Tag: Samudrayaan Mission

Samudrayaan Mission

  • Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4)। ওই অভিযানে চাঁদের পাথর, মাটির নমুনা নিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। একইসঙ্গে, ‘গগনযান’ (Gaganyaan Mission) ও ‘সমুদ্রযান’ (Samudrayaan Mission) মিশনের সময়ও ঘোষণা করেন তিনি। ফলে, আগামী তিন বছর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সময় আসতে চলেছে (ISRO Future Projects)।

    চাঁদের পাথর-মাটি নমুনা সংগ্রহ

    জিতেন্দ্র জানান, চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযানে প্রথমবার ব্যবহার করা একটি নয়, দুটি হভি লিফ্ট এলভিএম ৩ রকেট (LVM3 Rocket)। দুই ভারী রকেটে করে পাঠানো হবে এই মিশনের জন্য প্রয়োজন পাঁচটি বিভিন্ন অংশকে। সেগুলি দুটি ভাগে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে সেখানে জুড়বে। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসা। অন্যদিকে, গগনযান অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিতেন্দ্র জানান, আগামী বছর মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। ওই মিশনে পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে চার ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। শুধু মহাকাশ নয়, সমুদ্রের গভীরেও বিশেষ অভিযান চালাবে ইসরো। সেটাও আগামী বছরেই। জিতেন্দ্র জানান, মিশন সমুদ্রযান-এর মাধ্যমে তিনজন বিজ্ঞানী বিশেষভাবে নির্মিত সাবমার্সিবল (ডুবো) ভেসেলে চেপে সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে গিয়ে গবেষণা চালাবেন। সিং বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশের এই অগ্রগতি বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভারতকে একাসনে বসাবে।’’

    সমুদ্রযান অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম

    গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সমুদ্রযানের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন জিতেন্দ্র জানান, সমুদ্রযান অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হল সমুদ্রতলের মূল্যবান সম্পদ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের উন্মোচন করা যা আখেরে ভারতের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্যপূরণের জন্য অপরিহার্য। গগনযান মিশন নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, চলতি বছর এই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে দেশে তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট ‘বিয়োমিত্র’-কে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এর পর, সামনের বছর মানব-অভিযান সম্পন্ন করা হবে (ISRO Future Projects)।

    মোদি জমানায় মহাকাশ সেক্টরে বিপুল উন্নতি

    জিতেন্দ্র সিংয়ের মতে, মোদি জমানায় গত এক দশকে মহাকাশ সেক্টরে (India Space Sector) প্রভূত পরিমাণ উন্নতি করেছে ভারত। পরিকাঠামোগত হোক বা বিনিয়োগ এই ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপকহারে অগ্রসর হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ইসরো (ISRO) গঠন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর দুদশক পার করার পর ১৯৯৩ সালে দেশে প্রথম লঞ্চপ্যাড (রকেট উৎক্ষেপণের প্ল্যাটফর্ম) গড়ে তোলে ভারত। দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ‘‘এখন ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আমরা প্রথমবার তৃতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ করছি। পাশাপাশি, শ্রীহরিকোটার চাপ কমাতে এবং ছোট রকেট উৎক্ষেপণের জন্য তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে নতুন উৎক্ষেপণকেন্দ্র গড়ে তুলছি।’’

    দেশের মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগর জোয়ার

    বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতির মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই গতিতে চললে, আগামী এক দশকে তা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। আর তেমনটা হলে, মহাকাশ-শক্তিধর হিসেবে বিশ্বের হাতে গোনা দেশগুলির সঙ্গে একই সরণিতে চলে আসবে ভারত। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, মোদি জমানায়, এই মহাকাশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বহু বেসরকারি সংস্থাও। যার ফলে, এখন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের জোয়ার চোখে পড়ছে (ISRO Future Projects)।

  • Matsya 6000: গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে প্রস্তুত ‘মৎস্য-৬০০০’, কবে ডুব দেবে সাগরে?

    Matsya 6000: গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে প্রস্তুত ‘মৎস্য-৬০০০’, কবে ডুব দেবে সাগরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সমুদ্রের অতল গহ্বরে লুকিয়ে রয়েছে কোন রহস্য, তা জানতে এবার সমুদ্র অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত সমুদ্রযান ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) মহাসাগরের প্রায় ৬ হাজার মিটার গভীরে পাড়ি দেবে। এই ডুবোজাহাজে থাকবেন তিনজন যাত্রী। কোন গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে সমুদ্রের তলায়, তারই সন্ধান চালাবে এবার সমুদ্রযান। মূল্যবান ধাতু, খনিজ পদার্থ যেমন কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজের খোঁজ চালাবে ‘মৎস্য-৬০০০’। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ডুবোজাহাজটি খোঁজ চালাবে কেমোসিনথেটিক বায়োডাইভারসিটির অর্থাৎ ৬০০০ মিটার নিচে ঠিক কেমন রয়েছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র তারই অনুসন্ধান করবে ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)। এর পাশাপাশি অতল গহ্বরে মিথেন গ্যাসেরও সন্ধানে চালাবে এই জুবোজাহাজ। জানা গিয়েছে ২০২১ সাল থেকেই এই সমুদ্রযান তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে এবার পরীক্ষামূলক ভাবে তা সমুদ্রে নামানো হবে। ২০২৪ সালে এই সাবমেরিনকে নামানো হবে বঙ্গোপসাগরে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে বিস্ফোরণে ফেটে যায় টাইটান ডুবোজাহাজ।তারপরে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) এর নির্মাতারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সমুদ্রযানকে গড়ে তুলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা।

    সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর

    ইতিমধ্যে এই সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘সমুদ্রের তলায় ৬ কিমি নীচে নামতে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সমুদ্রের জীববৈচিত্রকে কোনওভাবেই ক্ষতি করবে না ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)।’’ কিরণ রিজিজুর পোস্টে তাঁকে সাবমেরিনের ভিতরেও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    ডুবোজাহাজের খুঁটিনাটি

    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির তৈরি এই ডুবোজাহাজ ৮০ মিলিমিটার পুরু টাইটেনিয়ামের পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই সাবমেরিন জলের চাপের থেকেও ৬০০ গুণ বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই যান জলের অতল গভীরে একটানা ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। ডুবোজাহাজে (Matsya 6000) থাকা ব্যক্তিরা মোট ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন সাপ্লাই পাবেন। সর্বক্ষণ এই যানের তদারকির জন্য থাকবে একটি জাহাজ। সেই জাহাজ থেকেই সাবমেরিনটি জলে ওঠা নামার কাজ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share