Tag: sandeshkhali incident

sandeshkhali incident

  • Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাথরাস, উন্নাওয়ের কথা বলা হলেও, সেখানে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, কিন্তু এখানে সেটা হয় না।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বানথী শ্রীনিবাসন (Vanathi Srinivasan)। সন্দেশখালিতে গুচ্ছ অভিযোগ ওঠার পরেও শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের শেখ শাহজাহানকে। সেই কারণেই এদিন কলকাতায় তিনি নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। বানথী শ্রীনিবাসন জানান, দিনের পর দিন ওই এলাকায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার অপরাধীদের একাংশকে সেফ গার্ড দিচ্ছে।

    কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা 

    সন্দেশখালিতে নিত্য নির্যাতন করা হত স্থানীয় মহিলাদের। এজন্য তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাগরেদদের। এনিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির আন্দোলনে জল ঢালতে মণিপুর খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির এই নেত্রী (Vanathi Srinivasan) বলেন, “মণিপুরের ঘটনার পরেই বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সে রাজ্যের অপরাধীদের গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এখানকার পুলিশ মহিলাদের ন্যূনতম সুরক্ষাটুকু দিতে পারছে না। যাতে নির্যাতিতা মহিলারা এগিয়ে এসে অভিযোগ জানাতে না পারেন।”

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কিছু একটা হলেই সব সময় অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে আনা হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ কি আলাদা?” তাঁর প্রশ্ন, “দেশের অন্য প্রান্তে কোনও ঘটনা ঘটলেই তাঁরা এটা বলতে পারে না যে এখানে কোনও অপরাধ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়!” তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যে অপরাধ হলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি যেতেই পারেন। কিন্তু এখানে বিরোধী দলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ১ জুলাই চালু হচ্ছে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিন নয়া আইন

    ৬ মার্চ বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সভা করবেন বারাসতে। প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় মুখ ঢেকে নিয়ে আসা হবে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে মহিলা ন্যায় সমাবেশ। এই সমাবেশের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেন। বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। এই সমাবেশ নিয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি (Vanathi Srinivasan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শাসকের অত্যাচারে নাভিশ্বাস উঠছে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের। বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন মহিলারা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী শনিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করবেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালি নিয়ে কর্মসূচি

    গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনাও নিয়েছে দল। আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই ধর্না চলবে। ওই ধর্না কর্মসূচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এর পরে ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমাবেশে সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে।  এরই মধ্যে সন্দেশখালি নিয়ে অভিযোগ জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতে দিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত। 

    আরও পড়ুুন: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    সন্দেশখালি নিয়ে কর্মসূচি

    বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করবেন সুকান্ত। সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষা সংগঠন এবিভিপি শনিবারের সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরেই শিপ্রা হস্টেলের হলঘরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে বক্তৃতা করবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এরপর, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালির পরিস্থিতি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলা সফর নিয়েও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে নোটিশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গত ৫ জানুয়ারি থেকে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। এখনও বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এদিকে, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি, সেই শাহজাহান শেখ এখনও অধরা। এ প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। এবার গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে বিশেষ দল পাঠাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    নোটিশে কী বলেছে কমিশন

    ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা, শিশু ও তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ঘুরে গিয়েছে। এ বার সেখানে যাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলও। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক এবং ডিজি রাজীব কুমারকে নোটিশও ধরিয়েছে কমিশন। রাজ্যের দুই শীর্ষ কর্তার থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন নোটিসে জানিয়েছে, সন্দেশখালিতে এক রাজনৈতিক নেতার আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছে, মহিলারা যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে। মহিলা, শিশু থেকে বয়স্করা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছে। অসামাজিক এই সমস্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ স্থানীয় প্রশাসন। মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের জন্য সন্দেশখালি বিপজ্জনক বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কী জানতে চাওয়া হয়েছে

    কমিশন জানিয়েছে, দুই কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) তারা এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কী কী করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি ঘুরে দেখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশনের এক সদস্যের নেতৃত্বে শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কবে সেই দল রাজ্যে আসবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি। বুধবারই সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতায় এসেছেন জাতীয় তপসিলি উপজাতি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অনন্ত নায়েক। বৃহস্পতিবারই তিনি সন্দেশখালি যাবেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    Sandeshkhali: ‘‘মমতার বিবেকের মৃত্যু হয়েছে’’, সন্দেশখালিকাণ্ডে তীব্র আক্রমণ রবিশঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম জমানার অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মমতার রাজত্ব। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) মমতা সরকারকে কড়া নিশানা করলেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেকের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি কি এই ব্যাপারে কিছু লুকোতে চাইছেন?’’

    কেন ইন্ডি জোটের বাকি দলগুলি সন্দেশখালি ইস্যুতে চুপ?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান এখনও ফেরার। শাহজাহানকে রক্ষা করছে পুলিশই। এমন সন্দেহ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। এই আবহে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। মহিলাদের উপর মারাত্মক যৌন নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। গণধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন সন্দেশখালি ইস্যুতে। বিজেপির সদ্য সমাপ্ত জাতীয় অধিবেশনেও উঠে এসেছে সন্দেশখালি ইস্যু। এমনই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ করলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর প্রশ্ন, ‘ইন্ডি’ জোটের দলগুলি সন্দেশখালি নিয়ে চুপ করে রয়েছে কেন?

    মহিলাদের যৌন হেনস্থা, সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার

    সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীণ বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘‘সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ইস্যুটি দিনে দিনে আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থা, অপমান আমাদের সমাজ ও গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে প্রত্যক্ষভাবে সন্দেশখালির ঘটনা সমর্থন করছেন, তাও এদিন বলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর কথায়, ‘‘অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামেদের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি অনির্দিষ্টকালীন ধরনায় বসেছেন। আজ তাঁর অত্যাচার, তাঁর পুলিশের নিপীড়ন সেই সময়ের সিপিএমের শাসনকালকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা লজ্জাজনক। তাঁর বিবেক আজ কোথায়? আমার মনে হয় তাঁর বিবেকের মৃত্যু হয়েছে।’’ সোমবার রাতে সন্দেশখালিতে কর্তব্যরত অবস্থায় এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন রবিশঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    Sandeshkhali: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন, নবান্নর রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় তফশিলি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরেই রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছিল। জাতীয় মহিলা কমিশনও সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাইসিনা হিলসে। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় আদিবাসী কমিশন।

    বুধবারই চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নকে

    বুধবারই জাতীয় আদিবাসী কমিশন একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সূত্রের খবর, ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক আদিবাসী মহিলা এবং এক আইনজীবীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছ থেকে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্টও তলব করছে আদিবাসী কমিশন। চিঠিতে তিন দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথায় রাজীব কুমার এবং গোপালিককে সশরীরে দিল্লিতে কমিশনের হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানোও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। না এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কমিশন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার, জমি দখল সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ তা জানাতে হবে কমিশনকে।

    সন্দেশখালিতে একের পর এক কমিশন

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি অশান্ত সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। সেখানে ওই প্রতিনিধি দলকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর ঠিক ৪ দিন পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সংবাদমাধ্যমের সামনে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টা অভিযোগ পেয়েছি। দু’জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের উপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’ তফশিলি কমিশন, মহিলা কমিশনের পরে এবার সন্দেশখালিতে পা পড়তে চলেছে আদিবাসী কমিশনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    Sandeshkhali Incident: শান্তি ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের, সন্দেশখালির মেয়েদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মা-বোনেদের জন্য মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সোমবার রাজভবনের তরফে বাংলার জনগণের কাছে রাজ্যপালের পঞ্চমতম রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট কার্ডে মিশন ‘সন্তোষ কালী’র বিষয়ে বলা হয়েছে। রাজ্যপালের মতে, “সন্দেশখালি অস্থিরতা, নৈরাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে শান্তি ফেরাতে হবে। সন্দেশখালির ব্যথিত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” তাঁর আর্জি, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকার থেকে জেগে উঠুক সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ৷

    মিশন সন্তোষ কালী কী

    সন্দেশখালির নারী-‘লাঞ্ছনা’র পটভূমিতে রাজ্যের তরুণীদের নিয়ে এ দিন ‘মিশন সন্তোষ কালী’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বোস। রাজ্যপাল জানান, এই কর্মসূচিতে নারী-শক্তি, নারীর মর্যাদার সচেতনতা ও প্রসার আরও বাড়াতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “এ বিষয়ে কেন্দ্র, রাজ্যের প্রকল্প এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উদ্যোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে মেয়েদের সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়নের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে হবে।” রাজভবনের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীর উপস্থিতিতে মিশন ‘সন্তোষ কালী’ চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে নারীদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। নারীদের স্বনির্ভর করে তোলার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যাঁরা নারীদের নিয়ে কাজ করে তাঁদেরকে মিলিতভাবে কর্মসূচী নেওয়ার কথআও বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল, হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড

    রাজ্যপাল রিপোর্ট কার্ডে স্পষ্ট লিখেছেন,”নারী শক্তিকে একত্রিত করতে হবে ৷ নারীদের মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে ৷ আত্মনির্ভর ভারত ও বিকশিত ভারতের লক্ষ্য নারীদের উন্নয়ন ৷ নারী শক্তিকে একত্রিত করার প্রচেষ্টার পটভূমিতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর 24 পরগনা জেলার সন্দেশখালি থেকে পাওয়া রিপোর্ট বিরক্তিকর ৷ নারীর মর্যাদা ও সম্মানের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ হচ্ছে সেখানে । ঘটনাগুলি সমগ্র জাতির চোখ খুলে দিয়েছে । আমরা বৈদিক ধারণা নিয়ে গর্ব করি ‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতা’ অর্থাৎ যেখানে নারীদের সম্মান করা হয়, সেখানে দেবতারাও আনন্দ করেন । কিন্তু সন্দেশখালিতে নারীদের শ্লীলতাহানি, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বা জমি দখল এবং এলাকার নারীদের অসহায়বোধের রিপোর্ট এসেছে । সন্দেশখালির ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে মতবিনিময়ের ভিত্তিতে আমি মিশন সন্তোষ কালীকে ভারতের মহিলাদের মর্যাদা ও সম্মানের উপর ভবিষ্যতের আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসাবে প্রণয়ন করেছি ।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    Rajbhawan: সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে রাজ্যপাল, রাজভবনে খোলা হল ‘পিস হোম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) সন্ত্রাসের শিকার মানুষের জন্য রাজভবনে (Rajbhawan) খোলা হয়েছে ‘পিস হোম’। সন্দেশখালিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের জন্য বেনজির পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। শুধু অভিযোগ শুনতে নয়, একেবারে নির্যাতিতাদের থাকার জন্যই রাজভবনের ঘরের দরজা খুলে দিলেন তিনি। রাজভবনের ৩টি ঘরকে পিস হোমের রূপ দেওয়া হয়েছে। 

    মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোই লক্ষ্য

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মহিলাদের ওপর গণধর্ষণ-সহ নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানকার মহিলারা। পুলিশে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এরপরই পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির কোনও বাসিন্দা বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে রাজভবনের (Rajbhawan) পিস হোমে থাকতে পারেন। প্রধানত রাজ ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসন হিসাবে ব্যবহার করা হয় যে ঘরগুলি, সেখানেই তিনটি ঘরকে পিস হোম বানানো হয়েছে। সেখানেই সন্দেশখালির বিপন্ন বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক লোক নই। রাজনৈতিক মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ সংবিধানের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো ও মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানো। আমি সেই কাজ করছি। আমি চাই সন্দেশখালিতে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরুক।”

    আরও পড়ুুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    সন্দেশখালিতে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

    গত সপ্তাহেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে  মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেন সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্দেশখালিতে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালি থানায় নির্যাতিতাদের নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান তিনি। থানায় মোট ১৮টি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর সেখান থেকে যান রাজভবনে। সন্দেশখালির সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখা রাষ্ট্রপতি শাসনের সওয়াল করেন তিনি। রেখা শর্মা বলেন, “এখানে ভীষণ খারাপ অবস্থা। এখানে এত খারাপ অবস্থা মহিলারা আমাকে ছাড়তে চাইছেন না। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া এখানে আর কিছু হতে পারে না বলেই আমার মনে হয়। আমি জানি না শাসন কোথায়, প্রশাসন কোথায়, মুখ্য়মন্ত্রী কোথায়। আমার মনে হয় ওঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ, এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, রাজ্য পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সন্দেশখালির নির্যাতিতার পরিচয় গোপন না-রেখে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি

    সন্দেশখালিতে এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাহান অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন, তার ভিত্তিতেই ওই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনি। রাজ্য পুলিশের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মহিলা কমিশন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের দাবি 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মহিলার একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তার আগে পুলিশ তার একটি ছোট্ট ভিডিও বানায়। গোপন জবানবন্দির জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছে। এই কথা পুলিশ তাকে বলতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    Narendra Modi: শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, গঙ্গার নীচে চড়বেন মেট্রো, উদ্বোধন ৩ প্রকল্পের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোর তিনটি নয়া রুটের উদ্বোধন করতে শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৬ মার্চ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা তিনটি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন মোদি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে দলীয় অনুষ্ঠানের পর তিনি একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। 

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো

    দেশের প্রথম নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলবে কলকাতায়। গঙ্গার নীচ দিয়ে চলবে পাতাল রেল। এই ঐতিহাসিক সফরে সঙ্গী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মেট্রো রেল সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এসপ্ল্যানেড মেট্রো (Kolkata Metro) স্টেশন থেকে মেট্রোতে চড়ে গঙ্গার ২৮ মিটার নীচ দিয়ে হাওড়া মদয়ানে যাবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এবিষয়ে রেলকে প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এই রুটে মেট্রো চালু করার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এছাড়াও কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত যে মেট্রো রুটটি রয়েছে তাও এক বছর ধরে তৈরি হয়ে রয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটটিতে মেট্রো যাতায়াতের জন্য দেওয়া হয় অনুমতি। পাশাপাশি তারাতলা থেকে মাঝেরহাট যে স্টেশন সম্প্রসারিত হয়েছিল তা চালু করার জন্য এর আগেই পাওয়া গিয়েছিল সবুজ সংকেত। এই তিনটি রুটের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    আরও পড়ুন: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    মোদির সভার গুরুত্ব

    ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাংলা সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জনগণকে কাছে টানতে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই স্টেশনগুলি ভালো করে পরিদর্শন করে দেখা হচ্ছে। কোনও বিষয়ে সামান্যতম খামতিও না থাকে, সেই দিকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজর। একই দিনে বারাসতে সভা করে উত্তর ২৪ পরগণার মানুষকে পাশে পেতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বারাসত থেকে বসিরহাটের সন্দেশখালির দূরত্ব খুব বেশি নয়। যখন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident)  নিয়ে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বারাসতে জনসভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা চাই ওঁদের পুরো বিচার মিলুক।” সোমবার কথাগুলি বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে গিয়েও পুলিশের বাধায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। তাই আমাকে সন্দেশখালি যেতে হচ্ছে।”

    ‘অশান্তির খবর আসছে’

    এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমে সন্দেশখালির উদ্দেশে যাত্রা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি থেকে অশান্তির খবর আসছে। আমাদের একজন সদস্য অনুসন্ধান করে এসেছেন। পুলিশের কারণে তিনি অনেক নির্যাতিতার কাছে পৌঁছতে পারেননি। এবার আমি যাচ্ছি। আমার কথা হয়ে গিয়েছে। আমি চাই ওঁরা পুরো বিচার পান। যিনিই নির্যাতিতা হোন না কেন, তিনি সামনে এসে আমার সঙ্গে কথা বলুন। কেউ যেন ভয় না পান। কারণ নির্যাতিতাদের কথা শোনার জন্য আমরা তিনজন মহিলা রয়েছি। আমরা ওঁদের পাশে রয়েছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান রেখা। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও অবহিত করবেন বলে জানান রেখা।

    ‘পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা বলেন, “অভিযোগ এলেও, পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে। প্রশাসন কানে নেয় না। আজ জানতে পারলাম ডিএম বাইরে রয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গেলে কোনওদিনই ডিএম-এসপিদের দেখা পাই না। প্রত্যেকবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেন না তাঁদের প্রশাসনিক স্তরের অফিসারদের। সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে, এই এমন ব্যবস্থা। কিন্তু প্রকৃত সত্য সব সময় বাইরে বেরিয়ে আসবেই।”

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    জানা গিয়েছে, এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার সময় রেখার সঙ্গে রয়েছেন গত সপ্তাহে জাতীয় মহিলা কমিশনের যেসব প্রতিনিধি গিয়েছিলেন, তাঁরাও। সন্দেশখালি পৌঁছে রেখা সটান ঢুকে পড়েন এক নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তার আগে রেখা বলেন, “সকলের মধ্যে থেকে ভয় দূর করতে হবে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে বাকিদেরও ভয় কাটবে। আরও অনেক মহিলা সামনে আসবেন (Sandeshkhali Incident)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share