Tag: sanskrit

sanskrit

  • New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    New Zealand: নিউজিল্যান্ডে চালু হল নয়া শিক্ষার আসর, পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম (Hindu Scripture Classes)। এই ধর্মের বহু গ্রন্থে পাঠ দেওয়া হয়েছে জীবন চর্যার, জীবন দর্শনের। সনাতনীরা এই দর্শন জানেন। জানেন না বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ। তাঁরাও যাতে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানতে পারেন, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে খুঁজে নিতে পারেন জীবন চর্যার মণিমুক্তো, তাই পড়ানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। আজ্ঞে হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডেই (New Zealand) চালু হয়েছে এই শিক্ষার আসর।

    কী শেখানো হয়? (New Zealand) 

    সে দেশের রোটোরুয়ায় হিন্দু হেরিটেজ সেন্টারে ফি রবিরার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ক্লাস। ক্লাস করেন সাত থেকে সত্তর – সবাই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যে কেউই অংশ নিতে পারেন এই ক্লাসে। শেখানো হয় সংস্কৃত শ্লোক এবং মন্ত্র। সহজ সরল ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেগুলোর অর্থও। হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে জীবন চর্যার যে পাঠ রয়েছে, তাও দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে যাঁরাই আগ্রহী, তাঁরাই যোগ দিতে পারেন এই ক্লাসে। প্রথম ক্লাস হয়েছে ২১ জুলাই, গুরু পূর্ণিমার দিন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী (New Zealand), দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। তাই এই দিনেই শুরু হয়েছে প্রথম ক্লাস।

    শিক্ষক পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

    ক্লাস করাচ্ছেন ঈশ্বরী বিদ্যা নামে একজন। পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ক্লাস রুমে তিনিই নিয়ে আসেন সিন্ধু ছেঁচে মুক্তো। জন পল কলেজে অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের পাঠও দেন ঈশ্বরী। বলেন, “আমার মা ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের সংস্কৃত শেখাতেন। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে সংস্কৃত শ্লোক-মন্ত্র। এই জ্ঞানটাই আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিয়ে যেতে চাই।”

    আরও পড়ুন: জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিচার শুরুর সম্মতি রাজ্যপালের, বিপাকে সিদ্দারামাইয়া

    নিউজিল্যান্ডের হিন্দু কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট গুনা মাগেসান বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরেই এই জাতীয় একটা ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলাম। ক্লাস শুরুর পরে দেখলাম অনেকেই হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছেন। তাই আমরা ঠিক করেছি, নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য শহরেও আমরা এটাকে ছড়িয়ে দেব।” নিউজিল্যান্ডের আগে এমন ক্লাস শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকেও। সেখানকার বিভিন্ন মন্দির এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্বের পাঠ দিতে এমন ক্লাসের আয়োজন করে। ব্রিটেনেও হিন্দুত্ব শিক্ষার ক্লাস হচ্ছে। ক্লাস হচ্ছে লন্ডনেও। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে (New Zealand)। বিশেষত, যাঁরা প্রবাসী ভারতীয়, তাঁদের মধ্যে। বিশ্বের যত দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে, ততই প্রসার হবে হিন্দু ধর্মের। সনাতন ধর্ম (Hindu Scripture Classes) সুরক্ষিত থাকবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Jnanpith Award 2023: সংস্কৃত-উর্দু ভাষা-সাহিত্যে অবদান, জ্ঞানপীঠে সম্মানিত গুলজার-জগদগুরু রামভদ্রাচার্য

    Jnanpith Award 2023: সংস্কৃত-উর্দু ভাষা-সাহিত্যে অবদান, জ্ঞানপীঠে সম্মানিত গুলজার-জগদগুরু রামভদ্রাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশকের পর দশক ধরে তাঁর সৃষ্টি মন জয় করে এসেছে পাঠক ও শ্রোতাদের। তাঁর লেখা কবিতা পড়ে, গান শুনে আবেগে ভেসেছে, ভালোবাসার অর্থ অনুধাবন করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। সেই গুলজারই এবার মনোনীত হলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কারের জন্য। উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ৫৮তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (Jnanpith Award 2023) পেতে চলেছেন বর্ষীয়ান এই উর্দু কবি। শনিবার জ্ঞানপীঠ সিলেকশন কমিটির তরফে এক বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করা হয়েছে। উর্দুভাষায় সাহিত্যকর্মের জন্যই প্রবীণ এই সাহিত্যিককে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই এবছর জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পাচ্ছেন সংস্কৃত ভাষার পণ্ডিত জগদগুরু রামভদ্রাচার্য।

    গুলজার ও জগদগুরু রামভদ্রাচার্যের আবদান

    উর্দুভাষায় সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি হিন্দিভাষায় একের পর এক কালজয়ী গান রচনা করেছেন গুলজার। গীতিকার হিসাবে তাঁর লেখা সেইসব গান আজও সকলের ঠোঁটে ঠোঁটে ফেরে। ‘আঁধি’, ‘ইজাজত’, ‘মাসুম’-এর মতো ছবিতে গুলজারের লেখা গান ভারতীয় সংগীতচর্চাকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে বলা যায়। ‘মেরা কুছ সামান’, ‘তুম আ গায়ে হো’, ‘তেরে বিনা জিন্দেগি মে’, ‘আনে ওয়ালা পল’-এর মতো সব মণিমুক্ত জন্ম নিয়েছে গুলজারের কলম থেকে। গুলজারের আসল নাম সম্পূরাণ সিং কালরা। জন্ম ১৯৩৪ সালের ১৮ আগস্ট। উর্দু সাহিত্যের জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নাম গুলজার। করেছেন আঁধি, খুশবু, মাসুমের মতো ছবির পরিচালনাও। পাঁচটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন গুলজার। এছাড়াও সাহিত্য অকাদেমি, দাদাসাহেব ফালকে সম্মান রয়েছে প্রায় ৯০ বছর বয়সি গুলজারের ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মভূষণ সম্মানও। ২০১০ সালে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও পান গুলজার। অন্যদিকে, জগদগুরু রামভদ্রাচার্য চিত্রকূটের তুলসী পীঠের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান। তিনি একজন প্রখ্যাত হিন্দু আধ্যাত্মিক নেতা। শিক্ষাবিদও। ১০০ টিরও বেশি বইয়ের লেখক তিনি।

    জ্ঞানপীঠ নির্বাচন কমিটির বক্তব্য? (Jnanpith Award 2023)

    একটি বিবৃতিতে, জ্ঞানপীঠ (Jnanpith Award 2023) নির্বাচন কমিটি বলেছে, “দুটি ভাষার বিশিষ্ট লেখকদের (২০২৩ সালের জন্য) পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্কৃত সাহিত্যিক জগদগুরু রামভদ্রাচার্য এবং সুপরিচিত উর্দু সাহিত্যিক শ্রী গুলজার।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala Madrasa: এবার গীতা পড়ানো হবে কেরলের ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

    Kerala Madrasa: এবার গীতা পড়ানো হবে কেরলের ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে সংস্কৃত ব্যাকরণের পাশাপাশি হিন্দু ধর্মশাস্ত্র গীতাও পড়ানো হবে এবার কেরালার ত্রিশূর জেলার একটি ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Kerala Madrasa)। ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে সিলেবাস। নতুন সিলেবাসের পঠন পাঠন শুরু হবে চলতি বছরের জুন মাস থেকে। নতুন অ্যাকাডেমিক বছর থেকেই এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের (Kerala Madrasa) ছাত্ররা পড়বে গীতা এবং সংস্কৃত। 

    প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কী বললেন 

    প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হলেন মালিক দিনার। মালিক দিনার কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে এসেছিলেন সংস্কৃত ভাষা শিক্ষক হিসেবে। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, প্রাচীন এই ভারতীয় ভাষা সম্পর্কে ছাত্রদের জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
    এই ইসলামিক প্রতিষ্ঠান (Kerala Madrasa) ইতিমধ্যে ছাত্রদেরকে গীতার কিছু অংশ, উপনিষদ মহাভারত এবং রামায়ণের পড়িয়েছে গত সাত বছর ধরে। প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর হাফিজ আবু বকর বলেন যে সংস্কৃত ভাষা এর আগেও পড়ানো হয়েছে কিন্তু এবছর থেকে সেটি পরিকল্পনামাফিক পড়ানো হবে। জানা যাচ্ছে সংস্কৃত ভাষায় যে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে সেটি একটি ৮ বছরের কোর্স। যেটি উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত চলবে। তিনি আরও বলেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবার নিজেদের পছন্দমতো সংস্কৃত ভাষায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স করতে পারবে। প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে যে সিলেবাসটি তৈরি করা হয়েছে সি এম নীলকানন্দন নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের সহায়তায় যিনি সংস্কৃত ভাষারই অধ্যাপক ছিলেন শ্রী শংকরাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    আবু বকর আরও বলেন যে এই ভাবনা শুধুমাত্র সংস্কৃত ভাষায় পাঠদানের জন্য নয়, এর সাহায্যে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা এবং ধর্ম সম্পর্কেও ছাত্ররা জানতে পারবে। তাদের ধারণা মজবুত হবে।
    এই কোর্সে প্রাথমিক ব্যাকরণ, সংস্কৃত শব্দ সম্পর্কে ধারণা, লিঙ্গ পরিবর্তন, বাক্য গঠন ইত্যাদি শেখানো হবে। এরপর প্রথম দু বছরে স্নাতক স্তরে শেখানো হবে বিভিন্ন মহাকাব্য, প্রাথমিক ব্যাকরণ, সংস্কৃত নাটক, কম্পিউটার, সংস্কৃত স্তোত্র ইত্যাদি। স্নাতক স্তরে শেষ বছরে পড়ানো হবে গীতা, সংস্কৃত অনুবাদ ইত্যাদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    Panini: ২৫০০ বছরের প্রাচীন পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর জটিল নিয়মের সূত্র বের করলেন কেমব্রিজের ছাত্র ঋষি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ী সংস্কৃত সাহিত্যের একটি অতি মূল্যবান গ্রন্থ। এই বইতে রয়েছে সংস্কৃত ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম, সংস্কৃত শব্দের বিশ্লেষণ ইত্যাদি। সংস্কৃত ব্যাকরণের এই গ্রন্থে বিভিন্ন ব্যাকরণগত সমস্যার সমাধান করলেন এক ভারতীয় গবেষক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেন্ট জনস কলেজের এশিয়ান এবং মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের পিএইচডি স্কলার ওই ছাত্রের নাম ঋষি অতুল রাজপোপাট।
    পাণিনির (Panini) অষ্টাধ্যায়ীতে ব্যাকরণের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। মূল শব্দ থেকে কীভাবে নতুন শব্দ উৎপন্ন হবে তারও ব্যাখ্যা আছে ওই গ্রন্থে। যত গোলযোগ এখানেই । ব্যাখা নিয়ে দ্বন্দের শেষ নেই। এক এক পন্ডিতের এক এক রকমের মত রয়েছে। পাণিনি নিজেও তাঁর গ্রন্থে কিছু মেটারুল লিখে গেছেন, দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কোনটিকে গ্রহণ করতে হবে। তবে সেটা নিয়েও ধোঁয়াশার মধ্যে এতদিন থাকতেন বিভিন্ন পন্ডিতরা। এবার এমনই কিছু দ্বন্দের শেষ করলেন ঋষি অতুল। ব্যাখা করলেন যুক্তি দিয়ে।
    ঋষি অতুলের আগে অষ্টাধ্যায়ী নিয়ে গবেষণা করে গেছেন,মহর্ষি পতঞ্জলি, বামন, কাত্যায়নের মতো বিখ্যাত প্রাচীন ভারতীয় ঋষিরা। তাঁরাও তাঁদের মতামত রেখেছেন দুটি নিয়মের মধ্যে দ্বন্দ হলে কী করতে হবে। এবিষয়ে ঋষি অতুল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ” মহর্ষি পতঞ্জলি এবং কাত্যায়ন  দুজনেই ব্যাকরণের বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে তাঁদের নিজস্ব ব্যাখা দিয়েছেন,আমি গবেষণা করতে এসে দেখলাম,তাঁদের যুক্তির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আমার ব্যাখার মিল রয়েছে”।

    ঋষি অতুলের গবেষণার একটি ছোট্ট উদাহরণ

    ঋষি অতুলের গবেষণা এবার আমরা একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করব। ধরা যাক একটি সংস্কৃত বাক্য “jñānaṁ dīyate guruṇā” অর্থাৎ গুরু জ্ঞান দেয়। এবার নিয়মের দ্বন্দ শুরু হয় guruṇā শব্দের গঠন নিয়ে। যার অর্থ হল গুরুর দ্বারা । guru + ā এই দুটি নিয়ে guruṇā শব্দ তৈরি হচ্ছে। শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে পাণিনির নিয়ম সবসময় ডানদিকের শব্দের ক্ষেত্রে কাজ করে। এটাই হল ঋষির মূল ব্যাখা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    ISRO Chairman: “বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই”! দাবি ইসরো চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞানের মূল কথা নিহিত ছিল বেদেই (Veda)। সেখান থেকেই আধুনিক বিজ্ঞানের উৎপত্তি। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) এস সোমনাথ। বুধবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে মহর্ষি পাণিনি সংস্কৃত এবং বেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্ততা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যানের দাবি (ISRO Chairman)

    তাঁর দাবি, বীজগণিত, বর্গমূল, সময়ের ধারণা, স্থাপত্য, মহাবিশ্বের গঠন, ধাতুবিদ্যা, এমনকি বিমানচালনার উৎসের সন্ধানও প্রথম বেদ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে সেগুলি আরব দেশগুলির মধ্যে দিয়ে ইউরোপে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেগুলিকে পশ্চিমি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব পরে এগুলো খুঁজে পেয়েছে মাত্র। কিন্তু তার আগে থেকেই এগুলোর অস্তিত্ব ছিল। ইসরো প্রধান (ISRO Chairman) হওয়ার পাশাপাশি সোমনাথ কেন্দ্রীয় সরকারের মহাকাশ সংক্রান্ত দফতরের সচিব এবং স্পেস কমিশনের চেয়ারম্যানও।

    সংস্কৃতের গুরুত্ব

    সোমনাথ বলেন, আগে সংস্কৃতের কোনও লিখিত লিপি ছিল না। সবাই তাই এই বিষয়গুলি শুনে শুনে মুখস্ত করতেন। এভাবেই এই ভাষাটা বেঁচে থেকেছে বহু শতাব্দী ধরে। পরে গিয়ে মানুষ সংস্কৃতের জন্য দেবনাগরী লিপি ব্যবহার শুরু করে। ইসরো কর্তা বলেন, ব্যাকরণের জন্যই বৈজ্ঞানিক ভাবনাচিন্তাকে প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা হল সংস্কৃত। ইঞ্জিনিয়র ও বিজ্ঞানীদের প্রিয় ভাষা হল সংস্কৃত। কম্পিউটারের ভাষার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। তাই যাঁরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখতে চান, তাঁরা সংস্কৃত শেখেন। সংস্কৃত ভাষাকে কীভাবে কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে বহু গবেষণাও হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদির পাশে ১৭ দল, কারা জানেন?

    সোমনাথ (ISRO Chairman) বলেন, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, বিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রাসায়নিক বিজ্ঞান ও বিমান চালানোর বিজ্ঞানের ফল সংস্কৃতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি এবং তা নিয়ে তখন গবেষণা করা হয়নি। তিনি বলেন, একজন রকেট বিজ্ঞানী হওয়ার দরুণ আমি সংস্কৃতের একটি বই দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বইটি সৌরজগত, সময় এবং পৃথিবীর আকার এবং পরিধি সম্পর্কে ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share