Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    Sandeshkhali: নির্যাতিতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে পুলিশি নিরাপত্তা, গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্দেশ কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang Rape Case) অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার এই মর্মে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। এদিন পুলিশ তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাবি তদন্ত এগিয়েছে অনেকটা, দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে  দেশ জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  

    সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ কলকাতা হাইকোর্টে (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে,সন্দেশলখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা গতকাল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ব্লক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে অত্যচার চালিয়েছে তাঁর ওপর। এরপর নির্যাতিতা নিজে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মূল অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি। এমন কী অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, নির্যাতিতাকে (Gang Rape Case) থানায় অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য উল্টে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর নির্যাতিতা ভয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে সুরক্ষা চেয়ে দ্বারস্থ হন।

    আরও পড়ুনঃ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত চিড়িয়াখানার জমি! শুভেন্দুর প্রতিবাদ মিছিলে সায় হাইকোর্টের

    আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই

    শাসক দলের নেতাদের দৌরাত্ম্য নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা (Gang Rape Case) বলেন, “এলাকার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আমি সন্দেশখালি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাকে থ্রেট করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। উল্টে তৃণমূল নেতার হয়ে কাজ করছে। তাই আমি এখন নিরুপায়। অত্যন্ত অসহায়বোধ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি এখন। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত সাজা পাক। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার এখন জেলে থাকার কথা কিন্তু এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। আমি মহামান্য আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    Mamata Banerjee: বদলাচ্ছে স্টার থিয়েটার, নয়া নাম বিনোদিনী, ঘোষণা মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্টার থিয়েটারের নাম বদলে হল বিনোদিনী। সোমবার সন্দেশখালির সভা থেকে নয়া নাম ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “২০২৫ থেকেই স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নাম বদলে যাচ্ছে। বিনোদিনীর নামে নামকরণ করা হবে এই প্রেক্ষাগৃহের।” এই ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বিনোদন জগতে। তবে কেন এই নাম?

    ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন (Mamata Banerjee)

    সোমবার দুপুর ১টার কিছু পরে সন্দেশখালি পৌঁছন মমতা (Star Theater)। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভামঞ্চ থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ এখান থেকে দ্বীপপুঞ্জের সাধারণ মানুষের জন্য ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ৬৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। বর্ধমানের শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের ধাচে সন্দেশখালিতে সন্দেশের হাব তৈরি করা হবে। একইভাবে নাম করণের যথার্থ ইতিহাসকে তুলে ধরতে হবে।”

    স্টার থিয়েটার তো আর বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়

    উল্লেখ্য, বিনোদিনী আর স্টার থিয়েটার (Star Theater) নাম দুটি সমার্থক। দুটি নামই অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। নাট্য জগতে এই নামগুলি এক সময় আলোড়ন ফেলেছিল। প্রশ্ন হল, কেন নাম বদলাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? বর্তমানে যেটি স্টার থিয়েটার, সেটি বিনোদিনীর টাকায় গড়া নয়। বিনোদিনীর স্টার থিয়েটার ছিল বিডন স্ট্রিটে। ১৯২৮ সালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ তৈরি হওয়ার সময় সেটি অবলুপ্ত হয়। কিন্তু বিনোদিনী আর স্টারের নাম-মাহাত্ম্য এমনই যে, পরবর্তী কালে হাতিবাগানে স্টার থিয়েটারের সঙ্গেও মানুষের মনে ভেসে ওঠে বিনোদিনীর স্মৃতি। ফলে মমতার (Mamata Banerjee) ঘোষণায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    কবে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টার থিয়েটার?

    ১৮৮৩ সালে স্থাপিত স্টার থিয়েটারের (Star Theater) নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন বিনোদিনী। কথিত আছে, নটী বিনোদিনীর সময়কালেও তাঁর নামে স্টার থিয়েটারের নামকরণ করার প্রস্তাব আসে। প্রস্তাব দেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ এবং গুরমুখ রায়। কিন্তু শোনা যায়, বিনোদিনী নাকি নিজে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন। মমতার এই ঘোষণাকে কী ভাবে দেখছেন স্টার থিয়েটার কর্তৃপক্ষ? প্রেক্ষাগৃহের তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত খবরটা আমরা শুনিনি। তবে দিদি যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা হলে সেটা নিশ্চয়ই সব দিক বিচার করেই নেওয়া হবে। স্টারের পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত খুশি।’’ তবে  ২০২৫ সালেই মুক্তি পাচ্ছে বিনোদিনী দাসীর জীবনকাহিনী অবলম্বনে বাংলা সিনেমা ‘বিনোদিনী: নটীর উপাখ্যান’। তাতে অভিনয় করছেন দেব ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী রুক্মিণী। তাই নয়া নামকরণের উদ্যোগে রাজনৈতিক স্বার্থ দেখছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    Suvendu Adhikari: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানকাণ্ডের প্রায় এক বছর পরে সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali) পা রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের মাত্র এক দিন পরেই সবন্দেশখালি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগেই উত্তাল হয়েছিল সন্দেশখালি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতি থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে জেলবন্দি শাহজাহান। তাঁকে তৃণমূল থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সময় রাজ্যের তো বটেই জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছিল সন্দেশখালি। বর্ষশেষে মমতা ও শুভেন্দুর সফর ঘিরে আবারও উত্তাল হতে চলেছে সন্দেশখালি। 

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    বছরের শুরুতে নারী নির্যাতন, জমি লুট-সহ নানা অভিযোগে তেতে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandesh Khali)। বছর শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সরকারি কর্মসূচিতে সেখানে যাবেন বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিনই সন্দেশখালিতে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধাননগরে বিজেপির নতুন রাজ্য দফতরের বাইরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) শুক্রবার বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন যান। আমি তার পরের দিন (৩১ ডিসেম্বর) জনসংযোগ কর্মসূচি করব। মুখ্যমন্ত্রীর মতো বড় আয়োজন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু কঠিন সময়ে আমি সন্দেশখালির পাশে ছিলাম। এখনও সেই বার্তাই দিয়ে আসব।” তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে সন্দেশখালিতে তৃণমূল বড় ব্যবধানে জিতলেও গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপি সাড়ে ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে। এই সূত্রেই মমতার সরকারি বিলি-বণ্টন কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে এক কোটি টাকা দিলেও জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না!”

    আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০০ বছর

    জমজমাট সন্দেশখালি

    সন্দেশখালির (Sandesh Khali) একদিকে রয়েছে সুন্দরবনের জঙ্গল, অন্য দিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। তাই বর্ষশেষে মমতা ও শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সফর নিয়ে সন্দেশখালিতে নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সন্দেশখালি সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। তাদের দাবি, যখন সন্দেশখালির মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে চেয়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন না। এখন লোক-দেখানো সফর মমতার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: রেখাকে নিয়ে কুমন্তব্যে নিন্দার ঝড়! চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে হল ফিরহাদ হাকিমকে

    Firhad Hakim: রেখাকে নিয়ে কুমন্তব্যে নিন্দার ঝড়! চাপে পড়ে দুঃখপ্রকাশ করতে হল ফিরহাদ হাকিমকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেখা পাত্রের উদ্দেশে কু-মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মহলে ওঠে নিন্দার ঝড়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ করেছিলেন রেখা পাত্র (Rekha Patra)। সন্দেশখালির রাস্তায় ফিরহাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে চাপের মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথায় ওঁর (রেখার) যদি খারাপ লেগে থাকে, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কোনও নারীকে অসম্মান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।’’ প্রসঙ্গত, বসিরহাটের হাড়োয়া কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে আগামী ১৩ নভেম্বর। বুধবারই সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। অভিযোগ, সেখানেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং লোকসভায় সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রেখার উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

    কী বলেছিলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?

    হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে কলঙ্কিত করেছে বিজেপি, সন্দেশখালির মানুষের নামে কুৎসা রটিয়েছে, দেশের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছে। এখানকার মেয়েদেরও বদনাম হয়েছে। কিছু দিন আগে আমার সন্দেশখালির এক বন্ধুর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। বলে, সন্দেশখালি থেকে মেয়ে আনলে পাড়ার লোকে বলবে, সে মেয়ে পবিত্র নয়।’’ এর পরে রেখার (Rekha Patra) উদ্দেশে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেন ফিরহাদ, এমনটাই অভিযোগ।

    গতকালই প্রতিবাদে নামেন সন্দেশখালির মহিলারা

    এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রেখার নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল করেই থানায় যান তাঁরা। সেখানে রেখা পাত্র বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী (Firhad Hakim) যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সন্দেশখালির মা-বোনেদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ জমা দিতে এসেছি। মন্ত্রীরাই যদি এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করেন, তা হলে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি? এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। আমাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষা ব্যবহার করেছেন ফিরহাদ। তা আমরা মুখে প্রকাশ করতে পারব না। লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ওঁর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’’ অবশেষে চাপের মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন ফিরহাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: রেখা পাত্রকে ‘কু-মন্তব্য’ ফিরহাদের! মুখ্যসচিব-ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Firhad Hakim: রেখা পাত্রকে ‘কু-মন্তব্য’ ফিরহাদের! মুখ্যসচিব-ডিজিকে তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাড়োয়ায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রকে নিয়ে প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ফিরহাদের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। এবার ফিরহাদ হাকিমের ওই মন্তব্য নিয়ে তদন্ত করার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশ দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। আইনি পদক্ষেপ করার জন্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই তদন্ত শেষে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এসেছে এমনই নির্দেশ।

    ফিরহাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Firhad Hakim)

    বৃহস্পতিবার সকালেই ফিরহাদের (Firhad Hakim) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বিধাননগর দক্ষিণ থানার দ্বারস্থ হন বিজেপির বিধাননগরের মণ্ডল সভাপতি সঞ্জয় পয়রা। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে দাবি তাঁর। পরবর্তীতে মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের হয় বিধাননগর কমিশনারেটে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন রয়েছে। তাই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করল পুলিশ।”

    আরও পড়ুন: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্য প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রেখা পাত্রকে অপমান করার কোনও অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমের। একজন মহিলা সম্পর্কে ওই শব্দ ব্যবহার করা উচিত হয়নি।”  ‘কু-মন্তব্যের’ জন্য ফিরহাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জাতীয় মহিলা কমিশনকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দফতর, জাতীয় মহিলা কমিশন, জাতীয় তফসিলি জাতি জনজাতি কমিশনকে ট্যাগ করে অভিযোগ জানান। সেই সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারকেও ট্যাগ করেন তিনি। তাঁর দাবি, “শুধু একজন মহিলাকে নয়, পৌণ্ড্র ক্ষত্রিয় জনজাতিকেও অপমান করা হয়েছে”।

    সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান

    এদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার জানিয়েছেন, জাতীয় মহিলা কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। তিনি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন,”সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর কী অত্যাচার হয়েছে, তা সবাই দেখেছে। এই মন্তব্য তাঁদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে। এটা সমাজের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।” ফিরহাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রেখা পাত্রও। তিনি বলেন, “আমাকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, সেটা খুব নিন্দনীয়। আমার মতো খেটে খাওয়া পরিবারের মেয়েকে অপমান করা হয়েছে। এই অপমান গোটা সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। শীর্ষ আদালতে খারিজ রাজ্যের সিবিআই তদন্তের বিরোধিতার আর্জি। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “রাজ্য কি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?”

    কী বলল সুপ্রিম কোট? (Sandeshkhali Case)

    সন্দেশখালিতে জমি দখল ও মহিলাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে রাজ্য। সেখানেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। তখনই বিচারপতি গাভাই প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এই বিষয়ে কেন আবেদন করেছে রাজ্য সরকার? তারা কাকে প্রোটেক্ট করতে চাইছে?” বেঞ্চের আরও প্রশ্ন, “সন্দেশখালিতে যেখানে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার বাড়তি আগ্রহ দেখাচ্ছে?”

    কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেলেঙ্কারির বেরল কেউটে!

    রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে কেউটে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই কেলেঙ্কারির শেকড় খুঁজতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেই সময় হামলা হয় ইডির আধিকারিকদের ওপর (Sandeshkhali Case)। পরে গ্রেফতার হয় শাহজাহান। তার পরেই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে কেলেঙ্কারির কেউটে।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল, নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে পথে নামে সন্দেশখালির প্রমীলা বাহিনী। জমি দখল এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হয়েছিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। উচ্চতর আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোটের দুয়ারে হাজির হয় রাজ্য। সেখানেও জুটল রামধাক্কা।

    দেশের শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ায় যারপরনাই খুশি বিজেপি। সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকার কিছু অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু অপরাধীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। সেই জন্যই মানুষেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় তারা। বারংবার পরাজিতও হয় (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    Sandeshkhali: রেখা পাত্র ‘সন্দেশখালির বাঘিনী’, বিরাট ইঙ্গিত বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিদর্শন করতে সন্দেশখালিতে আসলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। মঙ্গলবার বিকেলে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সড়বেড়িয়া এলাকায় আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার তৈরি করা ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এই দলের মধ্যে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, কেন্দ্রীয় প্রাক্তন আইন মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ আরও চারজন। এদিন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রের কাছ থেকে অত্যাচারের বিবরণ শোনেন প্রতিনিধি দল।

    এদিন তাঁরা সড়বেড়িয়ার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বিট পোলের ৪২, ৪৫ নম্বর বুথের বামন ঘেরি এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন টিম। তাঁদের বর্তমান অবস্থার কথা জানার চেষ্টা করেন। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজপাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে রেখা পাত্রকে বলেন, “রেখা পাত্র সন্দেশখালির বাঘিনী। রেখা যেভাবে লড়াই করেছে, তা বলার মতো। আমি বলে রাখলাম এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। আমি এই নিয়ে বাংলায় মোট পাঁচবার এসেছি। এই সন্দেশখালিতে কেবল অত্যাচারই হয়েছে। আমি উর্দি পরেছি। কিন্তু এখানে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা দেখে দুঃখ পাই।” একই সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও রেখার সাহসিকতার জন্য বাহবা দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ডায়মন্ড হারবারে জনশূন্য গ্রাম! তোপ রবিশঙ্করের

    রেখা পাত্রের বক্তব্য

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গদখালিতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আর সেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে থেকে রেখা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন শক্তিস্বরূপা। আজ প্রাক্তন পুলিশকর্তা বাঘিনী বললেন আমাকে, তবে আমার মনে হয়, এটা শুধু আমাকে বলা নয়, সন্দেশখালির প্রত্যেক মহিলাকে বলা হয়েছে। মানুষে তো বাড়িতেই ফিরতে পারেননি। কাউন্টিং এজেন্টরা এখনও ঘরছাড়া। গ্রামে ঢুকতে পারেননি। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল কীভাবে?”

    তৃণমূলের অত্যাচারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক গ্রাম জনশূন্যে পরিণত হয়েছে। এই টিম কলকাতা, কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় নিপীড়িত বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিজেপির টিম রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডার কাছে। আজই তাঁদের রাতে দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: দুর্নীতির টাকায় বিধায়ককে গাড়ি উপহার শাহজাহানের! ইডির চার্জশিট ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    Sheikh Shahjahan: দুর্নীতির টাকায় বিধায়ককে গাড়ি উপহার শাহজাহানের! ইডির চার্জশিট ঘিরে বাড়ছে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। দুর্নীতির টাকায় প্রভাবশালী এক বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। এবার চার্জশিটে এমনটাই দাবি করল ইডি (ED)। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, ওই বিধায়ককে ‘হাতে রাখতে’ই এই উপহার দেওয়া হয়েছিল। তবে বিধায়ক বলতে কার কথা বলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি ইডি। সূত্রের খবর, ইডিকে দেওয়া নিজের বয়ানেই শাহজাহান স্বীকার করেছেন যে এক বিধায়ককে উপহার হিসেবে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন তিনি। চার্জশিটের ৩০ নম্বর পাতায় রয়েছে শাহজাহানের বয়ান। সেখানেই তাঁর ওই স্বীকারোক্তি রয়েছে বলে খবর। 

    চার্জশিটে ঠিক কী জানিয়েছে ইডি? (ED)

    চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং বিধায়কদের খুশি করতে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের দামি উপহার দিতেন শাহজাহান। এর মাধ্যমে সন্দেশখালি এলাকায় তিনি তাঁর প্রতিপত্তি বজায় রাখতেন। তেমনই এক বিধায়ককে দামি গাড়ি উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন তিনি। ইডি তদন্ত করে জানতে পেরেছে, বিএন ঘোষের নামে সেই গাড়ি রেজিস্টার করা হয়েছিল। তবে গাড়ি কেনার খরচ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিজেই বহন করেছিলেন। ইডির দাবি, জমি দখল দুর্নীতির টাকাতেই সেই গাড়ি কেনা হয়েছিল। তবে কোন বিধায়ককে ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর। 

    আরও পড়ুন: কুয়েত থেকে ৪৫ দেহ নিয়ে ফিরল বায়ুসেনার বিমান, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা অনাবাসীর

    সন্দেশখালির শেষ কথা শাহজাহান 

    উল্লেখ্য, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এ ছাড়া শাহজাহানের তিনটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখানে কয়েক কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, সন্দেশখালিতে মাছের ব্যবসা, ইটভাঁটার ব্যবসা চালাতেন শাহজাহান। এই ব্যবসার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত। এছাড়াও দুর্নীতির টাকা আরও বিভিন্ন জায়গায় সরানো হয়েছে বলেও দাবি করে ইডি। 
    এই মামলায় ইডি (ED) আগেও বহুবার দাবি করেছে যে, সন্দেশখালি জুড়ে কার্যত ত্রাসের সঞ্চার ঘটিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ওই এলাকায় তিনিই ছিলেন শেষ কথা। কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা সাংসদের প্রভাব সেখানে চলত না। তাই মন্ত্রী বিধায়কদের হাতে রাখতে মাঝে মাঝেই এই ধরণের দামি দামি উপহার দিতেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শেষ চার বছরে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন শাহজাহানের, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    Sheikh Shahjahan: শেষ চার বছরে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন শাহজাহানের, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন সহ ইডির (Enforcement Directorate) উপর হামলার একাধিক অভিযোগ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। তদন্তকারী আধিকারিকরা এবার জানতে পেরেছেন শেখ শাহজাহান মাত্র চার বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছে। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকে জেরা করে টাকার পাহাড় তৈরি করতে ব্যবসার মডেল জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।

    ৯০০ বিঘা জমি দখল করে মাছের ব্যবসা

    চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে প্রায় ৯০০ বিঘা জমি শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীরা দখল (Sheikh Shahjahan) করে রেখেছিল। সেই জমিতে মাছের চাষ করত তাঁরা সেই মাছ রফতানি করা হত। মাছ রফতানি করেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অভিযোগ। চাষ করা মাছের একটা অংশ স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করা হত। শেখ শাহজাহানের নিজস্ব একটি বাজারও ছিল। সেই বাজারেও যে মাছ বিক্রি হত। মাছের ব্যবসার নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি ইটভাটাও ছিল শেখ শাহজাহানের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ চাষ থেকে শুরু করে একাধিক ব্যবসা চালাত শেখ শাহজাহান। জানা গিয়েছে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত মোট পাঁচ জন ব্যক্তি। তাঁরা শাহজাহানের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করত এবং এর হিসেব রাখত। সূত্রের খবর এই পাঁচ জন ব্যক্তির খোঁজেও রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

    মেয়ের নামেও অগাধ সম্পত্তি

    আরও জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের মেয়ে সাবিনার নামে (Sheikh Shahjahan) রয়েছে একটি সংস্থা। এই সংস্থা প্রায় ৯০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এই সংস্থার মাধ্যমেই বেশিরভাগ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ ইডি আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি (ED) আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। এরপর দীর্ঘ টালবাহানের পর রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (CID) হাতে গ্রেপ্তার হয় শাহজাহান। সিবিআই শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে ৭ জুন ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ জেলবন্দি শেখ শাহজাহানকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। তাঁর সঙ্গেই তাঁর ভাই শেখ আলমগীর, শেখ শাহজাহানের অনুগামী দিদার বক্স মোল্লা সহ আরও কয়েকজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল।  

    অস্ত্র লুকোতে ইডির উপর হামলা

    অন্যদিকে, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আরও দাবি করেছে ইডির উপর ৫ জানুয়ারি যে হামলা হয়েছিল সেই হামলা শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই হয়েছিল। শেখ আলমগীর ও জিয়াউদ্দিনকে ফোন করে তিনি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। শাহজাহানের নির্দেশেই শেখ আলমগীর ও জিয়াউদ্দিন এলাকার মহিলা ও পুরুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    ইডি অধিকারিকরা (Enforcement Directorate) আক্রমণের শিকার হয়ে ফিরে যেতেই শাহজাহানের বাড়ি থেকে অস্ত্র সরানো হয় আবু তালেবের বাড়িতে। সিবিআই চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে। শাহজাহানের বাড়িতে রাখা বিপুল অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপরে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি ওই চার্জশিটে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) পাশাপাশি তার ভাই শেখ আলমগীরকেও গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share