Tag: sanatan

sanatan

  • Ghar Wapsi: ঝাড়খণ্ডে ‘ঘর ওয়াপসি’! হাজারীবাগ ও সুকমায় সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন ১৫০ জনের

    Ghar Wapsi: ঝাড়খণ্ডে ‘ঘর ওয়াপসি’! হাজারীবাগ ও সুকমায় সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন ১৫০ জনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের হাজারীবাগ জেলায় অনুষ্ঠিত হল ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) অনুষ্ঠান। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা শতাধিক লোক, হিন্দু সনাতন (Hinduism) ধর্মে পুনরায় ফিরে এসেছেন। মোট ৮১টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরলেন। বাদকাখুর্দ পঞ্চায়েতের অধীনে ছয়টি গ্রামের ৬৭টি পরিবারের মোট ১২০ জন একটি যজ্ঞের পরে সনাতন ধর্মে ফিরে এসেছেন। আবার সুকমায় ১৪টি পরিবারের ৩০ জনেরও বেশি লোক হিন্দুধর্মে ফিরে এসেছেন। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের বিশিষ্ট সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পর গ্রামবাসীরা তাঁদের পবিত্র গঙ্গাজল দিয়ে পা ধুয়ে স্বাগত জানান এবং অনুষ্ঠানের সময় বস্ত্র উপহার দিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিশ্বহিন্দু পরিষদ এই ‘ঘর ওয়াপসি’-কে স্বাগত জানিয়েছন।

    প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল (Ghar Wapsi)

    জানা গিয়েছে, হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তনকারীরা (Ghar Wapsi) আগে সনাতন (Hinduism) ধর্মাবলম্বী ছিলেন। কিন্তু একাধিক খ্রিস্টান মিশনের প্রভাবে বিভ্রান্ত হয়ে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। যদিও, পরবর্তীকালে তাঁরা স্বীকার করেন, সেই সময়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা ভুল পদক্ষেপ ছিল। অনেক দিন ধরেই মূল হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন তাঁরা। অবশেষে তাঁদের বাসনা পূর্ণ হওয়ায় খুশি ব্যক্ত করেন। মূল ধর্মে ফরে তাঁরা জানিয়েছেন, খ্রিস্টান ধর্মগ্রহণ করার সময় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু ধর্মান্তরিত হওয়ার পর শীঘ্রই অনুতপ্ত হতে শুরু করেন তাঁরা। বাকি পরিবারের সদস্যরা, তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাতে শুরু করেছিল। ভুল সিদ্ধান্তে সমাজ থেকে চ্যুত হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।

    সুকমায় ১৪টি পরিবারের হিন্দু ধর্মে প্রত্যাবর্তন

    আবার সুকমায় অনুষ্ঠিত আরও এক ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi) অনুষ্ঠানে ১৪টি পরিবারের ৩০ জনেরও বেশি লোক হিন্দুধর্মে ফিরে এসেছেন। যাঁরা সনাতন ধর্মের স্রোতে ফিরে এসেছেন তাঁরা সুকমার সোদিপাড়ার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। প্রত্যাবর্তনকারীরা কিছু মিশন গ্রুপের প্রভাবে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। গ্রামের স্থানীয়রা প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান করে স্বাগত জানান তাঁদের। ‘গঙ্গাজল’ ছিটিয়ে এবং কপালে ‘তিলক’ লাগানো হয়। উল্লেখ করা উচিত, অবৈধ ধর্মান্তর সম্পর্কিত নানা প্রতিবেদন উপজাতি-অধ্যুষিত ২ রাজ্য — ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড় থেকে বারবার সামনে আসছে, যা দেশের কাছে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ।

    আরও পড়ুনঃমাদ্রাসা থেকে উদ্ধার জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম! মিলেছে ভুয়ো আধারের সন্ধানও

    স্বাগত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    হিন্দু ধর্মে (Ghar Wapsi) ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বনসল। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক ধর্মান্তরকরণ চলছে, হিন্দু বিরোধী ধর্মপ্রচারকদের সাম্রাজ্য চলছে। জোড়া সমস্যার সম্মুখীন রাজ্যটি। একদিকে, অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তো অন্যদিকে হিন্দু বিরোধী ধর্মপ্রচারকদের আক্রমণ। এখনই সময় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে এই সব গতিবিধিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    Gaumutra States Row: “গোমূত্র রাজ্যে জয়ী বিজেপি”, মন্তব্য ডিএমকের, “সনাতন ধর্মের অপমান”, বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সনাতন ধর্মকে বেনজির আক্রমণ। এবারও কাঠগড়ায় সেই ডিএমকে। সনাতন ধর্মের অপমানের (Gaumutra States) জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ, বলছে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হিন্দি বলয়ে চোখ ধাঁধানো ফল করেছে বিজেপি। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তিন রাজ্যেই গোহারা হেরেছে কংগ্রেস।

    ইন্ডি জোটে রয়েছে ডিএমকে

    এই কংগ্রেস আবার বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোটের প্রধান স্তম্ভ। এই জোটে রয়েছে ডিএমকেও। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির জয়ে গায়ে ফোস্কা পড়ার জোগাড় ডিএমকের। আজ, মঙ্গলবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ডিএমকে সাংসদ সেন্থিলকুমার এস বলেন, “মূলত হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে জেতে বিজেপি। যে রাজ্যগুলিকে আমরা গোমূত্র রাজ্য (Gaumutra States Row) হিসেবে বিবেচনা করি। তোমরা কোনওদিন দক্ষিণে আসতে পারবে না। ওখানে আমরা খুব শক্তিশালী।” তিনি বলেন, “আপনারা যদি ওই সব রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে চান, তবে আমরা অবাক হব না। একমাত্র এই উপায়ে রাজ্যগুলির ওপর প্রভাব খাটাতে পারবেন আপনারা। কারণ ওই রাজ্যগুলিতে সরাসরি ক্ষমতা দখলের স্বপ্নপূরণ হবে না আপনাদের।”

    কী বলছে বিজেপি?

    ডিএমকে সাংসদের এহেন মন্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি বলেন, “এটা সনাতন ধর্মের বড়সড় অপমান। যাঁরা দেশের মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে ছেলেখেলা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে যোগ্য জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ।” পদ্ম সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, “বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কষ্ট হচ্ছে বিরোধীদের। তাই বিকৃত মন্তব্য করা হচ্ছে।” এর আগেও একাধিকবার সনাতন ধর্মকে আক্রমণ শানিয়েছে ডিএমকে।

    সেপ্টেম্বর মাসেই স্ট্যালিন মন্ত্রিসভার সদস্য তথা জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা উদয়নিধি চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলার এই অনুষ্ঠানে আমায় আমন্ত্রণ জানানোয় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। সনাতন ধর্মের আদর্শের বিরোধিতা না বলে তাকে নিশ্চিহ্ন করার কথা বলায় অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হল বিরোধিতা নয়, সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা। এই সনাতন প্রথা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরোধী। করোনা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির যেমন বিরোধিতা নয়, তাদের নিশ্চিহ্ন করা প্রয়োজন, তেমনই সনাতন ধর্মের আদর্শকেও মুছে ফেলা দরকার (Gaumutra States Row)।”

    আরও পড়ুুন: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share