও রেয়াত করা হয়নি। তাঁদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শক্তিপুরের পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের খাসতালুক মানিক্যহার, পলিতাপাড়ায় দুষ্কৃতীরা দোকান, বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশও আক্রান্ত হয়। পুলিশ আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ram Navami 2024)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শক্তিপুর রাম নবমী (Ram Navami 2024) উৎসব উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে রাম নবমী উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় ভিড় উপচে পড়েছিল। শোভাযাত্রাটি যখন শক্তিপুর হাইস্কুল মোড় পেরিয়ে কিছুটা বাজারসৌর দিকে আসতে শুরু করে, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী হঠাৎই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাম নবমী উপলক্ষে এই মিছিলের আগে ও পিছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও দুষ্কৃতীরা ঢিল-পাথর ছোড়া থেকে বিরত হয়নি। এরপর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই এলাকাতে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এরপর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়ে যায়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় আপত্তি, কমিশনে অভিযোগ করলেন সুকান্ত

    পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, আক্রান্ত ওসি

    শক্তিপুরের গন্ডগোলের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বাড়ির সামনে মানিক্যহার এলাকায় একাধিক দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পলিতাপাড়ায় দুষ্কৃতীরা জমায়েত করে থাকে। সেখানে পুলিশের বিশাল বাহিনী যায়। লাঠিচার্জ করে পুলিশ জমায়েত সরাতে গেলে পুলিশের গাড়়ি ভাঙচুর করা হয়। শক্তিপুর থানার ওসি রাজু মুখোপাধ্যায় জখম হন। ওই এলাকায় একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি মন্দিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। কাজিপাড়া এলাকাতেই গন্ডগোল বাধে। পরে, বিশাল বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চায়না মাহান্ত সহ সাত জন জখম হয়েছেন। চারজন শক্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর চায়না মাহান্ত সহ তিনজন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলার প্রায় সমস্ত শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    আক্রান্ত পরিবারের সদস্য কী বললেন?

    সঞ্জয় মাহান্ত নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার মা রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রা দেখতে গিয়েছিল। সেই সময় গন্ডগোল বাধে। এরপরই মায়ের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। মা রাস্তায় পড়ে গেলে অনেকে মায়ের শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়। মায়ের শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

    Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই তৃণমূলের পতাকা গাড়িতে রেখে গরু পাচার (Smuggling) করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সোদপুরে বিটি রোডে ট্রাফিক মোড়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ট্রাকে বিশ্ব বাংলা লোগোর কুপন  ব্যবহার করে দেদার বালি পাচার (Smuggling)  করছে বালি মাফিয়ারা। বিরোধীদের বক্তব্য, গরু পাচারকারী, বালি মাফিয়ারা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা, বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করলে পুলিশ তাদের ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বালি বোঝাই গাড়়ি আটকাতেই আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বালি গাড়ির চালকের কাছে থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি।

    কীভাবে এই জালিয়াতি ধরল প্রশাসন? Smuggling

     গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার (Smuggling)  রুখতে সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওভারলোড আটকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় অভিযান চালানোর সময় সন্দেহ হওয়ায়  শক্তিগড়ে একটি  বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাককে আটকানো হয়। তাতে গাড়ির চালক আধিকারিকদের সামনে রীতিমতো মেজাজ দেখায় বলে অভিযোগ। তার কাছে সরকারি অনুমতি আছে বলে সে দাবি করে। কারণ, বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন থাকলে কেউ ধরবে না, তা আগেই জানত ওই চালক। তাই, সে প্রশাসনের আধিকারিকদের কিছুটা মেজাজও দেখিয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ওই কুপন দেখায়।  আধিকারিকরা বুঝতে পারে, সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো। গাড়িটি তারা আটক করে। আর বালি বোঝাই ট্রাকটি বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। ফলে, আশপাশের জেলাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো বিশ্ববাংলা লোগো বসানো প্যাড বানানোর মূল পান্ডাকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বসিরহাটের এক ব্যক্তি এই ভুয়ো প্যাড তৈরি করেছিল। সে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা এক বালি মাফিয়ার হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি বালি মাফিয়াকে জানায়, যে এই  বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন দেখালে কোন জায়গায় পরিবহণ দপ্তর বা পুলিশ তাদের গাড়ি আটকাবে না।

    এই বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।  বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই (Smuggling)  তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  দেবু টুডু বলেন, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে।  বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share