Tag: sandeshkhali incident

sandeshkhali incident

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের  (Sheikh Shajahan) ভাই আলমগির শেখ। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ প্রায় ১৫ জনকে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে শনিবার পৃথক মামলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) কয়েক জনকে তলব করেছে ইডিও। তাঁদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শাহজাহানের দুই ভাই আলমগির এবং সিরাজ শেখকে আগামী সপ্তাহে তলব করেছে ইডি।

    নিজাম প্যালেসে আলমগির

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই শাহজাহানের ভাই আসমগির-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। তদন্তভার হাতে নিয়েই, দফায় দফায় সন্দেশখালিতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায়,একের পর এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় শেখ শাহজাহানের একাধিক ঘনিষ্ঠকে। বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে। কিন্তু সিবিআই তলবে গরহাজির ছিলেন আলমগির শেখ। তবে এদিন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে আসেন বনগাঁ থানার তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। বেলা ১২ টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হিন্দু বা মুসলিম পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়” বললেন অমিত শাহ

    তদন্তে ইডি

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিওতে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি শেখ শাহজাহান বাহিনীর মোট তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোসলেম শেখের সরবেড়িয়া নতুন বাজারের গোডাউন থেকে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি গাড়ির মধ্য়ে একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের নামে। আরেকটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের নামে। তৃতীয় গাড়ির মালিকানা পাঞ্জাবের একটি সংস্থার নামে। শেখ শাহাজাহানের মালিকানাধীন গাড়িটি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কেনা হয়। দাম ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    ED Raid: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ডেরায় চলছে ইডির তল্লাশি (ED Raid)। বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি অফিসাররা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তের জন্যই নাকি এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে সন্দেশখালির ধামাখালিতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজনের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। প্রথমজন রিন্টু মোল্লা, দ্বিতীয় জন হলেন আইনুর মোল্লা ও তৃতীয় জন জামালউদ্দিন মোল্লা। জানা গিয়েছে, আইনুর ও জামালউদ্দিন মোল্লা সম্পর্কে দু’জন ভাই। অপরদিকে, রিন্টু হলেন শেখ শাহজাহানের মাছের ব্যবসার ম্যানেজারের শ্যালক।  শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী নজরুল মোল্লার বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। 

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) একাধিক জায়গায় পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্দেশখালির রাস্তাঘাট, দোকান বাজার ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, তিনটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ‘শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ’ বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা (ED Raid)। শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। মাছের ভেড়ির ব্যবসাও ছিল তাঁর। ধামাখালির কাছে একটি মাছের পাইকারি বাজার ঘিরে রেখে এদিন তল্লাশি চলছে। এই বাজারের অন্যতম অংশীদার নজরুল মোল্লার বাড়িও পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এদিন, প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি-র তল্লাশি অভিযান শুরুর আগে থেকেই সন্দেশখালির মূল রাস্তা ঘিরে ফেলে বাহিনী। নদীর পাড়ও ঘিরে ফেলেন বিএসএফ জওয়ানেরা। 

    আরও পড়ুন: সিএএ-র প্রভাব পড়বে ৮ আসনে! রাজ্যের উদ্বাস্তু ভোট যাবে বিজেপির ঝুলিতে, দাবি রিপোর্টে

    কেন ইডির তল্লাশি

    ইডি (ED Raid) সূত্রে জানা যাচ্ছে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি মামলায় তদন্তের জন্যই নাকি সেখানে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন মামলাতেও শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ীদের কয়েক জন শাহজাহানের সঙ্গে চিংড়ি মাছের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, মাছের ব্যবসায় দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা মিলিয়ে মোট ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শাহজাহানের সূত্র ধরেই এই জায়গার সন্ধান মিলেছে বলে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজত থেকে সিবিআই হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

    এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ (Sandeshkhali Case)

    শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। এই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া এই দুই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই তৃণমূলের ওই নেতাকে সাসপেন্ড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেই আরও একবার মুখ পুড়েছে রাজ্যের। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই তদন্ত চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের (সাসপেন্ডেড)সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানেরও। তাঁর বাড়িতে তদন্তে যান ইডির কয়েকজন কর্তা। অভিযোগ, ইডি কর্তাদের লক্ষ্য করে শাহজাহানের দলবল ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। জখম হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এর পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। ৫৫ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    এর পরেই শাহজাহানকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার তদন্ত সিবিআই করবে বলে ৫ মার্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই। ওই দিন বিকেলের মধ্যেই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মুখ পোড়ে সেখানেই (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলছে না শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুটি মোবাইল ফোনের। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন এই দুটি ফোন মিললেই শাহজাহানের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের জবাব মিলবে। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেনি তো রাজ্য পুলিশ।

    শুভেন্দুর দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে বলেছেন, শেখ শাহজাহান যখন মমতার পুলিশের শেল্টারে ছিলেন, তার কথাকথিত গ্রেফতার হওয়ার আগে আমিনুল নামে একজন অফিসার তার আইফোন থ্রি অনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর নির্ভরযোগ্য সূত্র ফোনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। সেটি কি পুলিশের হেফাজতে আছে, নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সিবিআইকে ট্যাগ করে বলেছেন, এই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। ওই ফোনে যে নম্বরটি ব্যবহারকরা হত তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুর দাবি, শেখ শাহজাহান এই ফোনটি ব্যবহার করত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।

    ফোনের খোঁজ নেই

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। সেখানেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লোকজন ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ফোনে উস্কানি দিয়েই যে সেদিন শাহজাহান আক্রমণ সংগঠিত করেছিল তা গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। এমনকি ফোনের টাওয়ার দেখেই ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত হন যে সেই সময় বাড়িতেই ছিল শাহজাহান।

    আরও পড়ুন: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    তারপরেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। ৫৬ দিন পর তাকে ধরা গেলেও দুটি মোবাইল ফোনের কোনও হদিশ মেলেনি। ফোন মিললেই সন্দেশখালির কোন কোন নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে সিবিআই। তাই এই দুটি ফোনের খোঁজ পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই অর্থাৎ, ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালির পাশে ন্যাজাটের আক্রাতলায় শর্ত সাপেক্ষে ওই সভার আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি আদালতের

    আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু । কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তবে কোনও ভাবেই উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। সন্দেশখালি অশান্ত হয়ে ওঠার পর দু’বার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। বারবারই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি যান তিনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী মহম্মদ শামি? রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা

    রাজ্যকে ধমক হাইকোর্টের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় বাধা দিতে গিয়ে ফের একবার আদালতে ভর্ৎসনার শিকার হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে পুলিশ – প্রশাসনকে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন,‘‘এই মিটিং করতে না দিয়ে আপনারা কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? সুন্দরখালিতে কোনও গোলমাল না থাকায় সেখানে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। কিন্তু মামলা করার আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।’’ সভা আটকাতেই এই ১৪৪ ধারা জারি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।  বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, নথি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সভার জন্য আবেদন করার কিছুক্ষণ আগে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে গত কয়েক সপ্তাহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এমন কী কারণ রয়েছে যে বিজেপির নির্দিষ্ট করা সভাস্থলে সাত তাড়াতাড়ি ১৪৪ ধারা জারি করে দিতে হল? রাজ্যের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে এরপরই বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    Sheikh Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই জারি রাখল শীর্ষ আদালত। শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সিবিআই-এর হাতেই তুলে দিতে হবে রাজ্য পুলিশকে, বুধবার এমনই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল সরকার। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয় ধৃত নেতাকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করতে হবে পুলিশকে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালি মামলায় (Sandeshkhali Incident) হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিজেদের হেফাজতে নিতে আর বাধা নেই সিবিআইয়ের। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহানকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশের পরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে জরুরি শুনানির আবেদন জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। তবে বুধবার পিটিশন দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। তাও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সেই মামলা শুনতে চায়নি। এই আবহে আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। 

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

    আজই সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

    বুধবার সকালে অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, এই ধরনের মামলায় জরুরি শুনানির আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। তবে আজ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাংবিধানিক বেঞ্চের কাজে ব্যস্ত। তাই তাঁর এজলাসে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সংক্রান্ত মামলার উল্লেখ করা সম্ভব হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলেই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে না-নিয়েই ভবানী ভবন ছাড়তে হয় তাঁদের। সিআইডি যুক্তি দেয় যেহেতু রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে রাজ্য, তাই মামলাটি বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম নির্দেশের পর সিবিআই আজ, বুধবার ফের শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল না সিআইডি। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে নিয়ে যেতে ভবানী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা৷ সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কিন্তু ২ ঘণ্টারও বেশি সময়ের অপেক্ষার পর শাহজাহানকে ছাড়াই খালি হাতে ফিরে যেতে হল সিবিআইকে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে৷ সেই যুক্তিতেই এদিন সিআইডির পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়নি।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজই বিকেল ৪.৩০টার মধ্যে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে সিবিআইকে নথি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘৫০ দিন পালিয়ে থাকার পর ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান একজন সাধারণ নাগরিক নন, তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যে রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা রাজ্যের শাসক দল। ন্যায়বিচারের স্বার্থে, স্থানীয়দের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যেই সিবিআই।’

    কোথায় শাহজাহান

    বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই-এর দুই আধিকারিক প্রায় ২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়ে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন৷ মনে করা হচ্ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হয়তো শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতেই তুলে দেবেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর যখন সিবিআই আধিকারিকরা ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের সঙ্গে শেখ শাহজাহান ছিলেন না৷ শাহজাহানকে না নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা চারটি গাড়ি৷  

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সুপ্রিম কোর্টের অজুহাত

    সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি লড়বেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। শীর্ষ আদালতে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি চেয়েছিল রাজ্য। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ওই আর্জিতে সাড়া দেয়নি। তবুও সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়বে রাজ্য এই অজুহাতেই মঙ্গলবারও শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়নি সিআইডি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

    .

  • ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP) আজ সারা দেশব্যাপী মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। একই সঙ্গে নির্যাতিতাদের ন্যায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশের ব্যাপক ধুন্ধুমার বাধে। সেই সঙ্গে করা হয় পুলিশের লাঠি এবং গ্রেফতার। একই ভাবে দেশের বড় বড় শহরগুলির মধ্যে দিল্লির বঙ্গভবন, রাজস্থানের ভিলওয়ারা, গুজরাটের আমেদাবাদ, লখনউ, ইন্দোর, হিমাচলের কৌশাম্বি, একাধিক জায়গার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে বাংলার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মমতার কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

    বিধানসভায় ঘেরাও (ABVP)

    এই রাজ্যের বিধানসভার সামনে দক্ষিণবঙ্গ এবিভিপির তরফ থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। এই অভিযানের সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা-নেত্রীরা যোগদান করে। দলের জাতীয় সম্পাদক শিবাঙ্গী কারওয়াল এবং শালিনী বর্মা নেতৃত্ব দেন। প্রথমে সংগঠনের কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কয়ারে জমায়েত হয়। এরপর মিছিল করে বিধানসভার দিকে এগোলে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ এবং গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এবিভিপির দাবি, মোট ৪১ জন মহিলা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয় এবং ব্যাপক মারধর করা হয়। সন্দেশখালির নিপীড়িত মানুষের অধিকার এবং ন্যায় বিচারের দাবি করা হয়। উল্লেখ্য এই সন্দেশখালি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আজ। পালটা সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার দ্রুত শুনানির আর্জি করলে তা খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আজই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশ ব্যাপি বিক্ষোভ

    হিমাচলের কৌশাম্বিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) পক্ষে থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে এবিভিপির সমর্থকরা। অপর দিকে ইন্দোরে জেলা শাসকের দফতরের বাইরে পশ্চিমবঙ্গে ঘটা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ জানিয়ে প্রতিবাদ করে।  সেই সঙ্গে নিপীড়িত মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের দাবি রাখে। আবার উত্তরপ্রদেশের লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে এবিভিপি সমর্থকরা আন্দোলনে রাস্তায় নামে। আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। দেশ জুড়ে ব্যাপক গণ আন্দোলনের ডাক দেয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে জেরা করতে চায় ইডি। এলাকায় শাহজাহানের ‘ডান হাত’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন উত্তম ও শিবু। তাঁদের বিরুদ্ধেও জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগে সরব হয়েছিলেন  সন্দেশখালির বাসিন্দারা। উত্তম ও শিবুর কোটি টাকার সম্পত্তির আভাসও পেয়েছে ইডি। 

    ইডির সন্দেহ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধৃত উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে দিল্লির ইডি সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের অফিসাররা। লিগ্যাল সেলের সঙ্গেও আলোচনা করছেন ইডি আধিকারিকরা। আলোচনা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও । ইডির দাবি, উত্তম সর্দার এবং শিবুর হাজরার সম্পত্তির খতিয়ানের তথ্য যাচাই করার পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেতে তাদের সুবিধা হবে। উত্তম ও শিবু দুজনেই শেখ শাহজাহানের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সেই তথ‌্যও সংগ্রহ করতে চায় তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: “দারুন বলেছেন”, মুইজ্জুর উদ্দেশে করা জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রশংসায় বিগ বি

    শাহজাহান যোগ

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরাসরি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই সূত্র ধরে, শাহজাহানের টাকার লেনদেনের খোঁজে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে ইডি তল্লাশিও চালিয়েছে ৷ একইসঙ্গে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় হওয়া মোট চারটি মামলা বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে আছে। ইডির সন্দেহ, শাহজাহান বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এমনকী, ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমেও একাধিক দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। ইডির বিশ্বাস,  শাহজাহানের নামে ও বেনামে বিভিন্ন ব‌্যবসা এবং টাকা লেনদেনের তথ‌্যও জানে তাঁর দুই সঙ্গী উত্তম ও শিবু।  ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ভবানী ভবনে তদন্তকারীরা ধৃত তৃণমূল নেতাকে দফায় দফায় জেরা করছে। আর সেই জেরার মুখে প্রাথমিকভাবে ঔদ্ধত্য দেখালেও ধীরে ধীরে ভোলবদলাতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’! তদন্তে সহযোগিতা করছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share