Tag: Satabdi Roy

Satabdi Roy

  • Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন’ ঠিক এমন মন্তব্য করে তীব্র বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য, মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশ জুড়ে এখন রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা। ঠিক এমন সময়েই তৃণমূল সাংসদ সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম চন্দ্রকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বক্তব্য ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা উচিত এই তৃণমূল নেত্রীকে।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Birbhum)?

    সাঁইথিয়ায় (Birbhum) তৃণমূলের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের এক সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “বিজেপি রামকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। রাম বোধ হয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ড দিয়ে বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, ঠিক সেই ভাবে রামকে বাড়ি দিয়েছে বিজেপি। রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন।” ভিডিওর এই বক্তব্য সর্বত্র ভাইরাল হয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের নিজের সাফাই দিয়ে শতাব্দী বলেন, “বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমরা রামের বাড়ি করে দিয়েছি। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এলো, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!”

    বিজপির বক্তব্য

    বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূল সাংসদকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বীরভূমের সনাতনী মানুষকে বলব এলাকায় ভোট চাইতে এলে সাংসদ শতাব্দীকে যেন ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হয়।” এলাকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটে শতাব্দী হারেন নি হেরেছে তৃণমূল। পুরনির্বাচনে দিদির পুলিশ, গুন্ডা বাহিনীর বোমা, কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। ভোটাদের ভোট দিতে দেয়নি বলেই এলাকায় তৃণমূল জয়ী হতে পেরেছিল। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন শতাব্দীর

    Birbhum: “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন শতাব্দীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাটে কাজ করেও তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ভোট পাচ্ছেননা বলে কর্মীদের অভিযোগ করলেন। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রশ্ন করে হতাশা ব্যক্ত করলেন তিনি। দলীয় কর্মীদের বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রশ্ন তোলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। বীরভূমের (Birbhum) উন্নয়ন তাহলে কোথায় গেল? উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে এই এলাকায় বিজেপি থেকে শতাব্দী অনেক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। একাধিকবার জেলায় ভোটের প্রচারে গেলে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়নি বলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শতাব্দীকে। ‘এলাকার ভোট কোথায় যায়?’ বলে সাংসদ শতাব্দী, দলের কর্মীদের কাছে প্রশ্ন করে বিড়ম্বনায় ফেলেন। অপরদিকে বিজেপি, ভোট না পাওয়ার পিছনে তৃণমূলকে দুর্নীতিকে দায়ী করেছে। 

    কী বললেন শতাব্দী?

    এলাকার (Birbhum) বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন শতাব্দী রায় বলেন, “কাজের পর কাজ হয়েছে, বড় বড় মিছিল বেরোনোর পরেও ভোট বাক্সে ভোটটা কোথায় যায়? আমার জানতে ইচ্ছে করছে। রামপুরহাট শহরের লোক আমাকে ভোট দেয়নি। আপনাদের কোনও অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে জানাবেন। সংশোধন করার চেষ্টা করবো।” উল্লেখ্য শতাব্দী রায় যখন কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে তাঁর আক্ষেপের কথা বলছিলেন, তখন মঞ্চে বসে ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    রামপুরহাটে ভোটে পিছিয়ে থাকে তৃণমূল (Birbhum)

    রামপুরহাটে (Birbhum) এত কাজ এত বড় বড় মিছিল-মিটিং, সেই সঙ্গে তৃণমূল কর্মী থাকার পরও ভোট বাক্সের ভোটটা কোথায় যায়? দলের কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। আজ বীরভূমের রামপুরহাটে একটি সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে মাইকে এই কথাগুলি বলেন তিনি। গত তিনবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। তাঁর সময়কালে এলাকায় তিনবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। আর সবকটি নির্বাচনেই রামপুরহাট শহর এলাকায় ভোটে পিছিয়ে থেকেছেন শতাব্দী। তাই কর্মীদের কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলেন এদিন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Birbhum) বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলা হয়, রাজ্য জুড়ে এত সন্ত্রাস চালিয়েও মানুষের মত প্রকাশের অধিকারকে আটকাতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের নেতাদের আচরণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আগামী দিনে লোকসভার ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপিকেই জয়ী করবে রামপুরহাটের মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

    প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

    সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

    নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

    দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share