Tag: SC

SC

  • Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় বড় কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?

    সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।

    গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”

  • NITI Aayog Panel: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    NITI Aayog Panel: ১৭৯টি সম্প্রদায়কে এসসি, এসটি এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ নীতি আয়োগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতি আয়োগ প্যানেলের সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছে দেশের ১৭৯টি সম্প্রদায়। সারা দেশে তিন বছর ধরে জাতিগত গবেষণা চালিয়ে ভারতে নথিভুক্ত, আধা-যাযাবর এবং যাযাবর ২৬৮টি আদিবাসী গোষ্ঠী প্রথমবার সংরক্ষণের আওতায় আসতে চলেছে। ভারত সরকারের নীতি আয়োগ প্যানেলের পক্ষ থেকে এই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় ভারতীয় সংরক্ষণ নীতির আওতায় অনেক অনুন্নত জাতিগোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে।

    নয়া গবেষণার ফল

    নয়া গবেষণায়, নীতি আয়োগ প্যানেল ১৭৯টি সম্প্রদায়কে কেন্দ্রীয় সরকারের এসসি, এসটি, এবং ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছে। বিশেষভাবে, ৮৫টি নতুন সম্প্রদায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি সম্প্রদায়কে ওবিসি, ২৯টি এসসি, এবং ১০টি এসটি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। সবচেয়ে বেশি নতুন অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে, যেখানে ১৯টি সম্প্রদায়ের নাম যুক্ত হয়েছে, এর পরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান। প্রতিটি রাজ্যে আটটি করে সম্প্রদায়ের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি, এই গবেষণায় বর্তমান শ্রেণিবিন্যাসে অসঙ্গতিগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে। নয়টি সম্প্রদায়কে পুনরায় শ্রেণিবদ্ধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এবং অনেক সম্প্রদায়কে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রীয় রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৬৩টি সম্প্রদায়, বা ২০ শতাংশের বেশি, “অনুসন্ধানে অনুপস্থিত” হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সম্ভবত তারা বৃহত্তর গোষ্ঠীতে মিশে গিয়েছে, নাম পরিবর্তন করেছে অথবা অন্য অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।

    গবেষণার প্রভাব

    এই জাতিগত গবেষণাটি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। ওড়িশা, গুজরাট এবং অরুণাচল প্রদেশের আদিবাসী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সহযোগিতায় এই গবেষণা চালানো হয়েছে। ২০২২ সালের অগাস্টে এই গবেষণার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়। তবে এখনও অনেক সম্প্রদায়ই নীতি আয়োগ প্যানেলের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রক এখনও অনেক সম্প্রদায়েরই সুপারিশ চূড়ান্ত করেনি। যখন জাতিগত ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিতর্কগুলো তীব্র হচ্ছে, তখন এই গবেষণার প্রভাব গভীর। কারণ সামগ্রিক আদমশুমারি ছাড়া এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই গবেষণার ফলস্বরূপ, এসসি, এসটি, এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। যা বর্তমানে চলমান কোটা নীতি পর্যালোচনার আহ্বানকেও শক্তিশালী করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Godhra Carnage: গোধরা হত্যাকাণ্ড মামলার আপিলের শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০২ সালের গোধরা হত্যাকাণ্ড (Godhra Carnage) মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আপিলগুলো নিয়ে শুনানির তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই ঘটনার জেরে গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুনানির সময় কোনও স্থগিতাদেশ অনুমোদন করা হবে না।

    জীবন্ত দগ্ধ ৫৯

    ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরা রেলস্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জন যাত্রীর। এঁদের অনেকেই ছিলেন করসেবক। ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। এই নৃশংস ঘটনার জেরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক হিংসা। ঘটনার ন’বছর পরে, ২০১১ সালে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২০ জনকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বহাল রাখে বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ।

    মৃত্যুদণ্ডই চায় গুজরাট সরকার

    যে ১১ জনের শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড যাতে পুনর্বহাল হয়, তাই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে গুজরাট সরকার। ওই মামলায় গুজরাট সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেছিলেন (Godhra Carnage), “সবরমতী এক্সপ্রেসে শিশু, মহিলা-সহ ৫৯ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই ধরনের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই আমরা চাই, গুজরাট হাইকোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, তাদের মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, সবরমতী এক্সপ্রেসের যে কামরায় আগুন লাগানো হয়েছিল, সেটি বাইরে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: যোগী-মডেলকেই অনুসরণ মমতার, ইউপি-স্টাইল এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম

    প্রসঙ্গত, গুজরাটে গোধরা হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক সাম্প্রদায়িক হিংসা শুরু হয়। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ঘটনায় ১,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এই সময়ের অন্যতম কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে। ওই দিন আহমেদাবাদের গুলবার্গ হাউজিং সোসাইটিতেও ঘটেছিল গণহত্যার ঘটনা। সেখানে (Supreme Court) উন্মত্ত জনতার হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৬৯ জন (Godhra Carnage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: কেন্দ্রীয় কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, সিবিআইকে সুপ্রিম-স্বস্তি

    CBI: কেন্দ্রীয় কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের অনুমতি লাগবে না, সিবিআইকে সুপ্রিম-স্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করতে হলে সিবিআইকে (CBI) অনুমতি নিতে হবে না সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের। শুক্রবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ বলেছে, যেখানেই কর্মরত থাকুন না কেন, তথ্যগত অবস্থান হল, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকার বা সরকারি মালিকানাধীন সংস্থার কর্মী এবং দুর্নীতি দমন আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। এই আইনটি কেন্দ্রীয় আইন।

    দুর্নীতির অভিযোগ (CBI)

    অন্ধ্রপ্রদেশে কর্মরত দুই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার জেরে শুরু হয়েছিল সিবিআই তদন্ত। অভিযুক্তরা সিবিআইয়ের এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের যুক্তি ছিল, অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার রাজ্যে তদন্ত চালানোর ক্ষেত্রে সিবিআইকে ঢালাও সম্মতি দিয়েছিল। রাজ্য ভাগ হওয়ার পরে গঠিত নয়া অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও তা আপনা-আপনি প্রযোজ্য হয়ে যায় না। হাইকোর্ট সেই যুক্তি মেনে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, এ ক্ষেত্রে সিবিআইকে নতুন করে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সম্মতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের সেই রায় খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রবিকুমার রায় দিতে গিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, সিবিআইকে অন্ধ্রের কাছে ফের জেনারেল কনসেন্ট চাইতে হবে বলে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ২৬ মে-র একটি সার্কুলার মেমো অনুযায়ী (CBI), ওই বছরের ১ জুন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে চালু থাকা আইনগুলিতে কোনও পরিবর্তন, সংশোধন বা কোনও আইন প্রত্যাহার না হলে রাজ্য ভাগের পরে তৈরি হওয়া তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও তা বলবৎ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি, যেখানে কেন্দ্রীয় আইনে অপরাধের অভিযোগ উঠেছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, তাই সিবিআইয়ের রাজ্যের কাছে এই ধরনের (FIR) অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই (CBI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • Dr Ambedkar: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    Dr Ambedkar: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলমান তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের গদি আঁকড়ে পড়েছিল কংগ্রেস। তাতে দেশের কী উপকার হয়েছে, তা বলবে উন্নয়নের হাল। তবে তোষণের রাজনীতি করে যে কংগ্রেস এবং সেই দলের একটি বিশেষ পরিবার আখের গুছিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এই তুষ্টিকরণের রাজনীতি আজকের নয়, চলে আসছে সেই নেহরুর (Jawaharlal Nehru) আমল থেকে। আজ যে অম্বেডকরকে (Dr Ambedkar) নিয়ে এত হইচই করছে কংগ্রেস, সেই অম্বেডকরও স্বয়ং দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে উগরে দিয়েছিলেন এক রাশ ক্ষোভ। যার প্রমাণ অম্বেডকরের পদত্যাগ পত্র। সেই পত্রেই স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে বস্তুত তুলোধনা করে দিয়েছিলেন দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী।

    নেহরু সরকারের উদাসীনতা (Dr Ambedkar)

    স্বাধীন ভারতের প্রথম মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ছিলেন অম্বেডকর। ১৯৫০ সালের ১০ অক্টোবর আইনমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অম্বেডকর। সেই পত্রেই গভীর হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী। তাঁর হতাশার কারণ তফশিলি জাতির প্রতি নেহরু সরকারের উদাসীনতা। অম্বেডকরের এই বিবৃতিটি অমর হয়ে রয়ে গিয়েছে ‘ডঃ বাবাসাহেব অম্বেডকর: রাইটিংস অ্যান্ড স্পিচেস’, বইতে। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৯ সালের ১৪ এপ্রিল, অম্বেডকরের জন্মদিনে। বইটি প্রকাশ করে মহারাষ্ট্র সরকার। বইয়ের ১৪ তম খণ্ডের দ্বিতীয় অংশ থেকে প্রাপ্ত দেশের প্রথম আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের নির্যাস, “আমি ভাবছি, ভারতের তফশিলি জাতির অবস্থার সঙ্গে বিশ্বের অন্য কোনও কিছুর সমান্তরাল উদাহরণ আছে কিনা। আমি এমন কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু তবুও, তফশিলি জাতির জন্য কেন কোনও স্বস্তি দেওয়া হয় না?”  নেহরু (Jawaharlal Nehru) সরকারের মুসলিমদের প্রতি মনোভাব এবং তফশিলি জাতির প্রতি আচরণের তুলনা টেনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সরকার মুসলিমদের সুরক্ষার বিষয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করে, তা তুলনা করুন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুরো সময় এবং মনোযোগ মুসলিমদের সুরক্ষায় নিবেদিত করেছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীর কাছেও মাথা নত করি না

    সংখ্যালঘুদের অধিকারের সুরক্ষার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে গিয়ে অম্বেডকর দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, “আমি কারও কাছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও মাথা নত করি না ভারতীয় মুসলমানদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়ার আকাঙ্ক্ষায়, যখন এবং যেখানে তাদের প্রয়োজন হয়।” এর পরেই তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। বলেছিলেন, “কিন্তু আমি জানতে চাই, মুসলমানরাই কি একমাত্র গোষ্ঠী যাদের সুরক্ষার প্রয়োজন? তফশিলি জাতি, তফশিলি জনজাতি এবং ভারতীয় খ্রিস্টানদের কি সুরক্ষার প্রয়োজন নেই? এদের জন্য তিনি কী চিন্তা করেছেন? যতদূর আমি জানি, কিছুই নয়। অথচ এই গোষ্ঠীগুলিরই মুসলমানদের তুলনায় অনেক বেশি যত্ন এবং মনোযোগের প্রয়োজন।” কংগ্রেস ও নেহরুর বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, “নেহরু তাঁর পুরো সময় এবং মনোযোগ মুসলমানদের সুরক্ষায় নিবেদিত করেছেন।”

    তফশিলি জাতির মানুষদের উদ্বেগে জোর

    অম্বেডকর প্রাক স্বাধীনতা পর্বে এবং সংবিধান প্রণয়নের সময় তফশিলি জাতির মানুষদের সম্মুখীন হওয়া উদ্বেগের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি (Dr Ambedkar) বলেছিলেন, “ব্রিটিশরা তফশিলি জাতিগুলোর জন্য সংবিধানিক সুরক্ষার ব্যাপারে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে গিয়েছিল। তফশিলি জাতিগুলির কোনও ধারণা ছিল না যে এই বিষয়ে গণপরিষদ কী করবে।” তিনি জানান, এই সময় তিনি তফশিলি জাতিগুলির অবস্থার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে জমা দেওয়ার জন্য। পরে এটি জমা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এই আশায় যে নবগঠিত সংসদ তাদের দুর্দশা মোকাবিলা করবে। তফশিলি জাতিগুলির সুরক্ষার জন্য সংবিধানিক বিধানগুলির ব্যাপারে তাঁর দ্বিধা থাকা সত্ত্বেও, তিনি সেগুলিকে আন্তরিক বিশ্বাসে গ্রহণ করেছিলেন, এই বিশ্বাসে যে সরকার দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করবে।

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস অম্বেডকর-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী, সংবিধান-বিরোধী”, সংসদে তোপ শাহের

    অম্বেডকরের আক্ষেপ

    অপরিবর্তিত অবস্থার জন্য আক্ষেপ করেছিলেন অম্বেডকর (Dr Ambedkar)। বলেছিলেন, “আজকের দিনে তফশিলি জাতির অবস্থা কী? যতদূর আমি দেখি, এটি আগের মতোই রয়েছে। সেই একই পুরনো অত্যাচার, একই পুরনো শোষণ, একই পুরনো বৈষম্য, যা আগে ছিল, তা এখনও আছে এবং সম্ভবত আরও খারাপ আকারে।” অসংখ্য উদাহরণের মাধ্যমে তিনি জাতিভিত্তিক নির্যাতনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। বিশেষত দিল্লির নিকটবর্তী এলাকাগুলিতে, যেখানে তফশিলি জাতিভুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের বিরুদ্ধে বৈষম্য এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে এসেছেন। তিনি বলেন, “আমি শত শত ঘটনার কথা বলতে পারি যেখানে দিল্লি ও আশপাশের তফসিলি জাতির মানুষরা তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনি নিয়ে আমার কাছে এসেছেন। এঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, যাঁরা তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করেছে এবং তাঁদের কোনও সাহায্য করেনি।”

    পক্ষপাতের বিষয়টির খাপ খুলে দিয়েছে

    অম্বেডকরের আবেগপূর্ণ ও ধারালো বিবৃতি তফশিলি জাতির প্রতি চরম অবহেলা ও পদ্ধতিগত পক্ষপাতের বিষয়টির খাপ খুলে দিয়েছে। কংগ্রেসের (Jawaharlal Nehru) অগ্রাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস পার্টি নিজেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করে। তারা বিআর অম্বেডকরের প্রতিকৃতি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। যা আসলে ভণ্ডামির নামান্তর (Dr Ambedkar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    Jai Shri Ram: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ (Jai Shri Ram) স্লোগান দেওয়া অপরাধ কীভাবে? ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার এক মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র কোনও ধর্মীয় শব্দ বা নাম বলাটা কোনও অপরাধ নয়।

    জয় শ্রীরাম স্লোগান (Jai Shri Ram)

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কর্নাটকের এক মসজিদের ভিতরে ঢুকে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্নাটক হাইকোর্ট সেই ফৌজদারি কার্যধারা খারিজ করে দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের। এদিন শুনানিতে বেঞ্চের প্রশ্ন, তারা একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় বাক্যাংশ বা একটি নাম ধরে স্লোগান দিয়েছিল। এটা কোন ধরনের অপরাধ? অভিযোগকারী হায়দার আলি সিএমের উদ্দেশে বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘আপনি কীভাবে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছেন? আপনি বলছেন, ওদের সবাইকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। যারা ভিতরে ঢুকেছিল, তাদের কে শনাক্ত করেছে?’

    কর্নাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গত ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যধারা বাতিল করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছিল, কেউ জয় শ্রীরাম বলে স্লোগান দিলে, তা কীভাবে কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে, তা বোঝা যাচ্ছে না। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এতে জনসাধারণ খেপে গিয়েছে বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এমনও কেউ দাবি করেনি। তার ওপর অভিযোগকারী নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি অপরাধীদের দেখেননি। অভিযুক্তদের (Jai Shri Ram) বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিল করে হাইকোর্ট বলেছিল, ‘যে অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে আরও আইনি কার্যক্রমের অনুমতি দিলে, আইনের অপব্যবহার করা হবে। তাতে ন্যায় বিচারের গর্ভপাত হবে।’

    আরও পড়ুন: মাওবাদী নির্মূল কবে? সময়সীমা বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    সোমবারের (Jai Shri Ram) শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী দেবদত্ত কামাত জানান, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হাইকোর্ট এই কার্যধারা বাতিল করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার দায় তিনি চাপিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ঘাড়ে। আবেদনকারী রাজ্যের কাছে যে আবেদন করেছেন, তার একটি অনুলিপি চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ডিভোর্স মামলায় খোরপোশ নির্ধারণে ৮ দফা গাইডলাইন, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়র অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় (Bengaluru Techie Suicide) তোলপাড় দেশ। এই আবহেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদর পর খোরপোশ (Alimony Amount) বাবদ কত টাকা পাওয়া উচিত, সে বিষয়ে আট দফা গাইড লাইন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।  

    ইঞ্জিনিয়ারের সুইসাইড নোটে তোলপাড় দেশ

    আত্মহত্যার আগে ২৪ পাতার সুইসাইড নোটে অতুল অভিযোগ করে যান যে, টাকা হাতানোর জন্য একাধিক মিথ্যে মামলা করেছিল তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিচার ব্যবস্থাকেও দুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে (Bengaluru Techie Suicide) তাঁর রেকর্ড করা শেষ ভিডিওতে নিজের মানসিক নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই ঘটনার আবহে, বুধবারই শীর্ষ আদালত (Supreme Court) মহিলাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা সংক্রান্ত আইনের ৪৯৮(এ) ধারার অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে।

    সেই ঘটনার রেশ মেলানোর আগেই নয়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় ভরণপোষণের (Alimony Amount) নির্দেশ দেওয়ার সময় সন্তানের রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন নেওয়ার জন্য বাবার দায়িত্বের ওপরও বেশি জোর দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত অন্যান্য সমস্ত আদালতকে এই নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে।

    ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ (Supreme Court)

    ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ কী হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য কতগুলি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও, একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার রায়ে স্ত্রীকে এককালীন ভরণপোষণের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিবাহবিচ্ছিন্ন দম্পতির বড় ছেলের ভরণপোষণ ও আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেছে।

    ৮ ফ্যাক্টর

    আদালতে শুনানি হচ্ছিল প্রবীণ কুমার জৈন ও অঞ্জু জৈন নামে এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার। এই মামলায় বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি বরালের ডিভিশন বেঞ্চ আটটি ফ্যাক্টর বিবেচনার নির্দেশ দেয়। এগুলি হল, বাদী ও বিবাদী দুপক্ষের সমাজিক ও আর্থিক অবস্থা, স্ত্রী ও নির্ভরশীল সন্তানদের যুক্তিসঙ্গত চাহিদা। বাদী ও বিবাদীর স্বতন্ত্র যোগ্যতা, কর্মসংস্থানের অবস্থা (Supreme Court)। দুজনের আয়, আবেদনকারীর মালিকানাধীন সম্পত্তি ও সম্পদ, বিয়ের পর স্ত্রী যে জীবন কাটিয়েছে, তার মান। পারিবারিক দায়িত্বের জন্য যে কোনও কর্মসংস্থান ছেড়ে আসা। স্ত্রীর মামলা চালানোর খরচ এবং স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, তাঁর আয়, ভরণপোষণের বাধ্যবাধকতা ও দায়।

    আরও পড়ুন: এনআরসির আবেদন না করলে, বাতিল হবে আধার কার্ডের আবেদন, বড় সিদ্ধান্ত হিমন্তর

    বিচ্ছেদ মামলার রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চ জোর দিয়ে বলেছে, এই দম্পতি বিয়ের পর ছ’বছর একসঙ্গে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তী ২০ বছর আলাদা জীবনযাপন করেছেন। তাঁদের বিবাহে অসামঞ্জস্যতা ও তিক্ত সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং তাঁর পরিবারকে উপেক্ষা করতেন। অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণের আচরণ তাঁর প্রতি ভালো ছিল না। এত দীর্ঘ সময় আলাদা থাকায় এই দম্পতি তাঁদের বৈবাহিক দায়িত্ব (Alimony Amount) পালনের কোনও সুযোগ পাননি (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Supreme Court: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৯৮-এ ধারার (Section 498A) অপব্যবহার হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে। এবার সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, কোনও সমস্যা হলেই ব্যক্তিগত শত্রুতা বা আক্রোশ মেটাতে বধূ নির্যাতন বিরোধী আইনের ৪৯৮-এ ধারাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না (Supreme Court)। মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর বধূ নির্যাতনের একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের।

    ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার (Supreme Court)

    সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করে জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারও করা হচ্ছে। স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের হওয়া ওই মামলাও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে দেশের সব হাইকোর্ট ও পুলিশকে সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার এই মর্মে সতর্ক করেছে যে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহার করা হচ্ছে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, অকারণে কাউকে হেনস্থা করার জন্য যেন ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহৃত হয়। বধূ নির্যাতনের ওই মামলায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে – এই যুক্তিতে মামলা খারিজের পাশাপাশি অভিযোগকারীকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের স্নাতকদের মধ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থানের উপযোগিতা, বলছে রিপোর্ট

    গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য আনা হয়েছিল আইন

    এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ৪৯৮-এ ধারা আনা হয়েছিল বিবাহিত মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর জন্য। এই প্রসঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্প্রতি দেশের সর্বত্র বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এর সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে, ৪৯৮-এর মতো ধারার অপব্যবহার হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করতেই স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এই আইন ব্যবহার করছেন স্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, নির্যাতনের সারবত্তাহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের মামলা হলে আদতে তা আইনের অপব্যবহার। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে এই ধরনের মামলা দায়েরের আগে সতর্ক হতে হবে।

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এই পর্যবেক্ষণ এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন গার্হস্থ্য সমস্যা নিয়ে বেঙ্গালুরুর এক আইটি কর্মী অতুল সুভাষের মৃত্যুকে ঘিরে (Section 498A) তোলপাড় দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা খতিয়ে দেখতে বিশেষ বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনটির বৈধতার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব রিট পিটিশন শুনানির জন্য (Places Of Worship Act) বিশেষ বেঞ্চ গঠন করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না (Supreme Court)। এই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে যেসব ধর্মীয় স্থানের চরিত্র এবং পরিচয় যেমন ছিল, তা রক্ষা করে।

    বেঞ্চ গঠন (Supreme Court)

    তিন বিচারপতির বেঞ্চটি প্রধান বিচারপতি খন্নার নেতৃত্বে গঠিত। বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং কেভি বিশ্বনাথনও। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর, দুপুর সাড়ে তিনটায়। মামলাটি ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতা নিয়ে পিটিশনগুচ্ছের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলা। পিটিশনগুলির মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ও। তাঁদের অভিযোগ,  ১৯৯১ সালের আইনটি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের আদালতে তাদের উপাসনাস্থল রি-ক্লেইমের সুযোগ দেয়নি। এই উপাসনাস্থলগুলি মৌলবাদী বর্বর আক্রমণকারীরা অধিগ্রহণ করেছিল।

    মুসলিম সংগঠনের বিরোধিতা

    এই আবেদনগুলির বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। এর মধ্যে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দ-ও। তাদের যুক্তি হল, জনস্বার্থ মামলার ছদ্মবেশে এই আবেদনগুলো এমন একটি কেন্দ্রীয় আইনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, যা ভ্রাতৃত্ব এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা, সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল্যবোধ এবং মৌলিক কাঠামোর অংশগুলো রক্ষার মাধ্যমে ধর্মীয় স্থানগুলোর ধর্মীয় চরিত্র সংরক্ষণ করেছে।

    আরও পড়ুন: বধ্যভূমি বাংলাদেশ! নেত্রকোনায় হামলা কালী মন্দিরে, রাজশাহীতে হিন্দুর জমি জবরদখল

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এও উল্লেখ করেছে যে, অযোধ্যা রায়ে ১৯৯১ সালের আইনের গুরুত্ব স্বীকৃত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে (Supreme Court), এই আইন আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত জনসাধারণের উপাসনার স্থানগুলোর চরিত্র সংরক্ষণে, সংসদ সুস্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ দিয়েছে যে ইতিহাস এবং তার ভুলগুলো বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে দমন করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।

    জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিচালনা কর্তৃপক্ষও মামলায় হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে। জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রতিনিধিত্বকারী আনজুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ বারাণসী যুক্তি দিয়েছে যে, মুঘল আমলের শাসকদের কারণে সৃষ্ট কথিত অভিযোগ ও অভিযোগপূর্ণ দাবি আইন প্রণয়ন, যেমন উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার ভিত্তি হতে পারে না।

    প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদটি কয়েকটি দেওয়ানি মামলার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যেখানে হিন্দু মামলাকারীরা মসজিদের নীচে মন্দিরের অস্তিত্ব দাবি করছেন (Places Of Worship Act) এবং সেখানে পুজোর অধিকার দাবি করেছেন (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান!” তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভায় সেন্টিল বালাজির (Senthil Balaji)  নিয়োগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ক্যাশ-ফর-জবস কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচারের মামলায় জামিন পাওয়ার পরপরই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হয়েছে সেন্টিলকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এমনতর মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।

    কী বললেন বিচারপতি? (Supreme Court)

    ২ ডিসেম্বর, সোমবার, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হচ্ছিল বালাজিকে জামিন দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য করা একটি আবেদনের। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে বালাজির মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ সাক্ষীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। শুনানির সময় বিচারপতি ওকা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা জামিন দিই এবং পরদিন আপনি মন্ত্রী হয়ে যান! যে কেউ মনে করবে যে, একজন সিনিয়র মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে এখন আপনার পদমর্যাদার কারণে সাক্ষীরা চাপে থাকবে। এটা কী চলছে?”

    কী বলছে বেঞ্চ?

    তবে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা পূর্বের জামিন সংক্রান্ত রায়ে হস্তক্ষেপ করবে না। ২৬ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্বীকার করে যে বালাজির নতুন পদমর্যাদা সাক্ষীদের ওপর অযথা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি পূর্ববর্তী রায়ের সারমর্ম পুনর্বিবেচনা করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। এর আগে বালাজির জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। যদিও অর্থপাচার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কোর্ট তাঁর দীর্ঘ কারাবাস এবং দ্রুত বিচার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই দেখে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বালাজির দ্রুত রাজনৈতিক নিয়োগের কারণে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার মাত্র তিন দিন পর, ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনের প্রশাসনে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। তিনি বিদ্যুৎ, অপ্রচলিত জ্বালানি উন্নয়ন, এবং মদ্যনিষেধ ও আবগারি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এই দ্রুত উন্নতি বালাজির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

    বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা আপাতত মামলায় কোনও নোটিশ জারি করছে না। তবে বালাজির আইনজীবীদের নির্দেশ পাওয়ার জন্য (Senthil Balaji) সময় চেয়েছে। মামলাটি পরবর্তী শুনানি ১৩ ডিসেম্বর (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share