Tag: sandeshkhali news

sandeshkhali news

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan) রোহিঙ্গাদের (Rohingya) নিয়ে এসে ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন। সেই ক্যাম্পের খরচ দিত জেলা পরিষদ। বিষ্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। শেষ দফায় ১ জুন বসিরহাটে (Basirhat) নির্বাচন হবে। দেশ জুড়ে নির্বাচন চলাকালীন সন্দেশখালি (Sheikh Shahjahan Sandeshkhali) থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালি। দেশি, বিদেশি পিস্তল উদ্ধার সহ একশোর বেশি রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই (CBI)। উদ্ধার হয়েছে বিষ্ফোরক। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। নামাতে হয়েছে এনএসজি (NSG) কমান্ডো। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচারের যোগের অভিযোগ করেছে বিজেপি।

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য (Seikh Shahjahan)

    দিলীপ ঘোষ বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকা যদি অস্ত্রের আড়তে পরিণত হয়, তাহলে দেশের সুরক্ষা কোথায়? যারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছিল তারা প্রত্যেকে সন্ত্রাসবাদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যেককে জেলে ভরা। শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan)  রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ওখানে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেই ক্যাম্পের খরচ চালাত ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হত সারা ভারতের নানান প্রান্তে।”

    ঘটনার সূত্রপাত

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারকদের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan)  বাড়ির ৫০০ মিটার দূরের একটি বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডার বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। বিরোধীদের প্রশ্ন সিবিআই এখানে অস্ত্রের হদিশ পায়। অথচ পুলিশ কেন পায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে আগেও উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টে তাদের কাছেই আলাপ আলোচনার জন্য নাকি পাঠিয়ে দিত পুলিশ। সেই অভিযোগে নতুন অধ্যায় জুড়ল সন্দেশখালি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার। এমনকি এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স ফেলিওরের তত্ত্ব এনেছেন খোদ রাজ্যের তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। শেখ শাহজাহানের সাগরেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার লাইসেন্স ও কার্তুজ কেনার বিল সহ আরও বহু নথি।

    উঠছে আরও অনেক প্রশ্ন

    বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্ন সন্দেশখালিতে এত অস্ত্র এল কোথা থেকে? কারা আনল, কী কারণে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই বাড়িতে? ওই অস্ত্র কী ভোটের সময় সন্ত্রাসের জন্য মজুত করা হয়েছিল? এই অস্ত্রের জোরেই কি ইডির উপর হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিল দুষ্কৃতীরা? একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সন্দেশখালির মাস্টার মাইন্ড শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan)  সঙ্গে এই অস্ত্রের যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    বিরোধী দলনেতার বক্তব্য

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Seikh Shahjahan) এক্ষেত্রে বলেছেন, “যদি মিনাখাঁতে যান আইয়ুব গাজীর বাড়ি থেকে অস্ত্র পাবেন। জীবনতলায় যান শওকত মোল্লার ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন। বাসন্তীতে গেলে রাজা গাজীর ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন।” যে কটি নাম বলেছেন বিরোধী দলনেতা সকলেই নিজ-নিজ এলাকায় শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও কুনাল ঘোষ এর বক্তব্য এই অস্ত্র সিবিআই রেখে দিয়ে আই ওয়াশ করা তদন্ত করেছে। পুলিশের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স কি করছিল। কেউ অস্ত্র রেখে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কিনা সেটা পুলিশের নজরদারি রাখা উচিত ছিল। অস্ত্র পাওয়া গেলে পুলিশের ভূমিকা ওতো অবশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়বে। রাজনৈতিক কারণে শুভ কুনাল ঘোষ যাই বলুন না কেন ইন্টেলিজেন্স ফেললিয়নের কথা তিনি ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    Sandeshkhali: আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের ডেরায় বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই (CBI)। বিষ্ফোরক উদ্ধার করতে নামাতে হল রোবট। নামানো হলে এনএসজি কমান্ডো। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার একটি বাড়ির মেঝে ভেঙে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার। আনুমানিক ১০ থেকে ১৫টি দেশী ও কিছু বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। খোঁজ মিলেছে বস্তা বোঝাই বিষ্ফোরকের। জানা গিয়েছে, ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে এসে তৃণমূল পরিচালিত সরবেড়িয়ার আগারহাটি পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁয়ের আত্মীয় আবু তাহের মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁয়ের ভগ্নিপতি হন এই আবু তাহের মোল্লা।

    বেআইনি অস্ত্রের হদিস সিবিআই-এর

    আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। তদন্তভার নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার সন্দেশখালি এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। শেষ শনিবারও সন্দেশখালিতে এসেছিল সিবিআইয়ের দু’টি দল। একটি দল গিয়েছিল থানায়। অন্য দল গিয়েছিল সুন্দরীখালির দিকে। এদিন মল্লিকপুরে আবু তাহের মোল্লার ভেড়ি ঘেরা বাড়িতে আসে তদন্তকারী দল। মূল সড়ক থেকে ভেড়ির আল বরাবর ইট পাতা রাস্তা হয়ে ওই বাড়িতে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তদন্তকারী দল। তদন্তকারী দল এদিন নিজেদের সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও কিছু স্ক্যানার নিয়ে এসেছিল। ওই বাড়ির ৫০০ মিটার দুরের একটি বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। নির্দিষ্ট সূত্র মারফত খবর পেয়ে বাড়িতে ঢুকে মেঝে স্ক্যান করা হয়। মেঝের নীচে ধাতব ও সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ করা যায়। এর পর মেঝে ভাঙার কাজ শুরু হয়। মেঝে ভেঙে বিপুল পরিমাণ বেআইনি অস্ত্রের হদিস পায় তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই অস্ত্রের পরিমাণ কী তা জানান নি তদন্তকারীরা। অসমর্থিত সূত্রের খবর দেশী ও বিদেশী বেআইনি অস্ত্র ও এক বস্তা বোমা পাওয়া গেছে। এগুলি সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয় তদন্তকারীরা দেখে নিতে চাইছেন।

    রাজনৈতিক তরজায় বিজেপি-তৃণমূল

    ২০২৪’এর লোকসভার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিনে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। এখনও পাঁচ দফা নির্বাচন বাকি। ১ জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এরই মাঝে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, “ অস্ত্র মজুতের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মদত রয়েছে। ভোটের জন্য মজুত করা হয়েছিল অস্ত্র।” পাল্টা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “যারা মানুষের রায়ে জিতে আসে তাঁদের অস্ত্রের দরকার হয় না। যারা মানুষের রায়ে প্রত্যাখাত হয়েছে, তাঁদের অস্ত্রের দরকার হয়।”

    প্রচুর পরিমাণে বিষ্ফোরক মজুত অনুমান

    জানা গিয়েছে অস্ত্র মজুতের ঘটনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। ১০০ মিটারের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ ছিল এদিন। তবে দিন দুপুরের পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হঠাৎ গাড়ি ভর্তি করে একদল এনএসজি কমান্ডো আসে এলাকায়। কী কারণে তাঁরা এসেছেন, সেই বিষয় নিয়ে সকলের মুখে কুলুপ। এর পরেই দেখা যায়, মঙ্গল গ্রহে কিংবা চন্দ্রযানে যেমন রোভার নামানো হয়েছিল সেরকম একটি রোবট এগিয়ে যায় ওই মেঝে ভাঙা ঘরের দিকে। এর পরেই সকলের কৌতুহল আরও বাড়তে থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, প্রচুর পরিমাণে বিষ্ফোরক মজুত রয়েছে সেখানে। কিন্তু পরিমাণ কতটা? শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা জানানি কেউই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    Barrackpore: নৈহাটির মাতৃসদনে টাকা ঢেলছে সন্দেশখালির সংস্থা! পার্থ- শাহজাহান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmick) সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) যোগের প্রমাণ রয়েছে তাঁর হাতে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। সন্দেশখালির একটি বেসরকারি সংস্থা ওএনজিসি’র সিএসআর ফান্ডের টাকা নৈহাটির মাতৃসদনে বিনিয়োগ করেছে। সন্দেশখালির ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠরা যুক্ত দাবি অর্জুন সিংয়ের।

    এক্স হ্যান্ডেলে অর্জুনের বক্তব্য (Barrackpore)

    সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী অর্জুন উল্লেখ করেছেন, “ওএনজিসির ‘সিএসআর’ ফান্ডের টাকায় বেশ কিছু জিনিস দান করা হয়েছিল সন্দেশখালির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মা সারদা ওমেন এন্ড রুরাল ওয়েলফেরায় সোসাইটিকে’। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেই জিনিসগুলি আবার নৈহাটি পুরসভার হাসপাতাল মাতৃসদনকে দান করেছে। এদিন  বিকেলে হালিশহরে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন। তাঁর প্রশ্ন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালকে সেগুলো না দিয়ে নৈহাটির মাতৃসদন হাসপাতালকে কেন প্রদান করেছে? এতেই নৈহাটির সঙ্গে সন্দেশখালি যোগের প্রমান ধরা পড়েছে। শিবু হাজরা নৈহাটির কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জমি কিনেছে দাবি করেন অর্জুন। তিনি আরও জানান আগামী দিনে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে শেখ শাহজাহানের সরাসরি যোগাযোগ প্রমাণ করে দেবেন।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    বিজেপির অভিযোগ

    ব্যরাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী বিজেপি অর্জুন আরও বলেন, “নৈহাটি পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতাল রোজগারের একটা কেন্দ্রে হিসেবে পরিণত হয়েছে। অন্য হাসপাতালে যাতে রোগী না নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর জন্য চিকিৎসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে এখানে ডিউটি করার জন্য।”  পাল্টা নৈহাটি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সনৎ দে বলেন, “ কে আমাদের সরঞ্জাম দিল আমরা দেখতে যাব কেন? ওএনজিসি কাকে টেন্ডার দেবে সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমরা তাঁদের (ongc) কাছে ডায়েলিসিসের বিভিন্ন সরঞ্জাম সাহায্য হিসেবে চেয়েছিলাম। কিছু জিনিসের প্রয়োজন ছিল। সেটা পেয়েছি। কিভাবে ওএনজিসি ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করল সেটা তাঁদের ব্যাপার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন সহ ৩

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শাহজাহান শেখ ও তাঁর প্রধান ২ শাগরেদ তথা শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার— এই তিন জন রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। তবে সোমবার, ইডির উপর হামলার ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি করল সিবিআই। ধৃত শাহজাহান শেখের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লা। জানা গিয়েছে, তিনি সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জি নামে শাহজাহানের আরও দুই শাগরেদকে। দিদারবক্স পেশায় নিরাপত্তারক্ষী বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহান মার্কেটে সে কাজ করত। তবে ফারুকের পেশা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

    সন্দেশখালিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নোটিশ ধরায় সিবিআই

    মামলা হাতে পাওয়ার পর পরই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যান সিবিআই আধিকারিকরা। তখনই তাঁরা অভিযুক্তদের হাজিরার নোটিশ ধরান। সিবিআই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি ফাঁড়িতে পৌঁছায়। এরপর সন্দেশখালি থানার পুলিশকে নিয়ে সরবেড়িয়া-আকুঞ্জিপাড়ায় হাবিবুর রহমানের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সে সময়ে বাড়িতে ছিলেন না হাবিবুর। সিবিআইয়ের নোটিশ ছিঁড়ে ফেলে দেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, সিবিআই পৌঁছে যায় শাহজাহানের জামাই রানাবাবু লস্করের বাড়িতেও। কিন্তু সেখানে বাড়ি তালা বন্ধ থাকায় শুধু ছবি তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। জিয়াউদ্দিন সহ ৭ জনকে সোমবার হাজির হওয়ার নোটিশ ধরানো হয়েছিল। সেই মতো সোমবার কলকাতায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন জিয়াউদ্দিন সহ বাকিরা। দীর্ঘ জেরা চলার পর, জিয়াউদ্দিন  এবং শাহজাহানের আরও ২ শাকরেদকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    মঙ্গলবার কারা হাজিরা দিচ্ছে সিবিআই দফতরে

    এদিকে, তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার যে তিনজনের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজন হলেন হাবিবুর রহমান এবং বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিকি মোল্লা। আপাতত শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এবং সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ন্যাজাট থানায়। কোর্টের নির্দেশ মতো, রাজ্য পুলিশের হাত থেকে এই মামলা চলে যায়, সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তল্লাশি অভিযানের সময় গত জানুয়ারিতে ইডির ওপর হামলা! অবশেষে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বয়ান দাখিল করে সিবিআই। শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়ি সমেত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই ধৃত নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যোগ করল সিবিআই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়, তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের সুবিধার্থে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    জেরায় কী জানাল শাহজাহান?

    বগটুইকাণ্ডে যেমনটা হয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তেও থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সরবেড়িয়া থেকে সিবিআই আলি গাজি নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডিকে ভয় পেয়েই শাহজাহান এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সিবিআই-এর জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন শাহজাহান। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, সরবেড়িয়ার বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিনই মর্নিং ওয়াকে বের হন। সেইমতো তিনি ৫ জানুয়ারিও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ইডি এসেছে শুনে এবং ইডির ফোন পেয়েই তিনি ভয় পেয়ে যান। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, এই ভয়েই তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।

    মঙ্গলবারই তদন্তভার নেয় সিবিআই

    প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত বুধবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে একটি এফআইআর হয় ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। বাকি দু’টির মধ্যে একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অন্যটি রেশন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে। প্রথমে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করা না হলেও তা শুক্রবারই যুক্ত করেছে সিবিআই।

    বুধবার থেকে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

    এর আগে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি ধারায় মামলা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলাগুলিতে ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টা ইত্যাদি রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হয় রাজ্য পুলিশের হাতে। বসিরহাট কোর্ট তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় এবার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই নাকি পুলিশ, কে দেবে নিরপত্তা? এব্যাপারে হাইকোর্ট ভরসা রাখল সিবিআই-এর ওপরেই। তাদেরই নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে বলল হাইকোর্ট। শুনানির শুরুতেই পুলিশের ওপর সন্দেশখালির মহিলাদের ভরসা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট এদিন প্রশ্ন তোলে, ‘‘রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের। তাহলে তাঁদের নিরাপত্তা কে দেবে?’’ এছাড়াও মামলা বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে, তাই এই মামলার সঙ্গে জড়িত সাক্ষীদের নিরাপত্তার দিকটিও সিবিআইয়ের-ই দেখা উচিত বলেই মনে করেছে কোর্ট। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    সিবিআই দেবে নিরাপত্তা

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে, বিশেষত যাঁরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থাকেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার প্রয়োজন। যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে এখন তদন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই সিবিআইকেই এই মামলায় যাঁরা সাক্ষী হিসাবে কোনও বয়ান দিয়েছেন বা কথা বলেছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নির্দিষ্ট আইন ও নির্দেশিকা মেনে।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত মহিলা বয়ান দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে লিখিত আবেদন জমা করার নির্দেশ দেন। আদালতবান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।  কিন্তু বিডিও কীভাবে সেই জমি ফেরত দিচ্ছেন?’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ আসছে সমস্ত কিছু শোনা হবে। কিন্তু তার আগে সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে।’’ জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি  ৪ এপ্রিল। এদিন ইডির কৌঁসুলি হাইকোর্টে জানান, রাজ্যকে অনুরোধ করা হচ্ছে বাকি এফআইআর তাদের হস্তান্তর করা হোক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন সন্দেশখালিতে কেউ না গেলেই ভালো হবে।’’

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share