Tag: Samik Bhattacharya

Samik Bhattacharya

  • West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    West Bengal: গত পাঁচ বছরে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে ২,২৭৭টি কোম্পানি! শমীকের প্রশ্নে বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। ছোট-বড়-মাঝারি শিল্পপতিরাও আসছেন। সরকারি পয়সায় মোচ্ছবও হচ্ছে। তবে ক’টা শিল্প হয়েছে তৃণমূলের জমানায়, তা জানা যায়নি (Companies Left)। দু’-একটা স্পঞ্জ আয়রন কারখানা হওয়ার কথা থাকলেও, সেগুলির কী হাল, তাও জানা যায়নি। রাজ্যের এহেন ‘শিল্পছবি’র গায়ে লাগল কেলেঙ্কারির কালো রং।

    পাততাড়ি গুটিয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান 

    জানা গিয়েছে, মমতা জমানার (Mamata Banerjee) শেষ পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে ২ হাজার ২৭৭টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩৯টি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিও রয়েছে। রাজ্যসভার একটি প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানানো হয়েছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) এক প্রশ্নের উত্তরে এ খবর জানায় কর্পোরেট বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। শমীকের প্রশ্ন ছিল, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কি এই কোম্পানিগুলির স্থানান্তরের কারণ নির্ধারণ করেছে এবং ব্যবসা আকৃষ্ট ও ধরে রাখার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে? উত্তরে, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়— প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, খরচ-সাশ্রয় এবং উন্নত নিয়ন্ত্রণ-সহ আরও কিছু কারণে এই স্থানান্তর ঘটেছে।

    শমীকের প্রশ্ন

    শমীকের (Shamik Bhattacharya) প্রশ্ন, (ক) কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী কি অনুগ্রহ করে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড কার্যালয় স্থানান্তরিত করা কোম্পানিগুলির মোট সংখ্যা, (খ) সেই কোম্পানিগুলির মধ্যে কতগুলি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত এবং তারা মূলত কোন খাতে অন্তর্ভুক্ত, (গ) সরকার কর্তৃক চিহ্নিত স্থানান্তরের কারণ, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোনও অসুবিধা বা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করা হয়েছে এবং (ঘ) এই সমস্যাগুলির সমাধান ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা ধরে রাখা এবং আকৃষ্ট করার জন্য সরকার গ্রহণ করা পদক্ষেপগুলি জানানোর জন্য সম্মতি প্রকাশ করবেন (Mamata Banerjee)?

    মন্ত্রকের জবাব

    মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে অন্যান্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরিত করেছে ২২২৭টি কোম্পানি। (খ) উপরে উল্লিখিত ২২২৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলি উৎপাদন, অর্থায়ন, কমিশন এজেন্ট, বাণিজ্যিক কার্যক্রম ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। (গ) ও (ঘ) কোম্পানিগুলিকে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কোম্পানি আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৩(৪) এবং কোম্পানি (ইনকর্পোরেশন) বিধি, ২০১৪-এর রুল ৩০ অনুসারে। কোম্পানিগুলি তাদের আবেদনপত্রে রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তরের কারণ হিসেবে প্রশাসনিক, কার্যকরী সুবিধা, ব্যয় সাশ্রয়, ভালো নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উল্লেখ করেছে।

    আরও পড়ুন: ফড়ণবীশেই সিলমোহর, বৃহস্পতিতে জমকালো অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ দেবেন্দ্রর

    সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ নেই

    উল্লেখ্য যে, ভবিষ্যতে এমন কোম্পানিগুলির স্থানান্তর প্রতিরোধে সরকারের নীতিগুলির উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে, বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে থাকা এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কো-ইনচার্জ অমিত মালব্যও এই তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্পোরেট স্থানান্তরের রিপোর্ট কার্ড এবং একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটা বিশাল বিপর্যয়, তার উদাহরণ। তিনি বলেন, এটি একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা, যা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) চাকরি, ব্যবসা এবং শিল্প বৃদ্ধির অভাবের করুণ ছবি তুলে ধরে। এই তথ্যটি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক দিয়েছে। বিজেপির দাবি, রাজ্যের বর্তমান সরকার শিল্পবিরোধী এবং এই উন্নয়ন তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনের জন্য বড় অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদলকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, ধৃত হামলাকারী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে (Bangladesh Issue) সংসদে তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য, জগন্নাথ সরকার। রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ‘বাংলায় ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে বাংলাদেশিরা’ এমনই মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই সেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। মঙ্গলবার সাংসদে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ই রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা তুলে মমতা সরকারের বিপক্ষে গর্জে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল, এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য।

    রাজ্য সরকার মদতে অনুপ্রবেশ

    রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্ন, “বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে। মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আর্থিক তছরুপ হচ্ছে, রাতের বেলা ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলামে। কাঁটাতারের বেড়া মধ্যে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। এপারে এসেও শান্তি নেই। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি মদতেই হচ্ছে। তছনছ হচ্ছে সরকারি সম্পদ। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। বেলডাঙা, হাওড়া, উলুবেড়িয়ার মতো জায়গায় সরকারি মদতে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকারি মদতে। রাজ্য সরকার মদত দিচ্ছে হাওড়া উলুবেড়িয়ায় সন্ত্রাস হতে।” জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে বলেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। হুগলি, হাওড়া, নদিয়ার কিছু অংশেও একই সমস্যা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রথম থেকেই বাংলার শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিএসএফ-কেই দায়ী করে এসেছে। এক্ষেত্রেও তারা বল ঠেলেছে মোদি সরকারের দিকেই। এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর আবেদন করুক কেন্দ্র।” 

    ভোটবাক্সের রাজনীতি

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, রাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় মমতা সরকারের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য। রোহিঙ্গারা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছে, অথচ রাজ্যের সরকার কিছু করছে না বলে দাবি করেন তিনি। শমীক বলেন, ‘‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ভারত সরকারের পরমাণু বিভাগের অধীনে রয়েছে। এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র হাই সিকিওরিটি জোন বলে বিবেচিত হয়। অথচ উত্তরের দেওয়ালের বাইরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। সব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা এমন এক রাজ্যে রয়েছি, যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানানো হয়। দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাই। পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে রোহিঙ্গারা বসে থাকলে, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। পুলিশের কাছে চার চার বার গেলেও সে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যের সরকারের জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশে অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের কথা পরে হবে। প্রতিদিন যে অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা যে প্রশ্নের মুখে, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার।’’ ভোটবাক্স ধরে রাখতে রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে বলেও দাবি করেন শমীক।

    অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের নিশানা

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ (Bangladesh Issue) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সরকারকে নিশানা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। শাহের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদীনালা রয়েছে, কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। রাজ্যের ভূমিরাজস্ব দফতর, অনুপ্রবেশের সময় কী করে? জেলাশাসকেরাই বা কী করছেন? পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানানো হচ্ছে না?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    Madhyom: জামিন পেলেন ‘মাধ্যম’-এর দুই সাংবাদিক, পুলিশি হানায় সরব সুকান্ত-শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়ার দুই সাংবাদিককে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। বুধবার দুই সাংবাদিককে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন। ঠিক কী হয়েছিল মঙ্গলবার? সম্প্রতি কালীপুজোয় দক্ষিণদাড়িতে একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া ঘটনার প্রতিবেদন মাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করে মঙ্গলবার ‘মাধ্যম’ কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসে তল্লাশি অভিযানে চলে আসে। দীর্ঘ জেরার পর দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন দুজনই আদালতে জামিন পেয়ে যান।  

    কড়া সমালোচনা করলেন সুকান্ত? (Madhyom)

    এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে ‘মাধ্যম’ (Madhyom) ডিজিটাল মিডিয়া অফিসে পুলিশি হানা নিয়ে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ গণতন্ত্রের ওপর হামলা। মাধ্যম অফিসে পুলিশি হানা, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করার ঘটনা জরুরি অবস্থার শামিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা থাকলে জরুরি অবস্থা জারি করে দিতেন। উগ্রপন্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা উচিত। কিন্তু, এই রাজ্যে তা আমরা করতে দেখিনি। মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টান্তমূলক আদেশ দেওয়া হোক, যাতে পুলিশ এই ধরনের কাজ করতে না পারে। এটা পুলিশ অপরাধ করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া দরকার।”

    কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

    এই ঘটনা (Madhyom) নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ছে। দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় রাজ্যের এক মন্ত্রীর বাড়়ির কাছে কালী মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটি মাধ্যমের সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলেন। আগুন জ্বলছে, পাথর ছোড়া হচ্ছে। সেই প্রকৃত সত্য ঘটনাটি পোস্ট করা কি অপরাধ? তারপর পুলিশ ওই মিডিয়ার অফিসে হানা দেয়। দুজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। এদিন আদালতে সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালতের ওপর মানুষের ভরসা রয়েছে। বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে। ’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share