Tag: Sandeshkhali Case

Sandeshkhali Case

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের মামলার (Sandeshkhali Case) তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এদিনই বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত পাঁচ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিট গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ন্যাজোট ও বনগাঁ থানার তিনটি অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশও রাজ্য পুলিশকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্ত করবে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্ত নিয়ন্ত্রিত হবে সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই।

    সিবিআই তদন্তের দাবি ছিল (Sandeshkhali Case) বিজেপির

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) সিবিআই তদন্তই হওয়া উচিত।” পঞ্চান্ন দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর শেষমেশ গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে রাখা হয় সিআইডি হেফাজতে। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দিনই ইডি জানিয়েছিল, তারা দ্রুত হেফাজত চাইবে শাহজাহানের। ইডিও প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। কলকাতা হাইকোর্টে তারা এ ব্যাপারে আবেদনও করেছিল।

    প্রাক কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা (পরে বহিষ্কার করা হয়) শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন শাহজাহান। তার পরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) আক্রান্ত হওয়ার পরেই ইডি হাইকোর্টে জানিয়েছিল, রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই তাদের। তথ্য বিকৃতির আশঙ্কাও করেছিল তারা। আদালতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সন্দেশখালিরকাণ্ডের তদন্ত করানো হোক সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে।” ইডির সেই দাবিকেই এদিন মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা মূল চক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তাঁকে ধরতে ব্যর্থ হন, তবে  তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চান।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের এই পলাতক নেতাকে গ্রেফতার করতে এক ঘণ্টা সময় লাগবে কেন্দ্রের।”

    অধরা শাহজাহান

    সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। অথচ এলাকায় তাঁর এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল নেতা হওয়ায় এলাকায় শাহজাহানের বেশ দাপট রয়েছে। এলাকা ছেড়ে পালালেও, রাশ আলগা হয়ে যায়নি তার। অদূরে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে জিততে তৃণমূলের প্রয়োজন হবে শাহজাহান বাহিনীর। মুসলিম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে ফেলতেও ভরসা সেই শাহাজাহান। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

    কী বললেন নিশীথ?

    মূলচক্রী শাহজাহান গ্রেফতার না (Nisith Pramanik) হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও। নিশীথ বলেন, “আমি আগেও বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া। কেন্দ্র তো রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদাই প্রস্তুত। ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যকে সাহায্য করতেও আমরা প্রস্তুত।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে এলাকায় (সন্দেশখালিতে) ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু যখনই কোনও তৃণমূল নেতা এলাকায় যেতে চাইছেন, তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাছে আইন-শৃঙ্খলার কোনও মানে নেই। যা কিছু রয়েছে, সবই বিরোধী দলের নেতাদের জন্য।”

    আরও পড়ুুন: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা, জ্বলল খড়ের গাদা, ভাঙচুর তৃণমূল নেতার বাড়ি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও তুলনাই হয় না, এদিন তাও জানিয়ে দিয়েছেন নিশীথ। বলেন, “এক দিকে রয়েছেন মোদিজি, যিনি নিরন্তর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। আর অন্যদিকে রয়েছেন পিসি-ভাইপো। মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টানা হলে বিশ্ব ভাববে মোদির কথাই।” তিনি (Nisith Pramanik) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় আসবেন। তামাম বঙ্গবাসী তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন উৎসাহের সঙ্গেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিতে এবার মানব-পাচার যোগ! তথ্য জোগাড় করতে আসরে এনআইএ

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিতে এবার মানব-পাচার যোগ! তথ্য জোগাড় করতে আসরে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Case) তদন্তে নামছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। বুধবারই এ খবর জানিয়েছিল মাধ্যম। এবার জানা গেল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক বিষয় অনুসন্ধান করবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সন্দেশখালিকাণ্ডে মানব পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগও কতখানি সত্য, তা খতিয়ে দেখবে এনআইএ। জানা গিয়েছে, মানব পাচারের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের কাছে তথ্য তলব করেছে এনআইএ। সন্দেশখালির অদূরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। জল-জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকা। এরই সুযোগ নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

    মানব পাচারের অভিযোগ

    রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ব্যাপারে এনআইএ এখনও আলাদা করে কোনও মামলা দায়ের করেনি। তবে (Sandeshkhali Case) যেহেতু এলাকার অদূরেই সীমান্ত, এবং মানব পাচারের অভিযোগ উঠেছে, তাই রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই প্রায় এক ডজন মানুষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। এদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছে। এদের বিরুদ্ধেই উঠেছে মানব পাচারের অভিযোগ।

    তদন্তে এনআইএ

    জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে যে মানব পাচার চলে, সেই অভিযোগ পেতে ঢের আগেই তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। তবে সন্দেশখালির প্রেক্ষাপটে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বিষয়টি। সন্দেশখালিতে যে অবাধে মানব পাচার চলে, সেই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গা ঢাকা দেওয়ার পরেই নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছেন সেখানকার মহিলারা। সেই প্রেক্ষিতেই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে মানব পাচারের অভিযোগের বিষয়টি। যদিও বিষয়টিকে লঘু করে দেখাতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনাটিকে তারা বিজেপি এবং আরএসএসের ষড়যন্ত্র বলে দেগে দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    সম্প্রতি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রথমে তাঁদের বাধা দেওয়া হলেও, পরে ফের যান তাঁরা। কয়েকজন নির্যাতিতার সঙ্গে কথাও বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সন্দেশখালিতে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও। ফিরতে হয়েছে তাঁদেরও। প্রথমে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। পরে অবশ্য সন্দেশখালি যান তিনিও (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) হস্তক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। খুব শীঘ্রই এনআইএর তরফে দায়ের করা হতে পারে মামলা। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর খোঁজে হন্যে তদন্তকারীরা।

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বহিরাগত সমাজবিরোধী যোগ!

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি যোগ ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা, তার নেপথ্যে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা রয়েছে।

    মহিলাদের নির্যাতন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। সিআরপিএফের দুই জওয়ানও আহত হন শাহজাহানের ছোড়া ইটের ঘায়ে। এর পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলারা (Sandeshkhali Case)। জোর করে জমি গ্রাস করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ছিল সন্দেশখালির মহিলাদের দিনলিপি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একটি গোপন ফাইল পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ফাইলে সন্দেশখালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। ফাইল খোলা হলেই, প্রকাশ্যে আসবে সন্দেশখালিকাণ্ডের কালপ্রিটদের নাম। তদন্তের আঁচ লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গায়েও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ আইএএস-আইপিএসকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালি এলাকা থেকে সীমান্ত খুব দূরে নয়। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনার যাবতীয় কিছু লুকোনো রয়েছে শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের কাছে।

    শাহজাহানের শাগরেদরা গ্রেফতার হলেও, তৃণমূল নেতা অধরা। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহজাহানই হল মূল চক্রী। উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরা নামে শাহজাহানের ওই দুই শাগরেদ (Sandeshkhali Case) সুন্দরী মহিলাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যেত বলে অভিযোগ। পরে দলীয় মিটিংয়ের অছিলায় পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত তাঁদের। কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে তাঁরা চলে যেতেন পার্টি অফিসে কিংবা বাগানবাড়িতে। তার পর শুরু হত নির্যাতন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিল। জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাইসিনা হিলসে। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় আদিবাসী কমিশন।

    বুধবারই চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নকে

    বুধবারই জাতীয় আদিবাসী কমিশন একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক আদিবাসী মহিলা এবং এক আইনজীবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছ থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্টও তলব করছে আদিবাসী কমিশন। চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথায় রাজীব কুমার এবং গোপালিককে সশরীরে দিল্লিতে কমিশনের হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানোও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। না এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কমিশন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, জমি দখল সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ তা জানাতে হবে কমিশনকে।

    সন্দেশখালিতে একের পর এক কমিশন

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি অশান্ত সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখানে ওই প্রতিনিধি দলকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর ঠিক ৪ দিন পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সংবাদমাধ্যমের সামনে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ তফশিলি কমিশন, মহিলা কমিশনের পরে এবার সন্দেশখালিতে পা পড়তে চলেছে আদিবাসী কমিশনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    Sandeshkhali: “আমার শিশুকে ছুড়ে ফেলেছিল পুলিশই!” বিস্ফোরক সন্দেশখালির সেই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে যে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর কোল থেকে তাঁর শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শনিবারই ওই বাড়িতে (Sandeshkhali) মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

    কী বললেন চেয়ারপার্সন?

    কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, “ওঁরা খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না। আমরা শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ওঁরা যেহেতু বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, তাই খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। ওঁদের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি ওঁদের। প্রতিদিন সকালে ফোন করে খবর নেব বলে জানিয়েছি।”

    পুলিশে ভরসা নেই!

    তুলিকার কথায় (Sandeshkhali) যে শিশুটির পরিবার বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট তার মায়ের কথায়ই। তিনি বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতে পারছি না। যারা আমার বাচ্চাকে ফেলে দিয়েছে, তারা কী তদন্ত করবে?” তিনি বলেন, “আমরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। কমিশনের লোকজন চলে গেলে কী হবে? সব কথাই কমিশনের লোকজনকে জানিয়েছি।” ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত এদিন তাদের ছবি কমিশনের সদস্যদের দেখান ওই মহিলা।

    আরও পড়ুুন: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    কী বলেছেন ওই মহিলা?

    সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বিজেপি কর্মীর দিদি বলেন, “ওরা আমার ভাইকে খুন করবে বলে রাত তিনটের সময় তুলে নিয়ে যেতে এসেছিল পুলিশ-প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে। ওদের দলে ২৫-৩০ জন ছিল। আমার ভাই বিজেপি করে বলে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কী অভিযোগ জানাব? পুলিশ তো নিজেই ছিল এখানে। সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার বড়বাবুরা ছিলেন। শিশুটিকে পুলিশ নিজেই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমাদের তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে।” শিশুটির (Sandeshkhali) মা বলেন, “মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুলিশ এসেছিল। স্বামীর নাম ধরে ডাকছিল। দরজা না খোলায় গালাগালি করেছিল। সন্দেশখালি থানার একজন আধিকারিক ছিল। ওরা আমার কোল থেকে বাচ্চাটাকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে টেনেছিল। এক পুরুষ পুলিশ কর্মী তো আবার আমার নাইটি ধরেও টেনেছিল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর-ধাঁচে হোক তদন্ত’’! সন্দেশখালি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর-ধাঁচে হোক তদন্ত’’! সন্দেশখালি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। মণিপুরের মতো সন্দেশখালিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করা  হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। আবেদন করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হওয়া মামলা বাংলার বাইরে সরানো হোক।  

    সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন

    মামলাকারী আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তবের দাবি, বাংলার বাইরের তদন্তকারীদের দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হোক। প্রয়োজনে সিবিআই বা বিশেষ সিট গঠনের দাবিও করেছেন তিনি। তাঁর আর্জি, সন্দেশখালির ঘটনায় যে সমস্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে বা যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক আদালত। তিন বা চার সদস্যের বেঞ্চ গঠন করে মামলার শুনানি চলুক। পুরো কার্যকলাপই হোক পশ্চিমবঙ্গের বাইরে।  সন্দেশখালির ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। তাঁর কথায়, এলাকার যে মহিলারা নিপীড়িত বলে অভিযোগ করছেন তাঁদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হোক। এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে স্থানীয়দের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

    দ্রুত শুনানির আর্জি

    আইনজীবী বলেছেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন কতটা নিষ্ক্রিয়! এ রকমও অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের সঙ্গে শাহজাহানের যোগসাজশ রয়েছে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিট বা সিবিআই দিয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি।’’ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি উল্লেখ করেন আইনজীবী অলোক। দ্রুত শুনানির আবেদন জানান তিনি। আবেদন পড়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: মহিলা জেলেই অন্তঃসত্ত্বা! সব রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মামলা কলকাতা হাইকোর্টেও

    শুক্রবারই সন্দেশখালি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়েছেন আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত। ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখে দ্রুত সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে আর্জি। মামলা দায়ের করার অনুমতি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও সন্দেশখালি যেতে চেয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়েও আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট রাজ্যপাল বোসের, পরামর্শ রাজ্যকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি মমতা সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ পরামর্শও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূল অভিযুক্ত ও তাঁর শাগরেদদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলেছেন তিনি। সন্দেশখালির ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও কথাও বিবেচনা করে দেখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সন্দেশখালিকাণ্ডে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালের রিপোর্টে কী রয়েছে?

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা সহ অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের ঘটনাও রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে মহিলারা তাঁর হাতে রাখি পরান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ফেরার আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কথা দিচ্ছি, যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমার যা ক্ষমতা আছে, তা দিয়েই আমি ব্যবস্থা নেব।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজধানী দিল্লিতে রাজ্যপাল সিভি বোসের কনভয়ের মাঝে ঢুকে পড়ে অন্য একটি গাড়ি। ঘটনার নেপথ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহনের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।

    রাজ্যপাল ফের যেতে পারেন সন্দেশখালি?

    বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল। অসুস্থ সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে যান হাসপাতালেও। বিজেপি নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। সুকান্তের কেবিনে থাকা দলের সতীর্থদের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির বিষয়ে রাজ্যপাল উদ্বিগ্ন। ফের তিনি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। দিল্লি যাওয়ার আগে রাজ্যপালের কথাতেই ঝরে পড়ে উদ্বেগ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘‘আমি এমন কিছু শুনলাম, যা আগে কখনও শুনিনি। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। চোখের জল বাধ মানে না। রবীন্দ্রনাথের জায়গায় এমন হতে পারে ভাবতেও পারছি না। সংবিধানে আওতায় আমার যেটুকু ক্ষমতা নিশ্চয়ই সাহায্য করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ”, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।” সন্দেশখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের যে সব অভিযোগ উঠেছে তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তার পরেই তিনি বলেন, “আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।”

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমি আমার জ্ঞান হওয়া থেকে এসব শুনিনি। যা দেখলাম টিভিতে। যেসব কথা ওঁরা বলছেন – বলা হচ্ছে রাতে ফোন করে ডাকা হত। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও, রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুদ্ধ। আপাতত আমি মুখ বন্ধ করেই রেখেছি।”

    পলাতক শেখ শাহজাহান!

    রেশন বণ্টনকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির ওপর চড়াও হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন সিআরপিএফের দুই কর্মীও। এর পরেই পালিয়ে যান শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত পার্টি অফিসে। না গেলে হুমকি দেওয়া হত। সন্দেশখালির এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন স্মৃতি। সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মহিলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) প্রশ্ন, “প্রশাসন কি জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও চোখ বুজে ছিল?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • CV Ananda Bose: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    CV Ananda Bose: রাজ্যপালের কনভয়ে অন্য গাড়ি, নেপথ্যে হাত তৃণমূলের শাহজাহানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) কনভয়ে ঢুকে পড়ল অন্য একটি গাড়ি। দিল্লির এই ঘটনার পরেই কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যপালকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গন্তব্যে। বাংলার রাজ্যপালের কনভয়ে কীভাবে অন্য গাড়ি ঢুকে পড়ল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। রাজভবনের অনুমান, এই ঘটনায় পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তার দলবলের হাত থাকতে পারে। ঘটনাটিকে নাশকতার ঘটনা হিসেবেই সন্দেহ করছে রাজভবন।

    কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা অন্য গাড়ির

    সোমবারই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ফিরে ধরেন দিল্লির উড়ান। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে একটি বৈঠক সেরে পুসা এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের গেস্ট হাউসে (দিল্লি গেলে এখানেই থাকেন রাজ্যপাল) ফিরছিলেন রাজ্যপাল। সেই সময় একটি গাড়ি বারবার তাঁর কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাটি নজরে পড়তেই গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফের জওয়ানরা। অভিযোগ, সেই বাধা এড়িয়ে গাড়িটি কনভয়ে ঢুকে ধাক্কা মারে। গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।

    সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল 

    প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালিতে গিয়ে রাজ্যপাল কথা বলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। রাজ্যপালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এর পরেই কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। বলেন, “বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছে গুন্ডারা। রবীন্দ্রনাথের বাংলায় এমন হতে পারে না। আমার ক্ষমতায় যা সম্ভব, করব।” তিনি বলেন, “এখানে প্রত্যেকেই আমার বোন। তাঁদের সম্মান রক্ষার্থে যা করার, আমি তা-ই করব। আজ যে ছবি দেখলাম, তা আমাকে মর্মাহত করেছে। আজ যা দেখলাম, আগে কখনও দেখিনি। আজ যা শুনলাম, আগে শুনিনি। আইন আইনের পথে না চললে মানুষ বিপন্ন বোধ করেন।”

    আরও পড়ুুন: “ভারত-সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দোস্তি জিন্দাবাদ”, প্রবাসীর সুর প্রধানমন্ত্রীর মুখে

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে সন্দেশখালি যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালি না গেলে তিনি ধর্নায় বসবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা পেরনোর আগেই সন্দেশখালিতে যান রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তার পরে পরেই ঘটে দিল্লিকাণ্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

LinkedIn
Share