Tag: sandeshkhali incident

sandeshkhali incident

  • PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    PM Modi: সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে ফের রাজ্যকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের পরে কৃষ্ণনগরেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। নিজের ভাষণে সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তৃণমূলের নতুন নামকরণও নমো। একইসঙ্গে বাংলার মাটিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘‘বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছে’’

    তৃণমূল নেতারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছে বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অপরাধী গ্রেফতার হোক।  কিন্তু বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়ানোয় এবং বিজেপির নেতারা তাদের পাশে থাকায় রাজ্য সরকার মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আরও সংযোজন, ‘‘এখন মা মাটি-মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে।  সন্দেশখালির বোনেরা ইনসাফ চাইছে, তৃণমূল সরকার কর্ণপাতও করেনি। বাংলার এমন অবস্থা যে, পুলিশ নয়, এখানে অপরাধী ঠিক করে সে কবে আত্মসমর্পণ করবে, কখন তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’

    টিএমসি সরকার কেলেঙ্কারির মাস্টার

    রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে বাধা দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য, নারী বিকাশের মতো একাধিক প্রকল্প আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। ঘরে ঘরে জল প্রকল্পেও তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ মোদির (PM Modi)। রাজ্যে ২৫ লক্ষ ভুয়ো মনরেগা কার্ড তৈরি হয়েছে। যার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার টিএমসি সরকারকে কেলেঙ্কারির মাস্টার বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।

    গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী

    মোদির ভাষণে এদিন উঠে আসে রেশন কেলেঙ্কারির কথাও। তিনি বলেন, ‘‘এরা গরিবদের রেশন লুট করতেও পিছপা হয় না।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, এটা মোদির গ্যারান্টি। বিজেপি কর্মীদের আগামী কয়েকদিনের কর্মসূচিও ঠিক করে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে আগামী ১০০ দিন ধরে বলতে বলেন, মোদিজী এসেছিলেন আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে বিজেপির বিক্ষোভ, মমতার পদত্যাগ দাবি 

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গ ভবনে বিজেপির বিক্ষোভ, মমতার পদত্যাগ দাবি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বলছে সন্দেশখালি! জ্বলছে বাংলা! তার আঁচ গিয়ে পড়ল রাজধানী দিল্লিতে। শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গভবন অভিযান করল বিজেপি। বঙ্গভবনের সামনেই জমায়েত থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিল্লির ওই চত্বরে। 

    বঙ্গভবন অভিযান

    শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনা ও মহিলাদের উপরে অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে বিজেপি। দিল্লি বিজেপির তরফে বঙ্গভবন অভিযানের ঘোষণা করা হয়। চাণক্যপুরীর তিনমূর্তি ভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। যেহেতু দিল্লির এই অঞ্চলে একাধিক রাজ্য সরকারের ভবন, দূতাবাস ও প্রশাসনিক দফতর রয়েছে, তাই এটি হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয় না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। তবুও বিজেপি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশি ব্যারিকেড টপকে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপির মিছিল। বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। 

    পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বাংলায় এসে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ একইভাবে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় দোষীকে আড়াল করা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। এদিন দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিজেপির প্রতিবাদের সময় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে কয়েক ধাপে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ব্যারিকেডের উপরে উঠে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। প্রথম ব্যারিকেড  টপকে দ্বিতীয় ব্যারিকেডও পার করার চেষ্টা করে তারা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই চত্বরে।

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে ধরতে গিয়েই আক্রান্ত হয় ইডি। সে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। টানা ৫৫ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ইডির দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হবে। এমনকী শাহজাহানকে আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ। তাই দ্রুত শাহজাহানকে ঘিরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলছে তারই প্রস্তুতি। এরইমধ্যে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত,  অরূপ সোমকে।

    অরূপ সোমকে তলব

    শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী অরূপ সোমকে ডেকে পাঠাল এনফোরেসমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি’র সমন পেলেন তিনি। অনুমান, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই এই তলব। চলতি সপ্তাহেই অরূপের দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসা সংক্রান্ত মামলায় তলব করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ী শাহজাহানের থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিদের বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির সঙ্গেই শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু শেখ শাহজাহান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ফলে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কালো টাকা আসত ৷ সেই কালো টাকা অরূপ সোমের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত মাছের ব্যবসার নামে। ফলে কতবার কত কোটি টাকা তাঁদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে, সেই সমস্ত বিশদে জানার জন্যই ফের অরূপ সোমকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    অরুণ সেনগুপ্তকে জেরা

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বিরাটির ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তও হাজির হলেন ইডির দফতরে। সোমবারই তাঁর মেয়ে এসেছিলেন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি নিয়ে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অরুণ-কন্যা। এরপরই এদিন যান অরুণ নিজে। আমদানি-রফতানির সংস্থা রয়েছে তাঁরও। চিংড়ি মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ করে তাঁর সংস্থা। শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দ্বিতীয় যে ইসিআইআর হয়েছে, মূলত তা অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে। অরুণ সেনগুপ্ত সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    Sheikh Shahjahan Arrest: ‘‘ধরতে পারবে ইডি-সিবিআইও’’, আদালতের নির্দেশ দেখেই কি গ্রেফতারে তৎপর পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়ে শেখ শাহজাহানের দলবলের হাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫ জানুয়ারি। আর রাজ্য পুলিশের হাতে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হলেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। মাঝে কেটে গিয়েছে ৫৬ দিন। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন সময় লাগল কেন পুলিশের?

    ‘ক্রোনোলজি’-তেই বিষয়টা পরিষ্কার

    বিরোধীরা দাবি করে আসছিলেন, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) রয়েছেন। বিরোধীদের কথা যদি বাদই দেওয়া হয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করছিলেন, সেখানেই দিব্যি বহাল তবিয়তে রয়েছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। অথচ, পুলিশের দাবি, ‘ফেরার’ শেখ শাহজাহান কোথায় আছেন, তার হদিস মিলছে না। অন্যদিকে, শাসক দলের দাবি, আদালতের জন্যই নাকি পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না তাঁকে ধরতে। তাহলে, কী এমন ঘটল, যে পুলিশ তড়িঘড়ি গ্রেফতার করল? পুলিশ-প্রশাসনের অবশ্য দাবি যে, আদালত তরফে অনুমতি মেলার পরই শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করা হয়েছে। যদিও, এর মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে ঘটে গিয়েছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ‘ক্রোনোলজি’-টা একবার দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা বিষয়টা—

    আরও পড়ুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার কী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করা হল। ওই একই দিন, ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে এ-ও জানিয়ে দেয় যে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে কখনই আটকানো হয়নি। এমন কোনও স্থগিতাদেশ নেই। স্রেফ, পুলিশ ও ইডি-তে নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ যে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এটা সোমবারের ঘটনা। তার পরও কিন্তু, সেদিন বা পরের দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার গোটা দিন চলে গেলেও শাহজাহান গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) হয়নি।

    হাইকোর্টের বুধবারের নির্দেশই বদলে গেল খেলা!

    এর পর বুধবার, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে, ওই একই মামলার শুনানিতে, হাইকোর্ট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেয়। তা হলো, শুধু পুলিশ নয়। চাইল শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে ইডি-সিবিআইও। অর্থাৎ, যে আগে পাবে, ‘ফেরার’ শাহজাহানকে সেই গ্রেফতার করতে পারবে। আদালতের এই ছোট্ট নির্দেশই যে ঘুম উড়ে যায় শাসক দলের। কেন? এর কারণ, শাসক দল বুঝে যায়, যদি একবার শাহজাহানকে খুঁজে পেয়ে ইডি-সিবিআই তুলে নেয়, তাহলে প্রমাদ গোনা ছাড়া উপায় নেই। অথএব, আগে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। ফলস্বরূপ, ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan Arrest)।

    আরও পড়ুন: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    কেষ্টর ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল পুলিশের ‘সক্রিয়তা’

    এর আগে, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল। লক্ষ্য, ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে কেষ্টকে বাঁচানো। তাই কোনও একটি ‘আষাঢ়ে’ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল কেষ্টকে। যদিও, কিছুদিন পরই সেই কেন্দ্রের হাতেই সঁপে দিতে হয়েছিল কেষ্ট মণ্ডলকে। সেটাও ছিল এক বড় দুর্নীতি— গরু পাচার মামলা। এবারেও বড় দুর্নীতির তদন্তে ইডি-সিবিআই রেডারে এসেছে শেখ শাহজাহানের নাম। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    সন্দেশখালির কোন অজ্ঞাতস্থানে গিয়েছিলেন রাজীব?

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কতদিন শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ইডি-সিবিআইয়ের হাতে পড়া থেকে ঠেকাতে পারবে মমতা-প্রশাসন? কতদিন এভাবে শেষ শাহজাহানকে ‘বাঁচানো’ সম্ভব হবে? সপ্তাহখানেক আগেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। একটা গোটা রাত কাটিয়ে সেখান থেকে ফেরেন। লঞ্চে চেপে কোনও এক অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ সুপ্রতিম সরকার এবং পুলিশের একাধিক শীর্ষকর্তা। বিরোধীদের কটাক্ষ, শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan Arrest) সঙ্গে বসে ‘ডিল’ করতে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তা।

    ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচাতেই ‘গ্রেফতার’

    শুধু বিরোধী নয়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তো খোদ হাইকোর্টও প্রশ্ন তুলেছে। শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) রাজ্যের পুলিশ রক্ষা করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’ এখানেই শেষ নয়। বুধবারের শুনানিতে ভরা এজলাসে রাজ্যের কৌঁসুলির উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন— ‘‘তার মানে আপনি জানেন উনি কোথায়?’’ এর সঙ্গেই, হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, চাইলে ইডি-সিবিআইও গ্রেফতার (Sheikh Shahjahan Arrest) করতে পারে। হাইকোর্টের এই নির্দেশেই কি ‘সক্রিয়’ হয়ে উঠল মমতা-পুলিশ? এই নির্দেশের পরই কি তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ-কে? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu On Shahjahan: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতেই শাহজাহান’’, শুভেন্দুর এই দাবিই তাহলে সত্যি?

    Suvendu On Shahjahan: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতেই শাহজাহান’’, শুভেন্দুর এই দাবিই তাহলে সত্যি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ডিজি রাজীব কুমারের রাত্রিযাপনের পরই গ্রেফতার শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিন টালবাহানার পর সন্দেশখালি থেকেই গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা। তাহলে কি বিরেধীদের দাবিই সত্যি? পুলিশের সুরক্ষিত হেফাজতেই এতদিন কাটিয়েছেন শাহজাহান। রাজ্য পুলিশ জানত কোথায় ছিলেন তিনি। চলছিল শেষ সময়ের দর কষাকষি। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার আগের দিনই, অর্থাৎ বুধবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সেফ কাস্টডিতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান।’’

    কী বললেন শুভেন্দু

    ‘‘পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারির আগে তাঁর সঙ্গে দর কষাকষি চলছে পুলিশের।’’ বুধবার দুপুরে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘সন্দেশখালির বজ্জাত শেখ শাহজাহান মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে মমতা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাঁকে বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তার আগে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মমতা পুলিশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সে। চুক্তি অনুসারে পুলিশ ও জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে পর্যাপ্ত যত্ন আদ্দি করতে হবে। তাকে জেলে থাকাকালীন ৫ তারা বিলাশের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবহার করতে দিতে হবে মোবাইল ফোন। যার মাধ্যমে সে জেল থেকেই তৃণমূলকে নেতৃত্ব দেবে। এমনকী উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁর জন্য একটা শয্য সব সময় খালি রাখতে হবে। যাতে ইচ্ছা করলেই সেখানে এসে সময় কাটাতে পারে সে’।

    কী ভাবছেন রাজনীতিকরা

    শুধু শুভেন্দু অধিকারী নন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও শহরে এসে স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘শেখ শাহজাহান কোথায়, সব জানে।’ মমতা সরকারকেই নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। শাহজাহান শেখের সন্দেশখালির বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডির গোয়েন্দারা ৫ জানুয়ারি হানা দিয়েছিলেন। সেদিন থেকে শাহজাহান নিঁখোজ। প্রায় ৫৫ দিন ধরে বেপাত্তা। অনেকের ধারণা ছিল শাহজাহান বুঝি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। কেউ বা দাবি করছিলেন, শাহজাহান রয়েছে পুজালীতে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবিই কিছুটা হলেও সত্য বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বুধবার শুভেন্দু যা বলেছিলেন , সেই সন্দেশখালির গ্রাম থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার হলেন শেখ শাহজাহান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incident) ইডির উপরে হামলার ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। তবুও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সেখানকার মহিলারা নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের সেখানে কথা বলতে দেওয়া হয় না। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ। এবার রাজ্যে এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সবাই জানে?’ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মহানগরে দাঁড়িয়ে নির্মলা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে এত মৃত্যু হয়েছে। তার জবাব না দিয়ে শুধুই অন্যদের আক্রমণ। মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’

    কী বললেন নির্মলা

    জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, “ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রায় নীচের দিকে।” তিনি বলেন, ‘‘গত জানুয়ারিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কী ভাবে ইডি আধিকারিকরা উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত হন। গুরুতর জখম হন। তার পরেও পুলিশ রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশ মতো কাজ করে।’’ শাহজাহানের গ্রেফতার না হওয়া নিয়েও এ দিন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হতে হয়!” তাঁর অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। পুলিশের আচরণ তৃণমূলের গুন্ডাদের মতো।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মণিপুর প্রসঙ্গ

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।  মণিপুর নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকা মনে করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “সন্দেশখালির (SandeshKhali Incident) কথা বলতে গিয়ে আমার গা-হাত-পা কেঁপে ওঠে। আইন শৃঙ্খলার কেমন ছবি এটি? সংসদে মণিপুর নিয়ে কত প্রশ্ন! কেন গেলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তিনি তো সেখানে গিয়েছেন। শিবিরে থেকেছেন। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, নিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চলতি মাসের মাঝামাঝিই সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেছিলেন,”শুধু জমি নয়, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান লুঠ করেছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SandeshKhali Incident: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    SandeshKhali Incident: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাস ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি (SandeshKhali Incident)। শাসকদলের নেতাদের অত্যাচারে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। বাধ্য হয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষগুলো প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। কলকাতা ছাড়িয়ে সন্দশখালির আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও। তবু এতদিন সন্দেশখালি নিয়ে এক কথায় নিশ্চুপ ছিলেন সেখানকার সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Actress MP Nusrat Jahan)। অবশেষে তিনি মুখ খুললেন। কিন্তু কী বললেন তিনি! মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নুসরতের মন্তব্য— সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’ জারি আছে!  ইতিমধ্যে নুসরতের ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে মিম!

    নুসরতের মন্তব্য

    বসিরহাটের সাংসদ নুসরতের (Actress MP Nusrat Jahan) সংসদ এলাকার মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি (SandeshKhali Incident)। ইতিমধ্য়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কেন্দ্রের মহিলা ও শিশু সুরক্ষা কমিশন, এমনকী রাজ্যপালও ঘুরে গিয়েছেন। এলাকার সাংসদ হিসেবে নুসরত অবশ্য তপ্ত এলাকায় এখনও যাননি। কেন? মঙ্গলবার সাংসদের কাছে এই প্রশ্নটি করে একটি সংবাদমাধ্যম। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই নুসরত বলেন, “আমি বুঝতে পারছি না আমার এলাকায় না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কেন। আমি সব সময় দলের নির্দেশ মেনে চলি। রাজ্য সরকার প্রতিদিন সাহায্য পাঠাচ্ছে সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। যা যা দরকার তাই করা হচ্ছে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে রাজ্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেখানে ১৭৪ ধারা জারি আছে। আমি গেলে সঙ্গে আরও অনেকে যাবে, সেটা আইনশৃঙ্খলা বিরোধী হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রশাসনের উপর আস্থা রাখা। আমি এমন কিছু করব না যা আইন শৃঙ্খলার বিরোধী হয়। মনে রাখবেন আমরা আইন শৃঙ্খলার ওপরে নই।”

    বিতর্কের ঝড়

    নুসরতের এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াই ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঠাট্টা-তামাসা। নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে শাসক দলের সাংসদের এই মন্তব্য পোস্ট করতে দেরি করেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। সাংসদ হয়েও রাজ্য রাজনীতি নিয়ে কেন এত উদাসীন নুসরত? প্রশ্ন আদতে সন্দেশখালিতে কী চলছে তা কি তিনি জানেন? নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নুসরতকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লেখেন, ‘‘এত পড়াশোনা করলাম, পিএইচডি করলাম, কিন্তু ‘১৭৪ ধারা’ টা আজও আমার কাছে অজানাই রয়ে গেল!’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।  রবিবার রাজ্য বিজেপি নেতত্বের তরফে জানানো হয় ৬ মার্চ নয়, আগামী ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। ৮ মার্চ নারী দিবস। বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির বিশেষ নাম রাখা হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা’।  সূত্রের খবর, ওইদিন সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি। 

    নারী শক্তি বন্দনা

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা মহিলাদের জুড়তে চান প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। বিজেপি সূত্রে খবর, ১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। প্রথমে বারাসতের সভা করার দিন ৬ মার্চ ঠিক হলেও সন্দেশখালির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সন্দেশখালিতে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানকার মহিলাদের রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ডেকে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এমন ঘটনা চলেছে বছরের পর বছর।  বিজেপি নেতৃত্ব এই সভার নাম দিয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’। সন্দেশখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী করেছে, সেই বার্তাও তুলে ধরা হবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, এগিয়ে এল পরীক্ষার দিন, জানাল পর্ষদ

    প্রধানমন্ত্রীর সভার উদ্দেশ্য

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বাংলায় তিনটি কর্মসূচি নিয়েছেন। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করবেন তিনি। ২ তারিখে সভা হবে কৃষ্ণনগরে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ওই দিনই মহাশিবরাত্রি। তাই সে দিন প্রধানমন্ত্রী বারাসতে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’ পালন করবেন। সে দিন এক লক্ষ মহিলার উপস্থিতিতে সভা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা এবং লোকসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়েছেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে নিজের কথা বলবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share